#আসক্তি?
#Mr_Arrogant_4,#পর্ব_১
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
তোমার কোনো ধারণা আছে সুবহা তুমি কি ভুল করেছো? আর এই ভুলের শাস্তি হিসেবে আমি তোমার সাথে যা ইচ্ছে তাই করতে পারি। – কথাটা বলেই হাতে কাঁচি নিয়ে সুবহার চুলের দিকে এগোয় রওশন। ভয়ে সুবহার আত্মা শুকিয়ে যাচ্ছে। রওশন কি তাহলে এখন সত্যিই তার প্রিয় চুল গুলো কেটে ফেলবে। মাথায় হাত রেখে পেছনের দিকে যাচ্ছে সুবহা আর রওশন বাঁকা হেসে সামনের দিকে এগোচ্ছে। পিছাতে পিছাতে একদম দেয়ালের সাথে লেগে গেছে সুবহা। নাহ, যাওয়ার আর কোনো পথ নেই।
রওশনঃ এখন কোথায় পালাবে সুবহা?( বাঁকা হেসে )
সুবহাঃ রওশন প্লিজ এমনটা করবেন না!( ভয়ে কেঁদে দেওয়ার উপক্রম ) ক্ষমা করে দিন প্লিজ।
কিন্তু রওশন সুবহার কথা কানে নিলো না। সুবহার বিনুনি করা চুল গুলো ধরে ক্যাচক্যাচ করে সব কেটে দিল।
সুবহাঃ নোওও ( চিৎকার দিয়ে )
চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে ধরফরিয়ে উঠে বসে সুবহা। সাথে সাথে নিজের মাথায় হাত রাখে ও। নাহ, চুল গুলো ঠিকঠাক আছে। কি ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন দেখেছে ও। এমন দুঃস্বপ্নে কবে যেন হার্ট অ্যাটাক করে ও।
সুবহাঃ এই মিস্টার অ্যারোগেন্ট বস স্বপ্নেও আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। কি ভয়ঙ্কর সাংঘাতিক ভয়াবহ স্বপ্ন।
হঠাৎ সুবহার চোখ যায় ঘড়ির দিকে। এবার সত্যিই ওর হার্ট অ্যাটাক করার উপক্রম। আটটা ত্রিশ বেজে গেছে আর ঠিক ন’টায় ওকে অফিসে হাজির থাকতে হবে। কিন্তু মনে হয় না আজ সুবহা টাইম মতো অফিসে পৌঁছাতে পারবে। আর তার শাস্তি স্বরুপ হয়তো সত্যিই ওর চুল গুলা যাবে।
ভয়ে গলা শুকিয়ে গেল সুবহার। পাশের টেবিল থেকে পানির গ্লাসটা তুলে ঢকঢক করে সবটা পান করে নিল ও।
সুবহাঃ তাহলে কি আমার স্বপ্ন সত্য হতে চলেছে?( ঢোক গিলে ) ভাগ সুবহা তাড়াতাড়ি ভাগ, নাহলে আজকে এই ভয়ঙ্কর স্বপ্ন ভয়ঙ্কর সত্যিতে পরিনত হবে।
সুবহা ধরফরিয়ে বিছানা থেকে উঠে কাবার্ড থেকে ড্রেস নিয়ে দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।
নাম সুবহা। পুরো নাম সুবহা এহমাদ। দশ বছর বয়সেই একটা দূর্ঘটনায় বাবা মা’কে হারায় সুবহা। তখন থেকেই অর্ফ্যানএইজে বড় হয়েছে সুবহা। ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে লেখা পড়া শেষ করে এখন রায়জাদা ইন্ডাসট্রিজ এর হেড ডিজাইনার ও। সুবহাকে সুন্দরী না বলে মায়াবতী বললেই চলে। ওর মুচকি হাসিটা সবচেয়ে সুন্দর যেটা কোনো কঠোর মানুষের হৃদয়ও মোমের মতো গলিয়ে দিতে সক্ষম।
দশ মিনিটে কোনো রকমে ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয় সুবহা। টেবিল থেকে ব্যাগটা ডান হাতে তুলে নিলো ও, রুম থেকে বের হতে হতে একটা ক্লিপ বাম হাত দিয়ে তুলে জুতো পরে দৌড়ে বেরিয়ে যায় ও।
ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে লিফটে উঠে ব্যাগ থেকে লিপস্টিক আর ফেস পাউডার বের করে লাগিয়ে নেয় ও।
লিফট থামতেই আবারো দৌড় দেয় সুবহা তারপর গাড়িতে উঠে ব্যাগটা সাইড সিটে রেখে লুকিং মিররে তাকিয়ে চুল গুলো উঁচু করে ক্লিপ দিয়ে বেঁধে গাড়ি স্টার্ট দেয় ও। উদ্দেশ্য রায়জাদা ইন্ডাসট্রিজ।
?
একটা কালো গাড়ি থামে অফিসের সামনে। ড্রাইভিং সিট থেকে অয়ন নেমে পেছনের সিটের দরজা খুলে দেয়। দরজা খুলতেই গাড়ি থেকে নেমে আসে রওশন। চোখের সানগ্লাসটা ডান হাত দিয়ে ঠিক করে সামনে হাঁটা ধরে ও।
নাম রওশন। পুরো নাম রওশন রায়জাদা। রওশনের যখন সতেরো বছর একটা ভয়ঙ্কর দূর্ঘটনায় ওর বাবা মা মারা যায়। দূর্ঘটনা টা কিভাবে ঘটেছিল তার রহস্য আজও অজানা। সবার জন্য রওশন একজন কঠোর স্ট্রিক্ট ডিসিপ্লিন সম্পন্ন মানুষ। প্রয়োজনের বেশি কথা ও কখনোই বলে না। কিন্তু রওশনের সব দিকের মধ্যে একটা দিক সবাইকে সবচেয়ে বেশি ভীতু করে। রওশন দেখতে যেমন মারাত্মক তেমনি ওর রাগও মারাত্মক ভয়ঙ্কর। যদিও ও সহজে রাগে না তবে একবার রেগে গেলে সামনের মানুষের নিস্তার নেই। রওশনের এই রাগের কারনেই ওর অফিসে প্রতিদিন একটা হলেও স্টাফ রেজিগনেশন দেয়। রেজিগনেশন বললে ভুল হবে রওশন নিজেই তাদের বের করে দেয় কারন রওশন কখনো কারো ভুল ক্ষমা করে না। হোক সেটা বড় ভুল কিংবা ছোট।
অয়ন গাড়ির দরজা লাগিয়ে চাবি গার্ডের হাতে ধরিয়ে রওশনের পেছনে হাঁটা ধরে।
এতক্ষন অফিসের স্টাফরা গল্প করায় ব্যাস্ত ছিল। একজন আরেক জনের ডেস্কে গিয়ে হাসাহাসি করছে গল্প করছে। কেউ কেউ বসে কফি আর পিজ্জা উপভোগ করছে। আর এসবের মাঝেই একজন সিঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে। হঠাৎ রওশনকে আসতে দেখেই লোকটা দৌড়ে অফিসে ঢুকে যায় আর সবার উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করে,,,
>> বস বস বস! বস চলে এসেছে,,,
কথাটা কানে যাওয়ার সাথে সাথে সব গুলো হুরহুরিয়ে যার যার ডেস্কে বসে সাইলেন্ট হয়ে কাজ করার ভান করতে শুরু করে।
যারা পিজ্জা উপভোগ করছিল তারা পিজ্জা সহ প্যাকেটটাই টেবিলের নিচে গুঁজে রাখছে আর কফি মগ রাখছে ল্যাপটপের পেছনে।
রওশন কানে ব্লুটুথ লাগিয়ে কারো সাথে কথা বলতে বলতে আসছে। ওকে দেখেই সবাই সটান হয়ে দাঁড়িয়ে গুড মর্নিং বলে। রওশন ডানে বামে না তাকিয়েই সোজা ওর কেবিনে চলে যায়।
রওশন চলে যেতেই পেছন থেকে স্টাফ গুলো হাঁফ ছেড়ে বসে পরলো। ওদের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে যেন ওদের সামনে দিয়ে এই মুহূর্তে যমরাজ হেঁটে গিয়েছে বিনা জান কবজ করে।
?
অফিসের সামনে গাড়ি থামায় সুবহা। গাড়ি থামিয়েই জুতোর লেস গুলো দ্রুততার সাথে লাগিয়ে নেয় ও। হাতে ব্যাগ তুলে গাড়ি থেকে ধরফরিয়ে নেমে চাবিটা গার্ডের হাতে দিয়ে বলে ও,,,
সুবহাঃ শুভ সকাল আঙ্কেল।
গার্ডঃ শুভ সকাল মামনি। ধীরে সুস্থে যাও নাহলে পরে গিয়ে ব্যাথা পাবে।
সুবহাঃ ধীরে সুস্থে যেতে গেলে দেখা যাবে দুনিয়া থেকেও চলে যেতে হবে আঙ্কেল।( ভিতরে যেতে যেতে বলল )
ডেস্কে বসে ল্যাপটপে কিছু মেইল চেক করছে রওশন। হঠাৎ ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে ডান হাতের ঘড়িটার দিকে তাকায় ও। কারেক্ট ন’টা বাজে।
একবার কেবিনের দরজার দিকে তাকিয়ে অয়নের দিকে তাকায় রওশন।
রওশনঃ হোয়্যার ইজ মাই কফি? ( কপাল কুঁচকে )
অয়ন দরজার দিকে একবার তাকিয়ে রওশনের অসহায় দৃষ্টিতে তাকায় যার অর্থ আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।
রওশনঃ ডোন্ট টেল মি সুবহা এখনো অফিসে আসে নি?( ঠান্ডা কিন্তু রাগি ভয়েজে )
অয়ন কিছু বলতে যাবে তখনই ধাম করে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে সুবহা। হাতে ধোঁয়া উঠানো গরম কফি। দৌড়ে আসার ফলে হাঁপিয়ে গিয়েছে সুবহা। ভিতরে ঢুকেই কফিটা রওশনের বাম হাতের পাশে রেখে কিছুটা দূরে সোজা হয়ে দাঁড়ায় সুবহা।
সুবহাঃ গুড মর্নিং রওশন। স্যরি লেইট হয়ে গেছে তবে মাত্র দুই মিনিট।
রওশন সুবহার কথায় নিজের ঘড়ির দিকে তাকায় আরেক দফা। সত্যিই ন’টা দুই মিনিট এখন। তার মানে দুই মিনিট লেইট করেছে সুবহা।
সুবহা রওশনের দিকে তাকিয়ে আছে। ভয়ে এখনো ঢোক গিলছে সুবহা। দৌড়ে আসার ফলে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি দ্রুত গতিতে কম্পিত হচ্ছে। কিন্তু এই স্পন্দন দৌড়ে আসার ফলে নাকি রওশনকে দেখে হচ্ছে তা বুঝতে পারছে না সুবহা।
রওশন সুবহার দিকে এক পলক তাকিয়ে অয়নকে ইশারা করে চলে যেতে। অয়ন সাত পাঁচ না ভেবেই দ্রুত বেরিয়ে যায়।
অয়ন চলে যাওয়ায় আরো বেশি ভয়ে আছে সুবহা। বারবার সকালে দেখা স্বপ্নটা চোখে ভেসে উঠছে ওর। হঠাৎ সুবহা রওশনের দিকে তাকাতেই দেখে রওশন নিজের ডেস্ক থেকে উঠে ওর দিকেই আসছে। অনেক কাছে চলে এসেছে রওশন সুবহার।
সুবহা ভয় পেয়ে পেছনের দিকে যাচ্ছে। রওশন এক ধ্যানে সুবহার দিকে তাকিয়ে সামনে এগোচ্ছে আর সুবহা পেছাচ্ছে।
এক পর্যায়ে পেছনের দেয়ালের সাথে লেগে যায় সুবহা। যাওয়ার আর কোনো পথ নেই। রওশন সুবহার একদম কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। ওদের মাঝে হয়তো কমপক্ষে দুই সেন্টিমিটার গ্যাপ আছে।
সুবহা মাথা নিচু করে দু হাত দিয়ে শক্ত করে নিজের জামা মুঠো করে ধরে। রওশনের ডান হাত সুবহার মাথার দিকে এগোচ্ছে। বিষয়টা খেয়াল করে সুবহার চোখ দুটো কপালে উঠে যায়।
সুবহাঃ রওশন কি তাহলে সত্যিই আমার চুল গুলোকে( মনে মনে ) নো নো নো প্লিজ প্লিজ প্লিজ….চোখ দুটো খিঁচে বন্ধ বিরবির করে বলছে সুবহা।
হঠাৎ সুবহা অনুভব করে ওর চুল গুলা ঝড়ঝড়িয়ে ছড়িয়ে পরেছে। এক চোটে চোখ খুলে তাকায় ও। রওশনের হাতে ওর হেয়ার ক্লিপ আর ওর বাঁধা চুল গুলো খুলে ওর পিঠ ছড়িয়ে গেছে।
রওশন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সুবহার দিকে। সুবহা রওশনের চোখের দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত কিছু অনুভব করে। রওশনের চোখে কিছু একটার তীব্র নেশা দেখতে পাচ্ছে ও। এমনিতেই রওশন যখন রাগে তখন ওর চোখ ভয়ঙ্কর লাল দেখা যায় কিন্তু এই দৃষ্টি তার থেকেও ভয়ঙ্কর মনে হয় সুবহার কাছে।
রওশন সচরাচর সব সময় সানগ্লাস পরে থাকে এমনকি রাতেও। যদিও রাতে সানগ্লাস পরার লজিকটা আজও বুঝতে পারে নি সুবহা।
রওশন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সুবহার দিকে। হঠাৎ সুবহার দিকে কিছুটা ঝুঁকে ও। রওশনকে নিজের দিকে ঝুঁকতে দেখে চোখ দু’টো শক্ত করে বন্ধ করে নেয় সুবহা। রওশন ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে লো ভয়েজে বলতে শুরু করে,,,
রওশনঃ বলেছিলাম না চুল বাঁধতে না! আমার অপছন্দ এটা।
সুবহাঃ চ’চুল গুলো ড’ডিস্টার্ব ক’করছিল তাই,,,, কাঁপা কাঁপা কন্ঠে।
রওশনঃ করুক ডিস্টার্ব তাও বাঁধবে না। শেষ বারের মতো বললাম কথাটা মনে থাকে যেন।
সুবহা ডানে বামে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে,,, রওশন এখনো একই ভাবে ঝুঁকে আছে সুবহার দিকে। সুবহার যেন নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে রওশনের এমন ভাবে ওর সামনে ঝুঁকে থাকায়। কিছুটা সাহস জুগিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে সুবহা।
সুবহাঃ এ’একটু দ’দূরে সরে দাঁড়ান প’প্লিজ!
রওশনঃ কেন?( কপাল কুঁচকে )
সুবহাঃ আ’আমার কেমন যেন ল’লাগছে!
রওশনঃ কেমন লাগছে?( প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে )
সুবহা চুপ করে আছে। ওকে চুপ থাকতে দেখে রওশন সরে দাঁড়ায় সুবহার থেকে। সুবহা যেন এবার হাফ ছেড়ে বাঁচলো। এতক্ষন মনে হচ্ছিল ওর নিঃশ্বাস আটকে ছিল আরেকটু হলে নিঃশ্বাস আটকে হয়তো মরেই যেতো ও।
রওশন একই দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সুবহার দিকে। এই দৃষ্টি অনেক ভয়ঙ্কর। কোনো কিছু্র প্রতি তীব্র আসক্তি ফুঁটে উঠছে এই দৃষ্টিতে।
রওশন সুবহার দিকে তাকিয়েই উল্টো ভাবে হেঁটে নিজের ডেস্কের সামনে যায়। সুবহা ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে এখনো।
রওশন এবার সুবহার থেকে চোখ সরিয়ে নিজের ডেস্কে গিয়ে বসে বাম হাতে কফি মগ তুলে সেটায় চুমুক দিয়ে ল্যাপটপের দিকে তাকায়।
সুবহা আড়চোখে তাকাচ্ছে রওশনের দিকে। লোকটাকে সুবহা একদম যমের মতো ভয় পায়। এতোটা ভয় পায় যে সারাক্ষণ এই চেষ্টায় করে যেন রওশনের মুখোমুখি না হতে হয়। কিন্তু যখনই লোকটা তার অদ্ভুত দৃষ্টিতে সুবহার দিকে তাকায়, সুবহার পাশে এসে দাঁড়ায়, অন্য রকম অনুভুতি অনুভব করে ও। এই অনুভূতিতে এক বিন্দু ভয় নেই আছে অদ্ভুত ভালোলাগা।
সুবহা আড়চোখে তাকায় রওশনের দিকে,, যে এখন কফি আর ল্যাপটপ নিয়ে ব্যাস্ত। লোকটাকে বুঝে উঠতে পারে না সুবহা। কখন রেগে থাকে কখন খুশি থাকে কখন দুঃখে থাকে কিছুই বুঝা যায় না তার ফেইস এক্সপ্রেশন দেখে। মাঝে মধ্যে রওশনকে রোবট মনে হয় সুবহার কাছে। এতোটা এক্সপ্রেশনহীন ভাবে মানুষ কিভাবে থাকতে পারে বুঝতে পারে না ও।
ওর ভাবনায় ছেদ পড়ে রওশনের কন্ঠে,,,
রওশনঃ টেইক দ্যা কাপ অ্যান্ড লিভ।
সুবহা সাথে সাথে গিয়ে মগটা তুলে দরজার দিকে পা বাড়ায়। রওশন আবারো বলে উঠে,,,
রওশনঃ নতুন প্রজেক্টের ফাইলটা একটু পর দিয়ে যাবে।
সুবহাঃ ওকে।
সুবহা দরজা খুলেও আবার পেছনে তাকায়। রওশনের টেবিলের উপর ওর হেয়ার ক্লিপটা। রওশনের কাছ থেকে ক্লিপটা কিভাবে চাইবে বুঝতে পারছে না ও।
সুবহাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রওশন মাথা তুলে ওর দিকে তাকায় তারপর কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করে।
রওশনঃ হোয়াট? দাঁড়িয়ে আছো কেন?
সুবহাঃ আ আমার ক্লিপ?
রওশন ক্লিপটার দিকে তাকিয়ে চোখ দুটো ছোট ছোট করে সুবহার দিকে তাকিয়ে বলে,,,
রওশনঃ ভুলে যাও এটার কথা। গিয়ে নিজের কাজ শেষ করো গোও,,,( হালকা ধমক দিয়ে )
সুবহাকে আর পায় কে এক দৌড়ে কেবিনের বাইরে চলে গেছে ও ধমক খেয়ে।
সুবহা চলে যেতেই রওশন ক্লিপটা নিজের হাতে নিয়ে সেটা ড্রয়ারে রেখে ল্যাপটপে মনোযোগ দেয়।
To be continued……..