অদৃশ্য স্পর্শ,০৫,০৬

0
1586

গল্পঃ অদৃশ্য স্পর্শ,০৫,০৬
ইমতিয়াজ আহমেদ চৌধুরী
( পঞ্চম পর্ব )

-“ তুমি জ্বীন হয়ে আমার সামনে শারীরিক মেলামেশা করেছো আশিক, এই বিষয় ঠিক কিভাবে ব্যাখ্যা করবো জানিনা! কিন্তু বড়ো কথা হলো আমি আকাশকে ভালোবাসি, ও এসব জানলে মনে অনেক কষ্ট পাবে, আমি চাইনা ভালোবাসার মানুষটাকে কষ্ট দিতে! যা হবার হয়ে গেছে, জ্বীন দ্বারা হেস্তনেস্ত হলে সমাজে অতটা প্রভাব পড়েনা, তুমি চলে যাও আশিক।” কথাগুলো তৃষা বললো আশিককে।

আশিক মাথা চুলকে বললো,– জ্বীন দ্বারা হেস্তনেস্ত মানে, হেস্তনেস্ত কি? মানুষ যে কত আজগুবি শব্দ ব্যবহার করে!

আশিকের কথা শুনে তৃষা হেসে ফেলে আবার গম্ভীর হয়ে বললো,– তুমি কুকর্ম করতে পারো, আবার হেস্তনেস্ত বোঝো না!

: আচ্ছা তৃষা আমার ভুলের জন্য আমি অনুতপ্ত, দুঃখ প্রকাশ করছি আমি।

: আশিক তুমি চলে যাও, সেটাই বেটার হবে।

: তৃষা আমি চলে যাবার জন্য আসিনি, আর ছেড়ে যাবার জন্য ভালো বাসিনি।

: বাহ! বাহ! পূর্ব জন্মে রবী ঠাকুরের নিকটাত্মীয় ছিলেন মনে হয়!

: তৃষা সিরিয়াস হও, তোমায় ভালোবাসি বলেই এতদিন পর্যন্ত একটা মুহূর্তের জন্যও আমি চোখের আড়াল করিনি!

: মানে! অসভ্য একটা।

: অসভ্যতামীর কি করলার তৃষা!

: একটা মুহূর্তের জন্যও চোখের আড়াল করোনি মানে! মানে আমি গোসলে গেলে, বাথরুমে গেলেও…!

: হা হা হা, কিসব বলো তুমি তৃষা!

: তো কী! লুচ্চা জ্বীন একটা।

: হা হা হা, আমি তোমাকে ভালোবাসি তৃষা, তোমায় বিয়ে করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। যেটা ভুলে হয়ে গেছে সেটা বাদ দাও। তোমরা মানুষরা কজন মনের টানে প্রেম করো বলো তো, শরীরের প্রতি চাহিদাটাই তো বেশি থাকে তোমাদের। কদিন প্রেম ভালোবাসার অভিনয় করে শারীরিক মেলামেশা হয়ে গেলে আগ্রহ শেষ, তারপর ছেড়ে চলে যাওয়া। বেশির ভাগ প্রেমের শেষ পরিনতি শারিরীক মেলামেশা পর্যন্ত। কিন্তু প্রেম মানে আজীবনের একটা উদ্যোগ, ভালোবেসে একে অপরকে সারাজীবন জড়িয়ে রাখার বন্ধন, এটা কজন মানে বলো?!

আশিকের হাসিতে আর কথায় ভীষণ মুগ্ধ তৃষা। তৃষা বললো,– আশিক, তুমি নিজেও জানো তুমি জ্বীনজাতি আমি মানুষ জাতি, তারচেয়ে বড়ো কথা আমি আকাশকে ভালোবাসি।

আশিক মুখ মলিন করে উচ্চস্বরে বললো,– তুমি আকাশকে ভালোবাসো, আর আমি তোমাকে ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি।

এদিকে ভিরমি খেয়ে পড়ে থাকা আহির হুঁশ ফিরতেই উঠে দাড়িয়ে আশিককে বললো,– ভালোবাসেন ভালো কথা, সেটা পুরনো বাংলা ছায়াছবির মতো তিনবার বলা লাগে কিসের জন্য! একবার বললেই হয়, আমার বোন বয়রা না যে একবার বললে শুনবে না। এদের ভালোবাসার ঠেলায় ভিরমি খেয়েও শান্তি নেই।

আহির কথা শুনে আশিক এবং তৃষা হেসেই অস্থির।

আহি আবার বললো,– আমার বইনের এতটাই দুর্দিন আইলো যে ভূতের মুখেও ভালোবাসি শুনতে হয়।

আশিক ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল আহির কথায়।

তৃষা হেসে ফেলে বললো,– হা হা হা, আহি ও ভূত নয়, জ্বীন।

আহি বললো,– ভূত হইলেও আপত্তি নাই, ভূত যদি এরকম কিউট হয় তাইলে জাতি তাকে দুলাভাই হিসেবে মানতে রাজি।

তৃষা হেসে ফেলে বললো,– তুই এক্টু থাম এবার!

আহি বললো,– থামতে চকলেট লাগবে। এত্ত কিউট জ্বিন, মনে হয় ফুচকার সাথে মিশিয়ে খাই, বাপ্রে কি মারাত্মক সুন্দর।

আহির কথায় ভীষণ খুসি হলো আশিক, সামনের দিকে হাত বাড়াতেই আশিকের হাতে কতগুলো চকলেট দৃশ্যমান হলো। তাই দেখে চকলেট গুলো লুফে নিয়ে আহি বললো,– পয়সা খরচ ছাড়াই যখন তখন এরকম প্রিয় জিনিস হাজির করা পোলা হাত ছাড়া করিসনা আপু, আমি বড়ো হইলে পৃথিবী ছেড়ে ভাইগ্গা যাইতাম এই জ্বীম বেডারে লইয়া। শুধু চকলেট খাইতাম।

তৃষা হেসে হেসে বললো,– তয় এহনই এই জ্বীন বেডারে লইয়া ভাগ, বড়ো হইলে বিয়ে করিস দুজন।

তৃষার মা আসছে দেখে আশিক অদৃশ্য হয়ে গেল। তৃষার মা রুমে ঢুকে বললো,– কিরে কিছুক্ষণ আগে ভালোবাসি ভালোবাসি বলে চিল্লাইলো কেডা?

তৃষা থতমত খেয়ে বললো,– ইয়ে মানে আম্মু আহিকে একসাথে এতগুলো চকলেট দিছি তো, তাই আবেগে ভালোবাসি বলে ছ্যাচড়ার মতো চিল্লাইসে।

আম্মু আহির দিকে তাকিয়ে বললো,– পিচ্চি বান্দর একটা!

আম্মু চলে গেল।

আহি ভ্রু কুঁচকে তৃষাকে বললো,– বদনামের কাঠাল আমার মাথায়ই ভাঙতে হবে তাই তো!

আশিক দৃশ্যমান হলো। তৃষার ফোনে আকাশের কল বেজে উঠল। তৃষা রিসিভ করতেই…

চলবে।

ইমতিয়াজ আহমেদ চৌধুরী।

গল্পঃ অদৃশ্য স্পর্শ ( ষষ্ঠ পর্ব )

–“ তৃষা তুমি বললে আমি তোমার সাথে শারীরিক মেলামেশা করেছি, তাও তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে! আসলে সেদিন সারারাত বার্থডে পার্টি শেষে শরীর ক্লান্ত এবং চোখে ঘুম ছিল বলে তোমার কথাটায় অত গুরুত্ব দিতে পারিনি, পরে বিষয়টি সিরিয়াস মনে হলো। এবার বলো তো বিষয়টি কি আসলে।” তৃষা কল রিসিভ করতেই আকাশ গড়গড় করে কথাগুলো বললো।

তৃষা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল, এই মুহূর্তে কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না।

আশিক তৃষার পরিস্থিতি বুঝতে পেরে তৃষার কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,– স্বপ্ন।

তৃষা ফোনে আকাশকে বললো,– ঐ যে স্বপ্ন, স্বপ্নে এসে তুমি এসব করে গেলে দুষ্ট।

আকাশ বললো,– তাহলে শরীর ব্যথার কথা বললে যে, সেটা কিকরে সম্ভব?!

: আসলে আকাশ ঘুমের ঘরে স্বপ্নে তোমার সাথে দুষ্টুমি করতে গিয়ে খাট থেকে পড়ে গিয়ে শরীর ব্যথা হয়েছিল।

: যা-ই হোক তৃষা, তোমার কথাবার্তা কেমন অস্বাভাবিক লাগছে, শোনো- বিকেলে সেই কফিশপে এসো, একসাথে কফি খাবো, তোমারও ভালো লাগবে।

: আচ্ছা আকাশ, চেষ্টা করবো! বাই।

আকাশ কল কেটে দিতেই তৃষা আশিককে বললো,– যতকিছু সব তোমার জন্য, আকাশকে মিথ্যা বলে ঠকালাম, ভালোবাসায় এটা কাম্য নয়।

আহি পাশ থেকে বলে উঠলো,– আপা সেই গানটা মনে আছে তোর?

তৃষা অবাক হয়ে বললো,– কোন গান?!

আহি বললো,– ঐ যে, বিধি তুমি বলে দাও আমি কার। সেই গানটা এখন তোর একটু পরিবর্তন করে গাইতে হবে।

: মানে! কি বলছিস?

: মানে হলো গানটা তুই এরকম গাইবি– বিধি তুমি বলে দাও আমি কার, একটি জ্বীন, একটি মানুষ, দুজনেই একটি মনের দাবীদার। হা হা হা।

: আহি পাকনামি না করে এখান থেকে যা তো!

আহি আশিকের দিকে তাকিয়ে বললো,– যত দোষ সব আপনার মিস্টার জ্বীন নন্দঘোস!

আশিক থতমত খেয়ে বললো,– মুই কি করসি আহি!

আহি বললো,– মুই কি করসি মানে! আপনার কারনেই এত কিছু হচ্ছে, ক্যারে ভাই মানুষ কোমায় গিয়াও পরী বিয়ে করার স্বপ্ন দেখে, আর আপনি স্বজ্ঞানে পরী ছেড়ে ছ্যাঁচড়ার মতো মানুষের পেছনে লেগে আছেন!

: আহি কি বলছো এসব?

: তো কি, মনে তো হচ্ছে জ্বীন দেশে পরীদের ইভটিজিং করে সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে এখানে এসে ঘাপটি মেরেছেন!

: আহি! হাল্কা করে কয়েটা বদ জ্বীনের মাঝে ছেড়ে দিলেই বুঝবা এত করলে চালাকি, চালাকির জ্বালা কি!

: দেখেন, আপনাকে আমার সুবিধার মনে হচ্ছে না মিস্টার বদ জ্বীন।

: ও আচ্ছা তাই! আমি বদ হলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে পাসের ছাদের হ্যাংলা পাতলা কিসলুর দিয়ে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে মারা মেয়েটা কি শুনি!

আহি জিভে কামড় দিয়ে বললো,– ইয়ে মানে, মানে এসবের মানে কী!

আশিক হেসে ফেলে বললো,– “এই বৃষ্টি ভেজা রাতে, তোমাকে খুব একান্তে কাছে পেতে চাওয়া আমার উত্তেজিত অস্থির মন কিসলু ঝানেমন,” কিসলুকে এমন মেসেজ লিখে পাঠানো মেয়েটি কি বদ নয়? আমি বদ জ্বীন হলে তুমি বদ আহি।

আহি অনিচ্ছাকৃত হেসে আশিকের হাত ধরে বললো,– এই যে জোর করে হইতে চাওয়া দুলাভাই, আপনার জন্য দেখতাসি প্রাইভেসি নিজেই প্রাইভেসি সঙ্কটে পড়ে যাবে। পিলিজ এই অধমের গোপন তথ্য এভাবে ফাঁস করে দিয়ে সর্বনাশ করবেন না।

আহির কথা শুনে তৃষা এবং আশিক দুজনেই হেসে ফেললো। আশিক হেসে ফেলে বললো,– এই তো, লাইনে আসো সোনামণি।

আহি ভেংচি কেটে বললো,– আপ্নে যে জিনিস, লাইনে না এলে আইনে ফাঁসিয়ে কেলেংকারীতে ভাসিয়ে দিবেন, ভাভাগো ভাভা।

আহির কথা শুনে আশিক ও তৃষা দুজনেই হেসে অস্থির।

আহি রুম থেকে বেড়িয়ে চলে গেল।

বিকেলে তৃষা আহিকে নিয়ে বের হলো কফি সপের উদ্দেশ্যে। আকাশ যেখান দেখা করতে বলেছে। আশিক অদৃশ্য হয়ে ওদের পিছুপিছু। অর্ধেক রাস্তায় যাবার পরে আকাশ ফোন করে বললো,– তৃষা আজ বাসায় কেউ নেই, বাসায় চলে এসো, আজ তোমার হাতের রান্না খাবো।

আকাশের কথা মতোই তৃষা আহিকে নিয়ে আকাশের বাসায় এসে উপস্থিত। তৃষাকে দেখে আকাশ লাভ ইউ বলে হাগ করতে গিয়ে ব্যর্থ হলো, মনে হলো পেছন থেকে কেউ টেনে ধরেছে, আকাশ ভীষণ অবাক হলেও প্রকাশ করলো না।

আহি হেসে ফেলে বললো,– কি ব্যাপার আকাশ ভাইয়া, হাত বাড়িয়ে হাগ করতে গিয়ে আবার রাগ করে ব্রেক মারলেন নাকি? আমি তো হাগে ভাগ বসাতে চাইনি!

আকাশ থতমত খেয়ে তৃষাকে বললো,– এই টেপ রেকর্ডার সাথে আনা কি ভীষণ জরুরি ছিল তৃষা! কানের পর্দা লুজ হবে তবু টেপ রেকর্ডার থামবে না।

মিতু হেসে ফেলে বললো,– বোনকে পেতে চাইলে পর্দা তো ভালো, কানের মায়া ত্যাগ করতে হবে বলে দিলাম।

সিড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে আহি পা পিছলে একেবারে পড়ে গিয়েও পড়লো না, মনে হলো কেই ধরে আবার সোজা করে দাড় করিয়ে দিয়েছে। আহি বুঝতে পারলো এটা আশিকের কাজ, আহি মিষ্টি হেসে অদৃশ্য আশিকের উদ্দেশ্যে বললো,– ধন্যবাদ বদ।

আকাশ পেছনে ঘুরে দাড়িয়ে বললো,– ধন্যবাদ বদ মানে কী আহি!

আহি বললো,– আপনাকে বলিনি।

আকাশ চারপাশে তাকিয়ে আহিকে বললো,– আশেপাশে তো আর কেউ নেই।

আহি হেসে ফেলে বললো,– তাইলে আপনিই বদ, হা হা হা।

আকাশ আবার রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়িয়ে বললো,– এই মেয়ে আজ মগজ ফ্রাই করে ছাড়বে আমার।

কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে আকাশ তৃষাকে বললো, তোমার হাতের খিচুড়ি খাবার ইচ্ছে আমার বহু দিনের, আজ তবে হয়ে যাক।

আকাশের কথা শেষ হতে না হতেই তৃষা ধরাম করে একটা চড় মারলো আকাশের গালে। আকাশ ভীষণ অবাক হয়ে এবং ভড়কে গিয়ে নিজের গাল চেপে ধরে অপলক দৃষ্টিতে তৃষার দিকে তাকিয়ে আছে।

তৃষা নিজেও ভীষণ অবাক, এটা কি করলো!

আহি ভিরমি খাই খাই করেও নিজেকে অনেক কষ্টে কন্ট্রোল করলো।

আকাশ মিনমিন করে বললো,– তৃষা তোমার হাতের খিচুড়ি খেতে চেয়েছি, থাপ্পড় না।

তৃষা তড়িঘড়ি করে কি বলবে ভেবে বলে ফেলল,– তোমার যে এত বেশি আমার হাতে খিচুড়ি খেতে ইচ্ছে করে সেটা সিরিয়াসলি আগে বলোনি কেন দুষ্ট, এর জন্যই থাপ্পড় মেরেছি।

আকাশ কষ্ট করে অনিচ্ছাকৃত হেসে বললো,– ও আচ্ছা, আগে বলবে তো।

আসলে থাপ্পড়টা আশিক মারিয়েছিল তৃষার হাত দিয়ে আকাশের গালে, সেটা তৃষাও বুঝতে পেরেছে এতক্ষণে।

তৃষা জলদি করে উঠে কিচেনে গিয়ে আশিকের উদ্দেশ্যে বললো,– আশিক এটা কিন্তু ঠিক হয়নি, আর সবখানে এভাবে আমাকে ফলো করে তুমি কিন্তু আমার বিরক্তির কারণ হচ্ছো।

আশিক দৃশ্যমান হয়ে মিষ্টি হেসে বললো,– তৃষা আমি তোমায় ভালোবাসি, তাই প্রতি মুহূর্তে তোমার সঙ্গী হয়ে থাকতে চাই। তুমি বিরক্ত হচ্ছো বুঝিনি, ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি তৃষা।

কথা শেষে আশিক অদৃশ্য হয়ে গেল।

রান্নাবান্না শেষ, আহি ঘুমিয়ে পড়েছে। ডাইনিং টেবিলে খিচুড়ি সার্ভ করে তৃষা বললো,– আকাশ আহিকে ডেকে তোলো।

আকাশ বললো,– ওর কাচা ঘুম ভাঙ্গানোর দরকার নেই, আর আমার তোমার হাতে খাবার খুব ইচ্ছে আজ।

তৃষা অবাক হয়ে বললো,– ধুর, আমার লজ্জা লাগে।

আকাশ তৃষার মুখের সামনে একেবারে ঝুকে পড়ে বললো,– আজ নাহয় লজ্জা লকারে রাখো।

“আচ্ছা আমি একবার খাইয়ে দিচ্ছি,” বলে তৃষা প্লেট থেকে তুলে খাইয়ে দিলো আকাশকে। তারপর দু’জন টেবিলে বসে খিচুড়ি খেল।

খাওয়া শেষে হাত মুখ ধুয়ে আকাশ নিজের রুমে গেল। তৃষাও সবকিছু গোছগাছ করে আকাশের রুমে গিয়ে আকাশের পাশে বসে বললো,– কেমন হলো বলো।

আকাশ অন্যরকম ভঙ্গিতে তৃষার হাত ধরে…

চলবে…

ইমতিয়াজ আহমেদ চৌধুরী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here