Our_Unknown_Love_Story,30,31,32

0
1276

#Our_Unknown_Love_Story,30,31,32
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_30

আসিফ কাইফের সাথে কথা বলতে বলতে বাড়ির ভিতরে ঢুকছে। আধার বুঝে উঠতে পারছে না কাইফ স্যার এখানে কি করছে।

প্রথম দিন থেকেই ওর লোকটাকে অনেক আজীব লাগছে। কেমন যেন শত্রু শত্রু ভাব আসে লোকটাকে দেখলে।

আসিফঃ ইনি হলেন কাইফ সিনহা। তোমাদের কলেজের নিউ প্রিন্সি আরও একটা সম্পর্ক আছে সেটা আজ রাতের পার্টিতে জানতে পাবে।

পাখিঃ হ্যালো স্যার।

কাইফঃ হ্যালো ডিয়ার।

মিশা আর কবীর ভ্রু কুঁচকে কাইফকে দেখছে।

মিশাঃ কবীর see লোকটা কত আজীব না। আর নাম শুনেছিস??কাইফ,,,,like seriously শুধু কাইফ নাকি ক্যাটরিনা কাইফ।???( কবীরের কানে ফিসফিসিয়ে)

কবীরঃ মিশা উনি আমাদের প্রিন্সিপাল so behave yourself.?কিন্তু কথাটা তুমি ঠিক বলেছো।?

কাইফ আর আসিফ সবার সাথে সোফায় গিয়ে বসলো। আধার শবনমকে কিছু বলার জন্য পিছনে ফিরে দেখে ও নেই। আধার জানে শবনম কোথায় যেতে পারে তাই ধীর পায়ে ওখান থেকে বেড়িয়ে যায়।

শবনব বাড়ির বাইরে বাগানে পাইচারি করছে। অনেক নার্ভাস লাগছে ওর কাছে। আধার এসে ওর কাধে হাত রাখতেই ও চমকে পিছনে ঘুরে দেখে আধার। শবনম একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে আধারকে জড়িয়ে ধরে।

আধার শবনমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে জিঙ্গেস করে,,,,

আধারঃওখান থেকে চলে আসলে কেন??

শবনমঃ ভয় করছিলো।

আধারঃ এখানে ভয়ের কিছুই নেই শবনম। আমি আছি না।

শবনমঃ Please give me some time Aadhar. আমার একটু সময় দরকার। I promise আমি জলদিই বাবাইকে সব বলে দিবো। কিন্তু এখন না প্লিজ। (মিনতির সুরে)

আধারঃ OK Take your time. কিন্তু বেশী দেরী করে ফেলো না। এখন ভিতরে চলো।

আধার শবনমের হাত ধরে আবার ওকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে আসলো।

আসিফ দরজার দিকে তাকাতেই ওদের দেখতে পায়। শবনমকে দেখে ওর ভিতরটা কেমন যেন করছে। ওর চোখে আপনা আপনি পানি চলে আসে। আসিফ ভাবছে আজ যদি ওর মেয়ে বেঁচে থাকতো তাহলে নিশ্চই এই মেয়েটার মতই হতো।
উনার ইচ্ছে করছে শবনমকে জড়িয়ে ধরার। কেমন একটা টান অনুভব হচ্ছে ওর প্রতি, কিন্তু কেন হচ্ছে বুঝতে পারছেন না।

মিশা দৌড়ে এসে শবনমের পাশে দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করে,,,

মিশাঃ চাচু ও হলো শবনম যার কথা বলেছিলাম। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।??

শবনমঃ হ হ্যালো আঙ্কেল।

আসিফ শবনমের মাথায় হাত রেখে বলেন,,,, তোমার কথা বলতে বলতে ওরা আমার কান ঝালাপালা করে দিয়েছিলো। কিন্তু সত্যিই তুমি অনেক কিউট।

শবনম মাথা নিচু করে চাপা হাসলো।

আসিফ দেখলো শবনম শক্ত করে আধারের হাত ধরে আছে আর আধারও অনেক যত্ন সহকারে শবনমের হাত ধরে আছে।

আসিফ মুচকি হেসে আধারের কাধে হাত রেখে বলল,,

আসিফঃ অনেক গভীর ভালোবাসা মনে হচ্ছে।

আধার মুচকি হেসে শবনমের হাত উঁচু করে হাতে কিস করে বলল,,,

আধারঃ হুম গভীর থেকে গভীরতর।

শবনম লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলল।

শবনম আধার সবার সাথে সোফায় বসলো।

আসিফ দাঁড়িয়ে সবার উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করল,,,

আজকে রাতে আমি একটা Party organize করেছি। আর তোমাদের সবার উপস্থিতি আশা করছি। আজকে আমার লাইফের অনেক ইম্পর্টেন্ট একটা নির্নয় নিতে যাচ্ছি।তাই আশা করবো তোমরা সবাই আজকের দিনে আমার পাশে থাকবে।

পাখিঃ কিন্তু হঠাৎ করে পার্টি কেন চাচু।

আসিফঃ রাতেই বুঝতে পারবে তোমরা। চলেন মি. সিনহা আমাদের বাকি কাজ গুলো সেরে নেই।

আসিফ আর কাইফ চলে গেলেন। আর সবাই ভাবছে যে রাতে কি এমন announce করবে আসিফ চৌধুরীর।

রাতে,,,,

সব গেস্টরা চলে এসেছেন। আধার কবীর পুলক আর আকাশ রেডি হয়ে নিচে ওদের লাভদের জন্য ওয়েট করছে।

(আধার একটা ব্লাক শার্ট, উপরে ক্রিস্টাল কাজ করা ব্লাক কোট, ব্লাক প্যান্ট হাতে ইম্পোর্টেড ঘড়ি, চুল গুলো সিল্কি যার কারনে বারবার চোখের সামনে আসছে। সব মিলিয়ে লাইক এ প্রিন্স) মোস্ট অফ মেয়েরাই আধারের দিকে তাকিয়ে আছে। আধারের অনেক বিরক্ত লাগছে একতো শবনম এখনো আসছে না আবার এই গায়ে পরা মেয়ে গুলি।

(কবীর ব্লু শার্ট, নেভি ব্লু কোট, ব্লু জিনস ,হাতে ইম্পোর্টেড ঘড়ি, চুলগুলো স্পাইক করা)

(আকাশ হোয়াইট কোট অফ হোয়াট শার্ট, হোয়াই প্যান্ট, হাতে ঘড়ি আর চুল গুলো স্পাইক করে স্টাইল করা)

(পুলক আ্যশ কালার শার্ট কোট আর প্যান্ট পরেছে। সাথে মেচিং ঘড়ি ও সুজ)

আধার বিরক্ত হয়ে সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে যেন হা হয়ে গেছে।

(শবনম ব্লাক ক্রিস্টাল কাজ করা গাউন। সাথে মেচিং স্টোনের ইয়ারিং আর ব্রেসলেট। হাল্কা মেকআপ চুল গুলো পাফ করে এক সাইডে করা। )
আধার শবনমকে দেখে এক হাত বুকে রেখে ইশারায় বলে,,, Gorgeous. শবনম মুচকি হেসে আধারকে ইশারায় বলল,,,,, Looking like my Prince Charming.

আধার হেসে দেয় সাথে শবনমও।

কবীর পুলক আর আকাশেরও একি অবস্থা।

(পাখি হোয়াইট গাউন সাথে মেচিং জুয়েলারী,, মিশা ব্লু গাউন আর ইরা আ্যশ কালার পরেছে পুলকের সাথে মেচিং করে।)

ওরা নিচে নেমে আসে আর কবীরদের পাশে দাঁড়ায়।

হঠাৎ লাইট অফ হয়ে যায় আর স্টেজের লাইট জ্বলে উঠে। সবাই স্টেজের দিকে তাকিয়ে দেখে আসিফ মাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

আসিফঃ Attention Everyone. আজকে একজন বাবা হিসেবে আমার কাছে অনেক বড় একটা দিন। আমার দুই মেয়ে পাখি আর মিশা (ইশারায় ওদের স্টেজে যেতে বলে) ওদের জন্য একটা বিশেষ উপহারের আয়োজন করেছি আমি।

দুই মেয়ে কথাটা শুনে শবনমের চোখে পানি চলে আসে আধার শবনমের পাশে দাঁড়িয়ে ওর হাত শক্ত করে ধরে রাখে।

পাখি আর মিশা জিঙ্গাসু দৃষ্টিতে আসিফের দিকে তাকিয়ে আছে।

আফিফ কবীরকে ইশারায় স্টেজে আসতে বলে আর কবীর সাথে সাথে আসিফের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।

আসিফঃ আমি আমার মেয়ে মিশার সাথে আমার বন্ধুর ছেলে কবীরের বিয়ে ঠিক করেছি।

সবাই জোরে জোরে হাত দিতে শুরু করে আর মিশাতো খুশি হয়ে আসিফকে জড়িয়ে ধরে বলে,,,

মিশাঃ Thank you Chachu you are the best.

আসিফ সবাইকে থামিয়ে দিয়ে আবার বলতে শুরু করলো,,,,

আসিফঃ শুধু এটাই না আমি আমার মেয়ে পাখির সাথে মি. কাইফ সিনহার ছেলে নিহালের আজ এঙ্গেজমেন্ট ঠিক করেছি।

কথাটা শুনে যেন পাখির পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে গেছে।ও অবাক চোখে একবার আসিফের দিকে তাকিয়ে আবার আকাশের দিকে তাকায়।

আকাশ যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। ওর চোখে পানি চলে এসেছে। তারপরেও নিজেকে কন্ট্রোল করে নিলো ও। আকাশ ভাবছে পাখি ওকে পছন্দ করে না আর না ভালোবাসে।

আধার আর শবনমও অবাক হয়ে গেছে কারন ওরা জানে আকাশ পাখিকে ভালোবাসে আর পাখিও আকাশকে ভালোবাসে।

হঠাৎ একটা ছেলে( রেড শার্ট হোয়াইট কোট, হায়াইট প্যান্ট, স্পাইক হেয়ার) কাইফের সাথে স্টেজে উঠে আসিফের পাশে দাঁড়ায়।

আসিফ নিহালকে পাখির পাশে দাড় করায়। পাখি সবার আড়ালে নিজের চোখের পানি মুছে ফেলে চেহারায় একটা ফেক স্মাইল দিয়ে আসিফের দিকে তাকায়।

আধার ভ্রু কুঁচকে নিহালের দিকে তাকিয়ে আছে। কেমন যেন পরিচত লাগছে নিহালকে ওর কাছে।
আধার চোখ বন্ধ করে নিহালের মাইন্ড পড়ার চেষ্টা করছে কিন্তু আধার কিছুতেই ওর মাইন্ড পরতে পারছে না। আধার বুঝতে পারছে না এমন কেন হচ্ছে।

আসিফ রিং গুলো এনে ওদের হাতে দেয়।

মিশা দেরি না করে সাথে সাথে কবীরকে রিং পড়িয়ে দেয়। ওর কান্ড দেখে সবাই হেসে ফেলে। কবীরো মিশাকে রিং পরিয়ে ওদের এঙ্গেজমেন্ট কমপ্লিট করে। সবাই হাত তালি দিতে শুরু করে।

এবার পাখি আর নিহালের হাতে রিংটা দিলেন আসিফ।

নিহাল পাখির হাত ধরে ওকে রিং পরিয়ে দেয়। পাখি রিং পরানোর সময় আকাশের দিকে একটু তাকালো। ওর দিকেই ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে আকাশ।

পাখি একবার আসিফের দিকে তাকিয়ে দেখে উনি অনেক খুশি তাই আর কিছু না ভেবেই নিহালকে রিং পরিয়ে দিলো পাখি।

সবাই হাত তালি দিচ্ছে। আকাশ আর না দাঁড়িয়ে ওখান থেকে বেড়িয়ে যায়।

To be continued…..

#Our_Unknown_Love_Story
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_31

আকাশকে বাইরে বেড়িয়ে যেতে দেখে আধারও ওর পিছনে পিছনে চলে আসে।
আকাশ বাইরে গিয়ে গাড়িতে উঠতে নিলে আধারের ডাকে থেমে যায়।

আধার গিয়ে আকাশের সামনে দাঁড়ায়।

আধারঃ চলে যাচ্ছো কেন??

আকাশঃ এখানে থেকে আর কোন লাভ নেই তাই চলে যাচ্ছি। ( ভারি কন্ঠে)

আধার আকাশের কাধে হাত রেখে বলতে শুরু করল,,,,

আধারঃ You love Pakhi right.

আকাশঃ এখন আর এসব ভেবে লাভ নেই ও এখন অন্য কারো হয়ে গেছে। (কান্না মিশ্রিত কন্ঠে)

আধারঃ এখনো হয়নি,,,কিন্তু যদি তুমি কিছু না করো তাহলে ঠিকই হয়ে যাবে।

আকাশঃ ও আমাকে ভালোবাসে না আধার যদি বাসতো অন্য কারো হওয়ার কথা ভাবতোও না।

আধারঃ ও তোমাকে ভালোবাসে কি না আমি জানি না কিন্তু তুমি ওকে ভালোবাসো আমি এটা জানি। আর তুমি কখনো চাইবে না যে তোমার ভালোবাসার মানুষের জীবন নষ্ট হোক তার জীবন কোন ভুল মানুষের সাথে জড়াক।

আকাশঃ ভূল মানুষ!!!তুমি কি বলতে চাচ্ছো ক্লিয়ারলি বলো।

আধারঃ আমি এখন তোমাকে কিছু বলতে পারবো না। ‌শুধু এইটুকু বলবো যে নিহাল পাখির জন্য ঠিক না। ও কোন খারাপ উদ্দ্যেশ্য নিয়ে আমাদের জীবনে এসেছে।

আকাশঃ কিন্তু কেন আর তুমি কিভাবে এতো কিছু জানো আধার। ওদের সাথে তোমার কি সম্পর্ক???

আধারঃ ও সব আমি তোমাকে পরে বুঝিয়ে বলবো। Now listen to me very carefully,,,,,,,,,,

এঙ্গেজমেন্ট শেষে সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। কাইফ আর নিহাল সহ বাকি গেস্টরা চলে গেছে। মিশা ইরার সাথে ওর রুমে বসে গল্প করছে। আর পাখি নিজের রুমে চলে গেছে। শবনম পাখির রুমে গিয়ে দেখে ও রুমে নেই একটু এগিয়ে যেতেই দেখে পাখি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।

শবনম ওর পিছনে দাঁড়িয়ে ওর কাধে হাত রাখে,, পাখি শবনমের আড়ালে নিজের চোখের পানি মুছে মুখে হাসি টেনে পিছনে তাকায়।

শবনমঃ Pakhi Di are you OK.

পাখিঃ হ্যাঁ,,,হ্যাঁ আমার কি হবে I’m absolutely alright (জোর করে হাসার চেষ্টা করে)

শবনম পাখিকে ওর দিকে ঘুরিয়ে চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল,,,

শ‌বনমঃ ঠিক আছো কি না সেটা তোমার চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। পাখি দি এভাবে কষ্ট না পেয়ে বা (বলতে গিয়েও থেমে যায় ) I mean আঙ্কেলকে বলে দাও তুমি আকাশকে ভালোবাসো। আর নিহালকে বিয়ে করতে পারবে না।

পাখিঃ শবনম আমি চাইলেও চাচুকে এটা বলতে পারবো না।

উনি লাইফে অনেক কষ্ট করেছেন। নিজের ওয়াইফ, মেয়ে নিজের ফেমিলিকে হারিয়েছেন। আজ অনেক দিন পর উনাকে এতো খুশি দেখলাম আমি চাইনা আমার কারনে উনি আবার কষ্ট পাক। অনেক ঋন আছে উনার আমাদের উপর। জীবন দিয়ে হলেও এই ঋন কখনো শোধ হবে না।

শবনম কিছু বলতে নিলে পাখি ওকে থামিয়ে দেয়।

পাখিঃ প্লিজ শবনম আমি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চাচ্ছি না।

পাখি রুম থেকে বের হয়ে যায়।

শবনমঃ You are my sister Pakhi Di. তোমাকে এভাবে কষ্ট পেতে দেখতে পারবো না আমি।
(পাখির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে)

আসিস রুমে বসে বসে বই পরছে। শবনম নিজের বুকে ফু দিয়ে ভয়ে ভয়ে আসিফের রুমে নক করলো।

আসিফ বই রেখে দরজা খুলে দেখে শবনম দাঁড়িয়ে আছে।

আসিফঃ আরে শবনম মামনি এতো রাতে কিছু দরকার ছিল।

শবনমঃ ইয়ে মানে আ আঙ্কেল কিছু না বলার ছিল।

আসিফঃ আসো ভিতরে এসে বলো।

শবনমঃ Thank you ??

আসিফঃ বলো কি বলবে।

শবনমঃ আ আঙ্কেল পাখি দি কে আপনি নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসেন তাই না।

আসিফঃ হুম তার চেয়েও বেশি।

শবনমঃ তাহলে তার খুশিতেই আপনার খুশি হওয়া দরকার( শবনম কথা বলতে বলতে নার্ভাস হয়ে যাচ্ছে)

আসিফঃ মামনি তুমি কি বলতে চাচ্ছো ক্লিয়ারলি বলো।

শবনমঃ Actually uncle পাখি দি আকাশকে ভালোবাসে ওর সাথেই খুশি থাকবে। আকাশও দি কে অনেক ভালোবাসে। আপনি প্লিজ এই এঙ্গেজমেন্ট ভেঙ্গে দিন। (চোখ বন্ধ করে এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলল শবনম)

কথা গুলো বলে আসিফের কোন রেসপন্স না পেয়ে চোখ খুললো ও।

আসিফ অনেক স্বাভাবিক ভাবেই ওর দিকে তাকিয়ে আছে। শবনম বুঝতে পারছে না আসিফ কোন রিয়েকশনি করছে না কেন।

শবনমঃ আঙ্কেল আমি কিছু বলেছি। আপনি কি শুনেন নি। ??

আসিফ দাঁড়িয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। কি হচ্ছে বোঝার জন্য শবনমও ওর পিছনে পিছনে চলে গেল।

পাখি ওর বাবা মায়ের ছবি হাতে নিয়ে বসে ছিলো
হঠাৎ আসিফ ওর রুমে আসায় ও ছবি টা রেখে চোখ মুছে দাঁড়িয়ে যায়।

আসিফ পাখিকে দেখে চমকে যায়। চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে কাঁদতে কাঁদতে।

আসিফঃ শবনম তাহলে সত্য বলছিলো। আমি এতো বড় ভুল কিভাবে করতে পারলাম। পাখির কাছে ওর পছন্দ না যেনে আমি নিজের সিদ্ধান্ত ওর ঘারে চাপিয়ে দিলাম।

প্রত্যেক বাবা মা চায় তার সন্তান সুখে থাকুক। কিন্তু প্রত্যেক বার তাদের পছন্দই তাদের সন্তানদের সুখ দিবে তা নয়। প্রত্যেক বাবা মায়ের উচিত নিজের সন্তানের পছন্দের ভ্যালু করা। কারন এটা তাদের সারা জীবনের ব্যপার। তারা নিজেদের সারা জীবন কাটাবে আর যদি এই সম্পর্কে ভালোবাসাই না থাকে তাহলে সেটা বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না।

আর আমি অন্যান্য টিপিকাল পেরেন্টসদের মতই নিজের পছন্দ নিজের মেয়ের ঘারে চাপিয়ে দিলাম। একবারো ভাবলাম না যে আমার মেয়েরও কোন পছন্দ থাকতে পারে। How could I do this (মনে মনে)

পাখির কথায় ঘোর কাটলো আসিফের।

পাখিঃ চাচু তুমি এতো রাতে এখানে।

আসিফ পাখির সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে,,,

আসিফঃ আমি সত্যিই একজন ভালো বাবা না পাখি। তোদের নিজের দায়িত্ব হিসেবে এখানে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু নিজের এই দায়িত্ব ও
পালন করতে পারি নি। চাচুকে ক্ষমা করে দে।

পাখিঃ এমন কিছু না চাচু। তোমার কেন এমন লাগছে যে তুমি নিজের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ। আমি বলছি You are the best father in the world.

আসিফ পাখির হাত ধরে রিংটা খুলে ফেলল। পাখি আসিফের কাজে অবাক হয়ে গেছে।

আসিফঃ কালকে আকাশকে বলবে আমার সাথে দেখা করতে। আমি কাফকে না করে দিবো। তোমার বিয়ে তার সাথেই হবে যাকে তুমি ভালোবাসো।

পাখি কেঁদে আসিফকে জড়িয়ে ধরে,,,

পাখিঃ You are the best father in the world ??

আসিফঃ You are the best daughter in the world.

শবনম দরজায় লুকিয়ে ওদের দেখছিলো। ওর চোখ দিয়েও পানি পরছে।

শবনমঃ আমারও ইচ্ছে করছে তোমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে you are the best. কিন্তু তোমার এতো কাছে থেকেও বলতে পারছি না যে আমি তোমার মেয়ে why am I so helpless. ??

মেসেজের শব্দে কান্না বন্ধ করে ফোন দেখে শবনম। আধার মেসেজ দিয়েছে। মুচকি হেসে ওপেন করলো শবনম।

আধারঃ Come fast I’m waiting in the car.

আধার আসলেই ওর প্রত্যেক ব্যথার ঔষধ। ওর ভাবতেই সব কষ্ট ভুলে যায় শবনম।

আসিফ আর পাখিকে এক পলক দেখে নিচে নেমে আসে ও।

To be continued………

#Our_Unknown_Love_Story
#The_College_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_32

শবনম নিচে নেমে দেখে আধার গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শবনমকে দেখেই ও গাড়ির দরজা খুলে দিলো। শবনম গাড়িতে বসতেই আধার ড্রাইভ করতে শুরু করলো।

আধারঃ তো মেরি জান কাজ হয়ে গেছে। (ড্রাইভ করতে করতে)

শবনমঃ ইয়েসস,,, আমি তো ভেবেছিলাম যে উনি রাগ করবেন। কিন্তু উনি এতো সফ্টলি বিষয়টা হেন্ডেল করবেন আমি ভাবি নি।

বাবাই কালকে আকাশকে উনার সাথে দেখা করতে বলেছে। এখন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে তাই না আধার।

আধারঃ তুমি এখনো আঙ্কেলকে নিজের ব্যাপারে কিছু বলো নি তাহলে সব ঠিক হবে কীভাবে।

শবনমঃ ওফফো আধার এতো পেনিক করছো কেন। সময়টা তো এখনো শেষ হয়ে যায় নি তাইনা অনেক সময় আছে so don’t worry.

আধারঃ আজকে একটা স্পেশাল সারপ্রাইজ আছে তোমার জন্য।

শবনমঃ রিয়েলি ?? কি সারপ্রাইজ??

আধারঃ সেটা গেলেই দেখতে পাবা। (আধার মুচকি হেসে ড্রাইভিং এ মন দিলো)

বাড়ির সামনে গাড়ি থামতেই আধার আর শবনম নেমে যায়। রুমের সামনে যেতেই আধার শবনমের চোখ হাত দিয়ে ঢেকে দেয়।

শবনমঃ আধার চোখ ধরলে করলে কেন??

আধারঃ Do you trust me??

শবনমঃ উমম নাহ? (মজা করে)

আধারঃ যত বারই জিঙ্গেস করি না বলো। কিন্তু আমি জানি তুমি আমাকে সবচেয়ে বেশি ট্রাস্ট করো। আর আমি আছি না তোমাকে পথ দেখানোর জন্য।

আধার শবনমকে আস্তে আস্তে ধরে ভিতরে নিয়ে গেল।

আধারঃ যখন আমি বলবো তখনই চোখ খুলবে ওকে। বলে আধার দুরে সরে গেল।

আধারঃ এবার চোখ খুলো।

শবনম আস্তে আস্তে চোখ খুলতেই অবাক হয়ে যায়। পুরো রুম জুরে ওর ছবি আধারের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহুর্তের ছবি ক্যাপচার করা দেওয়ালে। সামনের দেয়ালে ওর আর আধারের বড় একটা ছবি টাঙানো। মিশার জন্মদিনে ওদের নাচের সময় তোলা হয়েছিলো।

পুরো রুম স্টারগেজার ফুল দিয়ে সাজানো আরেকটা দেয়ালে লেখা Aadhar Love’s Shabnam.

সামনে একটা ছোট টেবিলে পাইনাপেল কেক রাখা কেকে লেখা Happy Birthday MaryJane,

শবনম অবাক চোখে আধারের দিকে তাকালো।

আধারঃ এতো অবাক হওয়ার কিছু নেই আমার জানের বার্থডে আর আমি ভুলে যাবো ইম্পসিবল। (শবনমকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে)
পছন্দ হয়েছে??

শবনমঃ অন্নেক বেশি।I just loved it.

আধারঃ পছন্দ তো হবেই আফটার অল আধার
রেজওয়ান নিজে সব ডেকোরেট করছে।??

চলো এখন কেক কাটবে। আধার শবনমের হাত ধরে কেক কাটলো তারপর ওকে খাইয়ে দিলো। শবনম ওকে খাইয়ে দিতে গেলেই আধার বাধা দিয়ে বলল,,,,

আধারঃ ভ্যাম্পায়াররা খাবার খায় না।

আধারের কথায় শবনম ওর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।

আধারঃ রিয়েলি,,, তাহলে সেদিন যে আমি তোমাকে কেক খাইয়ে দেই নি তাই তুমি ওই ভাবে কেক খেলে।??

আধারঃ কোন ভাবে জান।??

শবনমঃ একদম ড্রামা করবে না বলে দিলাম। তুমি আমার ফেসে কেক লাগিয়ে খাওনি। ??

আধারঃ ওটা তো তোমার কাছে আসার একটা বাহানা ছিল।(মাথা চুলকাতে চুলকাতে)

তুমি চাইলে আবার ট্রাই করতে পারি।??

শবনম তো রেগে ফায়ার হয়ে গেছে। পারেনা আধারের সব চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলে।

শবনম নিজের হাতের কেক পুরোটা আধারের মুখে মেখে দেয়।

শবনমঃ নাও যত ইচ্ছে কেক খাও।?BTW you are looking very কেকি। পুরো পাইনাপেল কেকের মতো লাগছে তোমাকে ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলি। ?

আধার শবনমের কাজে পুরো বোকা বনে গেছে।

আধারঃ তবে রে দাঁড়াও আমি এখন তোমাকে লেডি পাইনাপেল কেক বানাবো।

আধার হাতে কেক নিতেই শবনম দৌড়ে বেড়িয়ে যায়।

শবনম ছাদে গিয়ে দরজা লাগিয়ে পিছনে ফিরতেই আধারকে দেখে চমকে যায়। আধার হাতে কেক নিয়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।

শবনমঃ তুমিতো রুমে ছিলা এতো তাড়াতাড়ি আমার আগে উপরে আসলে কিভাবে।??

আধারঃ Don’t forget that I’m a vampire. আর ভ্যাম্পায়াররা চোখের পলকে এখান থেকে ওখানে চলে যেতে পারে। তুমি কত বোকা মেরি জান। (শবনমের দিকে এগুতে এগুতে)

শবনমঃ এটা কিন্তু চিটিং আধার আমি একজন সাধারণ মানুষ তোমার সাথে পারবো না।তুমি নিজের পাওয়ার এর অপব্যবহার করছো হ্হ্হ ?(পিছাতে পিছাতে)

আধারঃ Everything is fair in love and War. আর এটা ভালোবাসার লড়াই মেরি জান।?

শবনম পিছাতে পিছাতে দেয়ালের সাথে চেপে গেছে। আধার শবনমের অনেক কাছে চলে আসে শবনমের প্রত্যেকটা নিঃশ্বাস ওর মুখে বারি খাচ্ছে। আধার শবনমের আরো কাছে আসতেই ও চোখ খিঁচে বন্ধ করে ফেলে।

আধার মুচকি হেসে শবনমের নাকে কেক লাগিয়ে সরে যায়।

শবনম চোখ খুলে নিজের নাকে হাত দিয়ে দেখে কেক ও রাগী চোখে আধারের দিকে তাকাতেই আধার জোরে জোরে হেসে দেয়।

শবনম রাগে দুঃখে আধারকে মারার জন্য ওর পেছনে দৌড় দেয়। শবনম আধারের সামনে যেতেই আধার গায়েব হয়ে ওর পিছনে চলে আসে শবনম আবার পিছনে যেতেই আধার ডানে চলে যায়। এমন করতে করতে শবনম ক্লান্ত হয়ে হার মেনে নেয় তারপর পাশের চেয়ারে বসে পরে।

শবনমঃ আধার আজ যদি তোমাকে সামনে পাই দেন দেখো আমি কি করি।

আধারঃ কি করবে আমার ইজ্জতে হামলা দেবে।? দেখ জান আমি জানি এই বাড়িতে আমি আর তুমি একদম একা কিন্তু এর মানে এটা না যে তুমি আমার ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। এই অবলা অসহায় ছেলের উপর এমন জুলুম ধর্মে সইবে না।???

শবনম রেগে আধারের দিকে তাকাতেই আধার আবার বলতে শুরু করলো,,,,

আধারঃ এভাবে তাকাচ্ছো কেন দেখ আমি কিন্তু ওই টাইপের ছেলে না।আল্লাহ রক্ষা করো??(নিজের শার্ট টানতে টানতে)

শবনম রেগে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। আধার একটা পানির বোতল নিয়ে শবনমের পাশে বসে তার পর ওর দিকে বোতলটা এগিয়ে দেয়।

আধারঃ খেয়ে নাও টায়ার্ডনেস চলে যাবে।

শবনম প্রথম না নিলেও পরে কিছু একটা ভেবে বোতলটা নেয়। শবনম বোতলের ক্যাপ খুলে সব পানি আধারের মাথায় ঢেলে দেয়। তারপর উঠে দূরে গিয়ে দাঁড়াও।

শবনমঃ বলেছিলাম না আমার কাছে আসলে এর সোধ তুলবো। এখন বুঝো কেমন লাগে। আমার কাছে পাওয়ার নেই তো কি হয়েছে টেলেন্ট আছে বস।??(হাসতে হাসতে)

আধার শবনমের কাছে এসে ওর কোমর জড়িয়ে নিজের আরো কাছে টেনে নেয়। তারপর বুকে জড়িয়ে বলছ,,,

আধারঃ আমরা সবসময় এভাবে হ্যাপি থাকতে পারবো তো শবনম। আমাদের ভালোবাসায় কারো নজর লাগবে না তো।

শবনমঃ একদম না। আমি সবসময় তোমার পাশে থাকবো আর এভাবেই তোমাকে ভালোবাসবো। আর যদি কেও আমাদের মাঝে আসেও তুমি আছো না আমাদের এই #Unknown_Love_Story টাকে প্রটেক্ট করতে।

আধার শবনমের কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে বলল,,,

আধারঃ ভালোবাসি

শবনমঃ আমিও।

আধার শবনমের কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে ওর চোখ গাল আর নাকে ঠোঁট ছোয়ালো। আস্তে আস্তে শবনমের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।

In Werewolf Kingdom,,,,,

কান থেকে ফোনটা সরিয়ে ফ্লোরে ছুরে মারলো Werewolf King Kayef.

নিহালঃ কি হয়েছে কিং (অনেকটা ঘাবড়ে গিয়ে)

কায়েফঃ আসিফ চৌধুরী ফোন করে বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। সব ওই আধারের কারনে হয়েছে প্রত্যেকবার আমার প্লানে পানি ঢেলে দেয় ও। ওর কাছ থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য চৌধুরী পরিবারের সাথে সম্পর্ক করতে চেয়েছিলাম।কিন্তু এটাতেও বাধা হয়ে ও দাঁড়িয়ে গেল।( রেগে প্লাস চেঁচিয়ে)

নিহালঃ তো এখন নেক্সট প্লান কি??

কাইফ একটা শয়তানী হাসি দিয়ে গ্লাসে ওয়াইন ঢালতে ঢালতে বলল,,,

কাইফঃ আমি সবসময় আধারের থেকে দুই কদম এগিয়ে থাকি। That’s why I’m the King আর ও একটা সাধারন ভ্যাম্পায়ার।

নিহালঃ আধার কোন সাধারন ভ্যাম্পায়ার না কিং ওর শক্তি ওদের রাজ্যের সব ভ্যাম্পায়ার থেকে বেশি। আর ওর আরেকটা পাওয়ার হচ্ছে আমরা ওকে কিছু সময়ের জন্য কমজোর করতে পারবো কিন্তু ওকে শেষ করা যাবে না।

কাইফঃ I know everything এজন্য ওকে এমন শাস্তি দিবো যে ও না বাঁচতে পারবে না মরতে। তিলে তিলে শেষ হবে ও। ওর সবচেয়ে বড় Weekness হচ্ছে ওর ভালোবাসা এবার আমি ওর হৃদয়ে আঘাত করবো।(বলে অট্টহাসিতে ভেঙে পরলো)

এইদিকে,,,

মেয়ের ছবি বুকে জড়িয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে আসিফ। চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরছে।

আসিফঃ Happy Birthday Princess.আজ আমার প্রিন্সেস এর জন্মদিন কিন্তু আমার কি ভাগ্য আমি আমার মেয়েটাকে দেখতেও পারছি না। নিজের বাবাইকে একা ফেলে কেন চলে গেলি মামনি।

হঠাৎ ফোনের আওয়াজে ঘোর কাটে আসিফের।
আননোন নাম্বার থেকে কেউ কল করছে।

কলটা রিসিভ করল,,

আসিফঃ হ্যালো কে??

অজানাঃ আপনার ওয়েল উইশির।

আসিফঃ আমি সোজা কথা বলতে পছন্দ করি।

অজানাঃ মেয়ের কথা অনেক অনেক মনে পরছে তাই না। কিন্তু আফসোস আপনার মেয়ে আপনার এত কাছে তারপরও আপনি ওকে চিন্তে পারলেন না।

আসিফ কিছুটা ঘাবরে গেছে এই কথা শুনে।

আসিফঃ কে আপনি আর কি আজবাজে বকছেন। আমার মেয়ে অনেক আগেই মারা গেছে।

অজানাঃ কানে শোনা কথা সবসময় সত্য হয় না আপনি যদি আপনার মেয়েকে চান কালকে ডার্ক ফরেস্ট চলে আসবেন।

আসিফঃ আপনি সত্যি বলছেন আমার মেয়ে বেঁচে আছে কোথায় ও। (অনেক খুশি হয়ে)

অজানাঃ আমি আপনাকে আপনার মেয়ে দিবো তার বদলে আমার একটা জিনিস চাই।

আসিফঃ কি???

অজানাঃ Cristal Knife

আসিফঃ What!!! ওটা আমি তোমাকে দিতে পারবো না ওই অস্ত্র ভুল হাতে গেলে অনেক ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যাবে।

অজানাঃ কাল অপেক্ষা করবো Cristal Knife না আনলে নিজের মেয়ের কথা ভুলে যাও। বলে কলটা কেটে দিলো।

To be continued………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here