Lovable Part : 15

0
937

Lovable Part : 15
Writer : Kabbo Mahmud

*****
*****
তানিশা ও নীলা নিচে এসে দেখে কাব্যর মায়ের সাথে তাহিয়া আড্ডা জমিয়ে রান্না করছে।
এটা দেখে তানিশা ও নীলা তাদের কাছে যাই।
****
****
মাঃ বাব্বাহ্ আমার দুষ্টু মিষ্টি বউমা চলে এসেছে দেখছি।
-তানিশা লজ্জার চাহনিতে মুচকি হাসি দেই।
মাঃ থাক থাক লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই এটা তোমারই সংসার আর আমি তোমার মা বুঝেছো?

তানিশাঃ হুম।(মাথা নিচু করে হ্যা সম্মতি দেই)

মাঃ এই মেয়ের এতো লজ্জা কেন তাহিয়া??

তাহিয়াঃ জানিনা মা!! আমিও তো অবাক হচ্ছি।

নীলাঃ হুম আমিও!!।

মাঃ আচ্ছা এসব থাক তুমি এসো আমার সাথে রান্না করতে হবে তো তা না হলে শুধু আমিই কী সংসার নিয়ে পড়ে থাকব??::::
***
***
*তারপর সবাই রান্নার কাজে মনোযোগ দিয়ে কথা বলছে।

তাহিয়াঃ ooops…তানিশা তো রান্নাই পারেনা কী করবে ও??(মনে মনে)

মাঃ আচ্ছা তুমি কি কি রান্না করতে পারো??

তানিশাঃ আমি?? সব রান্নাই পারি।

মাঃ সব???(অবাক হয়ে)

তানিশাঃ হুম শিখেছি ****

মাঃ বাব্বাহ তাহলে তো হয়েই গেলো। আর একটা কথা বলি??

তানিশাঃ হুম,,
..
মাঃ তোমরা আমার মেয়ে তাই মেয়েকে বউমা বলতে পারব না আমি তোমাদের দুজনের নাম ধরেই ডাকব কেমন??

তানিশাঃ হুম।

তাহিয়াঃ হ্যা ঠিক আছে মা। কিন্ত একটা জিনিস বুঝলাম না তানিশা তুই সব রান্না শিখলি কেমন করে??

মাঃ মানে? রান্না পারেনা?

তাহিয়াঃ না আজ পর্যন্ত আমাদের রান্না ঘরে কোথাই কী আছে সেটাই জানেনা।

তানিশাঃ আমি অনলাইন থেকে শিখে রেখেছি যেটা আমার সম্পন্ন মনে আছে।

মাঃ হা হা হা শুধু শিখে রাখলে হবে? আমাদের ও দেখাতে হবে।

তানিশাঃ হুম মা দেখাবো।

মাঃ এইত্তো এবার হয়েছে। আমার দুটি বউমাই সবাইকে খুব তাড়াতাড়ি আপন করে নিতে পারে।

নীলাঃ হুম এখন শুধু তেজপাতা বানিয়ে কিমা করে খাবে তোমাদের আর সাথে আমাকেও।(বিড়বিড় করে)

তানিশাঃ বলছিলাম যে মা আমাদের এই বাসাই না একটা শয়তান বুড়ি আছে যে সবসময় অন্যের আদর ভালোবাসা দেখে হিংসে করে।

মাঃ মানে? কে সে??

তাহিয়াঃ এমন কে আছে?

নীলাঃ তানিশা খুব খারাপ হবে কিন্ত!!!!!

-নীলা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছে কথাটি কাকে বলছে।

তানিশাঃ কি খারাপ হবে শুনি???আমাকে আমার মা আদর করছে আর তুই বিড়বিড় করছিস কেন?

নীলাঃ আমি কোথাই বিড়বিড় করলাম? আর কথা থাকতেই পারে চুপ করে থাকব নাকি তাই বলে??

তানিশাঃ হ্যা কথা থাকতে পারে কিন্ত সেটা সবার সাথে বিড়বিড় করে কথা বলাকে মেয়ে শাকচুন্নি বলা হয় ।

নীলাঃ ইহহহহ্ তুই কী বই এ পড়েছিস এটা??

তানিশাঃ না এটা মহাজ্ঞানীদের কথা।

নীলাঃ কোন মহাজ্ঞানী বলেছিল কথাটি?

তানিশাঃ আমিই বলছি।

তাহিয়াঃ হুম আমার বোন বলছে মহাজ্ঞানী একজন তার কথা মেনে চলবে (নীলাকে ইশারা করে)

নীলাঃ হুম কূটনি কোথাকার হুহ(মনে মনে)

তানিশাঃ মনে থাকবে তো?

নীলাঃ হুম থাকবে।

*নীলা রান্না ঘরে থেকে রেগেমেগে বেরিয়ে যেয়ে সোফাই বসে তারপর টিভির রিমোট হাতে নিয়ে টিভি দেখে তা না হলে তার মেজাজ এখন আর শান্ত হওয়ার মতো না।
****
****
মাঃ পুরো ফাটিয়ে দিয়েছো তানিশা(খুশী হয়ে)

তানিশাঃ কী ফালাটাম??

মাঃ না কিছুনা বলছিলাম যে আজ থেকে সবাইকেই এমন করে does দিও কেমন? তাহলে খুব মজার হবে…..

তানিশাঃ হুমমম।।

তাহিয়াঃ আরও অনেক কিছুই পারে মা যেগুলো দেখলে ভাবতেই পারবে না।

মাঃ সত্যিই???

তাহিয়াঃ হুমম। দেখতে থাকো কী কী হয় এবার থেকে। (দীর্ঘশ্বাস ফেলে)

তানিশাঃ পেঁচাল বন্ধ করতো। রান্না তো হয়ে গেলো চলো এবার সাজিয়ে দিই।

মাঃ হুম চলো চলো।

তানিশাঃ আচ্ছা মা আপনার ছেলে বাবা আর আবির ভাইয়া এই তিনজন সদস্য কোথাই আছে? দেখছিনা যে!!!

মাঃ হুম আমিও তো জানিনা তিনজন মিলে কোথাই গেলো ঠিক বুঝলাম না। তোমার বাবা বলল কিছু সময় পর আসবে। চলো আমরা তাদের জন্য অপেক্ষা করি।

তানিশাঃ হুম।

-সবাইমিলে খাবার টেবিলে সাজিয়ে বসে বসে বিভিন্ন কথা বলছে হাসাহাসি করছে আর নীলা একপাশে বসে রাগে টমাটোর মতো লাল হচ্ছে যেটা সবাই খেয়াল করেও কিছু বলছেনা।
***
***
তানিশাঃ আচ্ছা মা ব্যাঙ তো সবসময় ঘ্যানঘ্যান করে কিন্ত আমাদের বাড়ির এই ব্যাঙটি চুপ করে আছে কেন???

মাঃ হুসসস(মুখে আঙুল দিয়ে ইশারা করে)

তাহিয়াঃ আচ্ছা নীলা তোমার কলেজ নেই?
..
নীলাঃ হ্যা ভাবি আছে কিন্ত আজ যাবো না
আগামীকাল এতো ঘুরে বেড়িয়ে ক্লান্ত আজ বিশ্রাম নেবো।

তাহিয়াঃ ওহ হ্যা আসলেই তো কিন্ত তুমি এভাবে চুপচাপ কেন? আমাদের সাথে কথা বলতে মনে চাইছে না?

নীলাঃ কী কথা বলব? আমার কিছু বলার নেই তোমরা বলো আমি শুনছি ।

তাহিয়াঃ তা বললে হবেনা আড্ডা সবাই মিলে হয় তারমাঝে একজন চুপ থাকলে সেটা পরিপূর্ণ হয় না।

নীলাঃ তোমরা বলোনা আমার কিছু বলার থাকলে বলছি।

তানিশাঃ ছাড়না আপু ও চুপচাপ থাকতে চাইছে থাকুক৷ আমি একটা কথা বলি?

তাহিয়াঃ কী??

তানিশাঃ জানিস যারা চুপচাপ থাকে তারা মিটমিটি শয়তান হয়।

তাহিয়াঃ কী??

তানিশাঃ হুম।

মাঃ হা হা হা হা তুমি পারও খুব তানিশা এসব ফাজলামি কোথাই পাও??

তানিশাঃ এটা ফাজলামি না মা এটা আমার ব্যাবহার আমি এমনই।

মাঃ হুম আর সারাজীবন এমনই থাকবে একটুও পাল্টালে চলবেনা বলে দিলাম।

তানিশাঃ হুম। সবসময় এভাবে চলতে চাই আপনাদের মাঝে আমার দুটি বাবা আর দুটি মায়ের মাঝে।

তাহিয়াঃ আর আমরা??

তানিশাঃ তোদের দিয়ে কী করব? ফুচকার আচার বানাবো নাকি??(রাগী স্বরে)
..
তাহিয়াঃ হুহ, ঠিক আছে ঠিক আছে .

তানিশাঃ মা এখনো আসছেনা কেন?
মাঃ হুম আমারও টেনশন হচ্ছে এবার সব একসাথে মিলে যে কোথাই গেলো বললো না।
তাহিয়াঃ আসবে হয়তো কাজ নিয়ে কোন অসুবিধা হচ্ছে হয়তো।
মাঃ হুম হতে পারে।
তানিশাঃ আচ্ছা গল্পে আসা যাক।
এখন কথা হচ্ছে যে নীলার বিয়ে কবে দিচ্ছি???
*তানিশার এমন কথা শুনে সবাই শক্ খেয়ে বসে.
মাঃ নীলার বিয়ে??
নীলাঃ আমার বিয়ে মানে?
তানিশাঃ হুম বুড়ি হয়ে যাচ্ছ বিয়ে করবে না?
নীলাঃ না আমি আরও পড়ব তোর মতো বিয়ে পাগল না।
মাঃ আচ্ছা পড়তে থাকো৷ তানিশা নীলার ব্যাপার বাদ দাও।
তানিশাঃ হুমমম বুঝেছি। আচ্ছা তাহলে কী নিয়ে কথা বলতে হবে এবার???
আবিরঃ আমরা আছিতো ভাবি আমাদের রেখে তোমরা সব গল্প করে নিলে??
বাবাঃ হুম এটা একদম ঠিক নয়।
আবিরঃ হুম ওতে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
তানিশাঃ প্রজাগুলো এখানে এসে বসুন আপনাদের জন্য খাবার এর ব্যাবস্থা আছে। (দুষ্টুমি করে)
বাবাঃ হুম হুম এসেছি মা এই বসলাম। এবার বলো।
তানিশাঃ হুম বাবা মশাই বসেন বসেন মন ভরে খেয়ে চলুন আড্ডা হবে।(দুষ্টুমির সাথে)
বাবাঃ হা হা হা হুম হবে তাহলে আগে breakfast করে নেওয়া যাক।
তানিশাঃ তার আগে বলুন কোথাই গিয়েছিলেন না হলে খাওয়া বন্ধ ।
বাবাঃ কোথাই গিয়েছিলে কাব্য???
কাব্যঃ আমি জানিনা।
তানিশাঃ আপনার হাতে রুমাল বাধা কেন? কেটে গেছে?????????
কাব্যঃ নাহ এমনি বেধে রেখেছি।
আবিরঃ বেধে না কেলিয়ে এসেছি(মনে মনে) বলছি যে আমরা আজকে জিম করতে গেছিলাম
নীলাঃ তোমরা??
বাবাঃ হুম কেন পারিনা বুঝি?
মাঃ আচ্ছা ঠিক আছে ওসব থাক অনেক বেলা হয়ে গেলো খেয়াল আছে?
তাহিয়াঃ হুম মা।
*তানিশা ও তাহিয়া খাবার সার্ভ করতে শুরু করে তারপর সবাই মিলে খাওয়া শুরু করে তারমাঝে আড্ডা।
******
******
কিছুক্ষণপর খাওয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর তানিশা ও তাহিয়া দুজনে মিলে সবকিছু গুছিয়ে নেই তাদের মা কে হাত দিতে দেই না। দুজনে মিলে সবকিছু গুছিয়ে গল্পের আসরে একসাথে বসে।
সবার মনেই আজ অনেক আনন্দ।
_______চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here