?#The_Vampire_King?,Part_01,02

0
3099

?#The_Vampire_King?,Part_01,02
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Fahmida_Shabnam
#Part_1

আকাশে অর্ধ চাঁদ। চারোদিকে অন্ধকার বিরাজমান,,, নিস্তব্ধতার মাঝেই শুকনো পাতার খচখচ শব্দ শোনা যাচ্ছে। কিছুক্ষন পর পর নেকড়ের ভয়ঙ্কর ডাকে চারোদিক আবার নিস্তব্ধ হয়ে পরছে।

জঙ্গলের এক নীরব প্রান্তে একটা বিশাল মহলের মতো জনশূন্য পরিতক্ত বাড়ি। ঝোপঝারে বাড়িটি পুরো ঢেকে গিয়েছে।

হাতে মশাল নিয়ে দু’জন লোক অন্ধকারের মধ্যে বাড়িটিতে প্রবেশ করলো। দুজনের পরনে বড় মাথা অবদি হুডি দিয়ে ঢাকা পোশাক।

বাড়িটির ভিতরে সবচেয়ে বড় কক্ষে প্রবেশ করলো তারা। কক্ষটায় মোম বাতির আলোতে আলোকিত। প্রত্যেকটা জিনিস এর উপর মোম রাখা। দেয়ালের ডান দিকে তাকাতেই একটা বিশাল পোট্রেট টানানো। পোট্রেট টা তে একজন লোক পরনে তার কালো হুডি,,, মাথায় তাজ বিশাল সিংহাসনে বসা হাতে একটা চকচকে ধারালো অস্ত্র। লোকটার চোখের রং ডার্ক ব্রাউন,,, কিছুটা চুল চোখের উপর পরে আছে। একটা কিং এর যেমন এটিটিউট লুকে থাকার কথা লোকটি ঠিক তেমনি। একবার দেখলে যে কেউ হয়তো কিছুক্ষন স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবে লোকটির দিকে।

পোট্রেট টির ঠিক বরাবর একটা কফিন রাখা। কফিনটার চারোদিকে মোমবাতি জালানো।

জলন্ত মোমের আবছা আলোতে লোক দুটোকে কিছুটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। লোক দু’টো কফিনের সামনে এসে দাঁড়ালো। মাথা নিচু করে সম্মান দেখালো কফিনটাতে।

প্রথম জন নিজের মাথার হুডি নামিয়ে নেয়। মাথায় তার সেনাপতির তাজ। ভ্যাম্পায়ার সেনাপতি ইয়ান। দ্বিতীয় লোকটি কিছুটা বয়স্ক।

কফিনের সামনে সেনাপতি ইয়ান দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করল।

ইয়ানঃ আর কত ফাদার?? আর কত অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। দুইশত বছর ধরে অপেক্ষা করছি যে কখন আমাদের কিং আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।

The kingdom needs him father…. We need #The_Vampire_King .উনাকে ছাড়া আমাদের রাজ্য ধ্বংস হয়ে যাবে। ওয়ের‌ওল্ফ দের সাথে লড়াই করতে করতে আমরা ক্লান্ত। তারা ধীরে ধীরে আরো শক্তিশালী হচ্ছে আর আমরা কমজোর।

আমাদের শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। সেদিন হয়তো দূর নয় যখন সমস্ত ভ্যাম্পায়ার কিংডম ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে।

ইয়ানের কথায় ফাদার কফিনের পাশে বসে কফিনটাতে হাত বুলাতে বুলাতে বলেন।

ফাদারঃ ধৈর্য ইয়ান ধৈর্য!! খুব শীঘ্রই আমাদের কিং এই গভীর নিদ্রা থেকে জাগ্রত হবেন। সময় হয়ে গিয়েছে #The_Vampire_King Aadhar এর জাগ্রত হ‌ওয়ার।

দুইশত বছর আগে একজনের ছলনার কারনে আমরা আমাদের কিংকে হারিয়েছি। তারা ভাবছে হয়তো আমাদের কিং শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারা জানে না ভ্যাম্পায়ার এর জীবনের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। তারা গভীর নিদ্রায় বিলীন হয় কিন্তু তাদের মৃত্যু হয় না।

ইয়ানঃ কিং এর এই গভীর নিদ্রা ভাঙানোর কোন উপায় তো হবে ফাদার। কি সেই উপায়।

ফাদারঃ একজন ভ্যাম্পায়ার যখন গভীর নিদ্রায় চলে যায় তখন তাকে জাগানোর জন্য একজন পিউর সোলের জন্ম হয়।

সেই পিউর সোল থাকবে নিষ্পাপ। তার ঘাড়ে ভ্যাম্পায়ার না হ‌ওয়া সত্যেও ভ্যাম্পায়ার এর নিশান থাকবে। একমাত্র সেই পারবে ঘুমন্ত ভ্যাম্পায়ার কে জাগাতে।

আমরা তার‌ই অপেক্ষায় আছি। সে এসে আমাদের কিংকে নতুন জীবন দিবে। তাদের ভাগ্য একে অপরের সাথে জড়িত, তাদের হৃদয় একে অপরের সাথে জড়িত, তাদের পথ একে অপরের সাথে জড়িত। They are two different people but their souls are one. খুব শীঘ্রই আমাদের কিং এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবেন।

ইয়েনঃ সেই দিনটি কবে আসবে ফাদার?? (হতাশ হয়ে)

ফাদারঃ অপেক্ষা!!!

In Boys Hostel….

আয়রাঃ শবনম!! দোস্ত এটা ঠিক হবে না দেখ ধরা পরলে মিস যে কি পানিশমেন্ট দিবেন u have no idea…

শবনমঃ তুই অফ যা তো। ধরা পরলে তো পানিশমেন্ট দিবেন। যেটা করতে এসেছি সেটাতে কনসনট্রেট করতে দে।

আয়রাঃ আমার অনেক ভয় করছে। একতো লুকিয়ে বয়েজ হোস্টেলে ঢুকেছি তার উপর যদি এরকম কিছু করে ধরা খাই কি হবে আল্লাহ জানে।

শবনমঃ এখন ভয় পাচ্ছিস কেন। বেট লাগানোর সময় মনে ছিল না ধরা পরলে কি হবে।

আয়রাঃ আমি কি করলাম তুই আমাকে ধমকাচ্ছিস কেন। বেট তো ওই শাঁকচুন্নী তনু লাগিয়েছে। আর তুই ওর কথার পেঁচে পরে আমাকে সহ নিয়ে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ফেললি।

শবনমঃ হয়েছে আর ড্রামা করতে হবে না। এখন বেট যখন লাগিয়েছি পূরন তো করতেই হবে নাহলে ওই ডায়েন তনু পুরো কলেজের সামনে আমাকে ইনসাল্ট করার সুযোগ পেয়ে যাবে। এখন দে ওটা।

শবনমের কথায় আয়রা কাপাঁকাপা হাতে শবনমের হাতে ফুলঝুরির তোরাটা দিল।

শবনম আর আয়রা দেয়ালের পেছনে লুকিয়ে আছে। শবনম ফুলঝুরিতে আগুন ধরিয়ে সেটা বয়েজ হোস্টেলের গ্রাউন্ডে ছুরে মারে।

শবনমঃ ভাগ আয়রা,,, বলেই দৌড়।

ফুলঝুরির তোরা গুলো ঠাসঠাস করে ফুটছে। আওয়াজ শুনে পুরো হোস্টেল জাগনা হয়ে যায়।সবাই ভয়ে ভয়ে বেরিয়ে পরে রুম থেকে। বয়েজ হোস্টেলের প্রিন্সিপাল আর বাকি ছেলেরা সব গ্রাউন্ডে চলে আসে দেখতে কি হয়েছে।

প্রিন্সিঃ কে করলো এটা কার এতো সাহস হোস্টেলে আতশবাজি করার। ?

ছেলেরা সবাই নিজেদের মুখের দিকে চাওয়াচাওয়ি করছে। বুঝার চেষ্টা করছে ওদের মধ্যে কে এই কাজটা করতে পারে।

সবাইকে চুপ থাকতে দেখে প্রিন্সি আবার রেগে বলেন।

প্রিন্সিঃ একবার শুধু ধরা পরুক কে তারপর বুঝাবো আতশবাজি কাকে বলে। যদি তোমাদের মধ্যে কেউ হয়ে থাকে তাহলে তার খবর আছে।

প্রিন্সিপাল ছেলেদের আরো কিছুক্ষন ঝেড়ে ঝুড়ে চলে যান। বেচারা গুলো এখনো বুঝতে পারছে না কার অপরাধ ওদের ঘারে এসে চেপেছে ।

শবনম আর আয়রা দৌড়ে হোস্টেল থেকে বেড়িয়ে আসে। কিছু দূর যেতেই কয়েকটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে ওরা তাদের কাছে চলে যায়।

তনুঃ What happened Shabnam ভয়ে পালিয়ে এলে ( বলেই হাসতে লাগল)

শবনম ফোন উঠিয়ে ওদের সামনে একটা ভিডিও প্লে করে। প্রিন্সিপাল কিভাবে সবাইকে বকছে সে ভিডিও।

ভিডিও দেখে তনুর হাসি উধাও হয়ে গেল। শবনম ফোনটা নামিয়ে তনুর উদ্দেশ্য করে বলে,,,

শবনমঃ Don’t underestimate me Tanu… আমি একবার যা বলি তা করে দেখাই।বলেছিলাম বেট আমিই জিতবো সিই ,,, আমিই জিতেছি ইউ নো আমি কখনো হারতে শিখিনি।?

চল আয়রা লেট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া লুজারদের সাথে থাকতে আমার ইগোতে লাগে।

তনুর গা জ্বলে যাচ্ছে শবনমের কথা শুনে।

তনুঃ I will saw you Shabnam….. ( আঙ্গুল তুলে)

শবনমঃ হোয়াট্স আ্যাপ এ ছবি সেন্ট করে দিবো নি সারা রাত ভর দেখো ?

তনুঃ ইউউউউউউ

শবনমঃ আই নো আ’ম ভেরি গুড গার্ল বলতে হবে না,,, ? চল আয়রা।

শবনম আর আয়রা ওদের গাড়িতে উঠে চলে যায়।

বাড়িতে এসে একটু আগের ঘটনা মনে করছে আর নিজে নিজেই হাসছে শবনম। তনুকে ভালোই জব্দ করতে পেরেছে আজ।

কফির মগ আর একটা ব‌ই হাতে নিয়ে বারান্দায় চলে আসে শবনম। রকিং চেয়ারে বসে মনোযোগ সহকারে ব‌ইটা পরছে ও।

চাঁদের আলো এসে শবনমের উপর পরতেই ওর ঘারের ছোট্ট ক্রস চিহ্ন টা হলদে আলো ছড়িয়ে দেয়।

ব্যাপারটা শবনম বুঝতে পারছে না কারন ওর সম্পূর্ণ ধ্যান ব‌ইতে।

শবনমের ঘারের চিহ্নটা জ্বলতেই কফিনটা হালকা কেপে উঠে। কফিনের ভেতর থেকে কারো নিঃশ্বাস এর শব্দ বেরিয়ে আসে।

হঠাৎ করেই বুকের ভিতর ধক করে উঠলো শবনমের। মনে হলো কেউ ওকেই ডাকছে। ব‌ই থেকে চোখ সরিয়ে আশেপাশে কাউকে খুঁজছে লাগলো ও।

শবনমের চোখে অস্থিরতা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। প্রায়‌ই এরমটা হয় ওর সাথে কিন্তু কেন হয় তা আদৌ বুঝতে পারে না ও।

শবনমঃ আবারো একই ভ্রম। কেন বারবার একই ভ্রম হয়।কেউ আশেপাশে থাকে না তবুও তার উপস্থিতি টের পাই নিজের পাশে। প্রশ্ন হাজার আছে কিন্তু উত্তর একটির ও জানা নেই।

To be continued…..

?#The_Vampire_King?
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Fahmida_Shabnam
#Part_2

কলেজের জন্য রেডি হয়ে নিচে নেমে আসলো শবনম। ডাইনিং এ বসে পেপার পরছে আসিফ আর মায়া খাবারের প্লেট সাজাচ্ছেন।

শবনমঃ গুড মর্নিং আব্বিই ( আসিফকে জড়িয়ে ধরে)

আসিফঃ গুড মর্নিং প্রিন্সেস,,,

শবনমঃ আম্মি তারাতারি দাও লেট হয়ে যাবে।

মায়াঃ কোন তারাতারি চলবে না ধীরে সুস্থে খাবে।

শবনমঃ ওক্কেই আম্মি।

আসিফঃ স্টাডি কেমন চলছে প্রিন্সেস,,

শবনমঃ ফার্স্ট ক্লাস,,, ( খেতে খেতে)

খাওয়ার মাঝেই আয়রা এসে হাজির।

আয়রাঃ গুড মর্নিং আঙ্কেল মর্নিং আন্টি।

মায়াঃ কাম আয়রা ব্রেকফাস্ট করো।

আয়রাঃ না আন্টি ব্রেকফাস্ট করেই এসেছি। আর তুই এতো স্লোলি খাচ্চিস কেন ক্লাস মিস করার ইরাদা আছে নাকি। তারাতারি খা,,,

শবনমঃ চিল্ বেবী,, আম্মিজান ক্যাহতি হ্যায় তারাহুরার কাজ শয়তানের। আমাকে আরামসে খেতে দে তো,,,

আয়রাঃ খাদক ( মিনমিনিয়ে)

শবনমঃ কিছু বললি ?

আয়রাঃ ক‌ই কিছু নাতো তুই আরামসে খা।?

শবনমঃ খাওয়া শেষ চল,,, বাই আব্বি বাই আম্মি,,,

আসিফঃ কেয়ারফুলি প্রিন্সেস,,,

শবনম ড্রাইভ করছে আর আয়রা ওর পাশের সীটে বসে আছে।

আয়রাঃ আ’ম সিওর শবনম তনু কালকের রিভেন্জ নেওয়ার জন্য কোন না কোন নতুন ফন্দী আটবে। We need to be careful..

শবনমঃ no tention do foorty yaar…আমি কাউকে ভয় করি না। এন্ড রিলেক্স কর এতো চাপ নি‌শ না,,, ওর মতো কত আসলো আর গেল। অনেক দেখেছি তনুর মতো ও আমার চু‌ল‌ও বাঁকা করতে পারবে না।

আয়রাঃ তুই সব কিছু এতো পজিটিভ ভাবে নিস কিভাবে রে। আমাকে একটু….. শবনম সামনে দেখ,,,,

শবনম সামনে তাকিয়ে দেখে ট্রাক আসছে সাথে সাথে গাড়ি ঘুরিয়ে নেয় ও। এতো ফাস্ট ব্রেক করায় সামনের দিকে ঝুঁকে যায় ওরা।

শবনমঃ তোর জন্য এখনি উপরের টিকিট কাটা হয়ে যেত। ?

আয়রাঃ আমি আবার কি করলাম তুই ই তো সামনের দিকে না তাকিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলি। নিজের দোষ আমার উপর কেন চাপাচ্ছিস ?

শবনমঃ হয়েছে মেরি মা এখন ঝগড়া করিস না। নাম দেখি গাড়িতে কি হয়েছে। স্টার্ট হচ্ছে না।

শবনম আর আয়রা গাড়ি থেকে নেমে গেল। শবনম গাড়ির ইঞ্জিন ওপেন করে দেখে সেখান থেকে ধোঁয়া উঠছে।

শবনমঃ ইঞ্জিন গরম হয়ে গিয়েছে পানি লাগবে। দেখ গাড়িতে পানি আছে মেবি।

আয়রাঃ ওকে।

আয়রা বোতল বের করে দেখে পানি নেই বোতলে।

আয়রাঃ শবনম এক ফোঁটাও পানি নেই ইয়ার। বোতল পুরো খালি।

শবনম বোতলটা হাতে নিয়ে আশেপাশে তাকিয়ে দেখে কোথাও পানি পাওয়া যাবে কি না।

পাহাড়ি রাস্তা তার উপর দুই পাশে জঙ্গল কোন দোকান বা স্টলের নাম গন্ধ ও নেই।

শবনমঃ এখানে পানি পাবো কোত্থেকে ( কান্না ভাব নিয়ে)

আয়রাঃ তোর মাথায় না কেরামতি বুদ্ধির অভাব নেই সেখান থেকে একটা বুদ্ধি বের কর না।?

শবনম গাড়ির উপর উঠে বসলো তারপর আশেপাশে তাকিয়ে ভাবতে লাগল কি করা যায়।

শবনমঃ পেয়ে গিয়েছি ( লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে)

আয়রাঃ কি ?

শবনমঃ এভাবে বসে না থেকে আমাদের পানি খোঁজা উচিৎ,,, আশেপাশে হয়তো কোন পুকুর ডোবা থাকতে পারে। চল একটু ভিতরে ঢুকে সার্চ করি,,,

আয়রাঃ জ জঙ্গলের ভিতরে যাবো r u mad…. কি ঘন জঙ্গলে তুই দেখেছিস। একবার হারিয়ে গেলে আর রাস্তা খুঁজে পাওয়া যাবে না। তার উপর সবাই বলে এই জঙ্গল নাকি ভালো না। ভয়ঙ্কর প্রানীর বসবাস এখানে। নামটাই কত ভয়ঙ্কর ডার্ক ফরেস্ট। ( ভয়ে ভয়ে বলল)

শবনমঃ তুই আসলেই এক নম্বরের ভীতু। থাক তুই এখানে আমিই যাই,,,

শবনম আয়রাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ভেতরে ঢুকে যায়।

আয়রাঃ স্টপ এয়ার আমিও আসছি। আয়রাও শবনমের পেছনে ছুটে গেল।

শবনমঃ ওয়াও হোয়াট আ্য জঙ্গল। এটা নাকি ভয়ঙ্কর। লোকেরা আসলেই পাগল এরকম ফরেস্ট আমি কোথাও দেখি নি যেখানে সূর্যের আলো প্রবেশ করে না।

চারো দিক ঘুরতে ঘুরতে কথা গুলো বলছে শবনম আর আয়রা ভয়ে জরোশরো হয়ে আছে।

কিছুদূর যেতেই একটা ছোট্ট পুকুর দেখতে পেলো ওরা।

শবনমঃ লুক আয়রা বলেছিলাম না,,,

শবনম পুকুরের পারে বসে বোতলে পানি ভরে নিল।

শবনমঃ চল হয়ে গিয়েছে।

শবনম পেছন ফিরতেই কিছু দূর একটা বাড়ির মতো দেখতে পেল। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শবনম বাড়িটার দিকে। কিছু একটার আওয়াজ ভেসে আসছে ওর কানে। কারো গভীর নিঃশ্বাস এর শব্দ শুনতে পাচ্ছে ও।

শবনমকে এভাবে থেমে যেতে দেখে আয়রা ওর কাধ ঝাকিয়ে বলল।

আয়রাঃ আবার কি হলো থেমে গেলি কেন?

শবনমঃ ও ওখানে দেখ,,,

আয়রাঃ কি ওখানে??

আয়রাও পেছন ফিরে বাড়িটা দেখতে পেল। দেখতেই ভয়ঙ্কর দেখা যাচ্ছে বাড়িটা। ঝোপঝারে ঢাকা পরা আর দেয়াল খসে পরেছে অনেক সাইড দিয়ে।

শবনমঃ ওয়াও বনের মধ্যে এতো বিশাল প্রাসাদের মত বাড়ি। কে থাকে এখানে,,,

আয়রাঃ পরিতক্ত বাড়ি দেখতেই বুঝা যাচ্ছে।

শবনমঃ চল ভিতরে যাই,,,

আয়রাঃ তুই পাগল হয়ে গিয়েছিস। আমাদের এখন যাওয়া উচিত অনেক দেরি করে ফেলেছি অলরেডি। প্লিজ চলতো।

আয়রা শবনমকে এক প্রকার টেনেই নিয়ে যাচ্ছে। শবনম বারবার পেছন ফিরে তাকাচ্ছে। পা সামনের দিকে এগোচ্ছে না। মনে হচ্ছে কেউ অপেক্ষায় বসে আছে ওর। যত‌ই বাড়িটা চোখের আড়াল হচ্ছে মনে হচ্ছে কাছের কেউ দূরে সরে যাচ্ছে। কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে হৃদয়ের ভেতরটা।

ইঞ্জিনে পানি দেওয়ার পরেই গাড়ি আবার স্টার্ট হয়ে যায়। শবনম পুরোটা পথ চুপ করে ছিল। কেন জানি সব কিছুতেই একটা খালিপন অনুভব হচ্ছে। যতবারই এই পথ দিয়ে ও যেত কিছু একটা আকর্ষন করতো ওকে। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কখনো ভেতরে যাওয়ার সাহস করে নি ও।

কিন্তু ভাগ্য ক্রমে আজকে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে তাই সুযোগটা হাত ছাড়া না করে ভিতরে প্রবেশ করেই ফেলে ও।

গাড়ি পার্ক করে আয়রা আর শবনম ভিতরে চলে যায়। শবনম আর আয়রাকে দেখে আশিশ ওদের কাছে ছুটে আসে।

আশিশঃ হাই গাইজ,,,

আয়রাঃ হাই আশিশ ?

শবনমঃ হাই,,,

আশিশঃ আজকে ক্লাস করবো না চল ক্যান্টিনে যাই,,,

In Canteen…..

আশিশ বিভিন্ন কথা বলছে আর আয়রা হাসছে। কিন্তু শবনমের এতে কোন খেয়াল নেই,,, ওর খেয়াল এখনো সেই বাড়িটার দিকে আটকে আছে।

শবনমকে আনমনা দেখে আশিশ দুষ্টুমি করে ওকে বলল,,,

আশিশঃ কালকে বয়েজ হোস্টেলে ঢুকে ফাইজলামি টা কে করেছে আমার কিন্তু জানা আছে ?

শবনম আশিশের কথায় আশেপাশে তাকিয়ে রাগী দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকালো।

আশিশঃ চিল্ বেবি আমি কাউকে বলবো না। এতো তাড়াতাড়ি মরার শখ বা ইচ্ছে কোনটাই আমার নেই,,, ?

শবনমঃ গুড বয় ?

কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে শবনম আশিশ আর আয়রা ক্লাসে চলে আসে।

তিন জনেই ফাইজলামি করছে এমন সময় ক্লাস টিচার চলে আসে। ক্লাস টিচার আর কেউ নয় বরং কিয়ন। কিয়ন এই কলেজের লেকচারার আর ফাদার এই কলেজের প্রিন্সিপাল।

কলেজ শেষ করে আশিশ শবনম আর আয়রা ক্লাবে চলে যায়।

To be continued….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here