#অভ্র_নীল (সিজন-০২)
#পর্ব_০৮,০৯
#Sharmin_Akter_Borsha (লেখিকা)
০৮
নীল এক ধেনে ভ্রু কুঁচকে ওই রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে যে রাস্তা দিয়ে অভ্র গিয়েছে। ঠিক তখনই তানজুকে কেউ একজন বারবার ডাকছে..!
– আম্মু আম্মু ঘুমিয়ে যাচ্ছো কেনো বলো না পরে কি হলো!
তানজু ঘুমে ঢেলে পরছিল কোনো মতে চোখ খুলে ঘুমের রেষে বলল।
– বাবা তোর নীল আন্টির গল্প কালকে শুনিস আজ আমার খুব পাচ্ছে বাবা সারাদিন অনেক কাজ করেছি এখন একটু রেস্ট করতে চাচ্ছি তুইও ঘুমা সকালে স্কুল আছে তো কালকে পাক্কা শুনাবো।
কথাটা বলে তানজু ঘুমিয়ে গেলো আদ্র মুখ ভাড় করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল ওর আম্মুর দিকে তানজু একবার ঘুমিয়ে গেলে হাজার ঢাকলেও উঠবে না ঘুমের মধ্যে ওকে নিয়ে রাস্তায় ফেলে দিলেও টের পাবে না।
আদ্র মুখ ঘুরিয়ে নিলো বিছানা বিপরীত সাইডে ঘুরে শুয়ে ভাবছে অভ্র নীল এর গল্পের পরে কি ঘটেছে এইটুকু শুনেই অভ্রর মনে নীল অভ্রর গল্পের প্রতি interest জেগে গেছে যা আদ্রর মনকে ছুঁয়ে গেছে। আদ্র হচ্ছে তানজু ও আকাশের একমাত্র ছেলে বয়স ১২বছর ক্লাস সিক্সে পড়েন খুব ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট আদ্র . সেদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে তানজুর মুখ থেকে নীল এর কথা বের হয়ে গেছিল। তানজুদের গাড়ির রাস্তায় ট্রাফিকে আটকে গেছিল তখনই রাস্তার পাশে তিনজন মেয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ফুচকার দোকানে যেখানে একটা মেয়ে ফুচকা খাওয়ার জন্য বেশি লাফাচ্ছি আর সে মেয়েকে দেখে তানজুর নীল এর কথা মনে পরে যায় নীল ও তো এমন ফুচকা খাওয়ার জন্য বায়না করতো হঠাৎ নীল এর কথা শুনে আদ্র অবাক দৃষ্টিতে তানজুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল।
– আম্মু নীল কে?
মেয়ে তিনজনের দিকে তাকিয়ে তানজুর চোখ বেয়ে গড়িয়ে পরল এক ফোটা জল। চোখের জল মুছে তানজু ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল।
– নীল হচ্ছে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড যেমন তানিয়া ও কাজল তেমন নীল ও আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড.!
আদ্র খেয়াল করল নীল এর কথা বলতে বলতে তানজুর চোখের কার্নিশ বেয়ে আবারও পানি পরছে। আদ্র ওর দুই হাত দিয়ে ওর আম্মুর চোখের জল মুছে দিলো আর বলল।
– আম্মু আমি নীল আন্টির সম্পর্কে সব জানতে চাই তুমি প্রমিজ করো উনার সম্পর্কে আমাকে বলবে। তুমি তানিয়া ও কাজল আন্টির কথা সব সময় বলো কিন্তু নীল আন্টির কথা কখনো বলোনি প্রমিজ করো আজকে রাতে আমাকে শোনাবে।
ছেলের কথা ফেলতে পারেনি তানজু ১৪বছর পর কেউ নীল এর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে আজ আবারও সেই ভয়ানক ঘটনা তানজুর চোখে ভেসে উঠল তানজু বসা থেকে কেঁপে উঠল। আদ্র ওর মার হাত চেপে ধরল। এমন টা তানজুর সাথে মাঝেমধ্যেই হয় ঘুমের মধ্যে ও হয় তখন আকাশ তানজুকে শান্ত্বনা দেয়। তানজু ছেলের হাত শক্ত করে চেপে ধরে নিজেকে সামলে বলে ও শোনাবে নীল অভ্র…. অভ্র নীল এর গল্প যা এত বছর ধরে নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছিল আজ বলবে আদ্রকে সব বলবে আদ্র ও খুশি হলো। স্কুল থেকে ফেরার পর আদ্র ক্রিকেট খেলতে চলে যায়। তানজু রাতের খাবার রান্না করার জন্য কিচেনে চলে যায়।
সন্ধ্যার পর আদ্র খেলা শেষ করে বাড়ি ফিরেই তানজুকে পাগল করে দেয় গল্প বলার জন্য নীল আন্টির তানজু আদ্রর উদ্দেশ্যে বলে।
– রাতে খাবারের পর যখন ঘুমাতে যাবো তখন শোনাবো এখন গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও শরীর বেয়ে ঘাম পরছে।
আদ্র মায়ের কথায় বিমুখ করে না। বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয় ফ্রেশ হয়ে পড়তে বসে এক লাগারে তিন ঘন্টা পরার পর রাতের খাবার খাওয়ার জন্য তানজু আদ্রকে ডাকে। আদ্র বই বন্ধ করে মায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ডাইনিং টেবিলে চলে যায়। আকাশের ঠিক পাশের চেয়ারে বসে আদ্র তানজু দু’জনকে খাবার বেরে দেয়। পরে নিজেও খেতে বসে। খাওয়া শেষ হলে সব কিছু গুছিয়ে থালাবাসন ধুয়ে নেয়। বিছানায় শুয়ে পরে তানজু পাশে আদ্র মাকে এক হাত দিয়ে জরিয়ে ধরেছে পেছনে আকাশ নাক টেনে ঘুমাচ্ছে। আদ্র মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে।
– কোই আম্মু শোনাও….!
ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে তানজু দু’টি চোখ খিচে বন্ধ করে নেয়। আসতে আসতে চোখ খুলে মুখ থেকে জিব বের করে শুকনো ঠোঁট ভিজিয়ে নেয়। তারপর বলা শুরু করে গল্পের শুরু থেকে এই পর্যন্ত এতটুকু বলতে বলতে অনেক রাত হয়ে গেছে রাত ১টা বেজে গেছে তানজু তো ঘুমিয়ে গেলো। আদ্র এখনো নীল অভ্রর কথা চিন্তা করছে ভাবতে ভাবতে আদ্রর ও চোখ লেগে যায় কিছুক্ষণের মধ্যে তলিয়ে যায় ঘুমের দেশে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে তানজু সবার জন্য নাস্তা বানাতে ব্যস্ত হয়ে পরে। তখন পেছন থেকে আদ্র ওকে জরিয়ে ধরে ছেলের হঠাৎ এমন ভাবে জড়িয়ে ধরেছে থেকে কিছুটা অবাক হয় তানজু কারণ কি সকাল সকাল এত ভালোবাসা দেওয়ার। আদ্র তানজুর দিকে তাকিয়ে এক গাল হেঁসে বলল।
– আম্মু কখন শোনাবে পরে কি হলো?
তানজু ছেলের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল।
– কিসের পরে কি হলো?
আদ্র- উফফ ফো আম্মু তুমি ভুলে গেছো অভ্র নীল এর ওরে কি হলো?
তানজু- ওও এই ব্যাপার গল্পের জন্য মাকে এত পাম দেওয়া হচ্ছে সকাল সকাল ভালোবাসা দেওয়া হুম।
আদ্র- ও আম্মু বলো না কখন শোনাবে?
তানজু- আজ বিকেলে কোনো কাজ নেই তুমি স্কুল থেকে ফিরলে তখন শোনাবে এখন তুমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও আর আব্বুকে ডেকে দিও!
আদ্র মাথা নাড়িয়ে ” ওকে আম্মু” বলে চলে যায়।
সকালের নাস্তা সবাই এক সাথেই করে। আকাশ তানজুর কপালে আলতো করে এক চুমু একে দিয়ে চলে যায়। অফিস যাওয়ার পথে আদ্রকে স্কুলে নামিয়ে দিবে।
স্কুলের ক্লাসে বসে আদ্রর মনে শুধু অভ্র নীল এর কথাই ঘুরছে ক্লাসে কোনো মনোযোগ নেই।
স্কুল ছুটি হতে আদ্র বাড়ি তে ফিরে আসে ছুটে আসে রুমের মধ্যে ব্যাগ ছুড়ে ফেলে তানজুর কাছে কিচেনে চলে যায়। তানজুর কাজে হাত লাগিয়ে তানজুর কাজ শেষ করতে সাহায্য করছে যাতে তারাতাড়ি কাজ শেষ হয় আর আদ্র গল্প শুনতে পারে। কিছুক্ষণ পর তানজুর হাতের কাজ শেষ হয়। তানজু প্লেটে খাবার নিয়ে আদ্রকে সাথে করে বেলকনিতে নিয়ে দোলনায় বসালো আর এক লোকমা করে খাইয়ে দিচ্ছে। আদ্র খাবার চিবোতে চিবোতে বলল।
– আম্মু গল্প বলো!
তানজু ছেলের মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আদ্র ছেলে হলেও ফেস কাটিং অনেকটা নীল এর মতো যার জন্য আদ্রর দিকে তাকালো তানজুর বুকে কামড় দিয়ে উঠে নীল এর কথা এক মিনিটের জন্য ভুলতে পারে না কারণ নীল এর মতো দেখতেই যে ওর ছেলে আদ্র হয়েছে। কতরাত চোখের জল ফেলে কেঁদেছে তানজু নীল এর স্মৃতি মনে করে। আদ্রর মুখের দিকে তাকিয়ে তানজু ওর চোখের জল ছেড়ে দেয়। চোখের পানি মুছে তানজু স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বসে বলতে শুরু করে….
নীল আর কিছু না বলে সোজা হাঁটতে শুরু করে নীল এর পেছন থেকে তানজু তানিয়া হাঁটতে শুরু করল। পেছন থেকে কাজল ঢেকে বলল।
– ওইদিক দিয়ে কোই যাস তোরা এই রাস্তা দিয়ে চল তারাতাড়ি হবে।
কাজলের কথা শুনে তিনজনেই পেছনে ঘুরে আসে। চার বান্ধবী মিলে গ্রামের কাঁচা রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে তারপর হঠাৎ-ই একটা গাড়ি ওদের সামনে দিয়ে গেলো গাড়িটা কালো রঙের দেখে কেমন কেমন জেনো ফিল হলো ওদের চারজনের গাড়িটা কিছু দূর গিয়ে থেমে গেলো গাড়িটা থামতে দেখে তানজু তানিয়া কাজল নীল দিলো দৌঁড় না জানি কারা আছে গাড়ির মধ্যে চারজনে দৌঁড়াতে দৌড়াতে অনেক দূরেই চলে যায়।
এত দৌঁড় হয়তো জীবনেও দৌড়ায়নি। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে চারজনে হাঁপাচ্ছে দৌঁড়ানোর কারণ হচ্ছে গাড়ির মধ্যে ফ্রন্ট সিটে বসে থাকা লোকটার হাতে পিস্তল দেখেছে নীল আর তানজু আর সেটা দেখেই চারজনে এতক্ষণ দৌড়াইছে। নীল ঝুঁকে দুই হাঁটু তে হাত চেপে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলছে একই কাজ বাকি তিনজন ও করছে। হঠাৎ পেছন থেকে কেউ একজন কাজলের কাঁধে হাত রাখল। হঠাৎ কারো স্পর্শ পেয়ে আতঙ্কে চিৎকার করে উঠল কাজল কাজলের চিৎকার শুনে বাকি তিনজন আতকে উঠে মাথা তুলে তাকায়। তাকিয়ে দেখল একজন লোক আর তার পেছনে তিনজন লোক কাজল লোকটা কে দেখে কেঁদে ফেলল আর কাজলকে কাঁদতে দেখে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটা ওদের চারজনের উদ্দেশ্যে বলল…
চলবে?
#অভ্র_নীল (সিজন-০২)
#পর্ব_০৯
#Sharmin_Akter_Borsha (লেখিকা)
________
লোকটা ওদের চারজনের উদ্দেশ্যে বলল…
কি হয়েছে তোমরা চারজন এত ভয় পেয়ে আছো কেনো? আর কাজল তুই আমাকে দেখে কেঁদে ফেললি কেনো মা কি হয়েছে?
কাজল এক হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে আব্বু বলে সামনের লোকটাকে জরিয়ে ধরে।
হঠাৎ কি এমন হল মেয়ে কাজল এমন ভাবে কাঁদছে দেখে অবাক হচ্ছেন সাথে নীল, তানিয়া, তানজিলা সবার দিকে চোখ বুলাচ্ছে ওদের চোখে মুখেও ভয়ের ছাপ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কাজলের বাবা কাজলকে এক হাত দিয়ে জরিয়ে ধরে বাকিদের উদ্দেশ্যে বলল।
– কি হয়েছে তোমরা সত্যি সত্যি বলো আমাকে এত ভীত দেখা যাচ্ছে কেনো তোমাদের?
নীল, তানিয়া, তানজিলা তিনজনে তিনজনের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে আর তখনই মিস্টার আহাদ ধমক দিয়ে বলল।
– কি হয়েছে বলো।
ধমক খেয়ে কেঁপে উঠল নীল আর গড়গড় করে বলতে শুরু করল।
– আমরা ওই রাস্তা দিয়ে আসছিলাম আঙ্কেল ওখান দিয়েই একটা কালো গাড়ি যাচ্ছিল গাড়িতে অনেকগুলো লোক আছে আর ফ্রন্ট সিটে বসে ছিলো একটা লোক যাকে দেখতে গুন্ডা টাইপের আরও বড় কথা হলো উনার হাতে পিস্তল ছিলো গাড়িটা কিছুদূর গিয়ে থেমে যায় সামনের সিটে বসা লোকটা গাড়ি থেকে নেমে আমাদের ডাকেন বলেন ” এই মেয়েরা শুনো” আমরা আর দাঁড়াইনি উল্টো এমন দৌঁড় দিয়েছি এক দৌঁড়ে এখানে এসে থেমেছি হঠাৎ আপনি এসে কাজলের গায়ে হাত দিলেন কাজল ভয় পেয়ে চিৎকার করল আর আপনাকে দেখে কেঁদে ফেলেছে।
নীল এর কথা মন দিয়ে শুনছিল আহাদ ভ্রু কুঁচকে মাটির দিকে তাকিয়ে রইল মনে মনে ভাবছেন উনার গ্রামে পিস্তল নিয়ে কারা আসবে যাকগে এসব কথা পরে ভাবা যাবে এদিকে সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে এমনিতেও মেয়ে গুলো ভয় পেয়ে আছে। তাদেরকে গাড়িতে উঠতে বলল গাড়িতে বসেও চারজনের হাত পা কাঁপছে।
গাড়ি বাড়ির গেইট দিয়ে ঢুকলে সবাই গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে বাড়ির ভেতরে চলে যায় ।
কাজলের এখনও ভয়ের রেশ কাটেনি। নীল রুমে ঢুকেই ওয়াশরুমে শাওয়ার নিতে চলে যায়। দীর্ঘ ক্ষণ বাধ টাওয়াল দিয়ে চুল পেচিয়ে বের হয়ে আসে আর সবার দিকে তাকিয়ে বলল।
– তোরা সবাই এমন ভাব করে আছিস মনে হচ্ছে চোখের সামনে কাউকে খুন হতে দেখেছিস। জাস্ট চিল মার কয়দিন বাধ বিয়ে আর এখন যদি এমন পেঁচার মতো মুখ করে রাখিস দেখতে কি ভালো লাগবে বল যা হয়েছে ভুলে যা এখন সর সর সাইড দে আমিও শুবো।
কথাগুলো বলে নীল তানজুর কলে মাথা রেখে শুয়ে মোবাইল স্ক্রল করতে লাগল। মোবাইলের মধ্যে কি আর স্ক্রল করছে কবি অভ্রর কবিতা পরছে।
রাত ৯টা বেজে ৫মিনিট রুমের সামনে কেউ একজন দাঁড়িয়ে দরজা ধাক্কাচ্ছে কোনো সাড়াশব্দ ছাড়াই দরজা ধাক্কাচ্ছে এত জোরে ধাক্কা দিচ্ছে মনে হচ্ছে এখনই দরজা ভেঙে যাবে। দরজা ধাক্কানোর গতি বেড়ে গেছে মনে হচ্ছে এখনই ভেঙে যাবে রুমে বিছানার উপর বসে আছে ওরা চারজন চার জনকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে কাঁপছে। শরীরের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে দরজা লাস্ট বার ধাক্কা দিতেই দরজা ভেঙে যায় হাতে পিস্তল নিয়ে রুমে ঢুকে পাঁচ ছয়জন লোক সামনে থাকা লোকটাকে দেখে নীল চিনে ফেলে এই সেই লোক যে তখন গাড়ি থেকে নেমে ওদের ডেকে ছিল। লোকটা কে দেখে ভয়ে কাচুমাচু হয়ে চারজন পিঠে পিঠ লাগিয়ে বসে কাঁপছে লোকটা পেছন থেকে পিস্তল বের করে নীল এর দিকে তাক করে বলল।
– তখন ডেকে ছিলাম তোকে আমি আমাকে উপেক্ষা করে পালিয়ে ছিলি এত সাহস আজ তোদের শেষ দিন।
কথাটা বলেই নীল এর বুক বরাবর সুট করে। গুলি সোজা নীলের বুকের বা পাশটায় গিয়ে লাগে নীল ” আহহহহ ” বলে চিৎকার দিয়ে বিছানা থেকে মাটিতে পরে যায় তখন তানিয়া তানজু কাজল নীল বলে চিৎকার দেয়।
চলবে?