#Lovable part : 5
writer : kabbo mahmud
তাহিয়াঃ এই তানিশা উঠো।
তানিশাঃ উম্মম
তাহিয়াঃ চলো আজ একসাথে বাইরে যাবো।
তানিশাঃ ঘুমের মধ্যে মশা হয়ে আসবেনা বলে দিলাম(ঘুমের ঘোরে)
তাহিয়াঃ হুম জানিতো। উঠো নাহলে কাব্য স্যার এর কাছে পাঠিয়ে দেবো।
তানিশাঃ (উঠে বসে) আমিও বাবা কে আবির ভাইয়ার কথা বলে দেবো।
তাহিয়াঃ দেনা বলে দে তারপর রাজী হয়ে যাবে আর বিয়েও হয়ে যাবে তারপর তুই থাকিস একা একা।
তানিশাঃ আমার কাছে এসো।
তাহিয়াঃ কেন?
তানিশাঃ এসোনা।
তাহিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে(তানিশার পাশে বসে)
তানিশাঃ (তাহিয়া কে জড়িয়ে ধরে) তোমাকে আমি সব জায়গাতে চাই তুমি চলে গেলে আমি কার সাথে এমন দুষ্টুমি মজা করব বলোতো???
তাহিয়াঃ তা তো জানিনা!!
তানিশাঃ একটা রিকুয়েস্ট রাখবে?
তাহিয়াঃ কী?
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
তানিশাঃ তোমার বরকে ঘর জামাই রেখো তাহলে তুমি এখানে থাকবে।
তাহিয়াঃ হা হা এটা কেমন কথা? এখন কী আর আগের যুগ আছে?
তানিশাঃ তাহলে?
তাহিয়াঃ বলছি আবির আর কাব্য কিন্ত দুইভাই।
তানিশাঃ হুম জানি। তোমার শশুর বাড়ি গেলে ওই আংকেল এর সাথে দেখা হবে।
তাহিয়াঃ একেও আংকেল বানিয়ে দিলি?
তানিশাঃ কী করব বল? যারেই দেখি আংকেল আর ভাইয়া লাগে।
তাহিয়াঃ আচ্ছা মানলাম। কিন্ত আমার সাথে থাকার একটাই অপশন আছে।
তানিশাঃ কী?
তাহিয়াঃ পরে বলব এখন রেডি হয়ে নে ওঠ।
তানিশাঃ কেন?
তাহিয়াঃআজ একসাথে বের হবো। তুই কলেজে আমি অফিসে।
তানিশাঃ আবির ভাইয়া বলেছে?
তাহিয়াঃ হুম চলো চলো উঠো।
তানিশাঃ ok বেহেনো ok…..
***
***
কাব্য ও আবির ঘুম থেকে উঠে দুজনেই ফ্রেশ হয়ে অফিসের জন্য রেডি হয়। তারপর নিচে যেয়ে ব্রেকফাস্ট করে নিয়ে সবার কাছে থেকে বিদাই নেই। এবং অফিসের দিকে রওনা দেই।
আর তানিশা তাহিয়াও নিচে এসে মায়ের কাছে থেকে বিদাই নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।
।
।
দুইবোন আড্ডা দিতে দিতে যাচ্ছে** কিছুক্ষণপর তানিশা কলেজের সামনে নেমে পড়ে আর তাহিয়া চলে গেলো।
***অফিসে***
*************
আবিরঃ আচ্ছা কাব্য বাবা কোথাই/?
কাব্যঃ হয়তো মিটিংএ আছে।
আবিরঃ চল যাই। একটু সাহায্য করি।
কাব্যঃ তাহিয়া আসবেনা? মিটিং এ গেলে ওর সাথে কথা বলবি কীভাবে??
আবিরঃ তাইতো! এটা তো ভাবিনি।আচ্ছা তুই যা না বাবা একা ওতো কিছু কীভাবে manage করবে?
কাব্যঃ না আজ বাবাই সব ঠিক করুক। আর আমারো তানিশার ব্যাপার নিয়ে তাহিয়ার সাথে একটু কথা বলতে চাই।
আবিরঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
কাব্যঃ দেখ হয়তো তাহিয়া চলে এসেছে।
আবিরঃ ok.
*
*
★আবির cabin এর বাইরে এসে দেখে তাহিয়া চুপচাপ তার জায়গাতে বসে আছে। কোন কাজ বুঝতে না পেরে বসে আছে।
আবির তাহিয়ার কাছে যাই তারপর।
আবিরঃ এখানে কী করছো?
তাহিয়াঃ ওহ আসলে কী কাজ করবো বুঝতে পারছি না::::
আবিরঃ তোমাই এখানে কাজ করার জন্য আসতে বলেছি?
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
তাহিয়াঃ তাহলে?
আবিরঃ তুমি আমার পি.এ তাই প্রথমেই অফিসে এসে আমার সাথে দেখা করবে ok…
তাহিয়াঃ হুম।(মাথা নিচু করে)
আবিরঃ আমার সাথে চলো|||||||
তাহিয়াঃ কোথাই?
আবিরঃ cabin এ আবার কোথাই? এসো আজ আড্ডা হবে।
তাহিয়াঃ মানে?
আবিরঃ এসোতো শুধু প্রশ্ন।
-আবির তাহিয়ার হাত ধরে নিয়ে যাই। তারপর চেয়ারে বসিয়ে দেই। তাহিয়া লক্ষ্য করে কাব্যও আছে সেখানে। সে তো ভয়ে শেষ।
তাহিয়াঃ এই হাদারাম আমাই কী মেরে দেওয়ার জন্য এখানে নিয়ে আসলো নাকি???(মনে মনে)
কাব্যঃ ভয়ের কারণ নেই। আচ্ছা তাহিয়া আমি এটা জানতে চাই যে তুমি রাতে এমন কথা কেন বললে?
তাহিয়াঃ sorry sir..
কাব্যঃ কেন?
তাহিয়াঃ রাতে ওমন কথার জন্য।
কাব্যঃ sorry বলার কিছু নেই। কথা গুলো বলার কারন জানতে চাই।
তাহিয়াঃ আসলে sir আমি মনে করতাম আপনারা রিলেশন করেন তাই সাপোর্ট দিচ্ছিলাম।
কাব্যঃ নিজের বোন রিলেশন করে এখানে তাকে বকা না দিয়ে সাপোর্ট?
তাহিয়াঃ না মানে তানিশাকে আপনার গাড়ী থেকে নেমে যাওয়া আবার আপনি তাকে ফোন কিনে দিয়েছেন এসব শুনে আমি ভেবেছিলাম আমার বোনও আপনাকে ভালোবাসে তাই আমিও চেয়েছিলাম আমার বোন ভালো থাক কিন্ত এমন যে হবে ভাবিনি।
কাব্যঃ ফোন কিনে দিয়েছি কীভাবে জানলে?
তাহিয়াঃ আসলে ফোন এর সকল ডকুমেন্ট ওর টেবিলে রেখে দিয়েছিলো যেটা আমি দেখে ফেলি।তারপর ও আমাই সব কিছু বলে দেই।
কাব্যঃ একটা কথা বলি?
তাহিয়াঃ জ্বী বলেন।
কাব্যঃ হ্যা আমি তানিশাকে পছন্দ করি। কিন্ত ও সেটা জানেনা কিন্ত এখন কী করতে হবে বুঝে উঠতে পারছিনা।
তাহিয়াঃ আমিও জানিনা আর আমি ওর বড় বোন ও কে সাপোর্ট দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারব না।
আবিরঃ কিছু করতে হবে না শুধু মাত্র এমন ভাবে তানিশাকে সাপোর্ট দিবে আর যেটুকু সম্ভব করবে কেমন?
তাহিয়াঃ হুম।
কাব্যঃ মনে হচ্ছে তুমি ভয়ে আছো! ভয় এর কারণ নেই। মনে করো আমি তোমার বস না এখন আমি সাধারণ একজন যে তোমার বোনের সাথে প্রেম করে(মুচকি হাসি দিয়ে)
তাহিয়াঃ না কোন কারণ নেই।
আবিরঃ আচ্ছা এতো শান্তভাব না নিয়ে ক্লোজ হও এখন এভাবে নিরামিষ থাকতে ইচ্ছে করছেনা।
তাহিয়াঃ আচ্ছা।(জয়ের হাসি দিয়ে)
কাব্যঃ না এখন থাক আর কিছু বলার নেই।
আবিরঃ ওহ আচ্ছা ঠিক আছে। চলো তুমি * তোমার সাথে অনেক কথা আছে।
তাহিয়াঃ হুম। আচ্ছা ভাইয়া একটা কথা বলি?
কাব্যঃ হুম।
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
তাহিয়াঃ তানিশাকে empress করার জন্য অনেক কিছু আছে জেনে নিন।
*ও কে হাসিতে মাতিয়ে রাখতে হবে
*ওর সাথে আড্ডা ফাজলামি করতে হবে
*ওর অজান্তেই ওর পছন্দমত জিনিস কিনে দিতে হবে
*আর হ্যা উপদেশ একদম দিবেন না।
আরও আছে নিজে নিজেই বুঝে নিতে পারবেন ওড় সাথে সময় কাটালে।
কাব্যঃ আচ্ছা তোমার বোন আমার সাথে প্রেম ভালোবাসা করবে এটা নিয়ে তোমার কোন আপত্তি নেই?
তাহিয়াঃ আমি জানি ভাইয়া.. ইয়ে মানে sir যে আপনি তাকে পছন্দ ও ভালোবাসেন আর আপনি তাকে ভালো রাখতে পারবেন তাই আমি আপনাকে একটু হেল্প করলাম। কোন বোন চাইনা যে তার কেউ খারাপ পথে যাক। আপনি যেহেতু ভালো তাই আপনার হাতে আমার বোনকে তুলে দিতে সমস্যা নেই।
কাব্যঃ হুম বুঝেছি। আচ্ছা এখন আমি আসি বাইরে একটা কাজ আছে* আবির তুই থাক।
আবিরঃ হুম আমি সব ঠিক করে নিচ্ছি তুই যা।
**
আবির ও তাহিয়া দুজনে মিলে গল্প করতে লাগল আর কাব্য বাইরে গাড়ি নিয়ে চলে গেলো।
.
.
#_____________চলবে________________
।
।
#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।
।
।
।
#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।