The_Beauty_Of_Love,28,29 last

1
2271

#The_Beauty_Of_Love,28,29 last
#Samayra_Mihu(Nafisa)
#Part_28
.
.
.
মাহির একটা টি শার্ট আর থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট পরে বাইরে এলো,,,বাইরে এসেই তো অবাক মিহু কান্না করছে,,, মিহু কে কান্না করতে দেখে মাহিরের জান পাখি তাই উরে গেছে দৌড়ে মিহুর কাছে যায় আর বলে,,,

“কি হয়েছে তোমার তুমি কান্না করছো কেনো,,

“(কান্না করেই যাচ্ছে )

“বলো না কি হয়েছে এতো কান্না কেনো করছো,,

“(মিহু আরো জোড়ে কান্না করছে এবার)

মাহির কিছুতেই বুঝতে পারছে না মিহু কান্না কেনো করছে কি হলো এমন,,,,কিছুই বুঝতে পারছে না,,, মিহু তো তার মতো কান্না করেই যাচ্ছে,, মাহির এবার ধমক দিয়ে বললো,,,

“কি হয়েছে কি এমন বাচ্চাদের মতো কান্না করছো কেনো?

মাহিরের ধমকে আরো জোড়ে কান্না করে দিলো মিহু,,,

“ভ্যাঁঅাআআআআআআআআআআ,,,

“চুপ একদম চুপ কি হয়েছে বলো,,,

“আস্তার মরতে পারে না আমি এটা মানতে পারছি না চৌধূরী সাহেব আস্তা মরতে পারে না,,,,(এই বলে আবার কান্না করতে লাগলো)

“কে আস্তা ? আগে তো শুনি নি এর কথা কার কথা বলছো আর মারলো কি করে,,? (অবাক হয়ে মাহির জিজ্ঞেস করলো)

“এমন টা কেনো হলো আমার আস্তার ওপর পুরো আস্তা ছিলো ওর কিছু হবে না কিন্তু মরে গেলো এখন আভির কি হবে ,,, ভ্যাঁঅাআ,,,,,

“বলবে তো কে এই আস্তা আভি আর তোমার কে হয়?(মাহির সোফায় বসে মিহুর মাথা বুকে নিয়ে বলে)

“আরে #Married_with_benefits গল্পের নায়কা আস্তা আর নয়ক আভি চৌধূরী,,,(বলেই কান্না করে দিলো)

এই দিকে মাহির মিহুর কথা শুনে সোফা থেকেই পরে গেছে,,আর আবুলের মতো মিহু র দিকে তাকিয়ে আছে,,এতক্ষন ভয়ে মাহিরের জান যায় যায় অবস্থা হয়েছিল মিহু র কি হইছে ভেবে আর সে কি না গল্প পড়ে কান্না করছে,,,একটু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকার পর রেগে মিহু কে বলে,,

“তুমি গল্পের জন্য কান্না করছো আর আমি ভাবছি কি না কি,, চুপ করো আর একবার কান্না করলে আমি তোমাকে আস্তার কাছে পাঠিয়ে দিবো,,,,,(রেগে)

মাহিরের রাগ দেখে মিহু ভয়ে চুপ হয়ে যায়,,,মাহির রেগে বেডে গিয়ে পড়ে ,,, মিহু চুপ করে ভাবছে কি হলো,,,

“উনি কি রাগ করলো নাকি কিন্তু আমার কান্না আসছে তো আমি কি করবো,,যায় এখন রাগ ভাঙায় গিয়ে,,,,

এই বলে মিহু উঠে মাহিরের কাছে গিয়ে মাহির কে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরলো,,কিন্তু মাহির মিহু কে ছড়িয়ে নিলো,, মিহু আবার ধরলো,,,আবার মাহির ছাড়ালো,,,

“উফফ এতো রাগ কেনো বজ্জাত টার,,(মনে মনে)

মাহির যেদিকে মুখ করে শুয়ে আছে মিহু সেই দিকে গিয়ে মাহির কে জড়িয়ে ধরে,,,কিন্তু মাহির এবার মিহু কে ধরে বেডের ফেলে দিলো আর মাহির ওপরে,,,মাহির মিহুর মুখের দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছে,,,

“কি করছেন,,,?(একটু ভয় পেয়ে)

“আর কখনো এমন করবে না তোমার কান্না আমার সহ্য হয় না তুমি বুঝ না ,,একটুর জন্য আমার জান তাই বের হয়ে যেতো,,,,

“আচ্ছা সরি আর কখনো এমন করবো না,,(বাচ্চা দের মতো করে)

মিহুর সরি বলা দেখে হেসে দেই মাহির এতো কিউট করে সরি বললে কেও না হেসে পারে,,,,,

“হাসেন কিনো সরি তো,,,

“সরি মানতে পারি একটা শর্তে,,

“কি শর্ত শুনি,,,

মাহির নেশা ধরানো চোখে তাকিয়ে আছে মিহুর দিকে,,,আজ খুব কাছে পেতে ইচ্ছা করছে মাহিরের মিহু কে,,,কিন্তু মিহুর মত ছাড়া যে কিছুই করবে না মাহির,,,মাহির মিহু কে বলে,,

“আমাদের তো বাসর হই নি আমরা কি বাসর করবো না,,(দুষ্টু হেসে বললো মাহির)

মাহিরের কোথায় মিহুর মুখ লাল লাল স্ট্রবেরি হয়ে গেছে,,,,

“তোমার রেড ফেস আর নিরবতা কে কি আমি হ্যাঁ ভেবে নিবো,,,

মিহু লজ্জায় মুখ লুকায় মাহিরের বুকে,,,এতে মাহির বুঝে যায় মিহু ও রাজি,,, মাহির আর দেরি না করে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয় মিহুর ঠোঁটে,,,,আজ তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেলো,,,,বিয়ে টা হয়েছিল যোর করে হ্যাঁ যোর করেই তো মিহু তো মাহির কে বিয়ে করতে রাজি হয়নি ভয় দেখিয়ে রাজি করিয়েছিল,,পরে এক বছরের চুক্তি হয়,,,কিন্তু কে জানতো মাহির মিহু একে অপরকে ভালোবেসে ফেলবে,,,,অনেক ভালোবাসে তারা একে অপরকে,,আজ সেই ভালোবাসা পূর্ণতা পেলো,,,,,,

সকালে,,,,ভোরের দিকে ঘুম ভেংগে যায় মিহুর,, তাকিয়ে দেখে মাহিরের বুকে শুয়ে আছে মিহু,,রাতের কথা মনে পড়ে লজ্জায় শেষ হয়ে যাচ্ছে মিহু,,,,,,,মাহিরের কপালে একটা কিস করে উঠে ফ্রেশ হতে চলে যায় মিহু,,,গোসল করে এসে নামায পরে নিচে চলে যায় মিহু,,, সকালের নাস্তা আর রাতের খাবার মিহু ই বানায় আর ভার্সিটি না থাকলে দুপুরের ও বানায়,,,মামনি কে এখন রান্না ঘরে যেতে দ্দেই না মিহু,, সে নিজেই রান্না করে,, বাড়িতে এতো কাজের লোক রান্না করার লোক ও আছে কিন্তু মিহু চায় তার স্বামী শাশুড়ী কে সে নিজেই রান্না করে খাওয়াবে,,,,, মিহু সব কিছু ঠিক করে মাহির কে ঘুম থেকে উঠাতে চলে যায়,,,গিয়ে দেখে মাহির আগেই উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেছে,, মিহু বেড ঠিক করে মাহিরের জন্য ড্রেস বার করে,,,সাদা শার্ট কালো প্যান্ট কালো কোট,,,মাহির ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখে তার বউ সব ঠিক করে রাখছে,,, মিহু এখনও দেখেনি মাহির কে,,মাহির পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে মিহু কে,, মিহু চমকে উঠে,,পরে দেখে মাহির,,,

“আপনি! এই নিন সব রেডি করে দিয়েছি আপনিও রেডি হয়ে নিন,,,তারপর নিচে এসে নাস্তা করে নিন,,

মিহু মাহির কে বলছে কিন্তু মাহির তো কোনো কোথায় শুনেছে বলে মনে হয় না,, মাহির সে তো মিহু কে আদর করতে ব্যাস্ত,, পিট থেকে চুল করিয়ে কিস করছে,,

“চৌধূরী সাহেব কি করছেন ছাড়ুন আমাকে আমাকেও তো রেডি হতে হবে ভার্সিটি যাবো,,,সারারাত আদর করেও মন ভরেনি,,,

“তুমি দেখতেই এতো সুইট শুধু খেতে মন চায়,,,

“অসভ্য লোক ছাড়ুন বলছি এবার সত্যি দেরি হচ্ছে,,,

মিহু যোর করায় মাহির মিহু কে ছেরে রেডি হতে লাগলো আর বললো,,,”রাতে দেখে নিবো”,,, মাহিরের কথা শুনে মিহু মুচকি হেসে সেও রেডি হয়ে নিলো,,,তারপরে দুই জনে রেডি হয়ে নিচে গিয়ে নাস্তা করে নিল,, মামনি মাহির মিহু,,,,,,নাস্তা করে মিহু আর মাহির চলে গেলো,,একজন ভার্সিটি একজন অফিসে,,,,,,,,,সারাদিন মাহির অফিসে কাজ করে আর মিহু ক্লাস আর ফ্রেন্ড দের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দিলো,,,ভার্সিটি শেষ হতেই মিহু বাইরে আসে এসে মাহির কে গাড়ির সঙ্গে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখে অবাক হলো কারণ মাহির তো এখন অফিসে থাকে ওকে নিতে ড্রাইভার পাঠিয়ে দেই,, মিহু ভাবে হইতো কাজ নেই আজ,,,মাহিরের কাছে যেতে নিতে একটু আসে পাশে তাকালো মিহু,,দেখলো কিছু মেয়ে চোখে গিলে খাচ্ছে মাহির কে,,এটা দেখে মিহুর রাগ উঠে যায়,, মেয়েগুলা কে দেখিয়ে ভাব নিয়ে মিহু মাহিরের কাছে যায় আর গিয়ে মাহির কে জড়িয়ে ধরে,,,

“বাহ বাহ আমার বউ টা এতো মিস করছিলো আমাকে,,

“হুমম অনেক মিস করছিলাম,,কিন্তু আপনি এখানে যে,,,

“আম্মু ফোন করে বললো বাড়িতে আসতে,, মামী নাকি ডেকেছে আমাদের,, আয়নের জন্য বউ দেখতে যাবে তাই,,,

“আপনার কাজিন ভাই আয়ন ভাইয়া বিয়ে হবে ওয়াও চলেন চলেন,,,,

মাহির মিহু চলে গেলো বাড়ি তে,,,বাড়িতে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটু রেস্ট নিয়ে রেডি হয়ে নিলো,,তারপর মামনি মিহু মাহির বেরিয়ে পরলো মাহিরের মামীর বাড়ির উদ্দেশ্যে,,,,,এক ঘন্টা পর মামী বাড়িতে চলে এলো তারা ভিতরে ঢুকে দেখে ওদের জন্যই অপেক্ষা করছিল সবাই,,, মিহু গিয়ে মামা মামী কে সালাম করে ইরুর সঙ্গে গল্প করতে লাগলো,,,,, সবাই বসে গল্প করতে লাগলো তখনি মাহির বলে,,

“যার জন্যে বউ দেখতে যাচ্ছো সে কোথায় মামা,,

“আয়ন একটু কাজে বাইরে গেছে আমাদের বাড়ির ঠিকানা দিয়ে বেরিয়ে পড়তে বলেছিল,,,(মামা)

“আয়ন নাম যেনো কোথায় শুনেছি কিন্তু মনে করতে পারছি না,,(মিহু মনে মনে ভাবে)

“আচ্ছা চলো তাহলে বেরিয়ে পরি আমরা,,(মাহির বললো)

তারপর ,,,,,একটা গাড়ি তে মামা মামী আর মামনি গেছে,,আর মাহিরের গাড়ি তাই,,মাহির মিহু ইরু গেছে,,,,আরো এক থেকে দুই ঘণ্টা পরে মেয়ের বাড়ির কাছে এসে থামলো,,, সবাই গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে যায়,,কিন্তু মিহু অবাক হয়ে বাড়ির দিকে তাকিয়ে আছে এই বাড়িতে কাকে দেখতে এসেছে সেটাই বুঝছে না এই বাড়িতে তো একটাই মেয়ে সেটা আমার ফ্রেন্ড নিপু তাহলে কি নিপু দেখতে এসেছে,,,কিন্তু নিপু তো অন্য একটা ছেলে কে লাভ করে,,, তখনি মাহির এসে বলে,,

“আরে জান পাখি তুমি বাইরে কি করছো চলো ভিতরে যায়,,,(এই বলে মিহু কে নিয়ে চলে গেলো মাহির)

তারপর সবাই ভিতরে গিয়ে বসে,,নিপুর আম্মু তো মিহু দেখে অবাক আর খুশি ও হয়েছে,,, সবাই জিগ্গেস করে মিহু আর নিপুর আম্মু চিনে কিভাবে,, মিহু সব বললো,, কিছু খন পরে আয়ন ও এসে যায়,, আয়ন মিহু কে আর মিহু আয়ন কে দেখে অবাক হই,, অবাক হলেও মিহু আয়ন দুই জনেই চুপ থাকে,,, মিহু খুশি হয় কারণ তার ফ্রেন্ড তার ভালোবাসার মানুষ টিকেই পাচ্ছে,,,,,,,,আমরা ছোটো রা বসে আছে আর বরো রা কথা বলছে তখনি নিপু কে আনা হয়,,,, নিপু দেখে মামী দাড়িয়ে যায়,,ওনাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে নিপু কে তার পছন্দ হইনি,,তখনি মামী বলে উঠে,,,

“আরে এই মেয়েটা সেই মেয়েটা না? যে মাহিরের বার্থডে পার্টি তে এসেছিল আমার সঙ্গে কি করে কথা বলেছিল,,,

“আল্লাহ এখনও মনে রেখেছে মামী এটা,,(মনে মনে মিহু বললো)

“এই মেয়ে আবার আমার আম্মুর সঙ্গে কি করলো,, আমি কতো না করেছিলাম কাওড়ির সঙ্গে তর্ক লেগো না,,এতো দেহি আমার আম্মুর সঙ্গে লেগে বসে আছে,,,(আয়ন মনে মনে বলছে)

“আল্লাহ এই আণ্টি এখানে তাহলে কি আয়নের আম্মু এই আণ্টি যে কি না শান্ত শিষ্ট ভদ্র বউমা চায়,,আর আমি কি না ওনার সঙ্গে কি করেছিলাম সেদিন,,এখন তো মেনেই নিবে না,,,(নিপু মনে মনে বলছে আর যেনো কান্না করেই দিবে এবার)

বাকি সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মামীর দিকে,,, এমন কেনো বললো মামী তাই ভাবছে,,, নিপু মাহিরের বার্থডে তে মামী কে যা যা বলে ছিলো টা শুধু মিহু মামনি যানে আর কেও ছিলো না তখন তাই সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,,,, আয়ন টেনশনে পরে যায়,,এবার যদি তার আম্মু না মানে নিপু কে তো কি হবে এটাই ভাবছে,,,,,,,

চলবে?

(নিপু মামী কে কি বলেছিল টা বুঝতে না পারলে মাহিরের বার্থডে পার্টি র পর্ব টা একটু পরে নিবেন তাহলে বুঝতে পারবেন নিপু মামী কে কি বলেছিল,,)

#The_Beauty_Of_Love
#Samayra_Mihu(Nafisa)
#Part_29 (এবং শেষ পর্ব)
.
.
.
বাকি সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মামীর দিকে,,, এমন কেনো বললো মামী তাই ভাবছে,,, নিপু মাহিরের বার্থডে তে মামী কে যা যা বলে ছিলো তা শুধু মিহু মামনি যানে আর কেও ছিলো না তখন,, তাই সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,,,, আয়ন টেনশনে পরে যায়,,এবার যদি তার আম্মু না মানে নিপু কে তো কি হবে এটাই ভাবছে,,,,,,,বাড়ি তাই এতো লোক তবুও থমথম পরিবেশ,,কেও কথা বলছে না চুপ করে আছে,,মামীর মুখ দেখে বুঝাই যাচ্ছে অনেক রেগে আছে কেও কিছু বলছে ও না,, চুপ করে আছে সবাই,,তখন নিপুর আম্মু বলে উঠলো,,,

“আপনারা কি আগে থেকে চিনতেন একে অপরকে,,

“চিনব না কেনো এটা তো সেই বেয়াদপ মেয়ে যে মাহিরের বার্থডে তে আমার সঙ্গে তর্ক করেছিল,,(রেগে বললো মামী)

“মামী নিপু বুঝতে পারে নি প্লিজ ওকে ক্ষমা করে দাও,,(মাহির বললো)

তবুও মামী কিছু বলছে না রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে নিপুর দিকে,, আয়ন ও ভয়ে কিছু বলছে না,, নিপু তো কেদেই দিবে এমন অবস্থা,,, সবাই এখন মামীর দিকে তাকিয়ে আছে কি বলে তাই দেখার জন্য,,সবার মুখ টাও ফ্যাকাসে হয়ে আছে,,,মামী একবার সবার মুখের দিকে তাকালো,,তারপর নিপুর কাছে গেলো,,এতে নিপু আরো ভয় পেয়ে যায়,,নিপু ভাবে তাকে মারবে,,কিন্তু মামী সবাই কে অবাক করে দিয়ে হেসে উঠলো,,,মামীর এমন হাসি দেখে নিপু সহ বাকি সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মামীর দিকে,,,মামী বলে উঠে,,

“যা হয়েছে হয়েছে ওসব বাদ দাও আমার একমাত্র ছেলে তোমাকে পছন্দ করে আর আমি কি তোমাকে মেনে নিতে না পারি বলো,,,,(মুচকি হেসে নিপু কে বললো মামী)

“তার মানে আপনি আমার ওপর রেগে নেই,?(নিপু)

“একদমই না আমার ছেলে র জন্য সাত খুন ও মাফ,,,

মামীর কথা শুনে সবাই সস্তি পেলো,, আয়ন গিয়ে মামী কে জড়িয়ে ধরলো,,

“লাভ ইউ আম্মু,,(আয়ন)

“লাভ ইউ টু,,

তারপর সবাই মিলে কথা বলে আংটি পরিয়ে দিলো নিপু কে,,,রাতে ডিনার করে সবাই বাড়ি তে চলে গেলো,,, মামনি মিহু মাহির ও নিজের বাড়িতে চলে গেলো,,,,,,,এর মধ্যে কেটে যায় অনেক দিন মিহু মাহিরের অসীম ভালোবাসা ই দিন কাটে তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা হয় না,,এই দিকে নয়ন আর তিথি র অনেক ভাব জমেছে,, নয়ন এখন রোজ তিথির সঙ্গে ফোনে কথা কথা বলে তিথি কে ঘুরতে নিয়ে যায়,,,তিথি নয়নের এতো কেয়ার দেখে নয়নের প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ে,, নয়ন কে ভালবেসে ফেলে তিথি,,কিন্তু নয়ন তিথি কে ভালোবাসে কি না টা তিথি জানে না আর নয়ন বলেও না কখনো,,,আসলে নয়ন বুঝতে পারে না সে তিথি কে ভালোবাসে কি না তাই কিছু বলে না,,কিন্তু এটা বুঝেছে তিথির সঙ্গে একদিন কথা না হলে নয়ন ভালো থাকে না,,,,দেখতে দেখতে নয়ন তিথির বিয়ের ডেট চলে এলো,,,তাই আজ সবাই শপিং করতে বের হইছে সঙ্গে মিহু মাহির ও আছে নয়ন ডেকেছে তাদের,,,,,,শপিং মলে এসে মাহির মিহু ভিতরে চলে যায়,, নয়ন তিথি ও চলে আসে,,,

“তুমি দাড়াও এখানে আমি গাড়ি পার্ক করে আসি,, (এই বলে নয়ন চলে যায়)

তিথি দাড়িয়ে ছিল,, হঠাৎ তার চোখে পরলো রাস্তার ওই পাসে বেলুন বিক্রি করছে অনেক,, তিথির খুব করে ইচ্ছা করলো বেলুন গুলা নেওয়ার তাই ওগুলো নিতেই চলে গেলো,,অনেক গুলো বেলুন কিনে আবার আসতে নিবে রাস্তার ঠিক মাঝেই দিয়ে আসছিল তিথি তখন একটা গাড়ি খুব জোড়ে আসে তিথি এটা দেখে থেমে যায় কারণ সে ভেবেই নিয়েছে আর সে বাঁচবে না এখন মরেই যাবে,,তখনি কেও যেনো ওকে হ্যাঁচকা টান দিয়ে বুকে জড়িয়ে নেই,,তাকিয়ে দেখে নয়ন ভয়ে কান্না করে দেই তিথি আর শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নয়ন কে,, হাতের বেলুন গুলো উরে আকাশে চলে যায়,,, নয়ন চুপ করে ভাবছে একটু আস্তে দেরি হলে আজ কি হতো,, নয়নের মনে হচ্ছিলো সব হারিয়ে যাচ্ছে তার থেকে,, নয়ন এখন খুব ভালো করে বুঝতে পারছে তিথি কে সে কতটা ভালোবাসে,,,,

“ঠিক আছে তুমি?

“হুমম(কান্না করে)

“রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় সব ঠিক দেখতে হই যানো না জানবে কি করে তুমি তো মরতেই চাও,,(রেগে)

“আমি মরতে চায় না,(কান্না করে)

“চুপ করো,,

“আমি সত্যি মরতে চায় না আমি আপনার সঙ্গে বাঁচতে চায় ,,, আয় লাভ ইউ,,,(কান্না করে বললো তিথি)

তিথির কথা শুনে অবাক হই নয়ন,,

“কি বললে আরেক বার বলো,

“আই লাভ ইউ,,

“আয় লাভ ইউ টু তিথি,,,আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি,,, কিছুক্ষন আগে তোমার এমন অবস্থা দেখে আমি ভয় পেয়ে গেছি আর ভেবেছি তোমাকে হারিয়ে ফেললাম,,ঠিক সময় না এলে কি হতো,,

“হুমম

“আচ্ছা কান্না থামাও যা হইছে হইছে চলো শপিং করি,,,

নয়ন তিথি কে ভিতরে নিয়ে যায় একটু পানি খাইয়ে দিয়ে শান্ত করে,,তারপর সবাই মিলে অনেক শপিং করে বাড়ি ফিরে,,,দেখতে দেখতে নয়ন তিথির বিয়ে চলে আসে,,,এখন তারা নিজ ইচ্ছা তেই বিয়ে করছে কেও যোর করছে না একে অপরকে অনেক ভালোবাসে তারা ওদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে,,,,,ভালোই ভালোই নয়ন তিথির বিয়ে হয়ে গেলো,,, তিথি কে সুন্দর করে সাজিয়ে বাসর ঘরে বসিয়ে রেখে চলে গেলো সব,,কিছু খন পরে নয়ন এসে দরজা বন্ধ করে ভিতরে ঢুকলো,,,তিথি উঠে এসে নয়ন কে সালাম করে ,, নয়ন তিথি কে উঠিয়ে তিথির সামনে বসে বসে,,

“আই লাভ ইউ তিথি,,, আমি কখনো ভাবি নি কাওকে এতো ভালোবাসে ফেলবো,, আমি তো ভেবেই নিয়েছিলাম কাওকে লাভ করবো না কিন্তু তুমি এমন একজন যাকে ভালো না বেসে থামতেই পারবে না কেও,,,আমাকে অনেক ভালবাসবে তো,? আমার সঙ্গে সারাজীবন থাকবে তো,,অনেক ভালোবাসি,,,আয় লাভ ইউ তিথি,,,,

“আমিও অনেক ভালোবাসি তোমাকে নয়ন,,,আয় লাভ ইউ টু,,,,আমিও না ভালোবাসায় বিশ্বাস করতাম না,, কিন্তু যেদিন তোমাকে প্রথম দেখি আমি ক্রাশ খায়,, তোমার ওপর রাগ দেখলেও আমার অনেক ভালো লাগতো তোমাকে,,,তোমার সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারি আমি তোমাকে ভালোবাসি,,,আপনাকে থ্যাংক ইউ আমার জিবনে আসার জন্য আমাকে ভালোবাসার জন্য,,,,

নয়ন তিথি একে অপরকে জড়িয়ে ধরে,,,তারপর তারাদের ও ভালোবাসা পূর্ণতা পায় আজ এই প্রবিত্র রাতে,,,,,,,,,,,,

এই দিকে মাহির মিহু কে কোলে নিয়ে রুমে এসে বলে,,

“আজ আমরাও বাসর করি,,,(দুষ্টু হেসে)

“আজ কি আমাদের বিয়ে হল নাকি নয়ন তিথির বিয়ে হয়েছে আমদের না,,

“তাতে কি বাসর তো করায় যায়,,

এই বলে মিহু কে আর কিছু বলতে না দিয়ে মিহুর ঠোঁটে কিস করে বসে,,তারপর তারাও দুক দেই ভালোবাসার সাগরে,,,,,,,

৭ বছর পরে,,,,

চৌধূরী বাড়িতে খুশির বাজার বসেছে,, চৌধুরী বাড়ি অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে,,,সাজাবেই না কেনো মাহির মিহুর কলিজাদে র বার্থডে যে আজ,,,, হ্যাঁ মাহির মিহুর টুইন বেবি হয়েছে,একটা ছেলে একটা মেয়ে,,, মেহের আর মাহিম,,,মেহের পুরায় মিহুর মতো হয়েছে আর মাহিম মাহিরের মতো,,,আজ তাদের ৪ বছর পূর্ণ হলো তাই,,,,, সবাই এসেছে চৌধূরী বাড়িতে,,, নয়ন তিথি আর তাদের ৬ বছরের ছেলে মেঘ,,,, নিপু আয়ন আর তাদের ছেলে,,,অধরা রোদ ও এসেছে আর তাদের ২ বছরের একটা মেয়ে,,,,,,

“তুই ওর সঙ্গে কথা কেনো বললি?(মেঘ ধমক দিয়ে মেহের কে বললো)

“সাগর আমার ফ্রেন্ড হয় ভাইয়া,,,(ভয় পেয়ে)

“চুপ আর একবার ভাইয়া বললে এক থাপ্পড় দিবো,, আর তোকে যেনো এই ছেলের সঙ্গে কথা বলতে না দেখি,,,(রেগে এই বলে মেহেরের হাত ধরে নিয়ে চলে গেলো মিহু মাহির আর ওর আব্বু আম্মুর কাছে)

এতো খন নয়ন তিথি মিহু মাহির এসব দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলো মেঘ মেহেরের দিকে,,,

“মেঘ এটা কি হলো তুমি মেহের কে ওর ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে নিয়ে এলে কেনো?(তিথি বললো)

“না মেহেরের কোনো ছেলে ফ্রেন্ড থাকবে না,, ও ফ্রেন্ড শুধু আমি আর আমার সঙ্গে কথা বলবে,,,

ছেলের এমন কান্ড দেখে নয়ন তিথি মাথায় হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে,,,,আর মিহু মাহির মুখ টিপে হাসছে,,,

এই দিকে মাহিম অধরা রোদ এর মেয়ের কাছে গিয়ে বসে আছে আর বলছে,,

“তিয়াসা তুই কখন বড়ো হবি,,তাড়াতাড়ি বড়ো হো তো আমি তোর সঙ্গে খেলবো,, আর আব্বু আম্মু কে বলেই দিয়েছি আমি তোকে বিয়ে করবো,,(হালকা ততলিয়ে বললো মাহিম)

মাহিমের কোথায় তিয়াসা কি বুঝলো জানি না কিন্তু খিল খিল করে হেসে উঠলো,,, সবাই ওদের কান্ড দেখে হাসছে,, মাহিম পুরো মাহিরের মতো হয়েছে,, রাগী একদম,,, মেহের মিহুর মতো শান্ত শিষ্ট ভদ্র,,,,,,কিছুক্ষন পরে কেক কাটা হই,, একে অপরকে কে সব খাইয়ে দেই,,,, ,,

মাহির মিহু,, নয়ন তিথি,, রোদ অধরা,, আয়ন নিপু,, সবাই অনেক খুশি তাদের ছেলে মেয়ে কে নিয়ে অনেক খুশি তারা ,, একে অপরের অনেক ভালোবাসে,,, আর মাহিরের ভালোবাসার তো শেষ ই নেই,, মিহুর অনেক যত্ন করে,, খুন সুটি ঝগরা করে,, রাগ অভিমান করে কিন্তু সেটা দিনের বেলা সীমা বর্ধ,,রাতে তারা ঠিকি এক হয়ে যায়,,,,,,, মিহু অনেক সুখেই আছে মামনি মাহির আর ফুলের মতো দুটো বেবি নিয়ে,,,,ভালোবাসা কতো টা সুন্দর এদের না দেখলে বুঝা যায়না,, বেঁচে থাকুক ওদের ভালোবাসা ,,,,,,,,,

———–সমাপ্ত…… ————-?

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here