অপূর্ব প্রাপ্তি,পর্ব-ছত্রিশ (দ্বিতীয় অংশ)
নাফিসা নীলয়া!
মিলা সকাল সকাল সবাইকে চা করে খাওয়ালো। রেজাউল,মালিহা আর নূরজাহান বেগম মিলার কান্ড দেখে প্রচুর অবাক হয়েছে। মিলা শান্ত মেয়ের মতো এখন আবার সবাইকে নাস্তাও বেড়ে দিচ্ছে। মালিহা অবাক হয়ে বললেন
-আজ তো আমার খুশির দিন। আমার ছোট মেয়ে নাকি আমাদের চা নাস্তা বানিয়ে খাওয়াচ্ছে। আল্লাহ্! নীরা দেখলে কতো খুশি হতো বল তো?
মিলা সবাইকে নাস্তা দিয়ে নিজে বসেছিলো।মালিহার কথাটা শুনে হঠাৎ কেঁদে ফেললো। রেজাউল উঠে এসে মিলার মাথায় হাত বুলালেন। নূরজাহান বেগম বিরক্ত হয়ে বললেন
-বোনের বিয়েই তো হয়েছে। একদিন না একদিন তো শ্বশুড়বাড়িতে যেতেই হতো। তুই এমন করছিস কেন? আশ্চর্য! মনে হয় ওর একার বোনেরই বিয়ে হয়েছে। আর কারো বোনের মনে হয় বিয়ে হয় না!
নূরজাহান বেগমের কথা শুনে মিলা কান্না থামিয়ে দিলো। রেজাউল নূরজাহান বেগমকে বললেন
-আহা আম্মা তুমি তো জানো মিলা কেমন। তাও এভাবে বলছো কেন?
নূরজাহান বেগম আর কিছু বললেন না। মালিহাও মিলাকে আদর করে বললেন।
-তুই যে এমন কথায় কথায় কাঁদছিস নীরা জানতে পারলে কষ্ট পাবে না? এমন করিস না মা।
মিলা সবার শান্তনা পেয়ে কান্না থামিয়ে চুপ করলো।
নীরা সব কাজ সেরে এসে বারান্দায় চুপ করে দাড়িয়েছে। শিহাব নীরার পেছন পেছন এসে দেখলো নীরা চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। শিহাব নীরার পাশে দাড়িয়ে বললো।
-মন খারাপ?
নীরা হেসে বললো।
-একদম না। তিতলি আর রেহানের জন্য কি মন খারাপ করে থাকা যায়?
শিহাবও হাসলো বললো।
-আর আমার জন্য? আমি বুঝি তোমাকে মন খারাপ করে থাকতে দেই?
নীরা শিহাবের হাত ধরে কাঁধে মাথা রাখলো। কিছু বললো না। শিহাব নীরার মাথায় নিজের মাথা ঠেকিয়ে নীরার হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিলো। সে ও কিছু বললো না দুজন একসাথে চুপচাপ দাড়িয়ে রইলো।
তিশা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেছে। নিজের বাবা-মায়ের কথা একদম শুনেনি। আসমা অনেকবার আটকাতে চেয়েছেন। কিন্তু তিশার জেদের কাছে তিনি হেরে গেছেন। তিশা বলেছে তাকে যদি কেউ আটকাতে চায় তাহলে সে নিজের সাথে খারাপ কিছু করে ফেলবে। তিশা নিজের মতো থাকতে চায় মুভ অন করতে চায়। এজন্যই সে একা থাকবে। কিন্তু আসমার তিশার কথাটা বিশ্বাস হয়নি। কারন তিশা যদি মুভ অন করারই সিদ্ধান্ত নিতো। তাহলে সে বাবা-মাকে ছেড়ে একা থাকতে চাইতো না।
আসমা হতাশ হয়ে বসে বসে এসবই ভাবছিলেন। নিজের মেয়েটাকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারলেন না। এই ব্যর্থতা তিনি কি করে ঘুচাবেন!
তিশা বাড়ি থেকে দূরে নিজের একটা আ্যাপার্টমেন্টে উঠেছে। সবকিছু আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো। সেজন্য এখানে এসে নিজেকে কিছুই করতে হয়নি। তিশা ঘুরে ঘুরে নিজের আ্যপার্টমেন্ট দেখে। ফোন বের করে নিজের এক্স বয়ফ্রেন্ড আসাদ কে কল করলো। আসাদ তিশার ফোন পেয়ে তাড়াতাড়ি রিসিভ করে বললো।
-তিশা আহ্ জীবন ধন্য হয়ে গেল। এতোদিন পর আসাদকে মনে পরলো যে? আমাদের না ব্রেক আপ হয়ে গেছিলো। এখন কি আবার প্যাচআপ করতে চাচ্ছো?
তিশা বিরক্ত হলো খুব। বললো।
-দেখো আমাদের কিন্তু মিউচুয়াল ব্রেকআপ হয়েছিলো। এখন পিঞ্চ মারলে চলবে না।
আসাদ হোহো করে হেসে বললো।
-আচ্ছা বুঝেছি। কিন্তু আমি তো তোমাকে ভুলতে পারিনি ডার্লিং। এখনো তোমাকে মনে পরে।
তুশা বিরক্তিতে চোখমুখ কুঁচকে রাখলেও বললো।
-আমার জন্য কি করতে পারো তুমি?
আসাদ হেসে বললো।
-তুমি যে নিজের স্বার্থের জন্য আমাকে ফোন করেছো সেটা আমি খুব ভালো করেই বুঝেছি। আমার থেকে ভালো করে তোমাকে আর কে চেনে! যাই হোক তোমার জন্য আমি সবসময় হাজির। আফটার অল তুমি আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড। যাকে আমি এখনো ভুলতে পারিনি।
তিশাও হাসতে হাসতে বললো।
-দেখা করো। অনেকদিন দেখা হয় না। তখনই সব বলবো।
আসাদও দেখা করতে রাজি হলো। তিশা ফোন কেটে দিলো। তারপর নিজে নিজেই হেসে বললো।
-তিশা এমনই একজন। যাকে কেউ কখনো না করতে পারে না। কিন্তু এই কাজটা তুমি করেছো শিহাব। এর ভরপাই তো দিতেই হবে!
নীরা ঘরে বসে আছে। কারো সারাশব্দ নেই। হয়তো সবাই ওয়ালিমার আয়োজনে ব্যস্ত আছে। নীরা ভাবলো সে ও নিচে যাবে। তখনই তিতলি এসে হাজির হলো। পেছন থেকে নীরার চোখ ধরলো। নীরা চমকে গেল। তিতলি হাসতে হাসতে বললো।
-রিল্যাক্স ভাবিমা ইট্স তিতলি। তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে। নিচে চলো।
নীরাও হাসতে হাসতে বললো।
-কি সারপ্রাইজ?
-উহু এখন বলবো না নিচে গেলে দেখতে পাবে। আর আমি তোমাকে ভালো করে ধরে আস্তে আস্তেই নিয়ে যাবো। তুমি পরবে না।
নীরা হেসে সায় দিলো। তিতলি একহাতে নীরার চোখ ভালো করে ধরে আরেকহাতে নীরার হাত ধরে নিয়ে গেল। তারপর আস্তে করে চোখ থেকে হাত সরিয়ে নিলো। হাত সরানোর পর নীরা দেখলো তার সামনে মিলা,রুমা,আর সাইফ দাড়িয়ে আছে। রুমা নীরাকে দেখে চেঁচিয়ে বললো।
-সারপ্রাইজ!
নীরা কিছু বলতে চাইছিলো। খুশিতে চোখে পানি এসে পরলো তার। কিন্তু তার আগেই মিলা নীরাকে জড়িয়ে ধরলো। এবার আর জোরে কাঁদলো না। নীরাকে জড়িয়ে ধরে নীরবে কাঁদলো। নীরাও বোনকে পেয়ে জড়িয়ে ধরলো। মিলা নীরাকে অনেক শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো চুপচাপ। সবাই মিলার কান্ড দেখে হাসলো। রেহান হাসতে হাসতে বললো।
-টিলা বেয়াইন ভাবিমা কে দেখে কথা বলতে ভুলে গেছে। দুনিয়ার সবই ভুলে গেছে। স্ট্যাচু হয়ে গেছে।
নীরা মিলাকে জড়িয়ে ধরেই বললো।
-আমার বোনটা কেমন আছে? আমাকে ছাড়া থাকতে কি খুব কষ্ট হয়েছে?
মিলা কোনো জবাব দিলো না।
সাইফ মিলাকে ধমকে বললো।
-আজব তো মিলা! ছাড় ওকে আমাদের কি ভালো করে কথা বলতে দিবি না নাকি? তোর একারই বোন নাকি?
সাইফের ধমক খাওয়ার পরও মিলা ছাড়লো না। কিছুক্ষন পর নিজ থেকেই ছাড়লো। নীরা দেখলো তার বোনের চোখ মুখ একদিনেই শুকিয়ে গেছে। নীরা হাসতে হাসতে মিলার গাল টেনে দিয়ে বললো।
-আমাকে এতো ভালোবাসিস?
মিলা নাক টেনে বললো।
-খুব। আমি তোমাকে খুব মিস করেছি আপা।
রুমা হাসতে হাসতে বললো।
-এজন্যই তো শিহাব ভাই আমাদেরকে এখানে নিয়ে এসেছে।
রুমার মুখে শিহাবের কথা শুনে নীরা শিহাবের দিকে হেসে তাকালো। শিহাব ও একটুখানি হাসলো নীরার দিকে তাকিয়ে।
আগামীকাল ওয়ালিমা এজন্য রুমারা কেউ আসতে চায়নি। কিন্তু শিহাব নোটিস করেছিলো নীরার মিলার জন্য মন খারাপ হচ্ছে তাই সে মিলাদের নিজে গিয়ে নিয়ে এসেছে।
সবাই মিলে গল্পগুজব করতে থাকলো। নীরা রান্নাঘরে এসেছিলো কিছু খাবার নিতে। রুমাও নীরার সাথে এলো। নীরা ভ্রু কুঁচকে বললো।
-কি?
রুমা মিটিমিটি হেসে বললো।
-কি?
নীরা বিরক্ত হয়ে বললো।
-সেটাই তো আমি তোকে জিজ্ঞেস করছি যে কি হয়েছে?
-আমি কি বলবো। বলবি তো তুই!
-মানে আমি কি বলবো?
রুমা নীরার কানে কানে ফিসফিস করে বললো।
-কাল রাতে কি হলো হুম? সব বলবি আমাকে।
রুমার কথা শুনে নীরা থতমত খেয়ে গেল। বললো।
-কিহ্!! মানে কি বলবো আমি তোকে? আশ্চর্য!
রুমা হাসতে হাসতে বললো।
-ন্যাকা। জানিস না কি বলবি। কালকের রাতটা দুজনের কেমন কেটেছে। কি কি হয়েছে সব বলবি!
নীরা এতে বিরক্ত হয়ে বললো।
-তোরটা আমি জিজ্ঞেস করেছি? যে তুই জিজ্ঞেস করছিস।
-আমি তো তোর মতো অতো ভদ্র না তাই জিজ্ঞেস করছি। এখন ভালোয় ভালোয় বল কি কি হয়েছে।
নীরা নিজের কপাল চাপড়ে বললো।
-উফ আল্লাহ্ তেমন কিছুই হয়নি। আমরা একসাথে নামাজ পড়েছি গল্প করেছি। তারপর ঘুমিয়েছি।
নীরার কথা শুনে রুমা মুখটাকে এমন করলো যেনো সে দুনিয়ার সবথেকে রসকষহীন কথাটা শুনেছে। রুমা মুখটাকে লটকে বললো।
-হোয়াট? কি করেছিস? গল্প করেছিস? ঘুমিয়েছিস? মানে সিরিয়াসলি!
নীরা হাসতে হাসতে বললো।
-সিরিয়াসলি।
রুমা এবার নিজেই বিরক্ত হলো।তবুও হেসে বললো।
-ধ্যাত এসব কি করেছিস! শোন আমি তোকে বুদ্ধি দেই আজকে রাতে সেজেগুজে থাকবি। এমনভাবে থাকবি যেনো এট্রাক্টিভ লাগে। তারপর বেশি কিছু করতে হবে না জাস্ট সামনে যাবি একটু হেসে কথা বলবি। কাজ হয়ে যাবে।
নীরা রুমাকে ধমক দিয়ে কিছু বলতে চাইছিলো। তখনই দেখলো শিহাব এসে দরজার সামনে দাড়িয়েছে। নীরা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। রুমা শিহাবকে দেখে হেসে বললো।
-শিহাব ভাই এখানে? বউকে এক মুহূর্তের জন্যও চোখের আড়াল করতে ইচ্ছে করে না না?
শিহাব রুমার কথায় তাল দিলো। নীরার দিকে তাকিয়ে হেসে বললো।
-একদম ঠিক বলেছো। এক মুহূর্তও চোখের আড়াল করতে ইচ্ছে করে না।
শিহাবের কথা শুনে রুমা খিলখিল করে হাসলো। শিহাব ফ্রিজ থেকে মিষ্টি নিতে এসেছিলো। মিলার ঝাল লেগেছে এজন্য। মিষ্টি নিয়ে চলে গেল। শিহাব যাওয়ার পর নীরা রুমার হাতে চিমটি কাটলো। বললো।
-শয়তান মেয়ে এতো বাজে বাজে কথা কোত্থেকে
শিখেছিস? তখন শিহাব না আসলে তোকে আমি মেরেই ফেলতাম।
-এখন মারছিস না কেন?
নীরা রেগেমেগে রুমাকে কয়েকটা চাপড় মারলো। রুমাও হাসতে হাসতে নীরাকে মারলো। দুই বান্ধবি একসাথে এসব করতে করতেই বাইরে গেল।
রেহান আর মিলার ঝগড়া,তিতলির মজার মজার কথা। সাইফ রুমার নীরা আর শিহাবকে পিঞ্চ মারা এসব করেই আড্ডা জমে গেল। সন্ধ্যার সময় সবাই বিদায় নিলো। এবার আর মিলা কাঁদলো না কারন সে তার আপাকে খুবই হাসিখুশি দেখেছে। মিলাও খুব খুশি হলো। সবাই মিলে একটা চমৎকার বিকাল কাটালো।
রাতের বেলাতে এশার নামাজ পড়ে এসে নীরা ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে চুল বাঁধছিলো। শিহাব চুপচাপ ল্যাপটপ নিয়ে মুখ গুঁজে বসে কাজ করছিলো। নীরা শিহাবকে কাজ করতে দেখে বারান্দাতে গেল। একা একা বাইরের প্রকৃতি দেখছিলো। অনেকক্ষন একাই দাড়িয়ে ছিলো। হঠাত তার খুব কাছে নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পেলো। আর খুবই পরিচিত পারফিউমের গন্ধ। নীরা বুঝে গেল কে তার পেছনে এসে দাড়িয়েছে।
নীরা পেছন ফিরতে গেল। কিন্তু হঠাত পেছন ফেরাতে নীরা শিহাবের বুকের সাথে ধাক্কা খেলো। ধাক্কা খেয়ে নীরা শিহাবকে ধমকে বললো।
-উফ্ আল্লাহ্ তোমার সাথে ধাক্কা খেতে খেতেই জীবন যাবে। সরো।
শিহাব সরলো না। নীরার পেছনের গ্রিলে হাত দিয়ে রাখলো। আর এগিয়ে আসলো। নিঃশ্বাসের দুরত্ব আছে এখন শুধু। নীরা বিরক্ত হয়ে বললো।
-খাম্বার মতো দাড়িয়ে আছো কেন?
শিহাব কিছু না বলেই নীরার গালের সাথে নিজের গাল লাগিয়ে রাখলো। নীরা এতোখন অপ্রস্তুত হয়ে থাকলেও প্রকাশ করেনি। কিন্তু এখন অনেক বেশি অস্বস্তি লাগছে। সে আগের মতোই নিজের অস্বস্তি প্রকাশ না করে কন্ঠে বিরক্তি ঢেলে বললো।
-সরো না। ঘুম পাচ্ছে আমার ঘুমাবো।
শিহাব নীরার কানের কাছে মুখ নিয়ে ধীরগতিতে বললো।
-ব্যাড ট্রাই!
নীরা যথাসম্ভব বিরক্তিকর ভাব করে বললো।
-সরো নইলে ধাক্কা দিবো এখন।
শিহাব আস্তে করে বললো।
-দাও।
নীরা সত্যিই শিহাবের বুকে ধাক্কা দিলো। কিন্তু সরাতে পারলো না। সরাতে না পেরে হাল ছেড়ে দিয়ে বললো।
-সরবে না? আমি কি ঘুমাবো না?
শিহাব নীরার কাঁধে নিজের থুতনি রেখে বললো।
-ব্যাড ট্রাই! তুমি যে এতো তাড়াতাড়ি ঘুমাও না তা আমি খুব ভালো করেই জানি।
নীরা বুঝলো যে সে যতোই নিজেকে লুকাতে চাক শিহাব ঠিকই ধরে ফেলে। তাই সে এবার বললো।
-তুমি এভাবে থাকলে আমার অস্বস্তি হচ্ছে। একটু দূরে সরো। আমরা কথা বলি।
শিহাব আরো কাছে এসে বললো।
-সরবো না।
নীরা কি করবে ভেবে পেলো না তাই চুপ করে রইলো। শিহাব তখন মিটিমিটি হেসে ফিসফিস করে বললো।
-রুমার বলা কথাগুলো ভাবছো নাকি? শোনো তোমার সাজতে হবে না। তুমি সবসময়ই আমার কাছে এট্রাক্টিভ। সবসময়!
বলেই শিহাব নীরার থুতনিতে চুমু খেলো।
এতোক্ষন তো নীরার অস্বস্তি লাগছিলোই। এবার সে আরো লজ্জ্বাই পেয়ে চোখে নামিয়ে রাখলো।
শিহাব একটু দূরে সরে বললো।
-যাও তোমার জন্য একটু কনসিডার করলাম। দূরে দাড়ালাম।
নীরা চোখ তুলে বললো।
-এটাকে দূরে দাড়ানো বলে?
শিহাব আরো কাছে এসে বললো।
-এরচেয়ে দূরে দাড়ানো সম্ভব না। এরচেয়ে দূরে দাড়াতে বললে এভাবেই থাকবো।
নীরা আবার আগের রূপে ফিরে বললো।
-ঘাড়ত্যাড়া।
শিহাব হাসতে হাসতে বললো।
-তোমারই।
–চলবে!