রহস্যময়_অদৃশ্য_ধর্ষন পর্বঃ-০৬
লেখকঃ-কৌশিক আহমেদ
কিভাবে বুঝাবো স্যারদের যে এটা কোন মানুষের কাজ নয়,,এটা কোন অশরীরীর কাজ যে কিনা অনেক ভয়ংকর,, যাকে অন্য সব জ্বীনেরাও ভয় পায়।আপাতত তো শয়তন ধমনের আগে মেয়েদের নিখোঁজ হওয়া আটকাতে হবে,কিন্তু কিভাবে.??
আরেকটন প্রশ্ন,, ওসি কেনো আত্মহত্যা করবে??
হঠাৎ করেই একটা বিষয় মাথায় আটকে গেল,,
যদি এরকমই হয়ে থাকে তাহলে অন্তত পক্ষে আটকানোর চেষ্টা করা যাবে,, বিষয়টা হচ্ছে যত গুলো মেয়ে ধর্ষন৷ হয়েছিল সব গুলা অবিবাহিতা।
আর সব গুলার বয়স হবে ১৮ এর নিচে,,আর কেনো জানি না পিশাচটা শুধু মাত্র এই পার্বত্য অঞ্চলকেই বেছে নিয়েছে তার অপকর্ম সাধনের জন্যে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে যে সকল মেয়ে একা থাকে রুমে তাদের সাথেই এমনটা হচ্ছে।
আমি যদি সবাইকে সাবধান করতে পারি যে যাদের অবিবাহিতা ১৮- বয়সের মেয়ে আছে বাড়িতে,, তাদেরকে একা না থাকতে দেয় বাড়ি থেকে তাহলে হয়তোবা একটু হলেও সাময়িক ভাবে আটকাতে পারবো।
জানি না কাজে দিবে কিনা।
তবুও ট্রাই করে দেখা যেতে পারে কাজে লাগে নাকি,,তাছাড়া আর তো কোন উপায় ও নেই।
এসব ভাবতে ভাবতেই স্যারেরা চলে আসেন।
মিটিং এর কার্যক্রম শুরু হল।
সবাই আমাদের দিকে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে,
আমাদের গাফিলতির জন্য নাকি এমনটা হচ্ছে।
দ্রুত এর প্রতিকার চান উনারা তা যে কোন মূল্যে হোক না কেনো।
।
আমিঃ- স্যার,,,আমি জানি না বিষয়টা আপনারা কেমন করে নিবেন বা কতটা বিশ্বাস করবেন,,,তবে আমি এর প্রথম থেকেই জানি,,দুইটা মার্ডার বা মৃত্যু মোটামুটি আমার সামনেই হয়েছিল।
।
কথাটা শুনতেই বড়বড় চোখ করে আমার দিকে তাকালো সবাই,, এমন ভাবে তাকাচ্ছেন যেনে আমি নিজেই খুন করেছি,,
।
আমিঃ- স্যার,,,আগে পুরো ঘটনা শুনেন,,,(তারপর সব কাহিনী খুলে বললাম কি থেকে কি ঘটেছিল দুই রাতে)
কথা গুলো বলার পর আমি উনাদের চোখ মুখের এক্সপ্রেশন দেখছি,,তাতে মনে হচ্ছে না যে খুব একটা বিশ্বাস করেছেন,,তবে আমার কথাতে উনারা ভয় পেয়েছেন তা নিশ্চিত,,
হুট করেই এসপি স্যার বলে উঠলেন,,
।
এসপি সাহেবঃ- এই ছেলে তুমি কি পাগল.??
পুলিশের এস আই হয়ে তুমি কি সব উল্টো পাল্টা কথা বলছো,,তোমার কি কমন সেন্স নেই.??
এখানে আছি আমরা টেনশনে, পরিস্থিতি মিনিটের পর মিনিট ঘোলাটে হচ্ছে,, আর তুমি আছো ফাইজলামি নিয়ে,,, তোমাকে,,
।
আমিঃ-স্যার আমি জানি আপনি বা আপনারা কেউ আমার কথা বিশ্বাস করবেন না,,এমনকি করার মতন কথাও না,,এই আধুনিক যুগে এসে এসব কেউ বিশ্বাস করতে চায় না।
তবে জানেন কি স্যার,,আমরা পৃথিবীতে খালি চোখে কিন্তু অনেক কিছুই দেখতে পারি না,,আমাদের চর্মচক্ষুতে সব দেখা সম্ভব না।
আর বিজ্ঞান অনেক কিছু আবিষ্কার করলেও অনেক কিছুই অনাবিষ্কৃত,, যার কোন ব্যাক্ষা বা যুক্তি নেই,,যাইহোক আপাতত এখন এমন সময় ব্যাক্ষা বা যুক্তি তর্ক করা মোটেও ঠিক হবে না।
আপনি যদি আমার কথা বিশ্বাস না করে থাকেন তাহলে আমার ড্রাইভার আর কনস্টেবল মিজানকে ডেকে ওদের থেকেই শুনে নিন,,কারন ঘটনাস্থলে ওরাও ছিল আমার সাথে,, আরেকটা বড় সাক্ষী আছে,,যে আমাদের উপজেলা সাস্থ কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃএস শামীম আহসান এবং উনার সাথে থাকা নার্স।
কারন প্রথম ঘটনাটাতে উনারাও ইনবল্ব ছিলেন।
পরে উনাদের সকলের সাথে কথা বলে শিওর হয়ে উপস্থিত সকলের চোখ কপালে উঠে গেল।
ভয়ে আতংকে জড়সড় হয়ে গেছে সবাই।
সকলের কপালে ঘাম এসে গেছে।
টপটপ করে মাথা কপাল মুখ থেকে ঘাম পড়ছে।
এমন এক কাহিনি যেখানে কারোই কিছু করার নেই।
মিডিয়াকে কি বলবে,,কি জবাব দিবে জনগণকে??
এসব কথা বললে মিডিয়া সহ লোকজন পাগল ছাড়া আর কিছু আক্ষায়িত করবে না।
।
ডিসি সাহেবঃ-যদি সত্যি এসব হয়ে থাকে তাহলে তুমি বা তোমার ডিপার্টমেন্টের মানে তোমার থানার ওসি সহ সকলে চুপ কেনো.? তোমরা আগে থেকেই কেনো পদক্ষেপ নাও নি বা কেনো জানাও নি আমাদের.?? এখন তো বিষয়টা এমন এক পর্যায়ে এসে দাড়িয়েছে যে আমাদের কিচ্ছু করার নেই।
।
আমিঃ- স্যার আমি বিষয়টা নিয়ে প্রথমেই ভেবেছিলাম,, পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চেয়েছিলাম,,বাট আমাদের মরহুম ওসি সাহেব বিষয়টা নিয়ে কোন কথা শুনতে নারাজ ছিলেন,,এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ তো দূরের কথা,, আমার মুখ দিয়ে বলতে পর্যন্ত দিতেন না।
একটা পর্যায়ে এসে উনি আমাকে জোর পূর্বক ছুটিতে পাঠিয়ে দেন,,কিন্তু কেনো বা কি জন্য তা অজানাই রয়ে গেল,, উনার মৃত্যুতে,,আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে উনার মৃত্যুটা স্বাভাবিক না।
যদিও সবাই বলছে, এমনকি ময়নাতদন্তেও এসেছে উনি আত্মহত্যা করেছেন,,কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এটা সম্পূর্ণ মার্ডার,,
।
এসপি সাহেবঃ-যদি মার্ডার হত তাহলে তো কোন না কোন নিশানা পাওয়া যেতো নাকি.??
।
আমিঃ- স্যার আমার মনে হচ্ছে যে ঘটনা ঘটছে এতদিন যাবদ,, তাতে আমাদের ওসি সাহেব কোন না কোন ভাবে জড়িত,, বলবো না উনি দোষি,,কিন্তু আমার মনে হচ্ছে উনি জানতেন সব,,আর একটা পর্যায়ে এসে উনাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে পিশাচটা,,উনি ইচ্ছে করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন নাই।
।
ডিসি সাহেবঃ- জানি না কি ঘটনার পিছনে রয়েছে।
কিন্তু আপাতত তো এটাকে রুখতে হবে।
পুরো দেশ সহ দেশের বাহিরেও খবরটা ছড়িয়ে পড়েছে।
ডিপার্টমেন্টের উপর আস্তা হারিয়ে ফেলছে জনগণ,
সরকার মহল থেকেও চাপ আসছে,,একটু আগে আমাকে মন্ত্রী মহোদয় ফোন করে অনেক কথা শুনিছেন,,দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
।
আমিঃ- স্যার আমি যতদুর জানি তাতে মাত্র ৬ টা ধর্ষন হয়েছে,, আরো ৯৯ টা ধর্ষন বাকি…
।
ডিসিঃ- হোয়াট.???? কি বল তুমি.??
তাহলে তো পুরো দেশ তছনছ হয়ে যাবে।
।
আমিঃ- স্যার শুধু তাই নয়,,যদি পিশাচটা তার অপকর্ম সাধন করতে পারে তাহলে পুরো পৃথিবী তার দখলে চলে যাবে,, সে হবে পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তি শালি,,যখন যা ইচ্ছে তাই করবে।
।
ডিসিঃ- ওহহহ নো,,,তুমি এসব তথ্য সংগ্রহ করলে কোথা থেকে.??
।
আমিঃ- স্যার সে অনেক কাহিনি,, তবে এটা সত্যি যে আমি যা বলছি তাতে বিন্দুমাত্র মিথ্যা নেই।
।
এসপিসাহেবঃ- কোন কিছু কি করা যায় না.??
আমরা কি সারাদেশের পুলিশ প্রশাসন আর দরকার পড়লে সেনাবাহিনীর সাহায্য নিবো.??
।
আমিঃ- তাতে আমার মনে হচ্ছে না কোন উপকার হবে,,হে তবে একটা উপায় আপাতত আছে যা দিয়ে আপাতত রুখতে পারবো।
।
ডিসি সাহেবঃ- কি সেই উপায় তাড়াতাড়ি বল..
।
আমিঃ- আমার জানা মতে যে সব মেয়ে ধর্ষণ এবং হত্যার শিকার হয়েছে,, সব গুলোর বয়স ১৮ এর নিচে,, আর তারা সবাই কুমারি,,মানে অবিবাহিতা।
হতে পারে ভার্জিন মেয়েদের উপর তার দৃষ্টি বেশি।
কিন্তু খুঁজে খুঁজে তো আর ভার্জিন মেয়ে কে তা বুঝা বা বের করা সম্ভব নয়।
তাই আপাতত এই অঞ্চলের সকল কুমারি মেয়ে যাদের বয়স ১৮ এর নিচে,,তাদেরকে প্রটেকশন দিতে হবে,,পুলিশ প্রশাসন বা আইনি বাহিনীর পক্ষে তো আর তা সম্ভব না যে সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাহাড়া দেওয়া,, আর আমরা এটাও জানি না কার বাড়িতে কুমারি মেয়ে আছে,, তাই আমাদের মিডিয়ার সাহায্য নিতে হবে,,জনগণকে উনাদের পরিবারের ১৮ বয়সের নিচের সকল কুমারি মেয়েদের দিকে দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দিতে হবে।
উনারা যাতে কেউ মেয়েকে একা না ছাড়ে কিংবা তাদের নিজ রুমে একা ঘুমাতে না দেন।
এটা করলে পারলে অন্তত কিছুটা ধমন করা যেতে পারে।
বাকিটা আমি দেখবো,,তবে আপনাদের সকলের সাহায্য লাগবে।
।
ডিসি এসপি সাহেব দুইজন সহ উপস্থিত সকলেই আমার কথাতে সায় দিলেন,,মিডিয়ার সামনে গিয়ে আমার কথা মতন সকল মেয়েদের একা রুমে না রাখতে নির্দেশ দিলেন,,আরো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে, জনগনকে আস্বস্ত করে যে যার বাসায় চলে গেলেন।
আমি রাতে ডিউটির জন্য বের হয়ে গেলাম,,
কনস্টেবল আর ড্রাইভারকে সঙ্গে নিয়ে।
সাথে আরো কিছু পুলিশ সদস্যকে আরো দুইটা গাড়ি দিয়ে বের করে দিলাম টহলের জন্য।
।
আঁকাবাকা পাহাড়ি রাস্তা,, আশেপাশে বনজঙ্গলে ঘেরা,,চারপাশটা অন্ধকার,, কুয়াশায় ছেয়ে গেছে,, ২০ হাত দূরের কিছু দেখা যায় না।
তারমধ্যে সব ভয়ংকর কাহিনী,, সব মিলিয়ে পরিবেশটাকে ভৌতিক করে তুলেছে,,মনের ভিতর ধুকধুক,, কি জানি কি হয়,,না জানি সামনে কি ঘটে যায়।
তারমধ্যে ড্রাইভার আর কনস্টেবল মিজানের একটু পর পর ভয়ে আঁতকে উঠা,,
যদিও তেমন একটা ভয় পাচ্ছি না তবে টেনশনে আছি,,কি করে এই পিশাচটাকে রুখতে পারবো।
এক জায়গায় গাড়ি ব্রেক করা হল,মিজনের ওয়াশ রুমে যাওয়ার প্রয়োজন,, একা যেতে পারছে না তাই ড্রাইভারকে সাথে পাঠিয়ে দিলাম,,বনের ভিতরেই কাজ সারবে।
এদিকে আমি একা গাড়িতে বসে আছি,, তখন রাত প্রায় তিনটা বেজে ২০ মিনিট।
চোখে তন্দ্রা ভাব চলে এসেছে,,মাত্র চোখটন গাড়ির ছিটে মাথা হেলান দিয়ে বন্ধ করেছি,,জানি না কতক্ষণ পর হবে,,বিকট একটা আওয়াজ শুনতে পেলাম, হুরমুর করে ঘুম থেকে উঠে গাড়ি থেকে নেমে সাথে থাকা পিস্তলটা বের করলাম কোমড় থেকে,, হ্তে নিয়ে এদিক ওদিক তাকাতাকি করছি,, কাউকে দেখতে পাচ্ছি না,, হেডলাইটের আলোয় কুয়াশা বেদ করে যতদুর দেখা যাচ্ছে কেউ নেই আশেপাশে,, মিজান আর ড্রাইভারকে ডাকলাম,,ওদেরো কোন সাড়াশব্দ পাচ্ছি না।
আকাশের চাঁদটা হুট করেই নিকোস কালো মেঘে ঢেকে গেল,, চারপাশটা বিদঘুটে অন্ধকার নেমে এলো।
সাথে কোথায় থেকে জানি ভেসে আসছে পৈশাচিক হাসি যা অনেক দূর থেকে আস্তে আস্তে আমার দিকেই আসছে,,
না চাইতেও মনের কোনায় অজানা এক ভয় ভাসা বাধলো,,,
হাসির আওয়াজ একদম কাছে আসতেই এতটা শব্দ পাচ্ছি যে মনে হচ্ছে কানের পর্দা ফেটে যাবে।
দুই হাত দিয়ে কান বন্ধ করে ধরলাম,,
এত শব্দ হচ্ছে মিজান আর ড্রাইভার কি কিচ্ছু শুনতে পাচ্ছে না.??
জোরে জোরে ডাকলাম দুইজনের নাম ধরে,, নাহহহ কারোর কোন টু শব্দ নেই।
হঠাৎ করেই কোথায় যেনো মিলিয়ে গেল হাসির শব্দটা,,এবার আবার আগের মতন করেই দূর থেকে আস্তে আস্তে কাছে আসছে কান্নার শব্দ।
নাকি সূরে মেয়েলি পুরুষ দুই কন্ঠের কান্না।
কিন্তু শব্দটা আগের বারের মতন কাছে না এসে কেমন জানি পাশ কেটে চলে যাচ্ছে সামনের দিকে,,
হঠাৎ বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার,, কন্ঠটা শুনেই হাতে থাকা পিস্তলটা মাটিতে পড়ে যায়,,
পায়ের নিচ থেকে মাটি সড়ে গেল,,এই প্রথম ভয় নামক শব্দটা আঁকড়ে ধরছে আমাকে,,কারন কন্ঠটা আর কারোর না,,এটা স্নেহার কন্ঠ।
পা থরথর করে কাঁপছে, মনের ভিতর হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিলো,,স্নেহা এখানে আসলো কি করে,,.?
আমার জানা মতে স্নেহা তো বাড়িতে,,টাঙ্গাইলে।
তাহলে এখানে িক করে.??
তাহলে কি পিশাচটা আমার উপর প্রতিশোধ নিতে স্নেহাকে নিয়ে এসেছে মায়া জাদু শক্তি কাজে লাগিয়ে.?
স্নেহা তো এখন আর পরী নয়,,তাই চাইলেই ওর উপর জাদু শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে।
নাহহহ আর ভাবতে পারছি না,,
এখন ভয় পেয়ে থমকে থাকলে চলবে না।
আমাকে এগিয়ে যেতে হবে,,উদ্ধার করতে হবে স্নেহাকে,,বদ করতে হবে পিশাচটাকে,,
পিস্তলটা খুঁজে বের করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম,,কোন কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না,,মোবাইলটা বের করে ফ্লাশ জ্বালাতে গিয়েও ব্যর্থ,,মোবাইল অফ হয়ে আছে,,পকেট থেকে গ্যাসম্যাচ বের করে জ্বালাতে গিয়েও ব্যার্থ,,সেটাও জ্বলছে না।
একে তঁ অন্ধকার,, তার মধ্যে পাহাড়ি রাস্তা,,, এদিকে আলোর কোন উৎস নেই।
আর সবচেয়ে বড় ভয় হচ্ছে স্নেহা পিশাচটার হাতে বন্ধি,,আমি আমার সামান্য একটা বন্ধুক দিয়ে কি বা করতে পারবো।
জানি না কি পারবো কিন্তু মরলে দুইজনেই মারবো আর বাচলে দুইজনেই,,স্নেহাকে উদ্ধার করতেই হবে।
পা টিপে টিপে এগিয়ে যাচ্ছি,, জানি না কখন জানি পাহাড়ের খাদ থেকে একদম নিচে পড়ে যাই।
শব্দটা টার্গেট করে এগিয়ে যাচ্ছি,, যেতে যেতে বুঝতে পারছি আমি এখন একদম পাহাড়ের চূড়ায় দাড়িয়ে আছি,, আর সামনে একটা আলোর কুন্ডলী।
আর তার চারপাশে আছে অনেক মৃতদেহের কঙ্কাল।
অনেক গুলা মাথার খুলি,,কি এক ভয়ংক দৃশ্য।
কিন্তু কাউকে দেখতে পাচ্ছি না,, হুট করেই আমার কাঁধে কেউ হাত রাখে,,চমকে গিয়ে পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই,,আবার আমার উল্টো দিক থেকে কেউ ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস নিচ্ছে যার শব্দ আমি স্পষ্ট শুনতে পারছি,,পিছনে তাকিয়ে দেখি কেউ নাই।
নাহহহ আর নিতে পারছি না,,চুপ করে বসে পরি,,তখুনি ভেসে আসে সেউ পৈশাচিক হাসি।
এবার আমার চারপাশ থেকে আসছে সেই হাসি।
কোন দিকে দেখবো,.?
সামনে পিছনে দুই সাইটে সব জায়গায় সেই হাসি।
মনে হচ্ছে চারপাশ থেকে কেউ ঘিড়ে ধরছে আমাকে।
চোখ বন্ধ করে বসে থাকি,,
হঠাৎ করেই সামনে থেকে কারোর কথা বলতে শুনি,,সামনে তাকিয়ে দেখি বিকট বিৎঘুটে চেহারার একটা দানবের মতন, যার মুখটা পুরোটাই আগুনর জ্বলসানো,,পুড়ে ছাই হয়ে গেছে,, চোখের জায়গায় কোন কিচ্ছু নেই,, বুকের উপর একটা বিশাল আকৃতির চোখ যা দিয়ে আগুন বের হচ্ছে,, আর মাথার খুলি একদম ফাকা যেখান দিয়ে মগজ খসে খসে পড়ছে,,বিশ্রী সেই চেহারা,, সেই পিশাচটা স্নেহাকে ধরে রেখেছে,, পিশাচটার হাতে একটা রাম দা,,যাতে রক্ত মাখা।
রাম দা টা স্নেহার গলায় ধরে রেখেছে।
আমি কিচ্ছু বুঝতে না পেরে হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে পিশাচটাকে অনবরত গুলি করে যাচ্ছি,,প্রতিটা গুলি পিশাচটার শরীর বেদ করে চলে যাচ্ছে বাহিরে,,আর পিশাচটা মনের সুখে পৈশাচিক হাসি হাসছে।
এদিকে স্নেহার মুখ কাপড় দিয়ে আটকানো,,হাজার চেষ্টা করছে কিন্তু কথা বলতে পারছে না।
চোখ দিয়ে অনবরত পানি বের হচ্ছে টপটপ করে।
চোখ দিয়ে স্পষ্ট বুঝাতে চাচ্ছে আমাকে বাচাও
কৌশিক তুমি আমাকে বাঁচাও ??
আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছি না,,এদিকে সব গুলি শেষ কিন্তু পিশাচটার কিচ্ছু হয় নি,,
সেখানে থাকা একটা আগুনের গোলা নিয়ে দৌড়ে পিশাচটাকে মারতে যাবো তার আগেই শয়তানটা আমার স্নেহার শরীর থেকে মাথাটা আলাদা করে ফেলে,,মাটিতে লুটিয়ে পরে আমার চোখের সামনে,, আমার ভালবাসার বউ,,আমার পরী বউ,,
নিজেকে এমতাবস্থায় ধরে রাখতে পারি না।
অজ্ঞান হয়ে যাই,, আর তখুনি,,,,,,.???
।।।
।।।।।
।।।।।।।
।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।।।।
গল্পের পরের পর্ব আগামীকাল দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
মতামত জানিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।