একগুচ্ছ_কালো_গোলাপ?পর্ব_৩৭

0
6149

একগুচ্ছ_কালো_গোলাপ?পর্ব_৩৭
#লাবিবা_তানহা_লিজা

?

ক্লাসে লাবিবাকে না দেখতে পেয়ে শারমিনকে জিজ্জাসা করে –দুষ্টু পুতুল আসেনি কেনো ? তুমি এলে অথচ ও আসেনি ।
—স্যার লাবু তো নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে । এতো ডাকলাম তবুও উঠলোনা ।
—দুষ্টু পুতুল কি নাক ডাকে ? জানতাম না তো ।
–না মানে স্যার..কথার কথা । স্যার মেয়েদের স্টাডি টুরের চাদাটা আমার কাছে রাখছি । তুলা শেষ হলে আপনাকে জমা করে দিবো ।
—দুষ্টু পুতুলের নামটা দিয়ে দিও ।
—কিন্তু স্যার ও তো বললো যাবে না । ওর আব্বু যেতে দিবে না । চাদা জমা দেয়নি ।
—আমি আছিতো । হু? নাম এড করে দিও ।
হোস্টেলে এসে শারমিন ডাইরেক্ট লাবিবার কাছে যায়। দুপুরের কড়া রোদের মাঝে বসে থাকতে দেখে রাগ উঠে যায় শারমিনের । সামনে টুল রেখে বসে লাবিবার মুখটা নিজের দিকে টেনে নিয়ে বলে —আমি যা প্রশ্ন করবো ঠিক ঠাক উত্তর দিবি । প্রিন্সিপালের সাথে তোর কিসের সম্পর্ক। তোরা আগের থেকে চেনাযানা দেখেই বুঝা যায় । এখন তোর কি হয় বল ।
লাবিবা পা দুটো গুটিয়ে নিয়ে কুল মুডে বলে —স্যার হয় । আগে পড়তাম স্যারের কাছে । পাশাপাশি গ্রাম। স্যারের আব্বু এমপি । আমার আব্বু চেয়্যারমেন । সেই দিক থেকে খুব ভাব ছিলো দুজনের রাজনীতি বিষয়ক। রেজাল্ট খারাপ করেছিলাম সেই জন্য কিছুদিন পড়িয়েছে । তাই চেনা যানা ।
—আমি এটা মেনে নিতে পারলাম না । তাই বলে এতো পসেসিভ ? স্টাডি টুরে তোর নাম ও দিয়ে দিয়েছে । তোর চাদাটাও দিবে ।
—বড়লোক মানুষ কয়েক হাজার টাকা স্টুডেন্ট এর জন্য দিতেই পারে । এই আর এমন কি । এখন দেখি আজকে কি কি নোট করেছিস । শারমিনের হাত ছাড়িয়ে ব্যাগ নিতেই শারমিন হাত ধরে ফেলে —কিরে তোর হাত এতো গরম কেনো ? কপালে গলায় হাত দিয়ে বলে –দোস্ত তোর তো জর । এর জন্যই এইভাবে ঘুমুচ্ছিলি ? কখন থেকে জর ?
–রাত থেকে ।
–মেপেছিস? মাপবিনা জানি । দ্বারা থার্মোমিটার নিয়ে আসছি ।
শারমিন থার্মোমিটার এনে মুখে ডুকিয়ে দেয় । একটু পর বের করে ঝাকাতে থাকে । লাবিবা বিরক্তি নিয়ে বলে –হুস হুস । ঝাকাচ্ছিস কেনো ? জরটাও মাপতে পারিস না । তরে এর জন্য তোর ক্রাস লাইক দেয় না ।
হাত থেকে কেড়ে নিয়ে দু চোখে সুক্ষ চাহনি দিয়ে দেখে । শারমিন জিজ্জাসা করে –কত জর?
— একশ একের উপর হবো হবো দুই । আচ্ছা দোস্ত কতো ডিগ্রি হলে মানুষ দাতে দাত লেগে, মাথায় রক্ত উঠে মারা যায়?
— একশ পাচঁ এর উপর হতে হয় । চল তোর মাথায় একটু পানি দিয়ে দেই ।
—গোছল করবো । তুই রুমে যা ।
বাথরুমে এসে শাওয়ার অন করে দেয় লাবিবা । নিচে বসে চোখ বন্ধ করে ভিজতে থাকে ।
_______________
রাতে তানভীরের ফোনে কল আসে দশটা নাগাত। হোস্টেল থেকে ফোন দেখে রিসিভ করতেই ময়নুল মামা বলে —আসসালামু আলায়কুম স্যার । আমি ময়নুল । স্যার হোস্টেলে একজন মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে । হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে । মেট্টন আছে হোস্টেল সুপারভাইজার মেডাম ও আসছে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য । আপনাকে জানালাম ।
—ওহ । কোন ইয়ারের ? কি হয়েছে হটাৎ?
—কাল থেকেই নাকি ফিভার । আজকে অনেক বেড়ে গেছে। থার্ড ইয়ারে পড়ে । এলিজা নাম মেয়েটার ।
—কিহহ???ফিভার মানে ?? আমাকে জানানো হয়নি কেনো এখনো ? হোস্টেলেই রাখো আমি আসছি ।
গাড়ির চাবি নিয়ে বেরোতে নিলে মিররে দেখে সে উদাম গায়ে একটা টাওজার পেন্ট পড়া । আবার ঘুরে এসে একটা জ্যাকেট গায়ে দিয়েই বেড়িয়ে পড়ে । পাচ মিনিটের ড্রাইভিং রোড় দুই মিনিটেই চলে এসেছে। কিভাবে এসেছে সে নিজেও জানে না । মাথা পুরো হিম হয়ে আসছে । গাড়ি থেকে নেমেই ময়নুলকে বলে –রুম নাম্বার ?
—৩০৪ স্যার ।
এক সেকেন্ড না দাড়িয়ে উপরে উঠতে থাকে । ময়নুল কিছু বলতেই পারে না । আজ পর্যন্ত যতো যা হয়েছে সব নিচ তালায় । দু তালায় পর্যন্ত উঠেনি কেউ কখনো । ময়নুল নিজেও জানে না উপর তালায় কি আছে ? মেয়ে মহলে মেয়েদের ই রাজত্ব। নতুন প্রিন্সিপাল সুন্দরভাবে তিনতালায় উঠে যাচ্ছে । পিছু পিছু ময়নুল আর আসার সাহস পায়নি । তানভীর রুমের সামনে যেতেই দেখে বিরাট ভিড় ।
— গার্লস , লেট ইট অল গো।
মেয়েরা প্রিন্সিপালকে দেখে লজ্জা পেয়ে যায়। কেউ কেউ নাইট ড্রেস বা কেউ কেউ ওড়না ছাড়াও রয়েছে । সেদিকে কি তানভীরের নজর কখনো পড়ছে বা পড়বে বলেও সন্দেহ । তার সমস্ত সুনজর কুনজর তার পুতুল বউয়ের উপর । মেয়েরা সরতেই ভিতরে ঢুকে পড়ে । বিছানার সারাদিক টেডি দিয়ে ভরা আর মাঝখানে লাবিবা শুয়ে আছে । শরীর কাপছে তার । কপালে জলপট্টি দেখে আরো রেগে যায় । মেয়েদের দিকে তাকিয়ে বলে –এখানে কি বালতি নেই ? মাথায় পানি না ঢেলে জলপট্টি কেনো দেওয়া হচ্ছে ?
মেট্টন বলে –স্যার পানি দেওয়া হয়েছে এতোক্ষন । এই মাত্রই জলপট্টি দেওয়া হলো । দেখেন চুল ভেজা।
কম্বল সরিয়ে বিছানার সাইড থেকে উড়না নিয়ে পেচিয়ে কোলে তুলে নেয় তানভীর । শারমিনের দিকে তাকিয়ে বলে –শারমিন চলো। আর কাউকে আসতে হবে না । আমি হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছি । লাবিবাকে নিয়ে নিচে চলে আসে । এদিকে লাবিবার গায়ের উত্তাপে তানভীরের গা পুড়ে যাচ্ছে । লাবিবাকে পেছন সিটে বসিয়ে মেট্টনকে বলে –ওর বাসায় যেন ফোন না করা হয় ।সুস্থ হলে পরে জানানো যাবে ।
হসপিটালে ভর্তি করিয়ে দেয় লাবিবাকে । লাবিবা জ্বরের ঘোরে শুরু স্যার স্যার করতে থাকে । তানভীর এক পা ও নড়ে না লাবিবাকে ছেড়ে । ডক্টর জ্বর কমার জন্য ইনজেকশন পোস্ট করে । জ্বর কমে আসলে স্যালাইন পোস্ট করে । খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করে না জন্য শরীর অতি মাত্রাই দুর্বল । সারারাত শারমিন আর তানভীর লাবিবার পাশে জেগে ছিলো । তানভীর তাকিয়েছিলো লাবিবার দিকে আর শারমিন ওদের দুজনের দিকে ।স্যার হয়ে স্টুডেন্ট দের জন্য এমন করবে অবিশ্বাস্য ব্যাপার । সকাল বেলা লাবিবার ঘুম ভাঙলে আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখে তানভীর পাশে বসে লাবিবার দিকেই তাকিয়ে আছে। দু চোখ ঘুমের কারনে লাল হয়ে আছে । লাবিবা আস্তে করে হাত উঠায় তানভীরের দিকে। তানভীর হাত ধরে । লাবিবা তানভীরের গালে হাত ছুইয়ে ধরে রাখে । তানভীর সেই হাতে চুমু দিয়ে বলে –ঠিক আছো ? লাবিবা মাথা নাড়ায় । সে তো ঠিক আছে এখন। কিন্তু তানভীর যে ঠিক নেই সেটা ভালোই বুঝতে পেরেছে । এদিকে শারমিন অবাকের চরম পর্যায়ে গিয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে । তানভীরকে তার দিকে ফিরতে দেখেই চোখ টুপ করে বন্ধ করে নেয় । তার মাথা ঘুরছে সামনে দুজনকে দেখে। চোখ বন্ধ রেখেই বলে ” আমি বাড়ি যাবো । এক্ষুনি যাবো । তানভীর আচ্ছা যাও বলার সাথে সাথে বেরিয়ে যায় । ডক্টর কেবিনে ঢুকে বলে
–গুড মর্নিং কিউটি ।ঘুম কেমন হলো ?
তানভীর মুচকি হেসে বলে –গুড মর্নিং ডক্টর । ঘুমিয়েছে। একটু আগে জাগলো। এখন ঠিক আছে ।
–গুড। তো হাতের ক্যানেলাটা খুলা যাক ।
লাবিবা চমকে উঠে । ক্যানেলা …কোথায় ক্যানেলা ? হাতের দিকে তাকিয়ে দেয় এক চিৎকার আম্মুনি…আমার হাতে সুচ ঢুকু ঢুকু । ইয়া বড়ো __উমম । তানভীর মুখ চেপে ধরেছে ইতি মধ্যে ।ডক্টরকে বলতেই ডক্টর তাড়াতাড়ি করে ক্যনেলাটা খুলে দেয় । তারাহুরোতে লাবিবা একটু বেশ ব্যাথাই পায় । ডক্টর চলে গেলে লাবিবা হাত দেখছে আর কাদছে । তানভীর নিজেও হাত ছোয়াচ্ছে আর বলছে –কিচ্ছু হয়নি দুষ্টু পুতুল। একটুই তো ব্যথা । প্লিজ সহ্য করে নাও । তুমিতো খুলতে দিতে না তাই তাড়াতাড়ি খুলতে বলেছি আমি ।
—আপনি খুব খারাপ ।
—আচ্ছা আমি খারাপ । তুমিতো ভালো । ফিভার বাধালে কেনো ? বৃষ্টিতে কেনো ভিজে‌ছো তুমি?
লাবিবা কথা বলে না । পা গুটিয়ে বালিশে হেলান দিয়ে বসে পড়ে । তানভীর ও লাবিবার পাশে গিয়ে বসে পড়ে। লাবিবার দিকে তাকিয়ে থেকে বলে –মম আসছে তোমাকে দেখতে । কাকা কাকিকে জানায়নি। ফোন দিয়েছিলো বার বার । একবার কথা বলে নিতে পারো । আর কাল পর্যন্ত হসপিটালে থাকছো । কিছু এনে দিবো খাওয়ার জন্য ?
লাবিবা আঙুল কামড়াতে কামড়াতে বলে –আপনি রাতে আমার কাছে ছিলেন আপনার বিলাতি বধু জানে ? উনি খুব সুন্দর প্রানোচ্ছল দেখলাম তার সাথে এমনটা করবেন না প্লিজ । কতো সুন্দর আপনাকে ভালুপেসে খাওয়াচ্ছিলো …
—যা সন্দেহ করেছিলাম তাই ঠিক । আর তার জন্য তুমি বৃষ্টিতে ভিজে ফিভারকে ওয়েলকাম করলে । থাপ্পর চিনো থাপ্পর ? বেদ্দপ মেয়ে?। ঐটা আমার ফ্রেন্ড ।বিডিতে আসছিলো তাই আমার সাথে মিট করে গেলো ।
—ফ্রেন্ডের সাথে কি কেউ বুকাবুকি করে ?
—ঐটা ওদের কালচার দুষ্টু পুতুল । যা জানোনা তা নিয়ে কথা বলো কেনো? এখন আর অন্যদের সম্পর্কে একটা কথাও বলবেনা তুমি। যা বলবে শুধু আমাদের দুজনকে নিয়ে । এদিকে আসো ।
তানভীর বুকে টেনে নেয় লাবিবাকে । লাবিবা মোচর দিয়ে উঠে বলে –আপনার কাছে যাবো না আমি । আপনি মেয়েদের সাথে বুকাবুকি করেন ।
—চুপ আর একটা কথাও না ।
লাবিবা তানভীরের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে । তানভীর চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে ।
–দুষ্টু পুতুল ..চুল কাটবেনা আর । ছোট করে ফেলেছো একদম ।
–কাটতে না কাটতেই বড় হয়ে যায় । আমি সামলাতে পারি না। যত্ম করতে সমস্যা হয় ।
—আমি আছিতো । দরকার পড়লে তোমার চুলের যত্ম করার জন্য লোক রেখে দিবো ।
–স্যার আপনি প্রিন্সিপাল কেনো হলেন ? আপনিতো ইউকে গিয়েছিলেন । সেখান থেকে ফিরে আপনি আপনি এতো কিছু রেখে প্রিন্সিপাল ই কেনো হতে গেলেন ? আর এই ভার্সিটিরি বা কেনো?
—এতো কষ্ট করে পড়াশোনা করলাম উচ্চ পদটা পাবার জন্যই তো । আমার পোস্টিং অন্য ভার্সিটিতে পড়েছিলো । সেখান থেকে ট্রান্সফার করিয়ে এনেছি তোমার জন্য । আমি যদি না আসতাম তাহলে তো তোমার থেকে দুরেই থাকতাম । আজ এই ভার্সিটিতে আছি জন্যই তো তোমার হোস্টেল পর্যন্ত যেতে পারলাম তুমার অসুস্থতায় ।
দরজায় নক শুনে দরজা খুলে তানভীর । সোহানা আর মমতা ঢুকে কেবিনে । লাবিবাকে গিয়ে বুকে জড়িয়ে নেয় । —কতোদিন পরে আমার মা টাকে দেখলাম তাও এই অবস্বায়। ছোট মুখের কি অবস্থা হয়েছে ….সোহানা মমতা বক বক করেই যাচ্ছে। তানভীর সোফায় বসে লাবিবার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছে । সোহানা লাবিবার জন্য নুডুলস করে এনেছে । কাল থেকে মেয়েটা কিছু খায়নি । আর জানেও যে তরল কিছু দিলে খাবেনা । সে বলবেই শাশুমা ডুডুলস খাবো । নুডুলস বের করে লাবিবাকে খাইয়ে দেয় । সোহানা তানভীরের দিকে তাকিয়ে চোখ লাল হয়ে আছে । মুখ শুকনো । রাত জাগার কারনে এমন চেহারা হয়ে আছে। তানভীর উঠে দাড়িয়ে বলে — মম তুমি কি একটু থাকবে এখানে ? আমাকে ভার্সিটি যেতে হবে । কাজ শেষ করে আসছি ।
—আচ্ছা আমি আছি বিকাল পর্যন্ত । তুই আয় । এই প্যাকেট টা নিয়ে যা ।তোর জন্য খাবার আছে ।
তানভীর চলে যায় ।
বিকালে তানভীর এসে দেখে সোহানা যাওয়ার জন্য রেড়ি । সোহানাকে পাঠিয়ে দিয়ে কেবিনে এসে দেখে লাবিবা জানালা খুলে দিয়ে চুল মুছছে । মাত্রই গোছল সেরে আসলো । বেগুনি রংএর একটা গাউন পড়া আর সাদা রংয়ের উড়নায় স্মিগ্ধ চেহারা চোখ ফেরাতে পারছেনা তানভীর ।নার্স এসে বলে –পেসেন্টকে একটা ইনজেকশন দিতে হবে । লাবিবা ইনজেকশন দেখেই লাফালাফি শুরু করে । পুরো কেবিন ছুটাছুটি করেও নার্স দিতে পারে না ইনজেকশন । অবশেষে তানভীর নার্সকে ইনজেকশন রেখে যেতে বলে। নার্স চলে গেলে তানভীর লাবিবাকে নিজের কাছে টেনে নেয় । লাবিবা চোখ মুখ শক্ত করে বলে –আমি সুচ দিবো না আমার গায়ে ।
তানভীর কোন কথা না বলে লাবিবার গলায় মুখ গুজে।চুমুর পরিবর্তে লিক করতে থাকে । কাধ থেকে জামার গলাটা একটু নামিয়ে দেয় ।ঠান্ডা গলায় উষ্ণ ছোয়ায় লাবিবা পুরো থ বনে চলে যায় । মুখ থেকে কোন আওয়াজ বের করতে পারে না । চোখমুখ শক্ত করে ফ্রিজ হয়ে আছে। ফট করেই তানভীর লাবিবাকে ছেড়ে দিয়ে কেবিনের বাইরে বেড়িয়ে আসে । তানভীরের হাতে ইনজেকশনের খালি সিরিজ দেখে লাবিবার মুখ হা হয়ে যায় । এইটা কিভাবে হলো?
রাতে আর তানভীরের হসপিটালে থাকতে হয়না । সন্ধ্যায় সাবিনা ইসমাইল চলে আসে ।

To be continue______

®লাবিবা___?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here