#You_Are_My_Destiny
#Mr_Arrogant_3 ?,Part_1
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
ক্লাস রুমে পা রাখতেই উপর থেকে ঝড়ঝড় করে গোলাপের পাপড়ি পড়তে শুরু করলো রিশিকার উপর। আচমকা এমন হওয়ায় রিশিকা অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে যায়। দু হাত তুলে দিয়ে ফুল গুলো স্পর্শ করছে ও।
রিশিকা সামনের দিকে তাকাতেই দেখলো নিচে লাভ শেপ করে সাজানো হয়েছে ফুল দিয়ে আর তার ঠিক মাঝ বরাবর “ Happy Birthday To my Love ” লিখা। রিশিকার ঠোঁটে অটোমেটিক্যালি হাসি ফুটে উঠল। মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখছে রিশিকা লাভ শেপটাকে ঠিক তখনই আশেপাশে সব দেয়ালে ছোট ছোট ফ্যান্সি লাইট জ্বলে উঠলো। রিশিকার মুখ হা হয়ে গেছে। ফ্যান্সি লাইটগুলো এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যে নাম তৈরি হয়ে গেছে। এক দেয়ালে লিখা “ Rikto Love Rishika” আরেকটায় লিখা “RikShika” নামটা পড়ে রিশিকার রক্ত যেন গরম হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। গাল গোলাপী বর্ন ধারন করছে। চোখের পাপড়ি সহ কাঁপছে ওর। তার অস্তিত্ব অনুভব করতেই রিশিকার হার্ট বিট বেড়ে যাচ্ছে নিঃশ্বাস যেন গরম হয়ে যাচ্ছে। একটা অদ্ভুত কম্পন অনুভব করছে ও শরীরে। ঠিক সামনে কেউ দাঁড়িয়ে আছে ওর কিন্তু তার দিকে তাকানোর সাহস হচ্ছে না রিশিকার। কিন্তু তাকাতে তো হবেই।
ধীরে ধীরে ও নিজের চোখ নিচ থেকে উপর তুলে তাকায় সামনের মানুষটির দিকে। অ্যাশ সুজ, ব্লাক স্কিনি প্যান্ট এর সাথে কোমড়ে বাজ পাখির শেপের বেল্ট আর ব্লাক টিশার্ট এর উপর অ্যাশ কালার লেদার জ্যাকেট। সব সময়ের মতো বুকে সানগ্লাস ঝুলিয়ে রাখা সিল্কি চুল আর শীতল চাহনি। এই চাহনিতে দেখতে একদম শান্ত হলেও রিশিকার কাছে এটা ড্রাগ্স এর থেকেও বেশি নেশাক্ত মনে হয়। এই দৃষ্টিতে যেন ড্রাগ মেশানো।
রিক্তর চোখে চোখ পরতেই রিশিকা নিজের চোখ নামিয়ে নেয় আর নিজের দু হাত দিয়ে শক্ত করে জামা চেপে ধরে। রিক্তর দৃষ্টি এতোটা ওকে কেন অ্যাফেক্ট করে বুঝতে পারে না ও। হাজার চেষ্টার মাঝেও রিক্তর চোখে চোখ রাখতে ব্যর্থ রিশিকা।
রিশিকার অবস্থা দেখে রিক্তর ঠোঁটে বাঁকা হাসি ফুটে উঠে। এক কদম দু কদম করে এগিয়ে আসে ও রিশিকার দিকে আর রিক্তের কদম নিজের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে চোখ বন্ধ করে পেছনে কদম বাড়ায় ও। কিন্তু বেশি দূর পিছাতে পারলো না কারন দেয়াল আঁটকে দিয়েছে ওকে। রিক্ত একদম রিশিকার সামনে এসে দাঁড়ায়। কয়েক ইঞ্চির মতো ফাঁক আছে ওদের মাঝে। রিক্ত ধীরে ধীরে রিশিকার দিকে ঝুঁকে ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে যায়…
রিক্তঃ হ্যাপি বার্থডে লাভ!( লো ভয়েজে)
রিশিকার মনে হচ্ছে যেন দৃষ্টির সাথে সাথে ভয়েজেঝ ড্রাগ মিশিয়ে এসেছে রিক্ত। রিক্তর এই সিম্পল শব্দ গুলো-ও রিশিকার কাছে একদম বড় বড় পাথরের মতো ভারি লাগে যার ওজন ও কখনো সামলাতে পারে না ইভেন হয়তো ভবিষ্যতেও পারবে না।
রিক্ত রিশিকার কানের কাছ থেকে মুখ সরিয়ে ওর দিকে তাকায়। রিশিকার চোখের পাপড়ি ঘন ঘন পরছে। রিক্ত বুঝতে পারছে যে রিশিকা নার্ভাস হচ্ছে।
রিক্তঃ তুমি এতো কাঁপছো কেন?( রিশিকার কানে ফুঁ দিয়ে)
রিশিকা কাঁপা কাঁপা দৃষ্টিতে তাকায় রিক্তর দিকে। রিক্তর চোখে চোখ পরতেই ওর আশেপাশের সব কিছু যেন থমকে গেল। রিক্ত এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিশিকার দিকে। ওদের মাঝে যে কয় ইঞ্চির দূরত্ব ছিল সেটাও দূর করে দেয় রিক্ত। রিক্তর নিঃশ্বাস রিশিকার নিঃশ্বাসের সাথে বারি খাচ্ছে। ঘোরের মাঝে চোখ বন্ধ করে ফেলে রিশিকা। রিক্তর গরম নিঃশ্বাস নিজের ঠোঁটের কাছে অনুভব করছে ও।
Good morning, morning, morning Woke up and say good morning….. অ্যালার্ম এর শব্দে চোখ খুলে ফেলে রিশিকা।
রিশিকাঃ রিক্ত!!( উঠে বসে আশেপাশে খুঁজে)
নিজেকে রুমে আবিষ্কার করলো রিশিকা তার মানে এতক্ষন স্বপ্নে ভাসছিল ও।
রিশিকাঃ স্বপ্ন ছিল?( মুখ ফুলিয়ে) এই অ্যালার্মটা বাজারও টাইম পেল না আর একটু হলেই তো কিসটা…( জিভ কাটে রিশিকা) ছিঃ রিশু কী বলছিস এসব? আর কীসব হাবিজাবি দেখা শুরু করেছিস আবার বলছিস আরেকটু হলে… ভালো হয়েছে অ্যালার্ম বেজে গেছে নাহলে কী হতো?( নখ কামড়াতে কামড়াতে) সব ওই রিক্তর দোষ আমার মাথাটা নষ্ট করে দিয়েছে।( কাঁদো কাঁদো ভাবে) ওকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে এখন এসব হাবিজাবি স্বপ্ন আসাও শুরু হয়েছে। ধুর…
রিশিকা বিরবির করতে করতে উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল।
[ পরিচয় রিশিকা রায়জাদা। রওশন রায়জাদার মেয়ে আর বাড়ির এক মাত্র প্রিন্সেস। রিশান আর আর্থ রায়জাদার ছোট বোন প্লাস ওদের এক মাত্র হার্টবিট যাকে ছাড়া ওদের দু ভাইয়ের দিন-ই শুরু হয় না। আর যাকে নিয়ে এতোক্ষণ এতো রোমান্টিক একটা ড্রিম দেখলো তিনি হচ্ছেন রিক্ত মেহরাব। বাকিটা ধীরে ধীরে জানতে পারবেন। যারা Mr Arrogant এর সিরিজ পড়েছেন তাদের জন্য ইজি সবাইকে চেনা।]
ডাইনিং টেবিলে বসে নিউজ পেপার পড়ছে আর নিজের গ্ৰীন টি ইঞ্জয় করছে রওশন। কেউ দেখে বলবে না যে বয়সে পরিবর্তন এসেছে ওর শুধু চোখে ফ্রেমের চশমা অ্যাড হয়েছে। হাতে ফ্রুট সালাদ আর টোস্ট এনে রওশনের সামনে রাখলো সুবহা।
সুবহাঃ হয়েছে অনেক পড়েছো এখন ব্রেকফাস্ট করো।( পেপার টান দিয়ে নিয়ে নিল)
রওশনঃ আর একটু ছিল সুবহা!( অসহায় ভাবে)
সুবহাঃ আধা ঘন্টা ধরেই শুনছি আর একটু আর একটু এখন ব্যস হয়েছে চুপচাপ ব্রেকফাস্ট করো।( রাগি ভয়েজে)
রওশনঃ আচ্ছা ঠিক আছে করছি।( আমতা আমতা করে) তুমি এখন আমাকে একটুও ভয় পাও না সুবহা। যেখানে আগে আমি হিটলার গিড়ি করতাম সেখানে এখন তুমি করো।( আড়ি চোখে)
সুবহাঃ ভয় পাবো কেন তুমি বাঘ না ভাল্লুক মে আমাকে খেয়ে ফেলবে? আর যেখানে আগের দিনের কথা তো এতটুকু বুঝে নাও আগের দিন বাঘে খেয়েছে মি. রওশন রায়জাদা।( টিজ করে) এখন তুমিও ফ্রুট খাও চুপচাপ।
রওশনঃ কথাটা সত্যই পুরুষ যত বড় মাফিয়াই হোক না কেন বউয়ের সামনে ভিগি বিল্লি হতেই হয়।( মনে মনে ) আচ্ছা সুবহা রুহ উঠে গেছে ঘুম থেকে?
সুবহাঃ জানি না হয়তো উঠেছে। আমি রুমে গিয়ে চেক করছি।
রওশনঃ আর রিশান আর্থ ওরা?
সুবহাঃ রিশানের জরুরি মিটিং ছিল তাই ও ভোরেই বেরিয়ে গেছে আর আর্থ তো রাতে বাসায়ই ফিরে নি কল করে বলে দিয়েছিল যে বন্ধুদের সাথে আছে।
রওশনঃ এই দু’টোকে নিয়ে আর পারিনা। এক দিকে রিশান, যে কাজ ছাড়া কিছুই বুঝে না সব জিনিস ওর পারফেক্ট চাই। যদি কোনো কাজ পারফেক্ট না হয় তাহলে আর ওর রাগের সামনে আগুন ও ঠান্ডা মনে হয়। অপর দিকে আর্থ, এতো বড় হয়ে গেছে কিন্তু রেসপনসিবিলিটি বলতে কী তা এখনো বুঝে না। অফিসার ও সিবিআই এর কিন্তু কাজ কর্ম এখনো কে.জি’র বাচ্চাদের মতো। কবে সুধরাবে এরা আল্লাহ জানে।
সুবহাঃ তুমি বেশি বেশি বলছো। ওরা দুজনেই নিজেদের দিক থেকে পারফেক্ট। কাউকে সুধরানোর প্রয়োজন নেই। তুমি নিজের গ্ৰীন টি ইঞ্জয় করো।
রওশনঃ হু।( গ্লাসে সীপ দিয়ে)
গুড মর্নিং বাবাই গুড মর্নিং আম্মি- সিঁড়ি বেয়ে দৌড়ে নেমে রওশনের পাশে বসলো রিশিকা।
রওশনঃ গুড মর্নিং মাই প্রিন্সেস।( রিশিকার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে )
সুবহাঃ এই নাও ফিনিশ করো এগুলো…( জুস আর ফ্রুট সালাদ এগিয়ে দিয়ে)
রিশিকাঃ আম্মি আমি এগুলো খাবো না আজকে।( নাক ছিটকে)
সুবহাঃ খাবে না মানে?
রিশিকাঃ আজকে আলু পরোটা খাবো।
সুবহাঃ রিশু আজকে এগুলো খাও কালকে প্রমিস আলু পরোটা বানিয়ে দিব।
রিশিকাঃ নো নো আমি আজকেই খাবো।( জেদ করে)
রওশনঃ এতো করে বলছে বানিয়ে দাও না সুবহা। তাছাড়া আজকে আমার প্রিন্সেস এর বার্থডে তাই আজকে সব কিছু ওর মন মতো হবে।
সুবহাঃ ঠিক আছে আমি বলছি স্টাফকে বানিয়ে আনতে।
রিশিকাঃ নোও স্টাফ না তোমার হাতের টা খাবো।( ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে)
সুবহাঃ উফ্ আমার ছেলেরাও আমাকে এতো জ্বালায় না যতটা তুমি জ্বালাও।( বিরক্ত হয়ে)
রিশিকাঃ কারন তোমার ছেলে তো দুইটা কিন্তু আমি তো ওয়ান পিস তাই না বাবাই?( রওশনের দিকে তাকিয়ে) ওয়ান অ্যান্ড অনলি প্রিন্সেস।( হেসে)
সুবহাঃ নটাঙ্কি শুরু…?( চোখ রাঙিয়ে)
রওশনঃ তোমারই কার্বন কপি…( বিরবির করে)
রওশন আস্তে বললেও কথাটা ঠিকই সুবহার কানে গিয়েছে। সুবহা রওশনকে চোখ রাঙিয়ে উঠে কিচেনে চলে যায়।
রওশনঃ সুবহা আমার জন্যেও একটা….( শুনিয়ে )
সুবহাঃ ইয়েস বসসস… চেঁচিয়ে।
সুবহা চলে যেতেই রওশন আর রিশিকা হেসে দেয় তারপর হাই ফাইভ দেয়। ওদের প্রতিদিনের রুটিন সুবহাকে কোনো না কোনো বাহানায় রাগানো।
রিশিকাঃ তাড়াতাড়ি আমার অনেক ক্ষিধে পেয়েছে…হেসে।
রায়জাদা ইন্ডাস্ট্রিজ….
অফিসের সব স্টাফ সি.ই.ওর কেবিনের বাইরে কান পেতে আছে। ভেতর থেকে চিল্লানোর শব্দ স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। আজকে ক্লাস চলছে ম্যানেজারের আর ক্লাস নিচ্ছে রিশান।
( বলতে গেলে রিশান হচ্ছে রওশনের কার্বন কপি। কথা বলার স্টাইল, ড্রেসিং সেন্স, অ্যাটিটিউট, আর সবচেয়ে বেশি হচ্ছে অ্যারোগেন্স। রিশানের নিজের আশেপাশের সব জিনিস পারফেক্ট চাই। ওর দু’টো জিনিস সবচেয়ে অপছন্দের প্রথম হচ্ছে বেশি কথা বলা, বেশি কথা বলা মানুষ ওর একদম পছন্দ নয় আর দ্বিতীয়ত সময় নষ্ট করা। যারা সময়ের মূল্য দিতে যানে না রিশানের কাছে তারা দুনিয়ার সবচেয়ে ইউজলেস পার্সন। সব কিছু রুটিন মাফিক পছন্দ ওর।)
ম্যানেজারের মুখের উপর কাগজ ছুড়ে মারলো রিশান আর ম্যানেজার সাহেব প্রতিবারের মতো মাথা নিচু করে আছেন। অবশ্যই ভুল করেছেন যেহেতু রিশানের রাগ তো সহ্য করতে হবেই।
রিশানঃ আজকে তোমার একটা ভুলের জন্য এতো বড় একটা কন্ট্রাক্ট আমাদের হাত থেকে যেতে নিয়েছিল। ডু ইউ হ্যাভ এনি আইডিয়া যদি আমি ফাইলটা চেক না করতাম তাহলে কী হতো? (চিল্লিয়ে )
ম্যানেজার মাথা নিচু করে আছে দেখে রিশানের রাগ আরো বেড়ে যায়।
রিশানঃ সে সামথিং ড্যাম ইট…( টেবিলে হাত দিয়ে বারি দিয়ে) ম্যানেজার কিছুটা কেঁপে উঠে তারপর আমতা আমতা করে বলতে শুরু করে।
ম্যানেজারঃ স স্যরি স স্যার আর…
ম্যানেজারকে থামিয়ে রিশান বললো- আই ডোন্ট ওয়ান্ট ইউর স্টুপিড স্যরি জাস্ট গোও… গিয়ে নিজের জন্য অন্য কোথাও জব খুঁজো। রায়জাদা ইন্ডাস্ট্রিজ তোমার জন্য না গোও…
আদিলঃ হয়েছে রিশান ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা করে দাও এবারের মতো।( কেবিনে প্রবেশ করতে করতে)
রিশানঃ আঙ্কেল আপনি?
আদিলঃ হুম আসতে হলো কিছু কথা ছিল তাই। ( আদিল ম্যানেজারকে ইশারা করলো যেন কেটে পরে ম্যানেজার-ও কোনো কথা না বলে কেটে পরলো) তোমার রাগের ভয়ে স্টাফরা কখন যেন অফিস ছেড়ে পালায়।( চেয়ারে বসতে বসতে মজা করে )
রিশানঃ আঙ্কেল আপনিও না! আচ্ছা বলেন কী বলবেন।( নিজের চেয়ারে বসে)
আদিনঃ না থাক এখন বলবো না রাতে পার্টিতে তোমাকে সারপ্রাইজ দিবো।
রিশানঃ কী এমন…
রিশানকে থামিয়ে আদিল বললো- পেশেন্স মাই বয়।( হেসে)
রিশানঃ ওকে।
আদিলঃ আমি আসি তাহলে।( দাঁড়িয়ে )
রিশানঃ জি।
( আদিল হলো রওশনের বিজনেস পার্টনার বর্তমানে রিশান বিজনেস হ্যান্ডেল করছে তাই রওশন আর আদিল সব দায়িত্ব রিশানের উপর দিয়ে দিয়েছে। স্টাফরা ফোন করে ডাকিয়ে এনেছিল আদিলকে কারন উনি ছাড়া এই মুহূর্তে রিশানকে ঠান্ডা করার মতো কেউ নেই।)
আদিল চলে যেতেই রিশান ল্যাপটপে মনোযোগ
দেয়।
চার বোতাল ভোটকা কাম মেরা রোজকা…. গান গাইতে গাইতে নিজের বাইকে উঠে বসে আর্থ। সারারাত ফ্রেন্ডদের সাথে পার্টি করে এখন বাসায় ফিরছেন জনাব।
( আর্থ রায়জাদা আভি রায়জাদার ছেলে। দেখতে একদম ক্যান্ডি বয় কিন্তু কাজ একদম ডেঞ্জারাস লেভেলের করে। যে কোনো বাইক স্টান্ট চোখ বন্ধ করে করতে পারে ও। বাইক ওর কাছে ওর গার্লফ্রেন্ডের থেকেও প্রিয় প্রথম ভালবাসা যাকে বলে আরকি। তিন মাস ধরে সিবিআই এ যোগ দিয়েছে।)
আর্থ নিজের বাইকে বসে হেলমেট পরতে শুরু করে হঠাৎ কে যেন আর্থের পেছনে উঠে বসে।
আর্থঃ What the…. কে?
আর্থ পেছনে ফেরার আগেই ওর মাথায় গান তাক করে ধরে মানুষটি তারপর বলে।
>>> পেছনে ফিরার সাহস করলে সব গুলো বুলেট মগজে ঢুকিয়ে দিব।( হুমকি দিয়ে)
আর্থ ভয়ে পেছনে ফিরলো না স্টিল হয়ে সামলে তাকিয়ে থাকলো। কন্ঠটা একটা মেয়ের ছিল। মেয়েলি কন্ঠ শুনে কিছুটা অবাক হয় ও তাও নিজেকে সামলে বলে।
আর্থঃ দেখেন মিস অর মিসেস যাই হন আপনি আগে গান সরান। আর কে আপনি এভাবে…?
মেয়েটি আর্থকে মাঝ কথায় থামিয়ে দিয়ে বলতে শুরু করে – আমি কে সেটা আপনার না জানলেও চলবে এই মুহূর্তে আমার ইউনিভার্সিটি পৌঁছানো বেশি ইম্পর্টেন্ট এক্সাম এর আর মাত্র পঁয়তাল্লিশ মিনিট বাকি তাই দ্রুত বাইক স্টার্ট দিন ফাস্ট।
আর্থঃ এটা কেমন কথা? মান না মান ম্যায় তেরা মেহমান! আগে নামুন আপনি আমার বাইক থেকে অন্য গাড়ি হায়ার করেন।
মেয়েটি এবার গানটা আর্থের মাথায় আরো জোরে ঠেকিয়ে বললো- যা বলছি তাই করুন। অন্য গাড়ি হায়ার করার মতো সময় নেই আমার। আর মাত্র চল্লিশ মিনিট আল্লাহ!( চেঁচিয়ে) আপনি বাইক স্টার্ট দিবেন নাকি আমি আপনার উপরের টিকিট কাটবো?( হুমকা দিয়ে)
আর্থঃ এই না না দিচ্ছি ইউনিভার্সিটির নাম কী?( ভয়ে ভয়ে)
মেয়েটি নাম বলতেই আর্থ ওর বাইক স্টার্ট দেয়। আর্থ ভয়ে ভয়ে চালাচ্ছে কিন্তু পেছনের মেয়েটির চেহারা পর্যন্ত দেখতে পায়নি ও। কিন্তু ভয়েজ শুনে ছোট খাটো ক্রাশ খেয়েছে আর্থ কিন্তু এটা ক্রাশ খাওয়ার সঠিক সময় না।
আর্থঃ আপনি জানেন আপনি ভুল মানুষের সঙ্গে পাঙ্গা নিয়েছেন? সিবিআই অফিসার আমি। চাইলে এই মুহূর্তে আপনাকে হাজতে আটকাতে পারি।
মেয়েটি আর্থের কথায় হেসে দিল তারপর ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল – আপনি তো আমাকে হাজতে পাঠাবেন কিন্তু এই মুহূর্তে তো আমি চাইলে আপনাকে আল্লাহর দরবারে পাঠাতে পারি তাও বিনা ভিসায়।
মেয়েটির কথায় চুপ করে যায় আর্থ। আজব পরিস্থিতিতে পরেছে বেচারা।
আর্থকে চুপ থাকতে দেখে মেয়েটি নিজে থেকেই বলতে শুরু করে – বাই দ্যা ওয়ে আই’ম হায়াতি আর আপনি?( আর্থের কাঁধে হাত রেখে)
আর্থঃ কীহ হাতি?( টাস্কি খেয়ে)
আর্থের কথায় রেগে যায় হায়াতি। আর্থের কাঁধে বারি দিয়ে বলল ও – হাতি না হায়াআআতি…( চিল্লিয়ে )
আর্থঃ উফ্ চেঁচাচ্ছো কেন বুঝেছি তো!( ধমকে)
হায়াতিঃ তোমার নাম?
আর্থঃ আর্থ!( মুখ ফুলিয়ে)
হায়াতিঃ তোমার আর আমার নাম মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটা কম্বিনেশন হয় লাইক
“হায়ার্থ” নাইস না?( খুশি হয়ে)
আর্থঃ নো নেহি না একদমই নাইস না। আর তুমি কেন আমার নামের সাথে নিজের নাম মিক্সড করছো?
হায়াতিঃ এমনিই..( মায়ুস ফেস করে)
আর্থঃ এসে পরেছি নামো এবার।( হাফ ছেড়ে)
ভার্সিটির সামনে বাইক থামাতেই হায়াতি নেমে যায় কিন্তু ও এখনো আর্থের মাথায় গান তাক করে আছে যার ফলে আর্থ পেছনে ফিরছে না।
হায়াতিঃ একটা কথা বলি তোমায়?
আর্থঃ আবার কী?( বিরক্ত হয়ে)
হায়াতিঃ তুমি না দেখতে একদম ক্যান্ডি বয়ের মতো কিন্তু তোমার মধ্যে একটা জিনিস মিসিং আছে!
আর্থঃ কী জিনিস?
হায়াতিঃ ব্রেইন!
আর্থঃ কীহ!( থতমত খেয়ে)
হায়াতি দুষ্ট হেসে নিজের হাতের গানটা আর্থের হাতে ধরিয়ে দিয়ে দৌড়ে ভিতরে চলে যায়। আর্থ বোকার মতো তাকিয়ে আছে হায়াতির যাওয়ার দিকে। নিজের হাতের দিকে তাকাতেই টাস্কি খায় আর্থ কারন এতোক্ষণ যেটাকে ও গান ভাবছিল সেটা গান না মার্কার পেন! লাইক সিরিয়াসলি আর্থকে ভয় দেখালো তাও একটা পেন দিয়ে।
আর্থঃ এটা তো!( অবাক হয়ে) ধোঁকা…. আর্থ হায়াতির দিকে রেগে তাকায় কিন্তু সেকেন্ডের মধ্যেই হায়াতি ওখান থেকে হাওয়া।
আর্থঃ মিস হাতি থুক্কু হায়াতি আবার অবশ্যই দেখা হবে। পুলিশের সাথে পাঙ্গা অনেক ভারী পরবে হু…. দাঁতে দাঁত চেপে।
আর্থ বাইক ঘুরিয়ে নেয়।
To be continued……