একগুচ্ছ_কালো_গোলাপ?পর্ব_৪৩

0
5818

একগুচ্ছ_কালো_গোলাপ?পর্ব_৪৩
#লাবিবা_তানহা_লিজা

?

সোফায় বসে গাল ধরে ফেস ফেস করে কাদছে লাবিবা। হিক তুলতে তুলতে বলে
–কেউ ভালুপাসে না । একজন গালে থাপ্পর দিয়ে পগারপার আরেকজন সেই গালেই থাপ্পর দিয়ে ভালোমানুষের রুপ নিয়ে বেডে কপালে হাত ঠেকিয়ে বসে আছে । আব্বু.. আমায় নিয়ে যাও..এই পচা ডলফিনটা মেরেছে আমাকে । তানভীর আড় চোখে একবার লাবিবাকে দেখে আবার অন্যদিকে ফিরে যায় । রাগে তার গা এখনো কাপছে । চিৎ হয়ে বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে থাকে । লাবিবা কেদেই চলেছে । তানভীর আর থাকতে না পেরে উঠে লাবিবার কাছে এসে পাশে বসে গাল থেকে হাত সরিয়ে দেয় । লাল হয়ে থাকা গাল দেখে বলে
–দুষ্টু পুতুল… কোথায় ছুয়েছে তোমার ? বলো আমাকে ? কোথায় কোথায় হাত দিয়েছে তোমার ? হাতে পেটে গালে গলায় হাত দিয়ে বলে এখানে ছুয়েছে ..নাকি এখানে ? বলো আমাকে ? সেদিন ও তোমাকে ছুয়েছিলো তাইনা ? তারজন্য আমার কাছে এসেছিলে তুমি ? একবারো বলোনি কেনো তোমার মুখে ছুয়েছে ঐ রাসকেলটা ..বলো আমাকে তাকাও আমার দিকে। কোথায় ছুয়েছে বলো। লাবিবার গালে ঠোটের স্পর্শ দেয় । দু গাল চেপে ধরে একের পর এক চুমু দিতে থাকে। কোমড় ধরে নিজের কাছে টেনে আনে। কঠিন ভাবে জড়িয়ে ধরে ঠোটে ঠোট মিশিয়ে দেয়। এদিকে লাবিবার দম বন্ধ হয়ে আসছে । তানভীরের পাগলামো তার বুকে ক্ষতো করে দিচ্ছে। ধাক্কিয়ে সরিয়ে দিতে গিয়েও সরাতে পারছেনা।শেষমেষ নিজেই ঠোটে কামড় বসিয়ে দিয়ে তানভীরকে ছেড়ে উঠে দাড়ায় । এদিক ওদিক পালানোর রাস্তা না পেয়ে খাটের নিচে ঢুকে পড়ে । পিছু পিছু তানভীর এসে ধরতে গেলে লাবিবা আরো পিছিয়ে যায় । তানভীর রাগ দেখিয়ে বলে
–দুষ্টু পুতুল বেরিয়ে আসো । ওখানে গেলে কেনো বেরিয়ে আসো বলছি । খাটের নিচে অনেক পোকা মাকড় থাকে কামড়াবে তোমাকে । বেরিয়ে আসো ।
–না আমি বেরোবো না । এখানে একদম পরিষ্কার । আমি আজ এখানেই ঘুমাবো । এতো ছোট জায়গায় ডলফিনের মতো শরীর নিয়ে আপনি আমি অব্দি পৌছতেই পারবেন না আমি জানি ।
তানভীর আশাহত হয়ে ফ্লোরেই বসে পড়ে । দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলে
–দুষ্টু পুতুল..বেরিয়ে আসো শেষ বারের মতো বলছি ।
–একটা বালিশ দিননা। আমার ঘুম পাচ্ছে । আরেকটা কাজ করে দিন প্লিজ । আমার রুমে গিয়ে দেখবেন আমার ব্যাগে চকলেট বক্স আছে । একটু নিয়ে এসে দিননা প্লিজ । খুব ক্ষিধে পেয়েছে ।
–আমি ছোবো না তোমাকে হেপি ? এখন বেরিয়ে আসো ।
–আপনার বিশ্বাস নেই । ওমাগো মেরেই দিচ্ছিলো আমাকে । ওভাবে কেউ কাউকে ধরে নাকি ? আমার ছোট্ট কলিজার জীবনটা ফুরুৎ করে উড়ে যাচ্ছিলো । সেদিন কোয়ির্টারের রাতে কথা কি আমি ভুলে গেছি ? তখন তো বলেছিলেন আপনি আমাকে ভালুপাসেন । তাই বাসর করতে চেয়েছিলেন । আর আজ হুটহাট বলে দিলেন আপনার আমার বিয়েও হয়ে গেছে । এখন তো বাসর ষ্কয়ার করবেন আপনি । আমার জীবনের মূল্য আছে আমার কাছে । আপনার চিপায় পড়ে ছোট্ট কলিজাটা হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে শহীদ খাইতে না চাওয়া আমার এই নিষ্পাপ মন ।
–তোমার বক বক শেষ হয়েছে ? এবার বের হও।দুষ্টু পুতুল এদিকে আসোতো মাথাটা ব্যথা করছে একটু চুল গুলো টেনে দাও আমি ঘুমাবো ।
লাবিবা শুনেও না শুনার ভান ধরে আছে । ঠেকা পড়েছে তার চুল টেনে ঘুম পাড়িয়ে দিবে ।
লাবিবার কোন হেলদোল দেখা যায় না । তানভীর এবার খাটের তলায় মাথা ডুকিয়ে দিয়ে দু হাত ধরে টেনে লাবিবাকে বের করে । লাবিবা চিল্লাতে থাকে । মুখে হাত দিয়ে চুপ করিয়ে দেয় লাবিবাকে । কোলে নিয়ে খাটে ধপ করে ছেড়ে দেয় উপর থেকে । লাবিবা পা আর কোমড় ধরে আবার চিল্লিয়ে উঠে । ঘাবড়ে যায় তানভীর । পা ধরে বলে
–ব্যথা পেয়েছো আবার । তখনকার ব্যথা কমেনি এখনো ? কোমড়ে হাত দিতেই লাবিবা সরে যায় । পা ছেড়ে দিয়ে দাড়িয়ে পড়ে তানভীর । মুখে বিরক্তির ছোয়া টেনে বলে
–এতো কিসের চেচামেচি তোমার ? আজ হোক কাল হোক আমারি হবে । শুধুশুধু মেজাজ খারাপ করে দাও আমার । চুপসে যায় লাবিবা । চেচামেচি করা যে তার স্বভাবে পরিনত হয়েছে এটা যে কারো বিরক্তির কারন হতে পারে সেটা ভুলেই গিয়েছিলো । তানভীর কিছু না বলেই বাইরে বেরিয়ে যায় ।মিনিট বিশেক পর হাতে খাবারের বক্স নিয়ে ফিরে আসে । বাথরুম থেকে হাত ধুয়ে এসে বক্স খুলে লাবিবার সামনে বসে । আনবক্স করতেই বিরিয়ানির মিস্টি একটা স্মেল বেরিয়ে আসে । লাবিবা এক মিনিট বলে নাক ডুবিয়ে স্মেল নেয় । তা দেখে তানভীর মুচকি হাসে । লুকমা নিয়ে লাবিবার মুখের সামনে ধরতেই লাবিবা মুখে পুরে নেয়। লাবিবাকে খাইয়ে নিজেও খেয়ে নেয় । প্যাকেট ঝুড়িতে ফেলে এসে দেখে লাবিবা পানি খাচ্ছে । মামপট হাতে নিয়ে টেবিলে রেখে লাবিবার গা ঘেসে বসে পড়ে । এবার আর চেচামেচি করছে না লাবিবা । পকেট থেকে ছোট্ট একটা মলম বের করে । আঙুলে নিয়ে আলতো করে লাবিবার গালে লাগিয়ে দেয় । লাবিবার গাল বেয়ে দু ফোটা জল বেয়ে পড়ে । একহাতে বুকে জড়িয়ে নিতেই লাবিবা দু হাতে গলা জড়িয়ে নেয় । ঘাড়ে ছোট্ট করে চুমু দিয়ে বলে
–আল্লাহর অশেষ রহমতে তোমার কিছু হয়নি দুষ্টু পুতুল । আজ যদি তোমার কোনো ক্ষতি হয়ে যেতো আমি নিজেকে কোনদিন ক্ষমা করতে পারতাম না । তুমি তোমার বাবার সম্পদ । সেই সম্পদ তিনি আমার হাতে ভরসা করে হস্তাস্তর করেছে । এখন তুমি আমারো সম্পদ । আমি যদি আমার সম্পদকে রক্ষা না করতে পারি তাহলে আমিতো এই সম্পদ ভোগের অযোগ্য । আমি মরে যেতাম দুষ্টু পুতুল তোমার কিছু হলে । খুব ভালুপাসি খুব । তোমার পশম গুলো পর্যন্ত শুধুই আমার । আর কাউকে আমি ভাগ দিতে নারাজি।
–বাবু আমার হাত ছুয়েছে আর কোথাও ছুইতে পারেনি।
–আর কখনো পারবেও না । তুমি শুধু আমার । এখন রুমে যাও। এখনি ঘুমোবে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়বো ‌।
লাবিবা আরো জোরে জড়িয়ে ধরে । তানভীর হেসে ফেলে ।
–এবার আমাকে চিপকাইয়া শহীদ খাওয়াতে চাও নাকি ?
–উহু। একটু থাকি না এভাবে..ভালো লাগছে । –আচ্ছা তাই নাকি !! ফুল এনার্জিতে আছি । বাসরটা সেরেই ফেলি কি বলো? লাবিবা চট করে ছেড়ে ফট করে দৌড়ে নিজের রুমে চলে আসে । শারমিন লাবিবাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে ।
–দোস্ত তুই বেচে আছিস? আল্লাহ তোমার দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া । লাবিবা বিছানায় গিয়ে কম্বল গায়ে টেনে নিয়ে বলে
–একটা কথা কিন্তু সত্য ..কিছু কিছু সময় মানুষ না মরতে পারলেও ঠিকি মরে যায় ।
শারমিন কিছুই বুঝতে পারে না । আবার বুঝতেও চায় না । হা করে তাকিয়ে থাকে ।

সকালে ভোরে উঠে তানভীর লাবিবাকে নিয়ে বাসায় চলে আসে । লাবিবাকে বাসায় রেখে ফিরোজের অফিসে চলে আসে । ফিরোজ ছেলেকে দেখে অবাক হয় । বসতে বলে । তানভীর বসতেই ফিরোজ বলে –টুর রেখে এখানে কি করছো ? এনি প্রবলেম ? গত পরশুইতো সীতাকুন্ডে গেলে ।
–পাপা একটা ছেলেকে মেরেছি । বাবু নাম ।আমার পথে সমস্যা করতে পারে ।
–ঐদিকটা আমি সামলে নিবো টেনশন নিও না । কিন্তু অপরাধ টা কি ছেলেটার?
–তোমার বউমার দিকে হাত বাড়িয়েছে।
–বাচিয়ে রাখলে কেনো ? আমি চাইনা আর বেচে থাকুক ।
–বাচলেও মরার মতোই বাচবে । পাপা লাবিবার থার্ড ইয়ারের পরিক্ষা কয়েকদিন পরেই । শেষ হওয়া মাত্রই আমি আমাদের বাসায় নিয়ে আসতে চাই।
–আমি তো এখনি আমার ঘরের লক্ষীকে চাই । তুমার জন্যেই লেইট হচ্ছে । ড্রাইভ করে এসেছো । বাসায় গিয়ে রেস্ট নাও ।
___________
বিছানায় পা মুড়িয়ে বসে সামনে বই খাতা ছড়িয়ে গভীর ভাবে পড়াশুনা করছে লাবিবা। দরজা খুলে এক দৌড়ে লাবিবার উপর ঝাপিয়ে পড়ে জাননু বলে ।দুজনের চিৎকারে কিচেন থেকে দৌড়ে আসে সাবিনা । দরজায় আসতেই দেখে নুপুর লাবিবা খাটে গড়াগড়ি খাচ্ছে । হাসতে হাসতে বলে পাগলীটার কই থেকে উদয় ঘটলো বলোতো ? নুপুর উঠে বসে বলে
–আন্টি আমার তো পরশু দিন আসার কথা ছিলো কিন্তু ভাইয়াকে বুঝিয়ে আজি চলে এসেছি সকালে ।
–রান্না বসাচ্ছি আমি ।
–আন্টি বেগুন চচ্চড়ি খাবো কিন্তু ।
সাবিনা হাসতে হাসতে চলে যেতেই লাবিবা উড়া ধুড়া চড় শুরু করে দেয় ।
–কুত্তি তুই আজ আসবি বললিনা কেনো আমাকে ? –আরে ছাড় ছাড় । সারপ্রাইজটা কেমন দিলাম বলতো ?।
–ভুরি ভুরি । দুই বান্ধবীতে মিলে গল্প শুরু করে দেয় । কিন্তু মুইনের সাথে দেখা হয়েছে এটা বলেনি লাবিবা । বলবে কোথা থেকে!!গোবর পচা মাথায় মনে থাকলে তো বলবে ।
কয়েকদিন পর শারমিন ফোন দেয় লাবিবাকে । ফোন ধরতেই শারমিন বিদুৎ এর গর্জনের মতো চিল্লিয়ে কেদে উঠে । এদিকে লাবিবা কি হয়েছে কি হয়েছে বলতে বলতে অস্থির । কিন্তু শারমিন কন্টিনিউয়াসলি কেদেই যাচ্ছে । উপায় না পেয়ে লাবিবা চুপ করে থাকে । প্রায় আধা ঘন্টা পর কান্নার গতি কমলে বলে
–দোস্ত।
–বল।
–আমার বিয়ে । চলে আয় ।
–ও আমার আল্লাহ । এতো খুশির খবর । তুই কাদছিস কেনো তাহলে মরার মতন ?
–কাদবোনা আমি ??আমার এত্তোগুলা ক্রাসের কি হপ্পে ? ওরা যে সাইসুইড খাবে । তার জন্য তাদের কষ্টে কষ্টিতো হয়ে আমি জল ঝরাচ্ছি মোর অক্ষি দিয়ে।
–দোস্ত এখন তো আমিও কষ্টিতো হয়ে গেলাম তোর কষ্টে । তোর একটা ক্রাস ও জানতে পারলোনা যে তুই তার উপর ক্রাশ খাইছিস । আফসোস । তো জামাইয়ের উপর কি খাইছিস ক্রাস?
–তারে তো অক্ষি দারা দর্শন করিতে পারিলাম না আদৌ। হুটহাট আব্বু বলিতেছে ছেলে আসিয়াছে আজি বিবাহ হইবে ।
–তুই কষ্টে কষ্টিত হয়ে আমাকে ইকোনোমিক্স ডিপার্টমেন্টে রেখে বাংলা ডিপার্টমেন্টে এন্ট্রি নিচ্ছিস নাকি দোস্ত! এতো বড় বড় অংক গুলা আমাকে তুই হীনা একাই করতে হবে এবার?
–শুনিয়াছি আমার উনি নাকি বাংলা ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট ছিলেন । তাই এখন থেকে অভ্যস্ত হচ্ছি সাধু ভাষায় কথা বলিতে । স্যারকে নিয়ে তাড়াতাড়ি চলে আয় ।
–কোন স্যার?
–দুলাভাই স্যার।
–স্যার কেনো যাবে ? আমি একাই যাবো । নুপুরো যাবে আমার সাথে ।
–কেনোরে..তোর একাই হক আছে নাকি ? আমার দুলাভাই স্যারের ও হক আছে । আমি বলে দিয়েছি । তুই রেড়ি হ তারাতারি স্যার তোকে পিক করবে । রাখছি ।
তানভীর লাবিবার বাসার একটু সামনে এসে ফোন দেয় । লাবিবা ফোন ধরে বলে
–স্যার এক মিনিটে দাড়ান আমি তিন মিনিটে আসছি বলেই ফোন কেটে দেয় ।
দশ মিনিট পর লাবিবা বের হয়ে আসে । লাবিবাকে দেখে তানভীর বড় সড় একটা ক্রাস খায় । মুখ থেকে বের হয়ে আসে –এই এত্তো কেনো সুন্দর লাগছে তোমাকে ? তোমার বিয়ে বাড়ি যাওয়া ক্যান্সেল ।
লাবিবা গাড়িতে উঠে বসে বলে –আপনি কেনো সব সময় এত্তো সুন্দর ? আপনার ঘর থেকে বাইরে বেরোনো ক্যান্সেল । বলেই খিল খিল করে হেসে উঠে । সেই হাসির সুরে হৃদয়ে গান গেয়ে উঠে ।
গাড়ি স্টার্ট দেয় । লাবিবা মুখে হাসি ফুটিয়ে তানভীরের দিকে তাকিয়ে থাকে । তানভীর ও আড় চোখে বার বার দেখছে ।
–গোলাপী রানী আমার শালিকার জন্য গিফ্ট কি নিবে ?
–সেটা আপনি জানেন । আপাদত সামনের মোর থেকে আপনার আরেক শালিকাকে পিক করেন ।
মোরে এসে গাড়ি থামতেই নুপুর এক দোকান থেকে বেরিয়ে আসে । তানভীর কে সালাম দিয়ে গাড়িতে উঠে বসে । তানভীর গাড়ি চালাতে চালাতে বলে –নুপুর এতোদিন পর গ্রামে…ব্যপার কি? গ্রাম কি এখন ভালো লাগে না ?
–না স্যার তেমন কিছু না । আব্বু আসতে দেয় না ।
–কেনো ?
নুপুর লাবিবার দিকে তাকাতেই লাবিবা চোখে ইশারা করে ।
–আসলে ভাইয়া । মুইন ভাইয়ের নাম তো শুনেছেন। ভাইয়াটা আমাকে পছন্দ করে অনেকদিন থেকে। আব্বু বিয়ের জন্য ছেলে দেখছিলো । তখন আমি আব্বুকে বলেছিলাম মুইন ভাইকে পছন্দ করি । তারপর থেকে আমার গ্রামে আসা বন্ধ। মজার ব্যপার কি জানেন ভাইয়া ? মুইন ভাই মনে হয় সাত বছর থেকে গ্রামেই আসে না । আমিও দেখিনি । আব্বুও কোন খোজ জানেনা মুইন ভাইয়ের । তবুও আমার গ্রামে আসা বন্ধ।
–বুঝলাম । বাবা মার কথা শুনবে সব সময় । আর মুইনের ব্যপারে কিছু জানলে জানিও । আমরা হেল্প করতে পারি ।
লাবিবা মিটি মিটি হাসছে দেখে তানভীর ও হাসে । চন্দ্রনাথ মন্দিরে তার সামনেই লাবিবা মুইনের সাথে কথা বলেছে । নাম্বারো নেওয়া আছে ।
একটা মলের সামনে গাড়ি দাড় করায় । নুপুরকে আসতে বললে নুপুর গাড়িতেই থাকবে জানায় । মুইনের কথা মনে হতেই মন খারাপ হয়ে গেছে তার । মুইনের সেই পাগলামি গুলো হাসির হলেও আজকাল মন খারাপ করায় তার । মুইনের মতো একটা পাগলের খুবই প্রয়োজন তার জীবনে । এতো এতো ছেলের মাঝেও ঐরকম পাগল একটা ছেলের সন্ধ্যান মেটাতে পারেনি আজো । লাবিবাকে নিয়ে একটা গোল্ডের দোকানে ডুকে তানভীর । শারমিনের জন্য ইয়ারিং দেখছে লাবিবা । তানভীর দোকানদারকে দেখিয়ে নোজ পিন আর কাকন বের করায় । লাবিবা কাকন গুলো হাতে নিয়ে বলে
–ওয়াও । এগুলো নিবেন ? শারমিনের হাতের মাপ এর থেকে বড় হবে মনে হচ্ছে । তানভীর মুচকি হেসে লাবিবার হাত ধরে কাকন পড়িয়ে দেয় । লাবিবা অবাক হয়ে তানভীরের দিকে তাকিয়ে থাকে । তানভীর দোকানিকে বলে
–আপু ডায়মন্ড হবে ?
–কি নিবেন ?
–নোজ পিন ।
–ওয়েট স্যার । দোকানি ভিতর দিকে চলে যায় । লাবিবা হাতের দিকে তাকিয়ে বলে
— আমি নোজ পিন পড়িনা।
–আজ থেকে পড়বে ।
–এসব কি !!
— সেইফটি । আমার বউ সব সময় বউয়ের মতোই থাকবে ।
দোকানি নোজ পিন আনলে একটা চুজ করে পড়িয়ে দেয় নাকে । ঘামে ভেজা নাকে ডায়মন্ড চিক চিক করে উঠে । ঘাম গুলোকেও ডায়মন্ড মনে হচ্ছে । দোকানিরা অন্য দিক তাকাতেই নোজপিনের উপর চুমু দিয়ে দেয় । লাবিবার গাল দুটো লাল হয়ে যায় ।

To be continue_____

®চলবে______?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here