একগুচ্ছ_কালো_গোলাপ?পর্ব_৩৬

0
6048

একগুচ্ছ_কালো_গোলাপ?পর্ব_৩৬
#লাবিবা_তানহা_লিজা

?

তানভীরের কোয়ার্টারে সিফট হয়েছে অনেকদিন। কিন্তু কাজের চাপে এখনো পুরো কোয়ার্টার ঘুরে দেখেনি।এক কাপ কফি হাতে ঘুরে ঘুরে দেখছে সবকিছু। ওয়েদার একদম ক্লাউডি তাই পরিবেশটা দারুন লাগছে । ফোন বেজে উঠলে পকেট থেকে বের করে দেখে ফিরোজ ফোন দিয়েছে । মুচকি হেসে রিসিভ করে লাউড দিয়ে কাপে চুমুক দিয়ে বলে
—হাই পাপা। কনগ্রাচুলেশন ফর ইউর সাকসেস পাপা।
—হেই এতোক্ষনে …তো পাপাতো মন্ত্রীপদে চলে গেলো। ড.তানভীর খান কি আসবেনা পাপাকে কনগ্রাচুলেট করতে ?
—অফ কোর্স পাপা । কামিং টুডে । আফটার ভার্সিটি হলিডেস ।
—ওকে আই এম ওয়েটিং ফর ইউ মাই সন। বাই ।
— বাই।লাভ ইউ পাপা।

গাড়িতে উঠার সময় বাবু সামনে এসে দাড়ায় । হুডির কেপ খুলে বলে –আসসালামু আলায়কুম স্যার । কেমন আছেন ?
–ওয়ালাইকুম সালাম । আম ওকে । কিছু বলবে ?
— অবশ্যই স্যার । বলেই ফেলি । ভিডিওটা ডিলিট করে আপনি ঠিক করেন নি ।
—আমি ভুল খুব কমই করি । আরো কিছু বলবে ?
—এতো তাড়া কিসের স্যার । ভার্সিটি পরিচালনা তো আমিও করি । আপনার কি কাজ থাকতে পারে সবই জানি । আমাকে এতো ব্যস্ততা দেখাবেন না । এলিজার কাছে যাবেন নাকি ?
— লিসেন বাবু । আমি কি করবো সেটা আমার ব্যপার । তোমার স্পর্ধা দেখে আমি অবাক হচ্ছি । সামান্য নেতা হয়ে প্রিন্সিপালের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় সেটাই ভুলে গেছো । আমি তোমার স্যার । এই ভার্সিটির প্রিন্সিপাল । আমি যদি চাই তাহলে তোমার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া আমার বা হাতের খেল । নেক্সট টাইম থেকে ঠিক করে কথা বলবে । বেয়াদবি আমি হেট করি ।
গাড়ির গেইটে হাত দিতেই বাবু বলে উঠে
—সেটা নয় দেখা যাবে কে কার ক্ষমতা কাড়ে । আপাদত একটা কথা বলতে চাই ই এলিজা মেয়েটার সাথে আপনার অনেক ঘনিষ্টতা দেখছি । ছেড়ে দিন ব্যপারটা । ও আমার নজরে পড়েছে । ফিউচার জি এফ আমার । দুই নাম্বার জিনিস নেই না আমি। ইনটেক জিনিস বেশি__
আর বলতে পারে না বাবু । তানভীর ঘুরে ঠাস করে চড় বসিয়ে দেয় গালে । শার্টের কলার ধরে বলে
—এলিজার সম্পর্কে একটা কথাও বলবিনা তুই । তোর সাহস কি করে হয় ওর দিকে নজর দেওয়ার ? চোখ তুলে ফেলবো একদম । ওর আশে পাশেও যেন না দেখি । এটা তোর জন্য ফাস্ট এন্ড লাস্ট ওয়ার্নিং।
কলার ছেড়ে গাড়িতে ওঠে যায় তানভীর ।

বাসায় এসে ফিরোজ কে কনগ্রাচুলেট করে অর্কিডের বুকি দিয়ে । অর্কিড ফিরোজের অনেক ফেভারিট । সাথে ড্রেস তো আছেই । ডিনার করার সময় ফিরোজ বলে —তানভীর । একা থাকো তুমি । আমি চাই এবার দুকা থাকো । বয়স অনেক হলো । আর কতো ? আমি কি নাতির মুখ না দেখেই যাবো ।
—পাপা আর একটা বছর ওয়েট করতে চাইছি। দুষ্টু পুতুলের অনার্সটা শেষ হোক ।
ফিরোজ ছেলের দিকে তাকিয়ে বলে —তুমি এখনো দুষ্টু পুতুলেই আটকে আছো ? আমি তো ভুলেই গেছিলাম এই কথা । অনেক বছর দেখিনা মেয়েটাকে । ইসমাইল কে একবার বলতে হবে পরিবার সমেত দাওয়াত নিতে । ছবি আছে নাকি লাবিবার ?
তানিয়া ফোন থেকে লাবিবার একটা ছবি বের করে দেয় । ফিরোজ দেখেই হেসে ফেলে —মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দরী হয়ে গেছে দেখছি । মুখটা বাচ্চাদের মতোই আছে ।
সোহানা হেসে বলে –স্বভাব ও বাচ্চাদের মতোই আছে । আগেতো আসতো আমার কাছে । তুমি ঢাকায় ছিলে । বছর দেড়েক হলো আর আসে না ।
তানভীরের খাওয়া শেষ । উঠে দাড়িয়ে বললো –মম আমি আসছি । বেসিনে গিয়ে হাত ধুয়ে রুমে চলে আসে । চেঞ্জ করার জন্য আলমারি খুলে । ড্রেসগুলো এলোমেলো হয়ে আছে অনেক ।সব গুলো জড়ো করে ধরতেই একটা ডায়েরির মতো দেখতে পায় । হাতে নিয়ে দেখে ছোট্ট একটা ডায়েরি । ভিতরটা খুলতেই দেখে উপরে বড় বড় করে লেখা
“একগুচ্ছ কালো গোলাপের ভালুপাসা”
হাতের লেখা দেখে বুঝতে বাকি নেই যে এটা লাবিবার লেখা । এই মেয়েটার হাতের লেখা বরাবরই খারাপ । সুন্দর বলাই যায় না । বেডে এসে হাটুর উপর কুশন রেখে ডায়রীটা পড়তে থাকে ।
——–
” একগুচ্ছ কালো গোলাপের ভালুপাসায় মোড়ানো আপনার হৃদয় ছুয়েছে আমার হৃদয়কে । এ যেমন তেমন ছোয়া নয় ~এ যে প্রেম ছোয়া ~। যে ছোয়া একটু একটু করে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে প্রতিনিয়ত আর শক্তির সন্ধান দিচ্ছে ধৈর্যের ।বাড়িয়ে দিচ্ছে অপেক্ষার ক্ষমতা । আমি আজো পথ চেয়ে আছি আপনার অপেক্ষায় ……”

” যখন ছিলেন আমার অতি নিকটে বুঝিনি আমি কিছুই ,যখন গেলেন চলে অনেক দূরে বুঝিনি আমি কিছুই , যখন প্রতিনিয়ত বহমানিত হচ্ছিলো আপনার ফেলে যাওয়া স্মৃতি গুলো বুঝিনি আমি কিছুই ~~একগুচ্ছ গোলাপ আর আপনি ছাড়া~~”

” ভালুপাসা কি ? আমি কি জানতাম ? নাকি জানি ? আমি কিছুই জানি না ।আমি জানতে চাই ,আমি শিখতে চাই ~ আপনার থেকে । আপনি আমার স্যার …সারাজীবন স্যার বলেই মানতে চাই আর একটু একটু করে শিখতে চাই । ”

” গত তিন বছর আগে এই রাতে জেনেছি …আব্বু আর আংকেল আমাদের বিয়ের কথা বলছিলো । আপনিই নাকি বলেছেন আমাকে বিয়ে করবেন । আব্বু খুব ভয় পেয়েছিলো । বিদেশ গেলে নাকি মুড চেঞ্জ হয়ে যায় । আর আপনিতো ইউকের মতো একটা দেশে আছেন। আমিই আব্বুকে অভয় দিয়েছি । কারন কেউ না জানলেও আমি জানি আমার আব্বুর পরে কারো যদি আমার কপালে ছোট ছোয়ানোর অধিকার থাকে সেটি আপনার ই । আর ঐ ঠোটের ছোয়া পাওয়ার যদি কারো অধিকার থাকে সেটি আমার ই । আপনি পুরোটাই আমার । আপনার ভাগ আমি কাউকে দিতে পারবোনা ।”

” জানেন আমি না প্রায় সপ্নে দেখি একটা ফেয়ারি ব্লাক ড্রেস পড়ে একটা বাগানে কালো গোলাপের বাগানে বসে আছে ।আর একটা ডেবিল তাকে সেই গোলাপে ভরিয়ে দিচ্ছে । জানেন আমি না আরো সপ্ন দেখি । একটা শীতের রাতে জোছনা বিলাস করছে সেই ফেয়ারি আর ডেবিল মিলে । সারারাত কাটিয়ে দিচ্ছে দুজনে । ”

” আপনার ব্লাক আর হুয়াইট কালার শার্ট দুটি আমার কাছে । না নিয়ে থাকতে পারিনি । আপনি চলে যাবার দিন এই দুটি শার্ট পরেছিলেন । বুয়া ওয়াশ করতে নিয়েছিলো । আমি এই শার্ট দুটি ওয়াশ করতে দেইনি । কাউকে না বলেই আমার কাছে নিয়ে চলে আসছি।যদি খুজেন তো আমার কাছে পাবেন। আজো আপনার গায়ের সুবাশ পাই এই শার্ট দুটি থেকে । মনে হয় আপনি আমার কাছেই আছেন।”

” আমার সকাল হয় ফোনের স্কিনের ওয়ালপেপারে আপনাকে দেখে রাত হয় আপনাকে দেখে । আপনাকে বলাই হয়নি ….আমার যে আপনার দুটো জিনিস অনেক ভালো লাগে । লাল টকটকে ঠোট জোড়া আর উন্মুক্ত বুকের লোমগুলো । আগে না বুঝলেও এখন বুঝি আপনি এই দুইটি জিনিসের কথাই বলেছিলেন । চোখ ফেরাতে পারিনা আমি । আপনি একবার আসুন ….আমি আমার চোখের তৃষ্ণা মেটাবো আপনাকে দেখে। আপনি যে পুরোটা আমারই। ”

” আমি কিন্তু আর সেই বাচ্চিকাটি নেই …আমি বড় হচ্ছি। আমার চাহিদাও বেড়ে যাচ্ছে । এবার আমি একটা নয় একগুচ্ছ গোলাপ চাই আপনার কাছে । না দিলে কাদবো অনেক । কথা বলবো না । কথাও শুনবো না । বলে দিলাম হুহহ ।”

” তানিয়া বললো আপনি নাকি বিয়ে করেছেন । আপনার বিলাতি বধু নাকি হয়েছে। খুব নাকি ভালোবাসেন। তাহলে আমার জায়গা কোথায় ?”

” আমি ঠিক আছি । শরীর একদম সুস্হ। হৃদয়টাই অসুস্থ হয়ে গেছে । পচেও যেনো পচে যাচ্ছে না আপনাকে ভুলতে চাইলেও পারছিনা।কখনো পারবোওনা । ”

ডায়রিটা আলামারিতেই রেখে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় তানভীর । চোখ বন্ধ করে লাবিবার মুখটা কল্পনা করে ।
—তুমি বড়ো হয়ছো দুষ্টু পুতুল …কিন্তু তোমার ছেলেমানুষী গুলো রয়েই গেছে। তোমাকে আর কষ্ট পেতে দিবোনা পুতুল বউ। আই এম সরি এই ফানটা তোমার সাথে করার জন্য ।

আকাশ মেঘলা দেখে লাবিবা আর বসে থাকতে পারছেনা । শারমিনকে জোরাজুরি করতে থাকে বের হবার জন্য । শারমিন চরম বিরক্ত। তার বড় বোনের বার্থডে ঘটা করে পালন হচ্ছে তার বোনের শশ্বুর বাড়িতে অথচ সে যেতে পারছেনা তার লুচু ক্যান্ডি বেয়াইটার জন্য। লাবিবা রেগে গিয়ে বলে —শোক পালন কর তুই । বলছিযে বাইরে চল আমার সাথে তা যাবে না । ছুটির দিনটা সারাদিন রুমে বসে থাকার কোন মানে হয়না ।
—তুই যা তো । আমার ভালো লাগছে না। আমি ঘুমাবো একটু । ঘুমালেই মুড অন হয়ে যাবে আমার ।
লাবিবা রেগে রুমে এসে একটা সুতি মেরুন কালার গাউন আর হিযআপ বেধে নেয় । ওয়াটার প্রুভ ব্যাগটা নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে বাইরে । বৃষ্টির আগে ও পরে প্রকৃতি সবুজ হয়ে উঠে । রিভারের পাশে এসে বসে আছে লাবিবা । ঠান্ডায় ঠান্ডা হাওয়া অনেক ভালো লাগছে । চোখ পড়ে পাশের রেস্টুরেন্টের দিকে । নতুন হয়েছে রেস্টুরেন্ট টা দুতলায় । উপর থেকে সুন্দর একটা ভিউ পাওয়া যাবে আর ধোয়া উঠানো দুধচা ব্যপারটা জমপেশ হবে ভেবে উঠে রেস্টুরেন্টে চলে আসে লাবিবা । পেছন দিকের খোলা বারান্দার দিকে বসানো চেয়ার টেবিলে গিয়ে বসে । ওয়েটারকে ডাকতে যাবে হটাৎ চোখে পড়ে সামনের দু টেবিল আগে বসা তানভীর আর একটা ইংলিশ মেয়ের উপর । মেয়েটার আগা গোড়া সাদা । সাদা চুল , সাদা গায়ের রং ,সাদা টপ ,সাদা প্যান্ট ,ঠোট ভরা লাল লিপিস্টিক , কাধ পর্যন্ত চুলে ক্লিপ লাগানো সব মিলিয়ে অমাইক সুন্দর লাগছে । মেয়েটা তানভীরের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে । কখনো খাইয়েও দিচ্ছে দু জন দুজনকে । চোখের কোনা দিয়ে দু ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে লাবিবার ।আরো আসতে চাইলে চোখ মুছে ফেলে দু হাতে । ঝাপসা চোখে তাকিয়ে থাকে দুজনের দিকে । এটাই বুঝি সেই বিলাতি বধু ..কি সুন্দর …কতো স্মার্ট। বিলেতের মেয়ে হবেই তো এমন সুন্দরী । কি সুন্দর মানিয়েছে দুজনকে । আর এই মেয়েটার হাসি মুখটা একদম নজর কাড়া । দেখেই বুঝা যায় কতোটা প্রানোচ্ছল । এরোকম মেয়েরা অনেক ভালো মনের হয় । আর আমি কিনা তার সংসারে ভাগ বসাতে চাইছি । ছিহ লাবু তুই এতো খারাপ । না এটা কখনোই সম্ভব না । আই এম গুড গার্ল । আমি বেড গার্ল হতেই পারি না ।
তানভীর আর মেয়েটা উঠে দাড়ায় । এক হাত পকেটে রেখে অপর হাতে ছোট্ট করে একটা হাগ দেয়। বেড়িয়ে আসে রেস্টুরেন্ট থেকে । গাড়িতে তানভীর উঠে বলে
বেবি , টার্ন ইন দেট ডিরেকশন। মেয়েটা ঘুরে গিয়ে তানভীরের পাশের সিটে বসে পড়ে । গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ফ্রন্ট মিররের দিকে তাকাতেই বেক সাইট দেখে একটা মেয়ের । দুষ্টু পুতুল বলেই জানালা দিয়ে পেছনে তাকাতেই আর দেখতে পায়না কাউকে ।
_______________
টিপ টাপ বৃষ্টি শুরু হয়েছে । গাড়িতে না উঠে হেটেই যাচ্ছে লাবিবা । হোস্টেল এখান থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা হাটার পথ । পুরোনো দিনের অভ্যাস তো রয়েই গেছে হাটাহাটি করার । তাই আর পা চালাতে সমস্যা হচ্ছে না। সমস্যা তো হচ্ছে বুকে । মনে হচ্ছে কেউ হাত দিয়ে কলিজা ছিড়ে নিচ্ছে । বৃষ্টির পানির সাথে দু চোখ বেয়ে জলের কনা পড়ছে অবিরত । আস্তে আস্তে একটু জোরেই বৃষ্টি নেমেছে । লাবিবা পুরো ভিজে গেছে। সুতি জামা হলেও শরীরের সাথে লেপ্টে গেছে ।
রাস্তাঘাটের দোকানপাট সব বন্ধ। তাই মানুষ জন মাঝে মাঝে দু একজন চোখে পড়ছে । লাবিবার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে । সেদিকে লাবিবার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই । তার ভেতর বাহির জুড়ে শুধু একটা কথাই ফিরে আসছে সে আর তানভীরের পানে ছুটবেনা । অন্যের সংসারে আর নিজেকে লেলিয়ে দিবে না ।
ভার্সিটির এরিয়ায় ঢুকতেই বাবুর চোখে পড়ে । বৃষ্টির জন্য বাইক নিয়ে দাড়িয়ে আছে সবাই । পুরো ভার্সিটিতে বাবুর দল ছাড়া আর কোন ছিটেফোটাও নেই । সবাই ক্যারাম খেলায় ব্যস্ত। বাবু কাউকে কিছু না বলে ফোনটাবের করে রেখে লাবিরার পিছু পিছু বেড়িয়ে পড়ে । লাবিবা বিষাধ ভরা মন নিয়ে একমনে এগুতেই থাকে । বাবু পেছন থেকে এসে কাধে হাত রাখলেই লাবিবা চিৎকার দিয়ে পিছিয়ে যায় । বাবুকে দেখে কলিজা শুকিয়ে যায় এই ভারি বর্ষনেঝ । বাবুও এগুতে এগুতে বলে— চিৎকার করো কেনো সুন্দরী ? প্রিন্সিপাল যখন ধরে তখন তো আরো মাখো মাখো হয়ে যাও । সব দেওয়া শেষ নাকি প্রিন্সিপালকে । ভেবেছিলাম ইনটেক জিনিস নিবো । কিন্তু প্রিন্সিপালের চড় খেয়ে মনে হলো ইনটেকজিনিস আর আমার ভাগ্যে নেই । এবার আমি ওন্ড জিনিস ই নিবো। অপমানিত হয়ে মনে হলো এতে বেশি হার্ড হবে প্রিন্সিপাল ।
—আপনি একটা নোংরা মানুষ তাই আপনার চিন্তা ধারাও নোংরা ।
—আজ তোকেও নোংরা করবো ।
বাবু লাবিবাকে ধরতে গেলে লাবিবা চিৎকার দিয়ে বসে পড়ে। মামুন বাবুকে পেছন থেকে ধরে ধাক্কা দিয়ে বলে -কি করছিস টা কি ? পাগল হয়ৈ গেছিস ? ও তো তোকে সহ্য ই করতে পারে না তবুও কেন ওর পিছু লেগে আছিস ?
–ওকে আমার লাগবে । ওর জন্য আমি ঘুমোতে পারি না । কোন মেয়ের মাঝে সুখ পাইনা । ওকে আমার লাগবেই ।
–আমি কখনোই তোর এই নোংরা কাজ ওর সাথে করতে দিবো না ।
–তোর কেনো লাগে ? তোরও কি ওর দিকে নজর পড়েছে নাকি?
— মুখ সামলে কথা বল বাবু । এলিজা আমার বোন ।
–তোর কোন বাপের মেয়ে ও?
–কাউকে বোন বলতে গেলে বাপ লাগে না বাবু । ওর দিকে আর নজর দিবি না তুই । তাহলে তোর সাথে আমার সব সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে মনে রাখিস । এলিজা তুমি যাও ।
বেগ নিয়ে উঠে দাড়িয়ে এক দৌড়ে হোস্টেলে চলে আসে ।

To be continue ___

®লাবিবা____?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here