#ভালোবাসায়_বন্দিনী
#পর্ব_৩৮
#জান্নাতুল_নাঈমা
.
রেদওয়ান শেখ সূচনার জন্য ছেলে দেখছেন৷ সে খবরই সুরভী বেগম জানালেন সূচনাকে। খবরটা শুনেই মুখে যেনো অমাবস্যা নেমে এলো তাঁর। সুরভী বেগম তা দেখে সূচনার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,
— মা রে মন খারাপ করিস না। দেখিস তোর জীবনটাও খুব সুন্দর করে গড়ে দিব আমি। অনেক ভালো ছেলের সাথে বিয়ে দিব তোকে আমরা৷ মনকে একটু মানিয়ে নে মা। দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।
— আমি বিয়ে করতে চাইনা খালামুনি।
ফুপিয়ে কেঁদে ওঠলো সূচনা। সুরভী বেগম বললেন,
— এমন কথা বলে না মা৷ বিয়ে সকলকেই করতে হয়। হোক ছেলে হোক মেয়ে সকলকেই সংসার ধর্ম পালন করতে হয় মা। আমরা ছেলে দেখছি তোমার পরীক্ষা টা শেষ হলেই বিয়ে হবে। এখন শুধু ঠিকঠাক করে রাখবো।
— কি করে মেনে নেবো আমি? কি করে অন্যকাউকে স্বামীর আসনে বসাবো বলতে পারো? যাকে কোনদিন ভালোইবাসতে পারবো না তাঁর সাথে কি করে সংসার ধর্ম পালন করবো বলতে পারো। ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললো সূচনা।
— মেয়েরা সব পারে মা। মেয়েদের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা সবটা সহ্য করার ক্ষমতা দিয়েছেন। আমি জানি আমার মা টাও পারবে সব মানিয়ে মেনে নিতে।
— মানিয়ে নেওয়া বলাটা যতো সহজ নিজে মানিয়ে নেওয়াটা কি ততো সহজ খালামনি? শান্ত হয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে চেয়ে বললো সূচনা।
সুরভী বেগম তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললেন,
— মেয়েদের কাছে সব সহজ।
— অতিতটা কি ভুলে থাকা যায় খালামনি? অতিত মুছে কি বর্তমান,আর ভবিষ্যতে মন দেওয়া যায়? তাই যদি হয় এতোকিছুর পরও আমার বুকের ভিতর ছটফট কেনো করে? কেনো কষ্ট হয় আমার? মাঝরাতে কেনো নিঃশব্দে কাঁদি আমি?
— মেয়েদের কোন অতিত থাকতে নেই। মেয়েদের বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়েই সারাজীবন পার করতে হয়। মেয়েদের কোন অতিত থাকতে নেই সূচনা। তোর কোন অতিত নেই নেই কোন অতিত ভুলে যা তুই সব।
— তাহলে যে আমার নিজের জন্মদাএীকেও ভুলে যেতে হবে।
— সূচনা,,,।
— হ্যাঁ খালামনি। আমি অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি।
— তুই কিন্তু কথা দিয়েছিলি।
সূচনা আবারো ডুকরে কেঁদে ওঠলো। বললো,
— আমাকে আরেকটু সময় দাও খালামনি। আমার আরো সময় চাই। মনের বিরুদ্ধে গিয়ে আমি কিছু করতে পারবো না প্লিজ।
আর কথা বাড়ালেন না সুরভী বেগম। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বেরিয়ে গেলেন রুম ছেড়ে। সূচনা হাঁটুতে মুখ গুঁজে অনেকটা সময় কাঁদলো৷
.
নয়না বাপের বাড়ি যাবে। রাদিফ অফিসের কাজে বিজি। মাহের নতুন চাকরীতে জয়েন করেছে। ব্যাংকে চাকরী হয়েছে তাঁর। বেশ ভালো স্যালারি তাই প্রথমদিকে অফিস মিস দেওয়া ঠিক হবেনা ভেবেই নয়না আর মাহেরকে ফোন করেনি। সুরভী বেগম কে গিয়ে বললো সে সূচনাকে সাথে করে নিয়ে বাপের বাড়ি যেতে চায়। দাদি তো সকালে তাঁকে ধমকেছে এ সময় একা কোথাও যাওয়া যাবেনা। বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে এতো তাড়া কেনো তা নিয়েও কটু কথা শুনিয়েছেন। কিন্তু নয়নার খুব মন কেমন করছে। তাঁর বাবার শরীর বেশী ভালোনা গতকাল রাতেই খবর পেয়েছে সে। তাই মনটা বড় ছটফট করছে বাড়ি যাওয়ার জন্য৷ সুরভী বেগম তাঁর ছটফটানি বুঝতে পেরে অনুমতি দিয়ে দিলেন। রাদিফকে সুরভী বেগমই ফোন করে বুঝিয়ে বললেন।
সূচনার মনটা ভালো নেই। যেতে মন চাচ্ছে না আবার না ও করতে পারছেনা। মনে এক প্রকার অনীহা নিয়েই কাপড় গোছালো সে। দু,তিনদিন তো থাকতেই হবে গিয়ে। এর আগেও গিয়েছিলো একবার তিনদিনের আগে আসতেই দেয়নি। তাই তিনদিনের কাপড় গুছিয়ে ব্যাগে তুললো সে।
.
বাংলাদেশের একমাএ প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন।
কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০কিলোমিটার দূরে সাগর বক্ষের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ সেন্টমার্টিন। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। এর আয়তন ৮ বর্গ কিলোমিটার। সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ১শ ৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, ১শ ৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল, ১শ ৫৭ প্রজাতির গুপ্তজীবী উদ্ভিদ, ২শ ৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, চার প্রজাতির উভচর ও ১শ ২০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়।
গতকালই রিসোর্টে ওঠেছে রুদ্র হৈমী। তারপর থেকে তাঁরা দুজন রেষ্ট নিয়েই যাচ্ছে৷ হৈমীর শরীরটা ভালো ছিলো না বলে রুদ্রও আর বাইরে যায়নি। দুজনই শুয়ে আছে নানারকম গল্প করতে করতে সেন্ট মার্টিন নিয়ে ছোট করে বর্ণনা দিলো রুদ্র। হৈমীও মনোযোগ দিয়ে শুনলো। বাঁচতে হলে জানতে হবে আর জানতে পারলেই মানুষ শিখতে পারবে।
.
দুপুর দুটা বাজে। রেডি হয়ে বের হতে হবে। হৈমী গেছে শাওয়ারে। রুদ্র হৈমীকে সমুদ্র সৈকতের প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করাতে চায়। দেখতে চায় হৈমীর মাঝে সকল প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতাকে। যে স্নিগ্ধতা তাঁকে দ্বিগুণ মোহিত করে তুলবে তাঁর অর্ধাঙ্গিনীর প্রতি। পূরণ করতে চায় তাঁর সকল স্বপ্ন কে। যার শুরুটা করবে এখান থেকেই৷ সেদিনের বলা স্বপ্নের কথাটা জানতেই রুদ্র সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর প্রিয় এই দ্বিপেই নিয়ে আসবে তাঁর প্রিয়তমাকে। নিয়ে এসেছে সে কিন্তু এখনো পূরণ করা হয়নি তাঁর স্বপ্নকে। মনে মনে ঠিক করে নিলো হৈমীর ইচ্ছে পূরণ করবে বদলে সেও চাইবে কিছু। সেও জানাবে তাঁর ইচ্ছে তাঁর স্বপ্ন। যেগুলো শুধুমাএ হৈমীই পূরণ করতে পারবে।
শুধু হানিমুন আর একে অপরের স্বপ্ন পূরণটাই একমাএ উদ্দেশ্য নয় রুদ্রর। তাঁর আরো উদ্দেশ্য রয়েছে। হৈমী শুধু বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে জ্ঞান বৃদ্ধি করুক এটা চায় না, সে চায় বইয়ের বাইরেও সে জানুক, বুঝুক। তাঁকে যেমন মানুষ কে চেনাতে চায় তেমনই চায় দেশ,বিদেশ সম্পর্কে জানাতে৷ তাঁর জ্ঞানের ভান্ডার সীমিত। তাই তাঁর জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য যা যা করনীয় সবটা করবে সে। যাতে তাঁর সন্তানরা একজন ভারী বুদ্ধি সম্পন্ন, শিক্ষিত,জ্ঞানী,আদর্শবান মা পায়। তাঁর অবর্তমানে তাঁর স্ত্রী যেনো তাঁর সন্তান দের সঠিকভাবে মানুষ করতে হিমশিম না খায়।
.
শাওয়ার নিয়ে বের হতেই রুদ্র বলে শাড়ি পড়তে। হৈমী আড়চোখে চেয়ে চুল মুছতে মুছতে বলে,
— তাহলে আপনিও শেরওয়ানি পড়ুন মশাই।
হৈমীর দুষ্টুমি বুঝে রুদ্র শাসানো গলায় বলে,
— যা বলেছি তাই করো।
হৈমী মুচকি হেসে শাড়ি, শাড়ির সাথে ম্যাচিং ব্লাউজ, পেটিগোট বের করে রুদ্রর দিকে তাকায়। রুদ্রও একপলক চেয়ে কাবলী খুলে তয়ালে গলায় ঝুলিয়ে বাথরুম ঢুকে পড়ে।
শাড়ির আঁচল মেঝেতে পড়ে আছে হৈমী কুঁচি ঠিক করায় ব্যাস্ত। মেরুন আর ব্লু কালার কম্বিনেশনে তাঁতের শাড়ি পড়ছে হৈমী। উপরের দিকে ঠিক থাকলেও নিচের দিকটা গোছালো হচ্ছে না৷ বিরক্তি মুখে বার বার ঠিক করার ট্রাই করছে। রুদ্র চুল মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলো। ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই আয়নায় দেখতে পেলো হৈমীর অবস্থা। ফর্সা পেটটা থেকে চোখ সরিয়ে নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো।
হৈমীর চুল বেয়ে পানি পড়তে পড়তে ব্লাউজ অর্ধেক ভিজে গেছে। রুদ্র রেডি অথচ হৈমী শাড়ি নিয়েই পড়ে আছে। শেষমেশ বিরক্ত হয়ে রুদ্র বললো,
— বাইরে যাওয়ার ইচ্ছে আছে তো নাকি এভাবে আমার এট্যানশন পাওয়ার চেষ্টা করছো?
— আপনিতো মহাখারাপ কোথায় হেল্প করবেন তা না৷ লুইচ্চামি শুরু করছেন৷ এট্যানশন পেতে হবে কেনো? রাতে কি ঘাস কাটেন? আমার অতো এনার্জি নাই যে রাতে এতো টর্চার সহ্য করে দিনেও এট্যানশন পাওয়ার চেষ্টা করবো।
রুদ্র কিছু বললো না। বুঝলো বউ তাঁর ক্ষেপে গেছে। মেয়ে মানুষ সাঁজগোজ নিয়ে কি পরিমাণ সিরিয়াস থাকে তা সে তাঁর বউকে দেখেই বুঝেছে। এই মেয়ে সাঁজপাগল। তাই সাঁজে ঊনিশ থেকে বিশ হলেই তাঁর মাথা গরম হয়ে যায়৷
হৈমী শাড়িটা কোনরকমে সাইজে এনে কুঁচি গুজতে যাবে তখনি আচমকা রুদ্র তাঁর ওপর হামলে পড়লো। ঠোঁটে গভীরভাবে কিছুক্ষণ চুমু খেয়ে কোমড়ে হাত দিয়ে স্লাইড করতে শুরু করলো। এমন সিচুয়েশনে ফেলায় হৈমী না পারলো কিছু বলতে আর না পারলো নিজেকে ঠিক রাখতে। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতে চললো প্রায় রুদ্র বউকে আদর করতে ব্যাস্ত। হৈমী মিনমিন করে বললো,
— আমরা না বাইরে যাবো? আপনি তো কাল বললেন আজকে সেন্ট মার্টিনের সূর্যাস্ত দেখাবেন আমাকে। তাহলে এমন করছেন কেনো?
— কতোক্ষন ধরে সহ্য করছিলাম ভেজা চুলে অর্ধনগ্ন অবস্থায় বউকে এতো সময় ধরে দেখলে ফিলিংসই যদি না আসে তাহলে কিসের পুরুষ মানুষ আমি?
হৈমী এক ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো। মুখ ভেঙচি দিয়ে বললো,
— আলুর পুরুষ মানুষ। একদম কাছে ঘেঁষবেন না বলে দিচ্ছি। বেরিয়ে যান রুম থেকে আমি রেডি হয়ে আসছি।
রুদ্র বাঁকা হেসে ঘড়িতে চেয়ে টাইম দেখে নিয়ে বললো,
— ওকে তারাতাড়ি এসো। আমি বাইরেই আছি।
.
প্রচণ্ড ক্ষুধা লেগেছিল হৈমীর। তাই রিসোর্টের রেষ্টুরেন্টেই খেয়ে নিলো তাঁরা। রেষ্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে রুদ্রর হাত ধরে হাঁটতে থাকলো হৈমী। মনে তাঁর খুব প্রেম প্রেম পাচ্ছে। তাই বিরবির করে বলছে জান তুমি যেদিকে নিয়ে যাবে আমি সেদিকেই যেতে রাজি৷ দরকার পড়লে ঐ নীল সাগরে ঝাপিয়ে মরতেও রাজি। খিলখিল করে হেসে ওঠলো হৈমী। মনে মনে দুষ্টুমি করে হেসেই ফেললো সে। রুদ্র চোখ গরম করে চেয়ে দাঁত চেপে বললো,
— এটা কি ধরনের পাগলামি৷ মানুষ তাকিয়ে দেখছে। এভাবে হাসছো কেনো?
হৈমী চুপসে গেলো আশেপাশে চেয়ে দেখলো সত্যি দুটো মেয়ে গোল গোল চোখে চেয়ে আছে। তাই সে ভদ্র হয়ে রুদ্রর পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটতে লাগলো।
.
সৈকতের পাশে ছাতা দেওয়া চেয়ারে ঘণ্টা চুক্তিতে বসলো ওরা। পাশেই সেন্ট মার্টিনের ডাবের পসরা। এখানে এত নারকেলগাছ যে গুনে শেষ হবে না। এ জন্যই সেন্ট মার্টিনের আরেক নাম দেওয়া হয়েছে নারিকেল জিঞ্জিরা। হৈমী ওটা সেটা দেখে রুদ্র কে প্রশ্ন করছিলো নারিকেল গাছ নিয়ে প্রশ্ন করতেই রুদ্র তাঁকে জানালো সেন্ট মার্টিনের আরেক নামের কথা। হৈমী উৎসুক নয়নে চেয়ে শুনলো। হঠাৎ রুদ্র বললো,
— ডাবের পানি খাবে?
— না ফুসকা খাবো। ঠোঁট ফুলিয়ে বললো হৈমী।
— থাপড়িয়ে ঐ সাগরের মাঝখানে ডাবিয়ে আসবো। বসো এখানে আসছি আমি।
বলেই ওঠে গিয়ে ডাব নিয়ে এলো। ডাবের পানি ভীষণ মিষ্টি। পানিতে চুমুক দিতে দিতেই বেলা পড়ে গেল। পশ্চিম আকাশে লালের আভা আর টকটকে লাল সূর্য বিদায় নেওয়ার অপেক্ষায়। এখানে বাইসাইকেল ভাড়া পাওয়া যায়। সেই সাইকেলে সৈকতে ঘুরতে লাগল বেশ কিছু তরুণ–তরুণী। তা দেখে হৈমীও বায়না ধরলো সাইকেলে করে ঘুরবে। রুদ্রও একটা সাইকেল ভাড়া করলো হৈমীকে সামনে বসালো খুব সাবধানে। শাড়ি পড়ায় তাঁর একটু অসুবিধাই হচ্ছিল কিন্তু রুদ্র সামলে নিলো। সে পিছনে বসে যেনো বুকে পুড়ে নিলো হৈমীকে। কিছু তরুন তরুনীর মধ্যে তাঁরাই যেনো শুধু কাপল। অন্যান্য কারো পড়নে শাড়ি ছিলো না, কারো পড়নে কাবলী ছিলোনা। যার কারনে ওরা দুজনই ছিলো ভিন্ন৷ যে কারো নজরে ওরা দুজনই আগে আসবে এ মূহুর্তে।
.
হৈমী সামনে ছিলো রুদ্র ছিলো পেছনে। আশেপাশে রয়েছে অনেকেই। সকলেই দৃষ্টি স্থির রেখেছে সমুদ্র সৈকতের শেষ প্রান্তের কমলা রঙের গোলাকার সেই সূর্যটার দিকে। ধীরে ধীরে গোলাকার সূর্য যেনো ডুব দিতে থাকলো ঐ নীল সমুদ্রে। সে কি মনোরম দৃশ্য। চারিদিকে রয়েছে নিস্তব্ধতা। সকলেই সূর্যাস্ততের মনোরম দৃশ্যটা যেনো হৃদয় থেকে উপভোগ করছে।
হৈমীর শরীর শিউরে ওঠেছে কেমন। আনন্দে আত্মহারা মন তাঁর। তাঁর এই আনন্দ চোখ দিয়ে যেনো উপচে পড়ছে। বুঝতে পেরে পিছন থেকে বুকে পুরে নিলো রুদ্র হৈমীকে। মাথায় পরপর তিনটা কিস করে সামনে ঘুরিয়ে শক্ত করে বুকে জরিয়ে নিলো।
একসময় টুপ করে সূর্যটা ডুবে গেল। তবে লাল আভা আরও কিছুটা সময় দেখা গেল। সেই লালচে আভায় কয়েকজোরা চোখ দেখতে পেলো এক জোড়া কাপলকে। এরা যেনো একে অপরের সাথে মিশে রয়েছে। এই দিন এই সময় টা যেনো আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে ওদের মনে। শুধু ওদের মনে নয় ওখানে উপস্থিত প্রত্যেকের মনেই। সূর্যাস্তের পাশাপাশি তাঁরা দেখেছে কারো গভীর প্রেম,গভীর ভালোবাসা কে। কারো বুকের ভিতর বন্দি হয়ে থাকা এক বন্দিনীকে।
চলবে।