lovable Part : 18
Writer : Kabbo Mahmud
******
*কাব্য গাড়ি এতো দ্রুত চালাচ্ছে যেটা তানিশা দেখে আরও বেশি ভয় পেয়ে যাই।
তানিশাঃ বলছিলাম যে আপনি কি আমাই দূরে কোথাও নিয়ে যেয়ে মেরে ফেলবেন?(কাঁপাকাঁপা কন্ঠে)
কাব্যঃ হুম..
তানিশাঃকীহহহহ!!! আপনি আমাই মেরে ফেলবেন?কেন আমি কি করেছি আপনার? আপনার বউ হয়ে কী আমার উচিৎ হয়নি এমন করা? এভাবে একটা বাচ্চাকে মেরে দিবেন(কাঁদোকাঁদো কন্ঠে) মাত্র বিয়ে হলো এখনো সংসার করতে পারলাম না বাচ্চাকাচ্চা হলো না এ্যাাাায়্য্য্য(এবার কেঁদেই দিয়েছে ন্যাকা কান্না) কত শখ জানেন? বাচ্চাকাচ্চার বিয়ে দেওয়ার আর আপনি আমাই এভাবে নিয়ে যেয়ে মেরে দিবেন এ্য্য্য্যয়্য্য্য্য আপনার সাথে আমি খেলবো না।
কাব্যঃ whatever? তুমি কী আমার সাথে খেলা করছো?
তানিশাঃ না মানে আপনি আমাই রাতে মেরেছেন আবার এখন মেরে ফেলবেন এতো ডেভিল কেন আপনি? ডেভিল শয়তান বাদর ডাইনোসর কোথাকার নিরীহ বাচ্চার উপর অত্যাচার করেন।
কাব্যঃ চুপ একদম চুপ বেশি কথা বললে এক্ষুনি গাড়ি থেকে ফেলে দেবো।
তানিশাঃ
কাব্যঃ হুম এভাবেই থাকবে।
***
অবশেষে কাব্য একটি Oceans এর কাছে এসে গাড়ি থামালো। আর তানিশা বেচারি এটা দেখে ভয়ে চুপচাপ বসে আছে নড়াচড়া বা কোন কথা বলছেনা..
কাব্যঃ নামো।
তানিশাঃ না…
কাব্যঃ কেন?
তানিশাঃ আমি বুঝে গেছি আপনি আমাই একটুও ভালোবাসেন না আমাই নিয়ে যে সমুদ্রের পানিতে ডুবিয়ে মেরে ফেলে রেখে আসবেন(অসহায় এর মতো তাকিয়ে)
কাব্যঃ উফফ আর কতোটা বাচ্চা তুমি? এবার বুদ্ধিটা ঠিক করো।
তানিশাঃ মানে?
কাব্যঃ মানে rubbish এর মতো না থেকে serious থাকতে পারো না? তোমার এসব দুষ্টুমি আমার আর ভালো লাগছেনা দয়া করে এসব বন্ধ করো প্লিজ!!(রেগে যেয়ে)
*কাব্যর কথাই তানিশা আর কিছু না বলেই চুপচাপ গাড়ি থেকে বের হয়ে আসল। তারপর কাব্য হাটতে শুরু করলো আর তানিশা তার পিছু পিছু যাচ্ছে।
***
যেতে যেতে সামনে বসার মতো একটা জায়গা ছিলো যেটাতে কাব্য বসে আর তার সামনে তানিশাও বসে।
★
কাব্যঃ কী খাবে?
তানিশাঃ কিছুনা।
কাব্যঃ বলো””
তানিশাঃ আমার ক্ষিদে নেই।
কাব্যঃ বলবে কী না??(দাঁতে দাঁত চেঁপে)
তানিশাঃ আচ্ছা ঠিক আছে ভাত খাবো।
কাব্যঃ what?? এখানে তুমি ওসব কীভাবে পাবে?
তানিশাঃ তাছাড়া আর কিছু খাবো না।
কাব্যঃ wait…..servant.
লোকটিঃ yes sir
কাব্যঃ menu টি দাও।
লোকটিঃ এই নিন স্যার।
কাব্যঃ হুম এটা দেখে বলো কোনটা পছন্দ??
তানিশাঃ এই তিন নম্বর আর সাত নম্বরটা নিয়ে আসবেন।
লোকটিঃ ok mam.
*লোকটি চলে যাওয়ার পর কাব্য তানিশার দিকে খেয়াল করতেই সে তানিশাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই।
বাতাসের গতিতে তানিশার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে আর মুখে এসে বিরক্ত করছে যেগুলো কাব্য দেখে যেন তানিশার প্রতি আরও একবার প্রেমে পড়ে।
কাব্যঃ উফফ প্রেমে পড়ার কী আছে কাব্য বিয়ে তো হয়েই গেছে(মনে মনে) বলছি যে চুলগুলো বেধে রাখো।
তানিশাঃ কেন?
কাব্যঃ বেশি প্রশ্ন কেন? বেধে রাখতে বলেছি **একটু শাসন করে নিই তোমাই(মনে মনে)
তানিশাঃ বুঝেছি আপনি এখন আমার সবকিছুতেই বিরক্ত হচ্ছেন আচ্ছা ঠিক আছে আমি এখন থেকে অন্য রকম ভাবেই আপনার সামনে চলব।(মনে মনে)
কাব্যঃ আমি চাইছি না তোমার এই সৌন্দর্য অন্য কেউ দেখবে তাই এমনটি করলাম sorry dear.(মনে মনে)
*কিছুক্ষণ এর মধ্যে খাবার চলে আসার পর তানিশা কোন কথা না বলেই খাওয়া শুরু করে এবং কাব্য সেটা চেয়ে চেয়ে দেখছে।
কাব্যঃ মনে হয় পিচ্চিটা রাগ করেছে(মুচকি হাসি দিয়ে) নাহলে এতোক্ষণে ঠিক বলতো যে”আপনি এভাবে তাকিয়ে থাকলে আমার পেট খারাপ করবে” কী করি তোমার বাচ্চামো এতোটা বেশি যে স্বামী স্ত্রীর কথা বাবা-মায়ের সামনে বলছো এটা দেখে মেজাজ ঠিক ছিলো না। (মনে মনে)
*কাব্য আর কিছু না ভেবে তানিশার দিকে চেয়ে আছে আর খাচ্ছে। বেশ রোমান্টির দৃশ্য এটা আশেপাশে অনেকেই আছে কিন্ত এমনটা নয়।
বেঁচে থাকুক ভালবাসা এভাবেই।
**খাওয়া শেষ হওয়ার পর কাব্য
****
কাব্যঃ চলো একটু ঘুরে আসি?
তানিশাঃ হুম..
*তানিশা আর কিছু না বলেই উঠে হাটতে লাগল আর কাব্য**ভ্যাবাচেকা খেয়ে উঠে দাঁড়াল
কাব্যঃ কী ব্যাপার? আমাকে রেখেই চলে যাচ্ছে(মনে মনে)
* কাব্যও তানিশার পাশে হেটে চলে যাই তারপর………… দুজনে হেটে হেটে যাচ্ছে এর মাঝে কাব্য তানিশার হাতটি ধরতে গেছে কিন্ত তানিশা বিভিন্ন অযুহাতে হাতটি সরিয়ে নিচ্ছে।
কাব্যঃ এমনটা না করলেও হয়!
তানিশাঃ কী?
*কাব্য তানিশার হাতটি জোর করে নিয়ে চেপে ধরে…
কাব্যঃ এসব জায়গাতে এভাবে চলতে হয়।
তানিশাঃ oh.আমার জানা ছিলো না”
কাব্যঃ জেনে নিবে এখন থেকে।
তানিশাঃ হুম।
*এটুকুই শুধু এরপর আর দুজনের মাঝে কোন কথা নেই যা কথা সব মনে মনে। দুজনে একে উপরের হাত ধরে হেটে যাচ্ছে আর প্রকৃতির এক অপরুপ দৃশ্য দেখছে কিন্ত কাব্য একটু অন্য রকম প্রকৃতিই দেখছে♪ সে তানিশার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে যেটা তানিশা বুঝতে পেরেও
কিছু বলছে না।
***প্রায় এভাবেই অনেক্ষণ ঘুরে বেড়ানোর পর তানিশার আর ইচ্ছে করছে না এমন চুপচাপ হেটে বেড়াতে। কীভাবেই ইচ্ছে করবে তার! যে মেয়ে দুষ্টুমি ছাড়া থাকতেই পারে না সে অনেকক্ষণ যাবৎ চুপ করে আছে কোন কথাই বলছেনা আর পাশে থাকা প্রিয়জন তার দিকে চেয়েই আছে। যেটা তার কাছে এখন বিরক্তি হয়ে উঠেছে।
***
তানিশাঃ আমি বাসাই যাবো।
কাব্যঃ কেন?
তানিশাঃ ভালো লাগছেনা কিছু।
কাব্যঃ আর একটু!!
তানিশাঃ আপনি থাকেন আমার আর এক মূহুর্ত এখানে থাকতে ইচ্ছে করছে না(বলেই চলে যেতে লাগল)
কাব্যঃ আরে আরে দাড়াও আমিও যাবো নাকি??
তানিশাঃ আমার সাথে আপনার কী? থাকেন না আরও অনেকক্ষণ থাকেন বেটা লুচু কোথাকার জীবনে যেন মেয়ে দেখেনি হুহ এভাবে কেউ তাকিয়ে থাকে কারোর দিকে! আবার একটা কথাও বলতে দিচ্ছেনা(বিড়বিড় করে)
কাব্যঃ উফফ এই মেয়ে আর কত কী জানে! এবার ঠিক করা লাগবে নাহলে হবে না আস্তে আস্তে অভিমান বেড়েই যাচ্ছে…
*তানিশা যেয়ে গাড়িতে বসে পড়ে আর কাব্য প্রায় কিছুক্ষণ পর আসলো সাথে একটা বক্স ও ছিলো যেটা গাড়িতে বসে তানিশার একদম পাশে রাখল।
কাব্যঃ এটাতে অনেক অনেক রকমের চকলেট আছে খেতে যে এতো সুন্দর লাগে কী বলব তোমাই একদম সেইরকম একবার খেলে আরও খেতে মন চাইবে । আমার খুব প্রিয় এগুলো বাসাই যেয়ে খাবো।
তানিশাঃ এতোটাই সুন্দর?(অসহায় এর মতো তাকিয়ে)
কাব্যঃ হুম খুব নাম করা চকলেট এগুলো যেকোন জায়গাতে পাওয়া যাই না।
তানিশাঃ তো আমাকে কী বলছেন? চলুন… **(রেগে যেয়ে অন্য দিকে ঘুরে তাকাই)
প্রায় বাসায় পৌছে যাবে তখনই কাব্য তানিশাকে বলে।
কাব্যঃ বক্সটি খুলো তো তানিশা।
তানিশাঃ কেন?
কাব্যঃ যা বলছি সেটা করবে বক্সটি খুলে একটি চকলেট বের করো।
তানিশাঃ এ ডেভিল আবার চকলেট প্রিয় কবে থেকে হলো??
*তানিশা বক্সটি খুলে একটি চকলেট বের করতেই অবাক।
তানিশাঃ এতো সুন্দর??? নাহ্ এই ডেভিল কে দেওয়া যাবে না বেটা বজ্জাত নিজে খাবে তার যে একটা বউ আছে সেদিকে কোন খেয়াল নেই(মনে মনে)
কাব্যঃ কী ভাবছো দাও??
তানিশাঃ খাবেন???
কাব্যঃ হুমম দাও দাও।
*কাব্যর হাতে দেওয়ার পর সে খেতে লাগে আর পাশে একজন তো রেগেমেগে শেষ।
কাব্যঃ উফফফ কী বলবো তোমাই এতো সুন্দর লাগছে না??উমমমম।।
তানিশাঃ খুব সুন্দর??
কাব্যঃ বোঝাতে পারবো না ইসস্ ****হুম খুব সুন্দর লাগছে যা খাইনি সেটা আজ খেতে হচ্ছে(মনে মনে)
তানিশাঃ থাক আর খেতে হবেনা আমাই দিন(কাব্যর হাতে থেকে কেড়ে নিয়ে) আইছে চকলেট খেতে তখন থেকে চুপ করে আছি আর না। বুড়ো বেটা চকলেট খাবে শখ কতো!!
কাব্যঃ কী বললে??
তানিশাঃ কী বললাম?পছন্দ হয়নি? নাহলে কানে তুলো দিয়ে রাখুন।
কাব্যঃ পাজী মেয়ে একটা(মনে মনে) দাও আমার চকলেট গুলো।
তানিশাঃ কী বললেন আবার বলেন?
কাব্যঃ আমার চকলেট দাও।
তানিশাঃ কোথাই আপনার চকলেট? আমি তো দেখছিনা।
কাব্যঃ তোমার কাছে ওটা কী?
তানিশাঃ ওহ এটা আমার চকলেট। আমার কাছে যেহেতু আছে তাই এটা আমার(মুচকি হাসি দিয়ে)
কাব্যঃ হুম রাগ তাহলে কমেছে(মনে মনে) আচ্ছা দেখে নেবো।
তানিশাঃ সারাদিনই তো দেখলেন আবার কতো দেখবেন?
কাব্যঃ আমার বউকে সারাদিন কেন? সারাজীবন দেখবো কোন সমস্যা?
তানিশাঃ না না লুচুর তো ওটাই কাজ।
কাব্যঃ কী বললে?(দাঁতে দাঁত চেঁপে)
তানিশাঃ ক…ই কী বললাম?বাসাই চলুন সবাই টেনশন করছে।
কাব্যঃ টেনশন করার কী আছে?
তানিশাঃ ওমা কই কি পোলাটা আমারে যে আপনি ধইরা লইয়া আইলেন ভুইলা গেছেন?
কাব্যঃ আচ্ছা ঠিক আছে এবার চুপ করে থাকো।
**কাব্য বুঝে গেছে এখন আর তানিশার সাথে পেরে উঠবে না তাই চুপচাপ গাড়ী ড্রাইভ করতে লাগলো। আর তানিশা কাব্যর পাশে বসে বাচ্চাদের মতো চকলেট খেয়েই যাচ্ছে যেটা কাব্য লক্ষ্য করছে আর মাঝেমাঝে তানিশাকে বকাও দিচ্ছে। কিছুক্ষণ পর দুজনে বাসাই পৌছে গেল।
#_____চলবে_________