The_Love_Of_A_Devil_And_Angel,04,05

0
1505

#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel,04,05
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_4

একটা অন্ধকার জায়গায় আবদ্ধ শুভ। চারো দিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। বের হওয়ার কোন রাস্তা পাচ্ছে না ও। আশে পাশে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজছে ও কিন্তু আলোর ছিটে বিন্দুও পাচ্ছে না যত এগুচ্ছে অন্ধকার তত তীব্র হচ্ছে।

শুভঃ আমি এখানে কিভাবে এলাম আর বের হবার কোন রাস্তা পাচ্ছি না কেন। এটা কোন জায়গা কোথায় ফেসে গেলাম আমি। চারো দিকে শুধু ঘুটঘুটে অন্ধকার আর এখান থেকে বের হতে আমার আলোর প্রয়োজন রশনির প্রয়োজন। এখন রশনি কোথায় পাবো।

হঠাৎ কারো হাসির আওয়াজ শুভর কানে আসলো। কি অদ্ভুত রকমের সুন্দর মিষ্টি হাসি। আওয়াজের সন্ধান করতে শুভ ওই দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শুভ যত এগুচ্ছে অন্ধকার দূর হয়ে আলোর সৃষ্টি হচ্ছে। শুভর হৃদ স্পন্দন যেন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করছে শুভর মাঝে।

শুভ কিছুটা এগিয়ে যেতেই দেখে একটা মেয়ে সাদা ড্রেস খোলা চুলে ওর দিকে পিঠ করে দাঁড়িয়ে আছে।

বাতাসে মেয়েটির চুল গুলো এলো মেলো ভাবে উড়ছে। বাতাসের কারনে কানের ঝুমকা গুলো দুলছে।শুভ মুগ্ধ হয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে। ওর কাছে মেয়েটিকে কোন পরীর থেকে কম লাগছে না। এক পা এক পা করে হালকা পায়ে ও মেয়েটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শুভ যতই এগোচ্ছে ওর নাকে একটা মাতাল করা ঘ্রাণ বারি খাচ্ছে এতে শুভ আরো ঘোরের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে।

শুভর চোখ হঠাৎ মেয়েটির কানের পিছনের টেটুর দিকে যায়। টেটু টি ঠিক ওর পিঠের চিহ্নটার মতো।

( শুভর পিঠের টেটু অসম্পূর্ণ। টেটুর অর্ধেক অংশ শুভর পিঠে আকা আর বাকি অর্ধেক অংশ রশনির কানের পেছনে আকা)

শুভ মেয়েটির কাছে যেতেই মেয়েটি দৌড়ে চলে যেতে নেয় শুভ সাথে সাথে মেয়েটির হাত ধরে ফেলে।

শুভঃ কেন আসো বারবার আমার কল্পনায়… কে তুমি ??? আর আসোই যখন নিজের চেহারা কেন দেখাও না আমাকে??

মেয়েটিঃ তোমার প্রত্যেক টা প্রশ্নের উত্তর আমি।তোমার প্রত্যেক লক্ষের মঞ্জিল আমি। তোমার প্রত্যেক গন্তব্যের ঠিকানা আমি। এখন খুঁজে নাও কে আমি। আর একবার যখন খুঁজে নিবে আমি কে তখন নিজেই জেনে যাবে কি কেন আসি আমি বার বার তোমার কল্পনায়।

শুভঃ কোথায় পাবো তোমাকে?? কোথায় তোমার ঠিকানা??

মেয়েটিঃ তোমার হৃদয়ের গভীরে আমার ঠিকানা। বুকে হাত রেখে চোখ বন্ধ করো পেয়ে যাবে আমায়।

শুভ চোখ বন্ধ করে ফেলে এক হাত বুকে রেখে অনুভব করার চেষ্টা করছে কিন্তু কাওকে দেখতে পারছে না।

> The flight is ready to land on Bangladesh Airport we request all the passenger’s to please Plug your seatbelt.
Thank you….. Bangladesh Airline’s

এনাউন্সমেন্ট শুনে শুভ চোখ খুলে দেখে ও প্লেনে বসে আছে।

শুভঃ আজও ফাকি দিয়ে পালিয়ে গেলে। কে তুমি কেন আসো আমার কল্পনায় প্রতিদিন। আমি চাই না তোমাকে। দূরে থাকো আমার কল্পনা থেকে আমার খেয়াল থেকে আর আমার জীবন থেকে। আমি আমার জীবনে কাউকে চাই না।

একা থাকতে চাই আমি যেমন ছোট বেলা থেকে আছি। শুভর কাউকে প্রয়োজন নেই I don’t need anyone in my life. (কড়া গলায় )

আগুনের সংস্পর্শে আসলে যেমন সব কিছু পুরে রাখ হয়ে যায় তেমনি আমার কাছে যে আসবে সে ফানাহ্ হয়ে যাবে।

দোয়া করি তোমার আমার যেন কখনো দেখা না হয়।

এইদিকে,,,,,,

কালো লং কোট পড়া কেউ দাঁড়িয়ে আছে রশনির সামনে। অন্ধকারে চেহারা বুঝা যাচ্ছে না। লোকটার চেহারা দেখার জন্য রশনি ওর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রশনি যত এগুচ্ছে চারো পাশে অন্ধকারের ছায়া পড়ছে।

হঠাৎ লোকটি একটা বিকট ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। রশনি ভয়ে দুই তিন কদম পিছিয়ে যায়।

ভয়ঙ্কর লোকটি রশনির কাছ থেকে দূরে যেতে যেতে বলতে শুরু করল,,,,,

>>> আমি চাইনা তোমাকে। দূরে থাকো আমার কাছ থেকে। আমার কাছে আসলে শেষ হয়ে যাবে ফানাহ্ হয়ে যাবে।

ঘুমের ঘোরেই কথাটি ওর কানে বাজছে।

রশনি ধরফরিয়ে উঠে বসে। ঘেমে একাকার হয়ে গেছে ও। নিজের আশেপাশে ভালো ভাবে তাকিয়ে দেখে ও নিজের রুমেই আছে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রশনি বলতে শুরু করল,,,,

রশনিঃ স্বপ্ন ছিলো !!! হঠাৎ এরকম স্বপ্ন দেখার মানে কি। কে ছিল ও?? এতো চেনা চেনা কেন লাগছিলো ওকে।

রশনির চোখ ঘড়ির দিকে যেতেই লাফ দিয়ে ও বিছানা থেকে নেমে যায়।

রশনিঃ আটটা বেজে গেছে আর আমি এখনো ঘুমাচ্ছি। আজ পাক্কা কলেজে লেট হবে আর তিনা, নিশি আমার ব্যান্ড বাজাবে।

টাইম নষ্ট না করে তারাতারি রেডি হো রশনি। বলে আলমারি খুলে ড্রেস খুঁজতে লাগলো,,,

রশনির চোখে একটা সাদা রঙের লং ফ্রক আটকে যায়। রশনি ড্রেসটা নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।

কিছুক্ষণ পর রশনি ড্রেসটা পরে আয়নার সামনে দাঁড়ায় রেডি হওয়ার জন্য।

সাদা ড্রেসের সাথে মেচিং করে স্টোনের ঝুমকা, ব্রেসলেট, চোখে হালকা কাজল, ঠোঁটে বেবী পিংক কালারের লিপস্টিক। হালকা কার্ল করা চুল গুলো পিঠে ছেড়ে দিলো।

এইদিকে,,,,

শুভ, রোহিত, সাদ আর ধীর চেকিং কমপ্লিট করে এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়। শুভ মাটিতে পা রাখতেই ওর ভিতরে কেমন যেন একটা অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করতে শুরু করে। আজ আঠারো বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখছে ও।

রশনি আয়নায় নিজেকে দেখছে হঠাৎ ওর শরীরে কেমন একটা ঠান্ডা বাতাস বারি খায়। রশনি ভয়ে পিছনে ফিরে দেখে কেউ নেই আর জানালাও বন্ধ। তাহলে বাতাসটা আসলো কোথা থেকে।

রশনি আর কিছু না ভেবেই নিচে নেমে যায়।

সাদঃ আচ্ছা শুভ তোর ফেমিলি থেকে কি কেউ আমাদের রিসিভ করতে আসবে না।

শুভঃ আমি কাউকে জানাই নি যে আমি আসবো। ( ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে )

ধীরঃ তাহলে কি আমরা সবাই টেক্সি করে যাবো ?

শুভঃ শুভর কাছে সব প্রবলেমের সমাধান আছে সো ডোন্ট ওয়ারি ?

আমি গাড়ি কিনেছি অনলাইনে আমরা ওটাতে যাবো।

রোহিতঃ You are great Shuvo. তোর কাছে সব সমস্যার সমাধান আছে। ( শুভ কে জড়িয়ে ধরে )

শুভঃ হয়েছে,,, গাড়ি ওখানে চল আর হ্যাঁ ড্রাইভ আমি করবো।

একটা এ্যাশ কালারের চকচকে গাড়িতে শুভ, সাদ, রোহিত আর ধীর বসে পরে।

শুভ ড্রাইভিং সিটে আর সাদ ওর পাশে। রোহিত আর ধীর পেছনে।

রশনি ড্রাইভ করছে, নিশি ওর পাশে আর তিনা পেছনের সিটে বসেছে।

নিশিঃ ফাস্ট ড্রাইভ কর রশনি তোর জন্য আজও লেট হবে আমাদের। (রেগে)

রশনিঃ করছি তো দেখ ফুল স্পীডে গাড়ি চালাচ্ছি। ??

তিনাঃ আজকে ওই টাকলুর ক্লাস সবার প্রথমে। আমাদের বারোটা বাজিয়ে দিবে আজকে। ?

নিশিঃ সব এই রশনির দোষ। অলটাইম ওর জন্য লেট হয়। এতো ঘুম আসে কোথা থেকে তোর হ্যাঁ ??

রশনিঃ আমাকে বক আই ডোন্ট মাইন্ড বাট আমার বিউটি স্লিপকে কিচ্ছু বলবি না ??

তিনাঃ প্লিজ গাইজ ডোন্ট ফাইট।

রশনি সামনে তাকা গাড়ি আসছে ব্রেক কর ?

রশনি সামনে তাকিয়ে দেখে একটা এ্যাশ কালারের গাড়ি ফুল স্পীডে আসছে।

রশনিঃ ওহ শিটট। বলে গাড়ি কন্ট্রোল করার চেষ্টা করতে শুরু করে আর বাম দিকে গাড়ি ঘুরিয়ে দেয়।

সাদঃ শুভ সামনে গাড়ি আসছে ব্রেক কররর?

শুভ সামনে তাকিয়ে গাড়ি ডান দিকে ঘুরিয়ে দেয়।

শুভ আর রশনির গাড়ি বরাবর ভাবে ঘুরছে। ওদের গাড়ির টায়ারে রাস্তায় গোল বৃত্ত তৈরি হয়ে যাচ্ছে।

শুভ জানালার দিকে তাকাতেই রশনিকে দেখে থমকে যায়।

রশনি ভয়ে চোখ খিঁচে বন্ধ করে আছে আর বিরবির করে কিছু বলছে। বাতাসে ওর চুল গুলো মুখে ছড়িয়ে আছে।

রশনির প্রতি এক অদ্ভুত টান অনুভব হচ্ছে শুভর। ওর মায়াময় চেহারা শুভকে আড়ো টানছে রশনির দিকে। চেয়েও চোখ সরছে না শুভর রশনির থেকে।

গাড়ি এখনো ঘুরছে। শুভর আশেপাশে কি হচ্ছে তার কোন খেয়ালী নেই ওর। ওতো রশনিকে দেখতে ব্যস্ত।

গাড়ি ঘুরছে আর রশনি ভয়ে একাকার হয়ে গেছে আর বিরবির করে বলছে,,,

রশনিঃ আল্লাহ প্লিজ এবার বাঁচিয়ে দেও। প্রমিস আর কখনো ট্রাফিক রুল ব্রেক করবো না। ঘুম থেকে তারাতারি উঠবো আম্মুর সব কথা শুনবো, স্যারদের নিক নেম দিবো নাআআআ ??

আমি এই টুকু বয়সে মরতে চাই না। আমার হাব্বি বিয়ের আগেই বিধবা হয়ে যাবে ওর উপর তো একটু দয়া করো প্লিজজজ ???

To be continued…….

#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel
#An_impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_5

গাড়ি এখনো ঘুরছে। শুভর আশেপাশে কি হচ্ছে তার কোন খেয়ালী নেই ওর। ওতো রশনিকে দেখতে ব্যস্ত।

গাড়ি ঘুরছে আর রশনি ভয়ে একাকার হয়ে গেছে আর বিরবির করে বলছে,,,

রশনিঃ আল্লাহ প্লিজ এবার বাঁচিয়ে দেও। প্রমিস আর কখনো ট্রাফিক রুল ব্রেক করবো না। ঘুম থেকে তারাতারি উঠবো আম্মুর সব কথা শুনবো, স্যারদের নিক নেম দিবো নাআআআ ??

আমি এই টুকু বয়সে মরতে চাই না। আমার হাব্বি বিয়ের আগেই বিধবা হয়ে যাবে ওর উপর তো একটু দয়া করো প্লিজজজ ??

তিনাঃ রশনি কিছু তো কর নাইলে আজকে আমাদের ইন্না লিল্লাহ হয়ে যাবে। (কেঁদে কেঁদে)

রশনিঃ করছি তো আল্লাহর কাছে দোয়া করছি ?(চোখ বন্ধ অবস্থায়)

নিশিঃ হ্যাঁ তোর দোয়া শুনলে এমনেই মরে যেতে ইচ্ছে করে এক্সিডেন্টের দরকার হয় না। ?

রশনিঃ ????

শুভ রশনির ভীতু ফেস দেখে মুচকি মুচকি হাসছে। শুভ রশনির গাড়ির টায়ারের দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতেই গাড়িটা থেমে যায়। শুভ ওর গাড়িও একই ভাবে থামিয়ে নেয়। দুটো গাড়ি বরাবর দাঁড়িয়ে আছে।

সাদ আর রোহিতের তো নাজেহাল অবস্থা। গাড়ি থামতেই ওরা নিচে নেমে যায়। রোহিত নিজের মাথা দু হাত দিয়ে চেপে রাস্তায় বসে পরে।

রোহিতঃ Oh my gosh কি দেশ রে বাবা আসতে না আসতেই এতো বড় এক্সিডেন্ট? যদি এখন মরে যেতাম আমার গার্ল ফ্রেন্ড গুলোর কি হতো? বেচারী রা আমার শোকে শোকে পাগল হয়ে যেতো?

সাদঃ তোর গার্লফ্রেন্ডসদের গুষ্টির স্বষ্টি ?। নিজে মরতে মরতে বাঁচলাম আর উনি উনার গার্ল ফ্রেন্ডসদের চিন্তায় আছেন। (রেগে)

নিশি আর তিনার ও একি অবস্থা। তিনা বেচারি তো ভয়ে কেঁদে দিয়েছে। নিশি অনেক স্ট্রং তাই নিজেকে সব পরিস্থিতিতে কন্ট্রোল করতে পারে। গাড়ি থামতেই নিশি হাফ ছেড়ে বাচঁলো।

নিশি রেগে গাড়ি থেকে নেমে গেলো। সামনের গাড়ির দিকে রেগে এগিয়ে গেল নিশি। তিনাও ওর পিছু পিছু গেল।

শুভ আর ধীর গাড়ি থেকে নেমে গেল। ধীর এমন বিহেভ করছে যেন কিছুই হয়নি। ভয়ের রেশ মাত্রও ওর চেহারায় নেই। শুভ গাড়ি থেকে নেমে পকেটে এক হাত রেখে সামনে রশনির দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে।

নিশি রেগে হনহন করতে করতে শুভর সামনে আসলো।

শুভ নিশিকে নিজের দিকে আসতে দেখে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়।

নিশিঃ কোন গর্দভ গাড়ি চালাচ্ছিল?? (রেগে শুভ কে প্রশ্ন করলো)

শুভ চাপা হেসে রোহিতের দিকে ইশারা দিয়ে বলল,,,

শুভঃ ওই যে রেড জ্যাকেট পরা ছেলেটা।?

নিশি রোহিতের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ওকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখলো তারপর আঙ্গুল দিয়ে নাক ঘষে ওর দিকে চলে গেল।

তিনা হা হয়ে শুভর দিকে তাকিয়ে আছে এতে শুভ অনেক বিরক্ত ফিল করছে।

তিনাঃ হায়য় ?? আ’ম তিনা (শুভর সামনে এসে)

শুভঃ আ’ম শুভ। আই থিঙ্ক তোমার ফ্রেন্ডের তোমাকে প্রয়োজন ওই হোয়াইট শার্ট এর ছেলেটা ( সাদ) কিন্তু অনেক ডেঞ্জারাস।

তিনা শুভর কথায় সাদের দিকে তাকালো সাদ পিছন ঘুরে ফোনে কারো সাথে কথা বলছে।

তিনাঃ রিয়েলি (ভয় পেয়ে) ক কেন এতো ডেঞ্জারাস কেন??

শুভঃ ও হলো আমাদের কলেজের ব্যাড বয়। আর তুমি তো জানোই যে ব্যাড বয় রা কতটা ডেঞ্জারাস হয়। আর তোমার ফ্রেন্ড যেভাবে রেগে গেলো নিশ্চয়ই ওখানে গিয়ে ওদের সাথে ঝগড়া করবে। আর কেউ ওর সাথে জোর গলায় কথা বললে ও তার গুষ্টির স্বষ্টি উদ্ধার করে দেয়।

তো তোমার উচিত তোমার ফ্রেন্ডের পাশে দাঁড়ানো শি নিড্স ইউ গো। ?

তিনাঃ ইউ আর রাইট আমি এক্ষুণি আসছি(বলে তিনা দৌড়ে নিশির পিছনে চলে গেল)

ধীর এতক্ষণ দূর থেকে দাঁড়িয়ে শুভর কান্ড দেখছিলো। শুধু শুধু বেচারা সাদ আর রোহিতকে ফাসিয়ে দিলো।

ধীরঃ ড্রাইভ তো তুই করছিলি তাহলে মিথ্যা বলে রোহিতকে ফাঁসালি কেন?? আর সাদের মতো শান্ত ছেলেকে তুই ডেঞ্জারাস বানিয়ে দিলি তাও নিজে বাঁচার জন্য ওয়েল ডান ব্রো।?

শুভঃ They deserve it. তুই এখানে দাড়া আমি আসছি।

শুভ রশনির গাড়ির কাছে এসে গাড়ির দরজা খুলে রশনির দিকে কিছুটা ঝুঁকে।

শুভঃ চোখ খুলেন মিস আপনি এখন সেফ আছেন।

শুভর কথায় রশনি মিট মিট করে চোখ খুললো।

রশনিঃ আমি বেঁচে আছি?? ইয়াপ্পি আমি বেঁচে আছি ( খুশি হয়ে চিল্লিয়ে পাশে ফিরলো)

রশনি পাশে ফিরতেই শুভর চোখে ওর চোখ আটকে যায়। রশনির চোখের মায়ায় পরে গেছে শুভ। এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে ও রশনির চোখের দিকে। এক অদ্ভুত অনুভূতি অদ্ভুত টান অনুভব করছে ও। রশনির ডার্ক ব্রাউন চোখের গভীরে হারিয়ে যাচ্ছে শুভ নিজের অজান্তেই।

রশনিও শুভর দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে। শুভর নীল চোখে ওর জন্য কিছু একটা অনুভব করছে। শুভর নিঃশ্বাস রশনির চেহারায় বারি খাচ্ছে যার কারনে রশনির চোখের পাপড়ি গুলো নরে উঠছে।

রোহিত নিজের ফোন বের করে নানা পোজে সেল্ফি তুলছিলো। নিশি ফুল এঙ্গরি মুড নিয়ে রোহিতের কাধে হাত রাখে। রোহিত পিছনে ফিরে নিশিকে দেখে থমকে যায়।

নিশিঃ এই যে মিস্টার গাড়ি আপনি চালাচ্ছিলেন??

রোহিতঃ হয়তো মেয়েটা ড্রাইভিং স্কিল দেখে ইমপ্রেস হয়ে গেছে একটু চাপা মেরে দেখি পটে কি না। (মনে মনে)

Yeah you’re right I have drive the car ?

নিশিঃ গাড়ি চালাতে পারেন না তাহলে চালান কেন। যত্তসব আজাইরা পাবলিক এর জন্য আমরা সাফার করি। আপনার মতো গর্দভকে কোন গাধা লাইসেন্স দিয়েছে। ?

নিশির কথায় রোহিত কয়েকটা ঢোক গিলল।

রোহিতঃ হোয়াট ইজ গাধা ( ব্যঙ্গ করে)

সাদঃ গাধা মিন্স গোট ?( পকেটে ফোন রেখে এগিয়ে এসে।)

তিনা নিশির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো সাদকে দেখে ভয়ে ওর পিছনে সরে দাঁড়ায়। সাদ এক পলক তিনার দিকে তাকিয়ে নিশিকে বলল,,

সাদঃ যা হয়েছে তার জন্য আ’ম এক্সট্রিমলি স্যরি ইট্স জাস্ট আ এক্সিডেন্ট।

রোহিতঃ ওয়েট ওয়েট ভূল শুধু কি আমাদের ছিলো যে আমরা স্যরি বলবো আপনাদেরো ভুল ছিল তাই আপনারাও স্যরি বলেন। আর কোন এঙ্গেল দিয়ে আমাকে গোট বলে মনে হয়।ইউ ডোন্ট নো ফরেনের হাফ মেয়েরা আমার জন্য পাগল ওকে। ??

নিশিঃ স্যরি বলবো তাও আমি (হেসে) কখনো না। আর হ্যাঁ আপনি শুধু গাধা না লাল হনুমান ও।

নিশির কথায় রোহিত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। সাদ আর তিনা মুখ টিপে হাসছে।

রোহিতঃ হোয়াট ইজ লাল হনুমান ?

সাদঃ লাল হনুমান মিন্স রেড মাঙ্কি।

সাদের কথায় রোহিতের মুখ ছোট হয়ে যায়। ওর অবস্থা দেখে সাদ আর তিনা জোরে জোরে হেসে দেয়।

চেঁচামেচির আওয়াজে শুভ আর রশনির ঘোর ভেঙ্গে যায়। শুভ রশনির থেকে দূরে সরে আসে। রশনি দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসে।

শুম আর রশনি দেখে নিশি আর রোহিত ঝগড়া করছে। শুভ আর রশনি একে অপরের দিকে তাকিয়ে ওদের দিকে এগিয়ে যায়।

To be continued….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here