নায়িকার নাম চেন্জ #রিহা থেকে
#নিলিমা।
ধর্ষন করে বিয়ে
পর্ব ৭
লেখকঃ Sanvi Ahmed Shakib
.
হঠাৎ পেছনে কারো ডাকে ঘোর কাটে সানভির।
শালিগুলা আবারো এসেছে।
ঝটপট চোখটা মুছে ফেলে সে।
নিলিমাও এতক্ষন অন্যমনস্ক ছিলো এবার বাস্তবে ফিরলো।
সানভি তাকিয়ে দেখি তার বন্ধুগুলা নিচে দৌড়াদৌড়ি করতাছে।
,
কি হইছে ওদের? ভাবতেই মনে পড়ে ওদের তো ঝাল বেশি করে দিয়ে খাওয়ানোর কথা ছিলো।
আমি দৌড়ে নিচে নামলো সানভি।
ওরা সানভিকে দেখে বললো,
.
– সালা তুই এইটা কি করলি এতো ঝাল আমরা বাপের জিবনেও খাইনাই।(সিয়াম)
.
সানভি না বুঝার ভান করে বললো,
– কি করলাম আমি?(সানভি)
.
– সালা এতো ঝাল দিতে বলছিস কেনো?(সিয়াম)
.
– আচ্ছা দাড়া আমি মিষ্টি আনতাছি।(সানভি)
.
সানভি দৌড়ে গেলো নিলিমার কাছে।
নিলিমা তখনো ছাদে দাড়িয়ে অন্যমনস্ত ভাবে দাড়িয়ে আছে।
সানভি চুপচাপ নিলিমার পেছনে গিয়ে দাড়ালো।
তারপর বললো,
.
– একটু মিষ্টি হবে?(সানভি)
নিলিমা সানভির কাছে চলে আসলো।
.
– আমি এই মিষ্টির কথা বলিনাই মিষ্টি চিনোনা ওইগুলা দাও।(সানভি)
,
নিলিমা লজ্জা পেয়ে রুমে চলে গেলো।
সে ভেবেছিলো আবারো ঝাল লাগছে তাই মিষ্টি চাইছে।
কিছুক্ষন পর মিষ্টির প্যাকেট হাতে ছাদে আসলো নিলিমা।
তারপর সানভির হাতে দিয়ে বললো,
.
– মিষ্টি দিয়ে কি করবা?(নিলিমা)
.
– নিচে তাকাও বুঝতে পারবে।(সানভি)
বলেই সানভি চলে গেলো।
নিলিমা নিচে তাকাতেই হেসে উঠে।
পুরা একটা কমেডি হিহিহি।
.
সানভি নিচে যাওয়ার সময় দেখা হয়ে যায় তার শালিদের সাথে।
নিহা বলে উঠে,
.
– দুলাভাই ঝাল একটু বেশিই দিছিলাম।(নিহা)
.
– তাই বলে এতো?(সানভি)
.
– আরে আপনি দুলাভাই মানুষ একটু দিতে বলছেন আমরা বেশি বেশি দিয়ে দিছি।(নিহা)
.
বলেই হেসে উঠে নিহা আর তার বান্ধবিগুলা।
সানভি বলে,
.
– শালিকা এতো খুশি হওয়ার কিছু নাই টাকা গুলা একটু ভালো করে চেক করো হাসি ফুরিয়ে যাবে।(সানভি)
.
– মানে??(নিহা)
– ওগুলা টাকা না শুধুই কার্ড।হিহিহি।(স
ানভি)
.
সানভি বিজয়ের হাসি দিয়ে বেরিয়ে যায়।
নিহা টাকাগুলা চেক করে দেখে সত্তিই তাই।
খুব রাগ হয় তার। বান্ধবিদের সাথে কথা বলে কিভাবে দুলাভাইকে জব্দ করা যায়।
তারপর একটা বুদ্ধি বের করে।
সানভিকে ল্যাং মেরে ফেলে দিবে। তারপর পকেট থেকে মানিব্যাগ টা নিয়েই দৌড়।
তখন বুঝবে কেমন লাগে।
,
সানভি দৌড়ে বন্ধুদের কাছে গিয়ে মিষ্টি খাওয়ায়।
তারপর চলে আসে।
গিয়ে রুমে বসে। তখনই নিলিমা আসে।
সানভি চুপচাপ বসে থাকে।
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠে,
.
– হ্যালো।(সানভি)
– দোস্ত একটু ছাদে আয়।(সিয়াম)
– এখন আবার ছাদে কেনো??(সানভি)
– কথা আছে।আয় একটু।(সিয়াম)
.
সানভি ছাদে যায়।
গিয়ে দেখে সিয়াম দাড়িয়ে আছে,
– কিরে ডাকলি কেনো?(সানভি)
.
– দোস্ত একটা হেল্প লাগবো?(সিয়াম)
– কি হেল্প বল।(সানভি)
.
– হেল্পটা খুবই কঠিন একটা কাজ আমার জন্য তবে তোর জন্য খুব সহজ।দোস্ত প্লিজ বল কাজটা করবি তুই।(সিয়াম)
– আরে বলবিতো কি হেল্প।(সানভি)
.
– দোস্ত আমি প্রেমে পড়ছি।(সিয়াম)
– কস কি তুই কার প্রেমে পড়ছিস?(সানভি)
.
– তোর শালির প্রেমে।মানে নিহার প্রেমে।(সিয়াম)
– কিহ।(সানভি)
.
– হুমম সত্তি দোস্ত একটু নাম্বারটা যোগাড় করে দে প্লিজ.(সিয়াম)
.
– আমি এসবের মধ্যে নাই।(সানভি)
– নিলিমার ব্যাপার এ আমি কতটা হেল্প করছি ভুলে গেলি আচ্ছা যা লাগবোনা।(সিয়াম)
.
বলেই রাগ করে মুখ ঘুরায়।
– আচ্ছা দেখি কি করতে পারি।(সানভি)
– Thank u dost…assa akhon bye..ja salaa vabi wait kortase …..(siam)
– ok….(sanvi)
,
সিয়াম চলে যাওয়ার পর সানভি সিগারেট ধরায়।
সিগারেট শেষ করার পর কিছুক্ষন বসে থাকে সানভি।
তারপর আসার পথে শালিকাগুলা দেখে আড়াল থেকে তাকে।
নিহা ভাবে এই সুযোগ এবার ফেলে দিবো ব্যাটা দুলাভাইকে।
আমার সাথে পাঙা নেওয়া এবার হারে হারে টের পাবে নিহা কে হুমমমম।
.
সানভি অন্যমনস্ক ভাবে হেটে চলেছে।চারপাশে কি ঘটছে সেই খেয়াল নেই তার।
নিহার খুব কাছে চলে আসছে সে বুঝতেই পারেনি।
নিহা আড়াল থেকে পা বাড়িয়ে দিতেই সানভি কিছু একটার সাথে আটকে গিয়ে হোচট খায়।কিন্তু সে তো ব্যাথা পেলোনা তাহলে কি হলো তার।
.
হঠাৎ খেয়াল করলো নিলিমা তাকে ধরতে গিয়ে নিজেই পড়ে গেছে আর সানভি তার ওপর।
নিলিমার মুখে মুচকি হাসি। যদিও পায়ে বেশ ব্যাথা পেয়েছে তারপরও সে খুশি।
ওদিকে নিহা নিলিমাকে দেখে পালাইছে।
,
সানভির খেয়াল ই নেই সে একজনের ওপর পড়ে আছে।
তার সব মনোযোগ একটা ঠোটের ওপর।লাল একটা গোলাপের পাপড়ির ওপর নজর পড়ে গেছে। কিছুতেই চোখ ফেরাতে পারছেনা সে।
নিলিমা চোখ বন্ধ করে আছে,
.
সে আন্দাজ করতে পারে এখন কি হতে চলেছে।
তবে সানভি সবকিছু ভুল প্রমান করে নিজেকে সংযত করে উঠে দাড়ায়।
নিলিমা এতোক্ষন পর চোখ খুললো,
সানভি কিস করলো না এটা ভেবে সে একটু অবাক হলো।
তারপর সেও উঠারর চেষ্টা করলো কিন্তু ব্যার্থ।
পায়ে খুব ব্যাথা পেয়েছে উঠে দাড়াতে পারছে না সে।
.
ব্যাপারটা চোখ এড়ায় না সানভির।
চুপচাপ কোলে তুলে নেয় নিলিমাকে।
নিলিমা সানভির কাধে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে রাখে।
সানভি হেটে চলেছে।আর মনে মনে বলছে
আটার বস্তা এতো ভাড়ি কেনো। এমনিতে তো চিকন তাহলে এতো ভাড়ি কেনো।
আর নিলিমা ভাবে,
লিপ কিস এর চাইতে আমাকে যে এভাবে নিয়ে যাচ্ছে এটাই বেশি আনন্দের।
মনে মনে ধন্যবাদ দেয় নিহা কে।
প্রথমে ভাবছিলো বকা দিবে কিন্তু এরকম কিছু হয়ে যাবে ভাবতেও পারেনি।
।
।
#লাইক_কমেন্ট করে পাশে থাকবেন
আর গল্পটি কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন প্লিজ প্লিজ প্লিজ।