The_Vampire_King♠,11,12

0
1737

♠#The_Vampire_King♠,11,12
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_11

শবনম স্টিল্ দাঁড়িয়ে আছে। কেউ ওকে এভাবে ইনসাল্ট করে গেল ভাবতেই অবাক লাগছে ওর।

শবনমঃ হাও ডেয়ার হি। আমাকে এভাবে কথা শুনালো আমাকে? (নিজের দিকে আঙ্গুল ঘুরিয়ে) ,,, ভাবে কি নিজেকে এই আঁধার রেজ‌ওয়ান ?

আল্লাহর কাছে প্রে করো মি. রেজ‌ওয়ান কি আমার সাথে যেন আর কখনো তোমার দেখা না হয়। যদি আবার কখনো দেখা হয় আমি কি করবো তা আমি নিজেও জানি না। ( রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে)

এটাই যেন আমাদের প্রথম আর শেষ দেখা হয়,,,

শবনম নিজের হাতের ডলটা রেগে ছুরে ফেলে দেয় তারপর হনহন করতে করতে চলে যায়।

শবনম চলে যেতেই আঁধার আড়াল থেকে বের হয়ে এসে ডলটা তুলে নিল। তারপর ডলটাকে আঙ্গুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে বাঁকা হেসে বলতে শুরু করল,,,

আঁধারঃ এখন তো সবে শুরু শবনম। আমার আর‌ও কত রুপ দেখা বাকি আছে তোমার। এটা না আমাদের প্রথম দেখা আর না শেষ দেখা এটা আমাদের জীবনের গল্পের নতুন অধ্যায়। এই নতুন অধ্যায়ে অনেক অজানা সত্য সামনে আসবে তোমার। অনেক অজানা মানুষের আগমন ঘটতে শুরু করবে তোমার জীবনে। নিজেকে তৈরি করে নাও বিকজ দ্যা স্টোরি হ্যাজ্ বিন স্টার্টেট নাও,,,,( ডলটা মুঠো করে)

♠♠ Inside The College ♠♠

শবনম আঁধারকে গালি দিতে দিতে ক্লাস রুমে যাচ্ছিল তখন‌ই ওর চোখ যায় ধ্রুবর দিকে। একটা কাগজ হাতে গভীর ভাবে কিছু একটা ভাবছে ধ্রুব।

শবনমঃ তুই এখানে কি করছিস ধ্রুব ?( ধ্রুবর কাধে হাত রেখে)

কাধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে ধ্যান ভাঙ্গলো ধ্রুবর। কাগজটা নিচে নামিয়ে ফেক স্মাইল দিয়ে বলল ও,,,

ধ্রুবঃ ক‌ই কিছুনা তো,,, একচুয়ালি তোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম আরকি,,,

শবনমঃ ওহ এখন ক্লাসে চল,,,

ধ্রুবঃ হুম।

ধ্রুব শবনমের আড়ালে ফরমটা নিজের পকেটে রেখে দিল।

♠♠ In Class Room ♠♠

ধ্রুব আয়রা আর আশিশ সামনের বেঞ্চে বসেছে আর শবনম ওদের পেছনে। আয়রা অনেক ব‌ই পোকা টাইপ তাই সামনের বেঞ্চ ওর জন্য বরাদ্দ আর আশিশ আয়রা ছাড়া কারো সাথে বসে না। ধ্রুব আয়রার থেকে নোট নেয়ার জন্য ওর সাথে বসেছে।

এখন ইংলিশ ক্লাস এই ক্লাস রিয়ন নেয়।

( ইম্পর্টেন্ট কথা। #Incomplete_Love এ আমি ভ্যাম্পায়ার সেনাপতির নাম রিয়ন রেখেছিলাম কিন্তু এবার ভুলে নাম টা উল্টা পাল্টা হয়ে গেছে। প্রথম পর্বে ইয়ান এবং দ্বিতীয় পর্বে কিয়ান লিখে ফেলেছি ভুলে। ?আসলে নাম ভুলে যাওয়া আমার বদ‌অভ্যাস কালকে প্রথম থেকে গল্পটা পড়ছিলাম তখন‌ই ভুলটা ধরা পরলো। এখন থেকে রিয়ন নামটাই ব্যবহার হবে)

রিয়ন ক্লাসে আসতেই সবাই দাঁড়িয়ে যায় কিন্তু এবার রিয়ন একা আসে নি ওর সাথে একটি মেয়েও এসেছে। মেয়েটিকে সবার কাছে অচেনা লাগলেও ধ্রুবর ওকে চেনা। একটু আগে ওর সাথে এ মেয়েটাই ধাক্কা খেয়েছিল।

ধ্রুব অবাক হয়ে মেয়েটিকে দেখছে। মেয়েটির দৃষ্টিও ধ্রুবর উপর।

রিয়নঃ গুড মর্নিং অল,,,

সবাইঃ গুড মর্নিং স্যার,,,

রিয়নঃ সবাই ভাবছো আমার সাথে এটা কে তাইনা? শি ইজ মাই সিস্টার কোয়েল,, এতো দিন ঢাকা হোস্টেলে থাকতো কিন্তু এখন তোমাদের সাথে এই কলেজেই পড়ালেখা করবে।

কোয়েলঃ হাই গাইজ( মিষ্টি হেসে)

শবনম এতক্ষণ নিজের ব‌ইয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল কিন্তু কোয়েলের কন্ঠ কানে আসতেই কেমন যেন একটা অদ্ভুত অনুভূতি হলো ওর। চোখ তুলে তাকালো ও কোয়েলের দিকে।

রিয়নঃ কোয়েল যাও গিয়ে বসে পর,,,

কোয়েলঃ ওকে ভাই,,,

শবনম এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কোয়েলের দিকে। কেমন যেন একটা টান অনুভব হচ্ছে ওর প্রতি।

কোয়েল এসে শবনমের পাশে বসলো।

কোয়ালঃ হাই আ’ম কোয়েল,,( হাত বাড়িয়ে দিয়ে)

শবনম নিজের অজান্তেই হাত এগিয়ে দিল,,,

শবনমঃ আমি শবনম,,,

কোয়ালঃ ফ্রেন্ডস,,,

শবনমঃ হুমম,,

এভাবে টুকটাক কথা বলছে ওরা। কোয়েলের কেন জানি শবনমের সাথে কথা বলতে অনেক ভালো লাগছে মনে হচ্ছে অনেক কাছের কেউ। শবনমের‌ও সেম অবস্থা।

রিয়ন ক্লাস করাচ্ছে আর ফাঁকে ফাঁকে ওদের দু’জন কে দেখে মুচকি হাসছে। ক্লাস শেষে রিয়ন কোয়েলকে বলে যায় ক্লাসের পর ওর জন্য অপেক্ষা করতে।

রিয়ন চলে যেতেই ধ্রুব আয়রা আর আশিশ পেছনে ঘুরে কোয়েলের সাথে কথা বলতে শুরু করে।

ধ্রুবঃ হাই কোয়েল রিমেম্বার মি একটু আগে আমার সাথে ধাক্কা লেগে পরে গিয়েছিলে,,

ধ্রুবর কথায় সবাই টাস্কি খায়। অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওরা ধ্রুব আর কোয়েলের দিকে।

কোয়েল ধ্রুবর কথায় বেশ লজ্জা পায় কারণ সবাই ব্যাপার টা কেমনভাবে যেন নিচ্ছে,,,

শবনমঃ ধাক্কা লেগেছে মানে? ( চোখ ছোট করে)

ধ্রুবঃ না মানে একটু আগে আরকি,,,

ধ্রুব একটু আগের ঘটনা ওদেরকে বলল,,, ব্যাস সবার হাসাহাসি শুরু হয়ে গেল এ নিয়ে। ধ্রুব আর কোয়েল দু’জনেই ফেসে গেল সত্য বলে,,,

কোয়েল অনেক সুন্দর করে মিশেছে গিয়েছে সবার সাথে। ক্লাস শেষ হতেই রিয়ন কোয়েলকে সাথে করে নিয়ে যায় আর বাকীরাও চলে যায় বাড়ি।

♠♠ At Home ♠♠

বাড়িতে এসেই শবনম ব্যাগ রেখেই সোফায় বসে পরলো,,,, তারপর জুতার লেস খুলতে খুলতে ওর আম্মি কে ডাকতে শুরু করলো,,

মায়াঃ আজকের দিনটা কেমন কাটলো আম্মু,,

শবনমঃ অন্নেক ভালো,, আজকে রিয়ন স্যারের ছোট বোন আমাদের কলেজে জয়েন করেছে আম্মি।

মায়াঃ রিয়নের ছোট বোন আছে?

শবনমঃ হুমম,, অ্যান্ড ইউ নো শি ইজ ভেরি ফ্রেন্ডলি। আমারতো ওকে অনেক ভালো লেগেছে।

কথার মাঝেই শবনমের মন খারাপ হয়ে যায়। আর ওর মায়ার কোলে মাথা রেখে বলতে শুরু করে,,,

শবনমঃ আই উইশ আমার‌ও ওর মত একটা বোন থাকতো। ( মন খারাপ করে)

শবনমের কথায় মায়ার মুখে বিষন্নতা ছেয়ে গেল। চোখ অটোমেটিকলি ভিজে গেল। শবনমের আড়ালে তা মুছে নিলেন তিনি।

মায়াঃ তোর জ্বালাতেই বাঁচি না তোর মত আরেকটা মেয়ে থাকলে তো আমাদের পাবনা শিফ্ট হতে হতো। ( কথা ঘুরিয়ে)

শবনম লাফ দিয়ে উঠে বসে তারপর রাগি ভাবে বলে,,,

শবনমঃ আম্মিইইইই,,,

মায়াঃ হয়েছে আর রাগ দেখাতে হবে না গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো আমি খাবার দিচ্ছি।

শবনম উঠে রুমে চলে যায় আর মায়া কিচেনে।

মায়ার ফোনে কল আসলো আসিফের,,,

মায়াঃ হ্যালো,,,

আসিফঃ ……………

মায়াঃ আচ্ছা আমি শবনমকে বলছি।

♠♠ In Dining ♠♠

শবনম খাবার খাচ্ছে মায়া ওর পাশে বসতে বসতে বলল,,,

মায়াঃ তোমার আব্বি কল করেছিল শবনম। রাতে নাকি ওনার বিজনেস অর্গানাইজেশন এর একটা পার্টির ইনভিটেশ আছে আমাদের রেডি হয়ে থাকতে বলেছে।

শবনমঃ কার পার্টি?

মায়াঃ বলে নি নতুন কোন পার্টনার হবে। তোমার আব্বুর সব বিজনেস পার্টনার দের ইনভাইট করেছে।

শবনমঃ সবাই গেলে তো ধ্রুব আশিশ আর আয়রা রাও থাকবে তাইনা?

মায়াঃ অফকর্স

শবনমঃ ওকেএএ আমিও যাব। আমি ওদের ফোন করে আসি,,,

♠♠ In Party ♠♠

শবনম মায়া আর আসিফ ভেন্যু তে পৌঁছে যায়। শবনম কালো রঙের একটা শর্ট গাউন আর জিন্স পরেছে। একদম নরমাল ড্রেস‌আপ। ভিতরে ঢুকতেই শবনম আশেপাশে আয়রাকে খুঁজতে লাগলো।

কিছুটা দূরেই আয়রা আশিশ আর ধ্রুব গল্প করছে। শবনম ওদের দেখে ওদের কাছে চলে যায় আর আসিফ মায়া ওদের ক্লাইন্টদের কাছে,,,

শবনমঃ হাই গাইজ,,

আয়রাঃ এটা কি পরেছিস তুই?( কপাল কুঁচকে)

শবনমঃ কেন এতে খারাপ কি?

আয়রাঃ আশেপাশে দেখ নিজের,, সবাই আইকনিক ভাবে ড্রেস‌আপ করেছে আর তুই গাউন আর জিন্স পরে চলে এসেছিস।

শবনমঃ সবাই এখানে ফ্যাশন শো করতে এসেছে বেবি আমি না ওকে। তাছাড়া এখানে কি আমার ড্রিম প্রিন্স আসছে যে আমাকে সেজে গুজে আসতে হবে।

আশিশঃ আসতেও পারে শবনম বেবি। কে কখন কার জীবনে এন্ট্রি নেয় বলা যায় না।

শবনমঃ হুম যেমন কোয়েল এন্ট্রি নিয়েছে ধ্রুবর লাইফে ( চোখ মেরে)

ধ্রুবঃ এমন কিছু না ওকে যেমনটা তোরা ভাবছিস,,,

হঠাৎ অনেক গুলো কালো পোশাকে আবৃত্ত গার্ড বাড়িতে প্রবেশ করলো তারপর দরজায় দু সাঁড়ি ভাবে দাঁড়িয়ে যায়।

সবাই অবাক চোখে তাকায় দরজার দিকে। শবনম আর ধ্রুব সহ সবাই তাকিয়ে আছে সেই দিকে ওরা বোঝার চেষ্টা করছে যে কি হচ্ছে এখানে,,,

একে একে পাঁচটা কালো মার্সিরিজ কার থামলো দরজার সামনে। সামনের গাড়ি থেকে গার্ড নেমে পেছনের গাড়ির দরজা খুলে দিল। দরজা খুলতেই ভিতর থেকে ফুল ব্লাক সুট পরিহিত লোক বেরিয়ে আসে।

রেজ‌ওয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ এর মালিক আঁধার রেজ‌ওয়ান আসছে। আজ‌ও রেজ‌ওয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ এর মালিককে কেও দেখেনি আজ তাই সবাই অধির আগ্রহের সাথে তাকে দেখার জন্য তাকিয়ে আছে। তাকে দেখার তার ইন্টারভিউ নেয়ার জন্য প্রেস মিডিয়া ভীর করছে।

ফুল ব্লাক সুট টাই আর এটিটিউড লুক নিয়ে গাড়ি থেকে নামলো আঁধার রেজ‌ওয়ান। পকেটে দু হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে ও। প্রেস একের পর এক ছবি তুলেই যাচ্ছে আঁধারের।

পরের গাড়ি থেকে রিয়ন আর কোয়েল নেমে আসলো।

আঁধার সামনে হাটা ধরলো তার সাথে রিয়ন আর কোয়েল‌ও।

শবনম শুধু হা হয়ে দেখছে। পুরাই ড্রিম প্রিন্স লাগছে আঁধারকে যেমনটা ও নিজের স্বপ্নে ভাবতো।

আঁধার আর রিয়ন আসিফদের কাছে চলে যায়। সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে রিয়ন আঁধারকে।

কোয়েল সোজা শবনমদের কাছে চলে আসে।

আঁধার আড়চোখে শবনমের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসলো তারপর সবার সাথে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পরলো।

To be continued….

He is my dream Prince tai keo nojor dio na please ??

♠#The_Vampire_King♠
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_12

আঁধার কথা বলার ফাঁকে ফাঁকে শবনমের দিকে তাকাচ্ছে আর শবনম! ওর চোখ তো আঁধারের দিকেই। সকালের হ‌ওয়া ইনসাল্ট এর কথা বারবার মনে পরছে ওর।

আয়রাঃ হোয়াট আ্য লুক এয়ার আ’ম ক্রাশড্।

শবনমঃ কার উপর।

আয়রাঃ ওইযে ব্লাক সুট উইথ কিলার লুক।

আশিশঃ আমি বাদে তুই সবার উপরেই ক্রাশ খাস তাইনা।

আয়রাঃ হুহ,, আচ্ছা কোয়েল উনি কে আর তোমার কি হয় আর ইয়ান স্যারের সাথে কেন উনি।

(আই থিঙ্ক ইয়ান ইজ ব্যাটার নেম ফর দ্যা স্টোরি তাই ইয়ান নামটাই কন্টিনিউ করলাম।)

কোয়েলঃ আমি যত টুকু জানি উনি ইয়ান ভাইয়ার অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ড আর ওনার নাম…..

শবনমঃ আঁধার রেজ‌ওয়ান ( মুখ ফসকে)

কোয়েলঃ রাইট আঁধার রেজ‌ওয়ান কিন্তু তুমি জানলে কিভাবে।

শবনমঃ আব সকালে ওনাকে কলেজে দেখেছিলাম তখন নাম টা জানতে পারি। ( কথা ঘুরিয়ে)

আয়রাঃ ওহ আমি ভাবলাম অন্য কিছু,,, ( মজা করে)

শবনম চোখ গরম করে তাকালো আয়রার দিকে আর বেচারি চুপ করে গেল।

এর মধ্যেই আসিফ শবনম আর ধ্রুবকে ডাক পাঠায় সবার সাথে পরিচিত করার জন্য।

আসিফঃ শবনম ধ্রুব আশিশ আয়রা কাম হেয়ার,,

শবনমঃ ইয়েস আব্বি কামিং,,,

শবনম ধ্রুব আশিশ আর আয়রার সাথে কোয়েল ও আসে।

আসিফঃ মি. রেজ‌ওয়ান এ হচ্ছে আমার মেয়ে শবনম। ( শবনমকে দেখিয়ে দিয়ে)

আঁধার শবনমের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বলে,

আঁধারঃ হ্যালো মিস শবনম,,,

শবনমঃ তোর হ্যালোর গুষ্ঠির ষষ্ঠী। সকালে আমাকে অপমান করে এখন এখানে হ্যালো হ্যালো করছিস বাদামী চোখ ওয়ালা উগান্ডার প্রেসিডেন্ট আঁধার রেজ‌ওয়ান। তোকে তো আমি দেখে নিব ( মনে মনে)

হ্যালো ( দাঁতে দাঁত চেপে চাঁপা হেসে)

আসিফঃ আর এ হচ্ছে ধ্রুব আমার বিজনেস পার্টনার আব্রাহাম কাইফ এর ছেলে। ( ধ্রুবকে দেখিয়ে) ওর ড্যাড একটা কাজে দেশের বাইরে গিয়েছে ওনার অনুপস্থিতিতে ধ্রুব‌ই সম্পুর্ন বিজনেস হ্যান্ডেল করছে।

ধ্রুবঃ হাই আ’ম ধ্রুব আব্রাহাম।( হাত বাড়িয়ে দিয়ে)

আঁধারঃ নাইস টু মিট ইউ,,, ( হ্যান্ড শেক করে)

ধ্রুবঃ সেম হেয়ার।

আয়রা আর আশিশ এর পেরেন্টস ও তাদের পরিচয় করিয়ে দেয় আঁধারের সাথে।

শবনমঃ আব্বি আমাদের তো এখানে কোন কাজ নেই আমরা বার সাইডে যাই প্লিজ।

আসিফঃ ওকে যাও,,

শবনমঃ চল ধ্রুব এখানে বোর লাগছে ( ফিসফিস করে)

ধ্রুব আশিশ আয়রা আর কোয়েলকে নিয়ে শবনম বার সাইডে চলে আসে। এখানে সব ছোটদের জন্য আলাদা আরেঞ্জমেন্ট করা হয়েছে।

এখানে সবাই জুস আর কোল্ড ড্রিঙ্ক খাচ্ছে আর নিজেদের মাঝে কথা বলছে।

আঁধার সবার সাথে কথা বলার ফাঁকে ফাঁকে শবনমের দিকে তাকাচ্ছে আর ড্রিঙ্ক এর গ্লাসে সিপ দিচ্ছে। যত বার‌ই আঁধার তাকাচ্ছে শবনমের চোখে চোখ পরছে। দু’জন এক সময়েই একে অপরের দিকে তাকায় তাই বারবার ধরা খেয়ে যায়

শবনমঃ উফফ অসহ্য এই বাদামী চোখ ওয়ালা বারবার কেন তাকাচ্ছে। ইচ্ছে করছে এর বাদামী চোখে রঙ লাগিয়ে চোখের রঙ বদলিয়ে দেই।

ধ্রুবঃ তুই কি এত ভাবছিস শবনম সকাল দেখছি।

শবনমঃ ক‌ই কি ভাবছি আ’ম ওকে এয়ার।

আশিশঃ কি বোরিং পার্টি টা। বুড়ো বুড়ো ফিল আসছে।

ধ্রুবঃ রাইট এয়ার সব বড়রা কথা বলতে ব্যস্ত আর আমরা এক কোনে দাঁড়িয়ে বোর হচ্ছি।

শবনমঃ কিছু করার নেই এটা বিজনেস পার্টি বড়দের ফাংশন।

এইদিকে,,,

আসিফঃ তো মি. রেজ‌ওয়ান কাল থেকে প্রজেক্টের কাজ শুরু করা যাক।

আঁধারঃ আঙ্কেল আপনি আমাকে আঁধার বলে ডাকলে আমি খুশি হবো আফটার অল আপনি আমার বড়।

আসিফঃ আ্যজ ইউর উইশ মাই সান্।

ইয়ানঃ আঙ্কেল আসফি আঙ্কেল কবে ফিরবেন?

আসিফঃ কালকে আসার কথা ওদের। মিম তো পাগল হয়ে গেছে ফেরার জন্য কিন্তু ওর নানুর শরীর এখনো তত একটা ভালো হয়নি তাই ফিরতে লেট হচ্ছে।

ইয়ানঃ ওহ,, আসলে কিছু দিন বাদেই ওর এক্সাম তাই জিজ্ঞেস করলাম,,,,

আঁধার ইয়ানের কথায় কিছুটা আন্দাজ করতে পেরে মুচকি হাসলো।

আঁধারঃ আঙ্কেল আই থিঙ্ক উই শুড লিভ নাও তাইনা ইয়ান?

ইয়ানঃ হ্যাঁ এখন আমাদের যাওয়া উচিত। নেক্সট মিটি়ংয়ে প্রজেক্ট এর বিষয়ে সব ডিস্কাশন করা হবে।

আসিফঃ হুম আমরাও এখন বেরুবো। সি ইউ গাইজ লেটার। শবনম কাম প্রিন্সেস আমরা বেরুবো।

শবনমঃ আসছি আব্বি,, বাই কোয়েল,,,,

কোয়েলঃ বাই।

সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সবাই যার যার বাড়ির উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে যায়।

আঁধার ওর গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শবনমকে দেখছে। আর শবনম গাড়িতে উঠার আগ পর্যন্ত আঁধারের দিকে তাকিয়ে ছিল। আঁধারের চোখে কেমন একটা ঘোর লাগা কাজ করে। আর খুব পরিচিত মনে হয় এই দৃষ্টি ওর কাছে।

♠♠ At Home ♠♠

শবনম নিজের রুমের বারান্দায় এসে ওর ছোট দোলনায় বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছে। চোখের সামনে বারবর শুধু আঁধারের চেহারা ভেসে উঠছে। বিরক্তিকর লাগছে এই ব্যাপারটা ওর কাছে।

গানের মাঝেই শবনমের ফোনে আননোন নাম্বারে কল আসলো। গান শোনার সময় কেউ ডিস্টার্ব করলে শবনম অনেক বিরক্ত হয়।

শবনমঃ এটা আবার কে এতো রাতে কল করছে।

কল ধরতে ধরতে কেটে গেল। আবার সেই নাম্বার থেকে কল আসছে।

শবনমঃ হ্যালো কোন স্টুপিড রে এতো রাতে কল করে ডিস্টার্ব করছিস? ( রিসিভ করে ঝাড়ি দিল)

ফোনেঃ নিজের থেকে বয়সে বড়দের আপনি করে সম্বোধন করতে হয় সেটা কি আপনার স্কুলে শেখানো হয় নি মিস. শবনম?

কন্ঠটা শবনমের অনেক চেনা। শবনম কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,,,

শবনমঃ ম ম মি. আঁধার রেজোয়ান?

আঁধারঃ জ্বী আমি,,,

শবনমঃ এতো রাতে আমাকে কল করার মানে কি আর আমার নাম্বার কোথা থেকে পেলেন আপনি,, ( সাহস করে )

আঁধারঃ একটা কথা মনে রাখবেন নাথিং ইজ ইম্পসিবল ফর আঁধার রেজওয়ান। আর এটাতো সামান্য নাম্বার।

শবনমঃ ওয়াওওও আমাকে কল করে আমাকেই এটিটিউড দেখানো হচ্ছে গ্ৰেট,,, ( মনে মনে)

কেন কল করেছেন সেটা বলেন,,

আঁধারঃ তুমি যেন তখন কি বলছিলে আমাকে?

শবনমঃ আপনি থেকে ডাইরেক্ট তুমি কত ফাস্ট এই বাদামী চোখ ওয়ালা। ( মিনমিন করে) কখন কি বললাম?

আঁধারঃ আমার গুষ্ঠির ষষ্ঠী,,, আমি বাদামী চোখ ওয়ালা উগান্ডার প্রেসিডেন্ট আঁধার রেজ‌ওয়ান। তারপর যেন কি ছিল হ্যাঁ মনে পরেছে আমার বাদামী চোখে রঙ লাগিয়ে চোখের রঙ বদলিয়ে দিবে আর…….

আঁধার আর কিছু বলার আগেই শবনম কল কেটে দিল ভয়ে। বেচারির হার্ট ফেল করার উপক্রম। ভয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে ও।

শবনমঃ আমিতো এগুলো মনে মনে বলেছিলাম এই বাদামী চোখ ওয়ালা শুনলো কিভাবে ( অবাক প্লাস শক্ড হয়ে)।

শবনম নিজের নখ কামড়াচ্ছে আর বুঝার চেষ্টা করছে আঁধার কিভাবে কথা গুলো শুনলো। সব গুলিয়ে যাচ্ছে বেচারির।

শবনম কল কেটে দেয়ায় আঁধার খানাকটা হাসলো।

আঁধারঃ এর ডোজ তুমি কালকে পাবে শবনম। আমি কি সেটা খুব শীঘ্রই বুঝতে পারবে।

♠♠ Morning ♠♠

ঘুমিয়ে আছে শবনম হঠাৎ উপরে পানি পরায় ধরফরিয়ে উঠলো সে,,,,

শবনমঃ আম্মিইইই পানিইইইই,,,,

শবনমের অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে বিছানায় বসে পরলো মিম।

শবনমঃ মিমমম আপিইই,,,

মিমঃ কেমন দিলাম মর্নিং গিফ্ট,,,

শবনমঃ ওয়েল কাম ব্যাক ( জড়িয়ে ধরে) কখন আসলা?

মিমঃ রাতেই এসে পরেছিলাম তুই ঘুমিয়ে ছিলি তাই জাগাই নি।

শবনমঃ তোমার নানু এখন কেমন আছে?

মিমঃ ভালো,,, যা এখন চেঞ্জ করে আস কাকি ব্রেকফাস্ট এর জন্য ডাকছে। কলেজেও যেতে হবে হারি আপ।

শবনমঃ আমি দশ মিনিটে আসছি।

শবনম দৌঁড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পরলো।

( মিম শবনমের জ্যাঠাতো বোন। ওর নানুর শরীর খারাপ ছিল তাই তাকে দেখতে গিয়েছিল ওরা। মিম শবনমের দুই ক্লাস উপরে। ডাক্তারী নিয়ে পড়ছে ও। দেখতে অনেক সুন্দর প্লাস ইন্টেলিজেন্ট বটে।)

Waiting for the next Part……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here