#You_Are_My_Destiny
#Mr_Arrogant_3?,14,15
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_14
?
সব কটাকে ইচ্ছা মতো পেটানো হয়েছে। পেটানো শেষে লাইন করে চেয়ারে বসিয়ে রেখেছে ইমরান লোক গুলোকে। আর্থ ঢুকেই টেবিলের উপর উঠে বসে পরলো।
আর্থঃ কিছু বলেছে এরা?
ইমরানঃ এতো টর্চার করলাম তাও মুখ খুলছে না।
আর্থঃ তার মানে এদের নিজের জীবনের মায়া নেই?( অবাক হয়ে ) যেহেতু এরা আমাদের কোনো কাজে আসছে না তাহলে তো এদের বাঁচিয়ে রাখার মানেই হয় না। এক কাজ করি এই নিষ্ঠুর পৃথিবী থেকে এদের বিদায় দিয়ে দেই। ওপারে গিয়ে শান্তিতে জাহান্নামে থাকবে। ( রাইফেলে বুলেট ভরতে ভরতে )
লোক গুলো আর্থের কথায় ঢোক গিলে একে অপরের মুখের দিকে তাকাচ্ছে।
ইমরানঃ তুই সিউর?
আর্থঃ তোর কি মনে হচ্ছে আমি এখন মজা করার মুডে আছি?
আর্থ টেবিল থেকে নেমে দাঁড়ায় তারপর বলতে শুরু করে।
আর্থঃ কে আগে মরবে বলো? তুমি?( প্রথম জনের উপর গান তাক করে ) নাকি তুমি?( পরের জনের মাথায় গান তাক করে) উফ্ কত প্যাড়া কাকে আগে মারতাম?
এক কাজ করি আমি তোমাদের চারপাশে ঘুরে ঘুরে এক থেকে দশ পর্যন্ত গুনবো আর যার কাছে যেতেই দশ আসবে সে আগে মরবে। শুরু করা যাক। এক দুই…. আর্থ লোক গুলোর চারপাশে ঘুরে ঘুরে কাউন্ট করছে।
দশ নাম্বার বলতেই ভয়ে একজন বলতে শুরু করে।
>> আমাদের এরেন স্যার পাঠিয়েছিল তোমাকে কিডন্যাপ করার জন্য। এর বেশি আমরা কিছু জানি না।
আর্থঃ এটাতো আমিও জানি যে তোরা এরেনের লোক। এমন কিছু বল যেটা আমি জানি না।
>> আমরা এর থেকে বেশী কিছুই জানি না।
আর্থঃ তোদের বস দেখতে কেমন সেটা তো অবশ্যই জানিস। কিছুক্ষণ পর স্কেচম্যান আসবে আসা করি নিজের বসের সঠিক বর্ননা দিবি।
কথাটা বলে আর্থ বেরিয়ে যায়। ইমরান অন্য অফিসারদের ইশারায় বলে লোক গুলোকে সেলে নিয়ে রেখে আসতে।
?
রিশানকে ভিজে বাসায় ঢুকতে দেখে সুবহা দ্রুত ওর কাছে যায়।
সুবহাঃ রিশান তুই বৃষ্টিতে ভিজলি কিভাবে।
রিশানঃ কিছু না আম্মু সামান্য ভিজেছি হাচ্ছি…
সুবহাঃ জানি সামান্য ভিজেছিস কিন্তু সামান্য ভিজলেও তোর ঠান্ডা লেগে যায় সেটা ভুলে গেছিস তুই?
সুবহা রিশানকে সোফায় বসিয়ে দিয়ে শাড়ির আঁচল দিয়ে ওর চুল মুছে দিচ্ছে আর শাসন করছে।
রিশানঃ ভুলিনি আম্মু। গাড়ি থেকে নেমে বাসায় ঢুকার সময় ভিজে গেছি।
সুবহাঃ কেন তোর ছাতা কোথায়? আমি সকালেই ড্রাইভারকে দিয়ে তোদের তিনটার গাড়িতে ছাতা রাখিয়েছিলাম।
রিশানঃ ছাতাটা আমি শা….( বলতে গিয়েও থেমে গেল ) ছাতাটা আমার এক ফ্রেন্ডকে দিয়েছি।
>> ফ্রেন্ডটার নাম নিশ্চয়ই শায়েরা তাইনা রিশভাই? আর্থ বাসায় ঢুকতে ঢুকতে বলল।
আর্থও পুরো ভিজে চুপসে গেছে। রিশান রাগি চোখ করে আর্থের দিকে তাকায়। আর্থ দেখেও না দেখার ভান করে।
সুবহাঃ কি অবস্থা করেছিস নিজের আর্থ। দেখতো পুরো ভিজে কাক হয়ে গেছিস।( রেগে ) আজকেই তোর বড় আব্বুকে বলে তোর বাইকের ব্যবস্থা করছি।
আর্থঃ আরেহ বড় আম্মু এতে আবার আমার বাইকের কি দোষ?
রিশানঃ অবভিয়াসলি। দোষ বাইকের না দোষ তোর। বেশি আদর দিয়ে তোকে মাথায় চড়িয়ে ফেলেছি আমরা।
আর্থঃ তোমার ক্ষেত্রেও একই কথা।
সুবহাঃ আর্থ তুই যদি নিজের চলাফেরা ঠিক না করিস আমি কিন্তু আভি আর ওহিকে ফোন করে সব বলব। তারপর ওরা এসে তোকে ঠিক করবে।
আর্থঃ বড় আম্মু স্যরি। প্লিজ মম ড্যাডকে কিছু বলো না প্লিজজজ…( অসহায় ভঙ্গিতে )
রিশিকা এতক্ষন ওদের কথা শুনছিল উপর থেকে। আর্থের কথায় উপর থেকে বলে উঠে ও,
রিশিকাঃ ফোন করার কি আছে আম্মু কয়েকদিন পর তো চাচু চলেই আসবে তখন আরামসে বসে আর্থ ভাইয়ার নালিশের লিস্ট দিও ওনাদের।
আর্থঃ রিশু কি বাচ্চি…( বিরবির করে )
সুবহাঃ তোরা দুজন সোজা নিজেদের রুমে গিয়ে গোসল করবি এখন। আমি হলদি দিয়ে দুধ গরম করে আনছি।
আর্থঃ ছিঃ
সুবহাঃ ছিঃ না জি…
আর্থ মুখটা বাংলার পাঁচের মতো করে ওর রুমে চলে গেল।
রিশানঃ আম্মু আর্থেরটাতে একটু বেশি হলদি দিও।
সুবহাঃ তুই যাবি নাকি….
রিশান কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ ওর রুমের দিকে চলে গেল।
রাতে,,,?
শায়েরা ওর রুমে বসে রিশানের দেওয়া ছাতাটা খুলে ওটার দিকে তাকিয়ে আছে। ছাতাটার দিকে তাকিয়ে থাকলেও ওর কল্পনা শুধু রিশানকে দেখছে। নিজের অজান্তেই ব্লাশিং হচ্ছে ও।
হায়াতি শায়েরার রুমে ঢুকতেই শায়েরার অদ্ভুত বিহেভিয়ার লক্ষ করে।
হায়াতিঃ রুমের মধ্যে ছাতা খুলে রেখেছে কেন আপি? আর ছাতার দিকে তাকিয়ে এমন আনমনা হয়ে ব্লাশিং হচ্ছে কেন? ভুতে টুতে ধরলো নাতো আবার?( ভয় পেয়ে )
হায়াতি ধীর পায়ে শায়েরার দিকে এগিয়ে যায় আর আস্তে আস্তে ওকে ডাকে।
হায়াতিঃ আপি? আপিই?
কিন্তু শায়েরার কোনো রেসপন্স নেই। ওতো নিজের কল্পনা জগতে হারিয়ে গেছে।
হায়াতি এবার শায়েরার সামনে গিয়ে জোরে জোরে ওর কাঁধ ঝাঁকিয়ে ওকে ডাক দেয়।
হায়াতিঃ আপিইই,,,
হায়াতির হঠাৎ এমন কাজে চমকে যায় শায়েরা।
শায়েরাঃ এভাবে চেঁচাচ্ছিস কেন? ভয় পেয়ে গেছি আমি।( বুকে থুতু দিয়ে )
হায়াতিঃ ভয়তো আমি পেয়েছি। ভেবেছিলাম হয়তো তোমাকে ভুতে টুতে ধরেছে। আর এভাবে রুমের মধ্যে ছাতা খুলে রেখে মুচকি মুচকি হেসে ব্লাশিং হওয়ার মানে কি হুম?( ছাতাটা বন্ধ করে দিয়ে )
শায়েরাঃ মুচকি মুচকি হাসা, ব্লাশিং হওয়া, আর কারো খেয়ালে ডুবে থাকাকে ভুতে ধরা না প্রেমে পড়া বলা স্টুপিড।( হায়াতির মাথায় টোকা দিয়ে )
হায়াতিঃ তুমি প্রেমে পড়েছো? ( অবাক হয়ে) কখন কোথায় কিভাবে আর কার?( কৌতূহল নিয়ে )
শায়েরাঃ এটা সিক্রেট বলব না তোকে।( উঠে ছাতাটা রেখে দিল )
হায়াতিঃ তুমি আমাকে বলবে না? আমি তোমার দশটা না পাঁচটা না একটা মাত্র বোন হোক সেটা কাজিন।
শায়েরাঃ তুই চিনিস ওকে গেস কর।( হায়াতির পাশে বসে )
হায়াতিঃ আমি চিনি? ( ভাবছে ) কে হতে পারে?
হায়াতি হাজারও ভেবেও বুঝতে পারছে না শায়েরা কার কথা বলছে।
শায়েরা হায়াতির কনফিউজড চেহারা দেখে আবারও ওর মাথায় টোকা দেয় তারপর বলে,
শায়েরাঃ আর্থ ঠিকই বলে তুই আসলেই হাতি। দেখতে হাতি না হলেও তোর ব্রেইন ঠিকই হাতির মতো।
হায়াতিঃ আপিইই…
শায়েরাঃ আমি রিশানের কথা বলছি।( বালিশ জড়িয়ে )
হায়াতিঃ রিশান ভাইয়া?( অবাক হয়ে ) কখন আর কিভাবে শুরু হলো এসব?
শায়েরাঃ স্টুপিড, ভালোবাসা কি সময় আর জায়গা দেখে হয় নাকি? ভালোবাসা তো হয়ে যায়। এটা না দেখা যায় না স্পর্শ করা যায় শুধু অনুভব করা যায়। বুঝেছিস?
হায়াতিঃ নাহ!( মুখ গোমড়া করে )
শায়েরাঃ তুই এখন বুঝবি না যখন নিজে প্রেমে পরবি তখন বুঝবি।
হায়াতিঃ ওহ,,,
হঠাৎ হায়াতির আর্থের কথা মনে পড়ে। শপিং মলে তো ওও ব্লাশিং হয়েছিল। ওরও অদ্ভুত ফিলিং হয়েছিল তাহলে কি…. কথা গুলো ভেবেই মাথা ঝাঁকি দেয় হায়াতি।
হায়াতিঃ কি ভাবছিস হায়াতি? তুই আর ওই ব্ল্যাকমিলার আর্থের প্রেমে ইমপসিবল।( মনে মনে ) কিন্তু ব্লাশিং তো হয়েছিলাম ওটা কি ছিল?( কনফিউজড হয়ে )
হায়াতিকে অন্য মনস্ক দেখে শায়েরা ওর মুখের সামনে তুড়ি বাজায়।
শায়েরাঃ কি ভাবছিস?
হায়াতিঃ কিছুনা। আচ্ছা আপি আমরা বুঝবো কিভাবে যে আমরা কাউকে পছন্দ করি? আই মিন তুমি কিভাবে বুঝেছিলে যে তুমি রিশান ভাইয়াকে ভালোবাসো?
শায়েরাঃ আমাদের মনে যদি কারও প্রতি কোনো ফিলিং থাকে তাহলে তাকে দেখলেই হার্টবিট বেড়ে যাবে। সে কাছে আসছে নিজের অজান্তেই ব্লাশিং হবো। তার হাসি দেখলে সব কিছু ভুলে শুধু তার দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করবে আর মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টলি তার কষ্টে আমাদের মন সবচেয়ে বেশি কষ্ট অনুভব করবে। এটাই ভালোবাসার ডেফিনেশন।
হায়াতিঃ এতো কিছু?
শায়েরাঃ এটা তো কিছুই না। ভালোবাসার যে অনুভূতি সেটা শব্দে প্রকাশ করা যায় না শুধু অনুভব করা যায়।
হায়াতিঃ এতো প্যাচগোচ অনুভূতি লাগবে না আমার। আমি এভাবেই ভালো আছি।( মনে মনে ) আমি গিয়ে আমার রুমে ঘুমাই তুমি বসে বসে ভালোবাসার ডেফিনেশন বুঝো।
হায়াতি নিজে নিজে বিরবির করতে করতে চলে গেল।
শায়েরাঃ ওর আবার কি হলো?
?
এক নিঃশ্বাসে পুরো গ্লাসের দুধ শেষ করে গ্লাসটা সুবহার হাতে দিলো আর্থ।
আর্থঃ ইয়াককক!( জিভ বের করে )
সুবহাঃ এতোও বাজে না খেতে যে ইয়াক ইয়াক করতে হবে।
রিশানঃ আমার তো ভালোই লাগে হলুদ দিয়ে দুধ খেতে। একদম ডিফারেন্ট ফ্লেভার। ( আর্থকে শুনিয়ে )
আর্থঃ তাহলে আমার ভাগের টাও খেয়ে দিতে।
রিশানঃ যদি তখন বাড়তি কথা না বলতি তাহলে ঠিকই এখন বাঁচিয়ে দিতাম।
সুবহাঃ তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পর।( আর্থকে বলল ) আর তুই ( রিশানকে ) বাকি কাজ অফিসে গিয়ে
করবি এখন রেস্ট কর।
রিশানঃ ওকে মেরি মা।
সুবহাঃ গুড নাইট।
আর্থ রিশানঃ গুড নাইট।
সুবহা চলে যেতেই আর্থ উঠে রিশানের সামনে চলে আসে।
আর্থঃ ব্রো আমার উল্টি আসছে ওয়াককক….
রিশানঃ দূর হ বাথরুমে যা।( দূরে সরে দাঁড়ায়)
আর্থঃ না তোর উপর করবো।
রিশানঃ খবরদার বলছি আর্থ দূরে থাক। ( অন্য দিকে সরে )
আর্থঃ আমি আজকে এখানেই ঘুমাবো।( বেডে শুয়ে পরলো )
রিশানঃ যা ইচ্ছা কর।( ল্যাপটপ নিয়ে সোফায় বসে পরলো )
রিশান কাজ করার মাঝেই বাইরে থেকে বিদ্যুৎ চমকানোর আওয়াজ শুনতে পায়। শায়েরার কথা মনে পরে যায় ওর। আনমনেই রিশানের ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠল।
রিশানঃ ও যেমন অদ্ভুত ওর ইচ্ছা গুলোও তেমন অদ্ভুত। কেউ বৃষ্টির জন্য উইশ করে নাকি আজব! আর তার উপর ইচ্ছা পূরণ ও হয়ে গেল।( মুচকি হেসে )
আর্থ অনেকক্ষণ যাবত লক্ষ্য করছে রিশানকে। রিশানকে প্রথমবার এমন ভাবে নিজে নিজে হাসতে দেখছে ও।
আর্থঃ ব্রো you’ve fallen in love….
রিশানঃ কি বললি?( হচকিয়ে )
আর্থঃ আমি বলেছি তুই প্রেমে পরেছিস…কথাটা বলার সাথে সাথে রিশান সোফার কুশন ছুঁড়ে মারে আর্থের উপর।
রিশানঃ ফালতু কথা,,,
আর্থঃ হুহ যতই অস্বীকার কর একদিন আমার কথাই সত্য হবে – কুশনটা বুকে জড়িয়ে শুয়ে পরলো।
আর্থের কথায় চিন্তায় পরে গেল রিশান। নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করতে শুরু করে ও।
রিশানঃ আমি আর ভালোবাসা? অসম্ভব।( মনে মনে )
আর্থঃ ব্রো লাইটটা অফ করে দে তারপর শান্তিতে বসে বসে ভাব।
রিশানঃ তুই চুপ করবি নাকি বের করে দিব তোকে রুম থেকে।
আর্থ নাকে মুখে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পরলো। রিশানও ল্যাপটপ অফ করে আর্থের পাশে এসে শুয়ে পরলো। পুরো বেড একাই দখল করে রেখেছে ও। একদম কোনায় অল্প একটু জায়গায় শুয়েছে রিশান।
রিশানের চোখে ঘুম আসছে না। বারবার আর্থের বলা কথা গুলো মনে পরছে আর শায়েরার চেহারা ভাসছে চোখে।
রিশানঃ উফ্ কি ভাবছি। এই আর্থ আমার মাথাটা নষ্ট করে দিয়েছে।( মাথায় বালিশ চেপে জোর করে ঘুমানোর চেষ্টা করে )
To be continued….
#You_Are_My_Destiny
#Mr_Arrogant_3?
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_15
?
ফোনের রিংটোনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় আর্থের।
আর্থঃ হ্যালো…ঘুমঘুম চোখে ফোন রিসিভ করে,,,
ফোনের ওপাশের ব্যক্তির কথা শুনে ঘুম উড়ে যায় আর্থের। চমকে উঠে বসে ও।
আর্থঃ কিহ? কিভাবে সম্ভব এটা? আর তোমরা সবাই কোথায় ছিলে?( রেগে )
রেগে ফোন বেডে আছাড় মেরে উঠে বসে ও। যত দ্রুত সম্ভব হেডকোয়ার্টারে যেতে হবে এখন ওকে।
?
রিশিকা কলেজ গেইটের সামনে নামতেই কিছুটা দূরে রিক্তকে দেখতে পায়। গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ফোন টিপছে আসে পাশের তো কোনো খেয়ালই নেই ওর।
রিশিকা রিক্তর পাশে গিয়ে ওর হাত থেকে ফোন ছিনে নেয়।
রিক্তর হাত থেকে হঠাৎ ফোন ছিনে নেওয়ায় ও রেগে যায়,,
রিক্তঃ কার এতো বড় সাহস… পেছনে ফিরে রিশিকাকে দেখে চুপ করে যায় ও,,,
রিশিকাঃ আমার।
রিক্তঃ স্যরি রিশু আমি ভাবলাম কে না কে তাই ধমক দিয়ে ফেলেছি।
রিশিকাঃ বুঝলাম কিন্তু এটা বলেন আপনার কি খেয়ে দেয়ে আর কোনো কাজ নেই সারাদিন কলেজের সামনে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া? নজর রাখেন আমার উপর?( কিছুটা রেগে )
রিক্তঃ নজর রাখবো কেন রিশু? আমিতো তোমাকে এক পলক দেখার জন্য প্রতিদিন আসি আর তুমি আমাকে এই অপবাদ দিচ্ছ।( আহত কন্ঠে )
রিশাকাঃ দেখা শেষ? এখন যান।
রিক্তঃ যাব? কোথায় যাব? আমি কোথাও যাচ্ছি না। তুমি ক্লাসে যাও আমি এখানেই অপেক্ষা করব ক্লাস শেষ হলে একসাথে ঘুরতে যাব। একটা রোমান্টিক লং ড্রাইভে।
রিশিকাঃ আপনি এখানে থাকলে আমি পড়ায় মনোযোগ দিতে পারি না। আপনি বাসায় যান।
রিক্তঃ আমি কি এমন করলাম যে তুমি পড়ায় মনোযোগ দিতে পারো না? ওয়েইট ওয়েইট… তুমি কি এই টেনশনে থাকো যে, আমি আবার কলেজের অন্য কোনো মেয়ের সাথে ফ্লার্ট করছি না তো। আর এজন্যই তুমি ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারো না তাই না? ( ভ্রু নাচিয়ে)
রিশিকাঃ একদম না। আমি এমন কিছু নিয়ে টেনশন নেই না।( হচকিয়ে )
রিক্তঃ রিশু বেবি সত্যি স্বীকার করতে কিসের লজ্জা। জাস্ট বলে ফেল হ্যাঁ।
রিশিকাঃ আপনি আসলেই অনেক বিরক্তিকর মানুষ। ধুর আমার কি।
রিশিকা চলে যেতে নিলেই রিক্ত ওর হাত ধরে নিজের কাছে টেনে নেয়।
রিক্তঃ রিশু তোমার এই রাগি ফেসটা আমার কাছে মারাত্মক লাগে তুমি জানো?( রিশিকার চুলে আঙুল ঘুরিয়ে )
রিশিকাঃ জানি না আর জানতেও চাই না। আমার ক্লাসে দেরি হচ্ছে।( নিজেকে ছাড়িয়ে )
রিক্তঃ আচ্ছা বাবা স্যরি। তুমি চাও আমি এখানে না থাকি তাইনা? ওকে ফাইন আমি এখন চলে যাচ্ছি এক বারে ক্লাস শেষ হলে তোমাকে নিতে আসব চলবে?
রিশিকাঃ হুম।( মাথা নাড়িয়ে )
রিক্তঃ তাহলে আমি যাই?
রিশিকাঃ হুম তাড়াতাড়ি যান।
রিক্তঃ ওকে তাহলে আমার গুড বাই কিস দিয়ে দাও আমি চলে যাই।( গাল এগিয়ে দিয়ে )
রিশিকা আসেপাশে ভালো করে দেখে চট করে রিক্তর গালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দৌড়।
রিক্ত রিশিকার কাজে হালকা হেসে গাড়িতে উঠে চলে গেল।
দূর থেকে ওদের দেখছিল অরুণ। রিক্ত চলে যেতেই ওও ভিতরে চলে যায়।
ক্লাসে গিয়ে রিশিকা ওর ফ্রেন্ডের পাশে বসে পরে। অরুনও এসে বসে পরলো কিছুটা দূরত্বে।
ইমাঃ দেখ রিশু আজও তোর দিকে তাকিয়ে আছে।( অরুনকে দেখিয়ে )
রিশিকাঃ আর বলিস না জাস্ট বিরক্তিকর লোকটা।( বিরক্তিকর ভাব নিয়ে ) বুঝিনা এভাবে তাকিয়ে থাকার মানে কি।
ইমাঃ আমার কাছেও অদ্ভুত লাগে লোকটাকে। দেখ বয়সেও অনেক বড় দেখায় তাহলে আমাদের ক্লাসে ভর্তি কেন হলো?
রিশিকাঃ কে জানে বাদ দে।
?
রিশান ওর কেবিনে ঢুকেই ডেস্কের উপর লাল গোলাপ ফুলের বুকে দেখতে পায়। রিশান ভালো করেই জানে এটা কাজলের কাজ। প্রায়ই এমনটা করে কাজল। বিভিন্ন ধরনের ফুল রেখে দেয় ও রিশানের ডেস্কে। যদিও রিশান স্ট্রিক্টলি বলে দিয়েছিল ওকে যে ওর ফুল অপছন্দ। আর ওর আশে পাশে ফুল না রাখতে কিন্তু কাজল শুনে না। মাঝে মধ্যে ওর ইচ্ছে করে কাজলকে কাজ থেকে বের করে দিতে কিন্তু এই সামান্য কারনে কাউকে কাজ থেকে বের করে দেওয়াও ওর কাছে ঠিক মনে হয় না।
রিশান ল্যান্ড ফোন দিয়ে কাজলকে কেবিনে আসতে বলে।
রিশানের ফুল পছন্দ না করার মেইন কারন ওর ফুলের ঘ্রাণে অ্যালার্জি। ওর অ্যালার্জির বিষয়টা কয়েকজন বাদে বেশি কেউ জানে না।
রিশান ডেস্কে না বসে জানালার সামনের সোফায় গিয়ে বসে।
কাজলঃ গতবার অর্কিড আর হলুদ গোলাপ দিয়েছিলাম কিন্তু রিশান স্যারের পছন্দ হয়নি। এবার লাল গোলাপ দিয়েছি এটা নিশ্চয়ই রিশান স্যারের পছন্দ হবে। আফটার অল লাল গোলাপ কার না পছন্দ – ভাবতে ভাবতে কাজল ডোর নক করে ভিতরে আসে।
রিশানঃ পাঁচ মিনিটের মধ্যে ডেস্ক পরিস্কার চাই আমার। একটা গোলাপের পাপড়িও যেন না থাকে।
রিশানের ডিরেক্ট কথায় কাজলের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
কাজলঃ জি।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফুল গুলো সরিয়ে দেয় ও ডেস্ক থেকে।
রিশান ওর ডেস্কে এসে বসে তারপর গম্ভীর মুখ করে কাজলকে বলতে শুরু করে।
রিশানঃ পুরো স্টাফ মেম্বাররা জানে যে আমার ফুল পছন্দ না তাহলে তোমার দ্বারা বারবার একই ভুল কিভাবে হয় কাজল? গতবার মানা করে দেওয়া সত্ত্বেও আজ আবার…
কাজলঃ স্যরি স্যার। আমি ভাবলাম আপনার পছন্দ হবে তাই…
রিশানঃ আমাকে নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না। তুমি এখানে কাজ করতে আসো তাই শুধু নিজের কাজ নিয়ে ভাবো। বুঝেছো আমার কথা?
কাজলঃ জি।( মাথা নিচু করে )
ওদের কথার মাঝেই শায়েরা বিনা নক করে রিশানের কেবিনে ঢুকে পরে।
শায়েরাঃ গুড মর্নিং,,, রিশান আর কাজল অবাক হয়ে তাকায় শায়েরার দিকে।
ওদের দৃষ্টিকে পাত্তা না দিয়ে শায়েরা সোজা রিশানের কাছে চলে যায় তারপর ওর হাতের ছোট্ট ক্যাকটাসের টবটা রিশানের টেবিলে ল্যাপটপের পাশে রেখে দেয়।
রিশানঃ এটা কি? আর আবার টেবিলে কেন রাখলে?
শায়েরঃ এটা ক্যাকটাস। আর এখানে রাখলাম সৌন্দর্যের জন্য।
কাজলঃ রিশান স্যারের ফুল পছন্দ না ম্যাম।( দাঁতে দাঁত চেপে )
শায়েরাঃ আমি জানি। কিন্তু আমি থোরিনা ওকে ফুল দিচ্ছি। এটা ফুল না কাঁটা গাছ।
রিশান কিছু বলবে তার আগেই শায়েরা রিশানকে বলতে শুরু করে।
শায়েরাঃ আমি জানি তোমার ফুলের ঘ্রাণে অ্যালার্জি হয় তাই তুমি নিজের আশেপাশে ফুল বা ফুলের প্লান্ট রাখো না তাই আমি তোমার জন্য স্পেশালি এটা নিয়ে এসেছি। ক্যাকটাসের একটা আলাদাই সৌন্দর্য আছে। তাই এটা আমার পক্ষ থেকে তোমার জন্য গিফট।
রিশান কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা। একটা বড় নিঃশ্বাস ছেড়ে মাথা নিচু করে আঙ্গুল দিয়ে কপাল ঘষে বলে ও।
রিশানঃ থ্যাংক ইউ এতো স্পেশাল একটা গিফটের জন্য। এখন তোমরা যাও আমার কাজ আছে।
শায়েরাঃ যাচ্ছি আগে বলো তোমার পছন্দ হয়েছে কিনা?
রিশানঃ পছন্দ? অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে।( নিজেকে শান্তনা দিয়ে )
শায়েরাঃ আমি জানতাম তোমার পছন্দ হবে। শায়েরার চয়েজ কখনো খারাপ হতেই পারে না। আচ্ছা এখন আমি যাই বাই,,,
রিশানঃ বাই,,,
কাজল এতক্ষণ শায়েরা আর রিশানের কথা গুলো শুনছিল আর মনে মনে রেগে ফায়ার হচ্ছিল। শায়েরা যেতেই ওও ওর পেছনে বেরিয়ে যায়।
শায়েরা ওর কেবিনে চলে যায় আর কাজলও ওর ডেস্কে।
ডেস্কে বসে রাগে হাতের কলম মোড়াচ্ছে ও।
কাজলঃ আমার দেওয়া ফুল তো রিশান স্যার
কখনো এক্সেপ্ট করেনি কিন্তু ওই শায়েরার দেওয়া ক্যাকটাস প্লান্ট ঠিকই এক্সেপ্ট করলেন। আমি উনাকে কতটা পছন্দ করি কেন বুঝেননা উনি।( রেগে ) আমি এখানে একমাত্র উনার জন্য কাজ করছি আর উনি…. নাহ রিশান স্যারকে আমি ওই শায়েরার হতে দিব না। তারজন্য আমার যাই-ই করতে হয় আমি করবো।
?
আর্থ হেডকোয়ার্টারে এসে দেখে গতকাল যে লোক গুলোকে ধরেছিল ও সব গুলো লোক মারা গেছে। কেউ পয়জন দিয়েছে সব গুলোকে।
ইমরানঃ রাতে খাবারে পয়জন মিলিয়ে দিয়েছিল কেউ।
আর্থঃ তার মানে আমাদের এখানের কেউ এরেনের সাথে মিলে আছে। আর এজন্যই আমরা যতবারই ওকে ধরার প্লান করি ও আগে থেকেই আমাদের প্লান সম্পর্কে জেনে যায়।( মনে মনে ) কিন্তু কে হতে পারে এই ট্রেইটরটা।
আর্থ ওর আশেপাশের সবাইকে পর্যবেক্ষণ করে কিন্তু সন্দেহ করার মতো কাউকে দেখছে না ও। সবাই-ই ওর পরিচিত। অনেককেই ছোট থেকে দেখে আসছে, অনেকেই ওর ভালো বন্ধু কাকে রেখে কার উপর সন্দেহ করবে ও।
আর্থ ওর কেবিনে বসে ভাবছে কে হতে পারে যে ওদের দলে থেকে ওদের সাথেই বিশ্বাস ঘাতকতা করছে।
আর্থঃ যে করেই হোক এরেনকে তো খুঁজে আমি বের করবোই। এটা আমার লাইফের সবচেয়ে জটিল আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেস এটাতে কোনোমতেই হারবো না আমি। ( নিজে নিজেকে বলছে )
আর্থের ভাবনার মাঝেই সাব্বির ( কলিগ ) হাতে একটা কাগজ নিয়ে কেবিনে আসে।
সাব্বিরঃ আর্থ?
আর্থঃ হুম বল। ( ভাবনা থেকে বের হয়ে )
সাব্বিরঃ কালকে এই স্কেচটা করা হয়েছিল। কিন্তু কে যেন পুড়ে ফেলেছে। আমি সঠিক সময়ে দেখে ফেলায় এতটুকু বেঁচে গেছে। অর্ধেক স্কেচ দেখে ঠিক ভাবে বুঝা যাচ্ছে না।
আর্থ স্কেচটা সাব্বিরের হাত থেকে নিয়ে দেখে। শুধু চোখ দুটোই বুঝা যাচ্ছে বাকি সব টুকু পুড়ে গেছে।
আর্থঃ সাব্বির কালকে অফিসে কে কে ছিল তোর সঠিক জানা আছে?
সাব্বিরঃ আমার জানা মতে গতকাল কয়েকজন জুনিয়র অফিসার ছিল আর ইমরান। ওর নাকি কিছু কাজ বাকি ছিল তাই ও থেকে গেছে।
আর্থঃ ওকে তুই এখন যা।
সাব্বির চলে যেতেই আর্থ স্কেচটার দিকে মনোযোগ দেয়।
আর্থঃ তাহলে কি ইমরান? নাহ কি ভাবছি আমি ইমরান কেন এমনটা করবে। ইমরান হতে পারে না।
?
কাজ করতে করতে কখন সন্ধা হয়ে গেছে খেয়ালই নেই রিশানের। মাথাটা ঝিমুনি ধরে গেছে। ল্যাপটম সরিয়ে ঘাড় দুই দিকে বাকিয়ে সোজা হয়ে বসে ও তখনই ওর চোখ যায় ক্যাকটাস প্লান্টটার উপর। প্লান্টটা সামনে আনে ও। লাভ শেপের ছোট্ট একটা ক্যাকটাস। দেখতে আসলেই সুন্দর দেখা যাচ্ছে।
রিশানঃ গিফট হিসেবে ক্যাকটাস প্রথমবার পেলাম। কিন্তু প্লান্টটা আসলেই সুন্দর। ক্যাকটাসও এতোটা সুন্দর হতে পারে আগে জানা ছিল না। ( হেসে ) হাই মিস্টার প্লান্ট আই’ম রিশান। আজকে থেকে তুমি আমার রুমমেট। তোমার জন্য একটা ভালো নাম খোঁজা উচিত। কি নাম দেওয়া যায়?( ভাবছে ) কুকি? হুম আজকে থেকে তোমার নাম হবে কুকি। ডু ইউ লাইক ইট?
প্লান্টটার সাথে কথা বলছে রিশান। এখন আর ক্লান্ত লাগছে না ওর। বরং ভালো লাগছে মনে হচ্ছে সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে ওর।
?
আর্থ হায়াতির কোচিংয়ের সামনে বাইক থামায়। এই টাইমেই হায়াতির কোচিংয়ের ছুটি হয়।
হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে একদম কারেক্ট টাইমে পৌঁছেছে ও।
হায়াতি ওর ফ্রেন্ডদের সাথে কোচিং থেকে বের হতেই আর্থকে দেখে ফেলে। আর্থ হায়াতিকে দেখে হাত তুলে “ হাই ” বলে কিন্তু হায়াতি কিছু না বলে উল্টো পথে হাঁটা ধরে ওর ফ্রেন্ডদের রেখেই।
আর্থঃ এই হাতির আবার কি হলো আমাকে দেখে নি নাকি দেখেও ইগ্নোর করছে?( কনফিউজড হয়ে )
আর্থ দৌড়ে হায়াতির পেছনে যায় আর্থকে আস্তে দেখে হায়াতি আরো দ্রুত পা চালায়।
আর্থঃ আরেহ মিস হাতি তোমার আবার কি হলো এমন উইয়ার্ড বিহেভ করছো কেন? আরেহ দাঁড়াও তো….
হায়াতিঃ আপনি আমার পিছু পিছু আসছেন কেন আজব?( হাঁটতে হাঁটতে)
আর্থ হায়াতির হাত ধরে থামিয়ে নেয়। দু’জনেই হাঁপিয়ে গিয়েছে।
আর্থঃ স্টপ। আর এক কদমও এগোবে না। তুমি আমাকে দেখে পালাচ্ছো কেন?
হায়াতিঃ আপনি আমার পিছু করছেন কেন?
আর্থঃ আমি তোমার পিছু করছি না। এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম তাই ভাবলাম তোমাকে বাসায় ড্রপ করে দেই।( মিথ্যা )
হায়াতিঃ লাগবে না আমি একা যেতে পারবো আপনি যান।
আর্থঃ আমি কি বলেছি তুমি একা যেতে পারবে না? আমিতো হেল্প করছি তোমার।
হায়াতিঃ আমার আপনার হেল্প লাগবে না। আপনি আপনার রাস্তায় যান আর আমি আমার – আবার হাঁটা শুরু করে।
আর্থঃ এর আবার কি হলো? আরেহ ওটা ভুল রাস্তা তোমার বাসা তো এই দিকে।( হায়াতির পেছনে যায় আবার )
?
রিক্ত রিশিকার বাসার সামনে গাড়ি থামায়। কিন্তু গাড়ি থামিয়ে সামনে তাকাতেই দুজনের মুখের রং উড়ে যায়। সামনে রিশান ওর গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
রিশিকাঃ ভ ভাইয়া?( ভয়ে ভয়ে )
রিক্তঃ এই সময় এই হিটলারটা বাসায় কি করছে?( অবাক হয়ে ) সো হোয়াট আমি কি ভয় পাই নাকি ওকে।( মনে মনে সাহস জুগিয়ে )
রিক্ত আর রিশিকা গাড়ি থেকে নেমে যায়। রিশান এখনো আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। ওর মুখের দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে কতটা রেগে আছে ও কিন্তু ওর চাহনি একদম শান্ত। যেন ঝড় আসার আগের মুহূর্তটা।
রিশিকাঃ এখন কি হবে?( মনে মনে ভয় পেয়ে )
To be continued……