#অভ্র_নীল (সিজন-০২),০২,০৩,০৪
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_০২
চাপাবাজ: তোমাকে তো আমি খুঁজে বের করবোই রাজকুমারী আমার মনের রানী করে রাখবো। বলেই হাঁটতে শুরু করে আর কাকে জেনো কল দিচ্ছে।
এদিকে পুরো গ্রাম ঘুরে সন্ধ্যায় কাজলের বাড়ি আসলাম। রাস্তায় এক অচেনা আঙ্কেলের সাথে দেখা হয় আমাদেরকে সারাদিন গ্রামে গোলগোল ঘুরতে দেখে এসে জিজ্ঞেস করে আমরা সঠিক কোথায় যাবো আমরা তাকে কাজলের বাবার নাম বলতেই উনি বললেন উনি নিজেই আমাদের পৌঁছে দিবেন আর আমরাও তাকে গাড়িতে উঠিয়ে নেই আমাদের বাড়ির সামনে নিয়ে এসে উনি চলে যান৷ দুই তলা বাড়ি ছাঁদের উপর থেকে কাজল এদিকে আমাদের দেখে বাড়ির নিচে দাড়িয়ে থাকতে দেখে উপর থেকে দৌঁড়ে আসে।
নিচে এসে দুই হাতে আমাদের তিনজনকে জরিয়ে ধরে।
তারপর সবাই মিলে বাড়ির ভেতর যাই সবার সাথে পরিচয় হই খুব ভালো কাজলের মা ও বাবা আমাদের অনেক আদর যত্ন করলেন ও রাতে খেয়ে আমরা চারজন এক রুমেই ঢুকি শয়তানি ফাজলামি করবো সারাদিন হিহিহি। রুমে বড় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছে তানজু, তানিয়া বিছানায় বসে আছে সাথে নেইলপালিশ করছে , কাজল সোফায় বসে আছে ঠিক আমার পায়ের কাছে আমি সোফার উপর দুইপা তুলে হেলান দিয়ে শুয়ে মোবাইল টিপছি এবং কাজল বলতে লাগল। দেখ আমার বিয়ের ডেট চেঞ্জ হইছে ৭দিন পর বিয়ে। কাজলের কথা শুনে আমাদের তো সিট্টিপাট্টি গুল হয়ে গেছে মানে কি জানতাম গাল গায়ে হলুদ পরশু বিয়ে আর এখন কি না এক সপ্তাহ মুখের কথা নাকি ৭দিন। আমি এখানে কিছুতেই ৭দিন থাকবো না আমি কালকেই চলে যাবো। আমার সাথে তালে তাল মিলিয়ে তানজু, তানিয়া বলল আমরাও চলে যাবো গ্রামে থাকতে পারবো না এতদিন দূর নাই কোনো নেওয়ার্ক ,, নেট ছাড়া থাকতে পারমু না একটুও না। মাত্র ৩দিনের বেপার দেখিস দেখতে দেখতে চলে যাবে আর তোরা তো এর আগে গ্রামে যাসনি তাই আমি আমার গ্রাম তোদের ঘুড়ে দেখাবো দেখবি পরে গ্রাম ছেড়ে আর তোদের যেতেই ইচ্ছে করবে না। আমি ভাবলাম বলছে তো ঠিকই কথা টা মন্দ বলিসনি গ্রামটা ঘুরে দেখা যাবে। সাথে আবারও ওরা দু’জন বলল, ঠিক ঠিক কথাটা কাজল ঠিক বলেছে। এখন আমার ওদের কথা শুনে রাগ হচ্ছে ওরা নিজেদের মতো করে কিছুই বলছে না উল্টো আমি যা বলছি সেটা কপি করছে হাতের সামনে টেবিল উপর কালো আঙুরফল রাখা ছিল দুইটা নিয়ে দু’জনের দিকে ছুঁড়ে মারলাম। শোন তাহলে আমরা কাল সারাদিন ঘুরবো আর ওকেও বলবো আমাদের সাথে আসার জন্য আরও ভালো হবে। আমি একটু খোঁচা দিয়ে বললাম, ও টা কে? আর ও টা গেলে তো তোর জন্য ভালো হবে আমাদের তখন কি হবে তুই তো ওই ও টার হাত ধরে ধরে ঘুরবি আর আমরা তোর পেছন পেছন ঘুরবো impossible! চিন্তা করিস না ও ওমন ছেলেই না আর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে ও আমার থেকেও বেশি লজ্জা পায় হাত তো ছোঁয়া দূরের কথা আমার দিকে তাকায়ও না।
ও হো হো দুধে ধুঁয়া তুলসী পাতা ডা যা সর এইসব পোলারাই মিনমিনা শয়তান যাওড়া হয়। উপরে দেখায় এক ভেতরে হয় আরেক। আমার কথার আগামাথা ঘোড়ার ডিম কোনো কিছুই কাজলের মাথায় ঢুকছে না আর ঢুকবে কিভাবে মাথা মোটি একটা। মনে মনে এদিকে আমার ভাবনায় পানি ঢেলে দিয়ে তানজু বলল…
.
.
.
চলবে?
#অভ্র_নীল (সিজন-০২)
#পর্ব_০৩
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
এদিকে আমার ভাবনায় পানি ঢেলে দিয়ে তানজু বলল সকালের ছেলেটা কিন্তু হেব্বি কিউট ছিলো রে তোকে কত বউ বউ করছিলো জানি না তোর ওর সাথে আর দেখা হবে কি না। তানজুর কথা শুনে ওর দিকে ভ্রু কুঁচকে চোখ ছোটছোট করে তাকালাম এদিকে কাজল অনেক আগ্রহের সাথে তানজু কে জিজ্ঞেস করল কোন ছেলে কিসের ছেলে কোথা থেকে আসলো ছেলে আর বউ কেমন বউ কিসের বউ কার বউ? কাজলের কথায় বিরক্তি প্রকাশ করে তানিয়া বলল. ওই তুই চুপ কর এক কথা তোর দশ রঙ্গি ভঙ্গিতে বলতে হবে না এক বারেই তো বলতে পারিস। তানিয়ার কথা শেষ হতেই তানজু শুরু করল, তুই তো জানিসই ও নেকামি এক্সপ্রেস ওর নেকামি না করলে এক্সপ্রেস চলবে কিভাবে? তানজু, তানিয়ার কথায় পাত্তা না দিয়ে কাজল আবারও জিজ্ঞেস করল. আরে ধুত কাজের কথা না বলে কি ফালতু কথা বলছিস বল না কে ওই ছেলে আর নীলকে কেনো বউ বউ ডাকছিলো?
তানজু ওর এক আঙুল মুখে নিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঢং করছে লজ্জা পাচ্ছে বিষণ এমন লাগছে তানিয়া তানজুর কান্ড দেখে বালিশ দিয়ে মুখ চেপে হাসছে এদিকে কাজল ওর দিকে বালিশ ছুঁড়ে মারে আর বলল, তোর এই ঢং দেখতে আমার বিরক্ত লাগে এখন বলবি কোন ছেলে নাম কি কোথায় থাকে?
বালিশ টা মাটি থেকে তুলে তানজু হেঁটে বিছানার উপর বসে পায়ের উপর পা তুলে সাথে পা নাড়াচ্ছে পেছন থেকে তানিয়া তানজুর গলা জরিয়ে ধরে আর দু’জনই এক সাথে বলল. ছেলেটা কে জানি না ফাস্ট দেখেছি তবে ছেলেটার description দিতে পারবো। কিন্তু তারজন্য কি দিবি বল.!
ছেলেটার description জানার জন্য আমার টাকা খরচ করতে হবে নাকি পারবো না চকোলেট আছে আমার কাছে চকোলেট দিয়া কাজ চালিয়ে নে। বলেই কাজল বালিশের নিচ থেকে চারটা চকোলেট নিয়ে আসলো।
তানজু তানিয়া প্যাকেট খুলে খেতে শুরু করল। এদিকে তর সইছে না কাজলের ছেলেটা কেমন হবে ভেবে বিরক্তি নিয়ে আবারও বলল, কি রে তোদের খাওয়া কি আর শেষ হবে না ঘুমাবো কখন এভাবে খেলে তো রাত গড়িয়ে সকাল হয়ে যাবে।
আরে শান্তি মতো খেতে তো দে জানিসই আমাদের চকোলেট কত প্রিয় উফফ.. (তানজু) এবার ওদের কাহিনি দেখে আমারও বিরক্ত লাগছে তাই নিজেই সোফা থেকে উঠতে উঠতে বললাম।
কি ওই চাপাবাজ ফাঁপর বাজ ছেলের কথা নিয়ে পড়ছিস বাধ দে এত না ভেবে ঘুমা সকালে গ্রাম ঘুরাবি মনে আছে তো নাকি?
এই কাজল নাছোড়বান্দা উফফ শেষে সবটা শুনেই ঘুমালো। আমিও বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পরলাম।
আমার রাতে বই না পরলে ঘুম আসে না ছোটো থেকেই স্বভাব হয়েগেছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠি বাহিরের মুরগ-মুরগী ও গরুর ডাকা ডাকি তে, চোখ খুলতেই জানালা ভেদ করে সূর্য্যের আলো দেখতে পেলাম রুমের ঠিক মধ্যে সূর্যের রশ্মি পরেছে জানালার সামনে বসে আছে দুই জোড়া পাখি,, এক জোড়াপাখি দেখে মনে হচ্ছে ওর সঙ্গীর সাথে লড়াই হয়েছে তাই বারবার কাছে গিয়ে ঠোঁট দিয়ে অন্য পাখির শরীরে স্পর্শ করছে আর পাখিটা রাগ করে একটু সরে যাচ্ছে দেখতে খুব কিউট লাগছে অন্যদিকে দুইটা পাখি দুইজনের গায়ের সাথে মিশে আছে দেখে মনে হচ্ছে পাখি দুটি ওখানে বসে সূর্যের মিষ্টি আলোর স্বাদ নিচ্ছে প্রকৃতি উপভোগ করছে। আমারও ওদের দেখতে খুব ভালো লাগছে মনে অন্য রকম একটা অনূভুতি জাগছে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি এদিকে তানিয়া ঘুম থেকে উঠে শব্দ করতে পাখি দুই জোড়া উড়ে গেলো। রাগ হচ্ছে আমার খুব এখন চোখ বড়সড় করে তাকালাম তানিয়ার দিকে ও আমার চোখ দেখেই ভয় পেয়ে গেলো।
ভয় পেয়ে সবগুলো কে মানে কাজল আর তানজুকে ডেকে তুলল। ওরা দু’জন ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে আমাকে জিজ্ঞেস করছে কি হয়েছে এভাবে তাকিয়ে আছি কেনো? আমি কোনো উত্তর দিচ্ছি না কারণ আমি এখন কিছু বলতে গেলেই আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আসবে। আমি এমনই যখন বেশি রেগে যাই আমার রাগ যখন চরম পর্যায়ে চলে যায় তখন কিছু বলতে পারি না বলতে গেলে চোখ দিয়ে পামি টপ করে পরে যায় আর কেঁদে দেই। তাই এখন চুপ করে আছি আর বেশিক্ষণ ওদের সামনে বসে থাকতে পারলাম না তাই উঠে চলে গেলাম ওয়াশরুমে ব্রাশ করতে খিদে লাগছে খেতেও তো হবে আমার আবার সময়ের টা সময়ে না খেলে মাথা ব্যাথা করো আর আমি খিদে একদমই সহ্য করতে পারি না। এক এক করে চারজনেই ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে গেলাম। ডাইনিং টেবিলে বসে আছি কাজলের আম্মু নাস্তায় শুধু পিঠা বানিয়েছে শীতের পিঠা হরেকরকমের দেখে তো মনে হচ্ছে রাত থেকেই বানিয়েছে পুরো টেবিলে শুধু পিঠা আর পিঠা আর এত পিঠার নাম আমিও জানি না। একটু একটু খেয়ে দেখলাম অনেক টেস্ট অনেক মজা হয়েছে পিঠাগুলো উফফ বলার বাহিরে এক একটা পিঠার একেক রকম স্বাদ। খাওয়া শেষ হলে সবাই আন্টিকে ধন্যবাদ জানাই এত স্বাদের পিঠা আমাদের বানিয়ে খাওয়ানোর জন্য তারপর কাজল ওর বাবার কাছে গিয়ে বলল। আমরা গ্রামে প্রথম এসেছি আমরা গ্রামটা ঘুরে দেখতে চাই। তেমনই ওর বাবা আঙ্কেল ও আপত্তি করেননি আমরা সবাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরি। গাড়ি নিতে দেয়নি কাজল কারণ জিজ্ঞেস করলে বলে আজ পুরো গ্রাম ঘুরে দেখবো যখন গ্রামের মতো করেই দেখবো বলে আমাদের নিয়ে রাস্তায় চলে এলো সাথে ফোন করল ওর হাবি কে আর বলল নালা পুকুরের সামনে ধান ক্ষেতে আসতে আসতে ওখানেই যাচ্ছি। কল কেটে দূর থেকে একটা গরুর ঠেলাগাড়ি ডাক দিলো। আমিও তো অবাক শেষে কি না গরুর গাড়ি আমাকে ঠেডার মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তানজু বলল. নীল উঠছিস না কেনো যাবি না?
কাজল, কিরে তারাতাড়ি উঠ!
আমারও এখন একটা গান মনে পরছে বর গানটা গেয়েই দিলাম।
তোমার গরুর গাড়িতে আমি যাবো না!
তানজু, তানিয়া কাজল এক সাথে বলল, ভয় পাসনা পরবি না উঠ ওদিকে ওরা চলে যাবে আমরাই লেট হবো। ওদের তিনজনকে আঙুল নাচিয়ে বললাম।
যদি আমি পরি তাহলে তোদের তিনজনের খবর আছে।
আচ্ছা বাবা ঠিক আছে এখন তো উঠ (কাজল)
এদিকে গরুর গাড়িতে উঠে বেশ মজা লাগছে আর ও অন্য রকম একটা ফিলিংস হচ্ছে ইচ্ছে তো করছে উঠে নাচতে কিন্তু সেটা করা যাবে না। নাচতে গেলে এখন গরু আর গাড়ি নিয়া পাশেই ক্ষেতে পইরা যাবো। তাই নিজেকে সামলে নিলাম। গাড়ি থেকে পা দুটো নিচে নামিয়ে ঝুলাচ্ছি ইশশশশ আমি জেনো আকাশে উড়ছি।
কিছুদূর এসে আমাদের গাড়িওলায় নামতে কইলো ওরা সবাই নেমে গেছে শুধু আমিই নামিনি আমি নামমু না আরও ঘুরমু।
ওদিকে কাজল নেমে দেখে ওর হাবি তন্ময় সামনে দাঁড়িয়ে আছে হেঁটে চলে গেলো ওদের কাছে। ওদের বলতে তন্ময়ের সাথে আরও দু’জন ছেলে আছে এখন পরিচয় না হওয়া পর্যন্ত বলতে পারবো না কারা ওরা তাই পরিচয় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
অনেক বলাবলির পর নামলাম গাড়ি থেকে…
ইশশ রে নামতে গিয়ে উস্টা খেলাম আপনারা কেউ ধরলেন ও না। পা ধরে বসে আছি মাটিতে মাথা তুলে সামনে তাকাতেই আমি অবাক হলাম এত সুন্দর প্রকৃতি. সবুজ ধানগুলো হুলুদ হয়ে আছে উত্তরে বাতাস বইছে। বাতাসে ধানগুলো ধুলছে পাখিগুলো উড়ছে এক পাশে কত গুলো পাখি মাটিতে নেমে ধান খাচ্ছে একটু দূরে কৃষক ধান কাটছে কি বলবো এমন প্রকৃতির সৌন্দর্য মন ছুঁয়ে গেলো। পায়ের ব্যাথার কথা ভুলেই গেছি উঠে দাঁড়িয়ে বললাম।
আমি: ওয়াও কি সুন্দর!
আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে কেউ একজন ফিসফিস করে আমার পেছন থেকে বলল.!
ঠিক তোমার সুন্দর!
কানের কাছে ফিসফিসানি শুনে পেছনে তাকালাম দেখার জন্য কোন ছেলের এত বড় সাহস যে আমার কানে ফিসফিসিয়ে কথা বলে।
পেছনে ঘুরে তো আমি চমকে গেলাম অবাক বলতে পুরাই অবাক হলাম এটা কি হলো…
.
.
চলবে?
#অভ্র_নীল (সিজন-০২)
#পর্ব_০৪
#sharmin_akter_borsha
পেছনে ঘুরে তো আমি চমকে গেলাম অবাক বলতে পুরাই অবাক হলাম চোখ মুখ কালো হয়ে গেলো চোখ ছোটছোট হয়ে গেলো ভ্রু কুঁচকে গেলো আমিও মুখ ফসকে বলে ফেলি।
আপনি এখানে কি করছেন ফলো করছেন আমাকে দেখে তো ভদ্রলোক মনে হয় আর ভেতরে ভেতরে এত পাঁজি..?
আমাকে এইসব কথা বলতে শুনে ওইদিক থেকে কাজল বলল..!
এই নীল তুই অভ্রকে এত আজেবাজে কথা বলছিস কেন?
আমি তো মনে হচ্ছে কারেন্টের শজট খেলাম অভ্র মানে কি এই সেই অভ্র চৌধুরী যার কথা সবাই বলে! এই সেই অভ্র চৌধুরী যার পেইজের টপ ফ্যান আমি এই সেই অভ্র চৌধুরী যার কবিতার পাগল আমি মানে কি Like Seriously এই সেই অভ্র চৌধুরী নাকি অন্য কোনো অভ্র? ভাবছি আর এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি অভ্রর দিকে। হালকা মুচকি হেসে বলল.
আমি আপনাকে ফলো করছি না আমি এখানে আমার বন্ধুর বিয়েতে এসেছি। আর ওই তো আমার বন্ধু তন্ময়, আপনার বান্ধবীর বর আর ওই যে জন্মগত সিঙ্গেল আকাশ আর শুভ আর
ও ওদের দু’জন তাহলে বরের বন্ধু আকাশ আর শুভ (মনে মনে)
আর আমি অভ্র…
অভ্র কি?
অভ্র পরে কিছু নেই শুধুই অভ্র!
ও তাহলে সেই কবি অভ্র চৌধুরী নয় আল্লাহ বাঁচলাম আর যদি সেই অভ্র চৌধুরী হতো তাহলে কি হতো আমার কি হতো কত মেসেজ দিছি একটারও রিপ্লাই পাইনি? ধুরর কবিকে নিয়ে কেনো ভাবছি। ভাবাভাবি বন্ধ করে ছেলেটার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলাম। তারপর সামনে থেকে চলে আসলাম।
ওদের সামনে আসতেই তানজু তানিয়া অভ্রকে দেখে বলল।
আরে মিস্টার চাপাবাজ আপনি? (তানজু)
ভেবেছিলাম আপনার সাথে আর দেখাই হবে না। (তানিয়া)
আল্লাহর ইচ্ছে সব তাই আবার দেখা হয়ে গেলো। (অভ্র)
কাজল, তন্ময়, আকাশ, শুভ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আর জিজ্ঞেস করল।
মিস্টার চাপাবাজ মানে বুঝলাম না।
তারপর আবারও কালকের ঘটনা বণর্না করলো ওরা যতসব আজাইরা কাম। কি কাল একটু দেখা হইছে আর ওরা তিনজন সেটাকে নিয়ে আজ যত নেকামো করছে এইসব কি সহ্য হয়। এই চাপাবাজ ছেলেটা সহ্য করতে হবে ৭দিন আল্লাহ গো সহ্য করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিও আল্লাহ আর নয়তো এই ছেলেকে আমি কি যে করবো। (মনে মনে) নীলকে ভাবতে দেখে অভ্র বলল… আমাকে নিয়ে এত ভাববেন না আমাকে বোঝা এত সহজ না। অভ্রর কথা শুনে নীল বলল.. আপনাকে বোঝার কোনো আগ্রহ আমার নেই বুঝলেন।
দু’জন কে কানাকানি করতে দেখে আকাশ বলল..
আসসালামু আলাইকুম ভাবি কেমন আছেন?
আকাশের কথা কান পর্যন্ত আসতেই মাথা ঘুরিয়ে ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
কে ভাবি কিসের ভাবি আপনি কি আমাকে ভাবি বলছেন। আমার কথা শেষ না হতেই শুভ বলল। হ্যাঁ ভাবি আকাশ আপনাকেই ভাবি বলছে। শুভর কথা শুনে শুভর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালাম আর বললাম। কোন জন্মের ভাবি আমি আপনাদের কিসের ভাবি ভাবি করছেন কোন ভাইয়ের বউ হাহহ?
নীলের কথা শেষ হতেই কাজল বলল, ভাই তো তোর পেছনেই দাঁড়িয়ে আছে। কাজলের কথা শুনে তানজু তানিয়া খিলখিল করে হেসে দিল আকাশ শুভ ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। নীল বিরক্ত হয়ে একবার অভ্রর দিকে তাকিয়ে অন্য দিকে হাঁটা শুরু করল। পেছন পেছন নীল সবার আগে হাঁটছে পেছনে অভ্র দুই প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে সিটি বাজাতে বাজাতে হাঁটছে সিটির শব্দ শুনে নীল বার বার পেছনে ঘুরে তাকাচ্ছে। তার পেছনে কাজল তন্ময়ের হাত ধরে হাঁটছে তার পেছনে পাশাপাশি হাটছে তানজু আকাশ ও শুভ তানিয়া।
নীল: এই ৭দিন আমি কিভাবে পার করবো এই চাপাবাজ ছেলেটার সাথে। পেছন থেকে অভ্র বলল!
অভ্র: জি আমাকে কিছু বলছেন?
নীল: আপনাকে কিছু বলতে আমার বয়েই গেছে..! বলেই আহহহহহহহহ দিলো এক চিৎকার।
পেছনে ঘুরতে গিয়ে পায়ে পা লেগে ধান ক্ষেতে পরে গেলো।
অভ্র: ইশশ আমার বউ ব্যাথা পেলে বুঝি?
নীল রাগে গটমট করতে করতে বলল।
নীল: ওই কিসের বউ আমি আপনার মাথা টা কি গেছে নাকি?
অভ্র: হ্যাঁ খারাপ হয়েই গেছে তোমাকে দেখার পর থেকে তা যাইহোক বলো হেল্প লাগবে কি না। হেল্প লাগবে মতো জুরুকা গোলাম হাজির হে..! নীল দাঁত কটমট করতে করতে বলল।
লাগবে না আপনার কোনো হেল্প কথাটা বলে নীল উঠলে গেলে। আবার চিৎকার দেয়।
এবার চিৎকার দেওয়ার কারণ পায়ে হচট খেয়েছে সাথে কোমড়ে ব্যাথা পেয়েছে হাটতে পারবে না।
তবুও জোর করে হাঁটতে চেষ্টা করলে নীল পরে যে….
চলবে?
শারমিন আক্তার বর্ষা