#Our_Unknown_Love_Story(2),05,06
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_5
( এটা একটা কাল্পনিক গল্প। আর পুনর জনমে আমি নিজেও বিশ্বাস করি না। আমার মতে মানুষের জন্ম মৃত্যু এক বারই হয়। তাই কেউ বাস্তবতার সাথে এটা মিলানোর চেষ্টা করবেন না)
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তারা। হঠাৎ কানে কারো চেনা আওয়াজ গুজে উঠলো ওর। ঘুমের ঘোরেই ঘামতে শুরু করে ও। আওয়াজটা যেন আরো তীব্র হচ্ছে।
লাফ দিয়ে উঠে বসলো তারা,,, নিজের আসে পাশে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে আওয়াজটা কিসের।
তারাঃ কিসের আওয়াজ এটা আর কোথা থেকে আসছে,,,
পাশে দিয়া বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। দিয়াকে ডাকতে গিয়েও ডাকলো না তারা। বিছানা থেকে উঠে পাশ থেকে শাল টা নিয়ে গায়ে জড়িয়ে বারান্দায় চলে আসলো ও।
রাতের অন্ধকার আর কুয়াশা মিশে এক হয়ে গেছে। শীতের আগমনের মিষ্টি ঘ্রান যেন বাতাসে মিশে আছে। চারোদিকে শুধু অন্ধকার রাস্তায় একটা কুকুরও দেখা যাচ্ছে না
আশেপাশে দেখতে ব্যস্ত তারা হঠাৎ ওর চোখ আটকে যায় একটু দূরে একটা বিশাল বাড়ির দিন।
বাড়িটা বেশ দূরে আর চারোদিকে জঙ্গলে ঘেরা। স্পষ্ট বুঝা না গেলেও দূর থেকে বাড়ির অনেক খানি অংশ দেখা যাচ্ছে। বাড়িটা তারার কাছে বাড়ি কম খন্ডর বেশি লাগছে। এমন লাগছে বছরেও কেউ বাড়িটাতে প্রবেশ করে না। তারার কাছে কেন জানি অনেক অদ্ভুত লাগছে,,,
একটা ঘোরের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে তারা,,, চোখের সামনে অনেক কিছু ভেসে আসতে চাইছে কিন্তু সব কিছুই অস্পষ্ট ওর কাছে,,,
তারাঃ বাড়িটা কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে। আমি কি কখনো ওখানে গিয়েছিলাম,,,
হঠাৎ তারা খেয়াল করলো একটা কালো ড্রেস পরা লোক বাড়িটার ভিতরে যাচ্ছে। লোকটার শুধু পেছনের অংশ দেখতে পেলো ও।
বুকটা কেমন জানি ধক করে উঠলো তারার,,, নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসছে,,, বারবার লোকটার ভিতরে যাওয়ার দৃশ্য ওর চোখে ভেসে উঠছে,,,
তারাঃ লোকটা কে আর এতো রাতে এই খন্ডরের মতো নির্জন বাড়িতে একা কেন গেল??
বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তারার মস্তিষ্কে। অনেক বেশি আগ্ৰহ ও curiosity কাজ করছে তারার মাঝে।
তারা ছোট বেলা থেকেই অনেক কিউরিয়াস। কোন কিছু জানার আগ্ৰহ একবার মনে ঢুকলে সহজে বের হয় না।
আজও তারার মাথায় বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরঘুর করছে,,, লোকটি কে কেন এতো রাতে এই নির্জন বাড়িতে প্রবেশ করলো?? লোকটির কোন কু মতলব আছে কিনা নাকি কোন বিপদ হয়েছে তার?? বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তারার মাথায়,,
নিজেকে আর ধরে রাখতে না পেরে বিছানার পাশ থেকে নিজের ফোনটা নিয়ে আলতো করে রুম থেকে বের হয়ে আসে ও। ধীরে ধীরে মেইন গেইট খুলে কটেজ থেকে বেড়িয়ে আসে তারা।
খন্ডরটার দিকে পা বাড়ায় ও,,, কিছু দূর যেতেই বাড়িটার সামনে চলে আসে তারা। গেইটটা হালকা ধাক্কা দিতেই খুলে যায়,,,
শরীরের লোম গুলো দাঁড়িয়ে গেছে ওর। এক অজানা ভয় কাজ করছে ওর মাঝে,,, নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসছে,,
কাঁপাকাপা পায়ে ভিতরে প্রবেশ করে তারা,,, আশেপাশে ঘুরে ঘুরে দেখছে ও,,,
তারাঃ কি অবস্থা হয়েছে বাড়িটার। আগে হয়তো অনেক সুন্দর করে সাজানো ছিল কিন্তু যত্নের অভাবে এমন খন্ডরের মতো হয়ে গেছে।
বাড়ির ভিতরে না গিয়ে ডান দিকে চলে আসে তারা। ফুলের গাছ গুলো মরে শুকিয়ে গেছে,,,
তারা সামনে এগোচ্ছে আর ভাবছে,,,
তারাঃ কার স্বপ্নের রাজ্য এটা যা এমন ভাবে ধ্বংস হয়ে পরে আছে,,,
আর একটু সামনে যেতেই থমকে যায় তারা,,,
একটা বিশাল গাছ,, দেখেই ফরেনের গাছ লাগছে,,, গাছে একটা পাতাও নেই কিন্তু তাও এক আলাদা সৌন্দর্য বিরাজ করছে গাছটার মাঝে,,
তারা গাছটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো,,, গাছটা চেনার চেষ্টা করছে ও,,,
তারাঃ এটাতো জাপানের Maple Bonsai Tree এটা এখানে কি করে এলো ?( অবাক হয়ে)
তারা হঠাৎ খেয়াল করলো গাছটার গায়ে খোদাই করে কিছু লেখা কিন্তু অন্ধকারে লেখাটা বোঝা যাচ্ছে না,,,
তারা ফোনের ফ্লাশ লাইট অন করে গাছটার গায়ে ধরলো,,, ধূলো জমে আছে যায়গাটা,,, তারা হাত দিয়ে ধূলো মুঝে লেখাটার দিকে তাকালো,,,
লেখাটা পরেই চমকে উঠে তারা,,, অনেক সুন্দর ও যত্ন করে খোদাই করে লেখা Aadhar ? Shabnam.
লেখাটার দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে থেকে ও,,, নিজের অজান্তেই হাতটা আধারের নামের উপর চলে আসে তারার,,, আধারের নামে হাত বুলাতে বুলাতে আনমনেই মুখ থেকে বের হয়ে আসে,,,
তারাঃ আ আধারর,,,,
শবনমের ছবির দিকে এতক্ষণ পলকহীন ভাবে তাকিয়ে ছিল আধার,,, হঠাৎ শবনমের কন্ঠ ওর কানে বেজে উঠে,,, বিচলিত হয়ে পিছনে ফিরে আধার,,, হৃদয়টার ধকধক তো অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে কিন্তু তাও অনুভব হচ্ছে হৃদয়টা যেন আবার নিজের প্রান ফিরে পেয়েছে,,,
বুকে এক হাত রেখে ঘনঘন নিঃশ্বাস নিতে শুরু করে ও। ঠোঁটের কোণে আবার সেই আগের মতো হাসি ফুটে উঠে,,, কত বছর পর আজ আধারের মুখে হাসির রেখা এসেছে,,,
আধারঃ শ শবনম,,, শবনম এখন আমার নাম নিলো ও ও এখানেই আছে,,, আমার আশেপাশে আমার অনেক কাছে,,,,
আধার নিচে ছুটে চলল ওর শবনমের খোজে,,,
হঠাৎ তারার ঘোর কেটে যায়,,, সাথে সাথে আধারের নামের উপর থেকে নিজের হাত সরিয়ে নেয় ও,,,
তারাঃ কি হচ্ছে আমার,,, কেন এই নামটার প্রতি এতো দূর্বলতা আসছে,,, আমি তো এই নামের লোকটাকে চিনিও না তাহলে,,, ( অস্থির হয়ে)
আর আমি,,, কিছু বলার আগেই তারার মনে পরে যায় ওতো ওই আননোন লোকটাকে খুঁজতে এসেছে,,,
তারাঃ আমি এখানে কি করছি আমার তো ওই লোকটাকে খোজার দরকার,,,
হঠাৎ তারা পিছনে ফিরতেই ঘাবরে যায়,,
বেশ কিছু দূরে কেউ দাঁড়িয়ে আছে,,, অন্ধকারের কারনে কোন অবয়বের মতো লাগছে,,, অবয়বটি ধীর পায়ে তারার দিকে এগিয়ে আসছে,,, ভয়ে তারার শরীর জমে গেছে,,, হাত থেকে ঠাস করে ফোনটা ছুটে যায়,,, নরার ক্ষমতাও যেন হারিয়ে ফেলেছে ও,,,
অবয়বটা যত কাছে আসছে ততই তার শরীর স্পষ্ট হচ্ছে,,, কালো লং হুডি,,, হালকা নীল চোখ,,, একটা স্থির চাহনি যেন কত বছরের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে,,, লোকটির চোখে পানি কিন্তু ঠোঁটের কোণে হাসি,,,,
অবয়বটার চেহারা বুঝে উঠার আগেই তারার চোখ ঝাপসা হয়ে যায়,,,, হঠাৎ পরে যেতে নিলেই অবয়বি ওকে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে ফেলে,,,,
তারা আস্তে আস্তে নিজের চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,,
আধার শবনমের জন্য ছুটে নিচে চলে আসে,,, হঠাৎ একটা মেয়েকে বনসাই গাছের সামনে দেখলো ও,,, মেয়েটি কে বোঝার জন্য সামনে এগিয়ে আসে আধার,,,
হঠাৎ মেয়েটে পিছনে ফিরতেই থমকে যায় আধারের পা,,, পা টা যেন আর সামনে এগোতে চাইছে না,,, দুনিয়া যেন থেমে গেছে এখানেই,,,
সেই পুরোনো মায়া ভরা চেহারাটা আজ আবারো আধারের সামনে,,,, যাকে দেখার জন্য স্পর্শ করার জন্য দিন রাত আর্তনাদ করেছে,,, যে চলে যাবার পর ওর দুনিয়া থমকে গেছে,,,, যার অপেক্ষায় প্রতিনিয়ত নিজেকে কষ্ট দিয়েছে,,, যার বিরহে ও হিংস্রতার পথ বেছে নিয়েছে,,,,
আজ সেই চিরচেনা মুখ ওর সামনে,,,আধারের চোখে আজ কষ্টের পানি আর ঠোঁটে খুশির হাসি,,,,
ধীরে ধীরে এগোচ্ছিলো ও নিজের ভালোবাসার দিকে ওর শবনমের দিকে,,,,
আধার খেয়াল করলো যে শবনম পরে যাচ্ছে,,, তারাতারি আধার শবনমের দিকে ছুটে গিয়ে ওকে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে ফেলে,,,
এতো অপেক্ষার পর আজ নিজের শবনমকে বুকে জড়িয়ে ধরেছে আধার,,, কথাটা ভাবতেই আরো শক্ত করে শবনমকে নিজের সাথে মিশিয়ে জড়িয়ে ধরে ও,,, এমন লাগছে হাতের বাধনটা আলগা হতেই এই বুঝি আবারো ওর শবনম ওর থেকে দূরে চলে যাচ্ছে।
To be continued…..
#Our_Unknown_Love_Story(2)
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_6
এতো অপেক্ষার পর আজ নিজের শবনমকে বুকে জড়িয়ে ধরেছে আধার,,, কথাটা ভাবতেই আরো শক্ত করে শবনমকে নিজের সাথে মিশিয়ে জড়িয়ে ধরে ও,,, এমন লাগছে হাতের বাধনটা আলগা হতেই এই বুঝি আবারো ওর শবনম ওর থেকে দূরে চলে যাচ্ছে।
।
।
।
।
।
চেহারায় সূর্যের আলো পরতেই ধরফরিয়ে উঠে বসে তারা।
ঘনঘন নিঃশ্বাস নিয়ে নিজের আশেপাশে তাকালো ও। নাহ নিজের রুমেই আছে,,,
তারাঃ আমি কি স্বপ্ন দেখলাম?? কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব??
তারা পাশে তাকিয়ে দেখে দিয়া ওর পাশেই বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। তারা একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল,,,
তারাঃ দুঃস্বপ্ন ছিলো আর আমি কি না কি ভাবছিলাম,,,
তারা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সকাল 7 টা বাজে আর 9 টায় ক্লাস শুরু। তারা উঠে লাগেজ থেকে ড্রেস বের করে ওয়াশরুমে যেতে নেয়,,, হঠাৎ জানলার সামনে পর্দার দিকে ফিরে তাকায় ও,,,
তারাঃ ওখানে কি কেউ আছে,, ( মনে মনে) ধুর আমার মনের ভ্রম হবে,, আজকাল কেন এতো আজিব আজিব ভ্রম হচ্ছে আল্লাহ জানে,,,
তারা নিজে নিজে কথা গুলো ভেবে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়,,,
পর্দার আড়াল থেকে আধার বের হয়ে আসে,,,
আধারঃ এখন তোমার কিছু মনে নেই জান,,, ভূলে গেছো তুমি আমায়,, ভূলে গেছো তোমার আধারের এই #Unknown_Love , ভূলে গেছো আমাদের ভালোবাসা,,, তাই এই অবস্থায় আমি তোমার সামনে আসবো না,,,
আবার নতুন করে ভালোবাসার নতুন অধ্যায় শুরু করবো,,, নতুন করে আমায় ভালোবাসতে শিখাবো,,, নতুন করে আমাকে অনুভব করতে শিখাবো,,, Get ready my love for
#Complete our #Incomplete_Love
কথা গুলো ভেবেই আধার জানালা দিয়ে বের হয়ে যায়,,,
কিছুক্ষণ পর,,,,
তারা জিন্স আর হোয়াইট লং টপ পরে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসে,,, দিয়া এখনো ঘুমাচ্ছে,,,
তারা দুষ্টু হেসে হাতের ভেজা টাওয়েল টা দিয়ার মুখে ছুরে মারে,,, দিয়া সাথে সাথে ধরফরিয়ে উঠে বসে,,, দিয়ার কান্ড দেখে তারা হাসতে হাসতে বিছানায় বসে পরে,,,
দিয়াঃ তারা কি বাচ্চি এটা কি করলি,,,। এভাবে কাওকে ঘুম থেকে উঠায় শয়তানের খালা,,( রেগে)
তারা নিজের হাসি চাপিয়ে বলে,,
তারাঃ এভাবে উঠাবো না তো কি করবো কয়টা বাজে কোন খেয়াল আছে তোর,,, আমি লেট হলে দোষ আর তোমরা লেট হলে দোষ না,,, নিজের বেলায় ষোল আনা আর আমার বেলায় চার আনাও না,,, বেশ করেছি আরো করবো ??
দিয়াঃ তবে রে দাঁড়া,,,
দিয়া আর তারা পুরো রুমে ছুটাছুটি শুরু করে দেয়,,
After Some Hours,,,
In College,,,
তারা আমান রোহান আর দিয়া কলেজ ইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে গল্প করছে ক্লাস শুরু হতে আরো কিছু সময় বাকি,,,
কিছু মেয়ে পাশ দিয়ে যেতে যেতে বলছে,,,
>> দোস্ত আজকে থেকে নাকি AR আবারো কলেজের ক্লাস নিবে?
>> হুম বাট আমাদের না নিউ স্টুডেন্ট এসেছে তাদের ?
>> তো কি হয়েছে আফটার অল AR কে দেখতে তো পাবো,,
>> হুম সেটা ঠিক কিন্তু AR যা রুড ওনার পাশে ঘেষতেও ভয় করে,,, ?
মেয়ে গুলোর কথা অনেক মনোযোগ সহকারে শুনছিলো তারা আর দিয়া,,, হঠাৎ দিয়া মেয়ে গুলোকে থামিয়ে জিঙ্গেসই করে ফেলল,,,
দিয়াঃ Excuse me,, আপনারা কার কথা বলছেন আই মিন হু ইজ দিস AR..
রোহানঃ তুই যেনে কি করবি ?
দিয়া রেগে রোহানের দিকে তাকাতেই রোহান মুখ বাঁকিয়ে ঘুরে গেল,,
প্রথম মেয়েঃ You don’t know who is AR,, ?
তারাঃ আব নোও আসলে আমরা নিউ,,
মেয়েটিঃ এজন্যই,,, AR হচ্ছে আমাদের কলেজের ট্রাস্টি প্লাস ভিপি,,, অলসো পুরো কলেজের মেয়েদের ক্রাশ,,, ?
যা দেখতে কি বলবো,,, পুরোই হলিউড হিরো,,,? কিন্তু অনেক রাগী,,, কারো সাথে ঠিক মতো কথা বলে না আর মেয়েদের সাথে তো নায়ই,,,?
তোমরা নতুন তাই আস্তে আস্তে বুঝবে,, মেয়ে দুটো চলে যায়,,,
কেন যেন তারার মাথায় AR নামটা ঘুরপাক খাচ্ছে বারবার,,,
আমানঃ চল ক্লাসের সময় হয়ে গেছে,,,
সবাই ক্লাসে যাওয়ার জন্য সামনে এগিয়ে যায়,, তারা নিজের ভাবনায় ডুবে হাটছে তাই ও পিছনে পরে যায় আর বাকিরা অনেক এগিয়ে যায়,,,
হঠাৎ কোথা থেকে একটা কালো গাড়ি ফুল স্পীডে তারার পাশ দিয়ে যায়,, তারার পাশে কাঁদা ছিলো,,, গাড়ির টায়ারে লেগে কাঁদা গুলো ছিটকে সব তারার শরীরে লাগে,,,
তারা ভাবনায় বেঘাত ঘটে,,, নিজের দিকে তাকিয়ে তারা একটা জোরে চিৎকার দেয়,, ওর চিৎকার শুনে আশেপাশের সবাই ওর দিকে তাকায়,,,
তারাঃ ও হ্যালো মি. অন্ধ ড্রাইভার,,, চোখ কি গাড়ির ব্যাক সিটে নিয়ে ঘুরেন নাকি ,,, ( চিল্লিয়ে)
তারার কথা শুনে হঠাৎ কালো গাড়িটি থেমে যায়,, তারপর ব্যাক করে তারার সামনে আসে,,,
গাড়ির লোকটি বের হতেই আশেপাশের সবার হার্ট এ্যাটেক করার উপক্রম,,,
একজনঃ এটাতো AR? এখন নিশ্চই এই মেয়ের কপালে শনি আছে,,
আরেকজনঃ শুধু শনি না,,, রাহু কেতু সব আছে,,, বেচারী AR এর কোপ থেকে কে বাঁচাবে ওকে,,,
গাড়ির লোকটিকে দেখে তারা নিজেই হা হয়ে যায়,, কালো প্যান্ট, কালো শার্ট,, শার্টের উপরে চকলেট কালারের ব্লেজার,,, চুল গুলো সিল্কি যার কারনে বারবার বাতাসে উড়ে কপালে আসছে,, কালো শু হাতে কালো ব্রেন্ডেড ঘড়ি,,, ওর দিকেই এগিয়ে আসছে,,
তারা হা হয়ে সামনের লোকটার দিকে তাকিয়ে আছে,,, লোকটা ওর সামনে এগিয়ে এসে ওর দিকে একটা রুমাল ধরলো,,,
এ আরঃ নিন মুঝে নিন,,,
লোকটির কথায় তারার ঘোর কেটে গেলো লজ্জা পেয়ে সাথে সাথে নিজের চোখ নামিয়ে নিলো ও,,
AR এখনো রুমালটি ওর দিকে ধরে আছে,,
এ আরঃ What happened মিস নিন,,, এখন বলছেন চোখ ব্যাক সিটে নিয়ে ঘুরি পরে বলতে পারেন চোখ বৌ এর কাছে রেখে এসেছি,,, for your kind information আগেই বলে দিচ্ছি আমি কিন্তু আন ম্যারিড??,,,
আসলে সামনে এতো সুন্দর পরী থাকলে,,, নজর ব্যাক সিটে না আউট সিটে চলে আসে তাই এরকম ছোট খাটো এক্সিডেন্ট হওয়াটা স্বাভাবিক ??
AR এর কথা শুনে তারা অবাক হয়ে ওর দিকে তাকায়,,,
AR তারার হাতে রুমাল ধরিয়ে দিয়ে আবারো গাড়িতে বসে সামনে চলে যায়,,,
তারা এখনো ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,, লোকটির কথা সব ওর মাথার উপর দিয়ে গেছে,,,
এর মধ্যে একটি মেয়ে এসে ওকে বলল,,,
মেয়েটিঃ তুমি AR কে এতো বড় কথা বললে তাও উনি কিছু বলল না স্ট্রেঞ্জ,, you are so lucky,,,, অন্য সময় হলে AR তাকে কলেজ থেকে গেট আউট করে দিতেন,,,
তারাঃ ই ইনি AR??
মেয়েটিঃ হ্যাঁ,,,
কাধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে পিছনে ফিরে তারা,,
দিয়াঃ তুই এখনো এখানে কি করছিস তারা,,, আর তোর এই অবস্থা কেন??
তারা সব দিয়াকে খুলে বলল,,,
দিয়াঃ চল ওয়াশরুম থেকে এগুলো ক্লিন করিয়ে আনি,,,
তারাঃ হ্যাঁ ক্লাসও শুরু হয়ে যাবে তারাতারি চল,,,
তারা এক ফাঁকে রুমালটি ওর ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলো,,,
To be continued…