#Our_Unknown_Love_Story,05,06
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_5
প্রিন্সিপালঃ ডিয়ার স্টুডেন্টস আজকে তোমাদের নতুন মার্কেটিং টিচার জয়েন করেছে। মিস্টার আধার রেজওয়ান প্লিজ কাম ইন।
টিচারকে দেখে সবাই 440 ভোল্টের শকড খায়। ??
মিশাঃ ইরা বেবি শেষমেশ টিচারের উপর ক্রাশ খেলি ছি ছি (আস্তে আস্তে বলল যাতে শুধু ইরা কবীর আর শবনম শুনতে পায় ) মিশার কথা শুনে বেচারি ইরার মুখ ছোট হয়ে যায় আর শবনম কবীর অনেক কষ্ট করে নিজের হাসি চাপিয়ে রাখে।
শবনম খেয়াল করল আধার ওদের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
কি ব্যাপার এই লোকটি ওদের দিকে তাকিয়ে হাসছে কেন সব শুনে ফেলল নাকি শবনম ভয়ে ভয়ে নিজের চোখ নামিয়ে নিলো।
প্রিন্সিপালঃ মিস্টার আধার রেজওয়ান আমি আপনাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দি।ইনি আমাদের কলেজের নতুন ট্রাস্টি প্লাস কিছু দিনের জন্য তোমাদের মার্কেটিং টিচার ….. স্যার আর কিছু বলতে নিলে আধার তাকে থামিয়ে দেয়।
আধারঃ Sir if you don’t mind আমি নিজে বাকি টুকু বলতে চাই।
প্রিন্সিপালঃ Sure young man.
আধারঃ Hello students. Actually আমি এটা বলতে চাচ্ছিলাম যে আমাকে তোমাদের স্যার বলতে হবে না কারণ আমি তোমাদের পার্মানেন্ট টিচার না।
আধারের কথায় সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে
আধার আবার বলতে শুরু করল।
আধারঃ আমি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি দ্যা রেজওয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের CEO. কোন টিচার না। Actually আমি আমার কোম্পানির জন্য কিছু নিউ কামার্সদের লন্জ করতে চাই। যাদের চিন্তা ভাবনা একদম নতুন হবে। তাই আমি কিছুদিন তোমাদের সবাইকে মার্কেটিং ও ব্যবসারের বিষয়ে লেকচার দিবো তার পর তোমাদের মধ্যে মোট 20 জন স্টুডেন্টসকে আমার নতুন প্রজেক্টের জন্য সিলেক্ট করবো।এটা তোমাদের জন্য গোল্ডেন চান্স নিজেদের ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্য। so are you guys ready.
Yes sir সবাই একসাথে বলল।
শবনম এতোক্ষণ একধ্যানে আধারের দিকে তাকিয়ে ছিল। তার কথা বলার স্টাইল যেন শবনমকে মন্ত্র মুগ্ধ করছে হাত নাড়িয়ে কথা বলা কথার মাঝে ভ্রু কুঁচকানো মাঝে মাঝে নিজের চুলে হাত দিয়ে পিছনে নেওয়া সব মিলিয়ে যেন অমায়িক লাগছিলো আধারকে। সারাদিন দেখলেও যেন ক্লান্ত হবে না সে। হঠাৎ সবার একসাথে চেঁচানোতে ধ্যান ভাঙ্গলো তার। কি না ভাবছিলো সে মুচকি হেসে নিজের মাথায় নিজে হাল্কা করে বারি দিল।
প্রিন্সিপালঃ Students now I have to take leave. আজকে তোমাদের প্রথম দিন তাই all the best to you all students and also to you Adhar.
আধারঃThank you Sir.
প্রিন্সিপাল চলে গেলে আধার আবার বলতে শুরু করে…..
আধারঃ আজকে ফার্স্ট ডে তাই সবার সাথে পরিচয় হই আমার পরিচয় তো সবাই জানলে এখন তোমাদেরটা জানি। আধার একে একে সবার সাথে পরিচয় হলো তার পর এগিয়ে শবনমদের সামনে এলো। আধারের সামনে আসায় শবনমের হার্ট বিট ফাস্ট হয়ে যায় কিন্তু কেন সেটা ওর অজানা। সবার আগে ইরা বলতে শুরু করে।
ইরাঃ I’m Ira Hassan??
কবীরঃ আমি কবীর মির্জা। কিছুটা বিরক্তি নিয়ে।
মিশাঃ আমি মিশা চৌধুরী। ??
এবার আধার শবনমের পাশে এসে দাঁড়ালো। শবনমের তো হার্ট ফেইল করার অবস্থা। ভয়ে বেচারির হাত পা কাপছে।কাপাকাপা গলায় চোখ খিঁচে বদ্ধ করে বলল I’m Adhora Rayhan
Shabnam.
ওর কান্ড দেখে আধার মুচকি হেসে ওর আর
একটু কাছে এসে দাঁড়ালো।এবং বলল
আধারঃ So miss Shabnam do you know the meaning of your name.
শবনমঃ yes sir…শবনম হচ্ছে সে তারার নাম যেটা শুধু মধ্য রাতে দেখা যায় আর এটা আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র। ??
শবনমের জবাবে আধার মুচকি হেসে আবার প্রশ্ন করল Do you know the meaning of my name…
শবনম বরাবরই মাথা নিচু করে রেখেছে। আধারের প্রশ্নে ওর দিকে এক পলক তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে নিলো। তার পর বলল,,,
শবনমঃ আপনার নাম আধার।যার অর্থ হল অন্ধকার।
আধার এবার শবনম থেকে দূরে সরে এলো এবং সবার উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করল।
আধারঃ সবার সাথে পরিচয় হয়ে অনেক ভালো লাগলো। আজকে বেশি সময় নেই তাই কালকে থেকে তিন মাস আমি তোমাদের ক্লাস নিবো। And most importantly সবাই আমাকে আমার নাম ধরে ডাকলে আমি খুশি হবো। ( কথা গুলো আধার শবনমের দিকে তাকিয়ে বলল )
কথা গুলো বলতে বলতে আধার আবার শবনমের সামনে চলে আসলো আর হঠাৎ ওর হাত থেকে মার্কার পেন শবনমের পায়ের কাছে পরে যায়। আধার মার্কারটা তোলার বাহানায় শবনমের দিকে ঝুকলো আর ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল………
আধারঃ তারা কখনো সূর্যের আলোতে দেখা যায় না। সেটা দেখার জন্য অন্ধকার প্রয়োজন। আর নক্ষত্রের সৌন্দর্য অন্ধকারের মাঝেই লুকিয়ে থাকে।
কথা গুলো বলে আধার এক মূহুর্ত দেরি না করে ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়। আর শবনম ওর কথায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। কি বলল লোকটা ওনার কথার আগা মাথা কিছুই ও বুঝতে পারলো না। লোকটার সব কথা কেমন অদ্ভুত অদ্ভুত লাগে ওর কাছে। এই কথা গুলো কেউ অনেক আগে ওকে বলেছিল ভাবতেই চোখ থেকে দু ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পরলো তার। মিশার ডাকে ঘোর কাটলো তার সাথে সাথে সবার আড়ালে চোখের পানি মুছে ফেলল সে। আর ভাবতে চায় না তাকে।
ক্লাস শেষ করে সবাই ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দিচ্ছে। ইরা আর মিশা সেই কখন থেকে আধারের প্রশংসা করে চলেছে আর কবীর এক মাথায় হাত দিয়ে অন্য হাতে কফির মগ ঘোরাচ্ছে।আধারকে আর সহ্য হচ্ছে না তার। মিশা কবীরের অবস্থা দেখে আরও বেশী করে আধারের প্রশংসা করতে লাগলো ওর স্টাইল ওর স্মাইল আর এইদিকে কবীর বেচারা জ্বলে ভূনে তান্দুরী চিকেন ফ্রাই হয়ে যাচ্ছে।
আর শবনম তো শুধু আধারের বলা কথা গুলো ভাবছে।ওর কন্ঠ শবনমের কাছে অনেক পরিচিত মনে হচ্ছে কিন্তু ওতো কখনো আধারকে দেখেনি তবু কেন আধার ওকে সে একজনের কথা মনে করিয়ে দেয়। পাখি এসে ওদের সাথে বসলো।
পাখিঃ তো কেমন কাটলো আজকের দিন।
ইরাঃ ক্রাশের ক্লাস কোন গাধার কাছে ভালো না লাগে বলো পাখি দি। কবীরের দিকে তাকিয়ে বলল।
মিশাঃ You are right Ira baby but I think
কবীরের ভালো লাগে নি। ??right Kabir..
কবীরঃ না এমন কিছু না।
পাখিঃWhat happened Shabnam তুমি এতো চুপ কেন।
শবনমঃ কি কিছু না actually আমার এখন হোস্টেলে যেতে হবে।কালও যেতে পারি নি।
মিশাঃ No Shabnam তুই আমাদের সাথে থাকনা প্লিজজজ।
শবনমঃ No guys please don’t force me.আমি হোস্টেলেই থাকবো। but promise কোন সমস্যা হলে তোদের জানাবো।
সন্ধ্যায় সবাই যার যার বাসায় চলে যায় আর শবনম হোস্টেলে।
হোস্টেল টা অনেক পুরোনো কিন্তু সুন্দর। শবনমের কোন রুম মেট নেই।একটা মেয়ে থাকে সে ছুটিতে বাড়ি গিয়েছে। তাই এ কয়দিন শবনম একাই থাকবে।
রাতে খাওয়া দাওয়া করে শবনম রুমে এসে ওর জিনিস আর বই গুলো শিফ্ট করছিলো। হঠাৎ বাইরে থেকে কিছুর আওয়াজ পেল ও। কিসের আওয়াজ জানতে ও বারান্দায় গিয়ে দাড়ালো। কেউ গান গাচ্ছে। কিন্তু স্পষ্ট ভাবে শুনা যাচ্ছে না।
To be continued………
#Our_Unknown_Love_Story
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_6
কেউ গান গাইছে কিন্তু স্পষ্ট ভাবে শোনা যাচ্ছে না। শবনম বারান্দায় দাঁড়িয়ে আসে পাশে খুজলো কিন্তু কাওকে দেখতে পেলো না । ওর মনে হচ্ছে এই গানের সুর ওকে টানছে। তাই আর দেরি না করে আস্তে আস্তে সবার আড়ালে হোস্টেল থেকে বের হয়ে আসে শবনব। বের হয়ে আসে পাশে সুরের উৎস খুজতে লাগলো সে।
সুর জঙ্গলের ভিতর থেকে আসছে। তাই সে জঙ্গলের ভিতর হাটা শুরু করে ।জঙ্গলের কিছুটা ভিতরে যেতেই শবনম কাওকে দেখতে পেলো। একটা ছেলে উঁচু পাথরে বসে গিটার বাজাচ্ছে ছেলেটা উল্টো দিকে ঘুরে বসে আছে তাই চেহারা দেখা যাচ্ছে না। ছেলেটা পেছনে ঘোরার সাথে সাথে শবনম গাছের আড়ালে লুকিয়ে গেল। ছেলেটি আবার ঘুরে গান গাইতে শুরু করলো।
Mere Haatho Mai
Na Teri Lakieerein
Hai Bahut Alag Si
Apni Takderein…….
Mera Zamin Pe Chalna
Tera Hawa Sa Udna
Hona Na Mumkin Hai
Tera Mera Milna…….
Ki Dhup Se Kabhi Andhera
Judd Nahi Saktaa
Ye Ishq Mukammal Apna
Abh Ho Nahi Saktaa……
Dariya Sa Hai Tu
Main Hoon Thehra Sa
Faslaa Na Mitega
Jo Hai Faila Sa…….
Jo Khatam Na Hooga
Tu Aisa Safar Hai
Main Raat Ka Lamha
Tu Dhup Seher Hai………( One of my favorite song ??)
চোখ বন্ধ করে গানটা উপভোগ করছিল শবনম। হঠাৎ গান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চোখ খুলে তাকালো সে। আসে পাশে কোথাও ছেলেটি নেই। এতক্ষণ তো এখানেই ছিল হঠাৎ কোথায় উধাও হয়ে গেল। কিন্তু যাই হোক ছেলেটার কন্ঠ অনেক অমায়িক ছিল। গানটা যেন ওর জন্যই তৈরি করা হয়েছে।
ছেলেটির কন্ঠে প্রিয় মানুষের জন্য ব্যথা অনুভব করেছে শবনম।এই ব্যথা ওর হৃদয়ে ও আছে। কাওকে ভালোবেসে তাকে হারানোর ব্যথা ওর বুকেও আছে। ভাবতে ভাবতে ওখানেই ধপ করে বসে পড়লো সে আর চোখ বন্ধ করে গাছের সাথে হেলান দিয়ে গানের পরের লাইন গাইতে শুরু করল।
Kaash Ek Duje Se
Hum Milte Hi Nahi
Jabb Mil Hi Gaye Thhe
To Bichhar Te Hi Nahi……
Jo Hoona Thaa Hua Hai
Abb Baki Kya Bacha Hai
Chhuta Hai Haath Se Saabh
Kuchh Hasil Na Hua…….
Tera Zamin Pe Chalna
Mera Hawa Sa Udna
Haa Na Mumkin Hai
Tera Mera Milna………
Ki Dhup Se Kabhi Andhera
Judd Nahi Saktaa
Ye Ishq Mukammal Apna
Abh Ho Nahi Saktaa……….
Mere Haatho Mai
Na Teri Lakieerein
Hai Bahot Alagsi
Apni Takderein…….
গান শেষ করে ওখানেই চোখ বন্ধ করে বসে আছে শবনম। চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে তার। এখানে আসার পর থেকে কেন যেন বার বার তার কথা মনে পরছে। নিজের আসে পাশে সবসময় তাকে অনুভব করছে সে।
আযানের ধ্বনি শোনার সাথে সাথে উঠে দাঁড়ালো শবনম । নিজেকে নরমাল করে হোস্টেলে চলে আসলো।
শবনম খেয়াল করে নি যে আড়াল থেকে কেউ তাকে দেখছে। মুগ্ধ হয়ে তার গান শুনছে। ওর জন্য তার চোখেও অশ্রু ছল ছল করছে।
শবনম হোস্টেলে এসে লম্বা শাওয়ার নিলো। তার পর রেডি হয়ে মিশাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল। ওখানে গিয়ে দেখে মিশা আর পাখি ব্রেকফাস্ট করছে।
শবনমঃ Good Morning guys.
মিশা আর পাখিঃ Good Morning Shabnam.
মিশাঃ শবনম আয় আমাদের সাথে ব্রেকফাস্ট কর।
শবনমঃ Sorry guys. আমার ভালো লাগছে না তোমরা করো।
পাখিঃ কেন কি হয়েছে শবনম তোর শরীর খারাপ নাকি হোস্টেলে কিছু হয়েছে।( কিছুটা চিন্তিত হয়ে )
শবনমঃ আব আরে না দি এমনেই ভাল লাগছে না তাই। ( জোড় করে হাসার চেষ্টা করে )
মিশা আর পাখির জোড়াজোড়ি তে শবনম ওদের সাথে ব্রেকফাস্ট করে নিলো। তারপর সবাই মিলে কলেজে চলে গেল। কলেজে এসে ওরা দেখে কবীর পার্কিংয়ে ওদের জন্য অপেক্ষা করছে। ওদের দেখে কবীর ওদের দিকে এগিয়ে এসে ওদের সামনে দাঁড়ায়।
ওদের আসতে দেখে কবীর ওদের সামনে এসে দাঁড়ালো।
কবীরঃ Hey guys. Hi Shabnam how are you ( মিশাকে শুনিয়ে শুনিয়ে)
শবনমঃ Hi Kabir ( মন খারাপ করে )
কবীরঃ শবনম are you alright তোমার মন খারাপ কেন।হোস্টেলে কিছু হয়েছে। কেউ কিছু বলছে তোমাকে। Look কিছু হলে আমাকে তুমি বলতে পারো আমি তোমার বন্ধু হই আফটার অল।
শবনমঃ আমার জন্য সবাই কত চিন্তা করছ। আমি অনেক লাকি ওদের মতো ফ্রেন্ড পেয়ে। Thank you Allah ( মনে মনে)
হাতে কারো স্পর্শ পেয়ে ভাবনায় ছেদ পরে তার। তাকিয়ে দেখে কবীর ওর হাত ধরে আছে।
কবীরঃ শবনম প্লিজ টেল মি না কি হয়েছে তোমার।
কবীর হাত ধরায় শবনম অনেকটা আন ইজি ও আনকমফরটেবল ফিল করছিলো। কিন্তু কিছু বলতে পারছিল না যদি কবীর কথাটা অন্য ভাবে নেয়।
মিশা অনেকক্ষণ যাবত ওদের খেয়াল করছিল। মিশা লক্ষ করলো কবীরের ছোঁয়ায় শবনম আন ইজি ফিল করছে। তাই ও সামনে এসে ওদের হাত ছাড়িয়ে নিলো এতে কবীর কিছুটা অবাক হয়ে মিশার দিকে তাকালো। কথা ঘুরানোর জন্য মিশা বলল …..
মিশাঃ আরে কবীর what’s wrong with you yaar. ওর জাস্ট একটু মাথা ব্যথা করছে nothing else. Right Shabnam. ( শবনমের দিকে তাকিয়ে )।
শবনমঃ Yeah right Kabir just a headache only nothing much. Don’t worry. পেইন কিলার নিয়েছি ঠিক হয়ে যাবে।
কবীরঃ ওহ ওকে।
ইরাঃ কবীর আমরাও তোর ফ্রেন্ড মাঝে মধ্যে আমাদেরও এভাবে নোটিশ করিস যেভাবে শবনমকে করিস। ??
শবনমঃ OK Shack it off guys and let’s go ক্লাস শুরু হয়ে যাবে।
ইরাঃ আরে হা এখন তো মি. ক্রাশ আধার রেজওয়ান এর ক্লাস it don’t wanna to miss this. ??
শবনমঃ OK চল
তার পর ইরা আর শবনম ক্লাসের জন্য চলে যায়।
কবীর যেতে নিলে মিশা ওর হাত ধরে ওকে আটকায়।
কবীরঃ What???
মিশাঃ কবীর সত্যি করে একটা কথা বলতো,, তুই কি শবনমকে ভালোবাসিস।
কবীরঃ Yes I love her. ( মিশার চোখের দিকে তাকিয়ে)
এইদিকে,,,
ইরা আর শবনম ক্লাসের দিকে যাচ্ছিলো।ইরা নিজের মতো বকবক করেই যাচ্ছে আর শবনম শুনছে।
হঠাৎ শবনের নজর লাইব্রেরির দিকে গেলো। ও বরাবরই বই পোকা। বই দেখলে পড়ার লোভ সামলাতে পারে না। আজও এর ব্যতিক্রম হলো না। তাই ইরাকে না বলেই ও লাইব্রেরির ভিতর ঢুকে যায়। আর ইরা নিজে নিজে বকবক করতে করতে ক্লাসের দিকে যাচ্ছে।
শবনম লাইব্রেরিতে ঢুকে অবাক হয়ে চারপাশে দেখতে থাকে। বিভিন্ন ধরনের বই দিয়ে লাইব্রেরিটা সাজানো। শবনম বই গুলো ছুয়ে ছুয়ে দেখছিল। হঠাৎ ওর চোখ উপরের তাকের একটা বইয়ে আটকে যায়।
William Wordsworth এর রোমান্টিক পোয়েট্রি বুক।
শবনম বইটি নেওয়ার জন্য ও লাফাতে থাকে কিন্তু বইটি এতো উপরে আর বেচারি মাএ 5 ফুট 1 কিভাবে পারবে। হঠাৎ ও অনুভব করলো ও হাওয়া ভাসছে। ভয়ে বেচারি চিৎকার দেওয়ার আগেই কেউ ওকে ধমক দিয়ে বলে….যেটা নিচ্ছিলে তারাতারি নাও। কন্ঠ শুনে শবনম বুঝে যায় এটা আধার। আধার শবনমের কোমর জড়িয়ে ওকে উপরে উঠিয়ে রেখেছিল। শবনম বইটি নিলে আধার ওকে নিচে নামিয়ে দেয়।
আধারঃ উফফ এতো ভারী কেন তুমি। দেখলেতো কেউ বুঝবেই না যে এই মেয়ে এতো ভারী। ?
শবনমঃ What do mean হা আমি মোটেও ভারী না ওকে I’m only 48 kg. ??
আধারঃ BTW ক্লাস টাইমে তুমি এখানে কি করো। তুমি কি যানো না এখন আমার ক্লাস।Tell me ?
আধারের কথায় শবনম কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। বেচারী কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না।
কেন যে এটার ক্লাস ফাকি দিতে গেলাম। এখন সামলা ঠেলা। নিজে নিজে বিরবির করে বলছিলো ও। এখন কি বলবো Idea wow Shabnam you are so brilliant.
শবনমঃ স্যার একচুয়ালি আমি ক্লাসেই যাচ্ছিলাম।তার পর ভাবলাম আপনার ক্লাস তো অনেক ইম্পরটেন্ট। তাই আরো ভালো ভাবে যাতে আপনার ক্লাসে মনোযোগী হতে পারি তাই লাইব্রেরি থেকে কিছু মার্কেটিং লেকচার বুক নিতে আসছিলাম। এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলল সে।
( বকা খাওয়া থেকে বাচার জন্য মিথ্যা বলল।)
কথাগুলো বলে শবনম আধারের দিকে তাকিয়ে দেখে ওর দিকে আধার রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ওকে দেখে বেচারির গলা শুকিয়ে গেছে।
আধারঃ Oh really miss Shabnam. তো এটা কি মার্কেটিং বুক।
শবনমের হাত থেকে বইটা নিয়ে ওর সামনে ধরলো আর আবার বলা শুরু করলো।
আধারঃ William Wordsworth এখন রোমান্টিক পোয়েট্রি বাদ দিয়ে মার্কেটিং লেখা শুরু করলেন কবে থেকে miss Shabnam. ?
শবনম বেচারি ভয়ে চুপসে গেছে। কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। নিজের কথায় নিজেই ফেসে গেছে। শবনম কাদোকাদো ভাব নিয়ে আধারের দিকে তাকালো।
To be continued……….