রহস্যময়_অদৃশ্য_ধর্ষন পর্বঃ-12 অন্তিম তথা শেষ

0
2895

রহস্যময়_অদৃশ্য_ধর্ষন পর্বঃ-12 অন্তিম তথা শেষ
লেখকঃ-কৌশিক আহমেদ

সুমিত এতক্ষণে ভালো একটা বুদ্ধি দিলো।
আমি সহ সবার কাছেই ভালো লাগলো বুদ্ধিটা,
আমার ব্যাক্তিগত ভাবে মনে হচ্ছে কাজে দিবে।
বিষয়টা হচ্ছে,,
আমরা সবার আগে এটা কুমারী মেয়ে যার বয়স কিনা ১৮ এর নিচে,,এমন একটা মেয়ে খুঁজে বের করবো,,তারপর তাকে একটা নির্জন জায়গায় রেখে দিতে হবে,,,পিশাচটা লোভে পরে মেয়েটাকে ধর্ষণ করতে আসবে আর আমরা তখন এটাক করবো।

যদিওবা বুদ্ধিটা ভালো কিন্তু সমস্যা অনেক,,
কি করে জেনে শুনে একটা মেয়েকে বিপদের মুখে ঠেলে দিবো.?
আর কোন মেয়েই বা রাজি হবে এমনটা করতে.??
কোথায় পাবো এরকম মেয়ে.??
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যদিও বা পেয়ে যাই,, যদি প্লান মাফিক তাকে দমন করতে না পারি তাহলে একটা মেয়ের জীবন এখানেই ধংস হয়ে যাবে।
কেউ রাজি হবে না এমনটা করতে,,
কথা গুলো একটানে বলে ফেললাম সকলের সামনে,,,সুমিত নিজেও বুঝতে পারছে এটা কোন দিন কোন ভাবেই সম্ভব না,, কোন মেয়ে জেনে শুনে রাজি হবে না।
স্নেহা এতক্ষণে মুখ খুললো,,

স্নেহাঃ- আচ্ছা পিশাচটার তো দরকার শুধু কোন যুবতী মেয়ে,,, সেটা হোক মৃত বা জীবিত।
তাহলে আমরা সুমিতের প্লান মাফিক শুধু জীবিত মেয়ের বদলে মৃত্যু দেহ রেখে দেই,,কিংবা হাসপাতালে কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে উনাদের কাছে থেকে একটা লাশ ব্যবহার করি,,,

যুক্তি এটাও ঠিক কিন্তু এরকম জগন্য কাজ করতে মন সাহ দিচ্ছে না,,হুজুরের কাছে জিগ্যেস করলাম কি করা যায় এখন..?

হুজুরঃ- দেখো বাবা যুক্তি বুদ্ধি দুইটাই ঠিক আছে বাট কোনটাই ইসলামিক ভাবে ঠিক না,,
এটা একদম নিকৃষ্টতর কাজ হবে,,
আবার এ ছাড়া কোন পথ ও খুজে পাচ্ছি না।
আচ্ছা একটা কাজ করলে কেমন হয়.??
যদিও অনেক রিস্কি,,

আমরা সবাই কৌতূহলি হয়ে আগ্রহ নিয়ে জিগ্যেস করলাম কি কাজ.??
উত্তর উনি,,

হুজুরঃ-আমরা যদি রাতে তান্ত্রিকের সুরক্ষা বাঁধ কিছুটা উন্মুক্ত করে দেই,,আর সেখানে কড়া পাহারার ব্যাবস্থা করি তাহলে হয়তো কাজে দিবো,পিশাচটা তান্ত্রিককে রক্ষা করতে অবশ্যই সেখানে যাবে,,
আর আমরা সেখানে আবার সুরক্ষা বাঁধ নিশ্চিত করবো পিশাচটাতে ভিতরে রেখে,,, পিশাচটা ক্রমেই দূর্বল হয়ে যাবে আর তখন তাকে মারা সহজ হবে।
কিন্তু কাজটা অনেক রিস্কি হলেও কোন লাশ বা মেয়ের দরকার পরবে না।
,,,
রিস্কি হলেও এটাই মেনে নিলাম সবাই,, যা আছে কপালে,,দেখা যাবে পরে,,।
এদিকে সব গুছগাছ করে নিলাম,, রাতে মিশনে নামতে হবে,,,পিশাচ দমনের মিশন।
রাত ১০ টার দিকে টার্গেটের দিকে এগিয়ে গেলাম সবাই মিলে,,তার আগেই আমার একটা বুদ্ধি খেলে মাথায়,, কাজে আসলে আসতেও পারে তাই বাজার থেকে হুবহু মেয়েদের মতন নকল পুতুল কিনে আনি,,,আর তা নিয়ে যাই,,উপরে কাফনের কাপড় পেচিয়ে রাখি,,আমার জানা মতে জ্বীন জাতি শক্তিশালী হলেও এরা প্রচুর বোকা,,,বোকামির জন্য এদের শক্তি থাকতেও এরা মানুষের সাথে পারে না,,,রাজত্ব করতে পারে না মানুষের দুনিয়ায়।
এই পিশাচটা মেয়েদের প্রতি দূর্বল,, তাই সামনে মেয়ে নাকি পুতুল তা না বুঝে যদি একবার ঐদিকে নিজের মন স্থির করে তাহলে কেল্লাফতে,, মারতে সুবিধা হবে।
যাইহোক কাজে যে দিবেই তা কিন্তু না,,তবুও রেখে দিলাম,, নিয়ে গেলাম সাথে করে।
এদিকে বড় অফিসার মানে স্যারেরা ফোন করছে বারবার,,উনাদেরকেও জানানো হয়েছে আজ মিশনে নামবো,,উনারা সবাই দোয়া করছেন,,যদিও পুলিশ ফোর্স বাহির থেকে এনে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন,,কিন্তু আমিই মানা করছি,, এখানে পিস্তল,,রিবালবার,,বুলেটের কাজ না,,,সো এদের এনে শুধু শুধু ঝামেলা হবে,,পরে দেখা যাবে তাদের বাঁচানোর জন্য আমাদের সব নষ্ট হয়ে গেছে।

আল্লাহ আল্লাহ করে এগিয়ে গেলাম।
হুজুর দোয়া পাঠ করে অদৃশ্য মায়াজালে তৈরি সুরক্ষা চক্র ভেঙে দিলেন,,যাতে পিশাচটা আসতে পারে,,,এবার তান্ত্রিকটাকে এমনভাবে বসানো হল যাতে তাকে দেখে মনে হয় সে পূজায় বসেছে,,পূজা করছে,,আর তার সামনে নকল মেয়ের লাশ,,মানে পুতুলটাকে রাখা হল,,আশেপাশের পরিবেশ তান্ত্রিকের পূজার পরিবেশ যেমন থাকে তেমনই করা হল,,,এবার অপেক্ষার পালা,,,

দেখতে দেখতে রাত প্রায় ২ টা বেজে চলেছে কিন্তু পিশাচের কোন দেখা নেই,,,অপেক্ষার প্রহর গুনে গুনে সবার অবস্থা কাহিল,,এমনিতেই অপেক্ষার সময় যায় না,,,
তারমধ্যে এমন একটা মিশন,,,তবুও থাকতেই হবে,,উপায় নেই,,, এটা তো যেমন তেমন কাজ নয়।
যাইহোক দেখতে দেখতে রাত প্রায় ৩.২৫ এর মতন বাজে,,হঠাৎ শো শে শব্দ শুনতে পাই,,,
এতটা বিকট শব্দে ধেয়ে আসছে আমাদের দিকে যাতে উপস্থিত সকলের আত্মা কেপে উঠে,, কিন্তু কি আসছে তা দেখতে পাচ্ছি না,, ভয়ে আতংকে জড়সড় হয়ে যাই সকলে,,,আমাদেন সাথে থাকা জ্বীনেরা,,মানে স্নেহার বাবা ওর উনার দলবল,,সকলেই ভয়ে আঁতকে ওঠেন,,,যেদিক থেকে ধেয়ে আসছে সেদিক থেকে সকল গাছপালা ধুমরে মুচড়ে একাকার করে দিচ্ছে,,,ঘুর্ণিঝড়ের মতন তিব্র গতিতে সব নিজের সঙ্গে করে নিয়ে আসছে,,আর তার চারপাশে ঘিরে আসছে ছোটখাটো পিশাচ শয়তান গুলো,,কুকুর শিয়াল বা কখনো হিংস্র জানোয়ারের মতন শব্দ করছে তারা,,,বুঝতে বাকি রইলো না পিশচাটা আজ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে,,,আর সে রাগে কটমট করছে,,জানি না কি হবে কি আছে কপালে,,,
কিছুটা কাছে আসার সাথে সাথেই শব্দ কমে গেল,,,কিন্তু পরিবেশটা সম্পূর্ণ রুপে চেইন্জ,,
থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে,,কালো মেঘের থাবায় চাঁদটা ঢেকে গেছে,, একটু আগের শীতল ঠান্ডা বাতাস এখন গা পুড়ে দিচ্ছে,,, পিশাচটার নিশ্বাসে বাতাসটাও দুর্গন্ধ ও আগুনে পরিনত হয়ে গেছে।
কাছে এসে বিরাট একটা সাপে পরিনত হল,,,
এই প্রথম কাছে থেকে পিশাচটা দেখতে পেলাম,,,
যদিও আমরা সকলেই নিজের গোপন করে রেখেছি আড়ালে,,,
তবুও দেখতে পাচ্ছি সব,,সাপ হলেও মাথাটা মানুষ এবং পশু দুইটার সংমিশ্রণে একটি রুপ,,যা এতটা বিকট আর বিশ্রী দেখতে যা দেখেই যে কেউ অজ্ঞান হয়ে যাবে।

রাগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছে তান্ত্রিকটার দিকে,,,
হুট করেই এমন একটা কাজ করবে তা আমরা কল্পনাও করতে পারি নি,,, পিশাচটা গিয়ে তান্ত্রিকটাকে এক কামড়ে মাথা শরীর থেকে আলাদা করে ফেললো,,,তান্ত্রিকের মাথা বিহীন গলা থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে,, তা পিশাচটা মন ভরে খাচ্ছে,, যা দেখে সারা শরীরের লোম দাড়িয়ে গেল,,,আর সাথে ভয়।
হুজুর তো বলেছিলেন পিশাচ দমনের আগে তান্ত্রিককে মারা যাবে না,,তাহলে পিশাচটা নিজের সবটা শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে,,কিন্তু পিশাচটা তো নিজেই তান্ত্রিককে মেরে ফেললো,,এবার উপায়.??
হুজুর তড়িঘড়ি করে সুরক্ষা চক্র আবার দিতে বাহিরে বেড়িয়ে গেলেন আর উনার দোয়া কালাম অর্ধেক পাঠ করার সাথে সাথেই পিশাচটা উনাকে দেখে ফেলে,,, তান্ত্রিকটার মতন করে হুজুরটাকেও আমাদেন সকলের চোখের সামনেই মেরে ফেললো।
খুব কষ্ট হচ্ছে,, খুবই কষ্ট,,, হুজুরটার জন্য,, এদিকে আমাদের মেইন অস্ত্র হারিয়ে ফেলেছি,, দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি,, কি করবো এখন?? মাথায় কিচ্ছু আসছে না,,এবার আমার আনা পুতুলটা দিয়ে দেখি কোন কাজে আসে নাকি,,,
হুজুরের রক্ত পান করে পিশাচটা পুতুলটাকে দেখতে পায়,,আর আমার প্লান কাজে লাগে,,মানুষের মৃত্যু দেহ মনে করে পিশাচটা পুতুলকে ধর্ষন করতে এগিয়ে যায়,, যতগুলা কাহিনি শুনেছি সেম ভাবে শূন্যে ভাসিয়ে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করছে,,,ঠিক তখনি স্নেহা বেরিয়ে নিজের শক্তি প্রয়োগ করে সুরক্ষা চক্র দেয়,,তবে এটাতে পিশাচের শক্তি কমে যাবে না,,কিন্তু পিশাচ এখান থেকে কখনো বের হতে পারবে না,,আর অন্য কোন শক্তি ভিতরে ঢুকতেও পারবে না।
কিন্তু স্নেহাও ভিতরে তখন,,মানুষের পক্ষে সম্ভব যাওয়া আসা,,চক্রটা ঠিক কাচের দেয়ালের মতন কিন্ত কাচ নয়,,এটা যেন একটা আলো,,তবে সকলের চোখে পড়বে না।
আমিও গেলাম ভিতরে,,,কারন ততক্ষণে পিশাচটা বুঝতে পেরে স্নেহার উপর আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে,, আমাকে দেখেই পিশাচটা আরো বেশি রাগে ক্রোধে গর্জন করছে,,,জেনো কত শত বছরের শত্রুকে কাছে পেয়েছে,, আজ আমার রক্ত খেয়ে হলি খেলায় মেতে উঠবে,,

আমি আমার কাছে থাকা তরবারিটা বের করি,,তা দেখে পিশাচটা ভয়ে আঁতকে ওঠে,,বুঝতে বাকি রইলো না নিজের মৃত্যু দেখতে পাচ্ছে পিশাচটা।
তার মানে সে এখন একটু হলেও ভিত,,,
আমি আমার হাতে থাকা তরবারি দিয়ে পিশাচটার মাথা দুই ভাগ করতে এগিয়ে যাচ্ছি,, হুট করেই আর দেখতে পাচ্ছি না পিশাচটাকে,,মানে সে অদৃশ্য হয়ে গেছে,, এদিকে পিশাচের অনুসারিরা বাহিরে তুমুল ঝগড়া করছে ভিতরে আসার জন্য,, সব তোলপাড় করে তুলছে,,স্নেহার বাবা সহ উনার সকল সহযোগী জ্বীন গুলা তাদের সাথে যুদ্ধে মেতে উঠেছে,, সুমিত সাগর দৌড়ে আমাকে বাচাতে আমার কাছে চলে এসে দাড়িয়েছে,,
কিন্তু আমি কি করে পিশাচটাকে দমন করবে,,তাকে তো আমি দেখতেই পাচ্ছি না,,মানুষের চর্ম চোখের অন্তরালে চলে গেছে সে,,,অদৃশ্য কারোর সাথে মানুষের যুদ্ধ করা তো অসম্ভব,,
কি করবো দিশেহারা,,একে তো তান্ত্রিকটাকে মেরে আগের চেয়ে পাওয়ার ফুল হয়ে গেছে পিশাচটা,,
পিশাচটা অদৃশ্য ভাবে একেক সময় একেক দিক থেকে আগুনের গোলা নিক্ষেপ করছে আমার দিকে,,কিন্তু আমি আমার হাতে থাকা তরবারির আগাতে মুহুর্তের মধ্যে তা নষ্ট করে দিচ্ছি,, কিন্তু এভাবে কতক্ষণ,, কখন কোন দিক দিয়ে নিক্ষেপ করবে তা কি করে বুঝবো,, এদিকে স্নেহা সব দেখতে পাচ্ছে পিশাচটার,,,আমাকে একেক সময়ে একেক দিন নির্দেশনা দিচ্ছে স্নেহা,,,যার জন্য আমি সতর্ক হতে পারছি,,কিন্তু এভাবে কতক্ষণ,,.??
এদিকে পিশাচটা বুঝে গেছে স্নেহাকে না মারলে সে তার কর্ম সাধন করতে পারবে না,,
তাই আমাকে রেখে স্নেহার দিকে অগ্রসর হয়েছে,, যদিও আমি দেখতে পাচ্ছি না,,কিন্তু স্নেহার নিজেকে বাচানো আর যুদ্ধ করার মতন হাত নাড়াচাড়া আর শরীরের অঙ্গ বঙ্গি দেখে তা টের পাচ্ছি,, স্নেহা আমাকে সাহায্য করতে গিয়ে নিজে বিপদে পড়ছে কিন্তু আমি ওর স্বামী হয়ে,, পিশাচটার মারার একমাত্র অস্ত্র হাতে নিয়েও কিচ্ছু করতে পারছি না,,এক পর্যায়ে স্নেহা হয়তোবা পিশাচটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে,,পিশাচটা কালো ধোঁয়ায় পরিনত হয়ে তান্ত্রিকের শরীরের ভিতর ঢুকে যায় যা আমিও দেখতে পেলাম,,,কিন্তু এখন তো বড় বিপদ হয়ে গেল,,
পিশাচটা তো আগেই তান্ত্রিকের মাথা কেটে ফেলেছে কামড় দিয়ে,, আর পিশাচটাকে মারতে হলে পিশাটচার মাথাটাকে কাটতে হবে এক কুপে,,যদি মাথাই খুজে না পাই,,কাটবো কি.??

ভয় আর টেনশন সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে নিজের মাথাই নিজে কেটে ফেলি,,
হঠাৎ পিশাচটা স্নেহার গলা চেপে ধরে,,স্নেহা কাতরাচ্ছে ব্যাথায়।
আমি গিয়ে পিশাচটাকে কিল ঘুশি মারছি,,সুমিত সাগর ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু কোন ভাবেই কোন কাজ হচ্ছে না,, সুমিত সাগরকে এক ঝটকায় উড়িয়ে দিলো,,সাথে আমাকেও।
এদিকে স্নেহার ধম বন্ধ হয়ে আসছে,,কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না,,স্নেহা মৃত্যুর দিকে আস্তে আস্তে ঢলে পড়ছে,, আমি নির্বাক নিস্তব্ধ হয়ে দেখছি,,কোন রকম ব্যাথা কাতরাতে কতরাতে উঠে এসে পিশাচটার দিকে ভালো করে লক্ষ করলাম,,দেখি বুকের দিকে একটা চোখ দেখা যাচ্ছে,, তারমানে হতে পারে তার নিচের অংশেই গলা,,জানি না,,,,তবুও কিচ্ছু করার ছিল না তাই সেখানেই কুপ বসিয়ে দেই,,,পেটর একটু উপর থেকে দুই খন্ড হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো পিশাচটা,,,সাথে সাথে মারা গেল,,
খুশিতে মনটা নেচে উঠলো,,বাহিরে থাকা পিশাচ গুলে লবনের নেয় গলে যাচ্ছে,, তাদের আহাজারি সারাজীবন মনে রাখার মতন।

শয়তান পিশাচটার দমন হল অবশেষে।
স্নেহাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করালাম,,
পিশাচ দমনের খবরটা উপরের লেভেলে স্যারদের জানিয়ে দিলাম ফোনে,,,
উনারাও হাসপাতালে দেখতে আসলেন স্নেহাকে,,
স্নেহার অবস্থা আশংকাজনক,,,প্রায় পাচ ঘন্টা পর স্নেহার জ্ঞান ফিরে,,,
খুশিতে মনটা নেচে উঠলো স্নেহাকে ফিরে পেয়ে।
জড়িয়ে ধরলাম শক্ত করে,, চুুমু খাচ্ছি স্নেহার কপালে মুখে গালে,,খুশিতে ভুলেই গিয়েছিলাম সবাই আছে সেখানে,,,যখন বুঝতে পারি লজ্জায় দুইজনেই লাল হয়ে গেলাম,,
সবাই রুম থেকে চলে গেল,,,পরী বউটাকে মন ভড়ে দেখছি,,আর আদর করছি।
কিছুক্ষণ পর আমিও বেরিয়ে আসলাম,, ডাক্তার সুসংবাদ জানালেন,,স্নেহা মা হতে চলেছে,,ওর ট্রিটমেন্ট করতে গিয়ে বিষয়টা রিপোর্টে ধরা পরেছে,,
একসাথে তিনটা খুশিতে নিজেকে ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে আমার কাজের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আমাকে সরকারি ভাবে অব্যর্থনা আর পুরস্কৃত করা হবে,,
আজকে শুধু খুশি আর খুশি,,
তিনদিন পর স্নেহাকে নিয়ে বাসায় আসলাম,,সে রাতেই অব্যর্থনা আর পুরষ্কারের অনুষ্ঠান।
সেখানে এটেন্ড করলাম,,,
আমাকে সোনার মেডেল দেওয়া হল আর সুমিত সাগরকে পুলিশের এস আই পদে চাকরি।
আমাকে পোস্টে উত্তির্ন করা হল,,মানে প্রমোশন।
পুলিশের গোয়েন্ধা বিভাগে ঢাকার হেড করা হলো ??
সব মিলিয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় পার করলাম।
রাতে অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফিরলাম।
স্নেহা তখনো পুরোটা সুস্থ নয়,,
এদিকে আমাকে এক মাসের ছুটি দেওয়া হয়েছে তাই পরের দিনই বাড়িতে যাবো প্লান করলাম।

পরের দিন যথা সময়ে বাড়িতে চলে আসলাম আর খুশির সংবাদ শুনলাম আব্বু আম্মুকে,,উনারাও খুশিতে আমাকে দোয়া করলেন।
রাতে স্নেহাতে মন ভরে আদর করলাম,,(বলবো না সে কাহিনি)

যেহেতু বাড়িতেই আছি এক মাস আর স্নেহাও প্রেগন্যান্ট তাই স্নেহাকে একটু সাহায্য করাই যায়,, হাজার হলেও আমি বাবা হতে চলেছি,,
আমার লক্ষি বউটাকে বাড়িতে থেকে সব কাজে সাহায্য করি,,বউটা যদিও করতে দিতে চায় না।
কিন্তু আমার বেবির আম্মুকে কোন কষ্ট করতে দিবো না হুহহহহহ।

সুখের সংসার চলছে আমাদের।
পাঁচ মাস পরে স্নেহা বেবি প্রসব করবে।
এক্সট্রা সুবিধার জন্য কাজের লোক রেখে দিছি,,তখনো আমার ছুটি শেষ হতে পাঁচ দিন বাকি।
রাত ৩ টার দিকে আমার ফোনে একটা কল আসে,,রিসিভ করে শুনতে পাই……..??
।।।
।।।।।।।
।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।

??????সমাপ্ত??????
(হিহিহিহি এটা সিজন ৩ এর জন্য রেখে দিলাম)
এই গল্পের সিজন ৩ হিসেবে #রহস্যময়_ডাইরি
নামে একটা গল্প দিবো,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here