একগুচ্ছ_কালো_গোলাপ?পর্ব_৩৪
#লাবিবা_তানহা_লিজা
?
বারন্দায় দাড়িয়ে দুহাত দুদিকে মেলে মুক্ত মাতাল হাওয়া অনুভবে ব্যস্ত করে রেখেছে নিজেকে । হোস্টেলের অন্য মেয়েরা যে দেখছে সেই মুচকি হাসি দিচ্ছে । মেয়েটা পারেও বটে। এতো উচ্ছল চাঞ্চল্যময় মেয়েকে যে কেউ ভালোবাসতে বাধ্য । নিচ থেকে ময়নুল মামা ডাক ছাড়ে
—ও খালা..এলিজা খালা..নিচে আসেন তাড়াতাড়ি । আপনার জন্য পাখি পাঠায়ছে ।
বারান্দা দিয়ে নিচের দিকে উকি দিয়ে বলে — পাখি কে পাঠালো? আসছি মামা দাড়ান।
তিনতলা থেকে দৌড়ে নেমে এসে দেখে একটা ছেলে একটা খাচায় একটা সবুজ টিয়া পাখি নিয়ে দাড়িয়ে আছে । টিয়া পাখি দেখে লাবিবার আর হুস নেই । ঘামচি দিয়ে কেড়ে নিয়ে বলে –এটা আমার পাখি ?
—হ আপা স্যার দিছে ।
—কোন স্যার ?
—প্রিন্সিপাল স্যার ।
—ওও যাও তুমি । টা টা ।
নাচতে নাচতে উপরে চলে আসে । বিছানায় বসে পাখির সাথে কথা বলতে থাকে । আনন্দ যেনো আর ধরে না । এদিকে অনবরত ফোন বাজছে কিন্তু লাবিবার দেখার সময় নেই । একসময় বিরক্ত হয়ে না দেখেই ফোন রিসিভ করে কানে ধরে বল
—ঐ কিডারে ? এত্তোবার ফোন দেস কিলা ?
—দুষ্টু পুতুল ঠিক করে কথা বলো ।
—ও আমার আল্লাহ স্যার ..। স্যার স্যার আপনাকে অনেকগুলা ধনেপাতা উম্মাহহহ???। টিয়া পাখিটা খুব সুন্দর ।আমার বেবি এটা ।
—আর যেনো গাছে উঠতে না দেখি । কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে বলবে । তো তুমার বেবির নাম কি রাখলে ?
—এটা মেয়ে বেবি নাকি ছেলে বেবি ? মেয়ে বেবি হলে আব্বুর নামে নাম রাখতে হবে আর ছেলে বেবি হলে আম্মুর নামে নাম রাখতে হবে ।
—মেয়ে বেবি ।
—উমম উমম তুতু । আমার বেবির নাম তুতু ।
—হা হা হা দুষ্টু পুতুল .তুমি নাকি আমার দুই নাম্বার বউ হবেই না আবার আমার নামে বেবির নাম রাখছো ।
— তাইতো । এটা তো ভাবিনি । ওকে নাম চেঞ্জ। ছর নাম হলো
—তুতু । আমার আর তোমার বেবি ।
—না এর নাম
—চুপ একদম চুপ । তুতু বলছি তুতুই । আমি তোমাকে চেঞ্জ করতেই দিবো না ।
—না আমি চেঞ্জ করবোই ।
—থাপ্পড় খেতে চাও আরেকটা তাইনা ?
লাবিবা চুপ হয়ে যায় ।
—শোনো খাচায় প্যাকেটে দেখো পাখির খাবার আছে । আর ফোন দিলে সাথে সাথে যেনো রিসিভ করা হয় । রাখছি ।
ফোন কেটে দিতেই লাবিবা খাবার বের করে পাখিকে খাবার দেয় । বোতলে করে পানি দেয় । দিন কেটে যায় । রাতে আর পড়া হয়না । সেই পাখির সাথে কথা বলেই পুরো রাত কেটে যায় । সকাল দিকে একটু ঘুম আসে।
শারমিন ব্রেকফাস্ট করতে এসে দেখে লাবিবা আসেনি । শারমিনের খাওয়া শেষ হয়ে যায় তবুও আসেনি । লাবিবার রুমমেট কি কেউ নেই তাহলে ? রুমের সামনে এসে দরজা খুলা । তারমানে দরজা লক করেনি । খাটে দেখে একটা খাচায় টিয়াপাখি আর ঐ পাখিকে আঙুল ছুইয়ে বিভোরে ঘুমুচ্ছে লাবিবা । শারমিন বার বার ডাকছে লাবিবাকে । লাবিবার উদ্দিশ নেই । টেবিলে মামপট দেখে এনে মুখের উপর একটু পানি ঢেলে দেয় । ওমাগো ছাদ ফুটো ফুটো ফুটো বলে চিল্লিয়ে লাফিয়ে উঠে বসে লাবিবা । শারমিন খিল খিল করে হাসতে থাকে । লাবিবা মুখের থেকে হাত দিয়ে পানি মুছে গাল ফুলিয়ে বলে –কুত্তি তুই পানি দিলি আমায় । তোর কোন দিন বিয়ে হবে না দেখিস । লাবিবার পাশে বসে গলা জড়িয়ে বলে –বিয়ে না হলেও চলবে ক্রাসের সাথে প্রেমটা হলেই চলবে ।
–কিহ ! তুই আবার মাইনষের জামাইয়ের দিক নজর দিছস? তোরে আমি মানুষ করতে পারলাম না ।
—ওক্কে মা মানুষ করতে হবে না । প্রেম হলে বিয়ে করে নিবো প্রথমেই । বাড়ি থেকে বিয়ের কথা বলছে । আমার প্রেম করে বিয়ে করার সপ্ন এভাবে আমি নষ্ট হতে দিতে পারি না ।
—ছেলে কোনটা ? ঐদিন যে ঐ লম্বুটারে দেখে ফিট খাইতে খাইতে সোজা হয়ছিলি ঐটা ?
—আমার সপ্নের পুরুষ জানু ।
—খারাপ না । ভালোই মানাবে তোর সাথে । সমস্যা নাই কথা বলে দেখি চল ।
—লাভ ইউ জানু । এর জন্যই তোকে এতো ভালো লাগে । উম্মাহহ??
–সর সর কুত্তি? মাইনষের জিনিসে একদম ভাগ বসাবিনা বলে দিলাম ।
—ওহ সরি । আমি ভুলেই গেছিলাম তুই পুরোটাই অন্যের জিনিস । হাত দেওয়া নিষেধ ।
কলেজে এসে ক্লাসে বেঞ্চিতে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে লাবিবা । সারারাত ঘূম হয়নি । ক্লাস শেষে ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য উঠলে দেখে লাবিবা ঘুমোচ্ছে । ঘুম থেকে আর না ডাক দিয়ে শারমিনরা ক্যাম্পাসে চলে যায় । বাবু এসে দেখে শারমিনদের সাথে লাবিবা নেই । চেলাকে জিজ্জাসা করে –কিরে স্মার্ট সুন্দরী আসেনি ?
—আসছে ভাই । মনে হয় ক্লাস রুমেই আছে।
—ক্লাস রুমে না থাকলে প্রিন্সিপালের কাছে আছে তাইনা ? এটা বলবিনা ? যাই হোক দেখে আসি সুন্দরীটা কই আছে ।
ক্লাসে এসে দেখে পুরো ক্লাসে লাবিবা একাই । বেঞ্চিতে মাথা রেখে ঘুমোচ্ছে । সামনের বেঞ্চে লাবিবার দিক হয়ে বসে মুখে শয়তানি হাসি ফুটিয়ে তোলে । সুন্দর ঘুমন্ত মুখটা দেখে ঘোর লেগে যায় চোখে । হাত এগিয়ে নেয় লাবিবার দিকে । আঙুল দিয়ে হিযআপের কিনারা দিয়ে আঙুল ঘোরাতে থাকে মুখে । ঘুমন্ত লাবিবা বুঝতেও পারে না । বড় বড় পাপড়িতে ফু দিতে থাকে বাবু । লাবিবা হালকা নড়ে উঠে কিন্তু ঘুম ভাঙে না । মুখ এগিয়ে নিতে থাকে বাবু লাবিবার দিকে । যেই গালে মুখ লাগাবে সেই থমকে যায় । ছাত্রছাত্রী আসতে থাকে । শারমিন এসেই বাবুকে এই অবস্থায় দেখে চিল্লিয়ে উঠে । লাবিবা ধরফর করে উঠে দাড়িয়ে পড়ে । বাবুকে দেখে ভয়ে বুকে থু থু দেয় দুইবার । বাবু দু হাত উপরে তুলে বলে —কাম ডাউন কাম ডাউন গাইস। চিৎকার করার কি হলো ? আমি তো জাস্ট একটু ছুয়েছি । এই তোমাদের আর আসার সময় হলো না তাইনা ? আরেকটু পরে আসলে কি হতো ? কোন ব্যপার না সবাই বসে পড়ো । স্যার চলে আসবে ।
লাবিবা আমতা আমতা করে বলে —কোথায় ছুয়েছেন আপনি ? কেনো ছুয়েছেন ? আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে ছোয়ার ?
—মুখে ছুয়েছি । আরো জায়গায় ছুতেই পারলাম না তোমার বান্ধবীরা চলে এলো । আমার সাহস হবে না তো কার সাহস হবে ? আমার ছোয়া নিতে চাওনা তুমি ? প্রিন্সিপালের কোলে উঠে এখন আর আমাকে ভালো লাগছে না তাইনা ? বড় কিছু দিয়েছে নাকি তোমার ঐ প্রিন্সিপাল?(চোখ টিপ দিয়ে)
লাবিবা রেগে বাবুর মুখে থুতু দিয়েই চিল্লিয়ে উঠে —মুখ সামলে কথা বলুন । অসভ্য লোক কথাকার । আর কখনো আমাকে ছোয়ার চেষ্টা করবেন না আপনি । এখনো সময় আছে আমার পিছু ছাড়েন । নাহলে আপনার কপালে দুংখ আছে ।
হন হন করে বেড়িয়ে আসে লাবিবা । নিজ তলায় গিয়ে ডাইরেক্ট প্রিন্সিপালের রুমের দিকে চলে আসে । দরজায় এলে সাইফুল মামা আটকে দেয় । লাবিবা রেগে বলে —মামা আমাকে ভেতরে যেতে দেন ।
—দাড়ান স্যারকে জিজ্জাসা করি । দরজা ফাক করে বলতে যাবে তার আগেই লাবিবা ঠেলে ভিতরে ঢুকে পড়ে । সাইফুল মামা হা হয়ে তানভীরের দিকে তাকায় । লাবিবা একবার তানভীরের দিকে তাকিয়েই বাথরুমে চলে যায় । তানভীর সাইফুল মামাকে বলে –সাইফুল বাইরে দাড়াও । কেউ যেন আমাকে ডিস্টার্ব না করে । আর এই স্টুডেন্ট আমার আত্মীয় কখনো আমার রুমে আসতে আটকাবেনা ।
—ওকে স্যার ।
সাইফুল বেরিয়ে যেতেই তানভীর তাড়াতাড়ি বাথরুমে চলে আসে । দরজা লক না করেই লাবিবা ভেতরে রয়েছে । দুষ্টু পুতুল দুষ্টু পুতুল ডাকতে ডাকতেই তানভীর ভিতরে উকি দেয় । লাবিবা বেসিনের সামনে দাড়িয়ে আয়নায় দরজায় দাড়ানো তানভীরের দিকে তাকিয়ে আছে । হিযআপ খুলে হ্যাঙ্গারে রেখেছে । চুল গুলো পেছনে বাধা থাকলেও সামনে ছোট চুল গুলো এলোমেলো হয়ে আছে। বুকে উড়না নেই । গলার হাড বেরিয়ে আছে । ঘাড়ের রগ গুলো শক্ত হয়ে ফুলে উঠেছে । মুখ থেকে বিন্দু বিন্দু পানি পড়ছে । সারামুখ সহ সামনের দিকে চুল গুলোও অনেকটা ভেজা । ফেশওয়াসের দিকে আঙুল দিয়ে বলে —এটা কি আমি ইউজ করতে পারি ?? তানভীরের উত্তরের অপেক্ষা না করেই ইউজ করে । মুখে একের পর এক পানির ঝাপটা দিতে থাকে । তানভীরের ব্যপারটা একদমি ভালো লাগে না । বড্ড অগোছালো এলোমেলো লাগছে তার দুষ্টু পুতুলকে । এগিয়ে এসে কল অফ করে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয় লাবিবাকে । টাওয়েল দিয়ে মুখ হাত মুছে দেয় । হিযআপের উড়নাটা টান দিয়ে নিয়ে গলায় পেচিয়ে দিয়ে কোলে তুলে নেয় । বেরিয়ে এসে সোফায় বসে লাবিবাকে নিয়ে । কপালে ঠোট ছুইয়ে রাখে কিছুক্ষন । লাবিবার চোখ থেকে দু ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে । সেই জল বৃথা যেতে দেয় না । ঠোট দিয়ে শুষে নেয় । চোখে চোখ রেখে বলে —কে কষ্ট দিয়েছে আমার পুতুলটা ? নাম বলো । তাকে তার উচিৎ শিক্ষা দিবো আমি । লাবিবা বাবুর নামটা বলতে গিয়েও বলে না । ছাত্রলীগের সাথে প্রিন্সিপালের ঝামেলা হলে ব্যপারটা মোটেও ভালো হবে না । কলেজ বন্ধ করে দিতে পারে নয়তো প্রিন্সিপালকে ট্রান্সফার করে দিতে পারে । আরো অনেক ঝামেলা হতে পারে । তানভীর চলে গেলে আরতো দেখতে পারবেনা । এবার হারালে মরেই যাবে একেবারে । মরে গেলে বিয়ে কি করে হবে ? নাতির ঘরের পুতি পুতির ঘরের হুতি হুতির ঘরের মুতির মুখ দেখবে কি করে ? লাবিবা তানভীরের শার্ট খামচে ধরে বলে —স্যার আমার মুখটা একটু ছুয়ে দিবেন ? যাতে সর্বত্র আপনার ছোয়া মিশে থাকবে আর কারো নয় । এমনভাবে ছুয়ে দিন যেনো আর কখনো কারো ছোয়ায় এই ছোয়ার ছাপ মুছে না যায় ।
তানভীর দু হাতে দু গালে ধরে চোখে চোখ রেখে বলে –আমার দুষ্টু পুতুল পুরোটাই আমার । কেউ কখনো ছুয়ার চেষ্টা করলে আমি তার হাত ভেঙে দিবো ।
–দিননা ছোয়ে । আমি আপনার ছোয়া পেতে চাই শুধু আর অন্য কারো নয় । আমি পুরোটাই আপনার । কিন্তু আপনি আমায় ভালুপাসেন না । একটুও ভালুপাসেন না।
–কে বললো ভালুপাসিনা ? ভালুপাসিতো। আই লাভ ইউ । আই রিয়েলি লাভ ইউ অনেকমাচ । আমি শুধু তোমার দুষ্টু পুতুল শুধু তোমার ।
লাবিবা তানভীরের কোল থেকে এক ঝটকায় নেমে বলে
—আপনি ভালুপাসেন না । ভালুপাসলে এতো কষ্ট দিতেন না আমায় । আমি কতোক্ষন থেকে একটু ছোয়া চাইছি আপনি দিচ্ছেন না । লাগবেনা আপনার ছোয়া আমার । লাগবেনা আপনাকে । আপনি আপনার বিলাতি বধুকেই নিয়ে থাকেন।
এক মুহুর্ত দেড়ি না করে বেড়িয়ে আসে । তানভীর পেছন থেকে আটকাতে নিয়েও আটকাতে পারে না ।
পহেলা ফাল্গুনের জন্য অডিটরিয়মে রিয়ার্সেল করানো হচ্ছে । লাবিবা চুপ চাপ বসে আছে । সে তো রিয়ার্সেল করবে না কিছুতেই । মেম রা রিয়ার্সেল করতে বলছে কিন্তু লাবিবা তো তা করবে না । রিয়ার্সেলের জন্য সকাল সকাল আসতে হয়েছে । সকাল আটটায় এখনো দিনের চাদের মুখখানা দেখা হয়নি । প্রেজেন্ট খাতায় সই করা হয়েছে । এখন কোন মতে কেটে পড়লেই হলো । চুপি চুপি ব্যাগটা নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে । কুয়াশায় ঢাকা ভেজা ঘাসে পা রেখে মাঠে ঢুকে পড়ে লাবিবা । প্রচন্ড ঠান্ডায় পা লাল হয়ে যায় যা লাবিবার বেশ লাগে । পায়ের দিকে তাকিয়ে হাটতে থাকে । হটাৎ নিজের পায়ের সাথে আরেকজোড়া পায়ের দেখা মিলে । খালি পায়ের মাঝে লোমগুলো দেখেই লাবিবার মেরুদন্ড বেয়ে শীতল হাওয়া বেয়ে যায় । সাথে মুখেও অদৃশ্য হাসি ফুটে উঠে । হটাৎ একটা পা নিজের একটা পায়ের উপর ছোয়া দিয়ে যায় । থমকে দাড়ায় লাবিবা । চোখ পায়ের দিকেই সীমাবন্ধ।
—কষ্ট হচ্ছে তো এই ঠান্ডায় । লাল হয়ে গেছে ।
—আপনার বউয়ের কি ?
—আমার বউয়ের কিছুনা । কিন্তু আমার অনেককিছু। আমার দুই নাম্বার বউয়ের পা লাল হবে সেটা তো আমার সহ্য হবে না ।
—ফোন আছে তো সাথে । পিক দেখাবেন আপনার বউয়ের ?
—আমার বউকে না দেখে আমায় দেখো লাভ আছে ।
লাবিবা চোখ তুলে তাকায় । অন্যদিনের মতো ফরমাল ড্রেসে নেই তানভীর । টি শার্টের উপর হুয়াইট জ্যেকেট, লং প্যান্ট, খালি পা , গলায় হেড ফোন । সদ্য ঘুম থেকে উঠা মুখ । অসম্ভব সুন্দর লাগছে । ভেজা ঘাসের উপর বসে পড়ে লাবিবা । হাটু গেড়ে বসে দু গালে হাত মুঠি করে ঠেকিয়ে বলে —আপনার বিলাতি বধু কি খুব সুন্দর ? আমার থেকেও ?
—হা অনেক । সে তোমার মতো এত সাধাসিধে নয় । তুমিতো গাউন পড়ো । আমার বউ শাড়ি পড়ে । মারাত্মক সুন্দর লাগে । তুমি তো ঠোটে লিপিস্টিক দাওনা । আমার বউ চকলেট কালার লিপিস্টিক দেয় । তুমি তো কাজল আইলেন কিছুই দাও না । আমার বউ আইলেন দেয় কালারফুল আইলেন। তুমিতো
— আমি কিছু শুনতে চাইনা । কিচ্ছুনা ।
—-তুমি চাইলে জন্যই তো বলছি ।
— নাহ নাহ । আমি আর নিতে পারছিনা । আসি ।
To be continue____
®লাবিবা_____?