গল্প – #চাচাতো_বোন_যখন_বউ,পর্ব-০৬,০৭
✍️ #লেখক_আহমেদ_রাহী
০৬
– দোস্ত আমার একটা চাকরি লাগবে?
– কিহহহহহহ তুই চাকরি করবি?
– হুম আমি চাকরি করবো একটা বেবস্থা করে দে না ?
– বেবস্থা করবো ? কিন্তু তুই আমাকে হাসালি ? তোর বাবার দোকান থাকতে তুই চাকরি করবি কেনো ?
– তাহলে তোকে সব খুলে বলি কেনো চাকরি করবো!
– হুম বল?
“আমি আফিকুলকে সব শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বললাম।
– আমাদের দোকানে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রে তাই আমি চাকরি খুঁজছি! ( কান্না করে বলতে লাগলাম)
– আরে কান্না করিস না দোস্ত । আমি সব বেবস্থা করছি।
– হুম দোস্ত ।
– ঠিক আছে । সন্ধ্যা হয়ে গেছে তুই বাড়ি যা । আমি সব বেবস্থা করছি।
– ঠিক আছে আমি যাচ্ছি । তুই ও যা?
” বলেই আমি আফিকুলকে বিদায় দিয়ে বাড়ি চলে আসলাম। বাড়ি এসে দেখি আম্মু এখনো মাথায় হাত দিয়ে বসে এখনো কান্না করছে!
– আম্মু কান্না করো না । কান্না করে আর কি হবে সব তো শেষ।
– হুম বাবা জানি । কিন্তু কান্না না ছাড়া আর কি করবো বল ?
– আর কাঁদতে হবে না আমি কিছু একটা ব্যবস্থা করছি।
– কি করবি তুই ?
– পরে বলবো । এখন প্লীজ তুমি কান্না করো না?
– ঠিক আছে।
” আম্মুকে শান্তনা দিয়ে রুমে চলে এলাম। এসে দেখি তানিশা আপু ও কান্না করছে। তাই আমি বললাম..?
-তুমি কান্না করছো কেনো?
– আমার জন্য ওই তো সব হচ্ছে?
– তোমার জন্য আমার কি হলো?
– তোদের এখানে আসার সাথে সাথেই ক্ষতি হয়ে গেল !
– আমার মনে হয় এতে আপনার কোনো দোষ নেই। এটা আমার কপালে দোষ ।
– এটা তোর কপালে দোষ না। এটা আমার কপালে দোষ।
– তোমার কপালের দোষ কেমন করে হলো।
– হ্যা আমার কপাল খারাপ “কারন” যে মেয়ের বিয়ের দিনে বর মারা যায় ! শশুর বাড়ি আসতে না আসতেই ক্ষতি হয়ে যায়। তার কপালে দোষ না তো কার কপালে দোষ !
– কি বলছেন ? আপনার শ্বশুর বাড়ি?
– হ্যা আমার শ্বশুর বাড়ি তো ।
– কেমন করে হলো তোমার শ্বশুর বাড়ি?
– কারন তোর সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। তাই এটা আমার শ্বশুর বাড়ি।
– কি তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে?
– হুম।
– কি ওটা বিয়ে আমার তো মনে হয় না।
– হয়না কেনো?
– আমি তোমাকে বউ হিসাবে মানি না। আর তুমিও আমাকে স্বামী হিসেবে মানো না ।
” কথা বলতে বলতে হঠাৎ আফিকুলের ফোন এসেছে।
– হুম আফিকুল বল ?
– খুশির খবর আছে বন্ধু।
– কি খুশির খবর?
– দোকানে আয় বলছি?
-ঠিক আছে আমি আসছি, তুই একটু অপেক্ষা কর।
” আমি বের হতে হতে তানিশা আপু কে বললাম।
– আমি আসি তোমার সাথে পরে কথা বলবো।
– কোথায় যাবি এসময়?
– এসে সব বলছি তোমাকে?
” আমি আর কথা না বলে চলে আসলাম স্কুলে পাশের দোকানে । এসে দেখি আফিকুল আমার জন্য অপেক্ষা করছে!
– বল দোস্ত কি খুশির খবর?
– আমি তোর চাকরির ব্যবস্থা করে ফেলেছি দোস্ত।
-কি তুই আমার চাকরির ব্যবস্থা করে ফেলেছিস ?
– হুম দোস্ত , তোর জন্য এটুকু করতে পারবো না বল?
– আমি অনেক খুশি রে , খুব বড় একটা উপকার করেছিস । এখন বল কি খাবি?
– কি তুই আমাকে ঘুষ দিতে চাচ্ছিস ?
– আরে না তোকে আজকে খুশি হয়ে খাওয়াবো।
– আরে লাগবে না ।
– প্লীজ দোস্ত না করিস না ?
– আচ্ছা ঠিক আছে শুধু চা খাবো।
– রহিম চাচা দুইটা চা আর বিস্কুট দেন তো?
– ওকে দিতেছি বাবা ।
– কিছুক্ষণ ওর সাথে আড্ডা দিলাম। তার পর বাড়ি চলে এলাম। বাড়ি এসে সুজা আমার রুমে চলে এলাম। রুমে গিয়েই তানিশা আপুকে জরিয়ে ধরে কান্না করে দিলাম।
– কি রে এভাবে জরিয়ে ধরে কান্না করছিস কেনো? কি হয়েছে?
– জানেন আমার চাকরিটা হয়েছে!
– কি?? চাকরি হয়েছে?
– হুম চাকরি হয়েছে। এখন বলেন কি খাবেন?
– আইসক্রিম খাওয়াবি? আমি আইসক্রিম খাবো।
– কিন্তু এই সময়ে আইসক্রিম কোথায় পাবো?
– লাগবে না যা…..
– আরে রাগ করছো কেনো? আমি আনছি ওকে।
– ঠিক আছে।
” দোকানে গিয়ে আমি আইসক্রিম নিয়ে এলাম।
– এই নেন আপনার আইসক্রিম?
– হুম দে তাড়াতাড়ি?
– আপু আইসক্রিম টা হাতে নিয়ে বাচ্চাদের মতো খেতে শুরু করলো। আর আমি আপুর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। কি আজব কান্ড এতো বড় একটা মেয়ে হয়ে বাচ্চাদের মতো আইসক্রিম খাচ্ছেন। আর আমি তাকিয়ে এসব দেখছি। ঠিক তখনি..??
– কি রে কি দেখছিস?
– তোমার খাওয়া দেখছি।
– এতো দেখতে হবে না ।
– কেনো?
– তুই খাবি ? খেলে নিতে পারিস ।
– না না লাগবে না আমি বাচ্চাদের মতো আইসক্রিম খাই না ।
– ওকে তুই না খেলে চলবে?
– তুমি খাও ।
– ঠিক আছে। একটা কথা বলি রাহী??
চলবে…..??
গল্প – #চাচাতো_বোন_যখন_বউ ( পর্ব-০৭ )
✍️ #লেখক_আহমেদ_রাহী
________________________
– না না লাগবে না আমি বাচ্চাদের মতো আইসক্রিম খাই না ।
– ওকে তুই না খেলে চলবে?
– তুমি খাও ।
– ঠিক আছে। একটা কথা বলি রাহী??
– হুম বলো।
– তুই চাকরিতে জয়েন করবি কবে?
– এক মাস এর মতো লাগবে।
” কথা বলতে বলতে হঠাৎ আম্মুর ডাক পড়ল।
– রাহী তানিশা, তোরা খেতে আয় তাড়াতাড়ি?
– ঠিক আছে আম্মু আমার আসছি।
– তাড়াতাড়ি আয়?
– চলেন আম্মু ডাকছে?
– হুম চল ।
” দু’জন একসাথে খাবার টেবিলে বসলাম। আম্মু খাবার বেড়ে দিলো।
– আম্মু তুমি ও খাও ।
– হুম আম্মু তুমিও বসো একসাথে খাবো।( তানিশা আপু বললো)
– হুম খাচ্ছি ।
– চুটকি তুই ও খা ? ( আমার ছোট বোন তাসনিয়া)
– হুম খাচ্ছি তো ।
– সবার সাথে খাবার খেয়ে আমি রুমে চলে এলাম। এসে একটু শুয়েছিলাম । তখনি আপু রুমে এলো। আপু কে দেখে আমি তাড়াতাড়ি করে নিচে বিছানা করে নিলাম। তার পর শুয়ে পড়লাম।
আপু ও বিছানায় শুয়ে পড়লো । কি আজব মেয়েরে বাবা ! স্বামী কে নিচে রেখে তিনি উপরে আরামে ঘুমাচ্ছে। ওই যে সবার কপালে সুখ থাকে না । তেমনি আমার কপালে ও বউয়ের সুখ নেই। তাই আর কিছু না ভেবেই ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম ভাঙলো আম্মুর ডাকে।
– রাহী বাবা তাড়াতাড়ি উঠ আর ঘুমাতে হবে না ।
– কেন আম্মু ?
– আজকে তানিশা কে নিয়ে যাবি না ।
– কোথায় যাবো?
– কেন তুই জানিস না ?
– না তো ?
– তানিশা মা তোকে কিছু বলেনি ?
– না আমাকে তো কিছু বলেনি?
– তানিশা মা তুমি রাহীকে কিছু বলনি?
– না আম্মু ভুল গিয়েছিলাম।
– ঠিক আছে তাহলে ওকে বলে নিচে আসো?
– ঠিক আছে আম্মু আমরা আসছি।
-ওকে ?
– ওই আজকে আমাদের বাড়ি নিয়ে যাবি?
– আমি কেনো নিয়ে যাবো?তুমি একা যাও আমি যেতে পারবো না ।
– না তুই আমার সাথে যেতে হবে ?
– না আমি পারবো না ।
– কি তুই যাবি না ? ( রাগি কণ্ঠে)
– হুম জাবো তো।
” আমি বুঝিনা এ কেমন মেয়ে। আমাকে স্বামী হিসেবে মানে না । আবার সব সময় অধিকার ফালাতে আসে । আজাইরা পেঁচাল ।
– কি রে চুপ করে আছিস কেনো?
– এমনি ।
– ঠিক আছে এখন রেডি হয়ে আয় ।
– ঠিক আছে তুমি যাও আমি আসছি।
– তাড়াতাড়ি আয় নাস্তা করবো?
– ঠিক আছে।
– ফ্রেশ হয়ে টেবিলে সবার সাথে নাস্তা শুরু করলাম। নাস্তা শেষ করে রুমে চলে এলাম।এসে শুয়ে পড়লাম। তখন দেখি তানিশা আপু আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে।
– এ… ভা…বে…. তাকিয়ে আছো কেনো? ( ভয়ে ভয়ে)
– তুই এসে শুয়ে পড়লি কেনো?
– তো কি করবো ।
– একটু আগে আমি কি বলছিলাম।
– কি বলছিলে?
– আমি আজকে আমাদের বাড়ি যাবো বলছিলাম না?
– হুম জাবো তো?
– তাহলে এভাবে শুয়ে পড়লি কেনো?
– এমনি , তুমি রেডি হও?
– ঠিক আছে? তুই ও রেডি হয়ে নে?
” কথা বলতে বলতে হঠাৎ শুনতে পেলাম। আমার চাচা চাচী মানে শ্বশুর শাশুড়ি আমাদের নিতে এসেছেন । তাই আমি তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে চাচা চাচীর কাছে চলে এলাম। আমি তাদেরকে সালাম দিলাম।
– আসসালামুয়ালাইকুম চাচা , চাচী কেমন আছেন?
– ওয়ালাইকুমুস সালাম বাবা ভালো। তুমি?
– আলহামদুলিল্লাহ, চাচী আপনি?
– আলহামদুলিল্লাহ ভালো । কিন্তু তুমি আমাকে চাচী না আম্মু ডাকবা তুমি আমার ছেলের মত।
– ঠিক আছে আম্মু বলবো ?
– হুম মনে যেনো থাকে।
– ঠিক আছে । আমি একটু আসছি আম্মু।
– ঠিক আছে বাবা যাও।
– এরপর এখানে থেকে রুমে চলে এলাম। এসে তো আমি অবাক । আমি কোনো রকম হাসি আটকে রেখে বললাম..
– তুমি এটা কি পরেছ?
– কেন শাড়ি পড়েছি।
– হা হা হা হ ..?
– হাসতেছিস কেনো?
– তোমার এটা শাড়ি পড়া হয়েছে না কি?
– হয়নি?
– একদম হয়নি ( হাসতে হাসতে)
– একদম এভাবে হাসবি না? আমি শাড়ি পড়তে পারি না !
– আচ্ছা ঠিক আছে আমি পড়িয়ে দেই ।
– তুই পাড়লে পড়িয়ে দে?
– হুম দিচ্ছি।
” আমি আপুকে শাড়ি পড়িয়ে দেওয়া শুরু করলাম। শাড়ি পড়িয়ে দিতে দিতে শাড়ি যখন আপুর পেটে গুজে দিবো তখন দেখি আপু চোখ বুজে শরীর বেঁকিয়ে কাঁপতে শুরু করছেন। তাই তাড়াতাড়ি করে শাড়ি পড়িয়ে দিলাম ।শাড়ি পড়িয়ে দিয়ে বললাম..
– আচ্ছা এবার চোখ টা খুলোন? আর এভাবে কাঁপছেন কেনো?
– না মানে এমনি ।
” বলেই লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি করে রুম ত্যাক করলো । আর আমি বিছানায় শুয়ে হাসতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি আপু আবার আসছে।
– একটা কথা বলি?
– হুম বলেন।
– বাইরে কেউ যেনো বুঝতে না পারে তুই আমাকে বউ হিসাবে মানিস না । আর আমি স্বামী হিসেবে মানিনা।
– ঠিক আছে কেউ বুঝতে পারবে না ।
– এবার চল আম্মু ডাকছে?
– হুম চলেন ।
“শ্বশুর বাড়ি মধুর হারি । যে খেয়েছে সে বুঝেছে কেমন তাদের খাতির দাড়ি। অতঃপর শ্বশুর বাড়ি উদ্দেশ্যে সবাই রওনা হলাম। আমাদের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি ? সরি এখনো তো হয় নি কারণ আপু আমাকে স্বামী হিসেবে মানেন না । যাই হোক চাচাদের বাড়ি যেতে ৪৫ মিনিট এর মতো লাগে। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে শ্বশুর বাড়ি পৌঁছে গেলাম । মানে চাচা দের বাড়ি । বার বার শুধু শ্বশুর বাড়ি মনে হয় । গাড়ি থেকে নামতে যাবো তখন দেখি অনেক গুলো মেয়ে এসে দুলাভাই বলে চিল্লাচিল্লি করছে । নামার সাথে সাথেই আমাকে ঘিরে ধরলো। তখন একটা বলে উঠলো?
- তানিশার জামাই তো অনেক কিউট?
– আমি তো দেখেই প্রেমে পড়ে গেছি।
“সবার প্রশংসা শুনে খুবই ভালো লাগছিল। তখনি হুট করে আপু আমার হাত শক্ত করে ধরেছে ।
– দেখ দোস্ত আমাদের তানিশা দুই দিনে জামাই পাগল হয়ে গেছে।
“তানিশা আমার হাত ধরে ভিতরে নিয়ে এলো । তার পর সুজা আপুর রুমে নিয়ে গেলো আর রাগে লুচির মতো ফুলতে লাগলো । তখন বলে উঠলো আপু?
– ওখানে অনেক আলন্দ পাচ্ছিলি তাইনা?
– তা তো একটু শালি বলে কথা।
– ওদের সাথে আর কথা বলতে দেখলে পা ভেঙ্গে দিবো যা এখন ফ্রেশ হয়ে আয় ।
– হুম ঠিক আছে।
” আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে গিয়ে সোফায় বসে পড়লাম। তখনি সব শালী আমাকে ঘিরে বসে পড়ল। আর একে একে সবাই পরিচয় দিতে থাকে । সবার সাথে কথা বলছিলাম। তখনি আপু সবাইকে সরিয়ে আমার পাশে বসে পড়লো । এটা দেখে সবাই তো অবাক । তার থেকে বেশি অবাক তো আমি হয়েছি । আপু আমার হাত শক্ত করে ধরে সবার সাথে কথা বলতে থাকে। কি আজব রে ভাই স্বামী হিসেবে মানতে তো রাজি না তার উপর এমন অবস্থা। যাই হোক সবার সাথে আড্ডা দিতে দিতে অনেক রাত হয়ে যায় তার পর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আপুর রুমে এসে চাদর বিছিয়ে নিচে শুয়ে পড়লাম। তখনি আপু বলে উঠলো?
– রাহী তোকে নিচে শুতে হবে না ।
– কেনো?
– আমি নিচে ঘুমাই তুই উপরে ঘুমা ।
– লাগবে না আমি নিচে ঘুমাতে পারবো ।
– তোকে যা বলছি তাই কর বেশি কথা বলিস কেনো?
– আচ্ছা ঠিক আছে।
” আমি আর কথা না বাড়িয়ে উপরে শুয়ে পড়লাম। সকালে খানের কাছে নিঃশ্বাস এর শব্দ আসতেছে চোখ খুলে তো আমি অবাক। কতো সুন্দর করে আপু আমাকে জরিয়ে ধরেছে । আর আমার ঠোঁটের একিবারে কাছে আপুর ঠোঁট। এসব দেখে আমি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না । তাই আপুর ঠোঁট আমার ঠোঁট এক করে দিলাম। কিছুক্ষণ পর আপু চমকে উঠে । তার আপু আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললো ।
– সরি আসলে রাতে বৃষ্টির সময় ভয় করছিল তাই এসে শুয়ে ছিলাম।
” একথা বলে আপু লজ্জা পেয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলো । আর আমি ভাবতে লাগলাম। কি মেয়েকে আল্লাহ আমার কপালে দিয়েছে। তখনি আপু বাথরুমে থেকে ফ্রেশ হয়ে বের হয়েছে। আমি শুয়ে দেখছি । আপু ফ্রেশ হয়ে ঢেসিন টেবিলের সামনে চুল ঠিক করছে। আমি শুধু আপু কে দেখছি আসলে যতো দেখছি ততই আপুর প্রতি কেমন একটা ফিলিংস হচ্ছে। আপুর প্রতি ফিলিংস হচ্ছে হোক আপু আমাকে স্বামী না মানা লোক ।
আসলে আপুকে এই মুহূর্তে যেই ছেলে দেখত পুরাই পাগল হয়ে যেত এতো সুন্দর লাগছে আপুকে। ঠিক তখনি আপু আমার দিকে এগিয়ে আসছে আর আমি ঘুমের ভান ধরে শুয়ে আছি ।
– কি আর কতো ঘুমাবি উঠ?
– চুপ করে রইলাম।
– কি রে শুনতে পাচ্ছিস না ?
– হুম কি বলো ।
– ফ্রেশ হয়ে আয় নাস্তা করতে হবে যা?
– হুম যাচ্ছি। তুমি যাও ?
– আমি বসে আছি তুই ফ্রেশ হয়ে আয়।
” ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি আপু এখনও বসে আছে।
তখন আমি বললাম..
-চলেন?
– হুম চল ।
” রুমে থেকে বের হবো তখনি আপু আমাকে ?
চলবে……?