The_Vampire_King ♠️,27,28

0
1400

♠️ #The_Vampire_King ♠️,27,28
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_27
,
,
,
,
শবনমঃ সবার সেটিং হয়ে যাচ্ছে আমার সেটিংয়েই যত প্রবলেম। শয়তান রেজওয়ান ‌একবার দেখতেও আসলো না হুহ। আমার কপালটাই খারাপ। ( মনে মনে)

হঠাৎ দরজা খোলার আওয়াজে শবনম সেদিকে তাকালো। সামনের মানুষটি‌ কে দেখে ‌শবনম শক ‌প্লাস ক্রাশড্।

একজন লোক বড় একটা ব্লু কালারের টেডি বিয়ার নিয়ে রুমে প্রবেশ করল। টেডিবিয়ার টা‌ বড় হওয়ায় লোকটির মুখ ঢেকে আছে।‌ শবনম শকড্ হয়ে গেছে আর টেডি বিয়ার টা এতো কিউট যে ও ক্রাশ‌ খেতে বাধ্য।

ধ্রুব কোয়েল লোকটিকে দেখে দাঁড়িয়ে যায় ওরা চেনার চেষ্টা করছে ইনি কে।‌

লোকটি শবনমের সামনে এগিয়ে এসে টেডি বিয়ার টা হালকা হ্যালো,,,

ধ্রুবঃ রনিত স্যার!!( অবাক হয়ে)

শবনম টেডি বিয়ারটা রনিতের হাত থেকে নিয়ে বলতে শুরু করে।

শবনমঃ রনিত স্যার আপনিই এখানে? আপনার তো আরো কিছু দিন পরে আসার কথা ছিল?

রনির শবনমের পাশে বসে বলতে শুরু করে।

রনিতঃ কাজ দ্রুত শেষ হয়ে গেল তাই ভাবলাম তারাতাড়ি ফিরে আসি। এখন বলো তোমার এ অবস্থা কিভাবে হলো? যাওয়ার সময় সুস্থ দেখে গেলাম আর এসে অসুস্থ?

শবনমঃ আররেহ স্যার আপনি তো জানেন আমার সাথে এমন এভেইলেবল হয়ে থাকে,,, বাই দ্যা ওয়ে টেডি টা অনেক কিউট থ্যাংক ইউ ফর দিস গিফট।

রনিতঃ মোস্ট ওয়েল কাম। আর হ্যাঁ টেডি টা কিউট কিন্তু তোমার থেকে বেশি না।

শবনমঃ আই নো। ( হেসে দিয়ে)

কোয়েলঃ ধ্রুব ইনি কে?

ধ্রুবঃ ইনি আমাদের কলেজের ভিপি প্লাস টিচার। দুই বছর আগে কলেজ জয়েন করেছেন। আমাদের সাথে অনেক ক্লোজ স্পেশালি শবনমের প্রতি ইনার কেয়ার একটু বেশিই পুরো কলেজ জানে।

কোয়েলঃ ওও কিন্তু এতো দিন‌ কোথায় ছিলেন ?

ধ্রুবঃ পার্সোনাল কাজে শহরের বাইরে ছিলেন।

রনিত ঘুরে ধ্রুব আর কোয়লকে উদ্দেশ্য করে বলল।

রনিতঃ কেমন আছো ধ্রুব?

ধ্রুবঃ ফাইন স্যার আপনি?

রনিতঃ গুড । হু ইজ শী?( কোয়েলকে দেখিয়ে)

ধ্রুবঃ ইয়ান স্যারের বোন কোয়েল কলেজে নতুন জয়েন করেছে।

কোয়েলঃ হ্যালো স্যার,,

রনিতঃ হ্যালোওও।

রনিত শবনম ধ্রুব‌ কোয়েল সবাই কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

কোয়েলঃ আমার এখন যেতে হবে অনেক লেট হয়ে গেছে আজ।

ধ্রুবঃ আমি তোমাকে ড্রপ করে দি চলো।

শবনমঃ যা যা কোয়েল পাখিকে ‌তার খাঁচায় রেখে আস।
( ধ্রুবর কানে কানে বলল )

ধ্রুবঃ হুম খাঁচায় রাখবো কিন্তু আমার মনের..( হেসে দিয়ে )

কোয়েলঃ‌ বাই শবনম নিজের খেয়াল রাখিস।

শবনমঃ বাই বেবি হ্যাভ এ সেফ অ্যান্ড রোমান্টিক জার্নি।( চোখ মেরে )

কোয়েল চোখ গরম করে শবনমের দিকে তাকায়। ধ্রুব জানে এখানে বেশিক্ষণ থাকলে শবনম খোঁচা মেরে কথা বলবেই তাই ও কোয়েলের হাত ধরে রনিত কে বাই বলে বেরিয়ে যায়। ওরা চলে যেতেই রনিত চোখ ছোট ছোট করে শবনমের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করে।

রনিতঃ এটা কি ছিল শবনম? তুমি ওদের এভাবে কেন বলছিলে?

শবনমঃ আরেহহ স্যার ওদের মাঝে সামথিং সামথিং চলতে পারলে ‌আমি সামথিং সামথিং বলতে পারব না।

শবনমের কথা শুনে রনিত হেসে দিল সাথে শবনমও।

আঁধার স্টারগেজার ফুল নিয়ে এসেছে শবনমের জন্য। আঁধার দরজা খুলে ভিতরে তাকাতেই দেখলো শবনম কারো সাথে হেসে হেসে কথা বলছে। লোকটির চেহারা দেখতে পারছে না ও শুধু পেছন টুকু দেখা যাচ্ছে।

রনিত শবনমকে এটা ওটা বলে হাসাচ্ছে। মাঝে মাঝে ওর চুল নাড়িয়ে দিচ্ছে আবার গাল টেনে দিচ্ছে। শবনম ফ্রি হয়ে রনিতের সাথে কথা বলছে লাইক এ ক্লোজ ফ্রেন্ড।

আঁধার‌ ভিতরে না ঢুকেই উল্টো পায়ে বেড়িয়ে যায়। হঠাৎ শবনমের মনে হলো‌ আঁধার এসেছে। শবনম ঠোঁটে হাসি নিয়ে দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো ‌দরজা লাগানো আর কেউ নেই। শবনমের মুখটা আবার মলিন হয়ে গেল।

আঁধারের চোখ জলজল করছে। দ্রুত হেঁটে হসপিটাল থেকে বের হচ্ছে ও।‌ চোখে শুধু শবনম আর রনিত ভাসছে ওর। বুকে ব্যথা অনুভব করছে ও এক অদ্ভুত ব্যথা যেটা আগে কখনো হয়নি। আঁধারের নাকের ডগা লাল হয়ে গেছে। চোখের পানি চোখেই আটকে আছে হয়তো আঁধার নিজের আবেগে নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করছে।

হসপিটাল থেকে বের হতেই ফুল গুলোর দিকে একবার তাকালো ও।

আঁধারঃ আমার মত এই ফুল গুলোর ও কোন জায়গা হবে না ওর জীবনে। ( স্মিথ কন্ঠে )

আঁধার ফুল গুলো ফেলে দেয় পাশেই তার পর দ্রুত চলে যায় হসপিটাল থেকে।

আসিফ আর মায়া রুমে এসে রনিতের সাথে কথা বলল। রনিত চলে যেতেই আসিফ শবনমকে নিয়ে বেরিয়ে আসলো।

হসপিটাল থেকে বেরিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে মায়া আর শবনম। আসিফ পার্কিং থেকে গাড়ি আনতে গিয়েছে। হঠাৎ শবনমের চোখ যায় কিছুটা দূরে সুন্দর স্টারগেজারের তোড়া পরে আছে। শবনম গিয়ে ফুল গুলো তুলল।

শবনমঃ এতো সুন্দর ফুল কে ফেলল এখানে? ( ঘ্রান নিয়ে) যে‌ ফেলেছে সে হয়তো ফুলের কদর জানে না হার্টলেস পারসন।

ফ্লাওয়ার বেবি তুমি কান্না করো না আমি আছি না আমি তোমাকে নিয়ে যাবো। ( ফুল গুলো জড়িয়ে ধরে।)

মায়াঃ শবনম মামনি আসো তারাতাড়ি,,,

শবনমঃ কামিং আম্মিই,,

শবনম ফুল গুলো নিয়েই গাড়িতে উঠে পরল। অদ্ভুত সুন্দর একটা ঘ্রাণ পাচ্ছে শবনম ফুল গুলো থেকে। এই ঘ্রানটা যখন আঁধার ওর কাছে আসে তখন পায় ও। আঁধারের কথা মনে আসতেই কেমন যেন একটা খালি খালি অনুভব হচ্ছে ওর। কিছু একটা মিসিং লাগছে নিজের মধ্যে।

এইদিকে,,,

হসপিটাল থেকে বেরিয়েই মিম কে রেস্টুরেন্ট নিয়ে আসে ইয়ান। মিম প্রথম না করলেও ইয়ানের ধমকের ভয়ে চুপচাপ খেয়ে নেয়।

খাওয়া শেষ করে ইয়ান বিল পে করতে যায়। মিম ইয়ানের অপেক্ষা না করেই বেরিয়ে যায় রেস্টুরেন্ট থেকে। মিম কে না পেয়ে ইয়ানের রাগ আরো বেড়ে যায়। ও বাইরে এসে দেখে মিম রাস্তার কিনারে রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছে।

ইয়ান এসে মিমের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করে।

ইয়ানঃ চুপচাপ গিয়ে গাড়ীতে উঠো।( রেগে )

মিমঃ আপনার সাহায্যের প্রয়োজন নেই আমার ধন্যবাদ।

ইয়ান রেগে মিমের হাত ধরতেই মিম ঝাড়ি মেরে হাত ছাড়িয়ে বলতে শুরু করে।

মিমঃ কেন করছেন এমন কোন অধিকারে করছেন? এখন ভালোবাসা দেখাচ্ছেন কাছে টানছেন কালকে আবার দূরে ঠেলে দিবেন। এটা কেমন ভালোবাসা ইয়ান আমাকে বুঝাবেন প্লিজ।( রেগে )

ইয়ান অবাক চোখে মিমকে দেখছে। প্রথমবার মিম ওর সাথে এমন বিহেভ করছে‌ অবাক লাগছে ইয়ানের কাছে।

ইয়ানঃ হ্যাঁ আমি মানছি আমি তোমাকে সবসময় নিজের থেকে দূরে সরিয়ে রাখি তাই বলে কি তোমার কেয়ার করার অধিকার টাও নেই আমার? ( ছলছল চোখে)

মিমঃ‌ না নেই কোন প্রকার অধিকার নেই আপনার আমার উপর। আপনিও মিথ্যা আপনার ভালোবাসাও‌ মিথ্যা আর আপনার এই কেয়ার ও মিথ্যা। ( কান্না আটকানোর চেষ্টা করে)

ইয়ানঃ তুমি সব জেনেও আমার ভালোবাসার উপর আঙ্গুল তুলছো মিম? তুমি তো জানো কেন আমি তোমাকে নিজের জীবনের সাথে জড়াই না কেন দূরে রাখি,,,

মিমঃ‌ কারন আপনি একজন ভ্যাম্পায়ার এজন্যই তো?

ইয়ানঃ চুপ,,,

মিমঃ আমি সব জেনেও আপনাকে ভালোবাসি। আপনার সাথে থাকতে চাই আপনাকে ভালোবাসতে চাই তাহলে আপনি কেন নিজের কদম বাড়াতে ভয় পান।

আপনি আমার দিকে এক কদম এগিয়ে আসেন ইয়ান আই প্রমিস যতই খারাপ সিচুয়েশন আসুক না কেন নিজের কদম পিছাবো না। ( ছলছল চোখে)

ইয়ান ঠাই দাঁড়িয়ে আছে। মিম কথা গুলো বলে এক মুহুর্ত দেরি না করে দৌড়ে চলে যায় ওখান থেকে।

( মিম কিভাবে ইয়ানের রহস্য জানলো‌ সেটা পরে জানতে পারবেন)

এইদিকে,,,

সারা রাস্তা ধ্রুব কোয়েলকে দেখছিল। কোয়েল বলেছে আর ধ্রুব শুনেছে। কোয়েলের হাসি অদ্ভুত সুন্দর লাগে ধ্রুবর কাছে। মনের মাঝে ঝড় তোলার মত।

কোয়লকে বাসায় ড্রপ করে দিয়ে নিজের বাসায় চলে আসে ধ্রুব। মনের মধ্যে এখনো ওর কোয়েল পাখি ঘুরঘুর করছে।

বাড়িতে এসে সোফায় বসে থাকা মানুষটিকে দেখে নিমিষেই ধ্রুবর হাসি গায়ের হয়ে যায়।

ধ্রুবঃ ড ড্যাড!! ( অবাক হয়ে)

ধ্রুবকে দেখে কাইফ সোফা ছেড়ে উঠে ওর কাছে এসে বলতে শুরু করে।

কাইফঃ আমাকে দেখে মনে হয় খুশি হলে না তুমি ধ্রুব?

ধ্রুবঃ কি বলছ আমি অনেক খুশি ওয়েল কাম ব্যাক।( হাসার চেষ্টা করে কাইফকে জড়িয়ে ধরে)

কাইফঃ তুমি কত খুশি হয়েছো তা তোমার ফেস দেখেই বুঝতে পারছি আমি। ( কড়া গলায়)

ধ্রুবঃ স্যরি ড্যাড বাট আমি বুঝলাম না তুমি কি বলতে চাইছো?

কাইফঃ তোমাকে এখানে আমি শবনমের কাছাকাছি থাকার জন্য রেখে গিয়েছি। ওর আর ওর পরিবারের কাছে থেকে ওদের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য বলেছি আর তুমি কি করছ? তুমি ওই সাধারণ একটা মেয়ের পিছনে পড়ে নিজের লক্ষ থেকে দূরে সরে যাচ্ছো। কি যেন নাম হ্যাঁ কোয়েল!! ওই মেয়েটার উপর মায়া জমে জমে গেছে তোমার তাইনা? শেষ বার বলছি ধ্রুব তুমি ওয়্যারওল্ফ প্রিন্স ভবিষ্যতের কিং তুমি। তোমার সব দায়িত্ব নিজের রাজ্যের জন্য বুঝতে পারলে। এসব প্রেম ভালোবাসা তোমার জন্য নয়।

ধ্রুব মাথা নিচু করে আছে। কাইফ আবার বলতে শুরু করল।

কাইফঃ আমার লক্ষের সামনে যদি কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তাকে আমি পথ থেকে সরাতে দ্বিতীয় বার ভাববো না। সেটা ওই মেয়ে হোক অথবা তুমি।

ধ্রুবঃ ওর কোন দোষ নেই ড্যাড ওকে আমাদের যুদ্ধে জড়িয় না। ( কাঁপা কাঁপা কন্ঠে)

কাইফঃ তাহলে সেটাই কর যেটার জন্য আমি তোমাকে এখানে এনেছি।

ধ্রুবঃ ইয়েস কিং।

ধ্রুব আর কিছু না বলেই নিজের রুমে চলে গেল। রুমের দেয়ালে ওর মায়ের ছবির দিকে তাকিয়ে আছে ধ্রুব। অনেক আগেই নিজের মাকে হারিয়েছে ও। ভালোবাসার শেষ মানুষটি চলে যাওয়ার সাথে সাথে জীবন থেকে ভালোবাসা শব্দটাও চলে গিয়েছিল। ছোট থেকেই কাইফের থেকে হিংস্রতা শিখেছে। কিন্তু আজ যখন কাউকে ভালোবেসে নিজেকে বদলাতে চাইছে ওর নিজের বাবা ওর পথ আটকে দিচ্ছে।

ধ্রুব জানে কাইফের কাছে ওর কোন মুল্য নেই কারন কাইফ শুধু নিজের পাওয়ার কে ভালোবাসে অন্য কাউকে না। প্রয়োজন পরলে হয়তো ধ্রুবকে শেষ করতেও পিছপা হবে না ও।

ধ্রুব খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসে পরল। চোখ বন্ধ করে ভাবছে ওর কি করা‌ উচিৎ। চোখ বন্ধ করতেই ‌কোয়েলের হাসি মাখা চেহারা ভেসে উঠছে।

ইয়ান মিমের ছবি গুলো দেখছে যা ও মিমের আড়ালে তুলেছিল। অনেক বেশি ভালোবাসে মিমকে ও। কিন্তু না ও মিমকে কাছে টানতে পারছে আর না দূরে সরাতে পারছে।

একটা পুকুরের উঁচু টিলার উপর বসে আছে আঁধার। পানির মধ্যে চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে। আঁধার প্রতিবিম্ব টার‌ দিকে পলকহীন তাকিয়ে আছে। চাঁদের প্রতিবিম্বে শবনমের চেহারা দেখতে পারছে ও। যার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছে আজ তার দূরে সরে যাওয়ার ভয় ঘিরে ধরেছে আঁধারকে।

আঁধারঃ কেন কষ্ট হয় তোমাকে অন্য কারো সাথে দেখলে। আমিতো চাই তুমি আমার কাছ থেকে দূরে থাকো তাহলে এই ব্যথাটা কেন হচ্ছে বুকে। আমাদের এক হওয়া সম্ভব না যেনেও তোমাকে কেন চাইছি আমি হোয়াইই??

ফিল দ্যা সং?

“ মেরে হাতো মে না তেরি লাকিরে
হ্যায় বহত আলাগ সি আপনি তাকদিরে
মেরা জামি পে চালনা তেরা হাওয়া সা উড়না
হা না মুমকিন হ্যায় তেরা মেরা মিলনা
কে ধূপ সে কাভি আন্ধেরা জুর নেহি সাকতা
ইয়ে ইশ্ক মুকাম্মাল আপনা আভ হো নেহি সাকতা….

দাড়িয়া সা হ্যায় তু ম্যায় হু সেহরা সা
ফাসলা না মিটেগা জো হ্যায় ফ্যালা সা
জো খাতাম না হোগা তু এ্যাসা সাফার হ্যায়
ম্যা রাতকা লামহা তু ধূপ সেহের হ্যায়”

আঁধার ইয়ান আর ধ্রুব নিজেদের মনের সাথে যুদ্ধ করছে। ওদের ভালোবাসার শেষটা ওরা জানে না শুধু জানে যে কোন মূল্যে ভালোবাসার মানুষটি কে প্রটেক্ট করতে হবে। আগলে রাখতে সব বিপদ থেকে।

Waiting for the next part….

গল্প টা‌ ইমেজিন করে পড়লে আরো‌ বেশি ভালো লাগবে পড়তে। প্রতিটা পর্ব ফিল করে পরবেন তাহলে নিজেকে গল্পের দুনিয়াতে অনুভব করতে পারবেন।?

♠️ #The_Vampire_King ♠️
#A_Unknown_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_28
.
.
.
.
আঁধার‌ পুকুরটার মধ্যে তাকিয়ে চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখছে হঠাৎ পুকুরের পানিতে অন্য একজনের শয়তানি হাসি মাখা চেহারা দেখতে পেল ও। চেহারাটা দেখে আঁধারের ঘাড়ের রগ ফুলে যায় রাগে।‌ আঁধার উঠে সেই লোকটির দিকে ঘুরে দাঁড়ালো।

আঁধারঃ রনিততত!! ( কড়া গলায়)

রনিত বাঁকা হেসে আঁধারের সামনে এসে দাড়ালো তারপর বলতে শুরু করল।

রনিতঃ ওয়েল কাম ব্যাক দোস্ত,, (‌আঁধারকে জড়িয়ে ধরতে আসতেই আঁধার দূরে সরে দাঁড়ায়)

আঁধারকে দূরে সরে যেতে দেখে রনিত অভিনয় স্বরে বলল,,,

রনিতঃ এতো বছর পর দেখা হলো দোস্ত আর তুই একটু জড়িয়ে ধরতেও দিচ্ছিস না। দ্যাটস নট ফেয়ার,,

আঁধারঃ নিজের নোংরা মুখে আমাকে দোস্ত বলে ডাকবি না।‌ তোর মত বেইমান কখনো আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিল ভাবতেই আমার ঘৃনা হয় নিজের প্রতি। ( ঘৃনিত কন্ঠে)

রনিতঃ তুই এখনো পুরোনো কথায় আঁটকে আছিস? ভূলে যা না সব। এক কাজ করি আমিও তোকে ক্ষমা করে দেই আর তুইও আমাকে ক্ষমা করে দে ব্যস আবার আগের মত বন্ধু হয়ে যাই। ( ডেভিল স্মাইল দিয়ে)

আঁধার তাচ্ছিল্য হেসে বলতে শুরু করল,,,

আঁধারঃ ক্ষমা তাও তোকে!! হুহ যে নাকি নিজের বন্ধুর পিঠ পিছে আঘাত করতে পারে তাকে ক্ষমা না শাস্তি দিতে হয়। একবার ভূল করেছি দ্বিতীয় বার করব না। তোর ভালো এতেই যে তুই আমার থেকে দূরে থাক। নাহলে এবার আর নিজের জীবন বাঁচিয়ে ফিরতে পারবি না। ( ওয়ার্নিং দিয়ে )

আঁধার কথা গুলো বলেই রেগে চলে যায় ওখান থেকে। রনিত আঁধারের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে বলতে শুরু করে,,,

রনিতঃ আমি খেলা শুরু করে দিয়েছি আঁধার। এবার বাজি আমার হাতে,,, গত বার জিতে গিয়েও হেরে গিয়েছিলাম তার তুই হেরে গিয়েও জিতে গিয়েছিলি কিন্তু এবার তা হবে না। এবার জিত আমার হবে।

♠️♠️ The Next Day In College ♠️♠️

শবনম কলেজে ঢুকছিল হঠাৎ কেউ ওর‌ হাত টান দিয়ে সবার আড়ালে নিয়ে যায়। আচমকা এমন হওয়ায় শবনম ভয় পেয়ে যায় না দেখেই ও বলে ফেলে,,,

শবনমঃ কোন স্টুপিড মার্কা খবিশ নামক হাতি রে,,( রেগে )

সামনের দিকে তাকিয়েই শবনমের গলা শুকিয়ে গেল।‌কাকে কি বলে ফেলল ও এখন ওর কি হবে?

শবনমঃ আ আপনি?( ভয়ে ভয়ে)

আঁধারঃ তোমার ভাষা জীবনেও ঠিক হবে না।‌ যতসব ফালতু কথা এসে থাকে মুখে,, ( রেগে )

শবনমঃ একবার দেখা করতে আসলো না আর এখন আসছে ভাষা শিখাতে।‌ কোথাকার ভাষা সৈনিক মনে করে নিজেকে। আমিও কথা বলব না হুহ ( মনে মনে)

এভাবে আচমকা‌ কারো হাত ধরে নিয়ে আসলে যে কারো ভাষাই খারাপ হবে। আমাকে এখানে কেন এনেছেন সেটা বলেন??( মুখ ঘুরিয়ে)

আঁধারঃ আই নিড ইউর হেল্প,,

শবনম কোনা চোখে তাকালো আঁধারের দিকে,,

শবনমঃ বাহহ আঁধার রেজওয়ানের হেল্প লাগবে তাও আবার আমার,,, আচ্ছা বেশি কথা বলে আপনাকে লজ্জা দিতে চাই না। কি হেল্প লাগবে বলে ফেলেন। আমি আবার সবার হেল্প ‌করতে অনেক ভালোবাসি,,, গুড গার্ল তো তাই ( ভাব নিয়ে)

আঁধারঃ এতো ভাও খাওয়ার প্রয়োজন নেই বিষয়টা তোমার সাথেও‌ জড়িত তাই তুমি আমাকে হেল্প করতে বাধ্য।

শবনমঃ মানে??

আঁধারঃ লিসেন টু মি কেয়ারফুলি,,,

♠️♠️ At Home ♠️♠️

মিম যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে আসলো।‌ আসিফ আর আরিফ ( মিমের আব্বু) মিম কে কল করে দ্রুত বাড়িতে আসতে বলেছে‌‌ তাই মিম যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে এসেছে।

বাড়িতে এসেই মিমের চোখ আঁটকে যায় সোফায় বসে থাকা মানুষ গুলোর দিকে। সোফায় আসিফ মায়া আরিফ ইয়ান আঁধার আর কোয়েল বসে আছে। শবনম জুস খাচ্ছে নিজের মত আর কোয়েলের সাথে ফাজলামি করছে। মিম এদের সবাইকে এক সাথে দেখে টাস্কি খেল। ইয়ান মিমের দিকে তাকিয়ে ওকে চোখ মারল‌ সাথে সাথে মিমের মুখ হা হয়ে গেল।

মিমঃ হ হ্যালো স্যার,,, ( আঁধার আর ইয়ানকে বলল ) আব্বু এতো‌ আর্জেন্টলি কেন আসতে বললে,, ( আরিফকে বলল )

আরিফ উঠে মিমের সামনে দাঁড়িয়ে নরম স্বরে ওকে বলল,,,

আরিফঃ আমার মামনি এতো বড় হয়ে গেছে যে এখন আমার থেকে কথাও লুকায়?

মিমঃ আমি কই কি লুকালাম?

আরিফঃ‌ ইয়ানের সাথে তোমার সম্পর্ক‌ সেটা আমাকে বলো নি কেন? আমি কি সিনেমার আব্বুদের মত যে নিজের মেয়ের লাভ স্টোরিতে ভিলেনগিড়ি করব।

মিম তো হা হয়ে গেছে আরিফের ‌কথায়। এগুলো কি বলছে ওর আব্বু।‌ মিম অবাক চোখে একবার ইয়ানের দিকে তাকালো। ইয়ান মুখ টিপে হাসছে। মিমের এতো রাগ লাগছে যে ইচ্ছে করছে জুসের গ্লাস গুলো ইয়ানের মাথায় ভাঙতে।

মিমঃ আব্বু তুমি যেমন টা ভাবছো তা একদমই না। আমি,,

আরিফ মিমকে থামিয়ে দিয়ে বলতে শুরু করল,,,

আরিফঃ আর একটাও মিথ্যা কথা না। ভাগ্যিস শবনম মামনি আমাদের সব বলে দিয়েছে নাহলে তুমিতো আমিদের অন্ধকারে‌ রেখে দিয়েছিলে,,,

মিম অবাক হয়ে শবনমের দিকে তাকালো। শবনমের হাত কাঁপছে গ্লাসও ধরে রাখতে পারছে না। শবনম হাসার চেষ্টা করে মিমের ‌দিকে তাকালো মিমের রাগি দৃষ্টি দেখে সেই হাসি টুকুও উড়ে গেল।

মিমঃ আব্বু আমি জানি না ওই বিচ্ছু তোমাদের কি কি বলেছে কিন্তু যাই বলেছে সব মিথ্যা,,,

ইয়ানঃ তুমি আমাদের সম্পর্ককে অস্বীকার করছো মিম?( করুন স্বরে)

মিমঃ সম্পর্ক?,, ( অবাক হয়ে)

আরিফঃ আচ্ছা সব বাদ নাও টেল মি অনেস্টলি ইয়ানকে তুমি ভালোবাসো?

মিম কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা। না মিথ্যা বলতে পারছে আর না সত্য বলতে পারছে। মিমকে ‌চুপ থাকতে দেখে শবনম বলে উঠলো।

শবনমঃ ‌আরেহ আপি ভয় পাচ্ছো কেন বলে ফেলো না “হ্যাঁ আমি ইয়ানকে ভালোবাসি খাতাম”। আমার জেঠু কি শোলে মুভির গাব্বার যে‌ তোমার লাভ স্টোরিতে কাবাবের হাড্ডি হবে।

শবনমের ‌কথায় আঁধার আর‌ মিম রাগি ভাবে ওর দিকে তাকালো আর বাকি সবাই মুখ টিপে হাসছে।

আসিফঃ প্রিন্সেস বড়দের মাঝে কথা বলতে নেই। ফিঙ্গার অন‌ ইউর লিপ।( হাসি থামিয়ে)

শবনমঃ স্যরি আব্বি,,(ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করে আছে।)

আরিফঃ আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি?

মিম‌ মাথা ঝাকালো। আরিফ মুচকি হেসে আসিফকে বলতে শুরু করল।

আরিফঃ আই থিংক ‌বাড়ির প্রথম বিয়ের প্রিপারেশন করা শুরু করতে হবে।

শবনমঃ সে কি জেঠু ‌তুমি‌ এ বয়সে আবার বিয়ে করবে?জেঠি আম্মি তো তোমাকে উগান্ডা পাঠিয়ে দিবে উইদ আউট লাইসেন্স।

আরিফঃ আমি বিয়ে করতে যাবো কোন দুঃখে মামনি?

শবনমঃ ‌তুমিই তো বললে বাড়ির প্রথম বিয়ে আর বাড়িতে তো তুমিই বড় সেই হিসেবে তোমার বিয়ে।

শবনমের কথায় সবাই জোরে হেসে দেয়।মিম রেগে থাকলেও শবনমের কথা শুনে হেসে দেয়। আঁধারও না হেসে পারল না এই লজিকে।

আসিফঃ ভাইয়া মিমের কথা বলছে।‌ মিম বাড়ীর বড় মেয়ে তাই ওর বিয়ে মানে ‌বাড়ির প্রথম বিয়ে বুঝলে। ( হেসে )

আরিফঃ আমারতো ইয়ানকে ‌আগে থেকেই পছন্দ ছিল কিন্তু মিম যদি না করে তাই কখনো বিষয়ে ভাবি নি।

আসিফঃ আমিতো আগে‌ থেকেই ওদের বিষয়ে বুঝতে পেরেছিলাম।

কোয়েল এসে মিমকে জড়িয়ে ধরে বলতে শুরু করে,,

কোয়েলঃ ফাইনালি আমি এতো কিউট একটা ভাবি পেলাম থ্যাংক ইউ ভাইয়া। আমি তোমাকে এখন থেকে ভাবি বল বলবো ঠিক আছে,,

মিমঃ হুম

সবাই বসে কথা বলছে বিয়ের ব্যাপারে। আঁধার বিয়ের সব কিছুর দায়িত্ব নিয়েছে।

মিম রাগি ফেস নিয়ে ইয়ান‌ আর শবনমের দিকে তাকিয়ে আছে। বেচারি কে ফাঁসিয়ে নিজেরা সাধু সেজে বসে আছে।

ইয়ানঃ কেমন লাগলো ‌ সারপ্রাইজ বেবি। কালকের প্রশ্নের উচিত জবাব দিতে পেরেছি তো? অনেক তো বলতে কি অধিকার তোমার প্রতি আমার এখন‌ দেখ! তোমার উপর শুধু আমার অধিকার ই হয়ে গেল।

মিম রাগে ফুঁসছে। শবনম ব্যপারটা বুঝতে পেরে ভয়ে ভয়ে দাঁড়িয়ে যায়।

শবনমঃ আমি আমার রুমে যাই আসলে আমার না মাথা ব্যথা করছে। ( কেটে পড়ার জন্য মিথ্যা বলল )

মিমঃ সত্যি ‌শবনম বাবুনি? চলো আমি ‌তোমাকে ঔষধ খাইয়ে ঘুম পারিয়ে আসি। ( দাঁড়িয়ে)

শবনম এক দৌড়ে উপরে চলে গেল আর যেতে যেতে বলল,,

শবনমঃ আমার না তোমার ঔষধ লাগবে আর না ঘুম।

মিমঃ তুই দাড়া বিচ্ছু ‌আমাকে ফাঁসিয়ে কেটে পড়া তাইনা। তোকে আজ আমি দেখিস কি করি,,( শবনমের ‌পেছনে দৌড় দিয়ে)

সবাই হাসছে ওদের‌ কান্ডে।

আসিফঃ এই দুইটা জীবনেও বদলাবে না। এখনো বাচ্চাদের মত দৌড়াদৌড়ি করে বেড়ায়।

আঁধার আসিফ আর আরিফের সাথে কথা বলে ইয়ান আর কোয়েলকে নিয়ে বেড়িয়ে যায়।

To be continued…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here