#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel,17,18
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_17
পাহাড়ের সামনে একটা নীরব রাস্তায় শুভর গাড়ি থামানো। হাতে একটা এলকহল এর বোতল নিয়ে গাড়ীর রুফ টপে বসে আছে শুভ।
চোখের কোনে পানি চিকচিক করছে কিন্তু চোখ থেকে এক ফোঁটা জলও বের হচ্ছে না ওর।
শুভর কানে শুধু মায়ার বলা কথা গুলো বাজছে। শুভ এক ঢোকে অর্ধেক এলকহল শেষ করে ফেলল। নেশা হয়ে যাচ্ছে ওর নিজেকে ব্যালেন্স করতে পারছে না।
শুভ আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করে,,,
শুভঃ আপনি কেন আমার সাথে এমন করছেন কি ভূল করেছি আমি। সবার থেকে কেন আমাকে আলাদা করছেন। আমি সব সময় আপনার কাছে একটা নরমাল লাইফ চেয়েছি। এর থেকে বেশী কিছু চাই নি তাহলে আমার সাথেই কেন এমন হচ্ছে।
আমিতো কখনো কারো ক্ষতি করি নি আর না কারো খারাপ চেয়েছি। তাহলে আমার সাথে কেন সব সময় খারাপ হয়। ( চিৎকার করে)
কথা গুলো বলেই শুভ বোতলটা দূরে ছুরে মারলো আর বোতলটা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেল।
আমিও আমার ফেমিলির সাথে একটা নরমাল লাইফ চাই যেখানে মা থাকবে আমার সিয়ু থাকবে আর রশ,,, (থেমে গেল শুভ)
রশনিও কি আমার কাছ থেকে দূরে চলে যাবে। সবাই যেমন আমাকে দূরে সরিয়ে দেয় রশনিও কি এমনটা করবে,,, ওও আমাকে ভূল বুঝবে। নো নো প্লিজ ডোন্ট ডু দিস,,, আ আমি রশনিকে ছাড়া বাঁচবো না ও আমার রক্তে মিশে গেছে ওকে কোন ভাবেই আমি আমার কাছ থেকে দূরে যেতে দিবো না।
She is the second oxygen of my life… ওকে ছাড়া নিশ্বাস নেওয়াটাও বেমানান আমার কাছে। ভালোবাসি অনেক বেশী ভালোবাসি ওকে। কিছুতেই নিজের কাছ থেকে দূরে যেতে দিবো না কখনো নাআআআ,,,
❤❤❤
হালকা হালকা করে চোখ মেলে তাকালো মায়া। মাথাটা ভার হয়ে ঝিম ধরে আছে। দু হাত দিয়ে মাথা চেপে উঠে বসলো ও।
আসে পাশে তাকিয়ে দেখে নিজের রুমে ও। এটা দেখে খানিকটা অবাক হয় ও।
মায়াঃ আমিতো শুভর রুমে যাচ্ছিলাম তাহলে এখানে কিভাবে এলাম,,, কিচ্ছু মনে করতে পারছি না কেন,,, কি হয়েছিলো কিচ্ছুই মনে আসছে না।
❤❤❤
রশনি নিশি তিনা কথা বলতে বলতে বাড়িতে ঢুকছে। ড্রইংরুমের সোফায় তাহির চৌধুরী নাহার আর দু’জন লোক কথা বলছে।
লোক দু’টো দরজার সামনে পিঠ করে বসে আছে তাই ওদের চেহারা দেখা যাচ্ছে না।
তাহির ওদের আসতে দেখে মুখে হাসি টেনে বলল,,,
তাহিরঃ ওইতো ওরা এসে পরেছে,,,
তাহিরের কথা শুনে লোক দু’টো পিছনে ফিরলো,,,
সামনের লোকটিকে দেখে নিশির মুখের হাসি উধাও হয়ে গেল। সামনে আর কেউ নয় বরং আবরার আর তিনার বাবা দাঁড়িয়ে আছে।
পাপা ?( তিনা) তিনা খুশি হয়ে দৌড়ে আজহারকে জড়িয়ে ধরলো।
তিনাঃ কেমন আছো পাপা আর তুমি আমাকে বলো নি কেন যে তুমি আসছো ( গাল ফুলিয়ে)
আজহারঃ কারন আমি আমার তিনা মামনিকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম তাই( তিনার গাল টেনে)
তিনাঃ This is the best surprise for me ( জড়িয়ে ধরে)
নিশিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আবরার নিজেই ওর সামনে চলে আসলো,,,
আবরারঃ তুমি তো নিজের বাবার কথা ভুলেই গিয়েছো প্রিন্সেস,,,
নিশিঃ ন নাহ তেমন কিছুই না বাবা,, আসলে পড়ার চাপ একটু বেশী তাই,,, ( ঘাবরে গিয়ে)
আবরারঃ আমি বুঝি প্রিন্সেস,,, আমি এসে গিয়েছি এখন সব ঠিক হয়ে যাবে,, ( শয়তানি হাসি দিয়ে)
নিশি আবরারের হাসির পিছনের রহস্য বুঝতে পারছে না কিন্তু আবরারের মনে কিছু একটা চলছে এটা ঠিকই বুঝতে পারছে,,,,
তাহির আবরারকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,
তাহিরঃ Mr. Abrar meet my daughter Roshni… ( রশনির পাশে দাঁড়িয়ে)
আবরার রশনির সামনে এসে ওর মাথায় হাত রেখে বলতে শুরু করল,,,
আবরারঃ কেমন আছো মামনি???
রশনিঃ ভালো আঙ্কেল আপনি???
আবরারঃ I’m good,,,,
তাহিরঃ রশনি ইনি হচ্ছে নিশির বাবা আর তোমার আজহার চাচুর নতুন বিজনেস পার্টনার,,,
আমরা তো জানতামই না যে নিশি আপনার মেয়ে,,, ( আবরারকে উদ্দেশ্য করে)
আবরারঃ নিশি আর রশনি ফ্রেন্ড এটা আমিও আজই জানলাম ( নিশির দিকে আড়চোখে তাকিয়ে)
নিশি ভয়ে নিজের চোখ নামিয়ে নেয় আর হাত মুঠো করে ফেলে,,,
আজহার রশনিকে উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করে,,,,
আজহারঃ কারো মনে হয় আমার কথা মনেই নেই ( রাগ করার অভিনয় করে)
রশনি মুচকি হেসে আজহারের কাছে চলে যায়,,
রশনিঃ রিয়েলি চাচু তুমিও তো আমাদের কথা ভূলে গিয়েছিলে হুহ্ ?
আজহারঃ রাগ করেনা মামনি,,, তুমি আর তিনা তো আমার কলিজা,,, দরকারী কাজ ছিল তাই ফিরতে দেরী হয়ে গেছে স্যরি এইযে কান ধরলাম।
রশনি হেসে আজহারের হাত সরিয়ে দেয় কান থেকে,,,
রশনিঃ যাও শেষ বারের মতো ক্ষমা করে দিলাম,,, তুমিও কি মনে রাখবে রশনি অনেক মহান ?
রশনির কথা শুনে সবাই হেসে দেয়,,,
আজহারঃ ভাইয়া আমাদের নতুন প্রজেক্ট সাক্সেসফুল হয়েছে তাই ভাবছি একটা গেট টুগেদার পার্টি রাখা হোক। তাছাড়া আবরার সাহেবকেও সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবো,,,
তাহিরঃ হুম আমিও তাই ভাবছি। আজকে রাতে রেজওয়ান মেনশন গিয়ে সবাইকে ইনভাইট করে আসবো আর মায়া ও শুভকেও আবরার সাহেবের সাথে দেখা করিয়ে দিবো। আফটার অল রেজওয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ আমাদের হাফ শেয়ার হোল্ডার।
আমি মায়াকে ফোন করে ইনফর্ম করে দিচ্ছি যে আমরা রাতে আসছি,,,
শুভর নাম শুনে রশনির মুখে হাসি ফুটে উঠলো।
বিকেলে,,,
শুভ বাড়িতে ঢুকতেই দেখতে পেলো মায়া সার্ভেন্টদের কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছে। শুভ মায়াকে দেখেও না দেখার ভান করে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে নেয়,,,
শুভ,,, হঠাৎ মায়ার ডাকে দাঁড়িয়ে যায় ও।
মায়া শুভর পেছনে এসে দাঁড়িয়ে ওকে বলতে শুরু করে,,,
মায়াঃ শুভ কোথায় গিয়েছিলে তুমি আমাকে না জানিয়ে,,, do you have any idea আমি কত টেনশনে ছিলাম।
শুভঃ আমি যেখানেই যাই আপনাকে বলা দরকার মনে করি না মিসেস রেজওয়ান। আর আমি না থাকলেই বা কি আপনার তো আরো খুশি হওয়া দরকার,,,
শুভর কথা মায়ার কাছে অনেক অস্বাভাবিক লাগছিলো,,, কেমন জানি আটকে যাচ্ছে ওর কথা।
মায়া শুভর হাত ধরে ওকে পিছনে ঘুরায়,,, চুল গুলো উস্কখুস্ক হয়ে আছে,,, চোখ লাল হয়ে গেছে। শরীর থেকে এলকহল এর স্মেল আসছে,,,
মায়া শুভর এরকম অবস্থা দেখে ঘাবরে গিয়ে ওকে জিঙ্গেস করে,,,
মায়াঃ শুভ কোথায় গিয়েছিলে তুমি আর তোমার এই অবস্থা কেন?? ত তুমি তুমি ড্রিঙ্ক করেছো শুভ???
শুভঃ হ্যাঁ করেছি তাতে আপনার কি?? আমার লাইফ আমার চয়েস so don’t try to interfere in my life Mr’s Rejwan,,, ( চিল্লিয়ে)
শুভ কথা গুলো বলে হনহন করে উপরে গিয়ে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিলো।
শুভর এমন ব্যবহারে মায়ার চোখে পানি চলে আসে। চোখ মুছতে মুছতে ওখান থেকে চলে যায় মায়া।
দরজায় দাঁড়িয়ে শুভ আর মায়ার কথা গুলো শুনছিলো সিয়া। মন খারাপ করে নিজের রুমে চলে আসে ও।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে এক মনে বাইরে তাকিয়ে আছে সিয়া,,,
সিয়াঃ শুভ ভাইয়া কেন সব সময় মাম্মামের সাথে এভাবে রুডলি বিহেভ করে। মাম্মাম আর আমি ভাইয়াকে কত ভালোবাসি তাহলে কেন ভাইয়া আমাদের সহ্য করতে পারে না।
সব আমার দোষ আমার কারনে ভাইয়া আর মাম্মামের মাঝে ডিস্টেন্স তৈরি হয়েছে। ছোট বেলায় আমার জন্য মাম্মাম ভাইয়াকে হোস্টেলে পাঠিয়ে দেয় এজন্য আজও ভাইয়া মাম্মাম আর আমাকে হেট করে ??
হঠাৎ কাধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে পিছনে ফিরে সিয়া। ধীর দাঁড়িয়ে আছে,,, সিয়া ধীরকে দেখে ওর বুকে ঝাপিয়ে পড়ে,,, ধীরও শক্ত করে সিয়াকে নিজের বুকে জড়িয়ে ধরে,,,
ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে সিয়া আর বলছে,,,
সিয়াঃ সব আমার দোষ আমি যদি না থাকতাম তাহলে ভাইয়া আর মাম্মামের মাঝে ডিস্টেন্স তৈরি হতো না। I’m bad luck for everyone ?
ধীর সিয়ার পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ওকে শান্ত করার চেষ্টা করছে,,,
ধীরঃ হুশ সিয়ু এমন কিছু না ওকে,,, তোমার কোন দোষ নেই দোষ সব পরিস্থিতির,,, সব ঠিক হয়ে যাবে দেখো,,, আর কে বলল তুমি ব্যাড লাক সবার জন্য,,, তুমি তো আমার লাইফে এঞ্জেল হয়ে এসেছো,,,,
ধীরের কথায় সিয়া মাথা তুলে ধীরের দিকে তাকায়,,,
ধীর সিয়ার চোখের পানি আলতো করে মুছে দিলো তারপর ওর কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে বলতে শুরু করল,,,
ধীরঃ You are the Angel of my life,,, তোমার চোখে নিজের বেঁচে থাকার কারন খুঁজে পাই আমি,, আগে নিজের জীবন কে নিয়ে ভয় পেতাম না মৃত্যুকে ভয় পেতাম না কিন্তু এখন,,, ভয় হয় যদি আমার কিছু হয়ে যায় তোমার এই মায়াবী চেহারাটা আর দেখতে পাবো না,,, তোমাকে নিয়ে বুনা সপ্ন গুলো সত্য করতে পারবো,,, তোমাকে হারাতে ভয় হয়,, তুমি যদি অন্য কারো হয়ে যাও এই ভয়টা আমাকে প্রতিনিয়ত গ্রাস করে ফেলছে,,, তোমার পাশে কাওকে সহ্য করতে পারি না,,, তাই রেগে যাই তোমার উপর,,,
তোমার জন্য সব কিছু করতে পারি সব কিছু ছাড়তে পারি,,,
ধীরের কথা গুলো মনোযোগ সহকারে শুনছে সিয়া,,, ধীরের চোখের কোনে পানি জমে গেছে,,,
হঠাৎ ধীর সিয়াকে ছেড়ে চলে যায়। সিয়া ঠাই দাঁড়িয়ে ধীরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,,, নিজের অজান্তেই ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি ফুটে উঠে ওর,,,,
To be continued….
#The_Love_A_Devil_And_Angel
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_18
শুভ নিজের রুমে এসেই বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে পরলো,,,
আবরারকে রেস্ট নেওয়ার জন্য একটা রুম দেওয়া হয়েছে,,, আবরার রুমের চারপাশে দেখছে আর নিশি রুমের এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে,,,,
আবরারঃ তুমি কে এবং কি এটা কি ভূলে গিয়েছো নিশানি,,, ( পিছনে ফিরে কড়া গলায় বলল)
আবরারের কথায় নিশি ভয়ে জমে যাচ্ছে ও বুঝতে পারছে আবরারের রাগ মাথায় চরে যাচ্ছে,,
নিশিকে চুপ থাকতে দেখে আবরার আবার বলতে শুরু করে,,,
আবরারঃ তুমি আমার মেয়ে একজন ডেভিল প্রিন্সেস,,, তার পরেও তোমাকে আমি মানুষদের মাঝে রেখেছি?? ছোট বেলা থেকে একজন সাধারন মানুষের মতো চলাফেরা করতে শিখিয়েছি,,, কারন,,,
আবরার বলার আগেই নিশি বলতে শুরু করল,,
নিশিঃ কারন আমি ডেভিল হওয়া সত্ত্বেও একজন সাধারন মানুষ,,, আমার মাঝে একজন প্রিন্সেসের মতো শক্তি নেই,,, আ আমি আপনাদের সাথে ডেভিল কিংডমে থাকার যোগ্য নয়,,,
তাই আমাকে আপনি সবার থেকে আলাদা করে রেখেছেন আর আমিও আপনাদের থেকে দূরত্ব বজিয়ে থেকেছি,,, আমি একজন প্রিন্সেস হওয়ার যোগ্য না তা আমি জানি,, ( নিশির কান্না জড়িত কন্ঠে কথা গুলো বলল)
আবরার পাশের সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে পরলো,,, পাশে রাখা গ্লোবটা ঘুড়াতে ঘুড়াতে আবরার বলতে শুরু করল,,,
আবরারঃ হুম তুমি আমার মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও তোমার মাঝে আমার কোন গুন নেই,,, তার পরেও আমি তোমাকে কখনো কম আদর করি নি তোমার প্রতি আমার ভালোবাসায় কোন কমতি ছিল না,,,
তুমি হাফ ডেভিল হাফ হিউম্যান তাই তোমার মাঝে সব শক্তি নেই,, এজন্য তোমাকে ডেভিল কিংডম থেকে দূরে রেখেছি প্রিন্সেস,,, কিন্তু তার মানে এটা না যে আমি তোমার কোন খবর রাখি নি,,, তোমার সব খবর আছে আমার কাছে,,,
সেটা না হয় পরে বলবো এখন তোমাকে আরেকটা কথা বলার ছিলো,,, Do you know who is Angel??
নিশি জিঙ্গাসু দৃষ্টিতে আবরারের দিকে তাকালো,,,
আবরারঃ সে প্রতি পল তোমার আসে পাশে ছিলো তাও তুমি তাকে চিনতে পারো নি,,, তার আশেপাশে থেকেও। তার অস্তিত্ব উপলব্ধি করতে পারো নি,, এটা অবশ্যই তোমার দোষ নয় তার শক্তি তোমার থেকে অনেক বেশী তাই তুমি তার শক্তির আভা পাও নি,,,
রশনি,,,, রশনি হচ্ছে এঞ্জেল,,
রশনির নাম শুনে নিশি অবাক চোখে আবরারের দিকে তাকালো,,,
নিশিঃ কিহ র রশনি এঞ্জেল??
আবরারঃ হুম,,, রশনিই এঞ্জেল,,, ওকেই সৃষ্টি করা হয়েছে আমার শুভকে অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে,,, এঞ্জেল কিংডমকে রক্ষা করতে,,, আমার ডেভিল রাজ্য ধ্বংস করতে,,
কিন্তু আফসোস আমি ওকে চিনে ফেলেছি তাই ওকে শুভর জীবন থেকে সরানোর সব প্লান ও করে ফেলেছি,,,
আর একটা কথা নিশানি,,, আবরার নিশির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো,,,
আবরারঃ তুমি একজন ডেভিল প্রিন্সেস তাই মানুষের প্রতি দুর্বল হওয়ার ভূল করো না,,,তুমি বুঝতে পারছো তো আমি কার কথা বলছি।
নিশি বুঝতে পারছে আবরার রোহিতের কথা বলছে,,, নিশির ভয়ে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে,,, তার পরেও কাঁপাকাপা কন্ঠে ও বলল,,
নিশিঃ আ আপনি যেভাবে বলবেন আমি সেভাবেই চলবো ক কিন্তু প প্লিজ র রোহিতের কোন ক্ষতি করেন না। ও ওর কোন দোষ নেই বাবা,,, ওকে এর মাঝে টেনে আনবেন না ( কান্না করতে করতে অনুনয় স্বরে বলল)
আবরারঃ যদি তুমি আমার মত মতো চলো তাহলে ওর জান আমি রেহাই দিতে পারি প্রিন্সেস,,,
নিশিঃ ক কি বাবা,,,
আবরার বাকা হেসে নিশিকে সব বুঝিয়ে বলল।
সন্ধ্যায়,,,
চৌধুরী বাড়ির সবাই রেজওয়ান মেনশনে পৌছে আসে,,, ওদের সাথে আবরার আর নিশিও এসেছে,,, সোফায় বসে সবাই কথা বলছে,,,
এক পাশে রোহিত দাঁড়িয়ে নিশিকে দেখছে কিন্তু নিশি এক বারের জন্যও ওর দিকে তাকায় নি,, আসার পর থেকেই মাথা নিচু করে বসে আছে ও,, রোহিতের কাছে ব্যপারটা বেশ খারাপ লাগছে,,,
সাদ তিনার পাশে বসে আছে আর বারবার সবার আড়ালে তিনার হাতে নিজের হাত ছুইয়ে দিচ্ছে,,, তিনার ভয় করছে তার সাথে এক অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে ওর মাঝে সাদের প্রতি।
সিয়া আর রশনি মায়ার সাথে বসে আছে আর গল্প করছে,,,
রশনি একটু পর পর আশেপাশে তাকাচ্ছে,,, ওর চোখ শুধু শুভকে খুঁজছে,,,
ধীর এতক্ষণ বাড়ির বাইরে ছিলো। বাড়িতে এসে চৌধুরী বাড়ির সবাইকে দেখতে পায় ও। ওদের কাছে যেতেই হঠাৎ আবরারকে দেখে থমকে যায় ও।
ধীরঃ কিং!! ইনি এখানে কি করছেন??
মায়া ধীরকে দেখে মুখে হাসি টেনে বলে,,
মায়াঃ আরে ধীর তুমি এসে গেছো,,, ইনি হলেন আজহার তিনার বাবা ( আজহারকে দেখিয়ে দিয়ে) আর রশনির চাচু।
ধীরঃ হ্যালো আঙ্কেল,,,
আজহার মুচকি হাসলো,,,
মায়াঃ আর ইনি হলেন আজহারের বিজনেস পার্টনার আবরার সাহেব।
আবরার ধীরের কাছে এগিয়ে এসে বলল,,
আবরারঃ হ্যালো ইয়াংম্যান!!
ধীরঃ হ হ্যালো,,,
আবরারঃ আরে তুমি এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন come seat with us,,,
ধীর কতক্ষণ আবরারের দিকে তাকিয়ে থেকে রোহিতের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো,,,
রোহিতঃ ধীর আমার না এই লোকটাকে দেখে একটা নেগেটিভ ফিলিং আসছে,,, ( ভ্রু কুঁচকে আবরারের দিকে তাকিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল)
ধীরঃ মানে?? কেমন নেগেটিভ ফিলিং??
রোহিতঃ তুই বুঝবি না,,,
ধীর রোহিতের কথা না বুঝে সামনে তাকালো,,
রোহিতঃ আমার এমন ফিলিং আসছে যে ইনি আমার আর নিশির লাভ স্টোরিতে ভিলেন গিরি করতে এসেছেন ( মুখ বাঁকিয়ে মনে মনে) যা ইচ্ছে করুক আমি কাউকে পরয়া করি না ?
এর মাঝেই শুভ সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসে,,, সবাইকে দেখে ড্রইংরুমে চলে আসে শুভ,,,
সামনে আবরারকে বসা দেখে কিছুটা অবাক হলো ও,,
শুভঃ আপনিইই??
শুভর কথায় আবরার পিছনে ফিরলো,,,
আবরারঃ আরে ইয়াংম্যান তুমি এখানে??
শুভঃ আমার বাড়ি।আমি থাকবো না তো কে থাকবে,,, ( কপাল কুঁচকে)
আবরার হেসে শুভর সামনে আসতে আসতে বলে,,
আবরারঃ অনেক ভালো মজা করতে পারো তুমি,,,
শুভ মুখে মিথ্যে হাসি টেনে আনে,,, ওর কাছে লোকটাকে বেশি সুবিধার মনে হয় না,,,
তারপর তাহির শুভকে আজহার আর আবরারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়,,,
শুভ গিয়ে রশনির পাশে বসে পরে,, রশনি একটু দূরে সরে বসতে নিলেই শুভ ওর হাত করে নিজের আরো কাছে টেনে বসিয়ে দেয়,, সবাই কথা বলতে ব্যস্ত তাই ওদের দিকে কেউ লক্ষ করছে না আবরার ছাড়া।
আবরার রক্ত চক্ষুতে রশনি আর শুভর দিকে তাকিয়ে আছে,,,
রশনি অসহায় দৃষ্টিতে শুভর দিকে তাকালো,, শুভ বাকা হেসে রশনির কোমর জড়িয়ে ওকে নিজের কাছে টেনে বসালো,,, রশনির তো প্রায় কেঁদে দেওয়ার উপক্রম,,,
হঠাৎ তাহির দাঁড়িয়ে যায় সাথে সাথে শুভও রশনির থেকে দূরে সরে বসে,,, রশনি যেন হাফ ছেড়ে বাচঁলো,,
তাহিরঃ তো এখন আমাদের যাওয়া উচিত,,, কালকে সবাই চলে আসবেন,,,
মায়াঃ জি..
শুভ রশনির কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলল,,,
শুভঃ কালকে দেখা হবে মিস রশনি আজকের শোধটা তোলা থাকলো কালকের জন্য,,, ( বলেই চোখ মারলো)
রশনি একটা ঢোক গিলে শুভর দিকে তাকিয়ে তাহিরের কাছে চলে যায়,,,
সাদ তিনার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ওর ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,,,
সাদঃ goodnight my queen… Have sweet and romantic dream with me,, ?
সাদের কথা শুনে তিনার মুখটা গোলাপী হয়ে যায়,,,
ওদের ব্যাপারটা আজহারের চোখে পরলো,,,
সারা সময় রোহিত নিশির সাথে কথা বলার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু আবরার ওকে নিশির কাছে ঘেঁষতে ও দেয়নি তাই রোহিত আবরারের উপর রেগে আছে,,,
নিশি যাওয়ার সময়ও রোহিত ওর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু নিশি ওকে এভয়েড করে চলে গেছে,,,
অতঃপর সবাই চলে যায়,,
রাতে,,,
In Devil Kingdom,,,
আবরারের সামনে নিশি ও ধীর দাঁড়িয়ে আছে,,,
ধীরঃ কিং আপনিতো আমাকে পাঠিয়েছিলেন শুভকে কিংডমে ফিরিয়ে আনতে তাহলে হঠাৎ আপনি ওখানে কেন আসলেন??
আবরারঃ কারন এখন আর এই কাজটা তোমার অথবা নিশির পক্ষে করা সম্ভব নয়,,, তোমরা আবেগের বশে মিসলিড হয়ে গেছো,,, ( কড়া গলায়)
ধীর নিজের মাথা নিচু করে ফেলে আবরারের কথা শুনে,,,
আবরারঃ তুমি ভূলে গেছো যে তুমি এই রাজ্যের সেনাপতি,, তোমাকে আমি শুভর জন্য পাঠিয়েছি ওই মানুষ কন্যা সিয়ার জন্য নয়,,, নিশানি ভূলে গেছে যে ও এই রাজ্যের প্রিন্সেস,,, তোমরা দুজনেই ভূলে গেছো কিছু দিন পরে তোমাদের বিয়ে,,, (রেগে চিৎকার করে )
আবরারের চিৎকারে নিশি কেঁপে উঠে আর ধীর নিজের হাত মুঠো করে ফেলে,,,,
আবরারঃ বাস অনেক হয়েছে এবার যা করার আমি করবো,,, আর তোমরা ( ওদের সামনে এসে) আমার কথার খিলাফ হলে আমি কতটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারি তা তোমাদের ধারনার বাইরে নয়,,
কথা গুলো বলেই আবরার দ্রুত গতিতে রুম থেকে বের হয়ে যায়,,,
নিশি ওখানে দাঁড়িয়েই কান্না করতে থাকে,,, ধীর নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে পাশের দেয়ালে জোরে ঘুষি মেরে বের হয়ে যায়,,,,
আজকে রাতে কারো চোখে ঘুম নেই,,, শুভ ছাদে দাঁড়িয়ে রশনির কথা ভাবছে,,, ওর থেকে দূরে গেলে ও শেষ হয়ে যাবে ভেবেই শুভর আত্মা কেপে উঠছে আর রশনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শুভর স্পর্শ গুলো মনে করছে। একে অপরের ভালোবাসার মুহুর্ত গুলো মনে করে নির্ঘুম রাত পার করছে ওরা,,, তো অন্য দিকে তিনা নিজের প্রথম অনুভূতি গুলো বুঝতে ব্যস্ত আর সাদ ওর কল্পনায় তিনার ভালোবাসা সাজাতে ব্যস্ত ,,,, রোহিত রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে নিশির ব্যবহারের কথা মনে করে কষ্ট পাচ্ছে তো নিশি রোহিতের থেকে দূরে যাওয়ার কষ্টে কান্না করছে,,, সিয়া ধীরের বলা কথা গুলো ভেবে নিজে নিজে হাসছে আর এইদিকে ধীর সিয়ার থেকে দূরে যাওয়ার কথা ভেবেই ভেঙে পরছে,,,,
কেউ জানে না তাদের এই #Impossible_Love
এর পরিনতি কি হবে,,,,
To be continued….
পেচটা যেহেতু আমি লাগিয়েছি এর সমাধান ও আমিই করবো,,,? আর আশা করি শেষটা আপনাদের মনের মতোই হবে,,, তাই কেউ প্যানিক করেন না,,, enjoy the story,,, ?