রহস্যময়_অদৃশ্য_ধর্ষন পর্বঃ-১০

0
1800

রহস্যময়_অদৃশ্য_ধর্ষন পর্বঃ-১০
লেখকঃ-কৌশিক আহমেদ

খাওয়া শেষ করে হুজুরের ঠিকানা অনুযায়ী চলে গেলাম,,,গিয়ে দেখি হুজুর বাড়িতেই বসে আছেন,,
স্নেহাকে দেখেই হুজুর কি জানি মন্ত্র বা সূরা পড়তে শুরু করলেন,,আমি কোন ভাবে আটকালাম।
বললাম স্নেহা পরী হলেও আমার বউ আর বাকি সব বললাম এবং পরিচয় দিতেই চিনে গেলেন হুজুরটা,,সব খুলে বলার পর উনি জানালের কিভাবে দমন করা যাবে পিশাচটাকে,,
উপায়টা হচ্ছে,,,
হুজুরঃ- আমি জানি পিশাচটা শয়তানটা কতটা নিকৃষ্ট আর কতটা হিংস্র,, আমি নিজেও এর দমন চাই,,কিন্তু একার পক্ষে সম্ভব না।
আমি আমার সাথে থাকা জ্বীনদের বলেছিলাম বাট ওরা ভয় পায়,,এটা নাকি ওদের শক্তির বাইরে।
কিন্তু একটা উপায় তারা বলেছিল,,কিন্তু আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি আমার দ্বারা সম্ভব না,,তাছাড়া এখানে মৃত্যুর ভয় আছে,,একটু ভুল হলেই মৃত্যু হয়ে যাবে।
আমিও চাই না তোমরা এই কাজটা কর,,,

আমিঃ- এটা শুধু আমার বা আমার পরিবারের না,,পুরো পৃথিবীর জন্য হুমকি।
যদি দমন না করা যায় তাহলে পুরো পৃথিবী কবরস্থান বানিয়ে দিবে,,এখানে আমার জান গেলে যাক,,তবুও এর দমন করেই ছাড়বো,,আপনি শুধু উপায়টা বলেন।

হুজুরঃ- আমি বারবার বলবো এই পথে যেও না,,তবুও উপায়টা বলে দিচ্ছি বাকিটা তোমাদের মর্জি,,,তবে তোমার একটু সাহায্য হবে স্নেহার জন্য।
সর্ব প্রথম পিশাচটাকে নিয়ন্ত্রণ করা তান্ত্রিকটাকে আটকাতে হবে,,,কিন্তু সেইটা সহজে হবে না।
তান্ত্রিক অনেক ভয়ানক,, অনেক শক্তিধর,,তাছাড়া শয়তানের পূজারি,, তাই তাকে সাহায্য করে সরাসরি শয়তন।
ওর সাথে থাকে শতশত পিশাচ ডাইনি,,
যে ভাবেই হোক তোমাদের সর্বপ্রথম ঐ তান্ত্রিক টাকে আটকাতে হবে তা যে করেই হোক,,ওর সকল অপকর্ম ধংস করতে হবে,,,তবে একটা কথা কোন ভাবেই তান্ত্রিকটাকে মেরে ফেলা যাবে না,,যদি তা ভুলেও কর তাহলে কিন্তু তোমাদের বাহিরে চলে যাবে পিশাচটা,,
মানে পিশাচ তখন ছন্নছাড়া হয়ে যাবে,,সে তার সকল শক্তি নিজে থেকেই প্রয়োগ করতে পারবে।

কথাটা শুনেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো,,হায় হায় স্নেহা তো অলরেডি তান্ত্রিকটাকে মেরে ফেলেছে,,
কথাটা বললাম হুজুরকে,,
শুনে হুজুর ভয়ে চমকে গেল,,

হুজুরঃ- তাহলে এখন আর কিচ্ছু করার নেই,,তোমরা এখান থেকে চলে যাও,,না হলে আমি সহ বিপদে পড়বো,,,।

স্নেহাঃ- না না,,আমি তান্ত্রিকটাকে মেরে ফেলবো কোন দূঃখে,,আমি তো জানতাম তান্ত্রিককে মেরে ফেললে সমস্যা হবে তাই মারি নি,,,আটকিয়ে রাখছি আধমরা করে।

ওহহহ গড,,,শুনে শরীরে আত্মা ফিরে পেলাম।
বুকের বা পাশে হাত রেখে বসে রইলাম চোখ বন্ধ করে।
কিছুক্ষণ পর চোখ খুলে বলতে শুরু করলাম।

আমিঃ- হুজুর তাহলে তো আর কোন সমস্যা নেই,,, এবার তো বলতে পারেন.??

হুজুরঃ- হুমমম তবে দেইখো কোন ভাবে যেন তান্ত্রিকটা পিশাচের আগে মারা না যায়,,,
আর তোমাদের যা করতে হবে,,,
তোমরা (একটা নদীর কথা বলে) ঐ নদীতে (একটা নির্দিষ্ট জায়গার কথা বলে) ঐ জায়গায় গিয়ে নদীতে ঢুব দিবে,,,পানির নিচে যেতেই একটা প্রাসাদ দেখতে পারবে,,সেই প্রাসাদের পাহারায় থাকা পাহারাদার কে একটা চিঠি দেখাবে,,,সে চিঠিটা পড়ে তোমাকে ভিতরে যেতে দিবে,,
সেখানে ভিতরে গিয়ে তুমি প্রথমে রাজার রাজদরবারে যাবে,,সেখানে তোমাকে অনেকেই হুমকি দামকি কিংবা ভয় দেখাবে,,ভুলেও ভয় পেলেও তা প্রকাশ করবে না।
রাজা বা রাজ মহলের সবার চেহারা কিন্তু বিদঘুটে হতে পারে,,আবার এমনো হতে পারে যে দেখতে অনেক সুন্দর,, বা সুন্দরী অনেক মেয়ে থাকতেও পারে,,তবে ভুলেও কারোর মায়ায় পরবে না,,কারোর চেহারার দিকে তাকাবে না ভালো করে,,বিশেষ করে মেয়েদের,,যদি মেয়েদের দিকে ভালো করে তাকাও তাহলে তারা চোখের জাদুতে তোমাকে বস করে আটকিয়ে রাখতে পারে,,,আস্তে আস্তে হেটে যাবে,,তবে জোরে হাটবে না ভয়ে,,,গিয়ে রাজার কাছে চিঠিটা দিবে,,বাকিটা উনারাই বুঝে যাবে।
তুমি জাস্ট চিঠিটা দিবে ওকে..?
কিন্তু এখানে অনেক সতর্ক বার্তা আছে,,
১)রাজ প্রাসাদে ঢুকার সময় বাম পা দিয়ে ঢুকবে,,ভুলেও ডান পা দিবে না।
২)তোমার সামনে অনেক ভয়ংকর কিছু আসতে পারে,,তা হতে পারে বড় সাপ,মাছ,কুমির, কিংবা বাঘ ভাল্লুক,,তারা তোমাকে প্রচুর ভয় দেখাতে চাইবে,মেরে ফেলার জন্য এগিয়ে আসবে,,ভুলেও ভয়ে আতংকে চিৎকার করবে না,,তাহলে কিন্তু তুমি শেষ।
৩)কোন মেয়ের চোখে চোখ রাখবে না।
৪)রাজ কিংবা রাজ প্রাসাদের কারোর সাথে কথা কাটাকাটি করবে না তারা যাই বলুক না কেন।
৫)রাজা তোমাকে অনেক লোভ দেখাবে,,হতে পারে আর্থিক কিংবা মেয়েদের,,তুমি ভুলেও তাদের দেওয়া কোন জিনিস নিবে না,,শুধু একটা ছুরি ছাড়া আর সেই ছুরিটাতে আরবি ভাষায় অনেক কিছু লেখা থাকবে।
৬)রাজা মশাই তোমাকে অনেক কিছু খেতে দিবে বাট তুমি নাও করবে না খাবেও না,,হাতে নিয়ে বসে থাকবে আর খাওয়ার বান করবে।
৭)আসার সময় তোমাকে একদিন থাকতে বলতে পারে,,বাট ভুলেও রাজি হবে না,,চুপচাপ চলে আসবে।
৮)আসার সময় পিছনে ফিরে তাকাবে না আর ডান পা দিয়ে বের হবে,,
৯)আসার পথেও অনেক কিছু দেখবে কিন্তু চুপচাপ চলে আসবে এদিক ওদিক না তাকিয়ে,, তবে হে মাঝ পথে তোমাকে কিন্তু কেউ নিজের মানুষের রুপ নিয়ে এসে তোমার হাতে থাকা তরবারি নিয়ে যেতে চাইবে,,বাট ভুলেও দিবে না,, সে যেই হোক,,আর যাকেই দেখো না কেনো সে তোমার আপন কেউ না,,সব মায়া।

আমিঃ- আচ্ছা সব বুঝলাম কিন্তু কিসের চিঠি দিবো আর সেই চিঠি কোথায় পাবো.??

হুজুরঃ- সে সব নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না জাস্ট যা বললাম মাথায় ঢুকিয়ে নাও।
আর কোন প্রকার যেনো ভুল না হয় সে দিকে লক্ষ রাখবে।
একবার ভুল করে বসলে তোমাকে আর কোন দিন ফিরত দিবে না,,আটকিয়ে রাখবে হয়তোবা মেরেও ফেলতে পারে আবার তোমাকে ঐ রাজ্যের মেয়েদের সাথে বিয়ে দিয়ে সারাজীবন বন্ধি রাখতে পারে।

বিয়ে দিবে কথাটা শুনেই স্নেহা ভয়ে জড়সড় হয়ে গেল,,এখন সে কোন ভাবেই আমাকে সেই জায়গায় যেতে দিতে রাজি না,দরকার হলে সে যাবে,,
এদিকে হুজুর বারবার বলছে মেয়ে মানুষ তাও আবার পরী,,সে তো কোন ভাবেই ভিতরে ঢুকতে পারবে না,,কিন্তু স্নেহা তার কথা শুনতে নারাজ,,
শেষে স্নেহা বলতেছে দরকার হলে সুমিত সাগরের মধ্যে থেকে কোন একজনকে পাঠাবে,তবুও আমাকে যেতে দিবে না।
কিন্তু হুজুরের নির্দেশ আমাকেই যেতে হবে,,অন্য কাউকে দিয়ে সম্ভব না।
কি আর করার স্নেহা কান্নামাখা মুখে রাজি হল,,
আমি বুঝতেছি স্নেহার ভয় কোথায়… যদি আমাকে আর ফিরত না দেয় কোন প্রকার ভুলের কারনে,, যদি ঐ রাজ্যের কোন মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়,,,আমি স্নেহাকে আস্বস্ত করলাম তেমন কোন কিছু হবে না,,আমি সব সামলে নিবো ঠিকঠাক মতন।

এবার হুজুর একটা সাদা কাপড় জাফরং কালি দিয়ে কি যেনো লিখলেন আরবিতে,,লিখে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন,,
হুজুরঃ- ঐ রাজ্যের রাজা আমার বন্ধু,, সে আমার দেওয়া চিঠিটা পেলেই বুঝে যাবে,,,আমি কি জন্য তোমাকে পাঠিয়েছি,,তোমাকে তরবারিটা দিয়ে দিবে।
তুমি তা নিয়ে আমার নির্দেশ মেনে আজকের ভিতরেই চলে আসবে,,,ভুলেও আজ রাত যেনো পার না হয়,,আর হে,,তুমি কিন্তু সন্ধার পরে সেখানে অবস্থান করবে,,আর রাত ১২ টার মধ্যেই নদীতে ঢুব দিবে,,,আমরা সবাই তোমার জন্য পাড়ে অপেক্ষা করবো।
আজানের আগেই চলে আসবে,,কথা গুলো যেনো মনে থাকে,,এটা যদি সঠিক ভাবে না করতে পারো তাহলে পিশাচটা দমনের জন্য আর কোন উপায় থাকবে না।

চিঠিটা হাতে নিয়ে হুজুরের বাসা থেকে বেরিয়ে আসলাম,,
যদিও সবাইকে বলছি বা বুঝাচ্ছি আমার কোন ভয় লাগছে না,,কিন্তু সত্যি করে বলতে ভয়ে ভিতরে ভিতরে কাঁপছে,,
উনি যে ভাবে বললেন তাতে সব অবাস্তব আর অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে।
বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে,, সত্যি কি নদীর তলদেশে কোন রাজ প্রাসাদ থাকতে পারে.??
নদীর নিচে পানির নিচে কিভাবে কেউ থাকবে,,তাও না হয় মানলাম যেহেতু তারা জ্বীন জাতি,,,কিন্তু আমি সেখানে গিয়ে অক্সিজেন সাপ্লাই ছাড়া কিভাবে বাঁচবো,, তাও নাকি কয়েকঘন্টার বেপার,,
কেমন জানি বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে।
যদিও সব সত্যি হয়ে থাকে,,অজানা শহর বা প্রাসাদ,, সব গুলা জ্বীন,,যারা আমার কেউ পরিচিত না,,কিভাবে তাদের সাথে কথা বলবো,,এডজাস্ট করবো.?? উনারা কি আমার ভাষা বুঝবেন.?
আমি কি উনাদের ভাষা বুঝবো.??
মনের ভিতর হাজারো প্রশ্ন ( বি দ্রঃ-কিন্তু বাস্তবে ঘটছে এরকম অনেক ঘটনা যার সাক্ষী অনেকেই আছে, অনেকেই নাকি সেখানে গিয়ে ফিরে এসেছে,,যদিও বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় আমার,,আপনাদেন জানা থাকলে কমেন্টে বলবেন কিন্তু)
যাইহোক ভয় পেলে চলবে না,,যে পথে এগিয়ে যাচ্ছি সেখানে প্রতিটা পদক্ষেপে ভয় আর অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটবে সেটাই স্বাভাবিক।

বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু থানায় গেলাম,,,সুমিত সাগরকে ঘুমাতে বললাম,,রাতে ঘুম হয় নি,,আমি থানায় গিয়ে যা শুনি তাতে চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল,,কপালে চিন্তার ভাজ।
সেম আমার থানার মতন নাকি পার্শ্ববর্তী থানায় ঘটছে,,গতকাল রাতে নাকি একটা মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে,,তবে মেয়েটা বেঁচে আছে,,
এই প্রথম কোন ঘটনা ঘটলো যে কিনা বেঁচে আছে এখনো,,আমি সহ আমার থানার কিছু কনস্টেবল চলে গেলাম সেই মেয়ের সাথে কথা বলতে,,মেয়েটার সাথে দেখা করলাম,,যদিওবা বেঁচে আছে কিন্তু মেয়েটার অবস্থা আশংকাজনক ,আর মেয়েটার ভাষ্যমতে,,

মেয়েটাঃ- রাতে আমি শুয়ে আছি একা একা,,
রুমের লাইট অফ,,তবে জানালার একটা পাট্রা খোলা,,তাই বাহিরের লাইটের আলো রুমে পরে মোটামুটি আলোকিত করে রেখেছে রুমটা,,আমি তখনো সজাগ,,ঘুমাই নি,,,ফোনে ফেইসবুকিং করছি,,
হঠাৎ করেই রুমের দিকে বিরাট একটা ছায়া পরে,,কিছুটা চমকে গিয়েই তাকালাম,ভালো করে লক্ষ করলাম কিসের ছায়া তা দেখার জন্য,, কারন আমি তখন তৃতীয় তলায়,,,আর এত উঁচুতে তো কোন মানুষের ছায়া পরার কথা নয়,,কিন্তু কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছি না,, জাস্ট ছায়াটাই তাও অস্পষ্ট ভাবে দেখছি,,হুট করেই ছায়াটা আমাকে আঁকড়িয়ে ধরে,,তখন বুঝতে পারছি ছায়াটা কোন মানুষের নয়,,এটা কোন সাপ,,মনে হচ্ছে কোন সাপ আমাকে পেচিয়ে ধরলো,,আমি ভয়ে আতংকে চিৎকার করার চেষ্টা করছি,, কিন্তু আমার মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের হচ্ছে না,, আমি আপনাদেন থানার ঘটনা গুলো শুনেছিলাম,, ঐসব মনে হতেই গা শিউরে ওঠে,, কিন্তু তখন আমার কিচ্ছু করার ছিল না,, আস্তে আস্তে অদৃশ্য ভাবে আমার শরীর থেকে সব পোশাক খুলতে থাকে,,কিন্তু আমি কোন হাত টের পাচ্ছি না,,ভয়ে আমি শিহরিত হয়ে যাই,,
কিন্তু কিচ্ছু করার ছিল না,,লজ্জা আর নিজের ইজ্জত হারানোর ভয়ে দিশেহারা,,তারমধ্যে এমন অস্বাভাবিক ঘটনা আমাকে বিচলিত করে দেয়,
নিজের সেভ রুমটাকে মৃত্যু কুপ মনে হচ্ছে,, মনে মনে দোয়া পড়ার ট্রাই করি কিন্তু এতটা ভয়ে বিচলিত হয়ে দোয়া কালাম মনে আসছে না,,
রুমটাকে সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর বলে মনে হচ্ছে,, পরিবেশটাও কেমন জানি থমথমে,,, আস্তে আস্তে আমাকে বিছানায় নিয়ে যায় শূন্যে ভাসিয়ে,, শূন্যের উপর আমাকে ধর্ষন করে পিশাচটা???
ব্যাথায় চিৎকার করি কিন্তু কোন দয়ামায়া নেই পিশাচটার,,আর আমার চিৎকার আমি নিজেই শুনছি না তাই অন্য রুমে থাকা বাবা মা তো শুনবেই না,,অনবরত ধর্ষন করে নিজের সবটা শক্তি প্রয়োগ করে,,,আমার সারা শরীরে কামড় বসায়,,,এমন কোন জায়গা নেই যেখানে সে কামড় না দিছে,,রক্ত বেরিয়ে আসে,,যখন বুঝতে পারি রক্তে বিছানা ভিজে যাচ্ছে তখন ভয় আর মৃত্যুর কথা চিন্তা করে অজ্ঞান হয়ে যাই,,যখন৷ হুশ ফিরে তখন সব স্বাভাবিক,, শুধু আমার শরীরে কোন কাপড় নেই আর সারা শরীরে প্রচুর ব্যাথা এবং কামড়ের দাগ,,ব্যাথায় কাতরাচ্ছি নিজের সবটা শক্তি প্রয়োগ করে চিৎকার করে আবার অজ্ঞান হয়ে যাই,,হয়তোবা তখন চিৎকার শুনতে পারে আমার বাড়ির লোকজন আর দরজা ভেঙে নিয়ে আসে হাসপাতালে,, আমি হুঁশে এসে দেখি হাসপাতালে,,
বলতে বলতে মেয়েটা কান্নায় ভেঙে যায়।।
ওর কান্না শুনে উপস্থিত সকলের চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসে,,
ডাক্তার জানায় অনেক মোটা কিছু দিয়ে সেক্স করা হয়েছে যার ফলে মেয়েটি বেঁচে থাকলেও তার যৌনপর্দা এমন ভাবে ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে যে কোনদিনই মা হতে পারবে না।
কথাটা আমাকে আরো বেশি কষ্ট দেয়,,
একটা মেয়ের জীবনেএর চেয়ে বড় কষ্ট আর কি হতে পারে,,,??
পরে সেখান থেকে সবাইকে সতর্ক করে চলে আসি,,আর কল্পনা করি,,তাহলে কি আমাদের পরিশ্রম কাজে দিচ্ছে.?
যদিও বা পিশাচটা স্থান পরিবর্তন করেছে তাতে কষ্ট লাগছে যে তার পরিধি বাড়িয়ে নিচ্ছে,,কিন্তু তবুও ভালো লাগছে এটা ভেবে যে পিশাচটার শক্তি কমে যাচ্ছে,, মানে আগে তো ধর্ষন করার সাথে সাথেই মেয়ে গুলা মারা যেতো আর আজ ভই প্রথম বার মেয়েটা বেঁচে আছে,,এটা ভেবে শত কষ্টের মাঝে একটু হলেও শান্তি পাচ্ছি,,

সন্ধার পর চলে গেলাম যথা স্থানে,, মানে নদীর পাড়ে।
গিয়ে সবাই অপেক্ষা করছি কিন্তু হুজুরের খবর নেই,,দেখতে দেখতে রাত প্রায় ১১ টা বেজে গেছে কিন্তু হুজুরের খবর নেই,,চিন্তায় মাথা বনবন করছে,,হুজুর না আসলে তো পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারবো না,,হুজুর তো না আসার মতন কোন কারন নেই,,এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে,,
তাহলে কি হুজুরের..???
।।।।
।।।।।।
।।।।।।।।
।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।।।
গল্পের পরের পর্ব আগামীকাল দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
মতামত জানিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here