Lovable part : 12

0
1175

Lovable part : 12
writer : kabbo mahmud

সবাই নিজের নিজের রুমে নিজের মতো সকল কাজ করে সময় কাটিয়ে বিভিন্ন কর্মের মাঝে দিয়ে সারাদিন পার করে রাত হয়ে যাই এবং রাতে সবাই ডিনার করে রুমে যাই।
**
প্রতিদিন এর মতো আজও কাব্য ও তানিশা এসএমএস এ কথা বলছে। এর মাঝে কথা হাসা হাসি আনন্দ আবার দুষ্টুমি কিন্ত কাব্য তানিশার সব কিছুই মেনে নিচ্ছে আস্তে আস্তে সে তানিশার এই দুষ্টুমি গুলোকেও ভালোবেসে ফেলেছে।
**
অতএব, এভাবে চলছে তাদের সময়।সকাল হলে কাব্য ও আবির অফিসে চলে যাই আর কাব্যর বাবা ও মা রাতেই সব কিছু তানিশাদের পরিবারে বলে রেখেছে এবং তাদের পরিবার ও রাজী আনন্দের শেষ নেই তাদের আজ তারা খুব খুশী এবং তানিশা ও তাহিয়া বাসাতেই আছে তাদের বাবা-মা ও সব কিছু তাদের বলাতে তারা চমকে যাই কিন্ত পরবর্তীতে তাদের বাবা-মা হাসিমুখে সব মেনে নিয়ে বলে দেই যে আজ তোমাদের দেখতে আসছে এবার খুশী তো? এমন কথা তানিশা ও তাহিয়া শুনে ভ্যাবাচেকা খেয়ে যাই তারা বুঝতে পারছেনা হঠাৎ করে এসব কী হচ্ছে তাদের সাথে আর কে করল এসব যেহেতু আবির কাব্য কেউ জানেনা।
**
এসব কে করেছে তারা দুজনে জানতে চাইলে তাদের বাবা বলে ওতো কিছু জানতে হলে অনেক সময় লাগবে অন্য একসময় বলব কিন্ত হ্যা মা প্লিজ মনে থাকে যেনো এসব কিছু কিন্ত কাব্য ও আবির জানেনা। এমন কথা শুনে তাহিয়া কিছু বুঝতে না পারলেও তানিশা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছে। কিন্ত বোঝার পরেও যেনো তার রাগ না হয়ে যেনো মুখের কোণে মৃদু হাসি ফুটে উঠছে। তার খুব ভালো লাগছে এই ভেবে যে সে তার মনের মানুষকে এতো তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবে।
**
বাসাই সবাই আজ খুব আনন্দে কাব্যর বাবা-মা ও রওনা দিয়েছে কিন্ত কাব্য ও আবির কিছুই জানেনা এসবের। আবির তো অফিসে যেয়ে রেগে গেছে কেননা তাহিয়া অফিসে আসেনি আর কারণটাও বুঝতে পারছেনা। সে ফোন করে কিন্ত ফোন বন্ধ আর কাব্য যেনো অফিসে থাকছে ঠিকি কিন্ত অপেক্ষা কখন তানিশার কলেজের ছুটির সময় হবে এসবের মাঝেই তারা বিরক্তির সাথে সময় পার করছে।
*প্রায় কিছুক্ষণ পর কাব্যর বাবা মা তাদের বাসাই পৌছে যাই। কাব্যর বাবা তো তানিশার বাবাকে যেয়ে জড়িয়ে ধরে কেননা তারা একসাথে পড়াশোনা করে আসছে এবং কর্ম জীবনেও দুজনে একসাথে আবারও তাদের মাঝে একটা সম্পর্ক হতে যাচ্ছে সব মিলিয়ে তাদের আনন্দের শেষ নেই।
সবাই একসাথে বসে জমিয়ে আড্ডা পাশাপাশি সকল রকমের কথা কাব্য ও আবিরকে নিয়ে। সবাই এটা ভেবে আরও মজা পাচ্ছে যে কাব্য ও আবির কিছুই জানেনা।
***
কিছুক্ষণ পর তাহিয়া ও তানিশাকে নিয়ে আশা হয় তাদের সামনে কিন্ত দেখা মাত্রই হা কাব্যর মা তো দেখেই পছন্দ করেছে কেননা দুজনেই যেমন সুন্দর তেমন দুষ্টুমি মাখা তাদের মুখ এমন চঞ্চলতা চেহারা ও মায়াবী চাহনি দেখে যে কোন মা তার ছেলের বউ হিসেবে সেই মেয়েকে পছন্দ করবে।
**
কাব্যর মা খুশীর মূহুর্তে বলে ফেলে আমি আগামী একসপ্তাহ এর মধ্যে আমার দুটি মেয়েকে আমার ঘরে নিয়ে যেতে চাই আপনাদের কোন আপত্তি??? এমন কথা তাদের বাবা মা শুনে তো আনন্দের সীমা নেই তারাও বলে দেই হ্যা আমরা রাজী কোন আপত্তি নেই।
*
এতো কিছুর মাঝে তাহিয়া অনেক খুশী হলেও তানিশা তো মনে মনে নাগিন ডান্স দিচ্ছে কেননা সব দিক থেকে সে তার জীবন ইনজয় করতে পারবে যার কোন শেষ নেই। তাই সে কী করবে ভেবে পাচ্ছেনা।
*
সবাইমিলে একসাথে বিভিন্নকথা বলার পরে কাব্যর মা তানিশা ও তাহিয়া দুই বোনকে আংটি পরিয়ে দিয়ে সবার কাছে থেকে হাসিমুখে বিদাই নিয়ে চলে আসে।
*
বাসাই আসতে বিকেল হয়ে যাই।

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

তাদের আশার কিছুক্ষণ পর কাব্য ও আবির চলে এসেছে আর নীলা অনেক আগেই চলে এসেছে এবং সে সব ককিছু বুঝতে পারছে যে আজ কী কী হয়েছে কিন্ত কাব্যর আজ মেজাজ খারাপপ কেননা কলেজে আজ সে তানিশাকে পাইনি। তাও নিজেকে কন্ট্রোল করে রেখেছে।
**
ড়াতে ডিনার কমপ্লিট করে কাব্য দ্রুত রুমে যাই যেয়ে তানিশার ফোনে ফোন দেই। তানিশা ফোন রিসিভ করার পরেই কাব্য তাকে জিজ্ঞেস করে কলেজে কেন যাওনি সে বলল আজ পরিবার থেকে একটা কাজ ছিলো তাই দুই বোনই বাসাই ছিলাম কাব্য কী কাজ জিজ্ঞেস করাই তানিশা বলে যে’, এটা সিক্রেট বলা যাবেনা। তাই কাব্যও আর জোর না করে তানিশার সাথে বিভিন্ন আনন্দে মেতে যাই। কোন দুঃখ নেই তাদের মাঝে এভাবেই অটুট থাকুক তাদের ভালোবাসা।
**************************************
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
:::::::::::::::::::::::::চারদিন পর:::::::::::::::::::
আর তিনদিন পর কাব্য ও আবিরের বিয়ে কতো আনন্দ তারা করছে কিন্ত কাব্য ও আবিরের অজান্তে। তারা দুজনে কিছুটা আন্দাজ করতে পারলেও পরে আবার সব ঠিক করে নিয়ে ভুলে যাচ্ছে কেননা তারা এটা জানে যে তাদের বাবা মা তাদের কাছে থেকে কিছু লুকাই না।
**
আজকেও কাব্য ও আবির অফিসে যাওয়াতে তাদের বাবা মা ও সাথে নীলা আজ কলেজে যাই নি। তিনজন মিলে শপিং এ যাই এবং ওইদিক থেকে তানিশাদের পরিবারের সবাইও আশে।
**
সবাই একসাথে হওয়ার পর পছন্দের শপিংমল এ যেয়ে সেখানে সবার পছন্দ মতো কেনাকাটা করতে শুরু করে কিন্ত একটা জিনিস অনেক্ষণ পর ভেবে পাই না যে কাব্য ও আবিরের জন্য কী কিনবে।
**
অনেকক্ষণ ভাবার পরে নীলা বলে উঠে যে আমি বলি?? তার বাবা বলে বলো কী উপাই পেলে?? নীলা বলে বিয়ে যেহেতু হবে তাই বরকে কেমন সাজে সুন্দর লাগবে সেটা বউ ভালো জানে তাই তাদেরই পছন্দ করতে দিন। এমন কথা শুনে সবাই খুশী হয়ে যাই তাই নীলার কথাই মেনে নেই।
**
তানিশা তার প্রিয়জন কে কেমন সাজে ভালো লাগবে সেটা সে অনেক খুজে বের করে তারপর সেটা নেই। একদম সুন্দর একটা পোশাক যেটা সবারই পছন্দ হয় কিন্ত তাহিয়া বেচারি তো কিছু ভেবে পাচ্ছেনা কী নেবে খুব চিন্তাই পড়ে গেছে তাই তানিশাকে ফিসফিস করে বলে*এই আমি আবার কী নেবো ভেবে বল???তানিশা বলে যে -আমি কীভাবে বলব? তোর বরকে যেই সাজে ভালো লাগবে সেটা নে। তানিশার কথা তাহিয়া বুঝতে পারে এবং তার পছন্দ মতো অনেককিছু কিনার পর সবার কাজ সম্পন্ন হওয়াতে বাসাই রওনা দেবে কিন্ত নীলা বলে উঠলো যে আজ দুপুরে লান্স বাইরেই খেয়ে যাই??এমন কথাই সবাই উৎসাহিত তাই সবাই মিলে ভালো একটা রেস্টুরেন্ট এ যেয়ে খাওয়া-দাওয়া পাশাপাশি আড্ডা এসবের মাঝে দিয়ে আবার বাসার দিকে রওনা দেই।।
**
বাসাই এসে কাব্যর বাবা-মা সবকিছু লুকিয়ে রাখে যেন কাব্য ও আবিরের সন্দেহ না হয়। ঠিক সেভাবেই কাজ করছে তারা এভাবেই কেটে যাচ্ছে দিন আনন্দের মাঝে বিয়ের সব কিছু সমপন্ন তাদের আত্মীয়দের ও বিয়ের অনুষ্ঠানে আসতে বলে দিয়েছে। যখনই কাব্য ও আবির অফিসে যাচ্ছে তখনই তারা সবাই কাজে লেগে যাচ্ছে।
***
দেখতে দেখতে দিন শেষ ::::::: আগামীকাল কাব্য ও আবিরের বিয়ে কিন্ত তাদের কিছু জানা নেই সবকিছু অজানা। তাদের মাঝে সবকিছু ঠিক আছে কিন্ত দুইবোন কিছুই তাদের বুঝতে দিচ্ছে না।
****
:::::::::::রাতে:::::::::::
তানিশা ও তাহিয়া দুজনে বিভিন্ন দুষ্টুমি সাথে সবকথা তাদের মাঝে হচ্ছে আর হাসাহাসি চলছে কিন্ত এসবের কিছুই কাব্য ও আবির বুঝতে পারছেনা একদম সাধারণ ভাবেই তাদের সাথে এসএমএস ও কথা বলছে।
অবশেষে অনেকক্ষণ কথা বলার পর সবাই ঘুমিয়ে পড়ে।
*********
সকালে।
*********
আজ তানিশা::::কাব্য ও
তাইয়া::::আবির এর বিয়ে কতো আনন্দ চলছে তানিশাদের বাসাই। অনেক সময় পর তানিশা ও তাহিয়ার হাতে মেহেদি দিয়ে দেই তাদের প্রিয় বান্ধবী সাথে দুষ্টুমি তো চলতেই আছে।
**
বিয়ের বাড়িতে কাব্যর বাবা ও তানিশার বাবা এদের পরিবারের কোন কাজ নেই কাজ শুধু এটুকুই তাদের প্রিয়জন দের সাথে সাক্ষাৎ করা কিন্ত এখনো কারোর আসার সময় হয়নি তাই তানিশার বাবা শুধু চারিদিক খেয়াল রাখছে মাত্র। আর বাকি কাজের জন্য অনেক লোক লাগিয়া দেওয়া হয়েছে তারাই সব কিছু ঠিক করবে।
***
এতো কর্মের মাঝে দিন গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলো তাই এখন যেহেতু কারোর কোন কাজ নেই তাই কাব্যর বাবা সবাইকে বলে দেই যে রেডি হয়ে নেও একটা কাজে আমাদের সবাইকে জেতে হবে। সবাই সবকিছু বুঝতে পারলেও আবির ও কাব্য কিছু বুঝতে পারেনা তাই তারা যেতে চাইছেনা তবুও কাব্যর বাবা অনেক রিকুয়েস্ট করার পর একসময় রাজী হয়ে যাই। তাই সবাই রেডী হয়ে নিলেও কাব্যর বাবা-মা ও নীলা অন্য সাজে সাজছে যেটা কাব্য ও আবির খেয়াল করে আর ভাবে এমন সাজ তো সেকোন জাইগাতে সেজে যাইনা তবে কেন যাচ্ছে??কিছুই তারা ভেবে পাচ্ছেনা। তাই মাথা না ঘামিয়ে তাদের সাথে গাড়িতে বসে যেতে লাগলো কিন্ত গাড়িটি ছিলো অন্ধকারে তাই কাব্য ও আবির কিছুই বুঝতে পারলো না যে গাড়িটি অনেক সুন্দর করে সাজানো আর তাদের আমন্ত্রণ করা সবাইকে সবকিছু বলার কারণে তারাও সেভাবেই ছিলো কাব্যদের গাড়ি আসার পর পরেই তাদের আত্মীয় সবাই পেছনে পেছনে চলে আসে।
****
অনেক রাস্তা পেরিয়ে আসার পর কাব্যদের গাড়ি থামানো হয় এবং গাড়ি থেকে কিছু প্যাকেট করা ব্যাগ বের করে কাব্য ও আবিরের হাতে ধরিয়ে দেই এবং বলে এখানে যা পোশাক আছে পরে এসো তোমরা এমন কথা শুনে কাব্য অনেক বিরক্তিকর ভাব নেই কিন্ত তার কিছু করার নেই কেননা সে বাবা মায়ের কথা অমান্য করেনা।
**
তারা দুজনেই নেমে যেয়ে একটা জায়গা থেকে সেগুলো পরে বের হয়। শুধু মাথাই পাগড়ী টি দেওয়া নেই ওটা দিলে সব কিছু বুঝে ফেলবে।
তবুও আবির অনেকটা বুঝতে পারে ও কাব্যকে জিজ্ঞেস করে যে- কাব্য এসব তো যাদের বিয়ে হয় তারা পরে আমরা কেন পরছি???

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

কাব্য বলে যে- আমাকে কী বলছিস? বাবা মাকে বল তারা কী করবে সেটা তারাই জানে এতো রাতে যে কোথাই নিয়ে যাচ্ছে মেজাজটাই খারাপ করে দিলো।
*
তারপর গাড়িতে চুপচাপ এসে বসে। কেউ কিছু বলছেনা* গাড়ি চলে যাচ্ছে। কোন কথা নেই তাদের মুখে।
****অবশেষে*****
সবাই পৌছে যাই নির্দিষ্ট স্থানে কিন্ত গাড়ি থেকে নেমেই অবাক সবাই কোন লাইট চারপাশ জ্বলছে না। সবকিছু অন্ধকার।সকলেই বাইরে বেরিয়ে এভাবে দাঁড়িয়ে আছে কাব্যর বাবা-মা ও বুঝতে পারেনি যে তারা এমন করবে।
**
হঠাৎ করেই সকল লাইট জ্বলতে শুরু করলো কাব্য ও আবির দেখে তো শক্ তারা কিছুই বুঝতে পারছেনা। সবাই খেয়াল করে ভেতরে থেকে সবাই একসাথে বের হয়ে আসছে এতোক্ষণে তাদের আশেপাশে কেউ নেই। সবাই যখন তাদের দিকে এগিয়ে আসছে তখনই কাব্যর বাবা আবির ও কাব্যর মাথাই পাগড়ী টি পরিয়ে দিয়ে তাদের বরের রুপ সমপন্ন করে।
*
কাব্য ও আবির তাদের বাবার এমন কাজ দেখার পর দুজনেই বড় ধরনের একটা ধাক্কা খেয়ে যাই। তাদের দুজনের আর কিছু বোঝার বাকি নেই কিন্ত তবুও তারা কিছু বলছেনা সবকিছু চুপচাপ মেনে নিচ্ছে। সকলে সামনে চলে আসার পর (ইত্যাদি) হলো চারিদিকের সবার বরকে নিয়ে নানা প্রসঙ্গ।
দুজনে ভেতরে প্রবেশ করে সাথে দুজনেরই মেজাজ খারাপ ইচ্ছে করছে এক্ষনিই সব ভেঙে দিতে কিন্ত বাবা-মায়ের অবাধ্য তারা কোন মতে হবেনা। তখনই হবে যখন এটা একদম খারাপ পর্যায়ে চলে আসবে।
*
দুজনকে নিয়ে এসে তানিশা ও তাহিয়ার পাশে বসিয়ে দেওয়া হলো কিন্ত দুজনেই রাগে দুঃখে কিছু প্রকাশ করতে পারছেনা। কাব্যতো আরও রেগে আছে সে ভাবছে -বাবা মা তো সব শুনেছে আমার ব্যাপারে তবুও এসব কী করছে তারা? আমার তো আর ধৈর্য বলতে কিছু নেই।
*
দুজনেই আশেপাশে কারোর দিকে তাকাচ্ছে না। নিচের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।এমন ভাব নীলা খেয়াল করে কিন্ত সে বুঝতে পারে যে দুজনে হয়তো এখনো কারোর দিকে লক্ষ্য করেনি বিশেষ করে তাদের পাশে যে তানিশা তাহিয়া বধূ বেশে বসে আছি সেটাও না।তাই নীলা কাব্যর কাছে আসে এবং আস্তে করে বলে যে।
নীলাঃ ভাইয়া বাবা মা যেহেতু কোন সন্তান এর খারাপ চাই না তাই আমি বলছি তোরা এভাবে মাথা নিচু না করে থেকে এবার একটু মাথাটি উপরে তোল সবাই তোদের দেখছে।
*
নীলার কথা তারা দুজনেই বুঝতে পারে এবং সবার দিকে এক পলক তাকাই কিন্ত সেটা রাগের মাথাই।
*
নীলাঃ ভাইয়া এবার দুজনে নিজ নিজ ডান পাশে তাকাও তো আশাকরি ভালো লাগবে তোমাদের।
*
নীলার কথামত কাব্য ও আবির দুজনেই তাকাই তারপর………….
(বাকিটা ইতিহাস)
**
কাব্য ও আবির বড় ধরনের একটা ধাক্কা খাই। তারা যে এমন দেখবে সেটা কখনো ভাবেনি। কীভাবে সম্ভব হলো এসব নানা চিন্তা ভাবনা তাদের এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
*
কাব্য খেয়াল করে তার পাশে এক ছায়াময় লজ্জারপোশাক পরিধান করে চুপটি করে বসে আছে সাথে আছে সে দুষ্টুমি হাসি। তানিশা তো লজ্জাই শেষ কেননা কাব্যর এভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে সবাই হা করে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে উপরদিকে আবির এর ও একই অবস্থা। তাহিয়ার দিকে এক চাহনিতেই তাকিয়ে আছে যেনো কোন এক সপ্নের রাজকন্যা তার জীবনে আসার জন্য স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে একদম পরীর মতো লাগছে তাহিয়াকে আবিরের জেনো চোখের পলকটা পড়তেও সন্দেহ।
**
কাব্য তানিশার দিকে ও আবির তাহিয়ার দিক একভাবে চেয়ে আছে কিন্ত সবাই যে তাদের দেখছে এদিকে কোন হুস নেই। তাই নীলা আর কিছু না বুঝে তাদেরকে একটু শতর্ক করে দেই।
**
নীলাঃ ভাইয়া এবার একটু দুজনে আমাদের দিকে লক্ষ্য করো।
**
অপরদিকে কোন উত্তর নেই।
**
নীলাঃ এই ভাইয়া এতো নজর দিলে ফুরিয়ে যাবে একটু রেখে দাও।
**
নীলা ওদের সামনে দাঁড়িয়েই কথাগুলো বলছে তাই নীলার একটু জোরে কথা বলার জন্য কাব্য ও আবিরের ঘোর ভেঙে যাই। তারপর সামনের দিকে তাকাই::::::::::দুজনে লক্ষ্য করে তাদের দিকে সবাই তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে তাই এটা তাদের আর বুঝতে বাকি রইলো না।
**
কাব্যঃ বাবা-মা এতো কিছু করে ফেলেছো তোমরা?? আর সেই তোমাদের উপরে আমি রেগে গেছিলাম ক্ষমা করে দিও তোমরা খুব বড় একটা ভুল করেছি। তোমরা তো জানতে সব তাও এটা করলে জেনে ::কিন্ত এসব কীভাবে করলে? আমরা একটুও বুঝতে পারলাম না? এতো বড় একটা উপহার তোমরা দিলে যেটা (এক চিলিতে হাসি দিয়ে) কিছু বলার নেই আর।(মনে মনে)
**
আবিরঃ আমরা আসলেই কিছু বুঝেছিলাম না বাবা যে তোমরা এসব কী করতে যাচ্ছ কিন্ত এভাবে নিয়ে এসে এতো বড় এতো বড় যেটা বলার ভাষা নেই এমন একটা সারপ্রাইজ দেবে তোমরা??:::::::::::খুব ভালোবাসি তোমাদের বাবা:মা I love you(মনে মনে)
**
দুজনেই মনে মনে তাদের বাবা মা এর কথা ভাবছে কিন্ত নীলা এতে খুব বিরক্ত বোধ করে।
*
নীলাঃ এই ভাইয়া এভাবে তোমরা ভেবে যাবে সারাক্ষণ??
তানিশা ও তাহিয়ার সামনে কথা গুলো বলাতে তানিশা একটু শব্দ করে হেসে দেই।

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
কিন্ত কাব্য নীলার উপরে রাগবে না তানিশার হাসির দিকে খেয়াল করার পর তার হাসির পানে চেয়ে থাকবে বুঝতে পারছেনা। আজ এতো সুন্দর করে তানিশাকে রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কাব্য নজর সরাতেই পারছেনা। যেনো এই দেখার শেষ নেই।
তাই নীলা আর কিছু না বলে এক মন ভরা বিরক্তি নিয়ে চলে আসলো।
*
আর আবির ও কাব্য নিজেদের কিছুক্ষণ এর মধ্যে ঠিক করে বসে পড়লো।
সবাই এসে তাদের জুটির প্রশংসা করছে :::একে উপরের সবাইকেই দারুন মানিয়েছে আরও অনেক কথার আনাগোনা।
****
কাব্যঃ এতো কিছু করলে আমাই একটুও জানানো যাইনি??(তানিশাকে উদ্দেশ্য করে)
তানিশাঃ কীভাবে বলব? আমার কোনরকম বলা নিশেধ ছিলো।
কাব্যঃ তাই???চলো এবার আমি কী করি তোমার সাথে যেটা নিশেধ না বলতেই পারবেনা।
তানিশাঃ কী করবেন???(ভয় পেয়ে যেয়ে)
কাব্যঃ চলো তো আগে।(মুচকি হাসি দিয়ে)
*তানিশা ভয়ে বেচারী শেষ সে বুঝতে পারছেনা কাব্য কি বোঝাতে চাইছে কিন্ত কাব্য তানিশার ভিতু ভাব দেখে হাসতেও পারছেনা। ভয় পাওয়ার সময় তানিশাকে অনেক মিষ্টি লাগছিলো যেটা কাব্য ভুলতেই পারছেনা।
*****
****
প্রায় অনেকক্ষণ এভাবে চলতে চলতে বিয়ের সবকিছু শুরু হয় সাথে সবাই আজ হাসি-আনন্দের শেষ নেই।
***
এবং বিয়ের কাজ দীর্ঘক্ষণ পর সমাপ্ত হয়। এবার বিদায়ের সময় যেটা একেবারেই তার জন্মভূমি ছেড়ে চলে যাওয়া বোঝাই যেটা করতে চাইলে কেমন কষ্ট অনুভূতি হয় সেটা তারাই বোঝে।
*****
সবার কাছে থেকে বিদাই নিয়ে গাড়িতে উঠে বসে। কাব্য ও আবির দুজনেই দুটি আলাদা গাড়িতে করে আসে। দুবোনই আজ যেন যতো কাঁদারর ইচ্ছা আজ তা পূরণ করছে কিন্ত তাহিয়া কান্না করতে থাকলেও সেটা শব্দ বিহীন। আর তানিশা!! ::: সেটা আর বলতে হুঁ হুঁ করে কেঁদে চলেছে কিন্ত কাব্য অনেক বিরক্ত হলেও বুঝতে পারছে এসময় সব মেয়েরাই তাদের অতীত মনে করে আর কাঁদে কিন্ত কাব্য এটা খেয়াল করছে এমন কান্না যেনো ওতো দুঃখের কান্না নয়।
*
কাব্যঃ একটা কথা বলি???
তানিশাঃ হ্যা বলুন (চোখে পানি নিয়ে)
কাব্যঃ তুমি এমনভাবে কাঁদছ কেন? মনে হচ্ছে অন্য ব্যাপারে??
তানিশাঃ তাছাড়া আবার কোন ব্যাপারে কাঁদে মেয়েরা?
কাব্যঃ কোন ব্যাপারে কাঁদছ??
তানিশাঃ এটা জানেন না??আমার তো এটা ভেবে কান্না পাচ্ছে যে আমার সবকিছু ওখানে রেখে আসলাম এ্যাাাা আমার মোবাইল ও ওখানে যদি বাবা-মা দেখে ফেলে কি হবে??আর যানো আমার সকল পছন্দের জিনিস রেখে আসলাম এখন আমি কী করব??
***
-তানিশার এম্ন কথা শুনে কাব্যর মেজাজ বিগড়ে যাই মেয়ে বাবা-মায়ের কাছে থেকে চিরবিদায় নিলে অনেক কাঁন্না করে সে জানে কিন্ত এই মেয়ে যে এসবের জন্য কাঁদছে ভাবতেই তার এখন তানিশাকে একটা কষে থাপ্পড় মারতে ইচ্ছে হচ্ছে তার। কিন্ত ওটা তো করা যাবেনা তাই রাগ কন্ট্রোল করে আর কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ চলে আসে।
::::
গল্পটি এখানেই অনেকদিন বন্ধ থাকবে।
তাই অনলাইনে এসে যদি পেজ খুজে পাই তাহলে আবার গল্প দেওয়া হবে।
#_____________চলবে________________


#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।



#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here