#এক_তুমিতে_আসক্ত
#পার্টঃ১৬,১৭
#Writer:#মারশিয়া_জাহান_মেঘ
পার্টঃ১৬
১১১.
ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে তাইফা। সে এসেতো পড়লো কিন্তু যাবেটা কোথায়? গাড়িতে মানুষগুলোকে মিথ্যে না বলেওতো উপায় পায়নি সে। হঠাৎ তাইফা মনে মনে ভাবলো,”আসলেইতো কয়েকটাদিন বান্ধবীর বাসায় থাকলেতো আর মন্দ হয়না। এমনিতেওতো রিমি আমাকে প্রায়শই আসতে বলে তাদের বাসায়। কিন্তু কখনো আসা হয়নি” এইসব ভাবতেই তাইফা ব্যাগ থেকে ফোনটা বের করে কল লাগায় রিমিকে।
১১২.
প্রান্তিক বাসায় ফিরতেই শার্টের বোতাম দুইটা খুলে কলারটা পিছে নিয়ে সোফায় বসে পড়ে। অতিরিক্ত উত্তাপের ফলে চেহারায় লাল আভা। প্রিয়ন্তির একদম ভালো লাগছেনা তাই সে নিজের রুমে চলে গিয়েছে। অর্ষাদেরকে দেখতেই মনিশা চৌধুরী এসে ঝাপটে ধরে তাকে। অর্ষা হেসে বলে,”কেমন আছো খালামনি?
“হুম মা ভালো আছি তোরা সবাই ভালো আছিসতো?
” হুম৷ এই নাও আম্মা তোমাদের জন্য পিঠা মাছ দিয়ে দিয়েছে।
“ওমা সেকি..দে এইগুলো খুলে রাখতে হবে যে রকম নষ্ট হয়ে যাবেতো। যা ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নে৷ অর্ষাও চলে গেলো উপরে। অর্ষা চলে যেতেই মনিশা চৌধুরী প্রান্তিক কে বললো,” সব কিছু ঠিক আছেতো প্রান্তিক?
“হুম আম্মু ঠিক আছে। আমার রুমে এক কাপ কফি পাঠিয়ে দিওতো মাথাটা একটু ধরেছে। এইটা বলেই প্রান্তিক পা বাড়াচ্ছিলো উপরে হঠাৎ মনিশা বেগম চিৎকার দিয়ে বলেন..প্রান্তিককককককক।
১১৩.
তাইফাকে জড়িয়ে ধরে বেশ উৎফুল্লতার সাথে রিমি বলে উঠলো,” আ’ম সারপ্রাইজড তাইফা। এতো করে বললেও এতোদিন তুই আসবো আসবো বলে কাটিয়ে দিলি আজ ফাইনালি মহারাণীর পায়ের ধূলো পাবে এই অভাগার ঘর। তাইফা গম্ভীরর্য নিয়ে বললো,”ওফ তাইফা এইসব নিয়েই পরে থাকবি? আর তোর আসতে এতে লেইট হলো কেনো বলতো? রিমি ঠোঁট উল্টিয়ে বললো,”সে কি আর সাধে? পড়াশোনা শেষ করে কতো রাতে ঘুমায়। তাইফা রসিকতার সুরে বললো,”পড়াশোনা নাকি মোবাইল তা আমি ভালোই জানি। হঠাৎ রিমি আৎকে উঠে বললো,”এই তাফু তোর পায়ে কি হয়েছে?
“সামান্য এক্সসিডেন্ট এখন কিছুটা ঠিক আছে। আগে বাসায় নিয়ে চল তারপর না হয় সব খুলে বলবো?
” হুম হুম চল।
১১৪.
এখন তার মাকে কিভাবে সামলাবে সে তা বুঝতেই পারছেনা প্রান্তিক।
“কিরে বল..আভেশ কোথায়? প্রান্তিক এইবার মনে মনে ভাবলো না আম্মুকে সত্যিটা বললে কষ্ট পাবে আর তাছাড়া আব্বুকে বললে আব্বুও চিৎকার চেঁচামেচি করবে। তাই অনেক্ষন ভেবে প্রান্তিক বললো,” আসলে আম্মু আভেশ কিছুদিন শৈবালদের বাসায় থাকবে। শৈবাল জোর করে আসার পথে নিয়ে নিয়েছে। মনিশা চৌধুরী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললেন,”ওহ তাই বল আমিওতো বলি আভেশ কোথায়। আচ্ছা যা রুমে যা আমি কফি নিয়ে আসছি। প্রান্তিক আচ্ছা বলে তড়িঘড়ি করে পা বাড়ালো সিঁড়িতে।
১১৫.
রিমিদের বাসায় আসতেই রিমির মায়ের সাথে কথাবার্তা বলে রিমির রুমে এসে হোট করে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় তাইফা৷ রিমি ক্লান্ত নিশ্বাস নিয়ে বিছানায় বসে বললো,”যা তাড়াতাড়ি গোসল করে নে যা গরম আল্লাহ।
“ঠিক বলেছিস। গোসল করতে হবে নয়তো যা গরম ওফ!। তাইফা ব্যাগ থেকে এক সেট খয়েরী থ্রিপীছ বের করে নেয়। রিমি হাত দিয়ে দেখিয়ে বললো,” ওইযে ওয়াশরুম। তুই গোসল করে নে আমি আম্মুকে খাবার রেডি করতে বলছি।
“আচ্ছা”। রিমি যেতেই তাইফা রুমটাকে একটু গুটিয়ে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো।
১১৬.
” হুনুইন [শুনেন ] চেয়ারম্যান সাহেব। আইজকা কোনো ঝগড়া করবার লাই আহিনাই আইজকা মিলন ঘডাইবার [ ঘটানোর] লাই আইছি” আমির মিয়ার সাথে আমির মিয়ার চামচা মইয়ান হাতে ৩ হাড়ি মিষ্টি নিয়ে দাঁত কেলিয়ে কেলিয়ে হেসে বললো,”হ সরদার সাহেব মালিক ঠিক কইছে। নাফিস সরদার বেশ বুঝতে পারছেন যে আমির মিয়া নিশ্চয় কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এইখানে এসেছে। তাই কোনো কথা নদ বাড়িয়ে গম্ভীর কন্ঠে বললো,” আমির মিয়া তুমি এহানো আইছো ক্যান? আমির মিয়া দাঁত কেলিসে হেসে মইয়ানরে ইশারা করে রাহেলা বানুকে বললো,”ভাবী মিষ্টিটা আগে ধরুইন। রাহেলা বানু নাফিস সরদারের দিকে এক পলক তাকালেন। নাফিস সরদার গম্ভীর কন্ঠে বললো,”রাহেলা ঘরো যাও মাইয়া কানঁতাছে। মুহুর্তেই আমির মিয়ার মুখ কালো হয়লেও তা প্রকাশ না করে বললো,”চেয়ারম্যান সাহেব আমি একখান প্রস্তাব লইয়া আইছি”
“কি প্রস্তাব?
” আমার পোলার লগে আমনের মাইয়ার.. আর কিছু বলতে পারলোনা আমির মিয়া। এর আগেই নাফিস সরদার সজোরে এক থাপ্পড় মারে আমির মিয়ার গালে। নাফিস সরদার ক্ষিপ্ত কন্ঠে বললো,”তোমার সাহস কেমনে হয় আমার মাইয়ার লগে বিয়া দিবার চাও? তোমার পোলা একটা আইজ ১৮ বছর ছেলে থাইকাও তোমাগো শিক্ষা হইবার পারেনাই? আর একবার আমার মাইয়ার লাইগা আইলে তোমাগোরে গ্রাম ছাইড়া দিবার আদেশ দিমু বুঝবার পারছো? আমির মিয়া গালে এক হাত দিয়ে রাগ নিয়ে নাফিস সরদারের দিকে তাকিয়ে বললো,”কামডা তুমি ঠিক করেনাই চেয়ারম্যান” কামডা তুমি ঠিক করোনাই..চল মইয়ান..এরপর আমির মিয়া রেগে চলে গেলো। নাফিস মিয়ার শরীর এখনো রাগে কাঁপছে।
১১৭.
অর্ষার ফোনটা বেজে উঠতেই সে হাতে নিলো। আননোন নাম্বার দেখে ক্ষানিকটা অবাক ওই হলো কারণ তার এই সিমটা নতুন। প্রান্তিক তুলে দিয়েছে। এমনকি ফোনটাও প্রান্তিকের দেওয়া৷ অর্ষা ফোনটা ধরতেই অপর পাশ থেকে বেশ রাগী সুরে প্রান্তিক বললো,”এতোক্ষণ লাগে কল ধরেতে? অর্ষা আমতা আমতা করে বলে,”আজব আননোন নাম্বার তাইতো ধরছিলাম না। প্রান্তিক দাঁত কটমট করে বললো,”তাড়াতাড়ি আমার রুমে এসো। অর্ষা অবাক হয়ে বললো,”আরে কেনো? এইমাত্রতো বাসায় ফিরলাম একটু রেস্ট নিবোনা? প্রান্তিকের এইদিকে হাসি পাচ্ছে কিন্তু হাসিটা কোনোরকমে চেপে বলে,”রেস্ট নেওয়ার কি আছে? ভ্রমণ করেছো কাজতো করনি। প্রান্তিকের কথা শুনে অর্ষার বেজায় রাগ উঠছে আজব লোকতো ভ্রমণ করলে কি ক্লান্ত দেহে রেস্ট নিলে অপরাধ হয়ে যাবে! অপরপাশ থেকে প্রান্তিক বললো,”এতো ভেবে কাজ নেই তাড়াতাড়ি আসো..এইটা বলেই প্রান্তিক কল রেখে দেয়। কল কেটে মুখ টিপে হাসছে সে। আসলেই অর্ষাকে চমকাতে তার ভীষণ ভালো লাগে।
১১৮.
ওয়াশরুম থেকে বেরুতেই তাইফার ফোন বেজে উঠে। ফোনটা হাতে নিয়ে একটু মুচকি হেসে কলটা ধরে বললো,”হুম মামনি বলো”
সাহেরা বেগমঃ কি করছিস মা? খেয়েছিস?
তাইফাঃ না মামনি খাইনি এইতে খাবো বলে। আর আমি এইমাত্রই গোসল করলাম। তুমি খেয়েছো? কি করো? মেডিসিন নিয়েছো?
সাহেরা বেগমঃ হুম মা সব করেছি। তোর জন্য মনটা খারাপ লাগছে।
তাইফাঃ খুব তাড়াতাড়ি আমি ফিরবো মামনি। তুমি সাবধানে থেকো। রাখি…কলটা কেটেই একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে তাইফা। এর মধ্যেই রিমির ডাক আসলো,”তাইফা খেতে আয়”।
১১৯.
অর্ষা প্রান্তিকের মাথা টিপে দিচ্ছে। মহাশয়ের নাকি মাথা পেইন করছে৷ অর্ষা মনে মনে রেগে বলছে,”আজব নিজের কেনো ডং করতে হয়? আর আমরা রেস্ট নিলেই প্রবলেম। প্রান্তিক অর্ষার দিকে তাকিয়ে আবার চোখ বুঝে বললো,”এতো কম খাও? যে সুন্দর ভাবে মাথা টিপতেও পারোনা। অর্ষা রাগে কটমট করে বলে,”আজব মাথা টিপলেও জ্বালা আর রেস্ট নিলেও ওফ। এইবার প্রান্তিক মুখ টিপে হাসি না সামলাতে পেরে ফিক করে হেসে দেয়।
চলবে…..
#এক_তুমিতে_আসক্ত
#পার্টঃ১৭
#Writer:#মারশিয়া_জাহান_মেঘ
১২০.
অর্ষা এইবার রাগ নিয়ে বললো,”আপনার কি এখনো মাথা পেইন কমেনি? প্রান্তিক চোখ বন্ধ করে জবাবে বলে,’এতো অল্পতে বিরক্ত হয়ে গেলে হবে নন্দীনি এখনোতো পুরো জীবনটাই বাকি” প্রান্তিকের কথার পূর্ণ অর্থ বুঝতে পারেনি অর্ষা তবে প্রান্তিকের মুখে নন্দীনি ডাকটা বেশ কৌতুহল সৃষ্টি করেছে তার মনে। প্রান্তিক চোখ খুলে দেখে অর্ষা গভীর ভাবনায় মগ্ন। প্রান্তিক অর্ষার হাত ধরে টেনে বিছানায় বসায়। নিজেও একটু নড়াচড়া করে বসে। অর্ষা বললো,”কি হলো মাথা পেইন শেষ? তাহলে আমি যাই” অর্ষা উঠে যেতে চাইলেই প্রান্তিক অর্ষার হাত ধরে ফেলে। অর্ষা প্রশ্নান্তর দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে। প্রান্তিক আবার অর্ষাকে তার সামনাসামনি বসিয়ে বললো,”তোমাকে আমি যেতে বলেছি?
“না মানে..
” অর্ষা ধরো তোমাকে কেউ ছোট থেকেই ভালোবাসে৷ মনে করো তোমাদের বিয়েও হয়ে গেছে কিন্তু তুমি জানোনা। বড় হয়ে তুমি জানলে তোমার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? অর্ষা প্রান্তিকের মুখে এমন অদ্ভুত প্রশ্ন শুনে বেশ অবাক হলো। অর্ষা বুঝতে পারছেনা সে কি উত্তর দিবে। অর্ষার ভাবনার মাঝে প্রান্তিক আবার বলে,”কি হলো অর্ষা বলো”। অর্ষা এইবার জ্বিব দিয়ে ঠোঁট টা ভিজিয়ে নিয়ে বললো,”জানিনা কি হবে তবে ছোট সময় একটা মেয়ে বা একটা ছেলে কিইবা বুঝে? বড় হয়ে তাদের মতামত চেঞ্জ হতেই পারে। আর এখন কি ওইদিন আছে নাকি? যে এমন হবে আপনিওনা….আজব। প্রান্তিক অর্ষার চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে,”যে ভয়টা পাচ্ছিলাম সেইটাই হচ্ছে।
১২১.
সাহেরা বেগমের ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। মেয়েকে ছাড়া থাকতে। একমাত্র বেঁচে সম্বল তাইফা৷ সাহেরা বেগম আলমারি থেকে এলবামটা বের করে লুকিয়ে রাখা একটা ছোট ছেলে বাচ্চার ছবি বের করলো। মুহুর্তেই সাহেরা বেগমের চোখের পানি চকচক করে উঠলো। কারণ ছবিটা আর অন্য কারোর নয় তার নিজের ছেলের। এখনো কাঁদায় তাকে সেই বৃষ্টি ভেজা রাতে হসপিটালে তার ছেলে বেডে নেই এই খবরটা”। সাহেরা বেগম দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ভাবলেন,”কি জানি আমার ছেলেটা কোথায় আছে কেমন আছে.
১২২.
তাইফা টেবিলে বসতেই রিমির মা যেনো কেমন একটা চাহনি দিলো। তাইফা বেশ বুঝতে পারছে তাইফার এইখানে আসাটা রিমির মায়ের ঠিক ভালো লাগেনি। তাইফা খেয়ে দেয়ে রুমে এসে রিমিকে বলশলো,”রিমি এইখানের ভার্সিটির হোস্টেল আছে?
“না কেনো বলতো?
” না আসলে আমি উঠার জন্য”
“তুই আমার বাড়ি থাকতে হোস্টেলে কেনো উঠবি?
” তোর বাড়ি একদিন থাকবো দুইদিন থাকবো কিন্তু সবসময়তো থাকা সম্ভব নয়।
“কিন্তু..
” না রিমি কোনো কিন্তু নেই। চল একটা বাসা খুঁজি।
“এই শহরে একা একটা মেয়েকে কে ভাড়া দিবে?
” সেইটাই ভাবছি। কিন্তু খুঁজতেতো কোনো প্রবলেম নেই।
“হুম চল তবে।
১২৩.
প্রিয়ন্তি আর অর্ষা বসে আছে স্টাডি রুমে। প্রান্তিক তাদের একদম সামনে। প্রান্তিক রাগীভাবে তাকিয়ে প্রিয়ন্তি আর অর্ষাকে বললো,” তোরা একটা অংকও করিসনি? রেজাল্ট কি আনবি তোরা? আর অর্ষা..তোমাকেতো আমিইই..
“আরে ভাইয়া আগে কথাটাতো শুনুন। অংক করার সুযোগটা কোথায়? গ্রামে গিয়েছিলাম তো। অর্ষার সাথে প্রিয়ন্তিও বললো,” হুম হুম তাইতো।
“ওহ তাইতো তাইনা? অংকটা আমি সেনাই ঝুঁড়িতে যাওয়ার আগে করিয়েছি। এক্ষুনি অংকটা করে দে। প্রান্তিকের কথায় প্রিয়ন্তি আর অর্ষা একে অপরের দিকে ঘাবরে তাকায়। প্রান্তিক আড়ঁচোখে ওদের দিকে তাকিয়ে বললো,” প্রিয়ন্তি আর অর্ষা চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াও।
“ক ক্ কেনো ভাইয়া?
” অর্ষা…
“ওফ দাঁড়াচ্ছিতো।
” কানে ধরে এক পা উঠিয়ে দাঁড়াও।
“কিই!
” বুঝেছি কানের ট্রিটমেন্ট করাতে হবে। অর্ষা প্রান্তিকের এমন কথা শুনে থতমত খেয়ে যায়। প্রিয়ন্তি কাঁদো কাঁদো ফেইস নিয়ে বলে,”ভাইয়া প্লিজ আজকে আমাকে ছেড়ে দাও কাল থেকে সবসময় অংক করবো সত্যি”
“তাতো হচ্ছেনা প্রিয় তোরা দুজন দাঁড়িয়ে থাক আমি গোসল সেরে আসছি। ওয়াশরমে গেলেও আমার চোখ এড়াতে পারবিনা কিন্তু সো…. এইটা বলে প্রান্তিক অর্ষার দিকে বাঁকা হেসে চলে গেলো।
১২৩.
” অনেকতো ঘুরলাম বাসাতো পেলাম না কি হবে এইবার তাফু?
“এই বাড়িটাতে ভাড়া না পেলে অন্য ব্যবস্থা করতে হবে।
” কি ব্যবস্থা করবি?”
“আগে দেখি পরে বলবো চল”
“চাচা…এইখানে ভাড়া দেওয়া হবে?
” হুম হবে কিন্তু ব্যাচলর না।
“চাচা একটু দেখেন না প্লিজ।
” আচ্ছা দাঁড়াও একটু আমি বড় মেডামরে কইয়া আসি”। রিমি একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিলো। যাইহোক যোগাযোগ তো হবে বাড়ির মালিকের সাথে। বুঝিয়ে বললে হয়তো বুঝবেন। এইসব ভাবতেই দারোয়ানের ডাক এলো ভেতরে যেতে।
১২৪.
“প্রিয় তুই যা। প্রান্তিকের কথায় প্রিয়ন্তির খুশি আর ধরে রাখে কে৷ সে রুম থেকে চলে গেলো। অর্ষা মনে মনে শুধু ভাবছে” একবার শুধু আমি রেহায় পাই তোকে আমি দেখে নিবো প্রিয়”।
“এইখানে আসো।
” ক্ কেনো ভাইয়া?
“আমার টিশার্ট চুজ করে দাও”
“কিই! আমি?
” হুম তুমি” কোনটা পড়বো?
“এইটা পড়েন ভাইয়া আপনাকে মানাবে বেশ”।
” ব্লু কালারের টা?
“হুম” আচ্ছা যাও। অর্ষা যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই প্রান্তিক শান্ত সুরে ডাকলো “অর্ষা”
“হুম ভাইয়া” প্রান্তিক অর্ষার সামনে গিয়ে হঠাৎ অর্ষার কপালে চুমু একেঁ দিলে৷ অর্ষা বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে প্রান্তিকের দিকে। সে বুঝতেই পারছেনা সে কি প্রতিক্রিয়া দেখাবে।
চলবে…..