তবু_কেন_এত_অনুভব_সিজন_২?,১৯তম_পর্ব শেষ

0
1478

#তবু_কেন_এত_অনুভব_সিজন_২?,১৯তম_পর্ব শেষ
#written_by_Liza

তানাফকে চোখ টিপ দেয় রাফি। তানাফ রাফির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে ইশারায় বলে “অল দি বেস্ট”

দুপুরের খাবার বিকেলে খেলো সবাই,দোয়া খাওয়াদাওয়া সেরে তানাফ ও পুরো পরিবারের সবাইকে নিয়ে হাটতে বেরিয়েছে। রাফি গাছতলায় ইভার সাথে প্রেমালাপে মশগুল। দোয়া পেছন থেকে রাফির মাথায় টোকা দিয়ে বলে “বাহ বাহ ইভাকে পেয়ে আমাকে ভুলে গেলি?”
,
রাফি হঠাৎ দোয়ার কথায় তথমত খেয়ে যায়,রাফি দোয়াকে দেখে চিৎকার করে বলে “বইন এতক্ষণে দেখা দিলি?”

দোয়া রাফি খুশিতে গদগদ করছে একে অপরকে দেখে।তানাফের আব্বু আম্মু দূর থেকে দোয়ার কান্ডকারখানা দেখছে। ইভা লজ্জায় একপাশে দাঁড়িয়ে আছে। দোয়া ইভার গাল টেনে দিয়ে বলে “কি রে ভীতুর ডিম? তুই না ঝামেলা ভয় পাস? তাহলে রাফির সাথে চক্কর কীভাবে চলে হুম?”

ইভা লজ্জায় দোয়াকে জড়িয়ে ধরে, ইনান’ তানাফকে বিড়বিড় করে বলে “আগের দোয়া ফিরে এসেছে স্যার দেখুন। কত খুশি সে।”

তানাফ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে “আমিও চাই আগের বাচ্চা দোয়া ফিরে আসুক।গম্ভীর থাকা পছন্দ না আমার। চঞ্চলতার প্রেমে পরেছিলাম সেই চঞ্চলতাকে জীবিত রাখতে চাই।”

ইনান আর তানাফ হাসাহাসি করছে। দোয়া ইভাকে কানে কানে বলছে “মায়াকে দেখছি না কেন? কোথায় সে?”

ইভা ফিসফিসিয়ে দোয়ার কানে কানে বলে “বিলের ওপারে বসে বসে কাঁদছে দেখলাম, ভেবেছে আজ তার বিয়ে হয়ে যাবে অন্যকারো সাথে”

হাহাহা, থাক কাঁদুক৷ ইনান ভাইয়াও কম কাঁদছে না। বুঝুক প্রেমের জ্বা-লা (দোয়া)

সন্ধ্যায় সবাই ঘুরাফেরা করে ঘরে এসেছে,ইনান ও দোয়া ভেতরের রুমে বসে আছে,মায়ার ফ্যামিলি দোয়ার বাবার সাথে কথা বলছে।

মায়ার চোখ লাল হয়ে আছে,মায়া লাল পারের শাড়ি পরেছে।চুল খোলা পায়ে আলতা দেওয়া। মায়াকে দেখে ইনানের আম্মু ইনানের আব্বুকে ফিসফিসিয়ে বলে “মেয়েটা কী সুন্দর৷ ইস আমার ছেলের বউ করতে পারতাম। বেশ মানাতো।”

মায়ার চোখ ছলছল করছে,মায়া তানাফকে দেখে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মাথা নিচু করে আছে। দোয়ার বাবা মায়ার বাবা-মাকে বলছে ” আমার উপর তোমরা বিশ্বাস রাখোতো নাকি? আমি মায়ার খারাপ চাইনা।”

মায়ার পরিবার দোয়ার বাবার কথায় মাথা নাড়িয়ে হেসে সম্মতি দেয়। দোয়ার বাবা মায়াকে বলছে “আম্মাজান সবাইরে সালাম দেও।”

মায়া সবাইকে সালাম দেয়। ইনানের আম্মুর পায়ে ছোঁয়া লাগাতেই ইনানের আম্মু মায়াকে হাত ধরে তুলে বলে “কত মিষ্টি তুমি মা।”

মায়া মৃদু হেসে সৌজন্যের হাসি দেয়। ইনানের আব্বু আম্মু নিজেদের মধ্যে কথা বলাবলি করে দোয়ার বাবাকে বলে “আমাদের বেশ পছন্দ হয়েছে,আমরা রাজি”

এই কথা শোনামাত্র’ই তানাফ ও তানাফের পরিবার খুশিতে গদগদ করছে। মায়া হু হু করে কেঁদে দেয়। ইনানের আম্মু আব্বু একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে। মায়ার কান্না দেখে ইনানের আম্মু মায়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে “কাঁদছো কেন মা? তোমার কী কেউকে পছন্দ আছে?”

মায়া তার বাবা-মায়ের দিকে তাকিয়ে কাঁপছে। মায়া তানাফের চোখের দিকে তাকাতেই তানাফ সম্মতি দেয় বলার জন্য।

মায়া চোখ মুখ বন্ধ করে সাহস করে বলে দেয় “আমি ইনানকে ভালোবাসি। ওঁকে ছাড়া কেউকে বিয়ে কর‍তে পারবো না আন্টি। প্লিজ আমার সর্বনাশ করবেন না”

কথাগুলো বলে চোখ বন্ধ করে আছে ভয়ে। এদিকে আশেপাশে সবাই সিটি দিয়ে হাসছে। মায়া ভয়ে ভয়ে চোখ মেলে তাকাতেই দেখে, ইনানের বাবা-মা খুশিতে কাঁদছে। রাফি খুশিতে সিটি বাজিয়ে দেয়।

মায়া কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। কারণ মায়া জানেনা এরা ইনানের আম্মু আব্বু। মায়া চুপচাপ তানাফের দিকে তাকিয়ে আছে। তানাফ মুচকি হেসে ভেতরের রুম থেকে ইনানকে নিয়ে আসে। ইনানকে দেখে মায়া নিজেকে সামলাতে না পেরে কেঁদে দেয়।

ইনানের কাঁধে তানাফ হাত দিয়ে বলে “সে সকলের সামনে স্বীকার করেছে তোমাকে ভালোবাসে। এই সাহসটা প্রত্যেক মেয়ের থাকা উচিৎ। তুমি তাকে ডিজার্ভ করো”

ইনানের চোখ বেয়ে খুশিতে পানি ঝড়ছে। লোকলজ্জার কারণে পারছে না মায়াকে জড়িয়ে ধরতে। মায়া মাথা নিচু করে কাঁদছে।
দোয়ার বাবা মায়ার পরিবার ও ইনানের পরিবারকে বলে “আমি জানি ইনান বাবা মায়াকে পছন্দ করে,তাই আমি এতকিছু করেছি। একজনের পছন্দের মানুষকে কেড়ে নিয়ে অনত্র বিয়ে দিলে সেই সংসার ঠিকবেনা।তাই যে যাকে চায় তাকেই দেওয়া উচিৎ। হুজুর আসতে চলেছে এখানেই বিয়ে হবে কাল অনুষ্ঠান হবে”

ইতিমধ্যে হুজুর চলে আসে, মায়া ও ইনানের বিয়ে হয়ে যায়। ইনান ও মায়া এক হয়ে যায়।

ইনানের মা খুশি হয়ে মায়ার গলায় সোনার হার পরিয়ে দেয়।আজ মায়া ভীষণ খুশি। সেই সাথে পুরো গ্রাম খুশি।

দোয়াকে দেখে মায়া জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। দোয়া মায়াকে শান্ত করিয়ে বলে “সরিরে আমি ইচ্ছে করে তোর সামনে তখন আসিনি। কারণ তোর কান্না আমার সহ্য হয় না। তোদের মিল দেওয়ার জন্যই নিজেকে আড়াল করেছি।।নয়তো তুই কাঁদতি তোর কান্না দেখে আমিও সহ্য কর‍তে না পেরে ইনান ভাইকে এনে দিতাম।এদিকে তোর মনের কথা আর কারো জানা হতো না। এইজন্য একটু কঠোর হয়েছি।”

দোয়ার কথায় মায়া ও ইনান থ বনে গেলো। ইনান দোয়াকে বলছে “মনে মনে এত কিছু চেপে রাখলেন।আমাকে কাঁদালেন বজ্জাত মেয়ে”

দোয়া হেসে দেয়। মায়া দোয়াকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে।ইনান মায়ার কানে কানে গিয়ে ফিসফিস করে বলে
“আমাকে একটা কলা গাছের ব্যাবস্থা করে দিন, আমিও মনের সুখে তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবো।।আমার তো আবার কেউ নেই”

মায়া লজ্জায় চুপসে যায় ইনানের কথায়। সবাই রাতে খাওয়াদাওয়া করে যে যার রুমে শুয়ে পরে।

ইনান ও তানাফ, রাফি একসাথে শুয়েছে। ইভা, মায়া ও দোয়া একসাথে তিন বান্ধবী শুয়ে আড্ডা দিচ্ছে।

এদিকে তানাফের আব্বু আম্মু ও ইনানের আব্বু আম্মু দোয়ার বাবা-মায়ের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।

রাত পেরিয়ে ভোর হলো দোয়া,মায়া ও ইভাকে তৈরি করানো হলো।।

এদিকে তানাফ, রাফি ও ইনান। তানাফের বাবা ও ইনানের বাবা পুকুরে গেলো গোসল করতে।

বাড়ির সব পুরুষরা দল বেঁধে পুকুরে গোসল করছে মজা করছে। পুরো গ্রাম বাসী পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে শহুরে লোকদের কান্ড দেখছে।

তানাফের আব্বু ইনানের আব্বুকে বলছে “ছেলে একটা ভালো কাজ করেছে গ্রামে বিয়ে করে। নয়তো শহরের বন্দি জীবনে এভাবেই নিরামিষ আটকা পরে থাকতাম আমরা”

যা বলেছেন ভাই সাহেব,এই গ্রামের পরিবেশ আমাকে বড্ড টানছে। কী দারুন অনুভূতি বলে বোঝাতে পারবো না (ইনানের আব্বু)

ইনান ও তানাফ রাফি গোসল সেরে পুকুর পাড়ে পানিতে পা ডুবিয়ে বাকিদের কান্ডকারখানা দেখে হাসছে।

এদিকে অনুষ্টান খাওয়া দাওয়া শুরু। ইভা, মায়া ও দোয়া বউ সাজ দিয়ে বসে আছে।

তানাফ,ইনান ও রাফি তাড়াহুড়ো করে তৈরি হয়ে নেয়। আজ রাফির ও ইভার বিয়ে।হুজুর এসে রাফি ও ইভার বিয়ে সম্পন্ন করে।
গ্রামের সকল মানুষদের খাওয়ানো হচ্ছে,গরীব দুঃখি অনাথ সবাইকে খাওয়ানো হচ্ছে।

দোয়াকে দেখার জন্য নদীর ওপাড়ের মানুষগুলো এসেছে। দোয়াকে দেখে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। দোয়া তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে তাদেরকে খাবার টেবিলে নিয়ে যায়।।

দোয়া তার বাবাকে বলছে “আব্বা ওরা ঐ গেরামে থাহে মাঝেমধ্যে রাফিরে দিয়ে কিছু টাহা পাঠাইয়ো। এরা অসহায়”

দোয়ার বাবা দোয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে “আইচ্ছা আমি এহানো টিনের চাল দিয়া বাড়ি বানাইয়া দিমু। আমাগো লগে থাকবোনে সবাই”

দোয়ার প্রতি তীব্র শ্রদ্ধা বাড়ছে তানাফের। তানাফ মুগ্ধ হয়ে দোয়াকে দেখছে। প্রেমে পরার জন্য এইটুকুই যথেষ্ট নয় কী? তানাফ মনে মনে বলছে “কীভাবে ভালো না বেসে পারা যায় এই মেয়েকে? যে মেয়ে সকলের পাশে দাঁড়ায়। সকলের চিন্তা করে।সেই মেয়েকে ভালো না বাসার কোনো কারণ আমি দেখছিনা”

দোয়ার কর্মকাণ্ডে তানাফের আব্বু আম্মু গর্ব করে বুক ফুলিয়ে।

গ্রামের অনুষ্টান শেষ হয়। সবাই যে যার বউ নিয়ে রুমে। ইনান রুমের ভেতর দরজা আটকে মায়ার পাশে বসে বলে ” আমাকে যে ক্যাম্পে ভয় দেখিয়ে সেন্সলেস করেছিলেন মনে আছে? আজ তার শোধবোধ করবো। চিৎকার করেও কাজ হবে না”

মায়া পা গুটিয়ে আমতা আমতা করে বলে “আ আ আমি সরি। আসলে বুঝতে পারিনি”

এত বুঝেও লাভ নেই। আজ শোধবোধ এর পালা এই বলে ইনান মায়াকে জড়িয়ে ধরে।

অন্যদিকে রাফি ইভাকে বলছে রুমের ভেতর “অনেক জ্বালিয়েছো তুমি। কিছু হলেই সম্পর্ক রাখবো না এই করবো না,সেই করবো না। এখন থেকে বলে দেখো। হাত পা বেঁধে ঘরে ফেলে রাখবো।দেখবো কোথায় পালাও। ইভা বিড়বিড় করে কিছু বলতেই রাফি ইভার ঠোঁটে আঙ্গুল ছুঁইয়ে দেয়। ইভা চুপসে যায়।”

তানাফ রুমের দরজা বেঁধে দোয়ার কোলে মাথা রেখে বলে
” এই যে শুনুন।”

দোয়া তানাফের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে “বলুন শুনছি”

ভালোবাসি আপনাকে,ছেড়ে যাবেন না তো? (তানাফ)

ছেড়ে যাওয়ার জন্যই কী এসেছি? ছেড়ে যাওয়ার মত কিছুই তো রাখেন নি। পুরো আষ্টেপৃষ্টে নিজের করে নিলেন। এখন ছেড়ে যাই কী করে? (দোয়া)

আপনাকে পাওয়ার আগে এই কথাটাই মাথায় ঘুরপাক খেতো (তানাফ)
কোন কথা শুনি ভেঙ্গচি কেটে দোয়া বলে। তানাফ দোয়ার মুখে হাত দিয়ে বলে
“তারে আমি ছুঁয়ে দেখিনি,
তবু কেন এত অনুভব।
তারে আমি কিছুই দেই নি।
তবু কেন সে’ই আমার সব”

দোয়া দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে “কিছু পাওয়া না পাওয়া দিয়ে যদি ভালোবাসা পরিমাপ করা যেতো। তাহলে শত শত মানুষ না পাওয়ার আক্ষেপে আত্ন-হত্যা করতো না। ভালোবাসা এমন এক অনুভুতি যেখানে পাওয়ার হিসাবের চেয়ে হারানোর হিসাবটাই বেশি।”

তানাফ দোয়ার কোল থেকে মাথা উঠিয়ে বসে পরে,আর দোয়ার গালে চুমু দিয়ে বলে
” এখন আর হারানোর ভয় নেই। আমি পেয়ে গেছি একেবারে। আজীবনের জন্য। আমার দোয়া আমার অনুভবে মিশে রবে।”

দোয়া তানাফকে জড়িয়ে ধরে আছে। অজানা সুখ মনে মাতাল অনুভুতির শিকড়ে গেথে আছে।

এভাবে দোয়া হয়ে যায় তানাফের,রাফি হয়ে যায় ইভার। ইনান পেয়ে যায় মায়াকে। সুখের প্রণয় সবে তো শুরু।

দোয়া আর তানাফের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে মেয়ে,যার নাম “উম্মে রায়াত ত্বাকওয়া”

ত্বাকওয়া হুবুহ তার বাবা তানাফের মতো হয়েছে। রাফি ও ইভার কোল জুড়ে আসে একটি ছেলে সন্তান
যার নাম “রাউফুন”

মায়া সন্তানসম্ভবা। দোয়া, তানাফ ও ইভা রাফি অপেক্ষায় আছে নতুন বেবিকে ওয়েলকাম করার জন্য।

পুরো বাড়িতে মেহমানের সমাগম ইনান তাদের বেবি ওয়েলকাম জানানোর জন্য পুরো বাড়ি সাজিয়েছে। আশেপাশে চারদিকে বেবি পিক। মায়া ইনানের পাগলামোতে হাসছে। তানাফ ইনানের কাঁধে হাত দিয়ে বলে ” কয়েক ঘন্টা পর আমি আংকেল হয়ে যাবো। সময় যেনো কাটছেই না”

ইনান তানাফকে জড়িয়ে ধরে বলে ” আমার সুখের পেছনের উৎস আপনি। আপনি যদি গ্রামে নিয়ে না যেতেন এতবড় অমুল্য উপহার আমার জীবনে আসতো না”

তানাফ হেসে ইনানকে ও রাফিকে জড়িয়ে ধরে।অমনি তাক্বওয়া হাতে করে ইঞ্জেকশন নিয়ে এসে বলে “পাপ্পা পাপ্পা এটা দিয়ে রফুনকে (রাউফুন) চিকিত্তা (চিকিৎসা) কব্বো”

তাক্বওয়ার কথা শুনে সকলে হেসে দেয়। রাফির ছেলে রাউফুন তাক্বওয়ার ভয়ে রাফির কোলে উঠে বসে আছে।

এই দুষ্টুমিষ্টি পথচলা এখান থেকেই শুরু তাদের। সবাই নবজাতক সন্তানকে ওয়েলকাম করার জন্য মুখিয়ে আছে। শুরু হয় সবার জীবনের দ্বিতীয় ধাপ। দোয়া তানাফ তাদের সন্তান নিয়ে সুখি। রাফি ইভা তাদের জীবন স্বাচ্ছন্দে পার করছে। ইনান স্ত্রী সন্তান নিয়ে আরামে দিন কাটাচ্ছে।

সবার ভালোবাসা পুর্ণতা পেয়েছে।

সমাপ্ত।

[আজ থেকে লম্বা বিরতি নেবো। জানি না কতটুকু সাজাতে পেরেছি। আজ আর নেক্সট নেক্সট করিয়েন না। পারলে দুই লাইনের গঠন সম্মত কমেন্ট করুন নয়তো স্কীপ করুন। আমার মতে স্বামী সন্তান নিয়ে ভালো থাকাটাই এনাফ গল্পের ক্ষেত্রে। বেশি বড় করলে গল্পের ধাঁচ হারিয়ে ফেলবো এই আশংকায় ছিলাম। তাই চাইনি বড় করে লম্বা করতে। অল্পতে সাজিয়ে সমাপ্ত দিলাম। সিজন ১ এ তানাফ দোয়া কারো বিবাহিত জীবন দেখেন নি।তাই সিজন ২ তে বিবাহিত জীবন ও সন্তান দিয়ে ততটুকুতেই শেষ করেছি। আশা করি আক্ষেপ রাখবেন না। ধন্যবাদ এতদিন পাশে থেকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। আল্লাহ হাফেজ, আসসালামু আলাইকুম। ভালো থাকবেন সবাই।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here