ভালোবাসার প্রান্ত (২২ তথা শেষ পর্ব)

0
1366

“ভালোবাসার প্রান্ত
(২২ তথা শেষ পর্ব)
Written by- Sazia Afrin Sapna

আমার টুনটু পাখির বয়স দুই বছর চলছে।আদুরে ডাক নিয়ে মাঝে মাঝেই চলে বেশ বিড়ম্বনা। পৃথিবীর সব আদুরে ডাক আমি সীমান্তকে ডেকে ফেলেছি অলরেডী। সোনাপাখি থেকে শুরু করে টিয়া ঘুঘু বাবুই চড়ুই কাঠঠোকরা মাছরাঙা, কোনো পাখিই বাদ দিইনি। এছাড়াও সোনা বাবু বাবুসোনা সব ডেকে ফেলেছি। এখন আমার একমাত্র ছেলেকে আদর করে ডাকার জন্য টুনটু পাখি ছাড়া আর কোনো ডাক নেই। ভুল করে সোনা ডাকলে সীমান্ত সামনে এসে হাজির হয়। তখন আমি কিছুক্ষণ হা করে তাকিয়ে থেকে নিজেকে সামলে নিয়ে বলি-
__সোনা তোমার ছেলেকে দেখছি না যে, তাকে নিয়ে এসো তো।

__তো তাকে না ডেকে আমাকে কেন ডাকছো?

বলতে তো আর পারি না যে, ছেলেকেই ডেকেছি।

আমার ছেলের সব বৈশিষ্ট্য হুবহু তার বাবার মতো হয়েছে। কিন্তু একটা বৈশিষ্ট্যই শুধু আলাদা হয়েছে। সীমান্ত যেমন মা ভক্ত, প্রান্ত হয়েছে বাবা ভক্ত। পৃথিবীর সব বাচ্চা প্রথম ডাক শিখে “মা” আর আমার ছেলে প্রথম ডাক শিখেছে “বাবা”। এটা কোনো কথা হলো? বাপ ছেলে আমার বিরোধী দল হবে ভাবতেই পারিনি। সে যখন প্রথম একটা শব্দ শিখল, “বাবা” আনন্দে আমার চোখে জল চলে এসেছিল। আমি তাকে বললাম-
__বলো তো মা!

সে বলল-
__বাবা

যতই তাকে “মা” বলতে শিখাই, সে “বাবা” বলে। এদিকে সীমান্তর আনন্দ দেখে কে! ছেলে “মা” ডাকতে পারে না বলে আমার আধা পাগল বর গর্বে যেন অর্ধেক গর্ভবতী হয়ে গিয়েছে। সে বেশ ভাব নিয়ে আমাকে বলল-
__অবুঝ শিশুও কত কী বুঝে দেখো! তার মা যে বখাটে সেটা আমার ছেলে পেটে থেকেই বুঝে এসেছে।

আমি রেগে উঠে বললাম-
__তার বাবা যে আধা পাগল সেটা পেটে থেকে সে বুঝে আসেনি?

__কিহ? আমি আধা পাগল?

__হ্যাঁ আধা পাগল। আর তোমার ছেলেও আধা পাগল। নইলে কেউ মাকে বাবা বলে ডাকে? কী সব পাগলের কারখানা আল্লাহ। এজীবনের কোনো মানেই নেই!

__আর তুমি সুস্থ?

__একদম সুস্থ।

__এখন সব বললে তো চাকরি থাকবে না। তাই চুপ করেই থাকি।

__চুপ করেই থাকো, নইলে “মা” ডাক শোনার জন্য কিন্তু আবার জোর করে কন্সিভ করবো।

সে হতভম্ব হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। আমার ছেলে মা ভক্ত হলো না, এজীবনের কোনো মানেই নেই।
ছেলে আমাকেও বাবা ডাকে আবার তার বাবাইকেও বাবা ডাকে। কী একটা অবস্থা!
এটা আমার মনটাকে ব্যথিত করেছে। তবে সেই ব্যাথা ভুলেও গেছি কারণ সে তার বাবার বুকে ঘুমায়। রাতে ঘুম ভেঙে দেখে তার বাবা আছে কী না। থাকলে ভালো, না থাকলেই বাবা বাবা বলে কাঁন্না জুড়ে দেয়। আমার জন্য ভালোই হয়েছে। ঠ্যালা সামলাক তার বাবা। রাতবিরাতে আমার লক্ষী ছেলেটা সীমান্তর গায়ে ইশু করে দেয়। খুবই মনোরম দৃশ্য এটা। আমার তো তখন ঈদ ঈদ লাগে।
আরেকটা ঈদের মতো খুশির ব্যাপার হলো, লুকিয়ে চুরি করে সীমান্তকে অফিসে যেতে হয়। প্রান্ত যদি দেখে তার বাবাই হাফ প্যান্ট খুলে ফুলপ্যান্ট পরেছে তাহলে সে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরবে আর ছাড়বে না। কারণ সে বুঝতে পারে যে, ফুলপ্যান্ট পরা মানেই তার বাবাই এখন বাইরে যাবে। আমার অবশ্য একটু সুবিধা হয়েছে। ছেলে খেলার ছলে বাবাকে ভুলে থাকলেও আমি মনে করিয়ে দিই। যেন তার বায়নায় সীমান্ত তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফেরে। আমি শুধু নামেই বখাটে নই, কাজেও বখাটে। আর এটা নিয়ে আমার নিজেরই কোনো দ্বিধা দ্বন্দ নেই। সীমান্তকে কাবু করার জন্য উত্তম অস্ত্র জন্ম দিয়েছি। নিজেকে এজন্য খুবই গর্বিত লাগে। ভাগ্যিস জোর করে বেবি নিয়েছিলাম। আমার টুনটু পাখির বডিগার্ড হলো নানান। সীমান্তকে কাছে চেয়ে না পেলে তাকে হাসপাতালে সীমান্তর সাথে দেখা করাতে নিয়ে যেতে হয় নানানকে। তারপর আমার টুনটু পাখি বিশাল ভাব নিয়ে ওটি’র ভেতরে গিয়ে সীমান্তর সামনে হাজির হয়, কোনো পারমিশন দরকার নেই তার। তারপর সে সীমান্তকে টেনে বাড়িতে নিয়ে আসে। আমার টুনটু পাখিকে কিছু বলার উপায় নেই। এই সব প্যারার মধ্যেও আমার বিশিষ্ট ডাকুরাজ স্বামী কাবু হয়ে খুব সুখে আছে। এমন যন্ত্রণামাখা সুখ যেন তার প্রত্যাশিত ছিল।


নাটোরে এলাম অনেক দিন পর। প্রেগনেন্সী আর প্রান্তর জন্মের পর থেকে নাটোরে আসাই হয়নি। আসলে উত্তর বঙ্গ আর দক্ষিণ বঙ্গর আবহাওয়ার তারতম্যের করাণে প্রান্তর এ্যাডজাস্ট করতে প্রবলেম হয়। যার করণে নাটোরে আসা একদম বন্ধ ছিল।
এমন সময়ে নাটোরে এলাম যে, সীমান্তর ছুটি নেই। সে বলল, সে আমাদের এক সপ্তাহ পরে নিতে যাবে। এখানে আসার পর সবাই ভীষণ খুশি কিন্তু আমার ছেলে তার বাবাকে খুঁজে চলেছে। সে তো বাবার মতো কম কথা বলে। শুধু দুটো শব্দ বলে সে আমার মাথা নষ্ট করে ফেলেছে, “বাবাই যাব”। এখানে পৌছেছি সন্ধ্যায়। তারপর থেকেই তার শুরু হয়েছে বাবাই যাব ঘ্যানঘ্যান। না পেরে ওর বাবাইকে ভিডিও কল করলাম। সে ছেলের সাথে কথা বলেও থামাতে পারলো না। কেঁদে কেঁদে ভোররাতে জ্বর এলো ছেলের। এখবর পাবার পরে সীমান্তর অর্ডার হলো সকালেই খুলনায় ফিরতে হবে। নিরুপায় হয়ে সকালে কোনো মতে নাস্তা করেই বেরিয়ে গেলাম। খুলনায় পৌছাতে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেল। সদর দরজায় দাঁড়াতেই দেখি সীমান্ত দাঁড়িয়ে আছে একটু দূরে। প্রান্তকে কোল থেকে নামিয়ে দিতেই সে ছুটে তার বাবাইয়ের একটা পা জড়িয়ে ধরলো। সীমান্ত তাকে টেনে কোলে নিতেই চুমু বর্ষণ শুরু হলো। কত কাল যে আমার ছেলে তার বাবাকে চুমু খায়নি সেটাই দেখছি দরজায় দাঁড়িয়ে। আমি যে একটা মানুষ দরজায় দাঁড়িয়ে আছি তার খেয়াল না আছে আমার ছেলের, না আছে ছেলের বাবার। তারা তাদের মতো করে চুমু বিনিময় করে চলেছে।


অনেক বছর পেরিয়ে গেছে…..

আমি অসুস্থ। রোগ সিরিয়াস নয় কিন্তু আমার বর খুব অস্থির। এই বুড়ো বয়সেও সে তার বুড়ি বউয়ের একটু অসুস্থতায় অস্থির হয়ে যায়।
আমার প্রেসার বেড়েছে। দুইজন ডাক্তার দাঁড়িয়ে আছে আমাকে ট্রিটমেন্ট করার জন্য। একজন হলো ডাঃসীমান্ত আর আরেকজন হলো ডাঃ প্রান্ত বিন সীমান্ত। আমি নির্বাক তাকিয়ে আছি আমার টুনটু পাখিটার দিকে। এই তো সেদিন তার জন্ম হলো। দেখতে দেখতে তার বয়স পঁচিশ পেরিয়ে গেছে। আর এটাই আমার এই রোজ রোজ অসুস্থতার কারণ।
প্রান্ত সীমান্তকে বলল-
__বাবাই মামনির প্রেসার আমি চেক করছি। তুমি অস্থির হইও না তো!

সীমান্ত অস্থির হয়ে বলল-
__আমি তোমার মামনির প্রেসার চেক করবো। কারণ তার কখন কোথায় কী ধরনের প্রবলেম হয় তা আমি ছাড়া কেউ জানে না।

__বাবাই তুমি সার্জারীর ডাক্তার তাই এসব কাজ তোমার নয়। আমি মেডিসিন এর ডাক্তার তাই আমাকে দেখতে দাও!

__আমি সার্জারীর ডাক্তার হলেও নিজের বউয়ের ট্রিটমেন্ট করতে পারি। ইনফ্যাক্ট এতগুলো বছর ধরে আমিই তো তার ট্রিটমেন্ট করে এসেছি।

প্রান্ত দুষ্টুমি করে বলল-
__এখন যদি মামনিকে একটা ইনজেকশন দিতে বলি তাহলে পারবে?

সীমান্ত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলল-
__এরমধ্যে এসব আনছো কেন বলো তো?

__তুমি মামনির শরীরে আজ পর্যন্ত একটা সুচ ফুটাতেও পারোনি, তাহলে কেমন ট্রিটমেন্ট করেছো তুমি?

সীমান্ত তোতলিয়ে বলল-
__কী বলতে চাইছো, আমি ট্রিটমেন্ট করতে পারি না?

আমি ওদের থামিয়ে দিয়ে বললাম-
__আমার ট্রিটমেন্ট দরকার নেই। সবাই এখন বাইরে যাও।

প্রান্ত আমার মাথায় হাত রেখে বলল-
__কীসের এত টেনশন করো বলো তো?

__যতদিন তুই বিয়ে না করবি ততদিন আমার প্রেসার নামবে না।

__সারাটা জীবন ধরে বাবাইকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে সব আদায় করেছো। এখন আবার আমার সাথে শুরু করেছো?

__বিয়ে যদি না করিস তবে আমি মরে গেলেও ট্রিটমেন্ট করতে আসবি না। তোর বিয়ে না হলে আমার প্রেসার নরমাল হবে না। যাই আমি মরেই যাই। আমি মরলে কার কী! এখন রুম থেকে যা, আমাকে একা থাকতে দে।

প্রান্ত অসহায় চোখে তাকিয়ে রইল। আমি অভিমানের সুরে বললাম-
__এত বয়স হলো আজও একটা প্রেম করে দেখাতে পারলি না। আমার পেটের ছেলে এমন হবে ভাবতেই পারিনি। তোর বয়সে আমার পেছনে কত ছেলে ছিল। কত ছেলের মন ভেঙে তোর বাবাইকে বিয়ে করেছি। সব আমার আল্লাহ জানেন। তুই কী পারতি না কোনো লেখিকার প্রেমে পড়তে? এসব তো পারবি না। পারবি শুধু বই পড়তে। যা এখন গিয়ে বই পড়, এখানে কী বের হয়েছে?

বাবা ছেলে দু’জনই আসামির মতো আমার দিকে তাকিয়ে রইল। যেন, প্রেম না করার অপরাধে বাবা ছেলের ফাঁসির হুকুম হয়েছে। প্রান্ত বাইরে চলে যাবার পরে সীমান্ত আমার পাশে বসে আমার মাথায় হাত রাখতেই আমি তার হাত সরিয়ে দিয়ে বললাম-
__লাগবে না এসব ঢং। সব দোষ তোমার।

__আমি কী করলাম?

__তোমার এমন স্বভাবের জন্যই ছেলেটা বিয়ে করতে চায় না। মেয়ে ভীরু হয়েছে তোমার মতো।

__দশটা মেয়ের সাথে আমি প্রেম করলে তোমার ভালো লাগতো?

আমি বড় বড় চোখে তাকিয়ে বললাম-
__কি বললে? আবার বলো!

__আমি আবার কখন কী বললাম? দাও প্রেসার চেক করি।

__লাগবে না।

সে আসামির মতো করুণ চোখে তাকিয়ে রইল।


পরিশিষ্টঃ
পড়ন্ত বিকেলে ছাদে বসে আছি। জীবনের এই প্রান্তে এসেও লেখালেখিটা সীমান্তর মতো আমার পাশেই রয়ে গেছে। আজও বুঝে উঠতে পারিনি, আমার লেখালেখি সীমান্তর প্রেমিকা নাকি আমার প্রেমিক।
আরও কত কী ভেবে চলেছি আমি। জীবন থেকে কতগুলো বছর কেটে গেছে। সুখের দিন ছিল বলেই হয়তো এত দ্রুত জীবনের দিনগুলো শেষ হয়ে গেল। কত কী বদলে গেছে। এই সময়ের পালা বদলে অনেক কিছুই আগের মতোই আছে। বলা যায় আগের মতোই রেখেছি। তরুণী বয়সে আমার কপালে আঁকা সীমান্তর চুমুগুলো গুনে রাখতাম। তারপর হুট করে এক সন্ধ্যায় তাকে ফোন করে বলতাম, “সাহেব আজ একটু তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবা।”
সে হন্তদন্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আসতো। এসে দেখতো আমি সেজেগুজে বসে আছি। সে অবাক হয়ে চেয়ে থাকতো। আমি তার হাতে দুটো টিকিট ধরিয়ে দিয়ে বলতাম, “আজ তোমার চুমু এক লক্ষ হয়ে গেছে তাই সেই আনন্দে মুভি দেখতে যাব।”
সে অবাক হতো এই ভেবে যে, অংক না পারা এই মেয়েটা কি করে এত হিসেব রেখেছে! এখনো আমি তার চুমুগুলো গুনে রাখি তারপর হুট করেই একদিন তাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা দেখতে চলে যাই। স্বাস্থ্যকর আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে ভাষণ শুনতে শুনতে তিন ঘন্টা পেরিয়ে যায়।
এসব ভেবে মনে মনে হেসে উঠলাম।

__কী ভাবছো? মনে মনে কিছু যে লিখছো তা আমি জানি।

সীমান্তর কথায় চেতনায় ফিরলাম। সে আমার পাশে এসে দাঁড়ালো। আমি তার কথার জবাব না দিয়ে তার দিক থেকে চোখ সরিয়ে পাশের কাঠগোলাপের গাছটার দিকে তাকালাম। ডালে ডালে ফুলের মেলা বসেছে। আমার প্রেমে পড়ার পরে, আমার প্রিয়ফুলের গাছটা সে লাগিয়ে ছিল। আজ সেই গাছ দোতলার ছাদ ছুঁয়ে শাখা প্রশাখা মেলে দিয়েছে। এমন একটা ভালোবাসার চারাগাছ সীমান্ত আমার হৃদয়েও রোপন করেছিল অনেক অনেক বছর আগে। সেই চারাগাছও এই কাঠগোলাপের গাছটার মতো শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে দিয়েছে। সীমাহীন সেই ভালোবাসা সে শতজনমেও নিয়ে শেষ করতে পারবে না।
সীমান্ত গাছ থেকে একটা কাঠগোলাপ তুলে আমার কাঁচা পাকা মিশ্রিত চুলের খোপায় গুজে দিয়ে বলল-
__কিছু বলছো না কেন ডাকুরানী?

আমি কাঠগোলাপের গাছটার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললাম-
বদলে যাওয়া এই পৃথিবীতে কোনো এককালে কোনো এক তরুণকে কথা দিয়ে ছিলাম প্রবীণ বয়সেও আমি তার চিরতরুণী প্রেয়সী হয়ে থাকবো। সেই তরুণ এখন আমার মতোই প্রবীণ হয়ে গিয়েছে। লেখক লেখিকাদের জীবনে একটা গোপন ব্যাপার থাকে। তাদের লেখনীর অন্তরালে একজন প্রেমিক/প্রেমিকা থাকে। কারও জীবনে সেই অন্তরালের মানুষটা থাকে কাল্পনিক, কারও জীবনে বাস্তবেই থাকে। আমার জীবনে সেই গোপন প্রেমিক হলো সীমান্ত।

সে বলল-
__বলো মনে মনে কী লিখছো?

আমি তার চোখে চোখ রেখে বললাম-
__আমি আরও কয়েকটা জনম চাই, সেই প্রতিটা জনমে তোমাকেই চাই। তোমার লোমশ বুকে মুখ গুজে প্রতিটা লোমের গোড়ায় গোড়ায় লুকিয়ে থাকা শান্তিগুলো খুঁটে নিয়ে সহস্র বছর কাটিয়ে দিতে চাই। তুমি আমার ভেতর বাহির তোমার ভালোবাসার আদ্রতায় আমাকে সিক্ত করে রেখো। প্রতিটা জনমেই আমি তোমাকে বিশৃঙ্খল ভাবে ভালোবাসতে চাই।

সীমান্ত নির্বাক আমার দিকে তাকিয়ে রইল কিন্তু তার টুনা মন বলল-
__তুমি যা বখাটে গুন্ডী ডাকুরানী তাতে সব জনমেই যে আমাকে বিশৃঙ্খল ভাবে ভালোবাসবে আর জোর করে যে প্রতি জনমেই একটা করে ভালোবাসার প্রান্তকে আনবে তা জানতে কী আমার বাকী আছে? কিন্তু এসব বললেই তো আমার চাকরি চলে যাবে।

তার টুনা মনের কথা শুনে আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম। তার মনে মনে এসব চলে? একটাও ভালোবাসার কথা তার মনে মনে চলে না! পাষাণ একটা, নিষ্ঠুর একটা! হৃদয়হীন একটা! ডাকাত একটা!

#সমাপ্ত

বিঃদ্রঃ গল্পের কাহিনী এবং চরিত্র সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তবতার সাথে গল্প কখনোই মিলবে না। জীবন কখনও গল্পের মতো সাজানো গোছানো হয় না। গল্পটা শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য লেখা হয়েছে তাই বিতর্কিত মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here