lovable Part : 17

0
1099

lovable Part : 17
Writer : Kabbo Mahmud

******
সূর্যের কিরণ রুমের ভেতরে প্রবেশ করে রুমটি আলোকিতময় হয়ে উঠেছে ঠিক তখনই কাব্যর ঘুম ভেঙে যাই এবং সে তার বুকের উপরে কিছু একটার ভারী অনুভব পাই। তার মনে হচ্ছে বুকের উপরে কোন কিছু চেপে রয়েছে। তাই ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকানো মাত্রই সে অবাক।
তানিশা কাব্যকে বুকের মাঝে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে রেখেছে যেটা কাব্য খেয়াল করতেই ঠোঁটের কোণে একচিলতে হাসি ফুটে উঠে।
*
কাব্যও তানিশাকে তার বাহুডোরে আটকে নিয়ে তার দিকে চেয়ে থাকে””কত মিষ্টি মায়াভরা তোমার চেহারা তোমাকে ছাড়া আর কাউকে দেখতে ইচ্ছেই করেনা কি যেনো একটা আছে তোমার মাঝে যেটা আমাই তোমার খুব কাছে টানে কিন্ত সমস্যা একটাই তুমি পিচ্চি যার জন্য কাছে গেলেই তুমি পাগলামো করবে। আমাদের পরিচয়টা মনে হয় কারোর জীবনে এমনভাবে হয়নি। আমাদের পথ চলার শুরু যে কীভাবে শুরু হয়েছে সেটা যে কেউ শুনলে অবাক হবে”” কাব্য তানিশাকে নিয়ে মনের অজান্তেই ভেবে চলেছে কিন্ত তার এটা খেয়াল নেই যে তানিশারও ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর তানিশা কাব্যর দিকে লক্ষ্য করে দেখে কাব্য তার দিকে চেয়ে আছে তাই সেও ওমন করে তাকিয়ে আছে।
তানিশাঃ এই যে মিস্টার আপনি এভাবে কি দেখছেন শুনি? এভাবে নজর দিবেন না বুড়ি হয়ে যাবো।
*তানিশার কথাতেও কাব্যর ঘোর শেষ হচ্ছেনা তাই তানিশা বিরক্তি নিয়ে কাব্যর বুকের উপর থেকে উঠে পড়ে যার কারণে কাব্যর ঘোর ভেঙে যাই।
**
কাব্যঃ কী হলো উঠলে কেন?
-তানিশা কাব্যর সাথে কোনরকম কথা না বলেই উঠে ফ্রেশ হতে চলে যাই। আর কাব্য কিছুই বুঝতে পারছে না।
কাব্যঃ এর আবার হলো?? রাতের রাগ এখনো আছে মনে হয়?
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

থাকবেই না কেন ও তো কোন কারণ ছাড়াই মেরেছি।(মনে মনে)
*কাব্য উঠে বসে অপেক্ষা করতে থাকে তানিশার ***দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তানিশা বের হয়। কাব্য লক্ষ্য করতেই……….
…………………………..!!!!!!
যেন এক রোমান্টিক সময় দুজনের মাঝে। কাব্য অধির আগ্রহে তানিশার দিকে চেয়ে আছে থাকবেই না কেন এতোটা সুন্দর লাগছে তাকে যে নজর সরাতেই পারছেনা। শাওয়ার নেওয়াতে ভেজা চুল হাত দিয়ে ঠিক করছে আর মুখটি রাগী মেজাজে রেখেছে যেটা মায়াবতীর থেকে একটুও কম না।
তানিশা এসে আয়নার সামনে বসে চুল আছড়াতে শুরু করলো। আর কাব্য অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছে তানিশার দিকে।
****
****
তানিশাঃ বজ্জাত ছেলে আমাই তুই মেরেছিস! আমার বাবা-মা স্যার ও আমায় মারার সাহস পাইনি উলটে আমিই তাদের উপর দিয়ে ঘূর্ণি ঝড় বয়ে দিয়েছি আর তুই! খচ্চর,ডেভিল,এন্যাকন্ডা,ডাইনোসর, আমাকে মেরেছিস বাট্টা ইঁদুর তোকে আমি ছাড়ব না । **(মনে মনে)
*তানিশা মনে মনে কাব্যর চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছে আর চুলের উপর যতো রাগ সব তুলছে কিন্ত সেটা তার খেয়াল নেই আন্দাজ এর মধ্যে তার চুলের অবস্থা সে কি করছে।
যখনিই আয়নার দিকে লক্ষ্য করে দেখে তার চুল এর অবস্থা শেষ……….. তানিশা নিজের চোখকে বিশ্বাসই করতে পারছেনা এতোক্ষণ কি করছিল তার চুল নিয়ে।
তানিশাঃ আাাাআাাাা ভূউউউউত(চিল্লিয়ে উঠে)
কাব্যঃ কী হয়েছে?(তানিশার কথাই নিজেকে ঠিক করে)
তানিশাঃ আপনিইইইইইইইই আজ বাঁচতে পারবেন না আমার হাত থেকে দাঁড়াবেন!!!!!!
*তানিশা সেখানে থেকে উঠে লাফ দিয়ে বিছানায় উঠে কাব্যর বুকের উপরে উঠে বসে।।
তানিশাঃ আপনিইই আস্ত একটা ইইইইইইইইই(মেজাজ খিটমিটে করে)
কাব্যঃ whatever?? কী?.
তানিশাঃ দেখুন দেখতে পাচ্ছেন না?(কাব্যর শার্ট এর কলার চেপে ধরে) ওই মিয়া আপনার জন্য দেখুন আমার চুপ এর কী হয়েছে!! দেখুন দেখুন”
কাব্যঃ তো? আমার জন্য কেন? আমি কি করলাম?
তানিশাঃ কিছু করেননি?? কি করেননাই আপনি? ওতোটুকু আবোলা বাচ্চাকে একা পেয়ে রাতে মেরেছেন ওটা ভাবতে যেয়েই এটার এই অবস্থা(কাঁদোকাঁদো কন্ঠে) আমার স্বাদের, যত্নের, প্রাণের, জিগার এর চুল কী হয়ে গেলো এখন আমি কি করব?? এ্যাাাায়ায়ায়ায়া(ন্যাকাকান্না করে)
কাব্যঃ stop, চুপ করো। আর এটার জন্য আমি দায়ী না আমি কি তোমায় আমাকে নিয়ে ভাবতে বলেছি?
তানিশাঃ ভাবতে আবার বলা হয়? আপনি আমার চুল ঠিক করে দিবেন নামুন বলছি নামুন।
কাব্যঃ বাহ্ তুমি তো খুব ভালো (মনে মনে)
*তানিশা বসে যাওয়ার পর কাব্য পেছনে দাঁড়িয়ে একদম কাছে থেকে তানিশার চুলগুলো আছড়ে দিচ্ছে।
হঠাৎ কাব্য লক্ষ্য করে তানিশার চুল থেকে একটা পাগল করা ঘ্রাণ বের হচ্ছে যেটা তাকে খুব কাছে টানছে :অনেক কাছে। কাব্য আর কিছু না বুঝে তানিশার চুলের মধ্যে নাক ডুবিয়ে দিয়ে জোরে নিশ্বাস নেই যেটা তানিশা বুঝতে পারে।
তানিশাঃ এটা কি হচ্ছে? এমন করছেন কেন??
কাব্যঃ তোমার চুলের ঘ্রাণ নেশার মতো কেন? ছাড়তে ইচ্ছে করছেনা।
তানিশাঃ ইহহহ ছাড়ুন বলছি জানেন এই সুগন্ধ নিয়ে আসতে কতো কিছু ব্যাবহার করতে হয়।
কাব্যঃ সমস্যা নেই এবার থেকে আরও বেশি বেশি করে ব্যাবহার করবে।
নীলাঃ ভাইয়া তোদের ঘুম ভাঙলে নিচে আই।
*নীলার কথা শুনে তানিশা উঠে পড়ে।
তানিশাঃ উফফ অনেজ দেরী হয়ে গেছে আজ কী হবে এবার?
কাব্যঃ আর একটু??
তানিশাঃ কী??
কাব্যঃ ওইযে(চুলের দিক উদ্দেশ্য করে)
তানিশাঃ যান এখান থেকে লুচুর মতো বউ এর পেছনে পড়ে থাকে সারাক্ষণ।
কাব্যঃ বউটা আমার(কোমরে হাত দিয়ে কাছে টেনে নিয়ে) তাই আমার বউ এর পেছনে আমি যখন ইচ্ছে পড়ে থাকব তাতে তোমার কী?

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
তানিশাঃ আচ্ছা তাহলে আপনার বউ এর পেছনেই পড়ে থাকুন আমাই ধরছেন কেন?
কাব্যঃ তুমিই তো আমার বউ!
তানিশাঃ হ্যা সেটাই তো বলছি আমার পেছনে যান তারপর পড়ে থাকুন।
কাব্যঃ হা হা হা(মুচকি হাসি দিয়ে) কীসব বলো তুমি এসব খুব ভালো পারো।
তানিশাঃ কোয়ালিটি আছে বস্ (স্টাইল নিয়ে)
কাব্যঃ হুম আমার বউ বলে কথা।
তানিশাঃ এখন ছাড়বেন নাকি আজকের খাওয়া বন্ধ করে দেবো আপনার?
কাব্যঃ কীভাবে?
তানিশাঃ না ছাড়লে খেতেই দেবো না।
কাব্যঃ লাগবে না খাবার শুধু ওইটা দিয়ো(ঠোঁট এর দিকে ইশারা করে)
তানিশাঃ ছিঃ ছিঃ লজ্জা বলে কি কিছু নেই? কীসব বলছেন?
কাব্যঃ…………..
তানিশাঃ এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?
কাব্যঃ না মানে এটা তানিশা নাকি অন্য কেউ?
তানিশাঃ আমি ভুত খাবোওও হুহু (আঙুলগুলো বাকিয়ে)
কাব্যঃ থাক খেতে হবেনা আমি ফ্রেশ হয়ে আসি..
*কাব্য চলে যাওয়ার পর তানিশা…
তানিশাঃ আস্ত একটা ঘাড়ত্যাড়া একটুও আমার সাথে ফাজলামো করতে পারেনা হুহ।
*তারপর তানিশা কিছুক্ষণ নিজেকে ঠিক করে নিচে চলে যাই।
**নিচে এসে দেখে সবাই মিলে বসে গল্প করছে এটা দেখা মাত্রই তানিশা কিছুটা লজ্জাবোধ করে কেননা সবার পেছনে সে বের হচ্ছে এটা ভেবে।
*****
*****
তাহিয়াঃ কী হলো তানিশা?? এখানে আই।
মাঃ এসো তোমাদের জন্য বসে আছি চলো খেতে চলো।
তানিশাঃ হুম(মাথা নিচু করে)
মাঃ (উঠে দাঁড়িয়ে) উফফ এই মেয়ের কখন কী মুড থাকে বোঝা যাই না। লজ্জা পাচ্ছ কেন শুনি?
তানিশাঃ আমার কোন দোষ নেই সব আপনার ছেলের দোষ উনিই আমার জোড়িয়ে ধরে রেখেছিলেন ছাড়ছিলেনই না কী করবো বলুন? এর জন্যই আসতে দেরী হয়ে গেলো। আপনার ছেলে তো একটা আস্ত লুচু শুধু লুচি না লুচুর হাড্ডি।(একদমে বলে বেচারি হাপিয়ে উঠেছে)
*সবাই চুপ করে আছে কেউ কিছুই বলছেনা। কেন বলছেনা সেটা তানিশা বুঝতেও পারছেনা।
তানিশাঃ কি হলো কিছু বলছো না কেন তোমরা? ওই জানেন ওই উল্লুক আমার রাতে……..(বাকিটা বলতে না দিয়েই)
কাব্যঃ তানিশা (রাগী কন্ঠে)
*তানিশার কথা বলতে বলতে কাব্যও নিচে নেমে এসে সবকিছু শুনে ফেলে যেটা তানিশার খেয়াল নেই। কিন্ত কাব্যর কথা বলা মাত্রই তানিশা চমকে উঠে পেছনে তাকাই।
তানিশাঃ ভাগলো তানিশা নেহি তো আজ এ তুজকো ছোড়েগা নেহি(বিড়বিড় করে) মা মা মা(দৌড়ে যেয়ে কাব্যর মায়ের পেছনে চলে যেয়ে) তোমার মেয়েকে বাঁচাও মা তা না হলে এক এন্যাকন্ডা আজ তোমার মেয়েকে খেয়েই ফেলবে।
(ভয় পেয়ে)
মাঃ কাব্য চুপচাপ খেতে বসো(শাসন দেখিয়ে)
কাব্যঃ হুম। (চুপচাপ টেবিলে বসে পড়ে)
*সবাই খাবার টেবিলে বসে পড়ে । কেউ কোন কথা বলছেনা কেননা কাব্য খুব রেগে গেছে যেটা সবাই বুঝতে পারছে। আর তানিশা ঠিকই কুটকুট করে যাচ্ছে উনি আর থেমে নেই।
তানিশাঃ বলছিলাম যে মা গোমড়া মুখোদের কিছু ভালো লাগেনা তাইনা?
মাঃ তানিশা চুপ(মুখে আঙুল দিয়ে) এমন কথা নয় কাজের কথা বলো।
তানিশাঃ ওহ হ্যা বলছিলাম যে মা একটা ছিচকে বিড়াল আছে আমাদের এই বাসাই যেটা আমার প্রতি খুব টর্চার করে কি করা যাই বলুন তো?.
মাঃ এই মেয়ে কি করছে সে নিজেই জানেনা এবার কি হবে?(মনে মনে)
নীলাঃ তানিশা চুপ কর(ধীর গলাই)
আবিরঃ ভাবির কাম তামাম।
*কাব্য আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে উঠে দাঁড়িয়ে সোজা তানিশার কাছে এসে ওর হাতটি চেপে ধরে টানতে টানতে বাইরে গাড়িতে করে নিয়ে যাই যেটার কিছুই তানিশা বুঝতে পারেনা কিন্ত এটা বুঝতে পারে তার উপর দিয়ে কিছু একটা যাবে। আর তাদের পরিবার তো কিছুই বলতে পারছেনা। তাহিয়াও কিছু বুঝতে পারছেনা কিন্ত তাহিয়া বাদে সবাই জানে কাব্যর রাগ উঠে গেলে সে কী কী করতে পারে।
#_____________চলবে________________


#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।



#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here