#Our_Unknown_Love_Story,07,08
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_7
শবনম কাদোকাদো ভাব নিয়ে আধারের দিকে তাকালো। আর আধার রাগী দৃষ্টিতে শবনমের দিকে তাকিয়ে আছে।
আধারঃ What happened miss Shabnam. আর কোন মিথ্যা কথা পাচ্ছেন না বলার জন্য। ( ধমকের স্বরে বলল আধার ) and also I have told all of you in the class that don’t call me sir( দাতে দাত চেপে বলল )
শবনমঃ Mr Rejwan actually আমি ….শবনম আর কিছু বলার আগেই আধার ওকে টেনে একটা বুক শেল্ফের সাথে চেপে ধরে। আচমকা এমন হওয়ায় শবনম ভয়ে চোখ খিঁচে বন্ধ করে ফেলে আর আধারের কোর্টের কলার খামছে ধরে।
আধার পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে শবনমের দিকে। ভীতু চেহারায় আরো বেশী সুন্দর লাগছে তাকে। ভয়ে চোখ দুটো খিঁচে বদ্ধ করে আছে আর ঠোট কাঁপছে । ছোট ছোট চুল গুলো কপালে পরে আছে। আধার ওর দিকে আর একটু ঝুকে ফু দিয়ে কপালের চুল গুলো সরিয়ে দেয়। হাল্কা কেপে উঠে শবনম। তা দেখে মুচকি হেসে দেয় আধার।
অনেকক্ষণ ধরে চোখ বন্ধ করে রেখেছে শবনম। আধার ফু দিতেই হাল্কা কেপে উঠে সে। আস্তে আস্তে চোখ খুললো শবনম। চোখ খুলে যা দেখলো তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না সে।
শবনমের পিঠ বুক শেল্ফের সাথে ঠেকানো আর আধার ওর দুই কাধের পাশে দুই হাত রেখে ওর দিকে ঝুঁকে আছে। একটু পিছনের দিকে তাকাতেই আতকে উঠে শবনম। আধার একটা শেল্ফ তার পিঠ দিয়ে ঠেকিয়ে রেখেছে। আর আশে পাশে বই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে।
কিছুক্ষণ আগে….
শবনম আর আধার কথা বলছিলো তখন একটা শেল্ফ শবনমের উপর পরতে নিলে আধার ওকে টেনে সরিয়ে নিজের পিঠ দিয়ে শেল্ফ টাকে ঠেকায়। আর শবনমকে প্রটেক্ট করে।
এখন……
শবনম ভয়ে ভয়ে আধারের দিকে তাকালো। ওর চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। কিন্তু ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি রয়েছে। ওর এই হাসি হাজারো মেয়েদের ঘায়েল করার জন্য যথেষ্ট। শবনমের ইচ্ছা করছে এই হাসির প্রেমে পরতে। কিন্তু এটা সম্ভব না। শবনম নিজেকে সামলে নিলো। তার পর বলল….
শবনমমঃ আ আধার আপনি প্লিজ সরে যান ব ব্যথা পাচ্ছেন তো। ( শবনমের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে কাপাকাপা গলায় কথা গুলো বলল সে )।
শবনমের কথায় অনেক হাসি পাচ্ছিলো আধারের।
আধারঃ তুমি যদি যানতে আমি কে আর কি তাহলে এই কথাগুলো বলতে না। এ সাধারন ভারে আধার রেজওয়ানের কিচ্ছু হবে না। ব্যথা তো দুরের কথা। (মনে মনে কথা গুলো বলল)
নিজের হাসি চাপিয়ে রেখে করুন ভাবে তাকালো আধার শবনমের দিকে। এমন ভাব নিলো যে সত্যিই অনেক ব্যাথা পাচ্ছে।
আধারঃ মিস শবনম আপনার যদি আমার মতো বেচারার উপর একটুও দয়া মায়া রহমত হয় তাহলে আল্লাহর রাস্তে একটু সরে দাড়িয়ে আমাকে বেচে থাকার সুযোগ করে দিন। ?( এমন ভাব নিচ্ছে যেন চাপা পড়ে মরে যাচ্ছে মিথ্যুক যানি কোথাকার ? )
শবনমঃ Sure Adhar আমি আপনাকে কিছু হতে দেব না। আমি এখনই সরে দাড়াচ্ছি। তার পর শবনম হন্তদন্ত করে আধারের কাছ থেকে সরে দায়। ( আরে গাধী তুই ওকে কি বাচাবি ওইতো সবসময় তোকে বাঁচায়।?)
আর এইদিকে আধার ভাবছে শবনমের আড়ালে কিভাবে এই শেল্ফ টাকে উঠাবে কারন যে ভারী শেল্ফ নরমাল পাওয়ার দিয়ে উঠানো সম্ভবত নয়। অনেক ভেবে চিন্তে আধার একটা বুদ্ধি বের করে। ( শয়তানি বুদ্ধি যাকে বলে আর কি? )
আধারঃ মিস শবনম আপনি যে গাধী বারবার
এটা প্রমাণ করার দরকার নেই।
শবনমঃ কিন্তু আমি তো কিছুই করি নি । এটা নিজে নিজে পরছে। ? আঙ্গুল দিয়ে শেল্ফের দিকে ইশারা করে।
আধারঃ Miss Shabnam you are such a stupid. আমি শেল্ফের কথা বলছি না আমি বলছি যে আপনি দেখছেন আমার উপর শেল্ফ পরে আছে। আর আপনি এটা তুলতে আমার হেল্প না করে দূরে গিয়ে দাড়িয়ে আছেন। ?
শবনমঃ Oh sorry sorry আমি এখনি হেল্প করছি।কিন্তু এটা তো অনেক ভারী ( চিন্তিত হয়ে) আমি এক কাজ করি বাইরে গিয়ে হেল্প নিয়ে আসি। বলেই শবনম দরজার দিকে এগুলো।
আধার এতক্ষণ এই সুযোগের অপেক্ষায়েই ছিল। শবনম যেতেই আধার কিছু একটা মনে মনে পরলো সাথে সাথে ওর ঘাড়ের রগ গুলো ফুলে উঠলো আর চোখ নীল বর্ণ ধারন করলো। ওর সমস্ত শক্তি দিয়ে শেল্ফ টাকে পেছনে ঠেলে সোজা করে ফেলল।
হঠাৎ শবনম এসে পড়ে আর আধার ওর আড়ালেই আগের মতো নরমাল হয়ে যায়।
শবনম দৌড়ে এসে আধারের দিকে না তাকিয়ে বলতে থাকে।
শবনমঃ স্যরি আধার দরজার সামনে গিয়ে দেখি দরজা লক করা তাই কারো হেল্প আনতে পারি নি। but don’t worry I will help you. বলে আধারের দিকে তাকিয়ে শকড হয়ে যায়। আধার পকেটে হাত দিয়ে শেল্ফের সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
আধার শবনমের সামনে এসে দাঁড়ালো আর বলল।
আধারঃ মিস শবনম শেল্ফ উঠানোর মনো কাজ আপনার মতো পিচ্চির দ্বারা হবে না।
শবনমঃ কিন্তু আপনি এটা উঠালেন কিভাবে how ??
আধারঃ এভাবে( শবনমের সামনে চুটকি বাজিয়ে )
ওকে বাদ দেন। শেল্ফ আমি তুলে ফেলেছি এখন আপনি এই ছড়ানো ছিটানো বুক গুলো তুলে শেল্ফে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন।
শবনমঃ What এতো গুলো বই আমি একা কিভাবে তুলবো।
আধারঃ কেন আমিও তো একা শেল্ফটা তুলেছি।
শবনমঃ হ্যাঁ বাট একটু হেল্প কি করা যায় না। ( করুন ভাবে আধারের দিকে তাকিয়ে )
আধারঃ No ? বলেই আধার রুম থেকে বের হয়ে যায়।
শবনম অসহায় ভাবে আধারের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। আধার চলে যেতেই শবনম নিচে থেকে বই তুলতে শুরু করে আর আধারের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করতে থাকে।
শবনমঃ কি ভাবেন নিজেকে উনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হ্হ। আরে শবনম তুই কি ভূলে গেছিস আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তো ওই কালু ওবামা। তাহলে উনি কোন দেশের প্রেসিডেন্ট ? আরে হা মনে পরছে উনি উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ?।
একটু হেল্প করলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেতো। দেখতে তো পুরাই হিরো। কিন্তু স্বভাব একদম ভিলেনের মতো নিষ্ঠুর।কথায় আছে না শাকাল হিরো ওয়ালি অর কাম ভিলেনকে। উনার থেকে তো ওই কালু ওবামাই ভালো চেহারা কালু কালু হলে কি হবে মন সার্ফ এক্সেল দিয়ে ধোয়ো।
আমারও দিন আসবে। তখন আমি ও হেল্প করবো না ভাব দেখিয়ে চলে যাবো। Just wait and watch Mr Uganda president Adhar Rejwan. ??
শবনম কথা গুলো বলতে বলতে বই নিয়ে পিছনে ফিরতেই দেখে আধার দু হাত পকেটে রেখে রাগী দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। রাগে ওর চোখ লাল হয়ে গেছে। আধারকে ওভাবে দেখে ভয়ে শবনমের হাত থেকে সব গুলো বই পরে যায়। আর মনে মনে ভাবতে থাকে,,,,,, আব তেরা কেয়া হোগা কালিয়া থুক্কু শবনম। ?
পার্কিংয়ে,,,,
কবীরের উওর শুনে মিশা ওর হাত ছেড়ে একটু দুরে সরে যায়। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না সে। চোখের কোনে পানি টলমল করছে মিশার।
মিশাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে কবীর কিছুটা অস্বস্তি বোধ করে। ও ভাবছে হয়তো মিশা ওর কথায় বিশ্বাস করতে পারছে না। তাই ও আবার মিশার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে বলতে থাকে,,,,
কবীরঃ আমি ওকে সত্যিই ভালোবাসি I really love her.
কবীরকে অবাক করে দিয়ে মিশা ওকে আচমকা জড়িয়ে ধরে। এতে কবীর কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।
কবীরের আড়ালেই চোখের পানি মুছে ফেলল মিশা। তার পর কবীরকে ছেড়ে বলতে থাকে,,,,,,
মিশাঃ আরে স্টুপিড আমিতো সেই প্রথম দিন থেকেই বুঝতে পেরেছি যে তুই শবনমকে লাইক করিস। ওকে দেখে প্রথম দেখাতেই তোর love at first sight হয়ে গেছে। I’m really happy for you Kabir শবনম অনেক ভালো মেয়ে। তোদের একসাথে অনেক মানাবে like made for each other. ( জোর করে হাসার চেষ্টা করে কথা গুলো বলল মিশা )
কবীরঃ তোর খুশি লাগছে যে আমি শবনমকে ভালোবাসি।
মিশাঃ অফকর্স কবীর আমি তো অনেক অনেক খুশি তোদের জন্য।
মিশার কথায় কবীরের অনেক রাগ লাগছে। ইচ্ছে করছে কষে দুইটা চর মারতে।
নিজের রাগ কন্ট্রোল করে কবীর মিশাকে বলল,,
কবীরঃ এসব কথা এখন বাদ দে চল ক্লাসের টাইম হয়ে গেছে।
কবীর মিশার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতেই মিশা এক ঝটকায় নিজের হাত সরিয়ে নেয়।
কবীর অবাক চোখে মিশার দিকে তাকিয়ে আছে,,
মিশাঃ Kabir I’m not feeling well today. আজ ক্লাস করবো না । একা থাকতে ইচ্ছা করছে। আমি বাড়ি চলে যাচ্ছি তুই প্লিজ পাখি দি কে বলে দিশ।
কথা গুলো বলে মিশা আর এক মুহূর্তও না দাড়িয়ে দৌড়ে গাড়ী নিয়ে ওখান থেকে চলে যায়।
কবীর অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মিশার যাওয়ার দিকে। কবীর খেয়াল করেছে মিশার চোখে পানি টলমল করেছিল কথা গুলো বলার সময়। ঘারে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে ধ্যান ভাঙ্গে তার পিছনে ফিরে দেখে ইরা দাড়িয়ে আছে।
ইরাঃ কবীর তুই এখানে কেন আর মিশা কোথায় ?
কবীরঃ ওর নাকি ভালো লাগছে না তাই চলে গেছে। ( মন খারাপ করে )
ইরাঃ কেন কি হয়েছে ওর। এতক্ষণ তো ভালোই ছিল ।
মিশার মলিন চেহারা বার বার কবীরের চোখের সামনে আসছিলো। ওর চোখের পানি কবীরকে কষ্ট দিচ্ছিল।
কবীরঃ look ira আমারও ভালো লাগছে না আমিও বাড়ি ফিরে যাচ্ছি bye. বলে কবীর ওখান থেকে গাড়ী নিয়ে বেড়িয়ে যায়।
ইরাঃ যাক বাবা মিশাও চলে গেল কবীরও চলে গেল শবনমও গায়েব আর পাখি দিও ক্লাস করছে এখন আমি একা একা কি করতাম।?? এখন বুঝতে পারছি যে বয়ফ্রেন্ড কতটা গুরুত্ব পূর্ন। উফফ আমি সিঙ্গেল কেন। যদি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স এর মতো ইমার্জেন্সি বয়ফ্রেন্ডের অফার দিতো সিম কোম্পানি তাহলে এখন 123 ডায়েল করে একটা ইমার্জেন্সি বয়ফ্রেন্ড ধার করতাম। ??
To be continued……..
#Our_Unknown_Love_Story
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_8 #New_Entry
উফফ আমি সিঙ্গেল কেন। যদি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের এর মতো ইমার্জেন্সি বয়ফ্রেন্ডের অফার দিতো সিম কোম্পানি তাহলে এখন 123 ডায়েল করে একটা ইমার্জেন্সি বয়ফ্রেন্ড ধার করতাম ?আর সিঙ্গেল থেকে মিঙ্গেল হয়ে যেতাম।?উফফ ইরা তুই এতো ব্রিলিয়েন্ট কেন I’m so proud of me ?( কি মেয়েরে বাবা নিজের তারিফ নিজেই করে।? )
ইরা নিজে নিজে বকবক করছিলো হঠাৎ কেউ পেছন থেকে দু হাত দিয়ে ওর চোখ ঢেকে দেয়। আচমকা এমন হওয়ায় ইরা অনেক ভয় পেয়ে যায়। ইরা ভয়ে চিৎকার দেওয়ার আগেই লোকটি ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,,,,,
123 ডায়েল করে ইমার্জেন্সি বয়ফ্রেন্ড ধার করলে সে ধার কী দিয়ে শোধ করতে ইরাবতী??
ইরাবতী নামটি শুনে ইরার আর বুঝতে বাকি রইল না যে লোকটি কে। ইরা নিজের এক পা হাল্কা উঁচু করে হীল দিয়ে জোড়ে লোকটির পায়ে পারা দিয়ে দেয় সাথে সাথে লোকটি ও মা বলে চিৎকার দিয়ে দূরে সরে যায় আর এক পা উঠিয়ে লাফাতে লাফাতে বলতে থাকে,,,,,
উফফ ইরাবতী তুই আস্ত একটা চুরেল এভাবে কেউ নিজের হবু বর কে ব্যথা দেয় ভাব যদি আমি পঙ্গু হয়ে যাই তাহলে সবাই আমাকে মিস্টার পঙ্গু পুলক খান বলবে আর তোকে মিসেস ইরা পঙ্গু পুলক খান। বলে পুলক জোড়ে জোড়ে হাসতে থাকে।
( নাম পুলক খান। গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ। হাইট 5.8। বাবা শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। ইরাদের ছোট বেলার বন্ধু প্লাস ওদের ক্লাস মেট। ইরাকে অনেক ভালোবাসে।)
পুলককে হাসতে দেখে ইরা আরো বেশী রেগে যায়। আর ওর সামনে গিয়ে ওকে ইচ্ছা মতো কিল ঘুষি দেওয়া শুরু করে আর বলতে থাকে ,,,,,, এ ভাবে ধার শোধ করবো। ? পুলককে মারতে মারতে।
পুলকঃ আরে কুল ডাউন ইরাবতী দা চুরেল। এভাবে মারলে তো মে আল্লাহ কো পেয়ারা হো জায়ুঙ্গা। আর তুই বিয়ের আগেই বিধবা হয়ে যাবি।
ইরাঃ মরে যা তুই। আর পুলকের বাচ্চা কত বার বলছি আমার নাম ইরা আমাকে ইরাবতী বলবি না I don’t like this. আর তোকে বিয়ে করতে তো আমার বয়েই গেছে। তোর এই চামচিকার মতো ফেস নিয়ে দূর হ আমার সামনে থেকে। পুলকের কাছ থেকে কিছুটা দুরে সরে গিয়ে দাড়ালো ইরা।
পুলক বুঝতে পেরেছে যে ইরার অভিমান হয়ছে। তাই ইরার সামনে গিয়ে ওর গালে দু হাত দিয়ে বলতে থাকে,,,,,
পুলকঃ স্যরি ইরাবতী। অনেক ইম্পরটেন্ট কাজ ছিলো তাই আর্জেন্ট কানাডা যেতে হয়েছিল। কিন্তু ওখানে গিয়ে তোকে কত কল করেছি কিন্তু আপনি আমার একটা কলেরও আন্সার দেন নি। অভিমান আর রাগ তো আমার করার দরকার কিন্তু এখানে তো উল্টা আপনি রেগে আছেন।
ইরাঃ রাগবো নাতো কি তোর পূজা করবো। আমাকে একবার বলে গেলে কি আমি আটকে রাখতাম। ( নাক ফুলিয়ে কথা গুলি বলল ইরা।)
পুলকঃ ওকে বাবা স্যরি। এই নে কান ধরছি এখন তো মাফ করবি।
ইরা মুচকি হেসে হুম বলেই পুলককে জড়িয়ে ধরলো। আর পুলকও ওর ইরাবতীকে অনেক জোড়ে জড়িয়ে ধরলো।
এইদিকে,,,,,
পাখির ক্লাস শেষ করে সবাইকে খুজ্জে।
পাখিঃ উফফ এই ইরা শবনম কবীর মিশা সব কোথায়। একটাকেও দেখছি না কখন থেকে
খুঁজছি অসহ্য।
হাটতে হাটতে হঠাৎ পাখি কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে যায় লোকটি নিচে আর পাখি তার উপরে। পাখির চুল সব সামনে এসে পরায় ছেলেটির মুখ ঢেকে গেছে। আসে পাশের সবাই হা হয়ে ওদের কান্ড দেখছে আবার অনেকে মুখ টিপে টিপে হাসছে।
পাখি বুঝতে পেরে ধরফরিয়ে ছেলেটির উপর থেকে উঠে যায়। পাখি উঠে যেতেই ছেলেটিও উঠে দাঁড়ালো পাখির সামনে।পাখি তো ছেলেটিকে দেখে পুরাই ক্রাশ খায়।
( গায়ের রং ফর্সা হাইট 5.9 চুল গুলো হাল্কা ব্রাউন কালার আর সিল্কি পরনে রেড জিন্স হোয়াইট টি শার্ট আর রেড জেকেট। )
ছেলেটিকে দেখে ক্রাশ খেলেও পাখি তাকে বুঝতে দিলো না। হঠাৎ ছেলেটি বলা শুরু করল,,,,
ছেলেটিঃ Excuse me আপনারা মেয়েরা কি চোখ বাসায় রেখে আসেন। দেখে চলতে পারেন না। ভাল তো যে আমি ছিলাম ( ভাব দেখিয়ে) আমার যায়গায় অন্য কেউ হলে আপনার ভারে এতক্ষণে স্বর্গের টিকেট কেটে ফেলতো miss moti. ?
ছেলেটির কথা শুনে পাখির রাগ চরমে পৌছে যায়। ছেলেটি ওকে ভারী বলেছে আবার মোটিও। পাখি সামনে গিয়ে ছেলেটির কলার ধরে বলতে থাকে,,,,,
পাখিঃ How dare you call me moti.do you know who I am ?
ছেলেটিঃ ডেয়ারের তো এখনো কিছুই দেখো নি। এই আকাশ আহমেদ কি জিনিস আস্তে আস্তে জানবে। বলে আচমকা পাখির গালে কিস করে গুনগুন করতে করতে চলে যায়।
আর পাখি আকাশের কান্ড দেখে ফ্রিজ্ড হয়ে যায়।
আকাশের কাজে পাখি পুরো স্তব্ধ হয়ে গেছে। রাগে দুঃখে ওর হাত পা কাপছে।
পাখিঃ ছেলেটার সাহস কত বড় আমাকে টাচ করার। আজ পর্যন্ত কোনো ছেলেকে আমি আমার কাছে আসতে দেই নি আর এই ছেলে,,, তোমাকে আমি দেখে নিবো আকাশ আহমেদ। পাখি চৌধুরীর সাথে পাঙ্গা নেওয়ার ফল তুমি পাবে মি. আকাশ আহমেদ,,,, just wait and watch. পাখি মনে মনে কথা গুলো ভাবছিলো ফোনের রিংটোনে ওর ধ্যান ভাঙ্গলো। স্কৃনে চাচু লেখা ভেসে উঠেছে। মুচকি হেসে কলটা রিসিভ করলো পাখি।
লাইব্রেরীতে,,,,,,,,
আধারকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে শবনমের হাত থেকে সব গুলো বই পরে যায়। আর ও মনে মনে ভাবতে,,,, আব তেরা কেয়া হোগা কালিয়া থুক্কু শবনম।??
আধার শবনমের সামনে এসে দাঁড়ালো,,,,
আধারঃ তো মিস শবনম কি যেন বলছিলেন,,,, আমি মিস্টার উগান্ডা, উগান্ডার প্রেসিডেন্ট আধার রেজওয়ান, আমার শাকাল হিরো ওয়ালি অর কাম ভিলেন যেসে, আমার থেকে ওই কালু ওবামা অনেক সুন্দর তাইনা ( দাতে দাত চেপে বলল আধার কথা গুলো )?
কথা গুলো বলতে বলতে আধার শবনমের দিকে এগোচ্ছিলো আর শবনম পিছাচ্ছিলো। পিছাতে পিছাতে শবনম দেওয়ালের সাথে লেগে যায়। আর আধার ওর একদম কাছে চলে আসে।
শবনম তো ভয়ে শেষ,,, বেচারীর ভয়ে কেঁদে দেওয়ার উপক্রম। ওর অবস্থা দেখে আধারের খুব মজা লাগছিলো। তাই ওকে আর একটু ভয় দেখানোর জন্য আধার বলল,,,,,
আধারঃ মিস শবনম আমি ভেবেছিলাম আপনি একা একা এতো গুলো বই কিভাবে তুলবেন তাই আপনার হেল্প করার জন্য এসেছিলাম।
শবনমঃ রিয়েলি আধার আপনি আমার হেল্প করার জন্য এসেছেন । অনেকটা খুশি হয়ে কথাটা বলল শবনম।
আধারঃ হুম হেল্প করার কথা ভাবছিলাম বাট নাও আপনাকে শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবছি।?
শাস্তির কথা শুনে শবনমের চেহারা ভয়ে চুপসে যায়,,,,
শবনমঃ শা শাস্তি ক কিন্তু কিসের আমি তো ক কিছুই করি নি তো আধার।?
আধারঃ ওহ রিয়েলি এতক্ষণ কি বকবক করছিলেন তাকি ভুলে গেছেন।?
শবনম কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। তার পরেও ভয়ে ভয়ে বলল,,, কি শাস্তি আধার।
এই শাস্তি,,,,বলে আধার শবনমের দিকে আস্তে আস্তে ঝুঁকছিল। আর শবনমের তো ভয়ে হার্ট ফেইল করার উপক্রম হয়ে গেছে। আধার যত কাছে আসছে শবনমের হার্ট বিট ততই ফাস্ট হচ্ছে।
কোন উপায় না পেয়ে শবনম প্রিন্সিপাল স্যার বলে চিৎকার দেয় আর আধার সাথে সাথে ওর থেকে কিছুটা দূরে সরে দাঁড়ায়।আর আসে পাশে তাকিয়ে দেখে প্রিন্সিপাল নেই।
আধার দূরে সরে যেতেই সেই সুযোগে শবনম দৌরে লাইব্রেরির বাইরে চলে যায়,, আর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বলে,,,,,,
শবনমঃ অধরা রায়হান শবনমকে শাস্তি দেওয়া এতো সহজ না মি.আধার রেজওয়ান ?� and also এখন এই সবগুলো বুক আপনি তুলবেন তাও একা। ?আমি গেলাম টাটা ?বলে দৌড়ে ওখান থেকে চলে যায়।
আধার ওর যাওয়ার দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে থেকে নিজে নিজেই হেসে দেয় ,,,,
আধারঃ তোমাকে আমার থেকে ভালো করে কেউই জানে না তুমি নিজেও না স্নো হোয়াইট। তুমি হয়তো আমাকে ভুলে গেছ কিন্তু আমি না কখনো তোমাকে ভুলেছি আর না কখনো ভুলবো। রক্তের সাথে মিশে আছো তুমি তোমায় কিভাবে ভুলি বলোতো। আর এই টুকু কাজ করতে আমার এক সেকেন্ড সময়ও লাগবে না স্নো হোয়াইট।
আধার চোখ বন্ধ করে নিজের দু হাত তুলে কিছু বলে,,,আর সাথে সাথে সব গুলো বই হাওয়াতে উঠে যায় আধার চোখ খুলে আঙ্গুল নারাতেই সব বই নিজের পজিশনের শেল্ফে চলে যায়। আর আধার শিশ বাজাতে বাজাতে লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে যায়।
এইদিকে,,,,,
শবনম লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে কলেজের বাইরে একটা বড় গাছ আছে যেখানে ওরা সবাই বসে আড্ডা দেয় ওখানে গিয়ে হাসতে হাসতে বসে পরে,,,,
শবনমঃ OMG Shabnam তুই আধার রেজওয়ান কে বোকা বানালি seriously I’m so proud of me ??বেচারা এখনও বসে বসে বই কুড়াচ্ছে মনে হয়। হ্হ আমাকে শাস্তি দিতে এসে ছিলো এখন নিজেই শাস্তি পাচ্ছে,,,,, বলে আবারো জোড়ে জোড়ে হেসে দিলো।
পাখি এসে দেখে শবনম বসে নিজে নিজেই হাসছে।
পাখিঃ Why are you laughing like that Shabnam. শবনমের সামনে এসে দাড়িয়ে।
হঠাৎ পাখির কথায় হচকিয়ে যায় শবনম।
শবনমঃ পাখি দি তুমি এখানে। ?
পাখিঃ হুমম তোমাদের খুজতে খুজতে এখানে এলাম আর শবনম তুমি এভাবে হাসছো কেন tell me.
পাখিকে কি জবাব দিবে ভেবে পাচ্ছে না শবনম। সত্যি বললে যদি আবার সবাই অন্য কিছু ভাবে। তাই কথা ঘুরিয়ে শবনম বলল,,,,
শবনমঃ Actually পাখি দি ফেসবুকে একটা জোক দেখে হাসছিলাম আর কি।?
পাখিঃ ওহ তো তোমার দিন কেমন কাটলো
শবনমঃ অন্নেক ভালো আর তোমার।
হঠাৎ পাখির আকাশের কথা মনে পরে গেল। কিন্তু এ কথা কাওকে বলা যাবে না নাহলে ওকেই লজ্জায় পরতে হবে। তাই কথা ঘুরিয়ে পাখি বলল,,,,
পাখিঃ শবনম বাকিরা কোথায়। মিশা কবীর ইরা কাওকেই তো দেখতে পাচ্ছি না।
শবনমঃ জানি না পাখি দি।
এর মধ্যে ইরা আর পুলক ওদের সামনে এসে দাঁড়ালো। পুলক এসে পাখিকে জড়িয়ে ধরলো।
পুলকঃ How are you Di. অনেক মিস করেছি তোদের।
পাখিঃ আমিও তোকে অনেক মিস করেছি। কবে এলি।
পুলকঃ আজকে সকালে। BTW who’s she শবনমকে দেখিয়ে।
পাখিঃ ও আমাদের নিউ ফ্রেন্ড শবনম।
শবনম নামটা শুনে পুলকের চোখে পানি চলে আসে। মায়াভরা চাহনিতে শবনমের দিকে তাকায় ও। নিজেকে সামলে নিয়ে শবনমের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে ওর দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় পুলক।
পুলকঃ হায় আমি পুলক।
শবনমঃ হায় আমি শবনম।
পুলকঃ you know what Shabnam আমার ছোট বেলায় একটা প্রিন্সেস ছিল তার নামও শবনম ছিল। সেও তোমার মতো এতো কিউট ছিল। তাই তাকে আমরা স্নো হোয়াইট বলে ডাকতাম।
তোমাকে দেখে আজ সেই ছোট বেলার স্নো হোয়াইট এর কথা মনে পরে গেল।
To be continued……
Eto din #Unknown_Love_Story_ Cholce ekhon theke start hobe #College_Love.
Adhar❤Shabnam
Misha❤Kabir
Pakhi❤Akash
Ira❤Pulok