Our_Unknown_Love_Story,17,18

0
990

#Our_Unknown_Love_Story,17,18
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_17

হোস্টেলে এসেই ওয়াশ রুমে ঢুকে পরলো শবনম। শাওয়ার অন করে ওটার নিচে হাটু ভাজ করে বসে পরলো ও। চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে ওর। কিন্তু সেই শক্তিটুকুও নেই ওর মাঝে। শরীর যেন অবশ হয়ে গেছে। হৃদয়টা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে ওর। মনে হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে দামী ও কাছের মানুষটিকে হারিয়ে ফেলেছে। নিরবে শুধু চোখের পানি ফেলছে ও। হঠাৎ জোড়ে কান্না করে দেয় শবনম আর চিৎকার করে বলতে থাকে,,,,

শবনমঃ কেন হয় আমার সাথে বারবার এমন। কেন আল্লাহ প্রত্যেকবার আমার কাছ থেকে আমার প্রিয় জিনিস ছিনিয়ে নাও।??

ছোট বেলা থেকেই শুধু কষ্টই পেয়েছি । এতো ছোট বয়সে মাকে হারিয়েছি। বাবা থাকতেও অনাথ আশ্রমে বড় হয়েছি। ধ্রুবকে বিশ্বাস করেছিলাম ও ও আমাকে ধোকা দিলো। এতো বছর পর যখন নতুন করে কাওকে ভালবাসতে চেয়েছি তার সাথে জীবন কাটাতে চেয়েছি সেও আমার কাছ থেকে দূরে সরে গেল। why Allah why are you do this always to me. ?

আমি আধারকে হারাতে চাই না। প্লিজ ওকে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিও না। ওর মাঝে আমি আমার বেঁচে থাকার কারন খুঁজে পেয়েছি। I don’t want to lose him. আমি মরে যাবো ওকে ছাড়া। ( কান্না করতে করতে)

In USA Science Lab……..

কিছু পেপার চেক করেছিলেন আসিফ চৌধুরী। হঠাৎ করে বুকটা মোচড় দিয়ে উঠে তার।চোখের কোন দিয়ে অটোমেটিককি দুই ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে। বুকে চিনচিন ব্যথা অনুভব করছেন তিনি।

আসিফ চৌধুরীঃ এটা কি হচ্ছে। মনে হচ্ছে অনেক আপন কেউ কষ্টে আছে। কিন্তু এমনতো আগে কখনো অনুভব হয় নি। আমার মন কার জন্য ব্যথা অনুভব করছে। ( হাত দিয়ে চোখের পানি ধরে ভাবছেন আসিফ চৌধুরী )

দরজা খোলার আওয়াজে পিছনে ফিরলেন তিনি।

অজানাঃ Mr Asif are you alright. রুমে ঢুকতে ঢুকতে ।

আসিফঃ Yeah Mr John Cena I’m absolutely alright.

( John Cena একজন foreigner scientist. আসিফ চৌধুরীর সাথে vampires ,werewolf আর বিভিন্ন ধরনের হিংস্র জানোয়ারদের নিয়ে রিসার্চ করেন)

John Cena: Asif look at the file. We have to stop them. Otherwise they will destroy the whole country. একটা ফাইল এগিয়ে দিয়ে অনেকটা চিন্তিত হয়ে।

আসিস ফাইল গুলো ভালোভাবে দেখে বলতে শুরু করল,,,, everything is ready now it’s time for return Bangladesh.

In Bangladesh,,,,,,

অনেকক্ষণ ভিজার পর শবনম ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসে। চোখ মুখ ফুলে গেছে কান্না করতে করতে। চোখ আর ফর্সা গাল লাল হয়ে গেছে ওর।

এসেই ধপ করে বিছানায় দু হাত দিয়ে মাথা চেপে বসে পরলো ও। অনেক্ষণ ভিজার ফলে প্রচন্ড রকমের মাথা ব্যথা করছে ওর। তবুও এই কষ্ট ওর কাছে কিছুই মনে হচ্ছে না। শবনম শুধু আধারের কথাই ভাবছে। চোখ দিয়ে এখনও পানি পরছে থামার নামই নিচ্ছে না। ফোনের রিংটোনের আওয়াজে মাথা তুললো ও। ফোন হাতে নিয়ে দেখে পুলক কল দিচ্ছে।শবনম কলটা রিসিভ করতেই পুলক বলতে শুরু করল,,,,,,

পুলকঃ হ্য হ্যালো শবনম are you alright. আর কোথায় তুমি।

অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নরমাল হয়ে বলল শবনম,,,,

শবনমঃ আব actually পুলক ভাইয়া আমার মাথা ব্যাথা করছিলো তাই হোস্টেলে চলে এসেছি।

পুলকঃ what মাথা ব্যথা anything serious আমি আসবো।

শবনমঃ আরে না মেডিসিন নিয়েছি একটু রেস্ট করলেই I’ll be fine.

পুলকঃ ওহ ওকে তুমি রেস্ট করো আর কিছু লাগলে কল করো ওকে।

শবনমঃ ওকে। বলেই কলটা কেটে দেয়।

ফোনের দিকে তাকিয়ে শবনম আবার কান্না করে দেয় আর বলে,,,,

শবনমঃ অনেক সময় আপন ও পর হয়ে যায় আর অনেক সময় পর ও আপন হয়ে যায়। এদের সবাইকে পাওয়ার পর এমন লাগছে যে এরা আমারই আপন কেউ। কিন্তু আমার নিজের বাবাই আমাকে পর করে দিয়েছে। আর তো বন্ধুই।

শবনম গলা থেকে লকেটটা নামিয়ে হাতে নিলো। তার পর লকেটটা খুললো। লকেটে দুটো ছবি দেওয়া একটা ওর মায়ের আরেকটা ওর বাবার। লকেটটা নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো শবনম,,,,,

শবনমঃ I miss you babai. বাবাই আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি please আমাকে নিজের সাথে নিয়ে যাও। আমি আর একা থাকতে পারছি না বাবাই। I really love you babai please come back.

এইদিকে,,,,,, অন্ধকার রুমটিতে বসে আছে আধার চোখ দুটো লাল রক্ত বর্ণ ধারন করেছে। ডান হাত দিয়ে একটা ধারালো অস্ত্র চেপে রেখেছে ও। যার কারনে হার দিয়ে টপটপ করে রক্ত পরছে।

আধারঃ কিভাবে পারলাম তোমাকে কষ্ট দিতে আমি শবনম how. যাকে নিজের জীবনের থেকেও বেশী ভালবাসি তাকেই এতো বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলি। তোমার ভালবাসার যোগ্য না আমি শবনম I don’t deserve your love. ??বলে অনেক জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলো আধার। ওর চিৎকারে যেন সব কিছু স্তব্ধ হয়ে গেছে।ওর এই গর্জনে চারিপাশ যেন আরো নিরব আর ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। হঠাৎ কাধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে পিছনে ফিরে আধার। মাহিরা দাঁড়িয়ে আছে ওর চোখ দুটো ছলছল করছে। মাহিরা এসে আধারের পাশে বসলো আর বলল,,,,,

মাহিরাঃ এতো ভালোবাসো তাহলে কেন নিজেকে ওর থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছো।

মাহিরার কথায় আধার একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো তার পর বলতে শুরু করল,,,,,

আধারঃ তুমি যানো ও একজন সাধারণ মানুষ। আর আমি,,,,,, আমার অস্তিত্ব সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের এক হওয়া অসম্ভব। আমাদের দুনিয়া আলাদা। ওর জীবন রং দিয়ে সাজানো আর আমার অন্ধকার দিয়ে। আমি আর ও কখনো এক হতে পারবো না। তারপরেও আমি শুধু ওকেই ভালো বাসবো। জানি না কখনো প্রকাশ করতে পারবো কিনা,,,,,নাকি #Our_Unknown_Love_Story #Unknown ই রয়ে যাবে,,,,,,,তবুও_আমি_দূর_থেকেই_ভালোবাসবো
আর শুধু ওকেই ভালোবাসবো। ( স্থির কন্ঠে)

মাহিরাঃ আচ্ছা আধার তুমি একদিন বলেছিলে তোমার আগের জীবন সম্পর্কে তোমার #Unknown_Story আমাকে বলবে আজ আমি শুনতে চাই,,,, কি বলবে আমাকে।

আধারঃ হুম বলে আধার চোখ বন্ধ করে ফেললো। তারপর বলতে শুরু করল,,,,,,

আধারঃ আমার বাবা ও শবনমের বাবা ছোট বেলার বন্ধু ছিলেন। তার সাথে অনেক বড় Scientist ও। শবনম আমি পুলক ছোট থেকে একসাথে বড় হয়েছিলাম। পুলক শবনমের মামাতো ভাই। ওর মা ওর জন্মের সময়ই মারা গিয়েছিলেন। আর ওর বাবা ব্যবসায়ের জন্য বেশি সময় বিদেশে থাকতেন। তাই শবনমের মা পুলকের দায়িত্ব নেন। পুলক শবনমকে নিজের বোনের মত ভালোবাসতো। আর শবনমও ওকে নিজের বড় ভাই মানতো।আমি শবনমকে সেই ছোটবেলা থেকেই ভালবাসতাম। আমার আর পুলকের জান ছিল শবনম। শুধু আমাদের না পুরো পরিবারের খুশির কারন ছিল ও। আমরা ওকে Snow White বলতাম আর আঙ্কেল ও। আমাদের লাইফে অনেক হ্যাপি ছিলাম আমরা। হঠাৎ একদিন কি নিয়ে যেন আঙ্কেল আন্টির মধ্যে ঝগড়া হয় আর আন্টি শবনমকে নিয়ে কোথাও চলে যান। আমরা তাদের অনেক খুজি কিন্তু পাই নি। আঙ্কেল পুলক আর আমি সম্পূর্ণ রূপে ভেঙ্গে পড়ি। প্রায় দেড় মাস চলে যায় আমরা তাদের খোঁজ পাই নি কিন্তু তারপরেও হার মানি নি।

এর কিছু মাস পরে আমরা জানতে পারি যে আঙ্কেলের জন্য মায়া আন্টি আমাদের ছেড়ে দূরে চলে গেছেন। You don’t know সেদিন থেকে আসিফ আঙ্কেলের প্রতি আমার মনে ঘৃণা জমে যায়। I’ve started to hate him. হঠাৎ মায়া আন্টির ভাই এসে বলেন যে আন্টি আর শবনম একটা Plane crushe এ মারা গেছে। সবাই ওনার কথা বিশ্বাস করলেও আমি করিনি।

আমি জানতাম আমার ভালবাসা আমার কাছ থেকে দূরে যেতে পারে না। তাই সবাই হার মানলেও আমি তাদের খোঁজ চালিয়ে গেছি।

কিছু দিন পরে আমার মম ড্যাডের car accident হয় and they die…

এখানে আমার কেউ ছিল না। তাই আমার মামা আমাকে আমেরিকা নিয়ে যান। এভাবে 12 বছর কেটে যায়। আমি আমেরিকাতে নিজের লাইফ নিয়ে অনেক ফুর্তিতে ছিলাম। ফ্রেন্ডস, ক্লাব, পার্টি, এসব ছিল আমার জীবন। foreign এর প্রায় সব মেয়েরাই আমার জন্য পাগল ছিলো কিন্তু আমি পাগল ছিলাম আমার snow-white এর জন্য। এক মুহূর্তের জন্যও আমি ওকে ভুলি নি। আমার হৃদয় থেকে শবনমের নাম না কখনো মুছেছে আর না মুছবে। আমি শবনমকে খোজার জন্য বাংলাদেশে গার্ডস হায়ার করেছিলাম।

তাদের মাধ্যমে আমি জানতে পারি যে মায়া আন্টি ক্যান্সারে মারা গেছে আর শবনমকে ওর মামা একটা অনাথ আশ্রমে রেখে আসেন। এটা জানার পর আমি খুশি হবো নাকি কষ্ট পাবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। শবনমকে পেয়েছি তার জন্য খুশি হবো নাকি আমার ভালবাসার মানুষটি এতো দিন একা এতো কষ্ট করেছে তার জন্য ব্যথা অনুভব করবো।

আমি সেদিনই বাংলাদেশের চলে আসি। অনেক খুশি ছিলাম এতো বছর পরে ওকে দেখবো। ও দেখতে কেমন,,,, আমার কথা কি ওর মনে আছে,,, ওর সাথে দেখা হলে কিভাবে কথা শুরু করবো,,,,, এসব ভাবতে ভাবতে অনেক স্পীডে গাড়ি চালাচ্ছিলাম,,,, হঠাৎ একটা ট্রাক গাড়ির সামনে চলে আসে,, গাড়ি কন্ট্রোল করতে না পারায় accident হয়ে যায়। জঙ্গলে ছিটকে পরে আমার শরীর। চোখ আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো। মনে হচ্ছিল ওকে দেখার ইচ্ছা কখনো পূরন হবে না। আল্লাহর কাছে একটা শেষ সুযোগ চাচ্ছিলাম। আস্তে আস্তে আমার চোখ বন্ধ হয়ে যায়। ( কথা গুলো বলে আধার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো,,, তার পর চোখ খুলে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো,,,)

আধারঃ তার পর তো তুমি জানোই আমি কিভাবে নতুন জীবন পেলাম। আধারের চোখ দুটো অসম্ভব লাল হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে রক্ত বের হবে।

আধারের কথা গুলো শুনে মাহিরার চোখে পানি চলে এসেছে,,,,

মাহিরাঃ অনেক ভালোবাসো শবনমকে তাই না,,

আধারঃ More than anything…..

মাহিরাঃ তাহলে ওকে বলে দাও আধার সব কিছু। আমি ওর চোখে তোমার জন্য সেই ভালোবাসা আর সেই কষ্ট দেখেছি যা আমি তোমার চোখে প্রতি নিয়ত দেখি।

আধারঃ stop Mahira. you know that’s not possible… আমি মানুষ নই ও যদি আমার অস্তিত্ব সম্বন্ধে জানে তাহলে ঘৃণা করবে আমাকে।যার চোখে ভালোবাসা দেখতে চাই তার চোখে ঘৃণা সহ্য করতে পারবো না।আমার জন্য ওর জীবনের ঝুঁকি বাড়বে। she is not safe with me.

মাহিরাঃ But she loves you,,,

আধারঃ জানি,, তাইতো তোমার সাথে ওই নাটকটা করলাম। এখন ও আমার কাছ থেকে দূরে দূরে থাকবে। ও ভাববে আমি ওকে ধোকা দিয়েছি। she’ll started hating me.. আর এটাই আমি চাই।

মাহিরাঃ পারবে ওকে কষ্টে রাখতে আর নিজে কষ্টে থাকতে,,, আধারের কাধে হাত রেখে।

আধারঃ আমাকে পারতে হবে। আর ওর জন্য কেউ না কেউ অবশ্যই আসবে। যে ওকে অনেক ভালোবাসবে যে ওর জন্য পারফেক্ট হবে। কিন্তু সেই মানুষটি আমি না।

কথা গুলো বলে আধার রুম থেকে বের হয়ে যায়। মাহিরা আধারের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,,,,

মাহিরাঃ পারবে না আধার ওর কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে। তোমার ভালোবাসার গভীরতা অনেক। তুমি ওকে নিজের থেকে যত দূরে সরাতে চাইবে আল্লাহ তোমাদের ততই একে অপরের কাছে নিয়ে আসবে। Because your destiny is connected with each other. Your heart is connected with each other.

In Morning,,,,,

The College,,,,,,

শবনম মিশাদের সাথে ক্যাম্পাসে বসে আছে। কিন্তু ওর মন আধারের কাছে। বারবার আসে পাশে চোখ বুলিয়ে দেখছে আধার এসেছে কিনা। মিশা শবনমকে অনেক্ষণ যাবৎ পর্যবেক্ষণ করছে। মিশা খেয়াল করলো শবনম মনমরা হয়ে বসে আছে আর কাওকে খুজছে।

মিশাঃ শবনম Are you alright..

শবনমঃ Yeah Misha I’m OK. আমার কি হবে। ( জোড় করে হাসার চেষ্টা করে।)

মিশা বুঝতে পারছে যে শবনম কিছু লুকাচ্ছে,,

মিশাঃ আব গাইজ আমারনা কিছু নোটস লাগবে আমি আর শবনম গিয়ে নিয়ে আসি,, পরে তোদের জয়েন করবো।

কবীরঃ আমিও আসি।

মিশাঃ no চুপচাপ বসে থাক। চল শবনম,,,

শবনম আর মিশা চলে গেল,,

আকাশঃ আহারে বেচারা কবীর যখন মিশা ফ্রেন্ড ছিল তখনো তুই করেই বলতো আর এখন গার্লফ্রেন্ড এখনো তুই করেই বলে।কি ভাগ্য।?

কবীরঃ ?এখানে হাসার কি হলো।?

পুলকঃ আমারো same problem yaar ?�ইরার দিকে তাকিয়ে।

ইরাঃ ওহ তাহলে এতোই যখন তোর problem then break up with you বলে ইরা চলে গেল।

পুলকঃ এইরে ইরাবতী রেগে গেছে। wait janu baby বলে ইরার পিছু পিছু দৌড়ে গেল।

কবীরঃ আমি একটা কল করে আসছি।

এতক্ষণ সব চুপচাপ দেখছিলো পাখি কবীর যেতেই বলতে শুরু করল…..

পাখিঃ তুমি আসলেই একটা চুগল খোর। শুধু শুধু ওদের মাঝে ঝগড়া বাধিয়ে দিলে কেন।?

আকাশঃ বেবী ওটা বাদ দাও আর শোনো,,,,বিয়ের আগে তুই করে বলো সমস্যা নাই কিন্তু বিয়ের পর বললে খবর আছে,,,?

পাখিঃ বিয়ে কার বিয়ে ?

আকাশঃ কেন আমাদের।?বলে আকাশ উঠে চলে গেলো।

Pakhi shocked ?Aakash rocked ?

To be continued……….

#Our_Unknown_Love_Story
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_18

মিশা শবনমকে নিয়ে একটা খালি জায়গায় যায়,,,

শবনমঃ মিশ আমরা এখানে এসেছি কেন তুমিনা লাইব্রেরী থেকে নোট্স নিবে,,

মিশাঃ তখন মিথ্যা বলেছিলাম।

শবনমঃ But why…

মিশাঃ কারন আমার লাগছিলো তোর সাথে parsenaly কথা বলা দরকার।

শবনমঃ কি কথা??

মিশাঃ তোর কি হয়েছে,,,, দেখ দোস্ত একদম মিথ্যা বলার ট্রাই করবি না। I’m your friend you can trust me. কখন থেকে দেখছি তুই কেমন weird behave করছিস। plz tell me what happened to you.

মিশার কথায় শবনম মাথা নিচু করে চোখের পানি ফেলছে,,,

মিশাঃ look yaar তুই আমার অনেক সাহায্য করেছিস plz বল কি হয়েছে। I’ll try my best to help you. ( শবনমের কাধে হাত রেখে ).

শবনম মাথা তুলে শবনমের দিকে তাকালো,,, তারপর ওকে সব বলল,,, মিশা shocked হয়ে শবনমের কথা শুনছে,,, শবনমের কথা শেষ হতেই মিশা বলতে শুরু করল,,,,

মিশাঃ that means you loves Aadhar. ?

শবনম মাথা নিচু করে বলল,,,, yes….

মিশাঃ এতো কিছু হয়ে গেল আর আমরা টের ও পেলাম না strange.

তুমিতো সবসময় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকো এতো কিছু টের পাবার সময় তোমার কোথায়। পেছন থেকে কবীর বলে উঠলো।

কবীরঃ আমিতো সেই প্রথম দিন থেকেই ওদের কেমিস্ট্রি বুঝতে পেরেছিলাম। (ওদের সামনে এসে দাঁড়িয়ে)

মিশাঃ তাহলে বলিসনি কেন আগে।?

কবীরঃ আব আমি ভেবেছিলাম আগে আমাদের কেমিস্ট্রি ক্লিন করি দেন ওদের টা দেখবো।?
আমি কি জানতাম যে এতো কিছু হয়ে যাবে।?

মিশাঃহহ্যাঁ তোর মাথায় ব্রেন থাকলে তো ভাববি।গাধা হাঁদারাম কোথাকার।?

কবীরঃ দেখ মিশা বারবার কিন্তু তোর জন্য ইনসাল্ট হতে হয়। তাই তুই তকারি বন্ধ কর I’m now your boyfriend. Respect করা শিখ।?

মিশাঃ ইশশ আসছে respect নিতে তোকে তো তুই করেই বলবো। তুই তুই তুই (চেঁচিয়ে)

শবনম খেয়াল করলো মিশা কবীর ঝগড়া লেগে যাচ্ছে তাই ওদের থামার চেষ্টা করছে,,, কিন্তু ওরা থামছে না তা দেখে শবনম অনেক জোরে একটা চিৎকার দিলো সাথে সাথে ওরা চুপ হয়ে গেল,,,,

শবনমঃ guys please stop fighting like this.

মিশা কবীরঃ sorryy. ??

কবীরঃ মিশা আমাদের কিছু করা দরকার।

মিশাঃ হুম প্রথম বার কিছু ব্রেন খাটিয়ে বললি।

কবীরঃ ????

শবনমঃ no guys এমন কিছু করা দরকার নেই। আধার doesn’t love me. ওর এঙ্গেজমেন্ট হয়ে গেছে। ও অন্য কাওকে ভালোবাসে। আর আমি চাই না আমার জন্য ওর ভালবাসা ওর কাছ থেকে দূরে সরে যাক। বরং আমিই এখান থেকে চলে যাবো।

মিশা কবীরঃ what..

তুমিই তো ওর প্রথম ও শেষ ভালোবাসা তাহলে ওর কাছ থেকে দূরে কেন যেতে চাও। পেছন থেকে কেউ বলে উঠলো। ওরা পিছনে তাকিয়ে দেখে মাহিরা কথা গুলো বলে ওদের কাছে এসে দাঁড়ালো। শবনম মাহিরাকে চিনে। কিন্তু কবীর মিশা চিনে না তাই মিশা ওকে জিজ্ঞেস করল,,,

মিশাঃ who are you…

মাহিরাঃ যাকে শবনম আধারের গার্ল ফ্রেন্ড ভাবে।

শবনমঃ হ্যাঁ কারন আধারই তো বলল,, that you are his fiancee

মাহিরাঃ মিথ্যা বলেছে। ওতো তোমাকে আর শুধু তোমাকেই ভালোবাসে।

শবনমঃতাহলে উনি কেন বললেন যে আপনি ওনার হবু বউ।

মাহিরাঃ তোমাকে নিজের থেকে দূরে সরাতে।

শবনমঃ কিন্তু কেন।

মিশাঃ এটা আবার কেমন ভালোবাসা কাছে আনার বদলে যা দূরে সরিয়ে দেয়।

মাহিরাঃ এটা আধারের #Unknown_Love
এটা বোঝার ক্ষমতা কারো নেই শবনম ছাড়া।

শবনমঃ আপনি সত্যি বলছেন আধার আমাকে ভালোবাসে ।(অনেকটা খুশি হয়ে মাহিরার হাত ধরে। )

মাহিরাঃ yes Shabnam he madely loves you

শবনমঃ তাহলে আমাকে নিজে থেকে দূরে সরাতে চায় কেন কেন বলে না that he loves me. (মাহিরার হাত ছেড়ে দিয়ে)

মাহিরাঃ sorry Shabnam এটার উওর আমি দিতে পারবো না।??

শবনমঃ ওকে দেন আমি ওনার কাছ থেকেই নিজের সব উওর আদায় করে আনবো।??
বলে শবনম যেতে নিলে মাহিরা ওর হাত ধরে আটকায়…..

মাহিরাঃ wait শবনম এটা সঠিক সময় নয়। তোমার আগে আধারের মুখ থেকে ভালোবাসার কথাটা confess করাতে হবে। ওকে স্বীকার করতে বাধ্য করতে হবে যে ও তোমাকে ভালোবাসে।

শবনমঃ কিন্তু কিভাবে।

মিশাঃ কিছু একটা ভাবতে হবে,,,

মাহিরাঃ শবনম আমি যতটুকু আধারকে চিনি ও তোমার পাশে অন্য কাওকে সহ্য করতে পারবে না। তাই আমাদের এমন কাওকে দরকার যে তোমার সাথে ভালোবাসার নাটক করতে রাজি হবে।

মাহিরার কথা শুনে শবনমের সেদিনের কথা মনে পরে গেল যখন কবীরের সাথে দেখে আধার কতটা রেগে গিয়েছিল।শবনম তখনই আধারের ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পেয়েছিলো।

শবনমঃ কিন্তু এমন কাওকে পাবো কোথা থেকে।

কবীর খেয়াল করলো মিশা আর মাহিরা ওর দিকে শয়তানী হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে।?
কবীর ওদের মতলব বুঝতে পেরে বলল,,,,,

কবীরঃ সব সময় বলিকা বকরা আমারই হতে হয়।?

মিশাঃ কবীর বেবী it’s time to prove yourself. দেখি আমার জানুটা কত ভালো acting করতে পারে।?কিন্তু যদি কোন গরবর করো তাহলে আমি কি করবো তোমাকে আমি নিজেও জানি না।??

কবীরঃ এই না না কোন গরবর হবে না।?�আমি অনেক ভালো actor ?

শবনমঃ thanks Kabir but এই প্লান কাজ করবে।

মাহিরা&মিশাঃ100%

কবীরঃ দেন চলো ক্লাসে গিয়ে প্লান অনুযায়ী কাজ শুরু করে দেই। আজকে 3rd নম্বরে আধারের ক্লাস।

মিশাঃ ওহ হ্যাঁ এখনতো ওই টাকলু নানা ভাইয়ের ক্লাস। উফফ কানটা ঝালাপালা করে দেয় টাকলু টা।?

মিশার কথায় সবাই হেসে দেয়।

মাহিরাঃ এখন তোমরা ক্লাসে যাও।

শবনমঃ thanks মাহিরা আপনি না বললে কখনো জানতে পারতাম না যে আধার আমায় ভালবাসে।মাহিরার হাত ধরে।

মাহিরাঃ আমি আধারকে খুশি দেখতে চাই আর ওর খুশি তোমার মাঝে। go.

শবনমঃ bye.

তারপর সবাই ক্লাসের জন্য চলে যায়।

মাহিরাঃ I’m sorry Aadhar. কিন্তু আমি তোমাকে আর কষ্টে দেখতে পারছি না। তাই আমায় এটা করতে হলো। নিজে নিজে কথা গুলো বলে হাওয়ার বেগে উধাও হয়ে গেল।

In the Class room….

আধার ক্লাসে এসেই পড়ানো শুরু করে দিয়েছে। সেদিনের মত আজও আধার এক পলকের জন্যও শবনমের দিকে তাকায় নি। প্লান অনুযায়ী শমনম আর কবীর অনেক closely behave করছে। কিন্ত এতে আধারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই ওর নিজের মত করে ক্লাস করাচ্ছে আর বারবার শবনম কবীরের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। কবীর বারবার আধারকে দেখিয়ে শবনমের হাত ধরছে। ওর সাথে ঘেঁষে ঘেঁষে কথা বলছে। but Aadhar no reaction. ও নিজের মত করে ক্লাস করে বেড়িয়ে যায়।

শবনম অসহায় ভাবে আর মিশা রাগী চোখে কবীরের দিকে তাকিয়ে আছে। মিশাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে কবীরের গলা শুকিয়ে গেছে,,,, ভিতু গলায় কবীর বলল,,,,

কবীরঃ আব দেখো মিশ বেবি তুমি এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছো জানু,,,,?

মিশাঃ একদম বেবি জানু বলে নেকামি করবি না। সাধারনত একটা নাটক করতে বলছিলাম সেটাও পারলি না useless কোথাকার। আর কি যেন বলছিলি তখন I’m a brilliant actor. Brilliant my foot.

কবীরঃ oh hello mish আমি অনেক ভালো acting করছি ওকে। ওই আধার রেজওয়ানকে আল্লাহ কি দিয়ে বানিয়েছে কে জানে কোন রিয়েকশনি করলো না। ওর যায়গায় যদি আমি থাকতাম আর কেউ মিশার একটুও ক্লোজ আসার ট্রাই করতো তাহলে তার নাক ফাটিয়ে দিতাম।?

মিশাঃ হয়েছে আর চাপাবাজি করতে হবে না। আপনি কি করতে পারেন আমার জানা হয়ে গেছে।??

ওদের ঝগড়া করতে দেখে শবনম ওদের চুপ করানোর জন্যে বলল,,,

শবনমঃ please guys stop fighting like Tom and Jerry. কবীরের কোন দোষ নেই মিশা ওতো ট্রাই করেছে। I think আধার তোর আর কবীরের বিষয়ে জানে তাই কোন রিয়েকশন করে নি। আমাদের অন্য কিছু ভাবা দরকার।

মিশাঃ maybe you are right. এই কাজ করি পাখি দি আর বাকিদের বলে দেখি। সবাই মিলে কোন না কোন পথ বের করে নিবো।

In Parking,,,,,

কিছু ফাইল চেক করতে করতে গাড়ীর দিকে যাচ্ছিলো আধার হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লেগে যায়। পিছনে ফিরে দেখে এটা আর কেউ নয় পুলক।

পুলকঃ Sorry bro খেয়াল করি নি। আধারের দিকে তাকিয়ে। আধারের দিকে তাকাতেই কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে ওর কাছে কিন্তু চিন্তে পারছে না।

পুলককে দেখে আধারের নিজের ছোট বেলার কথা মনে পরতে থাকে। ও পুলককে চিনে কারন বিদেশ যাওয়া সত্যেও ও পুলক আর মি. চৌধুরীর সব খবর রাখতো। কিন্তু পুলক ওকে চিনে কারন আধার এতো বছরে ওর সাথে সরাসরি কোন যোগাযোগ রাখে নি অবশ্যই পুলক অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু আধার ওর সাথেও কোন যোগাযোগ রাখে নি। এতো বছর পর পুলককে দেখে নিজেকে সালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল তারপরও আধার নিজেকে সামলে নেয়।

আধারঃ it’s okay ভুল আমারো ছিল।

পুলকঃ I’m pulok.

আধারঃ I’m Aadhar.( নিজের পুরো নাম বলল না যদি পুলক চিনে ফেলে) এই কলেজের new trusty plus VP.
পুলকঃ actually কিছু দিনের জন্য দেশের বাইরে গিয়েছিলাম তাই হয়তো আপনার সাথে দেখা হয়নি।

আধারঃ তুমি কোন ইয়ার।

পুলকঃ আব ফার্স্ট ইয়ার।

আধারঃ really I think তোমায় দেখে তো 2nd or 3rd year এর student মনে হয়।

পুলকঃ আসলে দুইবার গোল্লায় গেছি তাই আর কি।( মাথা চুলকাতে চুলকাতে)

পুলকের কথা শুনে আধার হেসে দেয়।

পুলকঃ Don’t mind আপনাকে একটা কথা বলি,,

আধারঃ Sure

পুলকঃ আপনাকে কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে। কিন্তু আমার যতটুকু মনে আছে আমাদের কখনো দেখা হয়নি right.

পুলকের কথায় আধার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,,,,

আধারঃ অনেক সময় পরকেও আপন লাগে আর অনেক সময় আপনকেও পর।OK then আবার দেখা হবে আসি। বলে আধার গাড়িতে উঠে চলে গেল। চোখের কোনে পানি টলমল করছে তার। কিন্তু ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি।

আধারের কথার আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারলো না পুলক। তাই এই বিষয়ে আর না ভেবে কলেজের ভিতরে চলে গেলো ও।

In Misha’s House,,,,,,,,

সবাই গোল হয়ে বসে আছে। মিশা একে একে সব কথা পাখি আকাশ পুলক আর ইরাকে বলছে,,, আর ওরা অবাক হয়ে শুনছে,,,,,

ইরাঃ আমাদের নাকের নিচে দিয়ে এতো কিছু হয়ে গেল আর আমরা টের ও পেলাম না।

পাখিঃ Really Shabnam তুমি আমাদের একটু বলতে পারতে। তুমি হয়তো আমাদের নিজের কিছুই ভাবো না। নাক ফুলিয়ে,,

শবনমঃ আরে না দি এমন কিছু না। আসলে আমি নিজেই বুঝতে পারি নি। আমি তো ভালোবাসার নামকেও ঘৃণা করতাম কিন্তু কিভাবে ওনাকে এতো ভালোবেসে ফেলি নিজেও বুঝতে পারি নি।

আকাশঃ সব বুঝলাম কিন্তু এমন কি হয়েছিলো যে তুমি ভালোবাসার নামকেও ঘৃণা করতে।

আকাশের প্রশ্ন শুনে শবনমের ধ্রুবর কথা মনে পরে যায়। সাথে সাথে চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে। নীরবে কান্না করতে থাকে ও। শবনমকে কান্না করতে দেখে পুলক ওর সামনে হাটু গেড়ে বসে ওর হাত ধরে বলে,,,

পুলকঃ Don’t worry Shabnam তুমি এখন বলতে না চাইলে আমরা তোমাকে force করবো না take your time.

পাখিঃ হ্যাঁ শবনম। and don’t worry we all are always with you. বলে শবনমকে জড়িয়ে ধরলো।

কবীরঃ আমাদের কিছু ভাবা দরকার।

ইরাঃ হ্যাঁ কিন্তু আমি একটা কথা বুঝতে পারছি না আধার যদি শবনমকে ভালোই বাসে তাহলে দূরে সরাতে চায় কেন।

শবনমঃ আর কিছু করা লাগবে না। কালকে আমি সব প্রশ্নের উত্তর আধারের কাছ থেকেই নিবো। যদি তার পরেও আধার কিছু না বলে তাহলে আমি আর ওকে force করবো না।

মিশাঃ কিন্তু শবনম মাহিরা যে বলল ,,,,

শবনমঃ জোর করে ভালোবাসা আদায় করা যায় না মিশ।

মিশাঃ as your wish.

কিছুক্ষণ পর সবাই নিজেদের বাসায় চলে যায়। পাখি শবনমকে যেতে না করে ছিলো। কিন্তু ওর জেদের কাছে পাখি মিশা দুজনেই হার মানে।

রাতে,,,,,

বিছানায় এপাশ ওপাশ করছে শবনম কিছুতেই চোখের পাতা এক করতে পারছে না।
মনে শুধু একটাই ভয় কাজ করছে আধারকে যদি হারিয়ে ফেলে। এতো কম সময়ে অনেক বেশী ভালোবেসে ফেলেছে ওকে। আধারকে ছাড়া নিজের অস্তিত্ব ভাবতেও পারে না ও।

শবনম বারান্দায় এসে দাঁড়ালো। আকাশের তারা গুলো দেখছে ও। ছোট বেলা থেকেই ওর একাকিত্বের সাথী এই তারা গুলো। যখনই ওর মন খারাপ হয় বা একা লাগে আকাশে তাকিয়ে তারাদের সাথে কথা বলে ও। আজও এর ব্যতিক্রম হলো না,,,,,

শবনমঃ কেন এমন লাগছে যে কাল কিছু একটা খারাপ ঘটতে চলেছে। মনের ভিতরে কেমন একটা ভয় কাজ করছে। আল্লাহ তুমি যাই করো প্লিজ আধারের কোন ক্ষতি করো না। ওর যত দুঃখ কষ্ট বিপদ তুমি সব আমাকে দিয়ে দাও।

কথা গুলো বলে বারান্দার নিচে তাকাতেই শবনম কাওকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো। অন্ধকারে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না কে।কিন্তু লোকটি এক ধ্যানে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে তা স্পষ্ট বুঝতে পারছে শবনম। হঠাৎ চোখের পলকে লোকটি গায়েব হয়ে যায়। শবনম কিছুটা ভয় পেয়ে যায় আর তারাতারি রুমে চলে আসে। রুমে এসে ও ভাবতে থাকে,,,,,

শবনমঃ কে ছিল ওটা। যেই ছিলো কেমন যেন চেনা চেনা লাগছিলো। কিন্তু চোখের পলকে কোথায় গায়েব হয়ে গেল। ভাবতে ভাবতে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যায় ও।

শবনম ঘুমিয়ে যেতেই কেউ ওর রুমে প্রবেশ করলো। এটা আর কেউ নয় আধার। এতক্ষণ নিচে দাঁড়িয়ে শবনমকে দেখছিলো।

আধার এসে শবনমের পাশে বসলো। ঘুমন্ত শবনম কে আরো মায়াবী লাগছে ওর কাছে।শবনমের কপালে আসা ছোট ছোট চুল গুলো আঙ্গুল দিয়ে সরিয়ে কপালে গভীর ভাবে ঠোঁট ছোয়ালো আধার। শবনমের হাত ধরে মনে মনে বলতে থাকে,,,

আধারঃ Sorry Jan. I know আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলছি। কিন্তু বিশ্বাস করো আমার থেকে দুরে থাকলেই তুমি সেফ থাকবে। তোমাকে ভালো রাখতে সব কষ্ট সহ্য করতে রাজি আমি। কথা গুলো বলে শবনমের কপালে আরেকটা কিস করে আধার চলে যায়।

সকালে,,,,

রোদের আলো চোখে পরতেই ঘুম ভেঙ্গে যায় শবনমের। উঠে বসে পরে শবনম ওর মনে হচ্ছে আধার রাতে এসেছিলো। আশেপাশে চোখ বুলিয়ে ভালো ভাবে দেখে নিলো ও আধার নেই।

শবনমঃ উফফ শবনম কি আবলতাবল ভাবছিস। আধার কোথা থেকে আসবে। নিজেই নিজের মাথায় চর দিয়ে কলেজের জন্য রেডি হতে ওয়াশরুমে চলে যায়। আজকে নিজেকে আধারের জন্য রেডি করছে ও।

শবনম একটা আকাশি রঙের লং ড্রেস। হোয়াট জিন্স গলায় স্কার্ফ হাতে এনিমেটেড আকাশি চুরি চোখে কাজল ঠোঁটে হাল্কা পিঙ্ক লিপস্টিক চুল গুলো ছেড়ে রেডি হয়ে যায়। আজ ওকে সত্যিই Snow White লাগছে।

In College,,,,,,,

শবনম আজ একাই কলেজে এসেছে। ওর চোখ শুধু আধারকেই খুজছে। শবনম দেখলো আধার গাড়ি থেকে নেমে কলেজের ভিতরে ঢুকছে তাই শবনম আধার বলে ডাক দেয়।

শবনমের ডাক শুনে আধার পিছনে ফিরে হা হয়ে যায়। আজ ওর Snow White কে সত্যিই Snow White লাগছে।

শবনম আধারের কাছে আসতে নিলেই কেউ এসে ওকে আধারের সামনেই জড়িয়ে ধরে। আচমকা এখন হওয়ায় শবনম shocked হয়ে যায়।

শবনম আধারের দিকে তাকাতেই দেখলো ওর চোখ দুটো টলটল করছে। আর রাগে হাতের মুঠোয় বন্ধ করে রেখেছে।

To be continued………

ছেলেটি কে হতে পারে যে কাবাব মে হাড্ডি হয়ে এসেছে ।??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here