Our_Unknown_Love_Story(2),07,08

0
1007

#Our_Unknown_Love_Story(2),07,08
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_7

দিয়া আর তারা ড্রেস ক্লিন করে ক্লাস রুমে চলে আসে। আমান আমায়রার সাথে বসে আছে,,, আর রোহান একা বসে ফোন টিপছে,,, দিয়া গিয়ে রোহানের পাশে বসে পরলো,, সামনের বেঞ্চ খালি থাকায় তারা ওখানেই বসে পরলো,,,

সবাই নিজের মতো করে ব্যস্ত,,, নিজের অজান্তেই বারবার কেন জানি AR এর চেহারা ওর কথা মনে পরছে তারার। অনেক অস্বস্তি অনুভব করছে ও এমন লাগছে চেহারাটা কন্ঠ টা ওর অনেক চেনা,,,

কোন মতেই AR এর চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছে না তারা,,,, পরক্ষণেই রুমালটার কথা মনে পরে গেল ওর,,, তারা তাড়াহুড়া করে ব্যাগ থেকে রুমালটা বের করলো,,,

এক অদ্ভুত রকম স্মেল আসছে রুমালটা থেকে,,, যেন কোন ঘোর লাগানো স্মেল,,, রুমালটা একটু সামনে আনতেই একটা লেখা দেখতে পেলো ও,,,
লেখাটা অনেক অদ্ভুত ভাবে পেঁচিয়ে লিখা S টাইপের,,,

তারাঃ এটা আবার কেমন ভাবে লিখেছে আর এই এস দিয়ে কার নাম হয়??

তারা হঠাৎ অনুভব করলো কেউ ওর পাশে বসেছে,,, তাকাতেই দেখতে পেলো এটা আর কেউ নয় বরং অয়ন ( ওর ক্লাসমেট। অনেক বেশী চিপকু টাইপ) ,,, অয়ন ড্যাবড্যাব করে তারার দিকেই তাকিয়ে আছে,,,

অয়নঃ হায় তারা কেমন আছো,,,

তারাঃ চিপকু ( বিড়বিড়িয়ে) তারা অলওয়েজ ভালো থাকে,,,?আর দেখতেই তো পাচ্ছ যে ভালো আছি জিঙ্গেস করার কি আছে,,,,?

তারার জবাব শুনে অয়ন চুপ করে যায়,,,

ক্লাসে টিচার ঢুকতেই সবাই দাঁড়িয়ে যায়,,, তারা দাঁড়িয়ে সামনে তাকাতেই অপ্রস্তুত হয়ে পরে,,,

সবাই,,, গুড মর্নিং এ আর ?

এ আরঃ মর্নিং,,,

সবাই বসে পরে বাট তারা স্টিল দাঁড়িয়ে আছে আর আধারের দিকে তাকিয়ে আছে,,, কেন তাকিয়ে আছে জানা নেই,,, আধারও মায়া ভরা দৃষ্টিতে তারার দিকে তাকিয়ে আছে,,, এই দেখার যেন কোন শেষ নেই,,,

আধার নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে চোখ সরিয়ে নেয়,,, পিছন থেকে দিয়া তারাকে বসার জন্য ইশারা করে বলছে কিন্তু তারার এতে কোন হুশ নেই,,,

আধার একটু একটু করে তারা সামনে এসে দাঁড়ালো,,, তারার দিকে কিছুটা ঝুকে বলতে শুরু করল,,,

আধারঃ আমি আপনাকে এখনো পানিশ করি নি মিস,,, সো ইউ ক্যান সিট নাও,,

আধারের কথা শুনে তারার ঘোর ভেঙ্গে যায় আসে পাশে তাকিয়ে দেখে সবাই ওর দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে,,, তারার অনেক লজ্জা করছে সবাই ওকে কি ভাবছে ভেবে,,, তারা কিছু না ভেবে সাথে সাথে বসে পরে,,,

তারার কাজে আধার একটু হেসে নিজের জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়,,,

আধারঃ হাও আর ইউ অল?? বাই দ্যা ওয়ে ওয়েল কাম টু ইউর নিউ প্রজেক্ট,,, আধার সবার সাথে পরিচয় হয়ে নেয় আগে,,, তারপর সবাইকে নতুন প্রজেক্টের বিষয়ে বুঝাতে শুরু করে,,,

আধার সবাইকে প্রজেক্টর অন করে সব ডিটেইলস বুঝিয়ে দিচ্ছে,,, তারা মুগ্ধ হয়ে শুধু আধারকে দেখছে আর ওর কথা শুনছে,,,

হেটে হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে সব কিছু গুছিয়ে বলা,,, কথার মাঝে একটু একটু করে হাসা,,, পকেটে এক হাত রেখে আরেক হাত নাড়িয়ে কথা বলা,,, আধারের সব যেন মনোমুগ্ধকর,,, জাস্ট লাইক এ পার্ফেক্ট ম্যান।

তারাঃ কেন এমন হচ্ছে,,, আগেতো কখনো কারো প্রতি এরকম ফিল আসে নি তাহলে এ আরকে দেখার পর থেকে এরকম অদ্ভুত ফিলিং আসছে কেন??? ওনাকে তো আমি চিনিও না কখনো দেখিও নি,,, তবুও এমন লাগে যেন ওনাকে অনেক গভীর ভাবে জানি আমি,,, ওনার চোখ!!! এটা সবচেয়ে বেশি অদ্ভুত,, ওনার চোখের দিকে তাকালেই কেমন যেন একটা ঘোর লাগা কাজ করে,,, মনে হয় অনেক কিছু বলতে চায় বোঝাতে চায় আমাকে,,,, ( মনে মনে)

ওফফো তারা তুই কিসব ভাবছিস,,, কনসনট্রেট জাস্ট কনসনট্রেট অন দিস প্রজেক্ট,,, এটা তোর ক্যারিয়ার এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওকে,,,

তারা আর কিছু না ভেবে প্রজেক্টে ফোকাস করলো,,,

আধারঃ তো আজকের ক্লাস এ পর্যন্তই,,, কিছুক্ষন পরে সবার সাথে ল্যাবে দেখা হবে বাকী সব তখন বুঝিয়ে দিবো,,,

আধার এক পলক তারার দিকে তাকিয়ে ক্লাস থেকে বেড়িয়ে যায়,,,

আধার চলে যেতেই আমান আমায়রাকে নিয়ে সামনে আসে,,,

আমানঃ গাইজ সি ইজ আমায়রা আর আমায়রা এরা আমার ফ্রেন্ড দিয়া আর রোহান,,, আর এ হচ্ছে তারা আমার কাজিন,,,

আমান আমারাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় আর আমায়রাও ফ্রিলি সবার সাথে মিশে যায়,,,

কিছুক্ষন পর সবাই আধারের কথা মতো ল্যাবে উপস্থিত হয়,,, আধার আগে থেকেই ল্যাবে ছিলো,,,

ল্যাবে চারো দিকে বিভিন্ন জানা অজানা প্রানীর ছবি,,, তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ,,, তাদের নাম দেওয়া,,, কাচের গ্লাস দিয়ে চারোদিকে আটকে রাখা হয়েছে যাতে কেউ টাচ না করতে পারে,,,

আধারঃ সবাই যার যার ক্যামেরা দিয়ে এদের ছবি তোলো আর রিসার্চ করে কালকের মধ্যে একটা এসাইনমেন্ট তৈরি করে আমার কাছে জমা দিবে,,, বাট মনে থাকে যেন যদি কেউ এসাইনমেন্ট কমপ্লিট না করে আনে তাকে আমি নিজে শাস্তি দিবো,,, এন্ড ইউ অল নো হাও স্ট্রিক্ট আই এম,,, ( তারার দিকে তাকিয়ে)

শাস্তির কথা শুনে সবাই তাড়াতাড়ি ক্যামেরা বের করে কাজ শুরু করে দেয়,,,

তারাও অনেক মনোযোগ সহকারে কাজ করতে শুরু করে,,,

আধারঃ স্যরি মেরি জান তুমি যতই চেষ্টা করোনা কেন তোমার এসাইনমেন্ট আমি কমপ্লিট হতে দিবো না,,, কারন শাস্তিটা স্পেশালি তোমার জন্য রেডি করেছি জান,,, না চাইতেও তোমার কষ্টটা বৃথা যাবে আ’ম স্যরি ( ডেভিল স্মাইল দিয়ে তারার দিকে তাকিয়ে)

To be continued….

#Our_Unknown_Love_Story(2)
#The_Incomplete_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_8

আধারঃ স্যরি মেরি জান তুমি যতই চেষ্টা করোনা কেন তোমার এসাইনমেন্ট আমি কমপ্লিট হতে দিবো না,,, কারন শাস্তিটা স্পেশালি তোমার জন্য রেডি করেছি জান,,, না চাইতেও তোমার কষ্টটা বৃথা যাবে আ’ম স্যরি ( ডেভিল স্মাইল দিয়ে তারার দিকে তাকিয়ে)

কথা গুলো ভেবে আধার আবার বলতে শুরু করলো,,,

আধারঃ আর একটা কথা,,, এই প্রজেক্ট টা প্রিন্সিপাল স্যার নিজে পর্যবেক্ষণ করবে,,, তোমাদের যোগ্যতা আর ক্যাপিবিলিটি নির্ধারণ করবে এই প্রজেক্ট,,, সো ট্রাই ইউর বেস্ট গুড লাক,,, ( বলেই আধার তারার দিকে এক পলক তাকিয়ে বের হয়ে গেল)

এইদিকে তারা ভাবছে অন্য কিছু,,,

তারাঃ আমি আমার বেস্ট ট্রাই করবো ,,, আমার ফার্স্ট প্রজেক্ট আমার ড্রিমের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ফার্স্ট স্টেপ,,, আমি আমার মঞ্জিল এর অনেক কাছে চলে এসেছি,,, এখন কোন বাধা আমাকে আটকাতে পারবে না,,, আই উইল ডিসট্রয় ইওর এক্সিসটেন্স,,,, তৈরি হয়ে নাও তোমরা,,, তোমাদের দূর্বলতা খুঁজে তোমাদের ধ্বংস করে দিব আমি,,, ( অনেক ক্রোধ নিয়ে মনে মনে বলল)

(তারার একটা রহস্য আছে সেটা আস্তে আস্তে ক্লিয়ার হবে)

( একদিকে আধার তারার প্রজেক্ট নষ্ট করার চিন্তা করছে,,, অন্যদিকে তারা অনেক সিরিয়াস ভাবে প্রজেক্ট নিয়ে ভাবছে,,, আল্লাহ জানে আধারের কাজ ওর উপরেই ভারী না পরে যায় ?)

রাতে,,,

কাজ শেষ করে ল্যাপটপ টা অফ করে সাইডে রেখে দিল তারা,,, পেনড্রাইভ টা ল্যাপটপ থেকে খুলে ব্যাগে সযত্নে রেখে দিল,,,

দিয়া অনেক আগেই কাজ শেষ করে ঘুমিয়ে পরেছে,,, ঘুম নেই তো শুধু তারার চোখে,,, জানালার পাশে গিয়ে পর্দাটা হালকা ফাঁক করে দিল ও,,, চাঁদের আলো পর্দার আড়ালে রুমে পরছে,,, কিছু একটা ভেবেই চোখের কোন দিয়ে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল ওর,,,

হঠাৎ নিচে তাকাতেই কাওকে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখতে পেলো তারা,,, কালো হুডি পরা মাথা ঢাকা যার ফলে চেহারা বুঝা যাচ্ছে না।

পরক্ষনে তাকাতেই লোকটি কোথাও উধাও হয়ে গেল,,,

তারাঃ এখন তো এখানেই ছিল হঠাৎ লোক টি কোথায় উধাও হয়ে গেল,, ( আশ্চর্য হয়ে)

তারা ব্যাপার টা বুঝতে পারলো না,,, ভয় প্লাস তাজ্জব লাগছে ওর কাছে,,

তারাঃ হয়তো আমার মনের ভ্রম হবে,, এসব ব্যাপারে আমি হয়তো বেশিই ভাবছি,,, ঘুমিয়ে পরি কালকে অনেক ইম্পোর্টেন্ট প্রজেক্ট আছে,,,

জানলা আটকে দিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলো তারা,,, কিছুক্ষনের মধ্যেই ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেল ও,,,

ধীর পায়ে তারার রুমে প্রবেশ করলো আধার,,, তারাকে দেখে ওখানেই থমকে গেল ও,,, হার্টবিট ফাস্ট থেকে আরো ফাস্ট হচ্ছে,,,

পুরো রুম অন্ধকার শুধু ড্রিম লাইটের আলো জ্বলছে,,, হলুদ বর্ণের আলোটা তারার মুখে পরছে,,, তারা গুটিগুটি মেরে একটা বালিশ বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে,,, হালকা আলোতে একদম অন্যরকম লাগছে তারাকে,,, আধারের কাছে তারার এই রুপটা একদম অমায়িক লাগছে,,, আধার ধীর পায়ে তারার পাশে গিয়ে বসলো,,, নিজের হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল গিয়ে তারার গাল স্লাইড করছে আধার।

আধারঃ কত অপেক্ষার পর তোমাকে এতো কাছ থেকে দেখতে পারছি মেরি জান,,, ইউ হ্যাভ নো আইডিয়া তোমাকে ছাড়া কতটা কষ্টে বেঁচে ছিলাম আমি,,, প্রত্যেক টা মুহুর্ত ধুকে ধুকে মরেছি আমি,,, জীবন্ত লাশের মত হয়ে পরেছিল আমার জীবন,,

কিন্তু এখন আর কোন কষ্ট নেই আর কোন দুরত্ব নেই,,, আছে তো শুধু ভালোবাসা,,, এবার আর তোমাকে হারাতে দিবো না,,, নিজের মাঝে লুকিয়ে রাখবো সারাজীবন,,, তোমায় ছাড়া বাঁচা কতটা মুশকিল তা এত বছরে হারে হারে টের পেয়েছি আমি,,, তোমার আর আমার মাঝে আর কাউকে আসতে দিবে না এই আধার রেজওয়ান,,, যে আসবে তাকে মৃত্যুর থেকেও ভয়াবহ শাস্তি দিবো আমি,,,

কথা গুলো ভেবেই তারার কপালে গভীর ভাবে ঠোঁট ছোয়ালো আধার,,, উঠে গিয়ে তারার ব্যাগ থেকে পেনড্রাইভ টা বের করে নিজের পেনড্রাইভ দিয়ে এক্সচেঞ্জ করে দিল ও,,,

আধারঃ স্যরি মেরি জান কালকের অপেক্ষায় আছি,,, হ্যাভ আ সুইট ড্রিম,,,

তারার দিকে এক পলক তাকিয়ে বের হয়ে গেল আধার,,,

সকালে,,,,

তারা দিয়া রোহান আর আমান সহ সবাই প্রজেক্টর রুমে বসে আছে,, সামনে তিনটা সিটের ব্যবস্থা করা,,, একটাতে প্রিন্সিপাল আর তার সাথে একটা অন্য টিচার বসে আছে বাকি একটা সিট খালি,,,

তারার চোখ বারবার আশেপাশে আধারকে খুঁজছে কেন খুঁজছে এর উত্তর ওর জানা নেই,,,

প্রিন্সিপালঃ স্টুডেন্টস তোমরা সবাই প্রিপারেশন নিতে থাকো,, এআর আসলে প্রেজেন্টেশন শুরু করব আমরা,,?

দরজা খোলার আওয়াজে সবাই পেছনে ফিরে তাকাতেই হা হয়ে যায়,,, আধার সাদা শার্ট কালো ব্লেজার আর কালো প্যান্ট পরেছে,,, চোখে একটা গোল ফ্রেমের চশমা টাইপ সানগ্লাস,,, চুল গুলো এ্যাজ ইউজয়াল স্পাইক করা,,,। আধার ফুল এটিটিউট মুডে প্রিন্সিপাল এর পাশের সিটে বসে পরলো,,,,

তারা বারবার আড়চোখে আধারকে দেখছে না চাইতেও চোখ বারবার আধারের দিকেই শিফ্ট হচ্ছে ওর,,, শুধু তারা না ক্লাসের সব মেয়েই ড্যাবড্যাব করে আধারের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,

আধারঃ তো সবাই এক এক করে নিজেদের প্রজেক্ট প্রেজেন্ট করো,,,

সবাই নিজেদের প্রজেক্ট প্রেজেন্ট করছে,,, একেক জন একেক বিষয়ে সার্চ করেছে,,, কেউ ইতিহাস,, কেউ বিভিন্ন অজানা পাখি অথবা পশু,, কেউ হন্টেড প্লেস ব্লা ব্লা,,,

তারার বারি আসতেই আধার ওকে দাড় করালো,,,

আধারঃ মিস তারা আহমেদ,,,

তারাঃ ইয়েস স্যার ( দাঁড়িয়ে)

আধারঃ আপনি কোন সাবজেক্টে সার্চ করেছেন,,,

তারাঃ ভ্যাম্পায়ার!!

তারার কথা শুনে সবাই কেমন চোখে যেন ওর দিকে তাকালো,,, আধারও কিছুটা অবাক হলো,,,

আধারঃ এতো প্রানি থাকতে ভ্যাম্পায়ার এর উপর রিসার্চ কেন??

তারাঃ স্যার আমি ছোট থেকেই ভ্যাম্পায়ার এর বিষয়ে রিসার্চ করছি,, ওদের শক্তি ওদের দুর্বলতা সব জানার চেষ্টা করছি,,, তাই আমার এই প্রজেক্ট টাও ভ্যাম্পায়ার নিয়েই করলাম,,, আমার জার্ণালিসম নিয়ে পরার একটাই উদ্দেশ্য ওদের বিষয়ে ওদের অস্তিত্বের বিষয়ে জানা,,,

তারার উত্তরে সবাই নির্বাক হয়ে গেছে,,, আধারের কাছেও বিষয়টা খটকা লাগছে,,,

আধারঃ আপনি ভ্যাম্পায়ার এ বিশ্বাস করেন,,,,?

তারা কিছুক্ষন চুপ থেকে উত্তর দেয়,,

তারাঃ আগে করতাম না কিন্তু সেদিন থেকে করি,,,

তারা আধারকে আর কোন কথার সুযোগ না দিয়ে প্রজেক্টর অন করতে শুরু করে,,,

আধারঃ কিছু তো আছে যা আমার ভাবনার বাহিরে,,, সামথিং ইজ নট রাইট,,, তারার মনে কিছু একটা আছে যা ও লুকাচ্ছে কিন্তু কি,,, আর সেদিন থেকে মানে,,, কি বুঝাতে চাচ্ছে তারা আই হ্যাভ টু ফাইন্ড আউট,,,

প্রজেক্টর অন করতেই তারার হাসি মাখা মুখ মলিন হয়ে গেল,,, পুরো পেনড্রাইভ খালি ইরর লেখা উঠছে,,,, তারা বারবার চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুই আসছে না,,,

তারাঃ এটা কি করে সম্ভব,,, আমিতো রাতেই সব কিছু সেভ করে রেখেছিলাম,,,,

তারার প্রায় কান্না করে দেওয়ার উপক্রম,,

প্রিন্সিপালঃ এটা কি তারা?? তোমার ফাইল পুরো খালি,,, কি প্রেজেন্টেশন রেডি করেছো তুমি?? ( কিছুটা রেগে)

তারাঃ স্যার আমি সব সেভ করে রেখেছিলাম বিলিভ করেন,,, এটা কি করে হলো আই রিয়েলি ডোন্ট নো,,

প্রিন্সিঃ ফাঁকিবাজির একটা লিমিট থাকা উচিত,,, তোমার মত ইরিস্পনসিবল মেয়ে জার্ণালিসম স্টাডি করার যোগ্য না,,,, একটা নরমাল পেনড্রাইভ হ্যান্ডেল করতে পারো না। তুমি কিভাবে বড় বড় প্রজেক্ট হ্যান্ডেল করবে,,( চিল্লিয়ে)

প্রিন্সিকে তারার উপর চিল্লাতে দেখে রাগে আধারের গা জ্বলছে,,, ইচ্ছে করছে তার শরীরের সব রক্ত গায়েব করে দিক,,,, অনেক কষ্টে নিজের রাগ কন্ট্রোল করে রেখেছে ও,,,

তারা কান্না করে দিয়েছে,,, আধার আর সহ্য করতে না পেরে প্রিন্সিকে থামিয়ে বলতে শুরু করে,,,

আধারঃ স্যার তারা আমার স্টুডেন্ট তাই আপনার কোন রাইট নেই ওর উপর চিল্লানোর,,, ও ভুল করেছে তার শাস্তি আমি ওকে দিব অন্য কাউকে ওর উপর চিল্লানোর অধিকার আমি দেই নি,,,

আধারের ব্যবহারে টিচার স্টুডেন্টস সবাই অবাক হয়ে গেছে,,, প্রিন্সিপাল ও কিছুটা অপমান বোধ করলো,,

সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছে তারা,,, আধার ওর সাইড নিয়ে কেন কথা বলছে,,, ওর এতো কেন কষ্ট লাগছে তারার জন্য ভেবে পাচ্ছে না তারা,,,

প্রিন্সিঃ হুম এআর আই নো আপনার স্টুডেন্ট কে কিছু বলার রাইট আমার নেই তো এখন আপনি বলেন আপনি আপনার স্টুডেন্ট কে কি পানিশমেন্ট দিবেন,,,

আধার তারার দিকে তাকিয়ে দেখে বেচারি ভয়ে চুপসে গেছে,,, নিঃশব্দে কান্না করছে আর হেঁচকি তুলছে,,,,

আধার তারার দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করল,,,

আধারঃ তারা কোন দোষ করে নি যে আমি ওকে শাস্তি দিবো,,, ভুল মানুষেরই হয়,,, এর মানে এটা না যে আপনি তারার যোগ্যতা নিয়ে কথা বলবেন,,,, তারাকে আজ থেকে আমি ট্রেইন করবো আর আ’ম সিওর ও অনেক ব্যাটার জার্নালিস্ট হওয়ার ক্ষমতা রাখে,,,,

তারা মুগ্ধ হয়ে শুধু আধারের কথা গুলো শুনছে,,, আধারের কথায় মনে সাহস যুগিয়ে যাচ্ছে ওর,, অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করছে আধারের প্রতি,,,

আধার আর কিছু না বলে তারার সামনে এসে ওর হাত ধরে ফেলল,,, তারপর সবার সামনে ওর হাত ধরে বেড়িয়ে গেল,,,

সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আধার আর তারার যাওয়ার দিকে,,,

হঠাৎ আধারের এরকম পরিবর্তনের কারন কেউ বুঝে উঠতে পারছে না,,,

To be continued…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here