Lovable part : 11

0
1185

Lovable part : 11
writer : kabbo mahmud

সকালে কাব্য ও তার ফ্যামিলি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সবাই খাবারের টেবিলে বসে ব্রেকফাস্ট করছে। আর তাদের বাবা কে অফিসে যেতে দেবেনা এমন কথা কাব্য ও আবির বলছে। এখন থেকে তারা দুজনেই সব সামলিয়ে তুলবে। অবশ্য তার বাবা এতে রাজী না হয়েও উপাই নেই কেননা আবির ও কাব্যর জেদ এর কাছে তাদের বাবা-মা হার মেনে যাই।
আবিরঃ মা আজকের রান্না খুব সুন্দর হয়েছে একদম মন মতো।
মাঃ আজ রান্না তো নীলা করেছে আমাকে হাত দিতেই দেইনি প্রশংসা করলে তাকে করো।
আবিরঃ কী??? ইয়াক্ক থুঃ ছিঃ ছিঃ কী বাজে খেতে এমন খাবার আমি কোনদিন খাইনি।
নীলাঃ ভাইয়া সত্যিই এমন হয়েছে?(মনে খারাপ করে)
আবিরঃ না মানে !!
নীলাঃ খেতে হবে না তোদের যা এখান থেকে(রেগে যেয়ে)
আবিরঃ আবার কী খাবো?? হয়ে গেছে তো।
বাবাঃ তোমার কাছে খারাপ লাগতে পারে কিন্ত আমার কাছে খুব সুন্দর হয়েছে আমার মায়ের হাতের রান্না বলে কথা।
নীলাঃ হুম আমার বাবা ছাড়া আমাই কেউ বোঝে না।
মাঃ আমি??
নীলাঃ তোমাকে আবার বলা লাগবে??
কাব্যঃ হুম রান্না ভালোই করেছিস।
নীলাঃ thanku thanku….
আবিরঃ অবশ্য ওতোটা খারাপপ হয় নি।
নীলাঃ বেশি ভালো খেতে চাইলে তাহিয়া আ…..
আবিরঃ
বাবাঃ তাহিয়া কে???
আবিরঃ না বাবা কেউ না আসলে ও আমার বন্ধু খুব ক্লোজ।
বাবাঃ খুব ক্লোজ????নীলা বলতো কাহিনী কী?
নীলাঃ কিছুনা বাবা আবির ভাইয়া যেটা বলল সেটাই
বাবাঃ আমাকে আবার জিজ্ঞেস করাবে??(রাগী ভাব নিয়ে)
নীলাঃ তাহিয়া আবির ভাইয়ার গার্লফ্রেন্ড(ভয়ে বলে ফেলেছে)
বাবাঃ কী???? আবির এসব কী??
আবিরঃ আমি কিছু জানিনা(ভয় পেয়ে)
বাবাঃ এতো কিছু করো তোমরা!! এর পরিণাম কী হবে জানো??
আবিরঃ কী?!!!!!!
বাবাঃ হা হা হা হা এর পরিণাম খুব শীঘ্রই তোমার বিয়ে শুধু মেয়েদের পরিবারের সাথে আমাদের যোগাযোগ করিয়ে দাও। আর কিছুদিন পর তো চুল-দাড়ি পেকে যাবে তাই খুব জলদিই তোমাদের দুজনের বিয়ে দেবো।
মাঃ এতোদিন তো বলোনি।
বাবাঃ বলতাম কিন্ত সেই সুযোগ পেলাম কোথাই??
নীলাঃ বলছিলাম শুধু আবির ভাইয়া??

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
বাবাঃ কাব্যও কী বিয়ে করবে??
কাব্যঃ আমি??(বাকিটা বলতে না দিয়ে)
নীলাঃ ভাইয়ারও আছে কিছুদিন হলো প্রেম করছে একদম পারফেক্ট জুটি দুজনের কিন্ত তোমাদের বলতে সাহস পাই না। তাই আমি বলে দিলাম সব
**কথাগুলো বলার পর নীলা তার ভুল বুঝতে পারে। এবং সাথেসাথে মুখ চেপে ধরে আশেপাশে তাকাই এবং দেখে যে সবাই কাব্যর দিকে তাকিয়ে আছে। আর কাব্য নীলার দিকে।
**
আবির কে নিয়ে ফাজলামো করা যাই কিন্ত কাব্যকে নিয়ে এমনটা করলে কাব্য খুব রেগে যাই। এই মূহুর্তে কাব্য নীলার দিকে রেগে গিয়ে তাকিয়ে আছে। আর নীলা ভয়ে বেচারী শেষ।
**
মাঃ আচ্ছা ওসব থাক। অন্য কথা বলো।
কাব্যঃ না মা এটাই চলবে এখন।
বাবাঃ কী চলবে???
কাব্যঃ নীলা যেটা বলছে সেটা শেষ করুক। কী হলো বল কিছু:::::
নীলাঃ আমার আ..র কিছু ব…লার নেই।(তুতলিয়ে)
কাব্যঃ না বল আমি শুনব কিছু হোক বল।
নীলাঃ না ভাইয়া sorry….
কাব্যঃ আমার খাওয়া হয়ে গেছে যাচ্ছি।
*কাব্য সেখানে থেকে উঠে চলে গেলো পাশাপাশি আবিরও চলে গেলো।
মাঃ এই ছেলে কখন রাগী থাকে কখন আনন্দে বোঝাই মুশকিল উফফফ।।
বাবাঃ ওটা ওর চিন্তা বাদ দাও তো। নীলা বলো তো মেয়েটা কে??
নীলাঃ বাবা আমি আর ও একসাথেই পড়াশোনা করি ওর নাম তানিশা। আর তাহিয়া আপুর কথা বললাম না?? আপু আর তানিশা দুজনেই আপন বোন।
বাবাঃ সত্যিইই???
নীলাঃ হুম।
মাঃ আমার ছেলেদের পছন্দ তো দারুণ একদম ফাটিয়ে দিয়েছে।(আনন্দে আত্মহারা)
বাবাঃ দেখতে হবে তো ছেলেটা কার”””
মাঃ তোমার???
বাবাঃ না আমাদের
মাঃ হুম।
বাবাঃ আচ্ছা ওদের বাবা মায়ের নাম কী জানো??
নীলাঃ হুম তা তো জানবোই।
বাবাঃ বলো।
নীলাঃ বাবার নাম মনিরুজ্জামান। আর মায়ের নাম আয়েশা।
বাবাঃ কী????(অবাক হয়ে)
নীলাঃ তুমি চেনো তাদের??
বাবাঃ বাসা কোথাই???
নীলাঃ******************এখানে।
*address শোনার পর কাব্যর বাবা চুপ করে যাই। আর কোন কথা বলেনা যেটা নীলা দেখেও কিছু বলতে পারেনা।
নীলাঃ কী হয়েছে বাবা???
মাঃ কী হলো বলো??
বাবাঃ মিস্টার মনিরুজ্জামান:::::::
নীলাঃ হুম কী????????
বাবাঃ ও আমার দোস্ত একসাথে বিজনেস করি। ওর company আর আমার দুজনেই মিলেমিশে থাকি।
মাঃ তো!!!!!
বাবাঃ তো আবার কী(মুখে উজ্জ্বল ভাব নিয়ে) বিয়ে পাক্কা হুউউউ (উঠে দাঁড়িয়ে উপরে দুই হাত তুলে আনন্দে লাফিয়ে উঠে) এক ঢেলে দুই পাখি আহহ কতো মজা লাগছে(বসে)
নীলাঃ তারমানে বাবা!!!!
বাবাঃ হুম কোন ব্যাপার না বিয়ের সব ব্যাবস্থা করতে হবে। চলো মার্কেট এ।
মাঃ হুর পাগল হয়েছো?? আগে তোমার বন্ধুকে জানাও।
বাবাঃ সে আর বলতে আমরা আগামীকালই যাবো মেয়ে দেখতে মানে আমাদের বউমা একটা না দুটো …….
নীলাঃ হুসসসসস(মুখে হাত দিয়ে) বলছিলাম যে বাবা ভাইয়াদের এই ব্যাপারে কিছু না জানালে কেমন হয়??
বাবাঃ হুসসসস(same) বলছিলাম কাব্যর মা নীলা কিন্ত ভুল বলেনি।
নীলাঃ হিহিহি তুমিও না বাবা খুব ফাজিল।
বাবাঃ আচ্ছা আমার বউমা কেমন ফাজিল??
নীলাঃ উমম তাহিয়া আপু sorry ভাবী কে জানিনা কিন্ত তানিশা আছে ও মনে হয় তোমাদের দুষ্টমি ফাজলামি কাকে বলে কী কী সব বুঝিয়ে শুনিয়ে চিনিয়ে দেবে।
বাবাঃ বাব্বাহহ । শুনেছি কাব্যর মা
মাঃ হুম। এবার যা করার করতে হবে।
বাবাঃ হুম সব দায়িত্ব আমার একা।
নীলাঃ একা পারবে?? কী বলছো বাবা!!
বাবাঃ চিন্তার কিছু নেই প্রয়োজনে সব ব্যাবস্থা করার জন্য লোক আছে তারাই সব ঠিক করে নেবে।
নীলাঃ হুম সেটা ভালো। কিন্ত ভাইয়াদের একদম বিয়ের অনুষ্ঠানে জানাতে হবে কী বলো??
বাবাঃ হুম সেই চিন্তা করা লাগবেনা আমরা সবাই জানব শুধু ওরা দুজন বাদে আর কোনভাবে যেন বুঝতে না পারে আগামীকাল ওরা অফিস যাবে আমরা ওখানে আর কেনাকাটা? সব কিছু ওদের অজান্তেই করতে হবে।
নীলাঃ খুব মজা হবে তাইনা???
বাবাঃ মজা মানে? কমেডির বাপ ।
মাঃ হুম অবশেষে আমার বাড়িতেও বিয়ে হবে। এই আনন্দ কী কম??
নীলাঃ হুম। আচ্ছা মা আমি এখন একটু রুমে যাই কাজ আছে।
বাবাঃ হ্যা যাও।
নীলাঃ wait…..
*নীলা তার বাবা ও মায়ের কাছে এসে দুজনের গালে একটা করে চুমো দিয়ে চলে যাই।
আর তার বাবা মা একে-অপরের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
****
বাবাঃ বুঝেছো গিন্নি? এটাই সুখী পরিবার আল্লাহ্ আমাদের সুখে রেখেছে।
মাঃ হুম কিন্ত ভয় হয় কেননা সুখের পর দুঃখ আসে।
বাবাঃ না আল্লাহ্ সেটা চাইবে না আর চাইলেও আমরা ঠিক দুঃখকে হার মানিয়ে দেবো।
মাঃ হুম সেটাই জেনো হয়।
বাবাঃ আমাদের ছেলে-মেয়ে গুলো খুব বড় হয়ে গিয়েছে তাইনা???
মাঃ হুম অনেক বড় হয়ে গেছে।
বাবাঃ যদি আজ আবিরের বাবা বেচে থাকতো তাহলে কত….(বাকিটা আর বলতে না দিয়ে)
মাঃ কী বলছো তুমি এসব??? তোমাকে নিশেধ করেছিনা আমি? ভুল করেও যেনো এই কথা আর মুখ দিয়ে বের না হয় বলে দিলাম।
বাবাঃ (মুখ চেপে ধরে) sorry sorry গিন্নি ভুল হয়ে গেছে আসলে আবেগের বসে কী সব বলে ফেলি।
মাঃ রাখো তোমার আবেগ পকেটের ভিতরে।
বাবাঃ পকেটে?? রাখা যাই??
মাঃ হুম

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
বাবাঃ বাব্বাহ তোমাকে তো বেশ লাগছে রেগে থাকাতে।
মাঃ বুড়ো বয়সে আবার রঙ কোথাই পেলে?
বাবাঃ জানিনা তবে তোমাই রেগে থাকলে আবার সেই আগের মতো লাগছে।
মাঃ হুম জানি জানি রাগ ভাঙানোর উপাই তাইতো??
বাবাঃ না তো।
মাঃ বুঝি থাক বলা লাগবেনা।
বাবাঃ কোন কিছুই চালাকি করা যাই না তোমার থেকে(মনে মনে) এই একটা কাজ করলে কেমন হয়??
মাঃ কী?/
বাবাঃ বলছিলাম যে ওদের বিয়ের পাশাপাশি যদি আমরাও আবার বিয়ে করি কেমন হয়???
মাঃ কী বলছো সব?? দিনদিন কী বাচ্চা হচ্ছো??বুড়ো হচ্ছো বুড়ো খেয়াল করো। আর এই বয়সে বিয়ে করবে লজ্জার মাথা খেয়েছো? মেয়ের পরিবার কী বলবে??
বাবাঃ no ans…(একভাবে চেয়ে আছে)
মাঃ কী হলো??
বাবাঃ তারমানে বোঝাতে চাইছো মেয়ের পরিবার না থাকলে হতো??
মাঃ যাহ্ বুদ্ধু একটা।
বাবাঃ যানো তুমি আগের মতোই আছো একটুও পরিবর্তন হওনি শুধু তোমার বয়সটা বেড়ে গেছে বলে সবকিছু বাদ দিয়ে দিয়েছো।
মাঃ হুম সময়ের সাথে সাথে নিজেকেও বদলাতে হয়।
বাবাঃ I Love you….
মাঃ আবার কী হলো???পাগলাই ধরেছে নাকি তোমাই?কোন কথা থেকে কোন কথা বলে।
বাবাঃ সেটা না কথা হচ্ছে আমি আগের মতোই আমার বউ কে ভালোবাসি আর আমার বউ আমার সংসার কে।
মাঃ হুম এখন আর আগের বয়স নেই। ছোটবেলা যেমন পাওয়া যাই না তেমনি বিবাহের সাজ ছন্দ এখন আর পাওয়া যাবেনা। এখন সামনের দিনি কী হবে সেটা ভাবো।
বাবাঃ হুম ছেলে মেয়ের কথা ভাবো। কতো বড় হয়ে গেলো তাইনা??
মাঃ হুম সত্যিই বড় হয়ে গেলো সবাই। আচ্ছা এখন এগুলো ঠিক করে নিই তুমি রুমে যাও আমি আসছি।
বাবাঃ হুম। আজ ছুটির দিন কোথাই সবাইমিলে একটু আনন্দ করব তা না সব মনে হয় রুমে যেয়ে প্রেম করছে ফোনে চ্যাট করছে।
মাঃ এই আর যেনো এই কথা না বলা হয়। ছেলে মেয়েদের নিয়ে এসব কথা বলতে হয় না বুঝেছো?
বাবাঃ হুম।
মাঃ এখন রুমে যাও।
*কাব্যর বাবা রুমে চলে গেলো এবং তার মা সবকিছু গুছিয়ে তারপর নিজের রুমে গেল।

#_____________চলবে________________


#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।



#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here