lovable Part : 21 and last part
Writer : Kabbo Mahmud
……..
…………….
কাব্যর ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর চোখ মেলে দেখে তানিশা গুটিসুটি মেরে বাচ্চাদের মতো ঘুমিয়ে আছে। কাব্য একটূ হেসে দেই এটা ভেবে যে এতো বড় হয়ে যাওয়ার পরেও একটুও বাচ্চামো স্বভাব তানিশার ভেতরে থেকে যাইনি। এভাবে ভাবতে ভাবতে
****
হঠাৎ কাব্যর ফোনটি বেজে উঠলো *একটু হাত বাড়িয়েই ফোনটি রিসিভ করে।
কাব্যঃ হ্যালো ;;;
কাব্যঃ আচ্ছা ঠিক আছে আমি রেডি হয়ে আসছি।
**********
কাব্যঃ এই তানু…..
তানিশাঃ উমমমম…..
কাব্যঃ উঠো তো আমাই একটু বাইরে যেতে হবে।
তানিশাঃ যাও আমাই কী বলছো?(ঘুমঘুম কন্ঠে)
কাব্যঃ কীভাবে যাবো তুমি তো আমার বুকের উপরে।
তানিশাঃ ওহ তাহলে বুকটি রেখে চলে যাও।
কাব্যঃ what? এই তানু এতো ঘুম কোথাই থেকে আসে?
তানিশাঃ তোমার স্পন্দন থেকে।
কাব্যঃ বাব্বাহ আমার বউটা তো দেখি রোমান্টিক হয়ে গেছে(মুচকি হাসি দিয়ে)
তানিশাঃ কেন থাকতে নেই বুঝি?(কাব্যর দিকে তাকিয়ে)
কাব্যঃ হুম আছে তো।
তানিশাঃ উঠতে বললেন কেন?
কাব্যঃ ওহ আসলে অফিসে অনেক কাজের সমস্যা হয়ে গেছে কেউ মেলাতে পারছেনা আবির বাবা আর আমিও অনেকদিন যাইনি সব ওদের উপর দিয়ে এসেছি আর বুঝিয়েছি ওরা ওদের মতো কাজ করে গেছে এখন ফোন দিয়ে বলল আপনাদের একটু সাহায্য লাগবে কিছুকিছু সমস্যা আছে যেগুলো বুঝে উঠতে পারছিনা।
তানিশাঃ তারা কাজে ফাঁকি দেই না?
কাব্যঃ দেবে কীভাবে? বাবা আছে না! সবার সাথে মিশুক এতো গভীর সম্পর্ক সবার সাথে যে কেউ আমাদের ক্ষতি চাই না।
তানিশাঃ oh… আচ্ছা তাহলে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিন।
কাব্যঃ হুম।
*তানিশা ও কাব্য দুজনে ফ্রেশ হয় সাথে কাব্য অফিসের জন্য রেডি হয়ে। নিচে এসে দেখে সবাই মিলে বসে আছে।
কাব্যঃ আমাদের এমনিই হবে তাইনা?
তানিশাঃ কী?(নামতে নামতে)
কাব্যঃ কোনদিন আগে উঠতে পারব না। দেখ সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
তানিশাঃ তাতে আমাদের কী? অপেক্ষা করুক।(দুষ্টুমির হাসি দিয়ে)
কাব্যঃ হুম আবার শুরু(মনে মনে)
*তারপর সবাই মিলে খেতে বসে + এর মাঝে সবার কথা চলছে।
****
খাওয়া শেষে কাব্য উঠে বলে আমাকে একটু অফিসে যেতে হবে ফোন এসেছিল তাদের নাকি কাজের সমস্যা হয়েছে।
বাবাঃ এটা কেমন কথা! আমাই ফোন না দিয়ে তোমাই দিল!
কাব্যঃ সমস্যা নেই যাবো আর আসবো
বাবাঃ হুম তাড়াতাড়ি আসবে আজ তোমার শশুর বাড়ি যেতে হবে কিন্ত(হেসে দিয়ে)
কাব্যঃ হুম
*কাব্য মুচকি হাসি দিয়ে তানিশাকে একটু ইশারা করে চলে গেলো গাড়ি নিয়ে।
******
******
গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে আনমনে। কিছুই ভালো লাগছে না কাব্যর। অনেকদিনপর অফিসে যাচ্ছে কেমন যেন বিরক্তবোধ করছে।
****
গাড়িতে রেডিওটা চালু করে দেই ভালো না লাগার কারণে।
কাব্যঃ এতো বোরিং লাগছে কেন বুঝিনা। এমনটা তো হতো না! এর আগে তো সবসময় অফিসেই থাকতাম কাজ নিয়ে দিন পার করে দিতাম কিন্ত এখন! শুধু বাসাই থাকতেই ইচ্ছে করছে::::::::::::::(মনে মনে)
||||||||
কিছুক্ষণের মধ্যেই কাব্য অফিসে পৌছে যাই তারপর সেখানে থেকে নেমে ভিতরে প্রবেশ করে।
চলতে চলতে যেই ব্যাক্তিই তাকে দেখছে বিভিন্নরকম কথা বলছে আর কাব্য সেগুলোর উত্তরও দিচ্ছে।
একজনঃ গুড মর্নিং স্যার। স্যার আমিই আপনাকে ফোন করেছিলাম।
কাব্যঃ oh.. তা কী সমস্যা মিস্টার ফয়সাল?(কাব্যর বাবার পি.এ)
লোকটিঃ স্যার আমাদের যেই প্রজেক্ট নিয়ে কাজটি ছিলো সেটা নিয়ে আমরা অনেক এগোতে পেরেছি কিন্ত সামনে একটি SK গ্রুপ এর কোম্পানির সাথে যে ডিল করা আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে তাহলে আমাদের দুটো কাজ হয়ে গেলে আমাদের সকল চিন্তা থেকে মুক্ত হওয়া যাবে।
কাব্যঃ হুম চিন্তা করোনা বাবা সব দ্বায়িত্ব আপনার উপরে দিয়ে গেছে তাই আপনি নিজের কাজের মতো করেই সবকিছু ঠিক করে নিন(কেবিনে এসে বসে)
লোকটিঃ জ্বী স্যার সবকিছু আমি মন দিয়েই করব।
কাব্যঃ আবার স্যার??আমি আপনার ছেলের বয়সী হিসাব আছে? আমাই নাম ধরে ডাকবেন।
লোকটিঃ oh.. sorry.. খেয়াল নেই।
কাব্যঃ এবার থেকে যেন খেয়াল থাকে আর হ্যা কি কি কাজ আছে বলেন।
লোকটিঃ কিছু signature লাগবে তোমার তা না হলে(বাকিটা বলতে না দিয়েই)
কাব্যঃ আচ্ছা নিয়ে আসুন যান।
*কাব্য বসে আশেপাশের সবার দিকে লক্ষ্য করে দেখে সবাই কাজ নিয়েই ব্যাস্ত এটা দেখে কাব্য ভাবতে লাগে।
কাব্যঃ আসলেই বাবা তুমি পারোও অনেক কিছু। সবার মাঝে কি দিয়ে গেছো যে সবাই কাজ করেই চলেছে কোন এড়িয়ে চলছেনা।
লোকটিঃ স্যার oh sorry কাব্য!!
কাব্যঃ ওহ হ্যা দাও(ভাবনায় থেকে বের হয়ে)
*****
*****
কাব্য সবকাজ শেষ করে সবার কাছে থেকে বিদাই নিয়ে চলে আসে। সবাই কাব্যকে দেখে আজ অনেক খুশি হয়েছিল খুশি হওয়ারই কথা কেননা অফিসে সবসময় কোন না কোন সমস্যা হলেই রেগে যেত, কারোর সাথে ঠিকভাবে কথা বলত না কিন্ত আজ সবার সাথে হাসি মনে কথা বলাই সবাই আজ যেন তার একটি নতুন রুপ দেখল। সবাই খুব খুশী হয়েছে।
********
কাব্য গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে♪♪ পথটি আঁকাবাকা একটু খারাপ ধরনের,, তারপরও কাব্যর কাছে কিছু মনে হয়না সেই স্পিডেই চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্ত………হঠাৎ করেই যেন গাড়িটা একটু এদিকসেদিক করছে মনে হচ্ছে অতিরিক্ত কিছু গাড়ির চাকার নিচে পড়ে আছে যার জন্য এমন দুলছে।
*****
কাব্য গাড়িটি থামাই এবং বাইরের দিকে খেয়াল করেই দেখে অনেকগুলো পাথর সেখানে পড়ে রয়েছে যার জন্য গাড়ি যাচ্ছেনা।
কাব্যঃ এটা কেমন করে সম্ভব? যাওয়ার সময় তো পথ ক্লিয়ার ছিল তাহলে এখন এমন কীভাবে হলো?
*কাব্য কিছুই ভেবে পাচ্ছেনা। সে গাড়ি থেকে বের হয় আসলো এবং দেখে আশেপাশে কোন গাড়িই নেই। আর এমনিতেও এইদিক দিয়ে তেমন
আসা-যাওয়া হয় না….
কাব্যঃ Amazing shoots…. এমনটা তো এর আগে খেয়াল করিনি।
পেছন থেকে একজনঃ খেয়াল করবি কেমন করে? আর আজ যেহেতু খেয়াল করেছিস সেটা আর কোনদিন পাবিনা।
*কাব্য পেছনে তাকিয়ে দেখে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়ে যাই।
লোকটিঃ আরে আরে ভয় পেয়ে গেছিস?..
কাব্যঃ ভয় তো পেতেই হবে। এই অবস্থা কেন?
লোকটিঃ জেনেও না জানার ভান করিস? কিন্ত এবার তো তোর ও আমার মতো অবস্থা হবে সেদিন নাহয় আমরা প্রস্তুত ছিলাম না কিন্ত আজ! আজ তোকে কে বাঁচাই।
কাব্যঃ তার আগে বল তোরা কীভাবে জানলি আমি এখানে?
**লোকটি জোরে হাসি দিয়ে বলে।
লোকটিঃ তুই কোথাই যাস থাকিস তার সব খবর আমি রাখি।
কাব্যঃ ওহ ভালো করিস। তো এবার যা এখানে থেকে মেজাজ ভালো নেই তোকে দেখে।
লোকটিঃ যাওয়ার জন্য তো আসিনি। এসেছি তোকে এখানে মেরে তোর হাত-পা ভাঙব বলে।
কাব্যঃ দেখ তোর সাথে আমার মারামারি করার কোন ইচ্ছে নেই যা এখানে থেকে। তোকে দেখেই অসহায় এর মত লাগছে কেমন ভাবে দুইহাত… থাক আর বলছিনা।
লোকটিঃ উফফ আমার মেজাজ তুই গরম করে দিয়েছিস অনেক হয়েছে আর না। ওই মার সালাকে।
*কাব্যর কোন ইচ্ছেই ছিলো না এমন মারামারি করার কিন্ত বেশি বাড়াবাড়ি দেখে নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারেনা।
কাব্যঃ আই কে আসবি।
***তারপর আর কি! সিনেমার হিরোদের মতো সবাইকে পিটিয়ে আলুরদম বানাইছে। যে আসছে এমনভাবে মারছে যে আর উঠতে পারছেনা।
*****
*****
প্রায় এভাবে অনেক্ষণ সবাইকে মারার পর কাব্য লক্ষ্য করে আর কেউ আসার মতো নেই।
কাব্যঃ আর কোথাই রে?? আরও নিয়ে আই।
*লোকটা ভয়ে নড়াচড়া করতে পারছেনা। কি করবে আর এখান থেকে যে পালিয়ে যাবে সেটাও তার বুদ্ধিতে খেলছেনা।
কাব্যঃ এবার তো তুই বাকি আছিস। আই আমার কাছে আই(লোকটির দিকে এগিয়ে যেতে যেতে)
লোকটিঃ আর হবেনা ভাই ভুক হয়ে গেছে এবারে মতো ছেড়ে দে আর আসবো না তোর কাছে।
*লোকটা সেখানে থেকে কোনরকম ভাবে দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাই আর কাব্য কোনরকম মেজাজ কন্ট্রোল করে গাড়িতে উঠে বসে অনেক জোরে গাড়িটি চালাই।
***********
***********
বাসাই পৌছে গাড়িটি থামিয়ে কাব্য বাসাই প্রবেশ করতেই দেখে দরজা লক করা নেই তাই নিজেই ঢুকে পড়ে ভেতরে।
*
তারপর সে লক্ষ্য করে সবাইমিলে একসাথে বসে গল্প করছে আর হাসছে। কারোর মুখেই হাসি ছাড়া অন্য কিছু নেই। এখনো কেউ কাব্যকে লক্ষ্য করেনি কিন্ত কাব্য সবাইকে দেখেই যাচ্ছে।
কাব্যঃ তোমাদের ঘিরেই আমার বেঁচে থাকা তাই তোমাদের যদি কেউ কোন ক্ষতি করতে চাই তাহলে আমি তাকে কোনভাবেই ছাড়ব না। ভালোবাসি তোমাদের আর আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে এভাবেই তোমাদের মাঝে থেকে যেতে চাই। আমার পরিবার এটা (মুখের কোণে এক চিলতে হাসি নিয়ে)
নীলাঃ আরে ভাইয়া তুই কখন আসলি? এই এখানে আই।
কাব্যঃ হুম।
*তারপর কাব্যও যাই সবার মাঝে নিজেকে মিলিয়ে নিয়ে আড্ডা দেই। আজ তানিশা ও তাহিয়া তাদের বাবা-মায়ের বাসাই যাবে সাথে কাব্য ও আবির ও যাবে। তাই সবাই মিলে একটু আড্ডা দিয়ে নিচ্ছে।
থাকুক না এমন একটি পরিবার। চলতে থাকুক তাদের ভালোবাসা মান-অভিমান।
বিঃদ্রঃ আপনিও আপনার জীবন গল্পের মতো করতে পারবেন যদি সুশিক্ষিত হয়ে আগে নিজের ক্যারিয়ার ঠিক করেন তাহলে আপনার পরিবার ও ভালো থাকবে আর আপনি জীবন সঙ্গীও আপনার মতো করে পাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে এভাবে আমার গল্পের জন্য অপেক্ষাই থাকার জন্য।
আবার নতুন গল্প নিয়ে আসব কিন্ত এমন গল্প না। জানি খুব খারাপ লিখেছি তবে এবার থেকে ভালো করে লিখার চেষ্টা করব।
আল্লাহ হাফেজ
সমাপ্ত।