I_Love_U #bonus_part

0
1109

#I_Love_U
#bonus_part
#sarika_Islam

দরজা খুলে নিহানের পাশে নিহাকে দেখে আমার হাসি গায়েব হয়ে গেল,,নিহানের ঠোটের কোনে হাসি ঝুলে আছে,,নিহাকে পাশে পেয়ে এত খুশি?কই আমি সামনে থাকলে তো এমন হাসি থাকে না মুখে?আমি দরজার সামনে থেকে সরে গেলাম,,তারা ভিতরে আসলো,,

রাহা যখন দরজা খুলল নিহানের চোখ রাহার দিকে আটকে গেল,,নীল শাড়িতে পুরা নিল পরি লাগছে,আবার হাতে চুরি বেলী ফুলের মালা সব মিলিয়ে আসাধারন লাগছে,,নিহান আর নিহা টেবিলে বসলো তাদের কিছু কাজ রয়েছে,,রাহা তাদের জন্য কফি নিয়ে আসলো কিছু বলল না,,নিহান লেপ্টপে নিহাকে কাজের বিষয়ে কথা বলছে আর আড়চোখে রাহাকে দেখে যাচ্ছে,,তার রাহা কি দিন দিন একটু বেশিই সুন্দর হচ্ছে?

নিহান আর নিহা কাজ করছে আমি চুপচাপ তাদের থেকে কিছুটা দুরে সোফায় গিয়ে বসলাম,,নিহা একেক কিছু বলছে আর নিহানের উপর পরে যাচ্ছে,,একদম অসভ্যপানা কাজ কাম,,নিহা এখানে কি করছে আজব ওর কি কাজ এত রাতে নিহানের সাথে?আমার তাদের রংলীলা আর সহ্য হচ্ছে না আমি উপরে সিড়ির সামনে গিয়ে বললাম,,

‘আমি যাই আপনারা কাজ করুন,,’

নিহা বলে উঠল,,

‘ভাবী!!আর এক কাপ কফি যদি দিতেন?’

‘হুম রাহা একটু দিবি?’

আমি নিহানের দিকে তাকিয়ে রান্নাঘরে গেলাম কফি বানিয়ে দিয়ে সোজা উপরে চলে আসলাম,,দরজাটা ঠাস করে লাগিয়ে কান্না করে দিলাম,,ড্রেসিংটেবিলের সামনে গিয়ে ফুলের মালাটা টান দিয়ে খুলে ফেললাম,,শাড়ির থেকে পিন খুলে নিচে ফালিয়ে দিলাম,,কাদতে কাদতে বিছানার পাশে বসে পরলাম,,কিছুক্ষন পর দরজা খোলার শব্দ পেয়ে আমি উঠে ওয়াশ্রুমে গেলাম,,চোখে মুখে ইচ্ছে মতো পানি দিতে লাগলাম,,চোখ দুটো ফুলে গেছে ঠোট জোরা লাল হয়ে গেছে অনেক কান্না করেছি এখন চোখ জলছে,,বাহিরে এসে চুপচাপ জানালার সামনে গিয়ে দারালাম,,বাহিরের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলতে লাগলাম,,আজ চোখের পানি থামার নামিই নেই,,

নিহান নিহাকে বিদায় করে রুমে ঢুকে রাহাকে বসে বসে কাদতে দেখলো,,রাহা উঠে ওয়াশ্রুমে গেল একদম চোখ মুখ লাল করে ফেলেছে মেয়েটা কাদতে কাদতে,,ঠোঁট জোরা লাল টকটকে জবার মতো হয়ে আছে,,চোখ দুটো ফুলে আছে চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে,,মুখে ছিটিয়ে পানি দেওয়ার কারনে বুকের দিকে শারির কিছু অংশ ভিজে জরজেট হওয়ার কারনে লেপ্টে আছে,,বুকের তিলটা এতটাই গাড় যে শারি ভেদ করে তা দেখা যাচ্ছে,,নিহান এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,তোকে এইভাবে আরো বেশি সুন্দরী লাগছে,,ফোলা চোখ লাল ঠোঁট পুরোই অপ্সরি,,ড্রেসিংটেবিলে মালাটা পরে আছে মালার ঘ্রানে পুরো রুম ভরে আছে,,নিহান হাতের ঘরি খুলে রাখলো,,টি-শার্ট নিয়ে চেঞ্জ করতে গেল ফ্রেশ হয়ে এসে দেখলো রাহা সেই আগের মতোই জানালার কাছে দারিয়ে আছে,,নিহান তাও রাহাকে কিছু বলল না বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পরলো লাইট অফ করে দিল,,ঘরের মধ্যে এখন লাল সেডের বাতি জলছে,,রাহা সেখান থেকে নরছেও না,,নিহান উঠে রাহার পিছে দারালো,,

‘রাহা ঘুমাবি না?’

রাহা কোন সারাশব্দ পেল না,,নিহান রাহাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলো,,শারি ভেদ করে পেটে হাত রাখলো,,কাধে থুতনি রাখলো,,

আমি এতক্ষন দারিয়ে চোখের পানি মুছে নিজেকে সামলাচ্ছিলাম,,হঠাৎ নিহান এসে এভাবে ধরায় আমার কান্নার বেগ আরো বেরে গেল,,আমি এইবার শব্দ করে কেদে উঠলাম,,

রাহা শব্দ করে কেদে দেওয়ায় নিহান রাহাকে সামনের দিকে ঘুরালো,,চোখ দুটো ফুলে গেছে আরো,,ঠোট দুটো উলটে কান্না করছে চুলগুলো বারংবার ওকে ডিস্টার্ব করছে,,নিহান আলতোভাবে রাহার চুলগুলো কানের পিছে গুযে দিয়ে গালে হাত রেখে বলল,,

‘কান্না করছিস কেন?’

আমি হেচকি তুলতে তুলতে নিচের দিকে তাকিয়ে বললাম,,

‘শখে,,’

‘তোকে কিন্তু কান্না করলে আরো বেশি সুন্দর লাগে,,একদম পরি,,’

বলেই হাল্কা হাসলো,,আমি নিহানের দিকে তাকিয়ে তার বুকে হাল্কা কিল ঘুষি দিতে লাগলাম,,আমার হাত ধরে থামিয়ে বুকে জরিয়ে নিল,,আমি কাদতে কাদতে হেচকি তুলে ফেলেছি,,আমার মাথায় আলতোভাবে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে নিহান,,আমার দুইগালে হাত রেখে আমাকে তার দিকে দৃষ্টি দিয়ে বলল,,

‘নিহার জামাই নিহালের গুরুতরভাবে এক্সিডেন্ট হয়েছে,,এখন হুইল চেয়ারে বসে থাকে তাই নিহা আমার অফিসে জব নিতে এসেছে,,আর আমি ওকে এস এ এসিস্ট্যান্ট জব দিয়েছি,,ব্যাস এতটুকু,,’

আমি নিহানের দিকে তাকিয়ে চোখের পলক ফেলে বললাম,,

‘আমি জানতে চাইনি এইসব,,’

‘তুই তো এর জন্যই কান্না করেছিস, আমি কি বুঝি না?এতটাও অবুঝ না আমি,,’

‘আপনি কিচ্ছু বুঝেন না,,কচু বুঝেন হুহ,,’

চোখ সরিয়ে নিলাম নিহানের থেকে,,নিহান আমার অভিমান দেখে এক গাল হাসলো,,

‘এত ভালোবাসিস?’

‘কবে বললাম ভালোবাসি?’

‘তোর বলতে হবে না,,তোর এই মায়াবী কান্নাভরা চোখ আমাকে বলে দিয়েছে,,’

বলেই চোখের পাতায় চুমু খেল,,আমি নিহানের হাতের উপর হাত রাখলাম,,আমার কপালে একটা চুমু দিল,,আমি কাদো কাদো চোখেই হাল্কা হেসে বললাম,,

‘মিষ্টার খারুস রোমান্টিকও?’

নিহান আমার নাকের ডগায় হাল্কা কামড় দিয়ে বলল,,

‘আমি সবই পারি হুহ,,আর ওয়েট মিষ্টার খারুস?’

আমার গাল থেকে হাত সরিয়ে বলল,,আমি হেসে উঠলাম,,

নিহান এক দৃষ্টিতে রাহার হাসির দিকে তাকিয়ে আছে,,ফোলা চোখ নাক কান্নার ফলে লাল হয়ে আছে,,আর লাল ঠোঁট কাদো কাদো চেহারায় ঘায়েল করা হাসি,,নিহান তো পুরোপুরি ডুবে যাচ্ছে রাহার প্রতি,,রাহার দুই গাল চেপে ধরে হাল্কা উচু করে ধীরে ধীরে মাথা এগুতে লাগলো,,রাহা চোখ বন্ধ করে ফেলল তা দেখে নিহান আরও সায় পেয়ে গেল,,রাহার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল,,মিষ্টি ঠোঁটের স্বাদ নিতে বেস্ত নিহান এক হাতে কোমর ধরে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে রেখেছে,,আরেক হাতের রাহার গাল ছেরে চুলের মধ্যে রাখা,,হুট করে রাহাকে কোলে তুলে নিল রাহাও গলা জরিয়ে ধরলো,,বিছানায় শোয়ালো,,নিহান রাহার উপর হাল্কা ভাবে উঠলো,,রাহার চোখ দিয়ে তখনো পানি গরিয়ে পরছিল,,নিহান সেগুলো মুছে দিয়ে ঠোটে গভিরভাবে চুমু খেল,,বুকের থেকে শারির আচল সরিয়ে সেই তিলে হাল্কাভাবে কামর দিল,,রাহা নিহানের চুলগুলো আকড়ে ধরলো,,(অনেক হইসে রোমেন্স আজকের জন্য,,বেশি পরা ভালো না আবার?)

আজ অনেকদিন পর দুই তৃষ্নার্থ দেহের মিল হলো,,,এইদিনের চাওয়া পাওয়া আজ সম্পুর্ন হলো,,

সকালে সুর্যের আলো চোখে পরে ঘুম ভেংগে গেল,,নরতে গেলে পারলাম না নিহানের বাহুডোরে আবব্ধ হয়ে আছি,,উঠতে গেলে আবার শুয়ে পরলাম গায়ে একটা কাপর পর্যন্ত নেই,,আবার উঠতেও পারছি না,,আস্তে আস্তে নিহানকে ছারিয়ে উঠে কাপর নিয়ে দিলাম দৌড় ওয়াশ্রুমে,,ঝর্নার নিচে দারিয়ে আছি পুরো শরিরে পানি গরিয়ে পরছে,,আজ নিজেকে পরিপূর্ণ লাগছে নিজেকে অনেক সুখি মনে হচ্ছে,,ব্লাউজ আর পেটিকোট পরে বের হলাম নিহান বিছানায় আধশোয়া ভাবে ফোন টিপছে,,আমি তাকে দেখে শাড়ি পরতে লাগলাম,,উঠে আমার পিছনে এসে দারিয়ে কানের কাছে এসে বলল,,

‘মর্নিং,,’

আমি ঘুরে হাল্কা হেসে বললাম,,

‘মর্নিং,,যান ফ্রেশ হয়ে আসেন,,’

আমাকে পিছন থেকে ধরে বলল,,

‘হ্যা জান যাচ্ছি,,’

নিহানের মুখে জান শব্দটা শুনে গা চমকিয়ে উঠলো,,মনের ভিতর এক শিহরন বয়ে গেল,,

‘তুই শাড়ি পরা শিখেছিস?’

আমি শারির দিকে তাকিয়ে অসহায় ভাবে বললাম,,

‘কই আর শিখলাম দেখেন না এখনও ঠিকভাবে পরতেই পারলাম না,,’

‘যাক ভালোই হয়েছে,,তোর আর শিখতে হবে না আমার বউকে আমিই পরিয়ে দিব,,’

বলেই আমাকে শাড়ি পরাতে লাগলো,,,বউ শুনে আরো ভালো লাগলো,,একটাই দোয়া করবো নিহান যেন সব সময় আমাকে এমনিই ভালোবাসে,,ও হ্যা ভালোবাসি তো বললই না?শারি পরানো শেষ হলে উঠে আমার কপালে একটা চুমু খেল,,

‘কালো শাড়িটা তোর এই ফর্সা গায়ে বেশ মানিয়েছে,,’

আমি হাল্কা হাসলাম,,নিহান ওয়াশ্রুমের ভিতর যেতে নিলে আমি বলে উঠি,,

‘এই এই,,’

নিহান দরজার সামনে দারিয়ে পিছে ফিরলো,,

‘ভালোবাসি তো বললেন না?’

‘আমি তোকে ভালোবাসি? যে বলব?’

‘এ কেমন কথা হলো,,’

‘সব সময় ভালোবাসি বলতে হয় না,,’

বলেই ওয়াশ্রুমের ভিতরে ঢুকে গেল,,,আমি হা হয়ে দারিয়ে রইলাম,,পরে হেসে দিলাম,,দরজায় জোরে জোরে বারি দিচ্ছে কে জেন?কার এতো সকাল সকাল মরা মরল?দরজা খুলে সামনে থাকা ব্যাক্তিটাকে দেখে আমার সকালে মিষ্টি মিজাজটা মুহুর্তেই একদম গরম হয়ে গেল,,

চলবে,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here