#Mr_Arrogant ?
#The_Addiction_Of_Love,Part_25,26
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_25
.
.
.
.
রকি ওর গার্ডদের নিয়ে চলে যায়। আভি নিজেকে ছাড়িয়ে জোরে দেয়ালে ঘুষি মেরে বেরিয়ে যায়। ড্রিঙ্ক করছে আর ড্রাইভ করছে আভি। চার বছর আগের ঘটনা সব একেক করে চোখে ভাসছে ওর। বেশি ড্রিঙ্ক করায় সব ঝাঁপসা ঝাঁপসা দেখছে ও।
গাড়ি আর কন্ট্রোল করতে পারলো না আভি গাড়ি গিয়ে সোজা একটা গাছে বারি খেল,,,,
বেশি জোরে আঘাত পায়নি কারন গাড়ির স্পীড ও কমিয়ে নিয়েছিল। শুধু স্টিয়ারিংয়ে মাথাটা বারি খেয়ে আগের জায়গা থেকে একটু ব্লিডিং হচ্ছে। আভি মাথায় হাত চেপে গাড়ি থেকে নেমে যায়।
রাগে গাড়ির টায়ারে লাথি বসিয়ে দিল ও। গাড়ি থেকে ওয়াইন এর বোতলটা বের করে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে বসে পরল। চোখ বন্ধ করতেই চার বছর আগের ঘটনা চোখে ভেসে উঠলো ওর।
? Flashback ?
চার বছর আগে,,,
আভিঃ আরেহ ভাই স্টপ এয়ার স্যরি বলছি তো,,( দৌড়াতে দৌড়াতে)
রওশনঃ তুই দাড়া আভি তোকে আজ পানিশমেন্ট দিতেই হবে। কোন সাহসে তুই এমনটা করলি ওয়েটটট,,( আভির পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে)
আভি নিজের রুমে ঢুকতেই রওশন ওকে ধরে ফেলল। আভির কান টেনে বলল রওশন।
রওশনঃ এখন কোথায় পালাবি বল?
আভিঃ আহহ ভাই লাগছে তো। এই লাস্ট বার ক্ষমা করে দাও আর এমন হবে না প্রমিসস।
রওশন আভির কান ছেড়ে দিতেই আভি সোফায় বসে পরল ওর পাশে রওশন ও বসে পরল।
আভি অপরাধী ফেস করে রওশনকে বলতে শুরু করল।
আভিঃ স্যরি ভাই,,
রওশনঃ দিব একটা থাপ্পড় তোর সাহস কিভাবে হলো এক্সাম পেপার চুরি করার ডাফর। পরিক্ষায় কিছু পারিস না ভালো কথা তাই বলে এক্সাম পেপার চুরি করবি। ( কিছুটা রেগে)
আভিঃ আরে এয়ার আমি চুরি করি নি প্রিন্সিপাল নিজেই আমাকে কোয়েশ্চান পেপার দিয়ে বলেছে সেগুলো কপি করে এক্সাম দিতে। ( ইনোসেন্ট ফেস করে )
রওশনঃ তুই প্রিন্সিপাল কে ব্লাকমেইল করে কোয়েশ্চন পেপার নিয়েছিলি তাইনা?( রাগি ভাবে)
রওশন চোখ ছোট ছোট করে আভির দিকে তাকিয়ে আছে। রওশনের চাওনি দেখে আভি ভয়ে চুপসে গেল তারপর আমতা আমতা করে বলতে শুরু করল।
আভিঃ নো নো ভাই আই সোয়্যার আমি কিছুই করিনি। ভাই আমি তো শুধু প্রিন্সিপাল স্যারকে বলেছিলাম ওনার মেয়ে অনেক সুন্দরী হয়ে গেছে ব্যাস এই টুকু শুনেই উনি সুরসুর করে কোয়েশ্চান পেপার আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন। আমিতো চাই ও নি। ( ইনোসেন্ট ভাবে।)
আভির কথা শুনে রওশন নিজের হাসি থামাতে পারল না। জোরে জোরে হেসে দিল ও। আভি নিজের পেছনের চুল ঝাঁকিয়ে ব্লাশিং হয়ে হাসছে।
রওশনঃ এটা তোর দাঁড়াই পসিবল। বাহ্ কি সুন্দর ভাবে ব্ল্যাকমেইল করলি সাপ ও মরল আর লাঠি ও ভাঙলো না। ( হাসতে হাসতে)
আভিঃ দেখতে হবে না কার ভাই।( হেসে)
[ আভির বয়স এখন বিশ টিনেজ যাকে বলে। ওর বয়সের তুলনায় ওর মধ্যে বাচ্চামো ভাবটা অনেক বেশি। কিন্তু এটা শুধু রওশনের ক্ষেত্রেই। রওশন বাদে ওর লাইফে কারো কথার কোন ভ্যালু নেই। আপন ভাই না হওয়া সত্ত্বেও ওদের মধ্যের বন্ডিং অনেক স্ট্রং]
রওশনঃ হয়েছে আদনান কাকু ( আভির বাবা) জানতে পারলে কি করবে কোন আইডিয়া আছে তোর?
রওশনের মুখে আদনানের নাম শুনতেই আভির মুখে বিরক্তি ছাপ দেখা দিল।
আভিঃ কতবার বলব ভাই ওই লোকের নাম আমার সামনে নিবে না। আই জাস্ট হেইট দ্যাট পার্সন। ওনি কি ভাবল না ভাবল আই ডোন্ট কেয়ার। ( কিছুটা রেগে)
রওশনঃ আভি ড্যাড হয় তোর এভাবে কেউ বলে?( রেগে)
আভিঃ আমি বলি কজ আমি ওই লোকের আসল মূখস দেখেছি যা তুমি দেখো নি। উনি একজন স্বার্থপর লোক ভাই যেটা তুমি বুঝতে চাইছো না। উনি তোমাকেও নিজের স্বার্থের জন্য ব্যবহার করছে।
রওশনঃ তুই উনাকে ভূল ভাবছিস আভি,,,
আভিঃ রিয়েলি!! তাহলে আমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর দাও,, যখন তোমার লেখা পড়া করার বয়স সেই সময় কেন উনি তোমার হাতে গান ধরিয়ে দিলেন কেন তোমাকে এতো কম বয়সে মাফিয়া জগতের অন্ধকারে ডুবিয়ে দিলেন?
রওশন চুপ করে আছে।
আভি আবারো বলতে শুরু করল,,
আভিঃ আর আমাকে কেন সবসময় মাফিয়া জগত থেকে দূরে রাখেন? কেন সব সময় সব বিপদে তোমাকে মোকাবেলা করতে পাঠান? আমাকে প্রিন্সের মত রাখছে আর তোমাকে কেন নিজের গোলাম করে রাখছেন? কোন জবাব আছে তোমার কাছে?
রওশন কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা। রওশনকে চুপ থাকতে দেখে আভি আবারো বলতে শুরু করল,,,
আভিঃ আই লাভ ইউ ভাই এজন্য তোমাকে তার সত্যতা দেখানোর চেষ্টা করছি। ইউ নো হোয়াট আমি কেন উনাকে এতো ঘৃনা করি? আজ উনার কারনে আমার মম আমার পাশে নেই। উনার কারনেই আমার মম….তুমি সব কিছু জেনেও সত্যকে অস্বীকার করছো।
রওশন ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে আভির দিকে। আভি নিজের চোখের পানি মুছে বের হয়ে যায় রুম থেকে। রওশন এখনো ভাবনায়,,, আভির কথায় সত্যতা স্পষ্ট।
সারারাত আভি বাসায় ফিরে নি। রওশন ওকে হাজারো বার কল করেছে বাট ফোন সুইচ্ড অফ। রওশন এতে মাথা ঘামালো না কারণ আভি প্রায়ই এমন করে। যখনই ও রেগে থাকে একা কোথাও ফোন বন্ধ করে বসে থাকে।
পরের দিন রওশনের ফোনে কল আসলো। ফোনের ওপাশের কথা গুলো শুনা মাত্রই রওশন হন্তদন্ত হয়ে ছুটে যায়।
লকাবে আঁটকে রাখা হয়েছে আভিকে। আভি একা না ওর সাথে রকি আর কয়েকটা ছেলে আছে। ওদের নামে ওয়ারেন্ট যে ওরা ড্রাগ্স এর সাথে ধরা পরেছে। আভি ইন্সপেক্টর কে হাজারো বার বলছে যে ও এরকম কিছুই নেয় নি বা ড্রাগ্স এর সাথে ওর কোন যোগ সূত্র নেই কিন্তু তারা বিশ্বাস করছে না।
আভিঃ দেখি আমাকে কতক্ষন এভাবে আটকে রাখে এরা। আমার রওশন ভাই এসেই এদের উচিত জবাব দিবে। ( মনে মনে)
আভি রক্ত চক্ষু নিয়ে বারবার রকির দিকে তাকাচ্ছে। আজ এই রকির জন্য বিনা দোষে ওকে লকাপে বন্দি হতে হয়েছে।
হঠাৎ অনেক গুলো গার্ড পুলিশ স্টেশনে ঢুকে পরল তাদের পেছনে রওশন। রওশনকে দেখেই আভির মুখে হাসি ফুটে উঠল। রকির গলা শুকিয়ে গেছে ভয়ে রওশনকে দেখে।
আভিঃ ভাই লুক বিনা দোষে আমাকে সারারাত আটকে রেখেছেন ওই টাকলা জেলার। আমাকে জাস্ট একবার রিলিজ কর তারপর ওই টাকলার মাথায় ঢোল পিটাবো আমি।
জেলার আভির কথায় ঢোক গিলে নিজের মাথার টাকে হাত বুলায়।
একজন জেলার লকাবের দরজা খুলে দিল। আভি নিজের জ্যাকেট ঝাড়া দিয়ে রওশনকে জড়িয়ে ধরতে যায়। রওশনকে জড়িয়ে ধরতে গেলেই রওশন আভির গালে খুব জোরে চর বসিয়ে দেয়। আভি গালে হাত দিয়ে অবাক চোখে তাকায় রওশনের দিকে।
আভিঃ ভ ভাই তুমি আমাকে মারলে?( ছলছল চোখে)
রওশনঃ এই থাপ্পড় টা আরো আগে মারা উচিত ছিল আমার। যদি আগে থেকেই তোকে মাথায় না তুলতাম তাহলে ড্রাগ নামক জিনিসে আসক্ত হতি না।
আভিঃ ভাই তোর কসম মমের কসম আমি কিছু করিনি প্লিজ ট্রাস্ট……
আবারো থাপ্পড় পরল আভির গালে। রওশন এবার চেঁচিয়ে বলতে শুরু করল,,,
রওশনঃ তোকে একরাত না সারাজীবন লকাবে আটকে রাখা উচিত। আজকে ড্রাগস এ আসক্ত হয়েছিস কালকে দেখা দেখা যাবে মেয়েদের প্রতি আসক্ত হবি। ও হ্যাঁ আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম তোর মা ও তো এমন ছিল তাহলে তুইও তো এমনি হবি।
আভিঃ জাস্ট স্টপপপ ভাইই মমকে নিয়ে একটাও বাজে কথা না প্লিজ। তোর যা বলার আমাকে বল বাট প্লিজ আমার মমকে উল্টা পাল্টা কিছু বলিস না। ( রাগ কন্ট্রোল করে)
রওশনঃ সত্য সবসময় তেতো হয় আভি আর সত্য এটাই যে তোর মা ও ক্যারেক্টারলেস ছিল আর তুইও তোর মায়ের মত,,,
রওশন আর কিছু বলার আগেই আভি ওর মুখে ঘুষি মেরে দেয়। রওশন ও পাল্টা ভাবে ওকে মারে। হাতাপাই করার মধ্য দিয়ে গার্ডরা রওশনকে আর পুলিশেরা আভিকে আটকে দেয়।
আভিঃ ক্যারেক্টারলেস আমার মম না তোর সো কল্ড চাচু আদনান রওশন রায়জাদা। আমার মমের বিরুদ্ধে আরেকটা বাজে কথা বললে এখনেই তোর সমাধি বানিয়ে দিব আমি।
রওশনঃ তোর দ্বারা এর থেকে ভালো কিছু আশাও করি না আমি। আজকের পর থেকে তোর আর মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই তুই তোর রাস্তায় আমি আমার।
আভিঃ আমারও তোর মত ভাইয়ের প্রয়োজন নেই। তুই আমার মমের বিরুদ্ধে যে বাজে কথা গুলো বলেছিস তা আমি কখনো ভুলব না। ফ্রম নাও তুই আমার সবচেয়ে বড় শত্রু আই জাস্ট হেইটট ইউউ ( চিল্লিয়ে)
রওশন এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে আভির দিকে তাকিয়ে হনহন করে চলে গেল পুলিশ স্টেশন থেকে। রওশন চলে যেতেই আভি রেগে ডেস্ক উল্টিয়ে দেয় তারপর বেরিয়ে যায়।
গাড়িতে উঠে ভেঙে পরল রওশন। ওর চোখ বেয়ে অঝড়ে পানি পরছে নিজেকে সামলে নিতে পারছে না আজ।
রওশনঃ আজ আমি আমার লাইফ থেকে নিজের সবচেয়ে প্রিয় দুজনকে হারিয়ে ফেললাম। আই’ম স্যরি আভি কিন্তু আমি যা করেছি তোর ভালোর জন্য করেছি। জানি তুই আমাকে ঘৃনা করবি কিন্তু আমার কিছু করার নেই। আই’ম হেল্পলেস,,, তুই ঠিক ছিলি ওই লোকটা বিশ্বাস এর যোগ্য নয়। ওই লোকটা থেকে তোকে প্রটেক্ট করার আর কোন উপায় ছিল না আমার কাছে। আমাকে ক্ষমা করে দিস প্লিজ,,,( কান্না করতে করতে)
?In present ?
হাতের বোতলটা রাস্তার মাঝে ছুঁড়ে ফেলে দেয় আভি। ওর চোখ অসম্ভব লাল হয়ে গেছে আর পুরো শরীর কাঁপছে।
আভিঃ কেন করলে সেদিন এমন ভাইই হোয়াইইই,,, তুমি তো জানতে আমার মম এমন না সব ওই লোকের মিথ্যা অপবাদ তার বিরুদ্ধে। তুমিও আমার মমকে ভুল বুঝলে,, আমার কাছে আমার মম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তার বিরুদ্ধে যে বাজে কথা বলবে সে আমার আপন কেউ হতে পারে না।
গাড়ি ধরে ঢুলতে ঢুলতে উঠে দাঁড়ালো আভি। গাড়ির দরজা খুলে গাড়িতে বসে পরল। কোন রকমে ড্রাইভ করে বাড়িতে পৌঁছায় ও।
নিজের রুমে এসে দরজা আটকিয়ে বসে আছে আভি। ওর মায়ের ছবি বুকে জড়িয়ে কাঁদছে বাচ্চাদের মতো।
আভি ছোট থেকেই দেখতো আদনান সব সময় ওর মমের উপর টর্চার করত। বাইরের মেয়েদের প্রতি আসক্ত ছিল আদনান। নেশা করে বাড়ি ফিরে প্রতিদিন ওর মায়ের উপর অমানুষিক নির্যাতন করত। এসব দেখে আদনানের প্রতি আভির ঘৃনা সৃষ্টি হয়। ওর মা মুখ বুজে সব সহ্য করতো শুধু আভির জন্য।
একদিন আভি স্কুল থেকে ফিরে দেখে ওর মাকে খাটে শুইয়ে রাখা হয়েছে। সবাই কান্না কাটি করছে তার পাশে বসে। মিডিয়া আর আত্মীয় স্বজনে বাড়ি ভর্তি। আজব ব্যাপার হলো আদনান সবাইকে বলছে আভির মা সুইসাইড করেছে। অন্য কারো সাথে তার সম্পর্ক ছিল আর সে আভির মাকে ধোঁকা দিয়ে চলে গেছে যা সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। সবাই এই কথায় বিশ্বাস করলেও আভি করতে পারে নি। ও জানে ওর মম এমন না। সেদিন কেউ আভির পাশে ছিল না সম্পুর্ণ একা হয়ে গিয়েছিল ও। কিন্তু রওশন আভিকে একা ফেলে নি। বড় ভাই হিসেবে না একজন গার্ডিয়ান হিসেবে আভির খেয়াল রেগেছে ওর পাশে থেকেছে ও।
আভিকে কখনো একা ছাড়ে নি ওকে কখনো বুঝতে দেয়নি যে ও একা। আদনান নিজের সেক্রেটারি আশাকে বিয়ে করে যিনি আভির প্রেজেন্ট মম। আশা আভিকে কখনো অবহেলা করে নি তাও আভি তার সাথে নরমাল হতে পারে নি আজও।
To be continued….
আস্তে আস্তে সব প্যাঁচ খুলবে আর সব রহস্য জানতে পারবেন। রওশন কেন এমন করল আর কেই বা আসল ভিলেন ওদের লাইফের।
#Mr_Arrogant
#The_Addiction_Of_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_26
.
.
.
.
সুবহা নিজের রুমে এসে ডায়রি টা নিয়ে বেডে বসে পরল। কেন যেন ওর হাত কাঁপছে ডাইরিটা খুলতে। কাঁপা কাঁপা হাতেই ডায়রির প্রথম পাতা খুলল ও। প্রথম পাতাতেও নিজের ছবি আঁকা দেখে অবাক হলো সুবহা। তারমানে তখন সে ভুল করে নি এটা সত্যি তারা পোট্রেট। ছবির নিচে ডেট লিখা আছে চার বছর আগের ডেট। সুবহা কৌতুহল নিয়ে পরের পেজ বদলালো। পরের পেজে একটা পোয়েট্রি লিখা,,,
“পেয়ার হ্যায় কিতনা তুমসে
ইয়েহ সিরফ্ হাম হি হ্যায় জানতে
ইসস দিল কি হার ধারকান
সিরফ্ তেরা হি নাম লে
লাফজো সে হাম ইয়ে
বায়া না কার সাকে
কে কিউ ইসস পেয়ার কো
হাম কোয়ি নাম না দে সাকে
দার্দ হ্যায় জো দিল মে দাবায়ে হুয়ে
আশ্ক বানকার আখো সে বেহ হি গায়ে
চাহ তে থে দিল কো রোকনা
পার্হ
বাদতামিজ দিল কাহা কিসি কি সুনে”
[ Love poetry by Shabnam ]
{Do not copy plz}
সুবহা পোয়েট্রি টা পড়ে মুচকি হেঁসে ওটাতে হাত বুলালো। এবার ডায়রির তৃতীয় পেজ উল্টালো সুবহা। লিখা গুলো পড়তে শুরু করল ও।
ডিয়ার ডায়রি,,,
কখনো ভাবি নি প্রথম দেখাতে কারো প্রতি এতোটা আসক্ত হয়ে পরব। কারো হাঁসির মাঝে নিজের খুশি খুঁজব। ভালোবাসা!! জিনিসটা একদম বেমানান আমার জন্য। রওশন রায়জাদা দা হার্টলেস মাফিয়া সবার চোখে একজন খুনি ক্রিমিনাল; সে কাওকে ভালবাসতে পারবে ভাবতেও অবাক লাগে। কিন্তু রওশন রায়জাদার জীবনে এই অসম্ভব জিনিসটা সম্ভব করে তুলেছে সে। নিজের অজান্তে তাকে নিজের অস্তিত্বের সাথে মিশিয়ে নিয়েছি আমি। জানি হয়তো এটা একতরফা কিন্তু ভালোবাসা তো ভালোবাসাই হোক না সেটা একতরফা।
২য় পাতা;
এক গোধূলি সন্ধায় দেখেছিলাম তাকে। নদীর কিনারে পা ডুবিয়ে আনমনে বসে পানির স্রোত দেখছিল সে। ডুবন্ত সূর্যের আলো তার চেহারায় পরে তাকে আরো মায়াবী বানিয়ে দিচ্ছিল। হলুদ রঙের কুর্তি যেন গোধূলির রঙে ঝিলমিল করছিল তার গায়ে। পানির স্রোত তার পা ভিজিয়ে দিচ্ছিল আর সে স্নিগ্ধ দৃষ্টিতে তা দেখছিল।
দূর দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম তার দিকে। সে চলে যেতেই দেখলাম কিনারে একটা ঝুমকা পরে আছে। আমার বুঝতে বাকি রইল না এটা সেই মায়াবী পরীরই। দ্রুত গিয়ে তুলে নিলাম ঝুমকা টা।
৩য় পাতা,,,
অয়নের থেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে নাকি অনাথ আশ্রমে থাকে। কেন যেন বুকে একটা অদ্ভুত ব্যথা হলো হয়তো তার কষ্টের কথা ভেবে। অনেক মেধাবী ছাত্রী সে। কলেজে পড়ে স্কলারশিপে ভর্তি হয়েছে। আরো জানতে পারি তার দু’চোখ ভরা স্বপ্নের কথা। এখন থেকে তার স্বপ্ন শুধু তার না আমারও স্বপ্ন। নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করবো তার সব আশা আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন পূরণ করার।
৪র্থ পাতা,,,
আজকে অনাথ আশ্রমে গিয়েছিলাম। দূর দাঁড়িয়ে ছিলাম তার থেকে। সে আমাকে দেখে নি কিন্তু আমার চোখ শুধু তার দিকেই স্থির ছিল। অনাথ আশ্রমের ডোনেশন দিয়েছি এখন থেকে এই আশ্রমের সবার দায়িত্ব আমার ; তারও,,,
৫ম পাতা,,,
কালকে তার মুখোমুখি দাঁড়াবো। বলবো তাকে কতটা ভালোবেসে ফেলেছি। She has become my #Addiction_Of_Love। আসক্ত হয়ে পরেছি তার প্রতি। কিন্তু ভয় হয় যদি আমার অস্তিত্ব সম্পর্কে যেনে সে আমাকে ঘৃনা করে। এমন হলে আমি বাঁচব পারব না।
৬ষ্ঠ পাতা,,,
ফুল হাতে দাঁড়িয়ে আছি আশ্রমের সামনে। বুকের বাঁ পাশের হার্ট টা ক্রমশ উঠা নামা করছে। কিছুটা দূরেই সে বাচ্চাদের সাথে খেলা করছে। বাচ্চাদের সাথে সেও যেন বাচ্চা হয়ে গিয়েছে। এক কদম দু কদম করে এগোচ্ছি তার দিকে। হঠাৎ চোখ যায় কেউ আড়াল থেকে তার উপর বন্দুক তাক করে আছে। ফুল গুলো সেখানে ফেলেই দৌড় দেই লোকটার দিকে।
গুলি করার সাথে সাথে লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেই। গুলি অন্য দিকে চলে যায়। সবাই ভয় পেয়ে যায়। মাদার আর অপেক্ষা না করে সবাইকে নিয়ে আশ্রমে ঢুকে যান।
আমি সেই লোকটির দিকে হিংস্র ভাবে তাকিয়ে আছি। আমার কলিজায় আঘাত করার চেষ্টা করেছে সে। তাকে তুলে নিয়ে আসি। ইচ্ছে মতো মারতে থাকি তাকে কিন্তু সে মুখ খুলছে না,,, বলছে না কার কথায় এমনটা করেছে সে।
অন্ততঃ সে মুখ খুলল। কিন্তু তার কথা গুলো শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না আমি। আজ আমার সবচেয়ে আপনজন আমাকে ধোঁকা দিয়েছে।
তাকে অয়নের হাতে তুলে দিয়ে ছুটে যাই উত্তরের আশায়।
পরের পেজ গুলো উল্টালো সুবহা কিন্তু অনেক গুলো পেজ ছেড়া। শেষের পেজে শুধু একটু লিখা আছে,,,
শেষের পাতা,,
আজকে লাইফের সবচেয়ে কাছের দু’জন মানুষকে সরিয়ে দিলাম নিজের জীবন থেকে। একজন ঘৃনা করে আরেকজনের কাছে আজও আমার অস্তিত্ব আমার ভালোবাসা অজানা,,,,
সুবহা ডায়রিটা বন্ধ করে দিল। সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে ওর। প্রথম জন ও ছিল তাহলে দ্বিতীয় জন কে? আর কিই বা বলেছিল লোকটি রওশনকে। কে সে যে রওশনের কাছের হওয়া সত্ত্বেও ওকে ধোঁকা দিয়েছে।
সুবহা রুমের এপাশ থেকে ওপাশে পায়চারি করছে। ওর সব প্রশ্নের উত্তর চাই। অনেক কান্না আসছে সুবহার। কেউ ওকে দূর থেকে এতোটা ভালোবাসতে পারে কল্পনার বাইরে ছিল তার। যে লোককে ও কখনো দেখে নি সে ওকে বিনা স্বার্থে এতোটা ভালোবাসা দিয়ে গেছে।
ওর সব প্রশ্নের উত্তর চাই এখনি চাইই,, সুবহা দ্রুত রওশনের রুমে চলে যায়। রুম খোলা আর রওশন নেই রুমে। গাড়ির আওয়াজ পেতেই সুবহা দৌড়ে বারান্দায় চলে যায়। রওশন গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছে তাও এতো রাতে,,, সুবহা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত তিনটা বাজে।
নিজের রুমে এসে আবারও পায়চারি শুরু করেছে সুবহা। রওশনকে ফোন দিচ্ছে কিন্তু ও ফোন ধরছে না।
রকিং চেয়ারে বসে পরে সুবহা। অপেক্ষা করতে করতে চোখ লেগে যায় ওর।
???
সুবহাঃ আই লাভ ইউ রওশন,,,( কাঁপা কাঁপা কন্ঠে)
সুবহার কথায় তাচ্ছিল্য হাসে রওশন তারপর বলতে শুরু করে,,
রওশনঃ যখন কাছে ছিলাম তখনতো বলো নি ভালোবাসি,,, আর আজ দূরে চলে যাচ্ছি তাই ভালোবাসা জাগ্ৰত হয়ে গেল আমার প্রতি সুবহা?( প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে)
সুবহা রওশনের কাছে যেতে নিলেই দেখল রওশনের সাদা শার্টে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ ভেসে উঠছে। সুবহা আতকে উঠল,,
রওশনঃ মুক্তি চেয়েছিলে তুমি দিয়ে দিলাম মুক্তি,,,( পিছাতে পিছাতে)
সুবহাঃ র রওশন প্লিজজজ,,
হঠাৎ হাওয়ায় মিলিয়ে যায় রওশন। সুবহা চিৎকার দিয়ে উঠে যায়।
সুবহাঃ স্বপ্ন ছিল ভয়ঙ্কর স্বপ্ন!( জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে)। আ আমি রওশনকে হারাতে পারব না আই কান্ট,,
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সকাল ছটা বাজে। রওশনের রুমে দ্রুত পায়ে চলে যায় সুবহা। রওশন এখনো ফিরে নি। সুবহার এখন টেনশন হচ্ছে। ওই ভয়ঙ্কর স্বপ্নের মানে কি ছিল? সুবহা রওশনের নাম্বারে আবারো কল করে,,,
???
আভি নিজের রুমে থেকে নেমে নিচে আসছে। কিছুক্ষন আগেই ঘুম ভেঙেছে ওর। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পরেছে ও।
হঠাৎ পাশের রুম থেকে হাসির আওয়াজ শুনতে পেল ও। আওয়াজটা আদনানের রুম থেকে আসছে। আভি আদনানের রুমের সামনে গিয়ে দরজা টা হালকা ফাঁক করে উঁকি দেয়। আদনান ফোনে কথা বলছে কারো সাথে।
আদনানঃ হ্যাঁ শেষ করে দে ওকে এখন আর ওকে আমার প্রয়োজন নেই। অনেক বার বেরেছে ওর,,, পাখা গজিয়ে গেছে।
আভি বুঝতে পারছে না কার কথা বলছে আদনান।
আদনানঃ চার বছর আগেও এই একই ভুল করেছিল ওই রওশন যার ফল স্বরূপ ওকে আভির জীবন থেকে সরিয়ে দিয়েছিলাম। শুধু আভি না ওই মেয়েটাকেও দূরে সরাতে বাধ্য করেছি।
আভি যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। কি বলছে আদনান?
আদনানঃ চার বছর আগে গোয়েন্দা গিরি শুরু করেছিল মিতার ( আমির মা ) মৃত্যু নিয়ে। ও জেনে গিয়েছিল যে মিতাকে আমি মেরেছি। আমাকে হুমকি দিচ্ছিল যে আভিকে সব বলে দিবে। আভির চোখে এমনিতেই আমি খারাপ। তার উপর যদি সত্যি টা জেনে যায় তাহলে আমার ছেলে তো আমাকে ঘৃনা করতে শুরু করবে। এমনটা কি আমি হতে দিতে পারি?
রকিকে দিয়ে আভিকে ফাঁসিয়ে দেই তারপর রওশনকে দিয়ে ওসব বলিয়ে ওকে আভির চোখে খারাপ বানাই। ব্যাস আভি ঘৃনা করতে শুরু করে রওশনকে। ওই মেয়েটার জন্য নিজের কাজ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল রওশন তাই ওই মেয়েটাকেও মারার চেষ্টা করলাম কিন্তু রওশন বাঁচিয়ে নিল। কিন্তু আমিও আদনান রায়জাদা ওকে বাধ্য করি মেয়েটাকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দিতে।
ও শুধু আমার একটা মোহরা যার প্রয়োজন এখন ফুরিয়ে গেছে। শেষ করে দে ওকে আর……
আদনান কথা বলতে বলতে পেছনে ফিরতেই আভিকে দেখে ওর হাত থেকে ফোনটা পরে যায়। আভি অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। আভির শরীর কাঁপছে রাগে। আদনানের গলা চেপে ধরে ওকে দেয়ালে ঠেকিয়ে নেয় আভি। আদনান ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না।
আভিঃ তোকে বাপ বলতেও ঘৃনা করছে আমার। তুই আমার মাকে মেরেছিস আজ আমি তোকে মেরে ফেলব। আমার ভাইকে আমার শত্রু বানিয়ে দিয়েছিস তুই। আমার জীবন থেকে খুশি নামক জিনিসে গ্ৰহন লাগিয়ে দিয়েছিস তুই তোর বেঁচে থাকার অধিকার নেই।
আদনানের দম আঁটকে আসছে। চেঁচামেচির আওয়াজে আদনানের গার্ডরা ছুটে আসে আর আভিকে সরিয়ে দেয়। আভি ছুটার চেষ্টা করছে আর আদনান জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে।
আদনানঃ ওর মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছে ওকে রুমে আটকিয়ে আসো,,,( গার্ডদের বলল )
আভিঃ লিভভ মিই আজকে শেষ করে দিব তোকে আমি,,,
গার্ডরা আভিকে জোর করে নিয়ে যায়। আভিকে আটকানোর উপায় না পেয়ে তাকে চেয়ারের সাথে বেঁধে দেয় ওরা।
???
ড্রাইভ করছে রওশন। পাশের সিটে ডিভোর্স পেপার রাখা। রওশন রাতে নিজেকে সামলাতে পারে নি।ওর কানে শুধু সুবহার কথা গুলো বারি খাচ্ছিল “ আমার মুক্তি চাই ”।
রওশন ওর একটা বন্ধুর কাছে গিয়ে রাতারাতি ডিভোর্স পেপারস্ রেডি করিয়েছে। ওর ভেতরে অবস্থা ও বাদে হয়তো কেউ বুঝতে পারবে না।
রওশনঃ মুক্তি চাই তোমার তাইনা সুবহা? দিয়ে দিব মুক্তি কিন্তু একটা কথা মনে রেখো যেমনটা আমি তোমাকে ভালোবাসি তেমনটা কেউ বাসবে না। This is #The_Addiction_Of_Love। তুমি আমার কাছ থেকে মুক্তি পাবে কিন্তু আমার এই আসক্ত ভালোবাসা থেকে কখনো মুক্তি পাবে না।
হঠাৎ ফোনের আওয়াজে ধ্যান ভাঙে ওর। ফোনের স্ক্রিনে সুবহার নাম দেখে তাচ্ছিল্য হেসে রিসিভ করল রওশন।
কল রিসিভ করতেই সুবহা এক নিঃশ্বাসে বলতে শুরু করল,,,
সুবহাঃ কোথায় আপনি রওশন? সেই রাতে বের হয়েছেন এখনো ফিরেন নি। আপনি জানেন আমার কতটা টেনশন হচ্ছে। আপনি তারাতাড়ি বাড়ি ফিরুন অনেক কিছু জানার আছে আমার। ( কান্না জড়িত কন্ঠে)
রওশনঃ আমার মতো খুনিকে নিয়ে চিন্তা করা তোমার শোভা পায় না সুবহা। তুমি মুক্তি চেয়েছিলে সেই মুক্তির ব্যবস্থা করতে এসেছিলাম,,,
সুবহাঃ ম মানে? কি বলতে চাচ্ছেন আপনি?( অবাক হয়ে)
রওশনঃ সারপ্রাইজ! বাড়ি এসে দিব,,,
সুবহাঃ আপনি কি করতে চাচ্ছেন রওশন?
রওশনঃ যা তুমি চেয়েছিলে,,, আচ্ছা বাদ দাও একটা কথা বলার ছিল হয়তো তোমার সামনে বলতে পারব না কারন তোমার সামনে গেলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো না।
সুবহা চুপ করে শুনছে,,,,
রওশনঃ আ আই লাভ ইউ সুবহা,,,( দীর্ঘশ্বাস ফেলে)। আজকের পর থেকে তুমি মুক্ত হয়ে যাবে এই ক্রিমিনাল এর জীবন থেকে কিন্তু এই ক্রিমিনাল টা তোমাকে বড্ড বেশি ভালোবাসে। কখনো বলা হয়নি বাট আই ডু লাভ ইউ ইয়েস আই ডুউ,,,
সুবহার গলা আঁটকে গেছে কথা বের হচ্ছে না। ও বলতে চাইছে রওশনকে যে ওও ভালোবাসে এই আ্যরোগেন্ট কে কিন্তু বলতে পারছে না।
সুবহাকে চুপ থাকতে দেখে রওশন হালকা হেসে বলে,,,
রওশনঃ জানি এর উত্তর আমি পাব না,,, আর চাইও না ডোন্ট ওয়ারি,,, তোমাকে মুক্তি দিয়ে অনেক দূরে চলে যাবো তোমার কাছ থেকে। আমার মতো খুনির ছায়াও তোমার জীবনে পরবে না।
সুবহা এবার নিজেকে সামলাতে পারলো না কেঁদেই দিল।
সুবহাঃ আই লাভ ইউ রওশন প্লিজ আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা বলবেন না। আমিও ভালোবাসি আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসি।
রওশন অবাক হয়ে গিয়েছে সুবহার কথায়। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে ওর।
রওশনঃ সুবহা ত তুমি……ওওও শীটটটটটট,,,
হঠাৎ একটা ট্রাক এসে রওশনের গাড়িকে ধাক্কা মেরে খাদে ফেলে দেয়। রওশনের হাত থেকে ফোনটা ছিটকে পরে যায়।
হঠাৎ এমন বিকট শব্দে সুবহার আত্মা কেঁপে উঠে ও কাঁপা কাঁপা কন্ঠে রওশনের নাম নেয়,,,
সুবহাঃ র রওশনননন,,,
সুবহার দম আটকে আসছে মনে হচ্ছে এই বুঝি নিঃশ্বাস টা বন্ধ হয়ে যাবে। রওশনের গাড়ি সোজা খাদে পরে যায় তারপর ব্লাস্ট হয়ে আগুন ধরে যায়।
To be continued….