?#The_Vampire_King?,03,04
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Fahmida_Shabnam
#Part_3
আশিশঃ আজকে কার খেয়ালে এতো ডুবে আছিস??( টেবিলে জুসের গ্লাস রাখতে রাখতে)
শবনমঃ মানে??
আশিশঃ সকাল থেকে দেখছি চুপচাপ হয়ে কিছু ভাবছিস। কি এতো ভাবছিস আমাদেরও বল,,,
শবনমঃ আব কই কিছু না আ’ম ফাইন ( জুসের গ্লাস হাতে নিয়ে)
আয়রাঃ গাইজ লুক তনুও এসেছে।
আয়রার কথায় শবনম আর আশিশ পেছনে ফিরে তাকালো। তনু ওর ফ্রেন্ডস দের সাথে বার সাইডে বসে আছে।
আশিশঃ বেচারি কালকের বেট হারার পর আর বেট লাগানোর সাহস করবে না। ?
আয়রাঃ আমি তো ভেবেছিলাম ধরা পড়ে যাবো বাট শবনম তুই আসলেই জিনিয়াস কিভাবে কি করে ফেললি কেউ বুজতে পারলো না। ?
শবনমঃ হুম কজ আমি তোর মতো ভীতু না।?
আয়রাঃ ?
হঠাৎ চারজন কালো কোট পরিহিত বডিগার্ড টাইপ লোক গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকে। তাদের সামনে একটা ছেলে আর বডিগার্ড টাইপ লোক গুলো তার পেছনে
( ব্লাক জ্যাকেট ব্লাক প্যান্ট স্কেট্স সুজ চুল গুলো স্পাইক করা চোখ দুটো কালো বর্নের আর চেহায়ার এটিটিউট ভাব।)
ছেলেটার এন্ট্রি হতেই সবার নজর মেইন এন্ট্রেন্স এর দিকে শিফ্ট হয়ে যায়। মেয়েরা সব হা হয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
ছেলেটি গিয়ে শবনম এর পাশে বসে পরলো। আর বডিগার্ড গুলো ছেলেটির পাশে দাঁড়ালো।
আশিশঃ হেই ধ্রুব আজকে এতো লেইট হলো কি করে আর কলেজ আসিস নি কেন।
ধ্রুবঃ একচুয়ালি গাইজ একটা ডিল সাইন করতে ড্যাড মিটিং এ পাঠিয়েছিল।
( নাম ধ্রুব চৌধুরী সান অফ কাইফ চৌধুরী। শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি কাইফ চৌধুরী। ধ্রুব শবনম আশিশ আর আয়রার অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ড। তিন বছরের পরিচয় তাদের।)
ধ্রুব শবনমের দিকে ঘুরে ওকে বলে,,,
ধ্রুবঃ কেউ হয়তো আমাকে অনেক মিস করেছে।
শবনমঃ আমি কেন তোমাকে মিস করতে যাবো ?
ধ্রুবঃ আব এ্যাজ এ ফ্রেন্ড ?( কথা ঘুরিয়ে)
ধ্রুবর অবস্থা শবনমের সামনে আসলেই টাইট হয়ে যায়। বেচারা ভালোবাসে বাট প্রকাশ করতে ভয় পায়।
কথার মাঝেই তনু ধ্রুবর সামনে এসে ওর হাত ধরে বলে।
তনুঃ ধ্রুব উইল ইউ বি মাই ডান্স পার্টনার?
ধ্রুব একবার তনুর দিকে তো একবার ওর হাতের দিকে তাকাচ্ছে। ধ্রুব এবার শবনমের দিকে তাকাতেই দেখে ও রাগে গজগজ করতে করতে তাকিয়ে আছে। শবনম আর তনু একে অপরকে একদম সহ্য করতে পারে না এটা সবাই ভালো করে যানে। ধ্রুব যদি এখন তনুর সাথে যায় তাহলে শবনম ওর কি অবস্থা করবে ভেবেই ঢোক গিলছে ধ্রুব।
ধ্রুব তনুর হাত হালকা করে সরিয়ে দিয়ে শবনমের হাত ধরে বলে।
ধ্রুবঃ একচুয়ালি তনু আমার অলরেডি ডান্স পার্টনার আছে সো আ’ম স্যরি তুমি অন্য কাউকে দেখ। শবনম কেন আই??
শবনম তনুকে দেখিয়ে মুচকি হেসে ধ্রুবর হাত ধরে দাঁড়িয়ে যায়।
শবনমঃ সিউর,,,
তনু রাগে গজগজ করতে করতে চলে যায়।
In Stage…..
শবনম ধ্রুব আয়রা আর আশিশ।
Koka koka koka koka.
koka koka koka koka.
ধ্রুব শবনমের হাত ধরে ওকে মাঝখানে নিয়ে আসলো আর আশিশ আয়রাকে।
Oh dil wali gal Kar le…
Oh aaja mera haath phad le..
Oh aaja mere naal nachle..
Kiss ne tujhko roka…
ধ্রুব শবনমের কানের ঝুমকায় টাচ করে ঘুরিয়ে দেয়।
Oh kinni diamond jhumke
Oh sona jaise tere thumke
Oh gal meri jai sunke
Tujhe rab ne banaya anokha
Na tarpa baby kar de tu haa
mera karde tu jeena saukha
Koka koka ko. Ko.ko.ko…..
Koka tera kuch kuch kehna ni
Koka tera kuch kuch kehna ni
Lehenga tera lut put Lehenga ni
Koka….
শবনম আর আয়রা একসাইডে ধ্রুব আর আশিশ আরেক সাইডে। ওদের দেখা দেখি অনেকেই স্টেজে উঠে তাদের পার্টনার নিয়ে।
Koka mera kuch kuch kehna ni
Koka mera kuch kuch kehna ni
Lehenga mera lut put Lehenga ni
Koka….
Hayni tera koka koka koka koka koka…..
শবনম আগে আগে হাটছে আর ধ্রুব পিছে পিছে এসে লিরিক বলছে।
Floor pe chakkar Kate jaise lattu
Baby tu hai tota aje bajoo tattu
Hilti hai jaise buniho rubber ki
Aj na rukhne wali hai ye ladki
Kan main aa ek baat batau
Dikhta bhi bariya hu Accha kamau
Tu bol de to mummy se kehke
Tere mere rishte ki baat chalau
শবনম ধ্রুবর বুকে এক হাত ঠেকিয়ে সামনে এগোচ্ছে আর ধ্রুব পিছনের দিকে উল্টো পিছাচ্ছে।
Hasdi hasadi meri sakhiyan
Baki baatein kare teri ankhiyan
Lagta Hain tu koi cheater
Karta hai galla sari jhutiyan
ধ্রুব শবনমের হাত ধরে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে।
Dil kya hain baby main to jaan vaardu
Nou lakkha tere age haar vaardu
Loyal Rahunga tere tere nakhre sahunga
Sanu ek vari de de mouka
সবাই এক সাথে দাঁড়িয়ে বাকি লিরিক গুলো মিলিয়ে স্টেপ করছে।
Koka koka ko. Ko.ko.ko…..
Koka tera kuch kuch kehna ni
Koka tera kuch kuch kehna ni
Lehenga tera lut put Lehenga ni
Koka….
Koka mera kuch kuch kehna ni
Koka mera kuch kuch kehna ni
Lehenga mera lut put Lehenga ni
Koka….
Hayni tera koka koka koka koka koka…..
গান স্টপ হতেই চারো জন আবার তাদের সিটে এসে বসে পরে। সবাই হাঁপিয়ে গেছে।
শবনমঃ আজকে অনেক লেট হয়ে গিয়েছে বাসায় গেলে আম্মু ইচ্ছে মতো ঝাড়বে আই নিড টু গো।
গ্লাসের জুস শেষ করে দাঁড়িয়ে গিয়ে। শবনমকে দাঁড়িয়ে যেতে দেখে ধ্রুবও দাঁড়িয়ে যায়।
ধ্রুবঃ আমি ড্রপ করে দেই?
শবনমঃ না আমি কার এনেছি ডোন্ট ওয়ারি। বাই গাইজ কালকে কলেজে দেখা হচ্ছে। গুড নাইট।
আশিশ আয়রাঃ গুড নাইট।
ধ্রুবঃ টেক কেয়ার শবনম এন্ড কেয়ারফুলি ড্রাইভ করো।
শবনমঃ আই নো গুড নাইট।
ধ্রুবঃ গুড নাইট।
শবনম ড্রাইভ করছে আর গুনগুন করে গান গাইছে। রাতের অন্ধকারে রাস্তাও আধারে ঢেকে গেছে। শুধু ল্যাম্প পোষ্ট এর আলো জ্বলছে। কয়েক কিমি পরপর একটা ল্যাম্প পোষ্ট। সেই একই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে শবনম। রাস্তাটা ওর খুব পরিচিত। ছোট বেলা থেকেই এখান থেকে যাতায়াত ওর।
ডান দিকে মোর ঘুরাতেই সেই অদ্ভুত যায়গার দেখা। জায়গাটা দিয়ে ক্রস করার সময় একটা অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করে ওর ভিতরে।
আজও তাই হলো। শবনম ড্রাইভ করছে হঠাৎ কানের কাছে কারো গভীর নিঃশ্বাস টের পেল ও। সাথে সাথে গাড়ি ব্রেক করে শবনম।অস্থির হয়ে আশেপাশে তাকিয়ে দেখে কিন্তু কেউ নেই।
শবনমঃ আবারো একই ভ্রম। ( ভয়ে ভয়ে)
শবনম গাড়ির বাইরে তাকাতেই দেখতে পেলো সকালে যে জায়গায় গাড়ি থেমেছিল এখনও সেম
জায়গাতেই আছে ও।
বাড়িটা। দেখার ইচ্ছে তখন পুরন হয় নি তাই এখন ইচ্ছেটা ঝেঁকে ধরেছে ওকে।
শবনমঃ ওই বাড়িটা কি সত্যিই পরিতক্ত নাকি কেউ থাকে সেখানে। একবার কি গিয়ে দেখবো?
একটা ঘোরের মধ্যেই শবনম গাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। ধীর পায়ে জঙ্গলের ভিতরে প্রবেশ করে শবনম হাটা ধরে সেই বাড়িটার দিকে।
কিছুটা পথ হাটতেই বাড়িটার সামনে চলে আসে ও। শরীরের লোম হঠাৎ দাঁড়িয়ে গিয়েছে শবনমের হৃৎস্পন্দন ও দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।
বাড়ির দরজায় কোন তালা দেওয়া নেই। বাড়িটার দরজা ধাক্কা দিলেও কোন কাজ হচ্ছে না। কিছুতেই দরজা খুলতে চাচ্ছে না। অনেক জ্যাম হয়ে গেছে তাই হয়তো। হঠাৎ শবনমের ঘারের চিহ্ন জ্বলে উঠতেই গেট খুলে যায়। এতে কিছুটা অবাক হয় ও।
শবনম ভিতরে উকি দিয়ে দেখে সম্পূর্ণ বাড়ি অন্ধকার।
শবনমঃ হ্যালোওও এনি বাডি হেয়ার?? শবনমের কন্ঠ সারা বাড়ি গুঞ্জন করছে। প্রতিধ্বনি উঠছে ডাকের।
শবনম ডাকছে অথচ কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না কারো।
রুমের ভিতরের কফিনটা হঠাৎ নড়ে উঠে। শবনমের কন্ঠ কফিন ভেদ করে ভিতরের মানুষটার কানে যাচ্ছে। ভিতরের নিথর মানুষটার শরীরে যেন জান ফিরে আসতে চাইছে।
শবনমঃ স্ট্রেঞ্জ এতো বড় বাড়ি অথচ কেউ থাকে না।
শবনম পেছন ফিরে চলে যেতে নেয় তখনই কিছু একটার আওয়াজ ভেসে আসে ওর কানে।
শবনম ফিরে তাকাতেই খেয়াল করলো একটা রুমের থেকে আলো বের হচ্ছে।
কৌতূহল নিয়ে শবনম রুমটার সামনে যায়। দরজায় হাত রাখতেই দরজাটা অটোমেটিকলি খুলে যায়।
পুরো রুম জুরে শুধু মোমের আলো। শবনম ঘুরে ঘুরে রুমটা দেখছে। অনেকটা রাজকীয় ভাবে সাজানো গোছানো রুমটা। কেউ দেখলে বলবে না এখানে কেউ থাকে না। শবনম ঘ হঠাৎ দেয়ালে একটা কাপড় দিয়ে ঢাকা কিছু দেখতে পেলো। পোট্রেট টাকে রিয়ন কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। শবনম পোট্রেট টা দেখার জন্য সামনের এগোতেই পায়ে কিছুর সাথে হোঁচট খেয়ে পরে যায়।
শবনমঃ আহহ আম্মিইই,,,,
শবনম ব্যথায় কুকিয়ে উঠে। পায়ে হাত দিয়ে নিচে তাকাতেই দেখলো একটা কফিন।
শবনমঃ কফিন!! এটা কার আর এখানে কেন??
কফিনটার উপর বড় একটা চিহ্ন আঁকানো। ঠিক শবনমের ঘারে যেমনটা একটা নাইফের মতো আকৃতি।
শবনম উঠে কফিনটার উপর হাত রাখে। শবনম কফিনটাতে হাত রাখতেই ওর ঘারের চিহ্ন জ্বলে উঠে সাথে কফিনটার উপর খোদাই করা চিহ্ন ও।
শবনম কফিনটার উপরের ঢাকনা উঠাতেই আতকে উঠে। আবছা ভাবে কারো নিথর শরীর দেখতে পাচ্ছে ও। কালো পোষাক পড়া তাই অন্ধকারে আরো মিশে আছে শরীর টা। শবনম এর শরীরে কাটা দিয়ে দেয় লোকটাকে দেখে। চিৎকার করবে যে ভয়ে গলা থেকে শব্দ বের হচ্ছে না। হাত পা কাঁপা শুরু করেছে ওর।
শবনম ভয় পেয়ে হাত সরিয়ে নিতেই হঠাৎ কফিনের ভিতরের থেকে এক জোড়া হাত ওকে টেনে ধরে।
শবনমঃ আআআআআআআ
শবনম সোজা কফিনের ভিতরের মানুষটার উপর পরে। জ্বল জ্বল চোখ লোকটির। কতশত বছর পর যেন চোখ মেলে তাকিয়েছে।
শবনমের ভয় পাওয়ার কথা কিন্তু হঠাৎ ভয়টা যেন কোথাও উধাও হয়ে গেল ওর। চোখ দুটো তে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে ওর। এই মুহুর্তে লোকটার পাশেই সবচেয়ে নিরাপদ মনে হচ্ছে নিজেকে।
ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ হয়ে যায় শবনমের। মাথাটা ঢলে পড়ে লোকটির বুকে। যতটুকু জ্ঞান ছিল লোকটির বুকে নিজেকে অনুভব করেছে ও। লোকটির হাত ধীরে ধীরে ওকে নিজের সাথে মিশিয়ে জড়িয়ে ধরে।
একটা কথাই কানে আসে শবনমের।
I’m back to my world… to my kingdom… #The_Vampire_King is returned…..
To be continued…..
?#The_Vampire_King?
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Fahmida_Shabnam
#Part_4
ঘড়িতে রাতের তিনটা বাজে,,,
শবনমঃ আআআআআআআ
লাফ দিয়ে উঠে বসলো শবনম। ঘেমে পুরো একাকার হয়ে গেছে আর শরীরের তাপমাত্রা ভয়ে বেড়ে গিয়েছে ওর। চোখ বন্ধ অবস্থায় বিরবির করে কিছু বলছে ও।
শবনমের চিৎকারে পাশে বসে থাকা মায়া আর আসিফ ঘাবড়ে যায়।
আসিফঃ কি হয়েছে প্রিন্সেস দেখ আমরা তোমার পাশেই আছি। আব্বি আম্মি দুজনেই আছি দেখ। ওপেন ইউর আইস।
শবনব তাও চোখ বন্ধ করে বলতে শুরু করে।
শবনমঃ লিভ মি,,,, কে তুমি স্টে আওয়ে ফ্রম মি।
মায়াঃ শবনম কেউ নেই এখানে দেখ আমরা আছি শুধু।
শবনম আস্তে আস্তে শান্ত হয়ে চোখ মেলে তাকালো। সামনে আসিফ আর মায়া বসা। আশেপাশে চোখ বুলিয়ে দেখলো ও নিজের রুমেই আছে।
শবনম ভয়ে আসিফকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে বলতে শুরু করল।
শবনমঃ আব্বি ওখানে কেউ আছে ওওও ওইই কফ কফিনে আ আমাকে ট টেনে তারপর…..(হেচকি তুলতে তুলতে বলছে যার ফলে কেউ কিছু বুঝতে পারছে না।)
মায়াঃ হুসসস পরে সব কথা শুনবো এখন আগে পানি টুকু শেষ করো মামুনি। (মুখের সামনে গ্লাস এনে)
শবনমঃ আম্মি আ আমার ক কথাটা আগে…..
আসিফঃ সব কথা পড়ে আগে শান্ত হয়ে পানিটুকু খাও প্রিন্সেস,,,
আসিফ আর মায়ার জোরাজোরিতে পানিটুকু খেয়ে নিলো শবনম। পানি খেয়ে কিছুটা শান্ত হয় ও।
আসিফঃ এখন বলো তুমি গাড়ির ভেতরে ফেইন্ট হয়ে গিয়েছিলে কিভাবে।
আসিফের কথায় শবনম অবাক হয়ে গেল।
শবনমঃ গাড়ির ভিতরে অজ্ঞান হলাম কবে??আমিতো ওই বাড়িটার ভিতরে গিয়েছিলাম তার পর ওই কফিন!! (মনে মনে)
শবনমকে অন্যমনস্ক দেখে আসিফ কিছুটা উঁচু স্বরে বলল,,,
আসিফঃ তুমি জানো আমরা কত ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম তোমাকে ওভাবে দেখে। তোমার ম্যাসেজ পেয়ে সেখানে পৌঁছে দেখি তোমার গাড়ি এক সাইডে থামানো আর তুমি ড্রাইভিং সিটে অজ্ঞান হয়ে আছো। জানো তোমাকে ঐভাবে দেখে আমার জান বেড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
শবনমঃ ম্যাসেজ!! আমি কখন ম্যাসেজ দিলাম?? (মনে মনে)
আব্বি আমি তোমাকে ম্যাসেজ করেছিলাম?? কিন্তু আমারতো এরকম কিছুই মনে আসছে না।
আসিফ নিজের ফোন বের করে শবনমের সামনে ধরলো। ম্যাসেজ টা শবনমের ফোন থেকেই এসেছে ম্যাসেজে লেখা,,,
“আব্বি আমার গাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে ডার্ক ফরেস্ট এর সামনে। প্লিজ কাম ফাস্ট আমার ভয় করছে ”
শবনম ফোনটা হাতে নিয়ে বারবার ম্যাসেজ টা পড়ছে। টাইম ডেট সব একই। অবাক হওয়ার চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে ও। সব কিছু গুলিয়ে যাচ্ছে। কি হয়েছিলো তখন?? সব কিছু কি ওর ভ্রম ছিল?? সেই বাড়ি কফিন সেই চোখ জোড়া সবই কি শুধু একটা ভ্রম??
আকাশ কুসুম ভাবতে ভাবতে মাথা ধরে যাচ্ছে ওর।
আসিফ আর মায়া বুঝতে পারছে শবনমের এখন রেস্ট দরকার বেশি চাপ ওর জন্য ঠিক না। তাই আসিফ ফোনটা শবনমের হাত থেকে নিয়ে ওকে বলে।
আসিফঃ এই শেষ বারের মতো বলে দিলাম প্রিন্সেস আর কখনো যেন এমন ভূল না হয়।
শবনমঃ স্যরি আব্বি,, ( মাথা নিচু করে)
আসিফঃ কেন বুঝোনা প্রিন্সেস আমাদের ভয় হয় তোমাকে নিয়ে। তোমার কিছু হলে আমাদের কি হতো ভেবে দেখেছো একবার।
শবনমঃ স্যরি আব্বি আর এরকম হবে না প্রমিস,,আই লাভ ইউ বোথ্,,,, ( আসিফকে জড়িয়ে )
আসিফঃ উই লাভ ইউ টু প্রিন্সেস,,,,
শবনমের মাথায় যেন পুরো ঘটনার পেচ লেগে গেছে। ও দেখলো একটা আর এখন শুনছে আরেকটা পেচ লাগারই কথা,,,,
In The Vampire Kingdom……
ফাদারঃ ওয়েলকাম ব্যাক টু ইউর কিংডম কিং,,, অবশেষে আমাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো।
( কক্ষে প্রবেশ করতে করতে)
ফাদারের কন্ঠ শুনে হুডির হাতার জিপ্ লাগাতে লাগাতে পেছনে ফিরলো Vampire King
ঠোঁটে বাঁকা হাসি নিয়ে ফাদারের সামনে এগিয়ে গিয়ে বলল কিং,,,
কিংঃ আমার রাজ্যে আমাকে তো ফিরতেই হতো। হয়তো একটু সময় লেগেছে বাট তাতে কি ফিরেছি তো।
ফাদার পাশের টেবিলের উপর থেকে তাজটা তুলে কিং এর সামনে ধরলেন। কিং হালকা ঝুকতেই মাথায় তাজটা পড়িয়ে দিলেন তিনি।
ফাদারঃ Now u r a complete Vampire King দুইশত বছর এই তাজটি তার কিং এর জন্য অপেক্ষা করেছে। সম্পুর্ন ভ্যাম্পায়ার কিংডম তার কিং এর অপেক্ষা করেছে। অবশেষে আমাদের এই অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটলো #The_Vampire_King Aadhar আজ আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সেই অভিশাপ থেকে অবশেষে আমরা সবাই মুক্তি পেলাম।
অভিশাপের কথা শুনতেই আঁধারের চোখে হিংস্রতা ফুটে উঠলো। দুইশত বছর আগে ঘটে যাওয়া দৃশ্য গুলো চোখে ভেসে উঠছে ওর। হাতের মুঠো শক্ত করে আঁধার বলতে শুরু করল।
আঁধারঃ এবার প্রতিশোধের পালা ফাদার। যাদের কারনে আমি এতো বছর অভিশপ্ত নিদ্রায় বিলীন ছিলাম তাদের ধ্বংস করতে ফিরে এসেছি আমি। শুধু তারা না যারা আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তাদের জীবনের কাল হয়ে ফিরে এসেছি আমি।
তাদের পরিনতি কতটা ভয়ঙ্কর হবে সেটা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতার পরিণাম যে কি হতে পারে সেটা তাদের বুঝিয়ে দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। ( হিংস্রতা ভরা কন্ঠে)
ফাদারঃ সেটা নাহয় তুমি করলে কিন্তু তুমি এখনো বললে না কে সে মেয়ে যে তোমাকে মুক্ত করেছে?? কে সে যার ভাগ্য তোমার সাথে জড়িত যার জীবন মরন তোমার সাথে জড়িত?? কোথায় এখন সে??
ফাদারের মুখে সেই মেয়েটির কথা শুনে সমস্ত হিংস্রতা যেন গায়েব হয়ে গেল আঁধারের। যে চোখে এতক্ষন রাগ আর ক্ষোভ ছিল সে চোখে অন্য একটা অনুভূতি দেখা যাচ্ছে।
আঁধারঃ সে কে কোথায় আছে তার উত্তর সময় আসলে পেয়ে যাবেন ফাদার। এখন আমি কিছুক্ষন একা থাকতে চাই।
ফাদারঃ তোমার ইচ্ছে,,, আমি আসি,,,
ফাদার চলে যেতেই আঁধার জানালার পাশে চলে আসে। আকাশের আঁধারের মাঝে সেই ভোরের তারা দেখা যাচ্ছে। সকাল হতে বেশি সময় বাকি নেই।
আঁধারঃ কি এমন স্পেশাল আছে তোমার মধ্যে? কেন তোমাকে আমার জন্য পাঠানো হয়েছে। কেন তোমার সাথে আমার ভাগ্য জড়িয়ে দিয়েছে ডেস্টিনি?
জানি তোমার মনে এখন হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মনের মাঝে ভয়ের আভা ছড়িয়ে গিয়েছে কিন্তু এখন এই প্রশ্নের উত্তর জানার সময় হয়নি তোমার।
তোমার প্রশ্নের উত্তর তোমাকে নিজের খুঁজতে হবে। ঠিক তেমনি আমাকেও আমার প্রশ্নের উত্তর নিজে বের করতে হবে।
তুমি যতই নিজের প্রশ্নের উত্তরের নিকটে আসবে ততই আমাকে নিজের কাছে পাবে।
তোমার জীবনে আমার আগমন ঘটে গিয়েছে। এখন এটাকে তুমি তোমার সৌভাগ্য মনে করো না দুর্ভাগ্য সেটা সম্পুর্ন তোমার উপর নির্ভর করে।
তোমার মাঝে কিছু একটা স্পেশাল আছে যা আমাকে তোমার কথা ভাবতে বাধ্য করছে। যখন তুমি আমার বুকে ছিলে একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিল। ইচ্ছে করছিলো তোমাকে সেভাবেই সারা জীবন নিজের বুকে জড়িয়ে রাখি।
তোমাকে তোমার গাড়িতে আমিই বসিয়েছি। তোমার ফোনের কল লিস্টে গিয়ে তোমার বাবাকে আমিই ম্যাসেজ করেছি,,,,
যতক্ষন তোমার বাবা না এসেছে তোমার পাশে বসে তোমার চেহারার দিকে অপলক তাকিয়ে ছিলাম আমি। জানি না কেন তাও ইচ্ছে করছিল এভাবেই তোমাকে নিজের সামনে রেখে অপলক দেখতে।
এসব কিছুই তোমার অজানা,,, যতদিন না আমি তোমাকে বলবো সব কিছুই তোমার কাছে ধোয়াশা হয়ে থাকবে ( বাঁকা হেসে)। এই ধোয়াশা ভ্রমই তোমাকে বার বার আমার কথা ভাবতে বাধ্য করবে,,, এখন থেকে তোমার ভাবনা চিন্তা জুড়ে শুধু এক জনের বসবাস থাকবে আর সেটা হচ্ছে শুধু আঁধারের,,,, because I’m your #A_Unknown_Lover……(বাঁকা হেসে)
To be continued……