#কনফিউশন,৩০,৩১
লেখকঃ মৌরি মরিয়ম
পর্ব ৩০
.
কাব্য আগামী মাসে সুইডেন চলে যাচ্ছে, স্কলারশিপ পেয়েছে সে। সুখবরটা পেয়ে আরশির যতটা খুশি হওয়ার কথা ছিলো ততোটা হতে পারেনি সে। কাব্যর কাছে খুশি প্রকাশ করলেও খবরটা শোনার পর থেকেই তার মন খারাপ। আজকাল কাব্যকে ছাড়া একটা দিন কল্পনা করতে পারেনা সে। সে চায়নি কাউকে এতোটা ভালোবেসে ফেলতে আবার আটকেও রাখতে পারেনি নিজেকে। আজ আরশি ক্লাস শেষ করে বেরিয়ে দেখে আকাশে মেঘ জমেছে, কাছেই হয়তো কোথাও ঝুমবৃষ্টি হচ্ছে। গাছ থেকে ঝরে যাওয়া মরা পাতাগুলো বাতাসে ছুটোছুটি করছে। এমন মেঘলা আবহাওয়া দেখে হঠাৎ করেই কাব্যর জন্য মন কেমন করে উঠলো তার। খোলা রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা কাব্যর হাত ধরে হাঁটতে ইচ্ছে করছে। যদিও সেটা কখনোই সম্ভব না। রাস্তা পার করার সময় কদাচিৎ তার হাত ধরে কাব্য, সেও এমন ভাব করে দাঁড়িয়ে থাকে যেন একা রাস্তা পার হতে জানেনা। কিন্তু কাব্য কি পারে না পুরো রাস্তাটা তার হাত ধরে হাঁটতে?
কাব্য নিজের কাজ গুছিয়ে ফেললো। আজ সে হাফবেলা ছুটি নিয়েছে। কাল থেকে আরশির মেডিকেল কলেজ বন্ধ থাকবে। তাই সে বাসা থেকে বের হবে না। যেহেতু বাইরে দেখা হওয়া বন্ধ তাই আজকে একসাথে লাঞ্চ করে একসাথে বাসায় ফিরতে চায় কাব্য। কিন্তু সে ফোন করার আগেই আরশি ফোন করলো।
“হ্যালো কাব্য।”
“বলো আরশি।”
“তুমি কি ব্যস্ত?”
“তেমন না, কেন বলোতো।”
“তুমি ফ্রি থাকলে ঘুরতাম। ওয়েদার ডিমান্ড।”
কাব্য একটু মুচকি হাসলো। তারপর বললো,
“কোথায় আসবো?”
“আমি তোমার অফিসের সামনে আসবো?”
“তুমি উল্টো এতদূর আসবে কেন? ওইদিকেই বরং অপেক্ষা করো আমি আসছি।”
“আচ্ছা।”
সারা বিকেল ঘুরে সন্ধ্যাবেলা যখন রিক্সায় করে বাসায় ফিরছিলো তখন কাব্য বললো,
“আজকে থেকে তো তুমি ফ্রি, হিমুর বাকী বইগুলো পড়ে ফেলো। নীলপদ্ম যখন ভালো লেগেছে, আমি যেগুলো দেবো সবগুলোই ভালো লাগবে।”
“আচ্ছা আজ গিয়ে নিয়ে নেবো।”
“ঠিকাছে।”
হঠাৎ বৃষ্টি নামতে শুরু করলো, রিক্সাওয়ালা কাব্যর হাতে পর্দা দিতেই কাব্য সেটাকে মেলে দিলো। আরশি বললো,
“চলোনা আজ বৃষ্টিতে ভিজি।”
“ঠান্ডা লাগবে।”
আরশি হেসে বললো,
“ছুটি নিয়ে নিও। আমি নিয়মিত সেবা করতে যাবো।”
*নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”*
“কী সৌভাগ্য! কিন্তু আমি আপনার ঠান্ডা লাগার কথা বলছি ডাক্তার আপা।”
“কলেজ বন্ধ, এই ফাঁকে একটু ঠান্ডা লাগলে ক্ষতি কী?”
কাব্য হেসে পর্দা সরিয়ে দিলো, হুড ফেলে দিলো। বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলো দুজনে। কিছুক্ষণ পর রিক্সাও ছেড়ে দিলো। হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরলো।
বাড়ি ফিরে দেখে বিদ্যুৎ নেই। কাব্য তার মোবাইলের টর্চ জ্বেলে ধরলো, আরশি উপরে উঠে গেলো। আরশি উপরে যাওয়ার পর কাব্য ঘরে ঢুকলো। কাপড়ও পালটানোর সুযোগ পেলো না তার আগেই আবার দরজায় টোকা পড়লো। দরজা খুলে দেখে আরশি দাঁড়িয়ে৷ কাব্য অবাক হয়ে বললো,
“কী ব্যাপার? ভেজা কাপড়ে আবার ফিরে এলে যে?”
“বাসায় কেউ নেই। আমার কাছে চাবিও নেই। ভাবিকে ফোন করলাম। ভাবি তাদের বাসায় গিয়েছিলো। ফিরছে এখন, কাছাকাছি চলে এসেছে।”
“ও আচ্ছা, তাহলে ভেতরে এসে বসো।”
আরশি ভেতরে ঢুকে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। কাব্য বললো,
“বসো না।”
“কোথায় বসবো? সব ভিজে যাবে।”
“আরে ধুর, ভিজলেই কী?”
“না বসবো না, এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতেই ভালো লাগছে।”
“আচ্ছা তাহলে কাপড় পালটাবে? আমার পাঞ্জাবি তোমার ফিট হবে, পরতে পারো।”
আরশির খুব ইচ্ছে করছিলো কাব্যর পাঞ্জাবি পরতে। কিন্তু তারচেয়ে বেশি লজ্জা করছিলো। বললো,
“দরকার নেই, ভাবি এক্ষুণি চলে আসবে।”
“আচ্ছা আলোর ব্যবস্থা করি তাহলে।”
কাব্য ভেতরে যাচ্ছিলো। আরশি সাহস করে কাব্যর হাত ধরে থামালো। বললো,
“আবছা আলো ভালো লাগছে।”
“মোম জ্বালাই অন্তত। তোমাকে দেখতেই তো পাচ্ছি না।”
এ কথায় আরশি লজ্জা পেয়ে হাতটা ছেড়ে দিলো। কাব্য মোম জ্বালিয়ে দিলো। কিন্তু মোমটা জ্বালানো বোধহয় ভুল হলো। মোমের আলোয় ভেজা কাপড়ে, ভেজা চুলে আরশিকে ঐশ্বরিক কোনো দেবীর মতো লাগছে। আরশির এই রূপে কাব্য এলোমেলো হয়ে গেলো। কাছে গিয়ে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।
আরশির খুব অদ্ভুত লাগছে। সে চাইছিলো আরো কিছুক্ষণ কাব্যর সাথে থাকতে। সে চায় কাব্য তাকে দেখুক। অথচ এখন যখন কাব্য তাকে দেখছে, তার চোখ তুলে তাকাবার সাহস হচ্ছেনা। প্রচন্ড লজ্জা লাগছে। কেন এমন হয়? কাব্য হঠাৎ বললো,
“আরশি তাকাও আমার দিকে।”
আরশি তাকিয়ে সাথে সাথেই আবার চোখ ফিরিয়ে নিলো। কাব্য বললো,
“তুমি কখনো আমার চোখের দিকে তাকাও না কেন বলোতো? সবসময় চোখে চোখ পড়লেই চোখ ফিরিয়ে নাও!”
“কই না তো।”
কাব্য আরশির গালে হাত রেখে মুখটা নিজের দিকে ফিরিয়ে বললো,
“দেখি তাকাও।”
আরশির পুরো শরীর কেঁপে উঠলো। আবার তাকালো। কিন্তু ওই চোখে তাকালে আরশির যেন কী হয়! সাথে সাথে আবার চোখ নামিয়ে নিচ্ছিলো। কাব্য এবার দুহাতে আরশির মুখটা ধরে বললো,
“প্লিজ তাকাও।”
আরশি আবার তাকালো। দুজন দুজনের চোখে তাকিয়ে রইলো অনেকক্ষণ। আরশি অদ্ভুতভাবে কাব্যর চোখভরা ভালোবাসা আবিষ্কার করলো। কাব্যর কনফিউশন আছে কিনা জানেনা সে তবে আজ থেকে তার আর কোনো কনফিউশন নেই। এই চোখে আরো আগে তাকালো না কেন সে? তাহলে তো আরো আগেই জানতে পারতো কাব্য কতোটা ভালোবাসে তাকে।
কাব্যর ইচ্ছে করছে আরশিকে আরো কাছে টেনে নিতে। সে জানে এই মুহুর্তে সেটা অসম্ভব না। আরশি পাগলের মতো ভালোবাসে তাকে। কিন্তু সে তো খারাপ ছেলে তাই তাকে ভালোওবাসতে হবে খুব সাবধানে। ভালোবাসার সব বহিঃপ্রকাশ তার বেলায় খাটবে না। সে চায়না কোনোভাবে আরশি দূরে সরে যাক। এইযে আরশি তার জীবনের কালো অধ্যায়গুলো সম্পর্কে জানার পরেও তাকে এতো বিশ্বাস করে, তার চোখে নিজেকে সপে দিয়েছে! একটা খারাপ ছেলের জীবনে এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে? কাব্য আরশিকে ছেড়ে দিয়ে সরে গিয়ে বললো,
“ভাবিকে ফোন দাও, দেখো কতদূর এলো।”
আরশি ঘন ঘন শ্বাস নিতে লাগলো। যেন অনেকক্ষণ পর নিশ্বাস নিলো। কিন্তু এতোক্ষণ নিশ্বাস আটকে থাকতেও তার ভালো লাগছিলো। আরো কিছুক্ষণ তার নিশ্বাস আটকিয়ে রাখতে পারলো না কাব্য?
আরশি বেরিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু মাথায় ভুত চাপলো, আবার ফিরে এলো কাব্যকে জড়িয়ে ধরবে বলে। কিন্তু কাব্যর সামনে এসে মনে হলো এটা কাব্যর তরফ থেকে হওয়া উচিৎ। একদিনে অনেক পাগলামি করেছে সে, আর নয়। কাব্য বললো,
“কিছু বলবে?”
“না।”
আরশি বেরিয়ে গেলো। আরশি চলে যাওয়ার পর কাব্যর খেয়াল হলো রশ্নি ভাবি তো এখনো আসেনি। মেয়েটা একা একা উপরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে? এই ভেবে সিঁড়ির দিকে আগাতেই শুনতে পেলো রশ্নি ভাবি দরজা খুলে বলছেন,
“কীরে এতো দেরী হলো? ফোনেও পাচ্ছিলাম না তোকে। বাইরে এতো বৃষ্টি আমি তো খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।”
“ফোন চার্জ শেষ হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে ভাবি। বৃষ্টিতে আটকা পড়েছিলাম। পরে দেরি হচ্ছিলো বলে ভিজেই চলে এসেছি।”
“আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে নে।”
কাব্য হেসে দিলো। তার মানে রশ্নি ভাবি বাসাতেই ছিলো। আরো কিছুক্ষণ একসাথে থাকার জন্য আরশি মিথ্যে বলেছে!
চলবে…
#কনফিউশন
লেখকঃ মৌরি মরিয়ম
পর্ব ৩১
.
বেশকিছুদিন ধরে তিরার শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। ঠিকমতো খেতে পারছে না, ঘুমাতে পারছে না। অবস্থা বেগতিক দেখে যাদিদ তার মাকে বলেছে তিরাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে। তিরা যেতে চাচ্ছিলো না কিন্তু শাশুড়ী জোর করে নিয়ে গিয়েছিলো। কোনো রোগ নেই তার, শরীর দুর্বল। ডাক্তারের কাছে গেলে কী হবে? যাদিদের কাছে গেলেই ঠিক হয়ে যেতো সব। অবশ্য মাঝেমাঝে তার মনে হয় মানসিক ডাক্তারের কাছে গেলে সম্ভাবত কাজ হবে। পুরোপুরি হতাশ হয়ে গেছে সে। তার ইদানীং মনে হয় যাদিদ যাদিদ করেই সে মরবে। রাত্রেবেলা শুয়ে থেকে যাদিদের ফোনের অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে অবশেষে মাঝরাতে তিরা নিজেই ফোন করলো। প্রথমবার রিসিভ হলো না, দ্বিতীয়বারও রিসিভ হলো না। এবার খানিকটা চিন্তাই হচ্ছিলো। তিরা একটানা ফোন করতেই লাগলো। কিছুক্ষণ পর ওপাশ থেকে ঘুমন্ত কন্ঠস্বর ভেসে এলো,
“হ্যালো তিরা।”
তিরা খানিকটা অবাক হয়ে বললো,
“তুমি ঘুমুচ্ছো যাদিদ?”
“হুম।”
“হাও ইট পসিবল?”
যাদিদ চোখ ডলতে ডলতে বললো,
“হোয়াট?”
তিরা রেগে গিয়ে চিৎকার করলো,
“তুমি আমার সাথে কথা না বলে কী করে ঘুমিয়ে পড়তে পারলে? তুমি জানো প্রতিদিন আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করি। তোমার সাথে কথা না বললে আমার ঘুম আসেনা।”
যাদিদের মেজাজটা প্রচন্ড খারাপ হলো। কিন্তু সে তিরাকে বোঝানোর চেষ্টা করলো,
“আই ওয়াজ টায়ার্ড তিরা। প্রতিদিনই তো আমি সময়মতো ফোন করি। ঘুমানোর আগে অনেকক্ষণ কথা বলি৷ একদিন নাহয় কথা না বলে ঘুমিয়ে পড়েছি তাই বলে তুমি এভাবে রিয়াক্ট করবে?”
“অবশ্যই রিয়াক্ট করবো। তুমি জানো আমি তোমার সাথে কথা না বলা পর্যন্ত ঘুমুতে পারিনা। আমি জেগে বসে রয়েছি তোমার ফোনের অপেক্ষায়। আর ওদিকে তুমি নাক ডেকে ঘুমুচ্ছো! একবার আমার কথা ভাবলে না? আমার সাথে কথা না বলে তোমার ঘুম আসে কীভাবে? আমি তো ভাবতেই পারছি না।”
যাদিদ এবার সত্যি অবাক হলো৷ রাগের চেয়ে বেশি যেটা হলো সেটা হতাশা।
“তিরা তোমার আমার সম্পর্ক কি শুধুই ফোনে কথা বলার?”
“যাদিদ ত্যাড়া কথা বলবে না। এতোটা স্বার্থপর তুমি ছি!”
এবার যাদিদ একটু কঠিন হলো,
“শোনো তিরা সম্পর্ক যদি শুধুই ফোনে কথা বলা আর দেখা করার হয় তাহলে এই সম্পর্ক রাখার দরকার নেই৷ ইউ ক্যান ডিভোর্স মি।”
এবার তিরা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো,
“এতবড় কথাটা তুমি বলতে পারলে যাদিদ?”
“এছাড়া আর কি বলবো? একদিন কথা না বলে ঘুমিয়ে পড়েছি, এই ছোটো ব্যাপারটাকে তুমি এতবড় ইস্যু করে ফেলেছো যে ঘুম থেকে উঠিয়ে চেচামেচি করছো আমার সাথে। ইটস হার্টিং মি। তুমি কথা না বলে ঘুমাতে পারো না এটা তোমার সমস্যা, আমার তো এধরনের সমস্যা নেই। বিয়ের পর থেকে শুধু অভিযোগই শুনে যাচ্ছি। আমি কি কোনো অভিযোগ করেছি? তুমি শুধুই নিজেরটাই বোঝো তিরা। উল্টোপাশের মানুষের অবস্থা সম্পর্কে বোঝার ক্ষমতা তোমার নেই। তোমার একদম উচিৎ হয়নি এখন বিয়ে করা। তোমার এখন রমরমা প্রেম করার সময়। রমরমা প্রেম মানে বোঝো? মানে হচ্ছে সারারাত কারো সাথে কথা হবে, প্রতিদিন দেখা হবে। এমনটা চাই এখন তোমার।”
তিরা চিৎকার করে উঠলো,
“যাদিদ মুখ সামলে কথা বলো।”
ওদিকে যাদিদও চিৎকার করলো,
“শাট আপ, আগে নিজেকে সামলাও স্টুপিড গার্ল।”
যাদিদ ফোন কাটলো এবং বন্ধ করে রেখে দিলো। তিরা আবার ফোন দিলো, বারবার ফোন দিলো। কিন্তু ফোন বন্ধ। তিরা কান্নায় ভেঙে পড়লো। যাদিদের কাছে থেকে এরকম ব্যবহার মেনে নিতে পারছে না। সে যাদিদের বিয়ে করা বউ। এই বাজেকথা গুলো না বললেই কি হতো না? বিয়ের পরের প্রথম ৫ দিনের যাদিদ আর এই যাদিদ কি এক মানুষ?
যাদিদ ফোন বন্ধ করে চুপচাপ বসে রইলো। রাগে মাথাটা এতো গরম হয়ে রইলো যে সারারাতে আর ঘুমাতে পারলো না। রুমে ফিরে নিজের কাপড়টাও বদলায়নি সে, রাতে খায়নি পর্যন্ত। ভেবেছিলো তিরার সাথে কথা বলা শেষ করে তারপর খাবে। কিন্তু তিরাকে ফোন করবে বলে বিছানায় শুয়ে ফোন হাতে নিয়েই ঘুম। কখন ঘুমিয়েছে নিজেই টের পায়নি। এরপর ফোনটা হাত গড়িয়ে নিচে পড়ে গিয়েছিলো। এজন্যই তিরা এতোবার কল দেয়ার পরেও প্রথমে টের পায়নি যাদিদ। তিরার ব্যবহারে আজ সত্যিই হতাশ সে। একটা মেয়ে যে তার বিয়ে করা বউ, সে কেন তাকে বুঝতে পারবে না? ঘুম কীভাবে একটা অপরাধ হয়? ভালোবাসার মানুষ ঘুমালে তো বরং শান্তি লাগার কথা। সে তো তিরার দিকটা বুঝে বিয়ের পর থেকে প্রতিদিন তার অনেক পাগলামি সহ্য করে এসেছে, তাহলে তিরা কেন একদিন তার দিকটা বুঝতে পারবে না?
চলবে…