#devil_love part : 33
writer-kabbo mahmud
সকালে
কাব্যর ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর তাকায়
কিন্তা তাকানোর পর সে বড় ধরনের একটা শক্ খাই
কাব্য দেখে আবির তার পাশে বসে আছে কিন্ত কাব্যর দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে
কাব্যঃ কী ব্যাপার আবির তুই এখানে?? তাও আবার এতো সকালে কোন সমস্যা???
আবিরঃ হুম আসলাম।একটু কথা আছে আরকি!!
কাব্যঃ হুম বল ****
আবিরঃ এমন করলি কেন??
কাব্যঃ কি করলাম???(উঠে বসে)
আবিরঃ তোর বিয়েটাতেও ইনজয় করতে দিলি না?
কাব্যঃ আমি আবার কী করলাম???(কপাল কুচকে)
আবিরঃ কি করলি মানে?? কাল যেটা হলো তারপর কীভাবে যাই?? সেখানে তো আমাই চিনে ফেলবে বা সব জেনে যাবে:::::::
কাব্যঃ আরে এটা আবার কোন সমস্যা??? সেখানে একমাত্র তানিশা তোকে চিনে আর কেউতো না তাই তানিশা কিছু বলবেও না
(উঠে ফ্রেশ হতে যাবে)
আবিরঃহুম তা বুঝলাম কিন্ত আরও একটি সমস্যা??
কাব্যঃ (দাঁড়িয়ে যেয়ে). আবার কী???
আবিরঃ সব তো ভালোই হবে কিন্ত বিয়ের পরে তো তানিশা সব জেনে যাবে
কাব্যঃ এই বার বার ওর নাম ধরে ডাকবি না ভাবি হয় তোর হিসাব আছে??? ভাবি বলে ডাকবি(রেগে যেয়ে)
আবির: হুম(সম্মতি দিয়ে)
কাব্যঃ আর ও জানলে জানবে সমস্যা কি?? বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তো আর ছেড়ে যেতে পারবে না তখন সব দেখা যাবে
আবিরঃ ooh ok
কাব্যঃ হুম (ওয়াশরুমে চলে গেল)
আবিরঃ আসলেই সালার আমার দ্বারা কিছু হবে না কিছুই সম্ভব না **এমন সহজ জিনিস বুঝিনা হুহ
আমার কপালে বউও নেই কবে যে একটা পামু??
থাক ওসব দুঃখ করে লাভ নেই নিচে যাই আজ অনেক কাজ করতে হবে******
★★তানিশাদের পরিবারে★★
সুমিঃ এই আপুউউউউউ………..(জোরে চেঁচিঁয়ে)
তানিশাঃ কোন শাঁকচুন্নি, বান্দর এর বউ,টিকটিকির বউ উল্লুক পেচারে???? (ধড়ফড় করে উঠে) এতো সকালে কী ২০১৯ এর যুদ্ধ শুরু হয়েছে? যে আমাকে ডেকে তোলা খুব প্রয়োজন?? (একদমে বলে বেচারী হাফিয়ে উঠেছে)
সুমিঃ (তানিশার এমন কথা শুনে সুমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছে তানিশার দিকে*****)
তানিশাঃ (সুমির দিকে চোখ যেতেই).তারমানে তুই এভাবে আমাই ডেকেছিস?? বজ্জাত মেয়ে কোথাকার তোকে হাইয়ান এর গলাই ঝুলিয়ে দেব
আমার সাধের ঘুম নষ্ট করে দেওয়ার জন্য(রেগে যেয়ে)
সুমিঃ আপু..(ড্যাবড্যাব চোখে তাকিয়ে)
তানিশাঃ কী হয়েছে????(ঝাড়ি দিয়ে)
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
সুমিঃ আপুইইইইইই(কাছে যেয়ে ঝাপটে ধরে).আমার সোনা আপু। জানো কতদিন তোমার এই দুষ্টুমিগুলো দেখিনি খুব মিস করতাম কিন্ত আজ খুব ভালো লাগছে তোমার এমন ব্যাবহার
তানিশাঃ তাহলে এতোদিন বলিসনি কেন???
সুমিঃ বলতাম না কারণ তুমি এতোদিন বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত থাকতে আর দুষ্টুমি তো বলে দিয়ে দেখা যাই না নিজে নিজেই করতে হয়
তানিশাঃ হুম কিন্ত আমি যে আজ চলে যাবো তখন কী হবে? কার সাথে দুষ্টুমি করবি???
সুমিঃ (তানিশাকে ছেড়ে দিয়ে পাশে বসল). এমন কথা বলো না আর তুমি তো সারাজীবন এর জন্য চলে যাচ্ছ না কিছুদিন পর পর আসবে এসে আমাদের এখানে থাকবে
তানিশাঃ তোদের এখানে মানে??? মনে রাখবি সব তোদের কিন্ত এই রুম না এটা একান্ত আমার রুম আর কাউকে আসতে দেব না যাওয়ার সময় তালা দিয়ে যাবো
সুমিঃ (তানিশার এমন কথা শুনে একটু হেসে দেই)
তানিশাঃ কী হলো হাসলি কেন??
সুমিঃ না এমনি,, আচ্ছা তখন দেখা যাবে এখন ফ্রেশ হয়ে নাও কারণ তোমার উপর দিয়ে আজ অনেক ঝামেলা যাবে
তানিশাঃ ঝামেলা মানে??? কেমন ঝামিলা???
সুমিঃ ওমা??.আজ সারাদিন-রাত তোমাকে কত মানুষ দেখতে আসবে কতো মানুষের মাঝে কথা বলতে হবে বকবক করে যেতে হবে জানোনা??
তানিশাঃ বাব্বাহ এতো কিছু জানিস??
সুমিঃ একটু একটু
তানিশাঃ আচ্ছা তুই যা আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি
সুমিঃ ok
–তানিশা ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে গেল আর এদিকে
***কাব্য ফ্রেশ হয়ে বাইরে এসে মোবাইল হাতে নিয়ে ফোন দেই এবং কিছুক্ষন কথা বলার পর নিচে চলে আসে
কাব্যঃ বাবা… মা তোমরা সবাই একসাথে আসো তো কিছু important কথা আছে তোমাদের সাথে(সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে)
নীলাঃ হ্যা ভাইয়া আমরা সবাই একসাথেই আছি
কাব্যঃ (একসাথে মিলে বসে যাওয়ার পর)
শোন সবাই আমি আর আবির কাল রাতে বাইরে গিয়েছিলাম কিন্ত কেন নিশ্চয় তোমরা জানোনা আর সেগুলো তোমাদের মাঝে বলা প্রয়োজন শোন সবাই::::::……..:::::::……..:::::::………:::::::……
এসব হয়েছে এভাবে আমি আর আবির সব ম্যানেজ করেছি এবার কীভাবে কাজ করতে হবে নিশ্চয় তোমরা জানো????
বাবাঃ হুম সব বুঝলাম কিন্ত তানিশাদের পরিবারের সবাইকে বলেছি এসব??
কাব্যঃ না এখনো বলা হয়নি
বাবাঃ তাদের ও বলা প্রয়োজন কারণ তা না হলে তারা কিছু বুঝতে পারবে না কি হচ্ছে!!
কাব্যঃ হুম তুমি নাহয় সব বলে দিও
মাঃ তলে তলে এতো কিছু করে ফেলেছো??? কি চালু আমার ছেলে
বাবাঃ হুম সেটাও ঠিক
কাব্যঃ আমার আর কী করারা?? তোমরাই তো তাকে বউমা হিসেবে চাইলে ””আচ্ছা বেশ তাহলে বিয়ে করব না
বাবাঃ এই না না সেটা না আচ্ছা যা করেছিস বেশ করে করেছিস।
কিন্ত বউমাদের পরিবারে তো অনেক কাজ তারা কি সব ম্যানেজ করতে পারবে??? তুই একটু লোক পাঠিয়ে দে তাহলে তাদের কিছু করা লাগবে না
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
কাব্যঃ চিন্তা করো না সব ব্যাবস্থা করে ফেলেছি
আর কোন কাজ নেই
এবার শুধু আমাদের সবাইমিলে সেখানে যেতে হবে
মাঃ হুম চিন্তা করার কিছু নেই আমার ছেলে সব দিক থেকে expart
আবিরঃ আর আমি কি সমুদ্র থেকে ভেসে এসেছি???
মাঃ কে বলেছে এ কথা??? আমার এই সন্তান তো সব। আজ পর্যন্ত কোন ভুল ধরতে পারিনি
নীলঃ আর আমি(মুখ গোমড়া করে)
মাঃ ওলেলে রাগ করেনা আম্মু,, তুমি তো আমার আম্মু তুমি একটা কেন হাজার ভুল করবে☺
তাও কিছু বলব না।।।।।
বাবাঃ আর আমি(করুন চোখে তাকিয়ে রয়েছে সবার দিকে)
–সবাই কাব্যর বাবার এমনভাবে তাকানো দেখে হাহা করে হেসে দেই তারপর সবাই কাব্যর বাবা+মাকে একসাথে বসিয়ে জড়িয়ে ধরে
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
তানিশাদের বাড়ি আজ চারিদিকে এতো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে যে একটা সপ্নপুরী জগৎ লাগছে
চারিদিকে লাইট আর সুন্দর প্রকৃিতির মাঝে আজ তাদের বাড়িটি খুব সুন্দর লাগছে কাব্য ঠিক এমন সুন্দরভাবে বাড়িটি সাজাতে বলেছে আর তাদের পরিবারকে জেনো একদম কোন কাজ করতে নাহয় তার জন্যও অনেক লোক পাঠিয়েছিলো
তাই তাদের কোনরকম কাজ করতে হয়নি সারাদিনের ব্যাস্ততায় ও কাজে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসল।
সকল আত্নীয় চলে আসছে আর তাদের সাথে সাক্ষাৎ করায় তাদের পরিবার ব্যাস্ত কারণ তাদের আর কোন কাজ নেই
আর তাদের পাশের প্রতিবেশী সহ তাদের পাশে আছে।।।।
কাব্য যেভাবে বলেছিলো সেভাবে সকল কাজ হবে কিন্ত এ বীষোয়ে তানিশাদের পরিবারকে সব কাব্যর বাবা বলে দিয়েছে।
*******************************************
তানিশাকে সাজানোর জন্য পার্লার এর মহিলা এসেছে তাকে বউ সাজানোর জন্য কাব্যই পাঠিয়েছে
আর ওইদিকে কাব্যর পরিবার তেমনভাবে সাজিয়ে আসছে না কারণ তানিশা জানে আজ তাদের মধ্যে এমন হবে কিন্ত তানিশাদের পরিবারও তো সব জানে কিন্ত তানিশা জেনো না বুঝে তাই এমন ভাবে আসছে যেনো সে না বুঝে যে এসব কথা তানিশার বাবা-মা জানে
দুটি পরিবারের মধ্যে আজ একটি সম্পর্ক হতে চলেছে যেটা অনেক ঝামেলার পর আজ এটা সফলভাবে হচ্ছে কিন্ত সমস্যা থেকেই যাচ্ছে
যেটা কীভাবে ঠিক হবে জানতে চাইলে অপেক্ষা করুন