#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel,12,13
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana
#Part_12
শুভঃ এখন বলো কি হয়েছে আমি এখানে এমন কি করলাম যে এতো রেগে গেলে।
রশনিঃ এতো সেজে কলেজে আসতে কে বলেছিলো। কলেজের লুচু মেয়েগুলো কিভাবে তাকিয়ে ছিলো যানো ডিসগাস্টিং ( রেগে মুখ ঘুরিয়ে নিলো)
রশনির কথায় শুভ মুচকি হেসে ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে,,,
শুভঃ Are you feel jealous Roshni. বলেই ওর গালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয়।
শুভর কাজে রশনি শক্ড হয়ে চোখ বড় বড় করে শুভর দিকে তাকায়।
শুভ রশনির দিকে দুষ্টু হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে। রশনি নিজেকে স্বাভাবিক করে শুভকে হালকা ধাক্কা দিয়ে হাটা শুরু করে। শুভও রশনির পিছনে দৌড়ে এসে ওর হাত ধরে টান দিয়ে একটা গাছের সাথে ঠেকিয়ে নেয়।
শুভ রশনির এতো কাছে যে ওরা একে অপরের নিঃশ্বাস গুনতে পারছে। একে অপরের চোখে হারিয়ে যাচ্ছে ওরা। শুভর এতো কাছে আসায় রশনির হার্ট যেন বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
শুভর নিঃশ্বাস রশনির চোখে মুখে বারি খাচ্ছে। রশনি ভয়ে নিজের জামা খামছে ধরে চোখ খিঁচে বন্ধ করে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে থাকে।
শুভ ওর কাজে হালকা হেসে রশনির আরো কাছে এসে ওর কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে নাকে নাক ঘষতে ঘষতে স্লো ভয়েজে বলতে শুরু করে,,,
শুভঃ এখন তো বলে দাও রশনি!!! do you feel something for me….. ( স্লো ভয়েজে)
রশনির গলা শুকিয়ে আসছে ভয়ে চোখও খুলছে না। তার পরেও কাঁপাকাপা কন্ঠে বলল ও,,,
রশনিঃ আ আমার ক্লাসের সময় হয়ে গেছে p please let me go… (কাঁপাকাপা কন্ঠে)
শুভ হালকা হেসে রশনির থেকে দূরে সরে পকেটে হাত রেখে দাঁড়ায়।
শুভর উপস্থিতি টের না পেয়ে রশনি এক চোখ খুলে দেখে শুভ ওর থেকে দূরে সরে পকেটে দু হাত রেখে বেবী স্মাইল দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শুভ সরে যেতেই রশনি যেন হাফ বাচঁলো।
রশনি নিচের দিকে তাকিয়ে পিছন ফিরে হাটা শুরু করল। আর বেশিক্ষণ থাকলে হয়তো দম আটকে মরেই যেতো। রশনি এক হাত বুকে চেপে জোরে জোরে হাটছে একবারো পিছনে ফিরে শুভর দিকে তাকায় নি।
শুভ রশনির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ওকে বলতে শুরু করল,,,
শুভঃ উত্তরের অপেক্ষায় থাকবো।( চিল্লিয়ে)
শুভর কথা কানে যেতেই এবার রশনি এক দৌড়ে কলেজের ভিতরে চলে যায়। শুভ ওর কান্ড দেখে পারে না হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায়।
শুভ নিজের জ্যাকেট থেকে সানগ্লাস টা খুলে পরে নিলো। তার পর পার্কিংয়ের দিকে চলে গেল।
❤❤❤
পাশে ট্রাম পরে যাওয়ায় তিনা ভয় পেয়ে সরে যায়। তিনা সরে যেতেই সাদ দৌড়ে ওর কাছে ছুটে আসে। সাদকে হঠাৎ সামনে দেখে তিনা অপ্রস্তুত হয়ে পরে।
সাদ তিনাকে অবাক করে দিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে। সাদের হার্টবিট যেন বেরে গেছে। শরীর কাঁপছে। আজ যদি ও সময়মতো না আসতো তাহলে কি হতো আল্লাহ জানে।
সাদ তিনাকে ছেড়ে দিয়ে ওর হাতে গালে হাত দিয়ে চেক করছে কোথাও লেগেছে কিনা।
সাদঃ Are you alright Tina কোথাও লাগেনি তো তোমার ( চিন্তিত হয়ে)
তিনাঃ না না আমি ঠিক আছি ( নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে)
আপনি এখানে এ সময় কি করছেন ?
সাদঃ সেটা তোমার জানার বিষয় নয়। এখন যদি আমি সময় মতো না আসতাম তাহলে কি হতো ডু ইউ হেভ এনি আইডিয়া। একটুকুও কমনসেন্স আছে তোমার মাঝে স্টুপিড গার্ল। ( রেগে বুক সেল্ফে একটা বারি মেরে)
সাদের কাজে তিনা ভয় পেয়ে পিছনে সরে যায়। তিনার কান্না আসছে তাও সাদের ভয়ে কান্না করছে না।
সাদ খেয়াল করে দেখলো তিনা ভয় পাচ্ছে। সাদ পিছনে ফিরে জোরে জোরে কয়েকটা নিঃশ্বাস নিলো আর নিজে নিজে বলল,,,
সাদঃ কন্ট্রোল সাদ কন্ট্রোল তিনা ভয় পাচ্ছে। control yourself.
সাদ নিজের রাগ কন্ট্রোল করে তিনার দিকে ফিরে ওর কাছে যায়। তিনার সামনে গিয়ে ওর চোখের পানি আলতো করে মুছে দিয়ে বলতে শুরু করে,,,,
সাদঃ স্যরি তিনা I didn’t want to hurt you. কিন্তু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যদি তোমাকে হারিয়ে ফেলি। জানি আমার জন্য হয়তো তোমার মনে কোন ফিলিংস নেই কিন্তু আমি কি করবো বলো নিজের অজান্তেই তোমাকে নিজের মনের গহীনে জায়গা দিয়ে ফেলেছি।
আমি জানি এটা #Impossible_Love_Story
তাও নিজেকে আটকাতে পারলাম না। But I promise কখনো কোন বিপদ আসতে দিবো না তোমার উপর। প্রয়োজন হলে নিজে শেষ হয়ে যাবো কিন্তু তোমার উপর কোন আচ আসতে দিবো না।
বলেই তিনিকে জড়িয়ে ধরে। সাদের কথা সব তিনার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। ও শুধু রোবটের মতো স্ট্রীট হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু শেষের কথাটা যেন ওর হৃদয়ে গিয়ে লাগলো।
সাদ তিনাকে ছেড়ে দিয়ে ওর কপালে গভীর ভাবে ঠোঁট ছোয়ালো তার পর ওকে বলল,,
সাদঃ নিজের খেয়াল রাখবে আর হ্যাঁ don’t worry আমি সবসময় ছায়ার মতো তোমার পাশে আছি।
সাদ লাইব্রেরী থেকে বেড়িয়ে গেলো কিন্তু তিনা স্ট্রীট একই ভাবে দাঁড়িয়ে সাদের কথা বোঝার চেষ্টা করছে।
❤❤❤
রিয়ার সাথে কথা বলতে বলতে রোহিত খেয়াল করে নিশি ওর পাশে নেই। রিয়া মেয়েটা অনেক বেশী গায়ে পরা। রোহিতের অসহ্য লাগছে তাও কিছু বলতে পারছে না।
কোন রকমে রিয়ার থেকে ছুটে নিশিকে খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পরে রোহিত।
একটু এগিয়ে যেতেই নিশিকে একটা পুকুরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো ও। একটু হেসে নিশির পাশে গিয়ে দাঁড়ালো রোহিত। নিশি রোহিতের উপস্থিতি বুঝতে পেরেও ওর দিকে ফিরে তাকায় নি একমনে হালকা ঢেউ খেলা পানির দিকে তাকিয়ে আছে ও।
পুকুরের পারে কয়েকটা পদ্ম ফুল ফুটে আছে। রোহিত ফুল গুলোর দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে এগুলো কি ফুল। কিন্তু এর নাম ওর জানা নেই। রোহিত উৎসুখ হয়ে নিশিকে প্রশ্ন করলো।
রোহিতঃ Wow what a beautiful flower নাম কি এটার।
নিশিঃ পদ্ম (ফুলগুলোর দিকে) এগুলো পদ্ম ফুল সুন্দর না ??
রোহিতঃ সুন্দর মানে they are damn beautiful.
রোহিতের কথায় নিশি তাচ্ছিল্য হেসে বলতে শুরু করে,,,
নিশিঃ এগুলো দূর থেকে দেখতে যেমন সুন্দর কাছে গেলে তেমনি ভয়ঙ্কর। বিষাক্ত কাটা দিয়ে পুরো ফুল ঘেরা। তাই যদি কেউ এটাকে ছুতে চায় সর্বপ্রথম সেই বিষাক্ত কাটার ব্যাথা সহ্য করতে হবে।
অনেক সময় আমাদের জীবনও এমন পরিস্থিতির স্বীকার হয় রোহিত। আমাদের আশেপাশের বিষাক্ত ঘেরা আমাদের আটকে রাখে। অনেক সময় ভালোবাসা নামক এই আবেগ আমাদের জীবন ধ্বংস করে দেয়। আমি এসব আবেগকে প্রশ্রয় দেই না আর তোমাকেও বলছি,,,,
বাকিটা বলার জন্য পাশ ফিরে দেখে রোহিত নেই। নিশি আশেপাশে তাকিয়ে দেখে রোহিত পুকুরের পাশে ফুলটা নেওয়ার চেষ্টা করছে। অনেক কষ্টের পরে ফুলটা নিতে সক্ষম হয় রোহিত।
রোহিত পদ্ম ফুলটা নিয়ে নিশির সামনে এসে এগিয়ে দেয়। নিশি ফুলটা এক হাতে নিয়ে আরেক হাত দিয়ে রোহিতের হাত তুলে দেখে অনেক জায়গায় কাটা বিধে গেছে। রক্তও বের হচ্ছে একটু একটু। নিশির চোখে পানি চলে আসে এটা দেখে।
নিশিঃ বলেছিলাম এটা বিষাক্ত তারপরেও কেন গেলে এটা আনতে??? ( কান্না জড়িত কন্ঠে)
রোহিত নিজের বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে নিশির চোখ মুছে বলতে শুরু করে,,,
রোহিতঃ ফুলের এই বিষাক্ত কাটা কখনো ফুলের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে না। তেমনি সত্যি কারের ভালোবাসা যতই দেয়াল দিয়ে ঢাকা থাকুক না কেন একদিন ঠিকই ভেঙ্গে যায়।
কথাটা বলেই রোহিত নিশির সামনে থেকে চলে যায়।
নিশি ফুলটা বুকে জড়িয়ে রোহিতের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,,,
নিশিঃ আমি চাইনা তোমার কোন ক্ষতি হোক রোহিত । ডেভিল আর এঞ্জেলদের এই যুদ্ধে তোমার নিষ্পাপ মনে আঘাত লাগুক। আমিও নিজের অজান্তেই তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি কিন্তু এটা সম্ভব না কারন ডেভিল কিং কখনো আমাদের এক হতে দিবে না Our love story is a #Impossible_Love_Story
আমি চাইলেও তোমাকে প্রটেক্ট করতে পারবো না। তোমাকে আমার কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে।
❤❤❤
শুভ পার্কিংয়ে এসে দেখে ধীর আগে থেকেই গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক শান্ত লাগছে ধীরকে। শুভ ধীরের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।
শুভঃ বাকি গুলো কোথায় ধীর কলেজের মেয়েরা আবার কিডন্যাপ টিডন্যাম করে নিলো নাকি।?
শুভর কথায় ধীর শুধু হালকা হাসলো। ওদের কথার মাঝেই সাদ আর রোহিত এসে পরলো। রোহিতকে দেখে শুভ আর ধীর ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল।
কাঁদা দিয়ে পুরো শরীর মাখা বেচারার।
শুভঃ রোহিত তুইকি কাঁদায় নেমে কুস্তি খেলছিলি ব্রো ???
রোহিতঃ What is কুস্তি ?( ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে)
সাদঃ কুস্তি মিন্স রেসলিং।শুভ বলতে চাচ্ছে তুই কি কাঁদায় নেমে সুমো রেসলিং খেলছিলি ??
রোহিতঃ আরে না না আসলে পাশে কাঁদা ছিল খেয়াল করি নি তাই স্লিপ খেয়ে পরে গেছি?
সাদঃ আমরা ভাবলাম হয়তো কোন মেয়ের পিছনে ঘুরতে গিয়ে ঠাস করে ঠুস হয়ে গিয়েছিস।
সাদ আর শুভ হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে আর রোহিত বেচারা লজ্জায় চুপসে আছে।
ওদের কথায় ধীর কোন রিয়েকশনি করছে না। ওর মাথায় শুধু তানভীর আর সিয়ার কথাটাই ঘুরপাক খাচ্ছে।
শুভ ধীর সাদ আর রোহিত গাড়িতে উঠে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
To be continued……
#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Fahmida
#Part_13
বাড়িতে এসেই যে যার রুমে চলে গেল। শুভ নিজের রুমে এসেই বিছানায় গা এলিয়ে দিলো। রশনির ব্লাশিং হওয়া ফেসটা বারবার ওর চোখে ভেসে উঠছে।
শুভ একটা বালিশ বুকে জড়িয়ে উবু হয়ে শুয়ে পরলো।
শুভঃ I’m in love with her…. Yes yes I am. এতো দিন এই অনুভূতিটার নাম খুঁজে যাচ্ছিলাম কিন্তু আজ এর উত্তর পেয়ে গেলাম। এই অনুভূতিটার নাম ভালোবাসা।
এক অদ্ভুত ভাবে এই অনুভূতির সাথে জড়িয়ে গিয়েছি আমি। ভালোবেসে ফেলেছি ওকে। নিজের থেকেও বেশি। আমার অস্তিত্বের সাথে জড়িয়ে গিয়েছে ও।
শুভ উঠে গিটার নিয়ে বারান্দায় চলে যায়। বারান্দার দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে জোরে জোরে চিৎকার করে বলতে শুরু করল ও।
শুভঃ Thank you thank you so much. আমি আপনার কাছে আমার বেঁচে থাকার কারন চেয়েছিলাম। আপনি রশনির রুপে আমাকে সেটা দিয়ে দিয়েছেন।
আমার ওকে চাই ওর ভালোবাসা চাই। আমার এই অন্ধকার জীবনে ওর রশনি চাই।
আমি ভালোবাসি অনেক বেশী ভালোবাসি তোমাকে রশনি।
I love you Roshni…. অনেক জলদি তোমাকে নিজের করে নিবো দ্যাট্স মাই প্রমিস টু ইউ জান।
❤❤❤
মায়া নিজের রুমে কাপড় গুছাচ্ছিলো এমন সময় ওর চোখ ক্যালেন্ডারে আটেকে যায়। আজকের ডেট দেখেই আতকে উঠে মায়া।
মায়াঃ আজ আজকে বছরের প প্রথম চন্দ্র গ্রহণ মা মানে অমাবস্যা ( ঘাবড়ে গিয়ে)
প্রতি বছর এই রাতে শুভ অদ্ভুত আচরন করে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আজও কি এমন হবে?? আমার ওর দিকে খেয়াল রাখতে হবে যেন ও আজ বাইরে না বের হয়।
কিছুক্ষণ পরে,,
শুভ দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখছে। হঠাৎ বারান্দার কিনারে রাখা ফুল গাছটার দিকে চোখ চলে যায় ওর। অনেক সুন্দর একটা লাল গোলাপ ফুটে আছে গাছে।
সিয়া লাগিয়েছে ফুল গাছ গুলো ওর বারান্দায়। শুভর বরাবরই ফুল পছন্দ না। কিন্তু কেন যেন আজ ওর কাছে অপছন্দের জিনিস গুলোও পছন্দের হয়ে উঠেছে।
শুভ গিয়ে গাছটির পাশে বসে পরলো। ফুলটির দিকে তাকিয়ে রশনির কথা ভাবছে আর মুচকি মুচকি হাসছে শুভ।
আলতো করে ফুলটির গায়ে হাত ছুইয়ে দিলো শুভ। কিন্তু আকর্ষনীয় ভাবে ফুলটি সাথে সাথে কালো হয়ে শুকিয়ে ঝড়ে পরলো।
আচমকা এমন হওয়ায় শুভ ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায়। নিজের হাতের দিকে একবার আর ঝড়ে যাওয়া ফুলের দিকে একবার তাকাচ্ছে ও।
চাঁদ আস্তে আস্তে কোনা থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে। শুভর মাথায় প্রচন্ড পেইন শুরু হয় আর ও সাথে সাথে দু হাত দিয়ে মাথা চেপে বসে পরে।
ঘাড়ের রগগুলো ফুলে ফেঁপে উঠছে হাতের রগ গুলো ফুলে নীল বর্ণ ধারন করছে। নীল চোখটা আস্তে আস্তে লাল রক্ত বর্ণ ধারন করছে।
শুভ জোরে জোরে চিৎকার করতে শুরু করে। ওর প্রত্যেক টা চিৎকার কোন হিংস্র প্রাণীর হুঙ্কারের মতো ভয়ঙ্কর লাগছে।
দরজার বাইরে মায়া দাঁড়িয়ে মুখ চেপে কান্না করছে। দরজাটা ভালো ভাবে বাইরে দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছেন উনি।
শুভর রুম সাউন্ড প্রুফ তাই আওয়াজ বাইরে যাচ্ছে না। কিন্তু শুভর প্রত্যেক টা কষ্ট উনি অনুভব করতে পারছেন। কিন্তু ওনার কিছু করার নেই।
❤❤❤
নীরব রাস্তা দিয়ে ড্রাইভ করে যাচ্ছে তানভীর। হঠাৎ গাড়ির সামনে কিছু বারি খাওয়ায় তারাতারি গাড়ী থামিয়ে নেয় ও।
তানভীরঃ ওহ নো কেউ আবার গাড়ীর সামনে চলে আসলো নাকি।
হন্তদন্ত করে গাড়ী থেকে বের হয়ে যায় তানভীর।
বাইরে বের হয়ে কাউকে দেখতে পাচ্ছে না ও। হঠাৎ পিছনে ফিরে সামনের লাল লং হুডি পড়া লোকটিকে দেখে চমকে যায় ও।
তানভীরঃ তুমি?? তুমি আজকে কলেজে এসেছিলে রাইট!!
তানভীর আর কিছু বলার আগেই সামনের লোকটি বাঁকা হেসে বলল,,
>>> তুমি অনেক বড় একটা ভুল করে ফেলেছো দোস্ত। সেই ভুলের শাস্তি তোমাকে দিতে আজকে আমাকে নিজের আসল রুপে আসতে হবে। এখন এই ভুলের মাসুল তোমাকে নিজের জান দিয়ে দিতে হবে,,,,
তানভীরঃ Whatt rubbish কি ভুল আর শাস্তির কথা বলছো তুমি do you know who am I.
>>> হুম কিন্তু তুমি জানো না আমি কে( with devil smile)
হঠাৎ লোকটির রুপ বদলাতে শুরু করে। চোখ দুটো লাল হয়ে পুরো শরীরের রগ ফুলে নীল বর্ণ ধারন করে।
তানভীর লোকটির এ রুপ দেখে ভয়ে পিছিয়ে যায়।
তানভীরঃ ত তুমি ক কে ( ভয়ে ভয়ে)
লোকটিঃ ডেভিল
বলেই অট্টহাসিতে ভেঙে পরলো।
তানভীর ভয়ে দৌড় দিতে নিলেই ডেভিলটি ওর সামনে চলে আসে।
ডেভিলটি নিজের হাত উঁচু করতেই হাতের মধ্যে দিয়ে একটা লাল রঙের রশ্মি বের হয়। রশ্মি টি তানভীরের শরীরের লাকতেই ওর পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে পরে।
তানভীর উবু হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে,,,,,
ডেভিলটি তানভীরের নিস্তেজ শরীরের সামনে বসে ওর চুল গুলো মুঠোয় করে মাথা উঠিয়ে বলতে শুরু করল,,,,
ডেভিলঃ আমার প্রিয় জিনিস গুলোর দিকে কেউ চোখ দিলে তার অবস্থা এর থেকেও ভয়াবহ করি আমি। আর তুমি তো আমার ভালোবাসার দিকে হাত বারিয়েছো। তোমার ভাগ্য ভালো আমি চাই না কেউ আমার অস্তিত্ব টের পাক তাই তোমাকে এতো সহজ মৃত্যু দিলাম।
ডেভিলটি দাঁড়িয়ে তানভীরের পেটে স্বজোরে লাথি মারলো। তানভীর সোজা ওর গাড়ির সামনের কাচে গিয়ে পরলো।
শরীরের বিভিন্ন যায়গায় কাচের টুকরো গুলো গেথে গেছে।
ডেভিলটি চলে যেতে নিয়েও আবার নিজের হাত মুঠো করে পিছনে ফিরে নিজের শক্তি গাড়ির দিকে ছুরে মারে সাথে সাথে গাড়িটি অনেক দূরে ছিটকে যায় আর ব্লাস্ট হয়ে যায়।
To be continued….