lovable Part : 16
Writer : Kabbo Mahmud
*****
সবাইমিলে আনন্দে আড্ডাই সারাদিন পার করে রাতের ডিনারে সবাই টেবিলে বসে।
আবিরঃ উফফ্ কী বলব আজকের রান্নাটা ফাটাফাটি হয়েছে ইচ্ছে করছে পেট আরও বড় করে নিয়ে আসি।
তানিশাঃ বেশি খেলে পেট ফেটে যাবে ভাইয়া(হেসে দিয়ে)
আবিরঃ হুম কিন্ত লোভ সামলাতে পারছিনা।
নীলাঃ সত্যিই আজ রান্না খুব সুন্দর হয়েছে।
বাবাঃ কে করেছে আজ রান্না??
মাঃ কে আবার? আমাই আজ রান্না ঘরে যেতেই দেইনি তোমার দুই বউমা।
তাহিয়াঃ আমি রান্না করিনি আমি শুধু তানিশাকে হেল্প করেছি ও কোনদিন রান্না করেইনি ও বলল অনলাইন থেকে শিখেছে মনে করেছিলাম ভালো হবেনা কিন্ত দেখছি তানিশা তো কাঁপিয়ে দিয়েছে।
আবিরঃ হুম ভাবি তো চরম রান্না পারে।
তানিশাঃ ওতোটাও ভালো না। নতুন বলে ভালো লাগছে খেতে খেতে যেদিন পুরনো হয়ে যাবে তখন আর ভালো লাগবে না।
বাবাঃ না একদম না এভাবেই যদি রান্না করো তাহলে কোনদিন পুরনো হবে না।
*সবাই তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছে আর তানিশা তো মনে মনে এতো খুশি যে তার নাগিন ডান্স দিতে ইচ্ছে করছে কিন্ত একটা কথা সে ভাবছে কাব্য কিছু বলছে না কেন!!।
***
কাব্যঃ আমার খাওয়া শেষ রুমে গেলাম****
বাবাঃ এর আবার কী হলো??
মাঃ আসলেই তো!!!!
*কাব্যর উঠে যাইয়া দেখে সবাই অবাক হয়। সবাই আরও অবাক হয় এটা দেখে খেতে বসে সে একটাও কথা বলেনি।
নীলাঃ ভাইয়ার কী হয়েছে আবির ভাইয়া??
আবিরঃ মেজাজ গরম হয়েছে(মনে মনে)
নীলাঃ কী হলো?
আবিরঃ জানিনা আমি কীভাবে বলব? হয়তো কোন কাজ আছে রুমে।
নীলাঃ ওহ থাকতে পারে।
*সবার খাওয়া শেষে নিজ নিজ রুমে যাই।
তানিশা রুমে এসে দরজাটি লক করে দিয়ে সামনে তাকাতেই দেখে কাব্য বিছানায় বসে কিছু একটা ভাবছে তাই তানিশা কাব্যর দিকে এগিয়ে যাই।
**
তানিশাঃ আপনার কি কোন কারণে মন খারাপ?
কাব্যঃ না ঠিক আছি।
তানিশাঃ চাইলে আমার বলতে পারেন আমি সেই কারণ এর সম্পর্কে কিছু বলতে পারি যদি।
কাব্যঃ না কোন সমস্যা নেই। তুমি ঘুমাও…..
তানিশাঃ না আপনার সমস্যার কারণ জানতে চাই।
কাব্যঃ ওটা জেনে তোমার কিছুই লাভ নেই।
তানিশাঃ না থাকলে কী? তাও বলুন”
কাব্যঃ তানিশা আমাই রাগাবে না।।
তানিশাঃ আমি রাগাচ্ছি কোথাই? কারণ টা বললেই তো হয় আর বললে তো এমন কিছুই ক্ষতি হবেনা।
কাব্যঃ তানিশা যাও(রেগে যেয়ে)
তানিশাঃ না আপনাকে এখন বলতেই হবে(রাগী গলাই)
-ঠাসসসসসসসসসসস
*কাব্য রেগে যেয়ে তানিশাকে একটা চড় বসিয়ে দেই।
*দুজনের মাঝেই এবার নিরবতা। তানিশা কিছুই বলতে পারছেনা কাব্যর দিকে একপলক চেয়ে তার সামনে থেকে সরে চলে যাই বিছানার ওইপাশে। আর কাব্য সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে আর চোখ মুখ রাগে কাপছে।
**
তানিশা বিছানার মাঝে ছোট বাচ্চার মতো সুয়ে আছে কাব্যর উল্টো দিকে৷ আর কাব্য রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে রুম থেকে বের হয়ে যাই।
*
তানিশাঃ উনি এমন করল কেন? আমি তো শুধু কারণ টি জানতে চেয়েছিলাম “নাকি স্বামী স্ত্রীর মাঝে এই অধিকার টি থাকেনা??? উনি খুব রেগে গেছেন! sorry মিস্টার ডেভিল আমি আর আপনাকে জোর করব না।
*তানিশা সুয়ে সুয়ে কাদছে না ঠিকই কিন্ত ফুঁপিয়ে উঠছে তার শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে। উঠবেই না কেন সে কোনদিন তার জীবনে কারোর হাতের থাপ্পড় খাইনি বা কোন রকম মার খাইয়ার অভ্যাস নেই এমনকি তার বাবা মা ও তার উপর হাত তোলেনি আজ প্রথম তার এমন জোড়ে থাপ্পড় খাওয়া। কিন্ত তাও সে কিছু মনে করছেনা বরং নিজেকেই খারাপ ভাবছে যে তার ওমন করা উচিৎ হয়নি।
*
আর এদিকে কাব্য এতো রাতে গাড়ী নিয়ে বেড়িয়ে পরে কিন্ত কোথাই যাচ্ছে সেটা অজানা। গাড়ি অনেক দ্রুত ড্রাইভ করছে সে এতো পরিমাণ তার রাগ হচ্ছে যে সব রাগ গাড়ির স্পিড এর উপর তোলার অবস্থা।
*
কাব্যঃ ওই কুত্তার বাচ্চার জন্য আমি আজ তানিশাকে চড় মেরেছি? কেন করলাম এটা আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলাম না? এই জন্যই আবির বলে তোর কথা ভালো কিন্ত মেজাজ না আসলেই আমি কেন যেন রাগ উঠে গেলে কিছু কন্ট্রোল করতে পারিনা। রাগ যখন উঠেই গেছে সবটা ওর উপরেই ঝাড়ব অপেক্ষা কর। আজ তোর উপর রেগে থাকতে যেয়ে তানিশা কষ্ট পেয়েছে জানিনা মেয়েটা এখন কি করছে নিশ্চয় কেঁদে যাচ্ছে।
**
কাব্যর রাগের পরিমাণ এতোটা বেড়ে যাই যে আরও দ্রুত ড্রাইভ করতে শুরু করে। সে একটা পুরোনো ঘরের কাছে গাড়ি থামাই এবং এসে এক সেকেন্ড ও না দাঁড়িয়ে সেখানে থেকে সোজা ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে।
*
একজনঃ এই কে রে তুই? এখানে ঢুকার সাহস কেমন করে পেলি???
কাব্যঃ no ans..
আরও একজনঃ কীরে কথা বলিস না কেন?
Leader: কীরে ভাই তুই এখানে কেন? মার খেতে এসেছিস??
*কাব্য তার ডান হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নেই।
Leader: আরে ভাই যা এখান থেকে বাচ্চা মানুষ একা আর আমরা পাঁচজন তুই পারবি না যা যা।
*লোকগুলো সেখানে বসে কার্ড খেলা করছিলো কাব্যকে দেখে তারা আরও হেসে কথা বলে।
Leader: কীরে কথা কানে যাই না??নাকি সকালে যেমন তোর বাপকে কেলিয়েছিলাম সেভাব তোকেই কেলাবো??
★এমন কথা শুনে কাব্য আর নিজেকে কন্ট্রোল দিতে পারেনা তাই গতিবেগে লোকটির কাছে যেয়ে সোজা ডান সাইড এর গলার কাছে ধরে এতো জোরে মাটির দিকে ধাক্কা দেই যে লোকটি পড়ে যেয়ে মুখ থেকে রক্ত বেরিয়ে যাই।
এমন মাইর দেখে বাকি চারজন ভয়ে কেঁপে উঠে এবং সাইডে দাঁড়িয়ে যাই।
Leader: ওই তোরা কী দেখছিস মার ও কে (কাঁপাকাঁপা গলাই)
একজনঃ না বস আমরা ইনার সাথে পারব না মাফ চাই(ভয়ে ভয়ে কাব্যর দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেনা। আর কাব্য পুরো হিংস্রতার মতো হয়ে গেছে তাই লোকটিকে দাড় করাই তার মুখ দিয়ে অবিরাম রক্ত বের হচ্ছে সাথে মাথাই চক্কর দিচ্ছে সঠিকভাবে দাড়াতেও পারছে না।
–
দাঁড়ানো পর
–
কাব্যঃ আমার বাবা কে মেরেছিস তাইনা??(ঠোঁটের কোণে শয়তানি হাসি দিয়ে) এবার দেখ আমার বাবাকে মারার শাস্তি কেমন।
*লোকটির কপালে মুষ্টিবদ্ধ করে এতো জোরে আঘাত করে যে সেখানে থেকে লোকটি যেয়ে দেওয়াল এর সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাই।
কাব্য আবার যেয়ে তার ডান হাতটি ধরে।
কাব্যঃ এই হাত দিয়ে মেরেছিস? এটা? আরে আমার বাবার গায়ে কেউ চুল পরিমাণ আঘাত করতে পারেনা আর তুই? তুই কোথাকার কে রে????
*জোরে চেঁচিয়ে কাব্য লোকটির হাতটি দুমড়ে-মুচড়ে দেই আর লোকটি এতো জোরে এতো জোরে আঃ করে চেঁচিয়ে উঠে যে পাশের সবাই এতো পরিমাণ ভয় পাচ্ছে যে চুল পরিমাণ নড়ছেনা। তারা লক্ষ্য করছে তাদের সামনে মানুষ রুপে একটা হিংস্র জানুয়ার দাঁড়িয়ে আছে একেবারে চোখমুখ কাপছে তার।
**
*কাব হাতটি ছেড়ে দিয়ে তার পায়ের কাছে যাই তারপর-
কাব্যঃ আর যদি আমার ফ্যামিলির ধারের কাছে আসিস তাহলে সেদিনই তোর শেষ দিন।
*লোকটির পা দুটো চেপে ধরে শক্তির সাথে তাকে দূরে ছুড়ে মারে এবং লোকটি সেখানেই অজ্ঞান হয় কি শেষ হয়ে যাই বোঝাই যাচ্ছেনা।
*কাব্য সেখানে আর একটুও না দাঁড়িয়ে রাগী মেজাজে সেখানে থেকে চলে আসে আর পাশের সবাই হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে।
*
কাব্য সেখানে থেকে সোজা বাসাই রওনা দেই এবং কিছুক্ষণ এর মধ্যে পৌছে যাই।
***
কাহিনি টা এমন ঘটেছিল ঠিক যে কাব্য নীলাকে ডাক দেওয়ার সময় তার বাবার সাথে দেখা হয় এবং তার বাবা বলে
বাবাঃ চলো কাব্য একটু ঘুরে আসা যাক।
কাব্যঃ বলছ??
বাবাঃ হুম চলো চলো আবিরকেও বলেছি ও আসছে।
কাব্যঃ আচ্ছা চলো।
*তারপর তিনজন মিলে বাইরে যাই একটু দৌড় দিতে তিনজন মিলে ভালোই যাচ্ছে দৌড়াতে দৌড়াতে। হঠাৎ করেই কাব্যর বাবার একজন এর সাথে ধাক্কা লাগে পাশ দিয়ে যেতে যেয়ে।
বাবাঃ sorry sorry(বলেই যেতে যাবে তখনিই লোকটি ডাক দেই)
লোকটিঃ ওই থাক।
*তিনজনই থেমে দাড়াই
লোকটিঃ এদিকে এগিয়ে আই(কাব্যর বাবাকে উদ্দেশ্য করে)
*লোকটির সাথে আরও তিনজন আছে মাস্তান টাইপ এর.
*কাব্যর বাবা লোকটির সামনে এসে দাড়াই তখনই ঠাসসসসসসসস।
*লোকটি কাব্যর বাবাকে চড় মারে।
লোকটিঃ বুড়ো হয়ে গেছিস দেখে চলবি কেমন? যা এবার।
*কাব্যর বাবা কিছু না বলেই সেখানে থেকে আসতে যাবে আর কাব্য রেগে যেয়ে দ্রুত এসে লোকটির গালে ঘুষি মারে তারপর তার বাবা সাথে সাথে জোর করে তাকে সেখানে থেকে নিয়ে যাই এই হলো ঘটনা তখন থেকেই কাব্যর মেজাজ গরম কিন্ত কাব্যর বাবা বা আবির কিছুই বলতে পারছেনা বললেই ওর মেজাজ খারাপ হয়ে যাবে।
***
***
কাব্য বাসাই পৌছে যেয়ে রুমে এসে দেখে তানিশা বাচ্চার মতো গুটিয়ে শুয়ে আছে এটা দেখে মুখের কোনে একটু হাসি ভেসে উঠে। সে হাটতে হাটতে তানিশার পাশে যাই এবং হাটুগেড়ে বসে তানিশার কপালে আলতো করে একটা ভালোবাসার পরশ একে দেই। তারপর ফ্রেশ হতে চলে যাই।
ফ্রেশ হয়ে এসে তানিশার একপাশে সুয়ে পড়ে একটু ভাবে যে”” এখন তোমার রাগ ভাঙানোর উপাইগুলো কাজে লাগাতে হবে যেগুলো তাহিয়া বলেছিলো “” এটা ভেবেই ঘুমিয়ে যাই।
#জানি ভালো করে লিখতে পারিনা তবে কি একটু কমেন্ট এ উৎসাহ দেওয়া যাই না??
চলবে