Our_Unknown_Love_Story,23,24

0
905

#Our_Unknown_Love_Story,23,24
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_23

রাত 11:55 বাজে,,,

পুলক পাখি ইরা শবনম আকাশ কবীর সবাই আস্তে আস্তে মিশার রুমে প্রবেশ করলো। মিশা আরামে ঘুমাচ্ছে। পাখির হাতে কেক আর সবার হাতে একটা একটা করে লাভ শেপ বেলুন। ঠিক বারোটা বাজতেই সবাই একসাথে বেলুন গুলো ফুটিয়ে দিলো।

এতো জোরে আওয়াজ হওয়ায় মিশা চমকে লাফ দিয়ে উঠে যায়। মিশা উঠতেই সবাই একসাথে বলতে শুরু করে,,,,,,

Happy Birthday Misha…. ????

মিশা অবাক চোখে সবার দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ কবীর ওর পাশে বসে ওকে চিমটি কেটে দেয় আর বলে,,,,

কবীরঃ আরে মিশা বেবী এটা সপ্ন নয় সত্যি।Happy Birthday baby. মিশাকে জড়িয়ে ধরে।

মিশাঃ thank you guys. আমি তো ভেবেছিলাম তোমরা ভূলে গেছো।

পুলকঃ তোর বার্থডে ভুললে তুই আমাদের আস্ত রাখতি না।??

পাখিঃ হয়েছে তোদের মিশা এই নে কেকটা কাট।

মিশাঃ Okk.

তারপর কেক কেটে ওরা সারারাত গল্প করতে করতে ভোর 4 টার দিকে ঘুমিয়ে পরে।

সকালে,,,,

আজকে রাতে মিশার বার্থডে পার্টি তাই সবাই মিলে পার্টির arrangements করছে।

পার্টিতে ওদের কিছু ক্লোজ ফ্রেন্ডস আত্মীয় আর কলেজের কিছু ফ্রেন্ডস দের ইনভাইট করা হয়ছে। আধার মাহিরা আর ধ্রুবকেও ওরা ইনভাইট করেছে।

আধারকে ইনভাইট করায় শবনম একটু আপসেট হয়েছিল পরে মাহিরার কারনে নিজেকে মানিয়ে নেয়।

ওরা থিম পার্টি arranged করেছে। তাই সবাই নিজেদের মনের মতো costume dress পরে আসবে।

রাতে,,,,,

গেস্টরা আস্তে আস্তে আসতে শুরু করেছে। একেক জন একেক রকম কস্টিউম পরেছে। মিশা Princess Alexa সেজেছে আর কবীর Prince Lane । পাখি Witch costume পরেছে আর আকাশ Devil. পুলক Jack আর ইরা Rose.

সবাই আলাদা ধরনের ড্রেস চয়েজ করেছে। তাই শবনমও নিজের জন্য একটা ভিন্ন Costume select করেছে। শবনম The Vampire Diaries Roswell এর costume পরেছে।

সবাই পার্টি enjoy করছে। এমন সময় ধ্রুব আসলো ধ্রুব একটা Werewolf costume পরেছে।
ধ্রুবঃ Hi guys and Happy Birthday Misha.

মিশাঃ Thank you.

ধ্রুব শবনমের দিকে ফিরে ওর হাত ধরে বলতে থাকে,,,,

ধ্রুবঃ Shabnam are you alright. তুমি জানো না আমি কালকে তোমার জন্য কত টেনশন করেছি। আমার এমন লেগেছিলো যে আমি আবার তোমাকে হারিয়ে ফেলবো। I love you Shabnam I love you very much. ( শবনমকে জড়িয়ে ধরে)। ( বেটার ঢং দেখে আর বাঁচি না? )

ধ্রুবর ছোঁয়ায় শবনম অনেক uncomfortable ফিল করছিলো। তাই ওকে সরিয়ে বলে,,,

শবনমঃ I’m OK don’t worry.

হঠাৎ ইরা দরজার দিকে তাকিয়ে বলে উঠে,,,,

ইরাঃ OMG he is looking so handsome . ??

ইরার কথায় সবাই দরজার দিকে তাকাতেই হা হয়ে যায়। আধার এসেছে full Black Vampire costume পরে। দেখতে পুরো Vampire Prince Royce এর মতো লাগছে ওকে। ??

সবাই এক ধ্যানে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। কিন্তু ধ্রুব রাগের চোখে আধারকে দেখছে।

আধারের পিছনে মাহিরাও আসছে ওও আজ vampire costume পরেছে। after all ওও তো একটা ভ্যাম্পায়ার।

আধার এসে মিশার সামনে দাঁড়িয়ে ওকে উইশ করলো।

আধারঃ Happy Birthday Misha. Many many happy returns of the day.

মিশাঃ thank you Aadhar for coming.

আধারঃ আসতে তো হতোই তোমরা এতো ভালোবেসে ইনভাইট করেছিলে। (শবনমের দিকে তাকিয়ে)

কবীরঃ enjoy the party.

সবাই কথা বলায় ব্যস্ত আধার এসে শবনমের পাশে দাঁড়িয়ে ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল,,,,,

আধারঃ You are looking like my vampire princess.

শবনম একরাশ বিরক্তি নিয়ে আধারের দিকে তাকালো।আধার শবনমকে অবাক করে দিয়ে ওর গালে কিস করে সরে গেল। শবনম রাগে দুঃখে
নিজের গাল জোরে জোরে ঘষতে লাগলো।

শবনমের চোখ যতবার আধারের দিকে যায় আধার ততবার শবনমের দিকে ফ্লাইং কিস ছুরে দেয়।

শবনম হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছে না। শবনম ভাবছে,,,,

শবনমঃ হঠাৎ আধারের কি হলো। ও এমন বিহেভ করছে কেন। ওইতো বলেছিলো যে ও আমাকে ভালোবাসে না তাহলে আজ এমন করছে কেন। ওকে বুঝা বড়ই মুশকিল। ওর যনে কখন কি চলে কিছুই বুঝে উঠতে পারি না।

কথা গুলো ভাবতে ভাবতে হঠাৎ লাইট অফ হয়ে যায় আর স্টেজের লাইট জলে উঠে। আধার মাইক হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আধার শবনমের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করল,,,,,

আধারঃ Pyaar hai kitna tumse

Yeh sirf hum hi hai Jante…..

Iss dilki haar dharkan

Sirf tera hi naam le…….

Lafzo se yeh hum baya na karsake

Ke kyu Iss pyaar ko hum koi naam na de sake……..

Dard hai jo dilme dabaye huye

Ashq baan kar akho se beh hi gaye…..

Chah te the dil ko rokna

Paar badtamiz dil kaha kisi ki sune…….

#Written_by_Sanjana_Shabnam_Fahmida.

( My poetry ??)

আধারের পোয়েট্রি শেষ হতেই সবাই অনেক জোরে জোরে হাত তালি দিতে শুরু করে।

ইরাঃ পুলক ওর থেকে কিছু শিখো। দেখো কতো রোমান্টিক পোয়েট্রি বলল।??

পুলকঃ এতো রোমান্টিক রোমান্টিক করো না পরে এমন রোমান্টিক হবো যে তুমি সামলাতে পারবে না ইরাবতী।??

আধার পুরোটা পোয়েট্রি শবনমের দিকে তাকিয়ে বলল। শবনম ভাবছে,,,,,

শবনমঃ আমি তোমার চোখের ভাষা আর এই পোয়েট্রির অর্থ এবার বুঝে গিয়েছি আধার। তুমি এটার দ্বারা নিজের মনের অবস্থা আমাকে বুঝিয়েছো।

কিন্তু আমি তোমাকে এতো সহজে ক্ষমা করবো না এতো দিন তুমি আমাকে জ্বালিয়েছো তোমাকে একটু না জ্বালালে কি হয়। (দুষ্টু হাসি দিয়ে)

আধার অসহায় ভাবে শবনমের দিকে তাকিয়ে আছে এটা দেখে শবনম মুখ বাঁকিয়ে ধ্রুবর কাছে চলে যায় আর ওর হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকে।

শবনম ধ্রুবর পাশে যাওয়ায় আধারের মুখ চোখ শক্ত হয়ে যায়। আর যখন শবনম ধ্রুবর হাত ধরলো আধারতো পারে না রেগে গিয়ে শবনমের গালে একটা চর দিতে।

আধার শবনমের দিকে রাগি লুক দিয়ে তাকিয়ে আছে আর শবনম ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে ধ্রুবর সাথে কথা বলছে।

এর মাঝে কবীর মিশার হাত ধরে স্টেজে নিয়ে আসে আর ওর সামনে হাটু গেড়ে বসে একটা রিং এগিয়ে দিয়ে বলতে শুরু,,,,,,

কবীরঃ Misha I don’t know that কখন কিভাবে তোমাকে এতো ভালোবেসে ফেলি। but trust me অনেক বেশী ভালোবাসি তোমাকে। তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে গেছে আমার জন্য। I want you till the end of my life. Will you marry me.

কবীর মিশার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলছিলো। কথা গুলো বলার সময় ওর চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে। মিশার ও প্রায় কেঁদে দেওয়ার উপক্রম।

কবীর উত্তরের আশায় মিশার দিকে তাকিয়ে আছে,,,

মিশা আর কিছু না ভেবেই কবীরকে জড়িয়ে ধরে।

মিশাঃ I love you Kabir I love you very much. And Don’t worry এতো সহজে তোর পিছ ছাড়বো না আমি।

কবীর দাঁড়িয়ে মিশার হাতে রিংটা পড়িয়ে দিলো। তার পর ওর হাতের উল্টো পিঠে কিস করলো।

সবাই একসাথে হাত তালি দেওয়া শুরু করলো।

কবীর DJ কে ইশারায় বললো মিউজিক অন করতে। মিউজিক অন হতেই কবীর গান গাওয়া শুরু করলো আর মিশার কোমর জড়িয়ে আরো কাছে এনে গানের তালে তালে নাচতে শুরু করলো।

কবীরঃ

Tu haar ghari haar vakta Mere saath raha hai….

Haa ye jism kabhi door Kabhi pass raha hai….

Jo bhi gaam hai yeh tere unhe tu mera pata de…..

Kuch Iss tarha teri palke mere palko se milade…

Aansoo tere sare mere palko pe sajade…

Kuch Iss tarha teri palke mere palko se milade….

Aansoo tere sare mere palko pe sajade…

কবীর গান শেষ করতেই পুলক ইরার হাত ধরে স্টেজের মাঝে নিয়ে গান শুরু করে আর গানের তালে ইরার সাথে নাচতে থাকে,,,

পুলকঃ

Ek pyaar kaa nagmaa hai moujo ki rawani hai….

Ek pyaar ka nagmaa hai moujo ki rawani hai….

Zindegi aur kuch bhi nehi teri meri kahaani hai….

Ek pyaar ka nagmaa hai moujo ki rawani hai….

পুলক ইরাকে নিয়ে কিনারে চলে যায় তখনই আকাশ পাখিকে একটানে নিজের কাছে নিয়ে আসে। তারপর গান শুরু করে,,,,

আকাশঃ

Saar phira saa mai musafir paon kahi thhehre na mere….

Phir meri aawargi ko aane lage khwab tere…

Yeh pyaar bhi kyaa ked hai koi hona na chahe rihaa…

Dil main ho tum aakhon main tum pehli nazar se hi yaara…..

Yeh ishq ki hai sajishe jo aa mile hum dubaraa….

Ho oo dil main ho tum aakhon main tum pehli nazar se hi yaara….

Yeh ishq ki hai sajishe jo aa mile hum dubaraa…..

আকাশ গান শেষ করতেই আধার খেয়াল করলো ধ্রুব শবনমের দিকে যাচ্ছে তাই ও ধ্রুবকে ওভার টেক করে শবনমের কাছে চলে যায় শবনম আধারকে দেখে চলে যেতে নিলেই আধার শবনমের হাত ধরে টান দেয় আর শবনম টাল সামলাতে না পেরে আধারের বুকে পরে। আধার শবনমের কোমর জড়িয়ে নিজের আরো কাছে নিয়ে আসে শবনম একবার আধারকে দেখছে আর একবার আশেপাশে।

আধার শবনমের এক হাত তুলে ওর কাধে রাখে আরেক হাত নিজের হাতের ভাজে। আধার ওর আরেক হাত দিয়ে শবনমের কোমর জড়িয়ে ধরে,,, তার পর গান গাইতে শুরু করে,,,,

আধারঃ

Ho chandni jabtak raat Deta hai haar koi saath….

Tum aagar aandhero main Naa chode naa mera haath……

Ho chandni jabtak raat Deta hai haar koi saath…..

Tum aagar aandhero main naa chode naa mera haath…

Naa koi hai na koi thaa Zindegi main tumhare sivaa….

Tum dena saath mera o humnawaaz …..

Jab koi baat bigar jaye jab koi mushkil Paar jaye….

Tum dena saath mera o humnawaaz…

Tum dena saath mera o humnawaaz…

আধার আর শবনম পলকহীন ভাবে একে অপরকে চোখে তাকিয়ে আছে। ওদের এভাবে দেখে ধ্রুব রেগে নিজের হাতের গ্লাস টা ভেঙ্গে ফেলে। সবার হাত তালির আওয়াজে শবনম আর আধারের ঘোর কাটে। শবনম সাথে সাথে আধারের থেকে দূরে সরে পাখির কাছে এসে দাঁড়ায়।

আধার ও ব্লাশিং হয়ে স্টেজ থেকে নেমে যায়।

শবনম একা একা স্মাইল করছিলো। পাখি বুঝতে পেরে শবনমকে টিজ করার জন্য বলে,,,,,

পাখিঃ ওয়াও শবনম রোমান্স তো ভালোই চলছে তাও খুল্লাম খুল্লা.very impressive ??

শবনব পাখির দিকে অবাক হয়ে তাকায় আবার কি যেন ভেবে বলে,,,,

শবনমঃ BTW পাখি দি তুমিও কিন্তু ভালোই রোমান্টিক ডান্স পারো। নাকি শুধু আকাশের সাথেই রোমান্টিক রোমান্টিক নাতো।?

পাখি শবনমের কথায় হচকিয়ে যায়,,,,,

পাখিঃ এ এমন কিছু না ওকে এটা শুধু একটা সিম্পল ডান্স ছিল nothing else. ??

শবনমঃ বাট পাখি দি আমার কি লাগে জানো আকাশ এই গানের মাধ্যমে ওর মনের কথা তোমাকে জানিয়েছে হয়তো তুমি বুঝতে পারো নি। আমি আকাশের চোখে তোমার জন্য সেই ভালোবাসা দেখেছি যা কবীরের চোখে মিশার জন্য, পুলকের চোখে ইরার জন্য আর আধারের চোখে আমার জন্য আছে। I think তোমার এই বিষয়ে একটু ভাবা দরকার।

শবনম কথা গুলো বলে মিশার কাছে চলে গেলো।

পাখি শবনমের কথা শুনে আকাশের দিকে তাকায়। আকাশ পুলক আর কবীরের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে,,,,, আজ আকাশকে পাখির চোখে অন্যরকম লাগছে। আকাশকে দেখে ওর একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে।

পাখি ভাবছে,,, শবনম কি সত্যি বলছে। did Aakash love’s me. পাখি ব্লাশিং হচ্ছে।

আধার বারবার শবনমের কাছে যাচ্ছে আর শবনম ওর থেকে দূরে দূরে সরে যাচ্ছে। আধারের অনেক রাগ লাগছে ইচ্ছে করছে শবনমের গালে একটা চর বসাতে।

পার্টির শেষ দিকে কেক কাটার সময় হলো। মিশা কেক কেটে সবাইকে খাইয়ে দিলো। শবনম একটা কেকের পিস নিয়ে আধারের দিকে আসছে। আধার খুশি হয়ে হা করতে নিলে শবনম ওকে ক্রস করে ধ্রুবর কাছে চলে যায় তারপর আধারকে দেখিয়ে দেখিয়ে ধ্রুব কে কেক খাইয়ে দেয়।

আধার রেগে মুখ খিঁচে হাতের মুঠো বন্ধ করে রেখেছে।

আধারঃ এটা তুমি ঠিক করলে না জান। you have to pay for this. আর এই ধ্রুবর নাটক অনেক জলদি শেষ করবো।

মিশা শবনমের গালে কেক লাগিয়ে দিয়েছিলো। শবনম কেক মুছার জন্য একটা রুমে যায় আধার ওর পিছু পিছু রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো।

শবনম ভয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে আধার।আধার হাওয়ার বেগে এসে শবনমকে দেয়ালে ঝাপটে ধরে। ওর চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে ও অসম্ভব রেগে আছে।

আধার শবনমের দু হাত দেয়ালে চেপে ধরে ওর আরো কাছে এসে বলতে শুরু করে,,,,

আধারঃ তোমার সাহস কি করে হয় আমার সামনে ওই ধ্রুবকে কেক খাইয়ে দেওয়ার।

শবনম আধারকে দেখে অনেক ভয় পাচ্ছে তারপরও নিজের মনে সাহস জাগিয়ে বলল,,,

শবনমঃ ওহ তো আপনি কেক খেতে পারেন নি তাই রেগে আছেন??don’t worry no চিন্তা do ফুর্তি?। নিচে অনেক কেক আছে আপনি দাঁড়ান আমি নিয়ে আসছি।?

শবনম যেতে নিলে আধার ওকে আরো জোরে দেয়ালে চেপে ধরে,,,,,

আধারঃ তোমার এতো কষ্ট করে নিচে যেতে হবে না কেকতো এখানেই আছে। ??

শবনম আশেপাশে ভালো ভাবে তাকিয়ে দেখে বলে,,,

শবনমঃ এখানে কিন্তু কোথায়।

বলবো না তোমাকে practically করে দেখাবো। বলে আধার শবনমকে অবাক করে দিয়ে ওর গালে লেগে থাকা ক্রিম গুলো খেতে শুরু করলো।শবনমের চোখ বড় বড় হয়ে গেছে ও ভাবতেও পারে নি আধার এমন করবে। শবনম তো পুরো ফ্রিজ্ড হয়ে গেছে ওর হাত পা অসম্ভব কাঁপছে ।হঠাৎ আধার মুখ তুলে শবনমের দিকে একপলক তাকিয়ে ওর ঠোঁটে কিস করে বসে। ( ই আমার লজ্জা করছে ??)

#Our_Unknown_Love_Story
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_24

আধারের কাজে শবনমের চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এখনই বেড়িয়ে যাবে। আধার নিজের মতো করে শবমকে কিস করেই যাচ্ছে। শবনম এতক্ষণ ঘোরের মধ্যে ছিল ঘোর কাটতেই ও বুঝতে পারছে যে ওর সাথে কি হচ্ছে। শবনম ছুটার জন্য হাত পা ঝাপটাতে লাগলো এতে আধার আরো রেগে ওকে আরো জোরে নিজের সাথে মিশিয়ে ফেলল। আধার বুঝাতে চাচ্ছে শবনম ওর থেকে যত দূরে যেতে চাইবে আধার ওকে আরো কাছে নিয়ে আসবে।

কিছুক্ষণ পর আধার শবনমকে ছেড়ে ওর কপালে গভীর ভাবে চুমু দিয়ে কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো। শবনমও চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে ওর চোখ বেয়ে কয়েক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ছে।

হঠাৎ শবনম আধারকে জোরে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিলো। আচমকা এমন হওয়ায় আধার বেকুবের মতো শবনমের দিকে তাকিয়ে আছে।

শবনম নিজের চোখ মুছে বলতে শুরু করল,,,,

শবনমঃ কি পেয়েছেন কি হ্যাঁ আমাকে আপনি। আমি কি কোন খেলার পুতুল। যখন ইচ্ছে কাছে টেনে নিবেন যখন ইচ্ছে দূরে ঠেলে দিবেন। কখনো ভালোবাসা দেখাবেন আবার কখনো অপমান করবেন। কেন করছেন এমন আপনি। আপানার কথা অনুযায়ী আমিতো আপনার কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছি। তাহলে কোন অধিকারে বারবার আমার কাছে আসেন কোন অধিকারে আমাকে স্পর্শ করেন। ( চিৎকার দিয়ে বলছে শবনম )

নেই তো কোন উত্তর আপনার কাছে তাইনা। আমি জানতাম মি.আধার রেজওয়ান। কান খুলে শুনে রাখেন আমার উপর আপনার কোন অধিকার নেই বুঝেছেন নেই কোন অধিকার আমার উপর। আমাকে আমার হালে ছেড়ে দিন। I don’t need your sympathy. Understand you better understand. আধারের সামনে তুরি বাজিয়ে।

কথা গুলো বলে শবনম আধারের পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলে আধার ওর হাত ধরে টান দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে।

রাগে ওর শরীর কাঁপছে। চোখ লাল হয়ে গেছে। অন্য কেউ হলে হয়তো তার শরীরে এক বিন্দু রক্ত ও থাকতো না হলে। শবনম দেখে বেঁচে গেছে।

আধারকে দেখতে অনেক হিংস্র লাগছে। শবনমের তো ভয়ে আত্মা শুকিয়ে যাচ্ছে। শবনম ঢোক গিলছে আর ভাবছে,,,

শবনমঃ ইয়া আল্লাহ ঘুমন্ত বাঘকে জাগিয়ে দিলাম না তো। আব তেরা কেয়া হোগা শবনম।?

আধারঃ কেন এতোক্ষণ মনে ছিলো না যে ঘুমন্ত বাঘকে জাগালে কি হয়। এখন ভয় পাচ্ছেন কেন। (দাতে দাত চেপে)

শবনমঃ তুমি থেকে ডাইরেক্ট আপনি,,, তাও মানলাম কিন্তু মনের কথা শুনলো কীভাবে।( মনে মনে )।

আধারঃ আধার রেজওয়ান পারে না এমন কোন জিনিস এ দুনিয়ায় তৈরি হয় নি। আর কি যেন বলছিলে,,,,
কোন অধিকার নেই আমার তোমার উপর। কেউ হই না আমি তোমার। কান খুলে একটা কথা শুনে রাখো আল্লাহর তৈরি পুরো দুনিয়াতে যদি কারো সবচেয়ে বেশি অধিকার থাকে তোমার উপর তাহলে সেটা হচ্ছে আধারের। তোমাকে স্পর্শ করার ভালোবাসার অধিকার শুধু আমার। অন্য কেউ যদি আমাদের মাঝে আসার চেষ্টা করে তাহলে তাকে মাটিতে মিশিয়ে ফেলবে এই আধার রেজওয়ান।

হ্যাঁ আমি মানছি আমি তোমাকে নিজের কাছ থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিশ্বাস করো আমি এসব শুধু তোমার জন্য করেছি তোমার সেফটির জন্য করেছি।

তুমি যতটুকু কষ্ট পেয়েছো তার থেকে হাজার গুন বেশি কষ্ট আমি পেয়েছি। তোমাকে অন্য কারো সাথে দেখে তিলে তিলে মরেছি আমি। (চোখ টলটম করছে আধারের।)

শবনমঃ কি এমন কারন লুকিয়ে আছে আধার যার জন্য তুমি এমন করেছো। কি লুকাচ্ছো আমার কাছ থেকে। এমন কি রহস্য আছে যেটা জানলে আমি তোমার কাছ থেকে দূরে চলে যাবো। তোমাকে ঘৃণা করবো।

তুমিতো ভালোবাসো আমাকে তাহলে বিশ্বাস করছো না কেন। আমি তোমাকে কখনো ছেড়ে যাবো না প্রমিস। প্লিজ আমাদের মাঝে থেকে এই দেয়াল টা সরিয়ে দেও।

শবনমের কথায় আধার ওর থেকে একটু সরে দাঁড়ায় তারপর বলে,,,,

আধারঃ এখনো সময় হয় নি শবনম। সময় হলে তুমি সব সত্যি যেনে যাবে।

আধারের কথায় শবনম অনেক রেগে যায়। এতো কিছু হয়ে গেল বেটা বদ তবুও মুখ খুলছে না।

শবনমঃ ঠিক আছে যখন সত্য বলার সময় আসবে তখনই নিজের ভালোবাসার দাবি নিয়ে আমার কাছে এসো। বলে শবনম চলে যেতে নেয় আর আধার ওর হাত ধরে ফেলে। শবনম পিছনে ফিরে দেখে আধার ওর হাত ধরে রেখেছে।

শবনমঃ আধার আমার হাত ছাড়েন। I said leave my hand.

আধার টেডি স্মাইল দিয়ে বলে,,,,

আধারঃ এই হাত ছাড়ার জন্য ধরি নি। আর একটা কথা,,,, তুমি যদি ভেবে থাকো ধ্রুবর কাছাকাছি গিয়ে আমাকে জেলাস করবে। তাহলে এটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দাও। এমন কিছু করার আগে আজকের কিসটার কথা মনে করে নিও। of course আমি ইঞ্জয় করবো কিন্তু তুমি করবে কিনা ওটা তোমার ব্যাপার।??

শবনম আধারের কথায় ঢোক গিললো। ?

আধার শবনমের হাতে কিস করে আবার বললো,,

আধারঃ আধার রেজওয়ান জ্বলতে না জ্বালাতে পছন্দ করে মেরি জান।?

And one more thing ধ্রুবর থেকে দূরে থাকবে। understand you batter understand শবনমের মতো তুরি বাজিয়ে আধার বেড়িয়ে যায়।

শবনম ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রাগে ফুঁসছে। আমাকে কপি করে আমাকেই থ্রেড দিচ্ছে।

শবনমঃ আধাল লেজয়ান দলতে না দালাতে পতন্দ কলে।( মুখ বাঁকিয়ে আধারকে কপি করলো।?)

হ্হ দেখা যাবে। আমাকে ভয় দেখাতে আসছে। শবনম কাওকে ভয় পায় না। এখন তো তোমাকে বেশী বেশী করে জ্বালাবো।

শবনম ও নিচে নেমে আসে। কিছুক্ষনের মধ্যেই সবাই যার যার বাড়ি চলে যায়।

শবনমঃ পাখি দি আমিও এখন যাই।

পাখিঃ না শবনম তুমি আজ এখানেই থাকবে।

শবনমঃ পাখি দি পরশু পরীক্ষা আছে অনেক preparation বাকি আছে।

পাখিঃ ওহ ওকে কিন্তু তুমি একা যাবে না পুলক তোমাকে দিয়ে আসবে।

মিশাঃ আরে না পাখি দি আধার আছে না ও দিয়ে আসবে। right Aadhar.

আধার শবনমের পিছনে এসে দাঁড়িয়ে।

আধারঃ Yess.

পাখিঃ ওকে carefully যেও।

মিশা আধারকে চোখ টিপ দিলো আর আধার ও ইশারায় thank you বলল ওকে।

শবনমের আর বুঝতে বাকি রইল না যে আজকে মিশা ইচ্ছা করে আধারকে ইনভাইট করেছে। আর সবকিছু ওদের দুজোনের প্লান।

শবনম মিশার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকালো। আর মিশা চাপা হেসে ওখান থেকে কেটে পরলো।

আধারঃ চলেন মিসেস রেজওয়ান। বলে শবনমের হাত নিয়ে যেতে নেয় তখনই ধ্রুব এসে ওদের সামনে দাঁড়ায়।

ধ্রুবকে দেখে আধারের মাথায় রক্ত উঠে যায়।

ধ্রুবঃ Shabnam is my girlfriend. তাই ওর সব দায়িত্ব আমার। চলো শবনম আমি তোমাকে ড্রপ করে দিবো। বলে শবনমের হাত ধরতে নিলে আধার শবনমকে আড়াল করে ওর সামনে দাঁড়ায়।

আধারঃ she is my soulmate, my life, my breath, my would be wife, and my everything. তাই ওর দায়িত্ব তোমার না আমার।
তুমি ওকে কোথায় ড্রপ করবে এটা আমার জানা আছে। stay away from her. নাহলে তোমার লাশ ও তোমার বংশ খুঁজে পাবে না।

বলে ধ্রুবকে ধাক্কা দিয়ে শবনমকে নিয়ে বেড়িয়ে যায়। শবনম অবাক চোখে আধারকে দেখছে আর ভাবছে,,,,, শুধু শুধু ধ্রুবর সাথে এমন ব্যবহার না করলেও পারতো। পারে তো শুধু অন্যদের ভয় দেখাতে আর চিল্লাতে।

আধারঃ আমি কি পারি আর কি না পারি তা তুমি আস্তে আস্তে বুঝবে মেরি জান।

শবনম চোখ বড় বড় করে আধারের দিকে তাকালো,,,, ওনার জন্য মনে মনেও কথা বলে শান্তি নেই।??

আধার গাড়ির দরজা খুলে শবনমকে বসিয়ে দিল তারপর নিজে বসে গাড়ি স্টার্ট দিলো।

শবনম নাক ফুলিয়ে জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে। আধার বুঝতে পেরে মুচকি হেসে ড্রাইভিং এ মন দিলো। বাইরে থেকে বাতাস এসে শবনমের চুলগুলো উড়িয়ে দিচ্ছে আর শবনম বিরক্ত হয়ে বারবার চুল গুলো সরাচ্ছে। আধার ওর কান্ড দেখছে আর হাসছে।

হঠাৎ শবনম খেয়াল করলো এটা হোস্টেলের রাস্তা না। তাই ও আধারকে জিজ্ঞেস করল,,,

শবনমঃ এটাতো হোস্টেলের রাস্তা না কোথায় যাচ্ছি আমরা।

আধারঃ গেলেই দেখতে পাবা। এখন চুপচাপ থাকো নাহলে আমি কি করবো আমি নিজেও জানি না।
শবনম ভয়ে চুপচাপ বসে রইল। আধারের কোন বিশ্বাস নেই কখন কি করে ফেলে। তার চেয়ে ভালো চুপ থাকা।

কিছুক্ষনের মধ্যে ওরা পৌছে গেলো। আধার বেড়িয়ে শবনমের জন্য দরজা খুলে দিলো। শবনম বেড়িয়ে হা হয়ে গেছে।

সামনে বিশাল বড় বাড়ি। আধার শবনমের হাত ধরে ভিতরে নিয়ে যাচ্ছে। শবনম যত ভিতরে ঢুকছে ততই অবাক হচ্ছে। বাড়িটির একপাশে বিশাল বড় সুইমিং পুল। আর অন্য পাশে হয়তো গার্ডেন অন্ধকারে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না।

বাড়ির ভিতরে ঢুকে শবনম আরো অবাক হয়ে গেল। বাড়িটি বাইরে দিয়ে যেমন বিশাল। ভিতর দিয়ে ও তেমনি ঘরের জিনিস পত্র সব ইম্পোর্টেড। আর রাজকীয়।

আধারঃ পছন্দ হয়েছে মেরি জান।

শবনমঃ অন্নেক কিন্তু এটা কার বাড়ি।

আধারঃ এটা তোমার শ্বশুর বাড়ি আর এখন থেকে তোমার।

শবনম অবাক হয়ে,,,, কিইই

আধারঃ কি না জি। আসলে আমার ডেড এটা মাম্মামের জন্য বানিয়েছিল। ওনাদের ভালোবাসা দিয়ে তৈরি এটা। এখন আমাদের ভালবাসা দিয়ে পূর্ন হবে।

শবনমঃ আপনার মা বাবা এখন কোথায় এখানে থাকে না।

আধারঃ ওনারা অনেক আগেই আকাশের তারা হয়ে গেছে। চাপা হেসে।

শবনমঃ I’m sorry if I hurt you.

আধারঃ তোমার কথায় আমি কখনো কষ্ট পাই না।এখন চলো ঘুমাবে কালকে তোমাকে পুরো বাড়ি দেখাবো।

তারপর শবনমকে উপরের একটা রুমে নিয়ে গেলো। রুমে বড় একটা রাউন্ড বেড, বুক শেল্ফ,কাবার্ড,জয়েন্ট বারান্দা। বিভিন্ন ধরনের এন্টিক জিনিস আর সম্পুর্ন দেয়াল জুড়ে বিভিন্ন ধরনের পোট্রেট।

আধারঃ এটা আমাদের রুম। শবনমের কানে ফিসফিসিয়ে।

শবনমঃ what আমি আপনার সাথে এক রুমে থাকবো না। আমি যাচ্ছি বলে যেতে নিলেই আধার শবনমের কোমর জড়িয়ে কাছে এনে বলে,,,

আধারঃ Shabnam do you trust me.

শবনমঃ Noooo জোরে বলল।

আধারঃ ওকে ট্রাস্ট করা লাগবে না। আধার শবনমকে কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিলো তারপর ওর পাশে আধশোয়া হয়ে ওকে বুকে জড়িয়ে নিলো।

আধারঃ এখন চুপচাপ ঘুমাও একটা কথা বললে উল্টা পাল্টা কিছু করে ফেলবো।

শবনম ভয়ে চোখ খিঁচে বন্ধ করে ফেলে।

To be continued……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here