Lovable part : 7
writer : kabbo mahmud
প্রকৃৃৃৃতির এক শূন্য জাইগাতে তানিশা তার এক পাশে দাঁড়িয়ে প্রকৃতি দেখছে। বাতাসে তার চুলগুলো বারবার মুখে চলে আসছে কিন্ত আবার সেটা ঠিক করে নিচ্ছে। সাদা পোশাকে তাকে খুব মায়াবী লাগে। যেনো কোন এক সপ্নের পরী * আর দুষ্টুমিতে সম্পন্ন চাহনি তার।মনে হাজারো কথার আনাগোনা কিন্ত সেগুলো অপেক্ষার মানুষটিকে বলার অপেক্ষা।
কিছুক্ষণপর একটি গাড়ি এসে থামল। যেটাতে আর কেউ নয় কাব্য আছে। গাড়ী থেকে বের হয়ে লক্ষ্য করে তানিশা দাঁড়িয়ে আছে। চোখের সানগ্লাসটি খুলে সেখানে থেকে আসতে লাগল।
তারপর তানিশার পাশে এসে দাঁড়াই।
****
***
দুজনেই নীরবতা “কোন কথা নেই তাদের মাঝে সামনের দিকে চেয়ে চেয়ে কী জেনো দেখে দুজনে।
কিন্ত নীরবতা ক্ষণিকের।
★★
তানিশাঃ I am sorry আসলে আমি ঠিক বুঝতে পারিনি। গতকাল আনন্দের মাঝে কী থেকে কী করে ফেললাম এর জন্য আমি দুঃখিত। প্লিজ কিছু মনে করবেন না আসলে আমি আনন্দের মাঝে থাকলে কিছু হুশ থাকে না কি করতে কি করে ফেলি ঠিক নেই। জানিনা আপনি কী মনে করলেন! আসলেই তো ওখানে অনেক মানুষ ছিলো আমার ওমন করাতে আপনার কতো ক্ষতি হলো। কিছু মনে করবেনা প্লিজ
*তানিশার কথাগুলো সব কাব্যর মাথার উপর দিয়ে গেলো মনে হচ্ছে। তানিশা একদমে বকবক করেই যাচ্ছে আর কাব্য অবাক চাহনিতে তাকিয়ে দেখিছে।
তানিশাঃ কি হলো আপনার?
কাব্যঃ নাহ্ কিছুনা। আর হ্যা আমি কিছু মনে করিনি।
তানিশাঃ সত্যি????(আনন্দে লাফিয়ে উঠে)
কাব্যঃ হুম।
তানিশাঃ thank you……
কাব্যঃ ওখানে খারাপ বলে কিছু হয়নি ওটা স্বাভাবিকই ধরতে পারো।
তানিশাঃ না তাও মানে কে কি mind এ নেই বোঝা মুশকিল।
কাব্যঃ আমি সবসময় positive টাই নিই।
তানিশাঃ আপনি খুব ভালো ।
কাব্যঃ ওতোটা ভেবো না।
তানিশাঃ যা সত্য তাই বললাম।
কাব্যঃ ok…….
*তারপর আর কোন কথা নেই। দুজনে নীরব। ***
কাব্যঃ তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
তানিশাঃ সবাই বলে।
কাব্যঃ ওহ্ ভালো তো।!!!
তানিশাঃ আচ্ছা ভালোবাসাটি কি খুব ভালো??
কাব্যঃ কী ভাবে বোঝাই??
তানিশাঃ যেভাবে ইচ্ছে।
কাব্যঃ ভালোবাসা হচ্ছে পাশের খালি ঘর পূরণ করা। জীবনে তো কাউকে লাইফ পার্টনার হিসেবে দরকার তাইনা?? তার জন্য যাকে দরকার তার বিষয়ে জেনে নিতে হবে। কেমন সে, কি করে ইত্যাদি তাই এসব কিছু জানতে হলে একে-অপরের মনের মিল দরকার আর এই মিল করতে যেয়েই ভালোবাসাটি হয়ে যাই। যেমন আমার হয়েছে* আমি দেখতে চেয়েছিলাম সে কেমন কিন্ত সেটা জানতে যেয়েই যে কী যেনো হয়ে গেলো। ভালোবেসে ফেলেছি তাকে।
তানিশাঃ খুব???
কাব্যঃ জানিনা তবে প্রতিটা মূহুর্ত যেনো তাকেই ভাবতে হচ্ছে।
তানিশাঃ আমি জানি আপনি আমাই ভালোবাসেন।
কাব্যঃ কীভাবে?
* নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা *
তানিশাঃ আমার আপু বলেছে কিন্ত..
কাব্যঃ কী?
তানিশাঃ আমি আপনাকে ভালোবাসতে পারবোনা। আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।
*তানিশার কাছে থেকে কাব্য এই কথাটি আশা করেছিলো না। নিমিষেই তার মুখটির উজ্জ্বলতা ভাব কেটে গেলো। তবুও তাকে এর শেষ দেখতে হবে। কেননা কাব্য এতোটা দুর্বল নয়।
কাব্যঃ কে সে???
তানিশাঃ মাহিম।
কাব্যঃ মেয়ে নাকি ছেলে?
তানিশাঃ ছেলে (রাগী ভাব নিয়ে)
কাব্যঃ ওহ আচ্ছা শুভ কামনা রইলো আসি।
*কাব্য সেখানে আর একটি মূহুর্ত অপেক্ষা করতে পারলোনা। সোজা পেছনে ঘুরে চলে আসতে লাগলো কেননা তানিশার কথাগুলো শোনা মাত্রই কাব্য আর নিজেকে শক্ত করে রাখতে পারে না। তাই পেছনে ঘুরতে চোখ দিয়ে দুই ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। কিন্ত সেটা হাত দিয়ে মুছে দেওয়ার কারণে তানিশার চোখ আর এড়াতে পারেনি।
***
গাড়িতে উঠে বসে ড্রাইভ করছে। কিন্ত স্থির না* এমনিতেই কাব্য দ্রুত গাড়ি চালাই কিন্ত আজ যেনো কোন হুস নেই। সম্পন্ন স্পিডে চালাচ্ছে।
***
কাব্যঃ বাহ্ কতো ভালোবাসা উনার। আমি জেনো পারিনা ভালোবাসতে। এতোদিন তো বলল না যে আমি একজনকে ভালবাসি। যখনিই ভালোবাসার ফুল ফুটিয়ে দিলাম ওমনি অন্যজন এর কাছে চলে গেলো। কিন্ত সে আবার কে? আর কীভাবেই কি হলো??
::::::::::::::::
সব প্রশ্নের উত্তর নীলা জানে। ওর কাছে:::: ও তো কলেজে গেছে মনে হয়।
(কিছুক্ষণ পরেই কাব্য বাসাই চলে আসলো। তারপর রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে সুয়ে পড়ে।)
সারাদিন এভাবেই পার হয়ে যাই। সন্ধ্যা নেমে আসে। তানিশাও সেখানে থেকে অবুঝের মতো চলে এসে চুপচাপ রুমে বসে থাকে। কিছুই বুঝে উঠতে পারেনা সে।
।
কিছুক্ষণ পর কাব্যর বাবা কাব্যর রুমে প্রবেশ করে।
বাবাঃ কী ব্যাপার কাব্য এভাবে সারাদিন রুমে কেন?
কাব্যঃ(বাবা উপস্থিতিতে উঠে বসে) না মানে আসলে বাবা তেমন কোন কাজ নেই তো তাই।
বাবাঃ কাব্য মাহমুদ এর কাজ নেই?? বাহ্ ভালো লাগলো শুনে।
তা মন খারাপ কেন?
কাব্যঃ মন খারাপপ হতে যাবে কেন?
বাবাঃ বাবা-মায়ের চোখ ফাকি দিতে পারবে না।
কাব্যঃ মন খারাপ কেন হবে বাবা(হেসে দিয়ে) আসলে এভাবে থাকতে ভালো লাগছেনা। আর অফিসেও যাওয়া হলো না আর আবির ও এখনো আসলো না তাই একা একা আর কি।
বাবাঃ আচ্ছা বুঝলাম। আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসি? এইমাত্র আসলাম তোমাই অফিসে যেতে না দেখে কেমন লাগলো তাই রুমে আসলাম।
কাব্যঃ oh, আচ্ছা যাও ফ্রেশ হয়ে এসো। আর হ্যা বাবা নীলাকে একটু বলো তো আমার রুমে আসতে।
বাবাঃ কেন? কী দরকার?
কাব্যঃ কিছু কথা আছে।
বাবাঃ আচ্ছা ঠিক আছে.।
কাব্যঃ তোমার ভালোবাসা হওয়াচ্ছি wait miss…
:::::::::::
নীলাঃ ভাইয়া ডেকেছিস???
কাব্যঃ হুম।
নীলাঃ বল কী দরকার??(পাশে বসে)
কাব্যঃ তানিশার ব্যাপারে কিছু কথা বলতে চাই।
নীলাঃ হ্যা বল।
কাব্যঃ আচ্ছা মাহিম নামে কাউকে জানিস? মানে ওই নামে কী কেউ তানিশাকে প্রপোজ করেছিল??
নীলাঃ ওই এলিয়েন কে তো সবাই প্রপোজ করে তার মধ্যে মাহিম কে কীভাবে জানব?
কাব্যঃ জানিস না??
নীলাঃ না::::
কাব্যঃ আচ্ছা তোদের কলেজে ওই নামে কেউ আছে??
নীলাঃ উমম হ্যা একজন আছে কিন্ত ও তো জুনিয়র ১ব্যাচ। আর ওর সাথে সম্ভব না একদম গাধা আর তানিশা ও কে মনে হয় চেনেই না।
কাব্যঃ oh..তাহলে বাইরের কেউ??
নীলাঃ না ভাইয়া কিন্ত এসব কেন জিজ্ঞেস করছিস?
* নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা *
কাব্যঃ তানিশা আমাই বলেছে ও মাহিম নামে কাউকে ভালোবাসে।
নীলাঃ কী?????????সত্যি বলেছে??
কাব্যঃ হুম।
নীলাঃ ও কাউকে ভালোবাসবে??? অসম্ভব হয়তো তোকে মিথ্যা বলেছে।
কাব্যঃ কী? আচ্ছা ও কে কি কেউ আনন্দিত করাতো??
নীলাঃ না। আমরা যেহেতু সবসময় একসাথে থাকি তাই ওর বিষয়ে সবকিছু আমি জানি। আর এটা সত্য ও অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারে না।
কাব্যঃ আচ্ছা ঠিক আছে তুই এখন যা।
*নীলা আর কিছু না বলে সেখানে থেকে চলে গেলো আর কাব্য আবার ভাবনাই মগ্ন।
কাব্যঃ তাহলে তানিশা এমনটা কেন বলল? ওর কী তাহলে রিলেশন এর প্রতি কোন ইচ্ছা নেই? নাকি অন্য কিছু। আমাকে তো তাহলে সব জানতেই হচ্ছে।
।।
।।
তাহিয়াঃ ওই তোর কী হয়েছে রে? অফিস থেকে এসে শুনলাম সারাদিন নাকি এভাবেই সুয়ে আছিস। কলেজেও তো যাসনি।
তানিশাঃ না এমনিই শুয়ে আছি। কিছু ভালো লাগছেনা আপু এখন যাও তুমি এখানে থেকে (নরম স্বরে)
তাহিয়াঃ এটা বললে তো চলবে না। উত্তর চাই মন খারাপপ কেন? কোন সমস্যা???
তানিশাঃ না। তুমি যাও এখান থেকে।
তাহিয়াঃ( তানিশার পাশে বসে) শরীর খারাপ??
তানিশাঃ বলছি তো না।
তাহিয়াঃ শোন তোর সবকিছু মেনে নেবো শুধু চুপ থাকা বাদে। বল কেন এমন করে আছিস?
তানিশাঃ বলব???
তাহিয়াঃ হুম হুম।
তানিশাঃ আজ গোমড়া মুখোকে বলেছি আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।
তাহিয়াঃ (তানিশার এমন কথা শুনে অবাক) গোমড়া মুখো মানে? কে? আর কাকে ভালোবাসিস?
তানিশাঃ ওই যে গোমড়া মুখো চেনোনা??? কাব্য উনাকে বলেছি আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।
তাহিয়াঃ কাকে?
তানিশাঃ মাহিম নাম।
তাহিয়াঃ তাই? কী করে??
তানিশাঃ আমি কীভাবে বলব কি করে
তাহিয়াঃ মানে!!!!
তানিশাঃ মানে হলো আমি গোমড়া মুখোককে একটু রাগাতে চেয়েছিলাম কিন্ত উনি হুহ মেয়েদের থেকেও মেয়ে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো(মুখ কালো করে)
তাহিয়াঃ সত্যিই এটা করেছিস?
তানিশাঃ হুম। কেন ?
তাহিয়াঃ জানিনা তবে মনে হয় কাব্য ভাইয়া এসব জানতে পেলে তোর কপালে দুঃখ আছে।
তানিশাঃ ডেভিল তো ডেভিলি হয় তাইনা? তবে আমার তো মনে হয় ভিতুরডিম।
তাহিয়াঃ হা হা হা অফিসে যেয়ে দেখিস কেমন। একটা বকা দিলেই অজ্ঞান হয়ে যাবি। খুব বদমেজাজি।
তানিশাঃ তাতে আমার কী? আমার কিছু আসে যাই না।
তাহিয়াঃ আচ্ছা মানলাম। তাহলে এখন কী করবি? ভালোবাসিস উনাকে?
তানিশাঃ আচ্ছা তুমি কেন উনার সাপোর্ট নিচ্ছ? মতলব কী??
তাহিয়াঃ আ…আমি???? জানিনা তবে মনে হয় তোদের দুজনের জুটি মিলবে ভালো।
তানিশাঃ হুহ পচা পিয়াজ এর আবার পছন্দ
তাহিয়াঃ আবার?
তানিশাঃ কি?
তাহিয়াঃ ছোট থাকতে খুব পচিয়েছিস এখন আর না।
তানিশাঃ হা হা পচা পিয়াজ ।
তাহিয়াঃ ।
তানিশাঃ আচ্ছা ঠিক আছে। আচ্ছা আপু উনি আমার পেছনে কেন পড়লো?
তাহিয়াঃ আমাই কী বলছিস? তোর ফোনকে জিগা।
তানিশাঃ হুম যতো নষ্টের মূল। কিন্ত ফোনের দোষ নেই মেরে পিয়ারী ফোন উম্মম্নম্নম্মম্মমাহহহ। জানো কতো সুন্দির সেল্ফি উঠে??
তাহিয়াঃ জানার দরকার নেই।
তানিশাঃ তুমি কী বুঝবে আদিম যুগের পঁচা পেয়াজ।
তাহিয়াঃ ওর সাথে রিলেশন করবিনা তাহলে ওর ফোন কেন নিয়েছিস?
* নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা *
তানিশাঃ ও দিলো কেন? দিয়েছে তাই নিয়েছি।
তাহিয়াঃ আচ্ছা আপনার ইজ্জা ।
তানিশাঃ একটা উপাই খুজে পেয়েছে।
তাহিয়াঃ কী?
তানিশাঃ তোর আর আমার এক সাথে থাকার উপাই।
তাহিয়াঃ তাই নাকি? বলো বলো””
তানিশাঃ ভেবেছি যে কাব্য ভাইয়াকে বলেই দিই রিলেশন করব। তারপর বিয়ে হবে। তারপর তোমারো হবে। তারপর দুই বোন এক জায়গাতে ভেবে দেখো???
তাহিয়াঃ বাহ আমার বুদ্ধি তোর কাছে(মনে মনে)
তানিশাঃ কী হলো???
তাহিয়াঃ হুম এতোদিনে তোর বুদ্ধি হলো।
তানিশাঃ এতোদিন ছিলোনা?
তাহিয়াঃ হুম ছিলোতো। কিন্ত ডিজিটাল।
তানিশাঃ হুহ ইচ্ছে করছে তোমার চৈত্র মাসের আলু দিয়ে আলুর দম আর পরটা বানিয়ে খায়।
তাহিয়াঃ হা হা হা ওসব কোথাই পেলি??
তানিশাঃ তোর মতো বান্দর না। এসব এর জন্য আলাদা বুদ্ধি দরকার।
তাহিয়াঃ যেটা আমার বোনের মধ্যে আছে।
তানিশাঃ থাক আর হাসতে হবেনা দাতে তেলাপোকা বসবে।
তাহিয়াঃ চুপ। চল খেতে চল তোর জন্য আমাদের খাওয়া হয়নি। বাবা এসেছে এখনো এসব জানেনা।
তানিশাঃ হুম চলো। (উঠে দাঁড়িয়ে) ভাবছি আগামীকাল গোমড়া মুখোকে পটাবো। তা না হলে আমাই পটলের সাথে কিমা বানাবা
।
তাহিয়াঃ হা হা বোঝ এবার কতো ধানে কতো চাল।
তানিশাঃ এখানে আবার ধান চাল কীভাবে আসলো?
তাহিয়াঃ গাধী এটা কথার কথা।
তানিশাঃ আচ্ছা চলো।
**তারপর তানিশা ও তার পরিবার মিলে বিভিন্ন বিনোদন এর মাঝে দিয়ে খাওয়া শেষ করে এবং তানিশা রুমে চলে আসে।
আর কাব্যদের পরিবারে অনেক আগেই ডিনার করে নিজ নিজ কক্ষে চলে যাই।
***
কাব্য সুয়ে সুয়ে অনেকদিন পর আজ ফেসবুক এ ঢুকেছে। last কবে এসেছিলো তার মনে নেই। অনলাইনে থাকে কিন্ত কাজের জন্য এর বেশি কিছুনা। ফোনটি নিয়ে কোন কিছু করার নেই বলে news feeds দেখছে। এমন সময় একটি ম্যাসেজ আসে তার ফোনে। নাম্বারটি অচেনা আর কেউ না তানিশাই।
কাব্যঃ তানিশা ম্যাজেজ করেছে “sorry” কেন??(বেশ অবাক হয়ে) sorry কেন??
*কিছুক্ষণ পর রিপ্লাই আসে।
তানিশাঃ এমনি কিছুনা।
**এবার তো কাব্যর মেজাজ আরো খারাপ হয়ে যাই। sorry বলা ছাড়া যেনো আর কোন কাজ নেই।
কাব্যঃ আবার কী ভুল করেছো যে sorry বললে??
তানিশাঃ জানিনা তবে।
কাব্যঃ কী???
তানিশাঃ I love you গোমড়া মুখো আপনাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি।
*এমন ম্যাসেজ দেখে কাব্য ৪৪০ ভোল্টেজ এর শক্ খেয়ে বসে। সে মোটেও এমন কথা তানিশা বলবে ভেবে দেখেনি। আর এদিকে তানিশা লজ্জাই বেচারী কী করবে ভেবে পাচ্ছেনা। মোবাইল টেবিলের উপরে রেখে দিয়ে মুখটি বালিশের সাথে লুকুয়ে পড়ে।
আর কাব্য কিছু বলতে পারছেনা একদম মোবাইল এর দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।
কাব্যঃ এটা তানিশা করেছে নাকি অন্য কেউ? কোন কাছের কোন বাচ্চারা এসেছে হয়তো মনে হয় তাদের বাসা থেকে। এমনটাই হবে।
তাছাড়া আবার কে করবে? ও তো বলেছেই রিলেশন করে কিন্ত নীলা বলল না। এটার প্রমাণ তানিশাই জানে।
সব চিন্তা ভাবনা মুছে ফেলে কাব্য ঘুমের জগৎ এ চলে যাই।
.
.
#_____________চলবে________________
।
।
#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।
।
।
।
#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।