শুষ্ক_পাতার_ভাজে?১৬.{ বিবাহ পর্ব }

0
2077

শুষ্ক_পাতার_ভাজে?১৬.{ বিবাহ পর্ব }
#লাবিবা_তানহা_লিজা?

তৃনা ভয়ে ভয়ে পেছন দিক তাকায় । হাতটা টান দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে নদীর জলে হাত ভেজায় । গায়ের চামড়ায় হলুদ লেগে ফর্সা হাত হলুদ হয়ে আছে যা উঠবার নয় । শাড়ির আচল দিয়ে হাত মুছলেও হলুদ দাগ যাচ্ছে না । সেই হাতের দিকে তাকিয়ে বলে –কেমন আছো তৃনলতা ?
চোখ তুলে তাকায় তৃনা । হলুদ পাঞ্চাবীতে হলুদ লাগানো গায়ে দাড়িয়ে আছে রায়ান । পাঞ্জাবীতে গতকালের লাগানো হলুদ কিছুটা শুকিয়ে শুকিয়ে আছে । রায়ান খেয়াল করে বলে –গোছল করা হয়নি । এখানেই ছিলাম এতোক্ষন । এভাবে সারারাত একা বাইরে কাটানোর দুঃসাহস তুমিই দেখাতে পারো । চোখ নামিয়ে নদীর ওপারে তাকায় তৃনা । মনে মনে আওড়াতে থাকে ” এই দেখা না হলেও পারতো । আমি চাই নি ..আমি চাইনি এটা । হে আল্লাহ সবটা স্বাভাবিক রাখো আল্লাহ । আমাকে শক্ত করো । ”
রায়ান এসে তৃনার দুহাত দূরত্বে বসে পড়ে ।
” আমি কি একটার ও উত্তর ডিজার্ব করিনা ?”
” আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ।”
” একা একা নদীর তীরে বসে ভুল করেছো । ”
” আমার জীবনটাই ভুলে ভরা । আর কোন সমস্যা হয়নি তো । এখনো কিছু ভালো মানুষ পৃথিবীতে আছে । সবাই সৌন্দর্য শরীরের পূজারী নয়। ”
চোখ নিচে নামিয়ে নেয় রায়ান । অপরাধবোধের ডালাটা উপচে পড়ে ।
” এখানে কেনো আপনি ? কখন এসেছেন ?”
” কাল রাতে। এরকম লুকোচুরি না করলেও পারতে তৃনলতা । ”
” করলেই কি আর না করলেই কি ? আপনি কি বিয়েটা বেস্থে দিতে চাইছেন ? দয়া করে এটা করবেন না । আপনি আমাকে নাই বা সহ্য করতে পারেন কিন্তু আমার বোনকে তো ভালোবাসেন , তার জন্যই তো বিয়ে করতে চাইছেন। তৃষা সব দিক থেকেই আপনার যোগ্য । আমার বোনটাকে নিয়ে সুখী হন দোয়া করি।”
” আই এম সরি তৃনলতা । ”
” আমার নাম তৃনা ।”
রায়ান দুবার মাথা ঝাকায় ।দুজনে চুপচাপ বসে থাকে নদীর পানির দিকে তাকিয়ে।সূর্য তখন প্রায় মাথার উপরে।কেউই নড়াচড়া করছে না । উঠেও যাচ্ছে না। আজীবন বসে থাকতে ইচ্ছা করছে । হটাৎ ই রায়ান বসা থেকে উঠে নদীতে ঝাপ দেয় । এক ফালি নদীর জল ভিজিয়ে দেয় তৃনার মুখ শাড়ী । রায়ানের দিকে একনজর তাকিয়ে উঠে পড়ে তৃনা । অসার হয়ে যাওয়া শরীরটা নিয়ে ধীরপায়ে এগুতে থাকে । পেছন থেকে সেই চলে যাওয়া দেখে একমনে রায়ান ।
বড় রাস্তার কাছাকাছি আসতেই দেখে গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে রবিন। তারমানে ভাইয়াই রায়ান চৌধূরীকে জানিয়েছে ? কিন্তু কেনো করলো এটা ভাইয়া ? রবিন গাড়ির গেইট খুলে বলে ” উঠে বস । ”
” আমি উঠবোনা । ”
” থাপ্পর না খেতে চাইলে এক্ষুনী উঠবি । বাবার উপর রাগারাগি করে কখনোই গাড়িতে উঠিস না । সব সময় রিকসা সিএনজিতে চলাচল করিস । কিচ্ছু বলিনি আমি । ”
” আমি এই গাড়িতে উঠবোনা ভাইয়া । ”
” তাহলে ঐ বাড়িতেও থাকিস না । বাড়িটাও তো বাবার ই । বাবা কি তোর খারাপ চায় ? একবার ও ভেবে দেখেছিস বাবা যা করে সব আমাদের দুই ভাই বোনের জন্যই করে ।”
” হেটে যেতে পারবো । ”
” রায়ানের সাথে যাবি ? রায়ান ও হেটে যাবে । ”
একনজর ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে গাড়িতে উঠে বসে তৃনা । রবিন রেস্টুরেন্টের সামনে এসে থামে । একটা প্যাকেট দিয়ে লুকিং গ্লাসে ইশারায় তাকাতে বলে । তৃনা তাকিয়ে নিজেকে একবার দেখে নেয় । এলোমেলো বড় চুল । সামনে ভেজা চুল গুলো মুখের উপর লেপ্টে আছে। সামনের শাড়িও ভেজা । বিদ্ধস্ত চেহারা । তৃনা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসেবলে
“পাগলী লাগছে তাই না ভাইয়া ?”
” চেঞ্জ করে আয় । ”
তৃনা বড় করে মাথায় ঘোমটা টেনে নেয় । প্যাকেট নিয়ে রেস্টুরেন্টের ভেতরে চলে যায় । রবিন গাড়ি পার্কিং করে রেস্টুরেন্টে চলে আসে । টেবিলে বসে খাবার অর্ডার করে । তৃনা ওয়াশ রুমে গিয়ে শাড়ি খুলে ফেলে । প্যাকেট খুলে অবাক হয়ে যায় । লাল বেনারসী শাড়ি । সাথে ব্লাউজ , পেডিকোট , দোপাট্টা আর টাওয়েল এর গায়ে লেখা “গোছল করে নিস।” এগুলো কেনো ? এগুলো কেনো পড়বে ? দুটানায় পড়ে যায় তৃনা । আগের শাড়িটাও ভেজা বাধ্য হয়ে পড়তেই হবে । গোছল শেষে শাড়িটা পড়ে নেয় । টাওয়েল দিয়ে চুল বেধে নেয় । আগের কাপড় গুলো প্যাকেটে নিয়ে লম্বা করে ঘোমটা দিয়ে বেড়িয়ে আসে । আউট ডোরের দিক যেতেই রবিন ভেতর থেকে ডাক দেয় । তৃনা দেখে রবিন বসে বসে খাওয়া শুরু করে দিয়েছে । তৃনা গিয়ে সামনে বসতেই রবিন চোখ তুলে তাকায়। লাল শাড়িতে ঘোমটা দেওয়াতে নতুন বউ লাগছে । গোছল করার জন্য অনেক ফ্রেশ লাগছে । রবিন তৃনার সামনে প্লেট এগিয়ে দিয়ে বলে,
” খেয়ে নে । বাসায় গিয়ে তো আর খাওয়ার সুযোগ পাবি না হাজার রকম ব্যস্ততায় । ”
” রায়ান চৌধুরীকে কেনো বলেছো যে আমি ওখানে গিয়েছি?”
“আমি কি জানি তুই ওখানে গিয়েছিস ? রায়ান ই আমাকে বললো যে তুই ওখানে । রায়ানের এক ফ্রেন্ড নাকি দেখেছে তোকে । সামনাসামনি হয়েই গেলি ।”
” একটা নরমাল ড্রেস দিলেই তো হতো ভাইয়া।শাড়ি দোপাট্টা এসব কেনো?”
” বোনের বিয়েতে নরমাল ড্রেস কে পড়ে? সুতি শাড়ি পড়বি তুই ? আর সবার সামনে তো কালকের মতো থাকবিনা । কাল তো বাড়িতে নিজের লোকেরাই ছিলো তাই চুল ছেড়ে শাড়ি পড়ে বসে ছিলি । আজ তো সব বাইরের মানুষ ই দেখবি যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই।তাই দোপাট্টা দিলাম মাথায় দেওয়ার জন্য ।
খেয়ে উঠ লিপিস্টিক আছে একটা । লিপিস্টিক ছাড়া লাল মানাবেনা তাই কিনেছি। ”
” আমি সাদা কালো মানুষ রঙ্গিন হতে চাই না ভাইয়া।”
” আমার সব থেকে প্রিয় মানুষটি হচ্ছিস তুই। আমার একমাত্র বোন বেস্ট ফ্রেন্ড । অন্যদের কথা না ভাব । যে কটা দিন বেচে আছি মনে রঙ্গ লাগিয়ে নিজেদের মতো ভালো থাকতে দোষ কি ? এইটুকু তো চাইতেই পারি আমি তোর কাছে । ”
” তুমি কেনো গেঞ্জি পড়ে আছো ভাইয়া ? নিশ্চয় নিজের জন্য শপিং করো নি । চলো তোমাকে পাঞ্জাবী কিনে দিবো । ”
” অবশ্যই । বোনের বিয়ে বলে কথা সাজতে তো হবেই।”

শপিংমলে একটা পাঞ্জাবী চুজ করে দিয়েছে তৃনা । রবিন চেঞ্জ করতে গেছে । আয়নার সামনে দাড়িয়ে লিপিস্টিক লাগায় ঠোটে । একদম বউ বউ লাগছে এবার । দোপাট্টা খুলে ফেললে ভালো হতো । একটা লাল হিযআপ কিনে পড়ে দোপাট্টা খুলে ফেলে প্যাকেটে পুরে দেয় । এখন অনেকটা কমফোর্ট লাগছে । এতোক্ষন তো সবাই নতুন বউ বলে তাকিয়েই ছিলো । এদিকে রবিন খুজে চলেছে তৃনাকে । থার্ড ফ্লোর থেকে সেকেন্ড ফ্লোরে এসে দেখে এই অবস্থা। রবিনকে দেখে তৃনা হাতের ইশারায় নাইস বলে মুচকি হাসে । রবিন বাসায় ফেরার সময় গাড়িতে তৃনার হাতে একটাবক্স এগিয়ে দিয়ে বলে ” হাত খালি লাগছে । পড়ে নে । লোকে দেখে তো ছি ছি করবে । ”
তৃনা বক্স খুলে দেখে দুইটা চুর ।
” ভাইয়া এতো দামি জিনিস কোথায় পেলে ?”
” তুই যখন হিযআপ পড়ছেলি তখন সোনার দোকান থেকে কিনেছি । ”
” আমি এসব দিয়ে কি করবো ভাইয়া ? আমি পড়ি না।”
” এখন দিলাম তোকে তুই পড় । রাখতে না চাইলে ভবিষৎ এ তোর ভাবিকে দিয়ে দিস। আমি তো আর তোর মতো সারাজীবন একা কাটানোর ব্রত পালন করতে পারি না । বিয়ে করবো । তোর ভাতিজি হবে।”
তৃনার মুখে বিশ্ব জয়ের হাসি ।
” আমি তো ইনকাম করি ভাইয়া । আমার ভাবি আর ভাতিজিকে কিছু দেওয়ার সামর্থ্য রাখি। ”
” কি আর ইনকাম করিস তুই জানা আছে আমার ।সব তো এতিম খানাতেই ঢেলে দিস। ”
” আমি খুব হেপি ভাইয়া তুমি বিয়ে করবে শুনে। ”
বাসার সামনে এসে গাড়ি থামাতেই দেখে লোকজন জমজমা । তৃনা বলে,
” বর পক্ষরা চলে এসেছে তাইনা ভাইয়া ?”
রবিন কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে কপালে চুমু দিয়ে বলে,
” তোর চোখ এমনিই কাজল কালো নয়তো কাজল পরাতাম । ভাই হয়েছি জন্য কাজলকালি দিয়ে নজর ফোটা দিতে পারছি না । তবে দোয়া করছি কোন কুনজর যেনো তোর উপর না পড়ে । ভেতরে যা । আমি পার্কিং করে আসছি ।
তৃনা ভেতরে যেতেই রায়ানের চোখে চোখ পড়ে । রায়ান হা হয়ে তাকিয়ে আছে দেখে তৃনা তাড়াতাড়ি চলে যেতে নেয় । সিড়ি দিয়ে উঠে নিজের রুমে যাওয়ার আগেই তৃষা এসে জড়িয়ে ধরে । তৃষাকে অন্যসাজে দেখে অবাক হয় তৃনা । আরো অবাক হয় তৃষা কাদছে দেখে । ভয় ঢুকে যায় বুকে । তৃষার মুখ দুহাতে ধরে সামনে এনে বলে ,
” কাদছিস কেনো তুই ? কি হয়েছে আমাকে বল। ”
” তোমার যা হয় আমাকে বলো তুমি ? কখনো বলেছো ? যে ডায়েরিটা ফেলে দিয়েছিলে সেটা কুড়িয়ে এনেছি বলেই তো জেনেছি আমি । তোমার কান্না হা হা কার অনুভব করেছি আমি । যত্ম করে নিজের ডায়েরির ভিতর রেখেছি আমি । হটাৎ সেই ডায়েরিটা আর খুজে পাই না । কাল রাতে রায়ান ফোন করে আমাকে বলে
–তোমার রুম থেকে একটা ডায়েরি এনেছি আমি পিংক কালার ।
–ওটা তো আপুর ডায়েরী । তুমি পড়েছো ডায়রীটা ?
–হ্যা ।
–আপু না ভাইয়াকে খুব ভালোবাসে । ভাইয়াটাকে যদি খুজে পেতাম আমার আপুর সব দুঃখ শেষ করে দিতাম ।
— আমি হলে আমাকেও দিয়ে দিবে ?
–কি বলছো ?
— তোমার ভাইয়াটা আর কেউ নয় । আমি নিজে ।
আপু রায়ান ভাইয়া যদি না বলতো আমি তো জানতেই পারতাম না । ”
” জেনেছিস ভালো করেছিস । এখন বউ সাজ তাড়াতাড়ি নিচে বর পক্ষ চলে এসেছে ।”
” তুমি নিজেকে কি ভাবো আপু ? সব সেক্সিফাইজ তুমিই করে যাবে সবার জন্য ? কেউ তোমার জন্য কিছুই করতে পারবে না? মহান ভাবো নিজেকে তাই না ? ”
নিচ থেকে মনোয়ার ডাক দেয়” তৃষা তৃনাকে নিচে নিয়ে আসো। ”
তৃনাই তাড়াহুড়ো করে নিচে নেমে আসে বলে
” বাবা …”
” চুপ থাকো তুমি । তৃষা রায়ানের পাশে গিয়ে বসাও তৃনাকে । ”
” বাবা হচ্ছে টা কি ?”
” শিল্পী তৃনার মাথায় দোপাট্টা দিয়ে ঘোমটা দিয়ে দাও”
” বাবা কি বলছো এসব ?”
” ঠিক ই বলছি । রায়ানের সাথে তুমার বিয়ে হবে ।তৃষা যাও ওকে রায়ানের পাশে বসিয়ে দাও । ”
তৃষা ধরতে গেলেই তৃনা সরে দাড়িয়ে বলে ,” বাবা পাগল হলে তোমরা ? কি করছো টা কি ? জোর করে বিয়ে দিবে নাকি আমাকে ?”
“সেটাই করছি যেটা আরো আগে করা উচিত ছিলো। ”
” আমি এই বিয়ে করবো না । তৃষা রায়ান চৌধুরীকে ভালো বাসে । ওদের দুই বছরের রিলেশন ।আমার বোনটাকে কষ্ট দিও না তোমরা । ”
তৃষা বলে, ” সেটা তো রবিন ভাইয়ার সাথেও তিন বছর রিলেশন ছিলো রবিন ভাইয়াকেও তো ভালোবাসতাম । বলে নি তোমাকে রবিন ? ও না বললেও আমি বলছি ।কেউ মেনে নিলো না বলেই তো আমাদের সম্পর্ক টা ভেঙে গেলো । ”
অবাক হয়ে তাকায় তৃনা রবিনের দিকে । এতোকিছু ঘটনা ঘটে গেছে আর সে কিছুই জানে না ! সেও তো বুঝে নি । কেউ তাকে বলেনি ? অবশ্য বলবেই বা কেনো ? সেও তো কাউকে কিছু বলেনি । এসব বিষয় বেশির ভাগ না বলাই থাকে ।
তৃষা তৃনার মাথায় দোপাট্টা দিয়ে দেয় । আরো দুজন মেয়ে এসে জোর করে রায়ানের পাশে বসাতেই হুস ফিরে তৃনার । চিৎকার করে বলে ” বাবা আমি বিয়ে করবো না । এসব মিথ্যা বলছে ওরা । যেই জানতে পেরেছে সেই সেক্সিফাইজ করছে । ”
” এখনো জোর গলায় কথা বলো না তুমি । রায়ানকে তুমি ভালোবাসো আগে বললে আমি যে করেই হোক তুমার সাথে বিয়ে দিতাম । ”
” বাবা আমি রায়ান চৌধুরীকে বিয়ে করবোনা বাবা । রায়ানের দিকে তাকিয়ে বলে আমি আপনার মতো লোককে বিয়ে করবোনা শুনেছেন আপনি ?”
রায়ান ভীষন কষ্ট পায় । তবুও হাল ছাড়বে না । তৃনার একা জীবন কাটানোর থেকে ওর সাথে থাকুক সামনে থাকুক, রুমুর মতো মেয়ে পাক সেটাই স্রেয় ।
রবিন এসে বলে , ” রায়ানকেই বিয়ে করতে হবে তোকে । কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করুন ।”
” এভাবে বিয়ে হয়না ”
” তো কিভাবে বিয়ে হয় ? বরের গায়ের হলুদ লাগিয়েছিস , গোছল করেছিস, বেনারসি পড়েছিস , গহনা পড়েছিস , বউ সেজেছিস, বিয়ের আসরে বসেছিস আর কি চাস ? এখন বিয়েটাও করে ফেল। ভালোবাসার মানুষটাকেও পাবি ফুটফুটে একটা কন্যা সন্তান ও পাবি । ”
” না……”
আল্লাহর কালাম পড়ে জোর জবর দস্তি করে হলেও বিয়েটা হয়ে যায় ।
অঝোরে কাদতে থাকে তৃনা । রুমু পেছন থেকে গলা জড়িয়ে গালে চুমু দিয়ে বলে , ” আমার চুইট মাম্মা । এত্তোগুলা চুন্দল মাম্মা । কাদেনা মাম্মা ।”

চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here