অদ্ভুত_সেই_বাড়িটি #পর্ব_২

0
599

#অদ্ভুত_সেই_বাড়িটি
#পর্ব_২
#লেখনীতে_Musaffa_Marhama_mim

টিনের বাড়িটিতে এসে প্রথমত তারা ফ্রেশ হয়ে নিলো।একই কক্ষে সকলে খাটের উপর বসে আছে। আফজাল সাহেব একজন মাহিলাকে খাবার এনে দিতে বললেন।মহিলাটি তাই করলো।প্রত্যেকেই প্রচুর ক্লান্ত, তাই দ্রুত খাওয়া শেষ করলো। একটি কক্ষে পাঁচ বান্ধবীর থাকার ব্যবস্থা করা হলো।তারা এখনো ঘুমায়নি। সকলে মিলে বিভিন্ন গল্প গুজবে মত্ত।সাজিদ আফজাল সাহেবের সাথে ঘুমাবে।সে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে তার বোনকে একটি তাসবীহ দিলো।তাসবীহ টি হাতে নিয়েই সাদিয়ার মন বিষন্ন হয়ে গেলো।তার বান্ধবীরা বিষয়টি লক্ষ্য করে সাদিয়ার পাশে এসে বসলো।

“রিফা বললো।এটা সাদমান ভাইয়ার তাসবীহ তাইনা?

” সাদিয়া শান্ত গলায় বললো হুঁ।

সবার মধ্যে একপ্রকার নিরবতা বিরাজ করলো।

সানজানা নিরবতা ভেঙে বললো। থাক দোস্ত দুঃখ পাসনা। আমরা শুধু এখন যা করতে পারি তা হলো সাদমান ভাইয়ের জন্য দুয়া করা।এ ছাড়া আমাদের কিই বা করার আছে। মানুষটি যেহেতু না ফেরার দেশে ফিরে গেছে সে কি আর ফিরে আসবে বল?

“ফিজা বললো।সাদিয়া বিশ্বাস করেনা তিনি মারা গিয়েছেন।তার মনে হয় তিনি এখনো বেঁচে আছেন।

” সানজানা বললো।হয়তো সে সাদমান ভাইয়াকে অনেক বেশি ভালোবাসতো তাই এমন ধারণা করছে।তার মৃত্যুর খবর তো টিভিতেও আমরা দেখেছি তাইনা? সেটা কিভাবে অবিশ্বাস করি।

“সাদিয়া অনুগ্র স্বরে বললো।তার লাশ কি দেখেছিস তোরা।

” সকলেই নিশ্চুপ।

“তার লাশ না দেখে শুধু টিভিতে খবর শুনেই এতটা নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছিস তোরা? আমি জানি আমার কথা তোদের বিশ্বাস হবেনা কারন আমার ভালোবাসা টা ছিলো এক তরফা। আমি আমার ভালোবাসাটাকে এক তরফা রেখেছি কারন আমি চাইনি হারাম কোনো সম্পর্কে আমরা জড়াই।ভেবেছিলাম পড়া লেখা শেষ হলে নিজেই তাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো কিন্তু….. সাদিয়ার চোখ ভিজে উঠলো।গলা দিয়ে কোনো আওয়াজ বের হলোনা। সানজানা সাদিয়াকে জড়িয়ে ধরে বললো
থাক বাদদে দোস্ত এই সব । আমরা এখানে ঘুরতে এসেছি তুই কেন শুধুশুধু এসব ভেবে ভেবে মন খারাপ করছিস? এবং আমাদেরও মন খারাপ করাচ্ছিস?

ফিজা খুবই মজার মানুষ। মানুষদের হাসাতে সে ভিষণ পছন্দ করে। বিশেষ করে সাদিয়াকে। কারন সাদিয়া অনেকটা গম্ভীর প্রকৃতির মেয়ে।সুতরাং তাকে হাসাতে পারলে যেন সে অনেক কিছু জয় করে ফেলেছে এমন একটা ভাব নেয়।ফিজা এখনো তাই করলো। সে সকলের উদ্দেশ্যে একটি কৌতুক বললো।এক লোক রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ এক্সিডেন্ট হয়। মানুষজনেরা দূর থেকে দেখে মনে করে এই এক্সিডেন্টে লোকটির মাথা উল্টিয়ে গিয়েছে। তাই লোকজনেরা লোকটির কাছে গিয়ে তার মাথা ঠিক করে দেয়।কিন্তু পরক্ষণেই দেখা যায় লোকটির মাথা ঠিকই ছিলো বরং লোকটির গাত্রে থাকা জ্যাকেটটি উলটে ছিলো।

সবাই সম্মিলিত ভাবে হেসে উঠে কিন্তু সাদিয়া হাসেনা, তাই ফিজা আরেকটি কৌতুক বলার জন্য উৎসুক হয় এহেন সময় ইলেক্ট্রিসিটি চলে যায়।পুরো কক্ষে বিরাজ করে পিনপতন নিরবতা। সকলে নিশ্চুপ হয়ে যায়।বহির্ভাগ থেকে কেমন শোঁ শোঁ শব্দ ভেসে আসতে থাকে। সাদিয়ার তার ভাইয়ের কথা মনে পড়ে।তার ভাই পাশের কক্ষেই ঘুমাচ্ছে। সাদিয়া সেথায় যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ায়। এহেন সময় টিনের চালে বিকট একটি আওয়াজ হয়। সাদিয়া আবারো স্বীয় স্থানেই বসে পড়ে। পাঁচ বান্ধবী একে অপরের হাত শক্ত করে ধরে রাখে। সাদিয়া চাপা গলায় বলে, আমার ভাই ওই রুমে। সানজানা বলে।ভয় পাসনা চালের উপর হয়তো কুকুর উঠেছে।

সত্যি সত্যিই উপর থেকে গা শির শির করা কারো পদধ্বনি ভেসে আসে।আওয়াজ টিপ টিপ করে সাদিয়াদের বৈঠক বরাবর এসে থেমে যায়।সকলের হৃদপিণ্ড মাত্রাতিরিক্ত কাঁপতে থাকে। কিছুক্ষণ পর উর্ধ্বভাগের সেই পদধ্বনির শব্দ সাদিয়াদের পিছন থেকেও আসতে থাকে।মনে হচ্ছে তাদের পশ্চাত বরাবর কেউ সমান ভাবে হেটে চলেছে। কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? পায়ে ভর না দিয়ে কিভাবে হাটা যায়।সেই ধ্বনি জানালা বরাবর এসে থেমে যায়।তাদের কাছে মনে হতে থাকে এই বুঝি জানালা খুলে ফেলবে। কিন্তু জানালা খুলার পূর্বেই সাজিদ কুপি হাতে নিয়ে তাদের কক্ষে প্রবেশ করে।সাদিয়া সেদিকে দৌড়ে যায়।সাজিদকে জড়িয়ে ধরে হাপাতে হাপাতে জিজ্ঞাসা করে তুই ঠিক আছিস ভাই?

“সাজিদ স্বাভাবিক গলায় উত্তর দেয়। হ্যাঁ আপু আমি ঠিক আছি নাও আফজাল আংকেল এই কুপিটা দিতে বললো তোমাদের।

সাজিদ কুপি দিয়ে সে আবারো ঘুমাতে চলে যায়।ফিজা উৎকন্ঠিত রুপে সকলকে উদ্দেশ্য করে বলে। কিরে একটু আগে এটা কি ছিলো?।সানজানা সকলকে সাহস দিয়ে বলে আরে ভয় পাসনা তেমন কিছুনা। কোনো কুকুর বা বিড়াল হবে হয়তো।চল আমরা ঘুমিয়ে পড়ি সকালে আবার উঠতে হবে। ফজরের নামাজ পড়তে হবে। সবাই বিষয়টিকে সিরিয়াসলি না নিয়েই শুয়ে পড়ে। সাদিয়া হাতে থাকা তাসবীহ টি একটি ব্যাগে ভরে রাখে।আর একটি দ্বীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ঘুমাতে চলে যায়।সাদমান একজন নবীন লেখক। সাদমানদের বাড়িতেই সাদিয়ারা ভাড়া থাকতো। ছোট বেলা থেকেই সাদিয়া সাদমানকে পছন্দ করতো।এরপিছনের কারন হলো সাদমান খুবই উত্তম চরিত্রের একজন ছেলে। লিখালিখির মাধ্যমেই সে সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু সাদিয়া তাকে জানে পূর্ব থেকেই।দুই মাস পূর্বে তার সাথে একটি দূর্ঘটনা ঘটে যায়।সে তটিনী পথে কোথাও যাত্রা শুরু করে। আচানক সেখানে ঝড় শুরু হয়।তাদের জাহাজটি ঝড়ের কবলে পড়ে যায়।পরের দিক সকালে পত্রিকা বা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম গুলোতে বড় করে হেড লাইন হয় গত রাতের ভীতিজনক ঝড়ের কবলে পড়ে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে বর্তমান সময়ের তরুন লেখক জনাব সাদমান চৌধুরীও ছিলেন।সাদমানের বাবা মা ছেলের লাশ অনেক মানুষ দিয়ে খুজেছেন।কিন্তু তারা পাননি ছেলেকে। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনার পর থেকেই তার মা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন।খাওয়া দাওয়া, ঘুম সব কিছুই তার রুটিনের বাহিরে চলে গিয়েছে।সাদিয়ার ক্ষেত্রেও একই দশা হয়েছে।পছন্দের মানুষটিকে হারিয়ে সেও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে।ভেতরে যে আত্বাকে নিয়ে সে বেঁচে আছে।আর কেউ না জানুক সে জানে সেটা প্রায় ক্লান্তশ্রান্ত । সাদিয়ার বাবা মাও বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছেন। তাই মেয়েকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন।যদিও ইতিপূর্বে সাদিয়া কখনোই তাদের উপস্থিতি ব্যতিত কোথাও ঘুরতে বের হয়নি।৷

______

এখনো ইলেক্ট্রিসিটি আসেনি। সাদিয়া সবে মাত্র চোখ বুজলো। সারাদিনের ক্লান্ত দেহ বিছানায় ঠেকাতেই মুহুর্তেই দু চোখের দু পাশ এক হয়ে গেলো।এই আধো আধো ঘুমেই সাদিয়ার কাছে মনে হলো কেউ তাকে নাম ধরে ডাকছে।কন্ঠটি তার পরিচিত।সে কণ্ঠধ্বনি জংগোলের উত্তর দিক টা থেকে ভেসে আসছে । সাদিয়া উঠে বসলো।জানালার পাট খুলে গেলো।অনিমিখে সে সেদিকেই চেয়ে আছে।মনে হচ্ছে চিরচেনা এই মানুষটি ভিষণ ক্লান্ত। কথা পর্যন্ত ঠিক মত বলতে পারছেনা।মানুষটি বলপূর্বক মাটিতে স্বীয় চরণ কে ঘষে ঘষে সাদিয়ার দিকে এগিয়ে আসছে। সাদিয়া মানুষটিকে চিনতে পারলো।এতো সাদমান।সাদমান এখানে কি করছে? সাদমানের গাত্রে থাকা বস্ত্রটি জীর্ণশীর্ণ হয়ে আছে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে হাটঁতে তার ভিষণ কষ্ট হচ্ছে।কিছুক্ষণ পর সাদমান মাটিতে পড়ে গেলো।তার শরীরে বিন্দু মাত্র শক্তি অবশিষ্ট নেই যেটুকুর সাহায্যে সে সাদিয়ার কাছে এগিয়ে আসবে।সে অসহায় ভঙ্গিতে সাদিয়ার দিকে চেয়ে থাকলো।সাদমানের এ অবস্থা দেখে সাদিয়ার মন ব্যথিত হলো সে জানালা দিয়ে বের হওয়ার পরিকল্পনা করলো। টিনের এই ঘরের জানালাটি পুরোটাই খোলা। একজন মানুষ অনায়েসেই সেথা দিয়ে বের হতে পারবে।সাদিয়া জানালা দিয়ে বের হতে যাবে।অমনি তার সামনে কুৎসিত ভয়ানক চেহারার একজন নারী উপস্থিত হলো।তার চোখ মুখ থেকে রক্ত পড়ছে।দন্ত গুলো বড় বড়।চুল গুলো উশকোখুশকো। গলায় অনেক গুলো শিকল ঝুলছে। মহিলাটিকে দেখে সাদিয়া পিছনে হটে গেলো।মহিলাটি জানালা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার জন্য উদগ্রীব হলো। আর ভয়াবহ স্বরে বলতে থাকলো।ওকে কোথাও নিবিনা আর নয়তো তোরে মাইরা ফেলামু। সাদিয়ার হৃদপিণ্ড কাঁপতে থাকলো।মনে হচ্ছে সে এখনই মূর্ছা যাবে।সাদিয়া চিৎকার দিলো।তার চিৎকার শুনে বাকীরাও উঠে গেলো।এবং সকলে আবিস্কার করলো সাদিয়া স্বপ্নে কারো সাথে কথা বলছে।সানজানা সাদিয়ার গাত্রে হাত রাখলো।সাদিয়া হন্তদন্ত হয়ে উঠে বসলো। সেও বুঝতে পারলো সে এতক্ষণ স্বপ্ন দেখেছে।কিন্তু জানালাটি এখনো খোলা। সে ভয়ে ভয়ে বহির্ভাগে দৃষ্টি দিলো। সেথায় সে কিছুই দেখতে পেলোনা।শুধু জংগোলে থাকা সমস্ত উদ্ভিদ (গাছ) গুলো শোঁ শোঁ শব্দ করছে।সানজানা সাদিয়ার কাছে এসে চিৎকার দেওয়ার কারন জিজ্ঞাসা করলো।

“সাদিয়া কিছুই বললো না।ধীর গলায় শুধু বললো জানালা খুলেছে কে? ফিজা বললো।
আমি খুলেছিলাম কারন খুব গরম লাগছিলো তাই। সানজানা কিছু একটা ভেবে জানালা লাগিয়ে দিলো।এবং সাদিয়াকে শান্ত করলো।সাদিয়ার প্রচুর পানি তেষ্টা পেয়েছে।রিফা খাটের পাশে রাখা বোতল টি সাদিয়ার হাতে দিলো।সাদিয়া ডগডগ করে বোতলের অর্ধেক পানি খাওয়া শেষ করলো। এবং কিছুটা স্বাভাবিক হলে সে চার কুল আয়াতুল কুরসি পড়ে নিজের গাত্রে ফুঁ দিলো।সে ভাবার চেষ্টা করছে স্বপ্নে কি সে সত্যিই সাদমান কে দেখেছে? তার মন বললো হ্যাঁ এটা সাদমানই ছিলো। সাদিয়া মৃদু স্বরে সানজানা কে জিজ্ঞাসা করলো।সানজানা উত্তরের বাড়িটাকি সত্যিই ভুতুড়ে?

” আরে না এইগুলো মানুষদের রটনা আরকি?তবে আমি খুব ছোট বেলা ভুল করে এই বাড়িটির পিছন দিকটাতে ঢুকে পড়েছিলাম, তখন বাড়ির জানালা দিয়ে উঁকি দিয়েছিলাম এবং সেখানে কয়েকজন ছেলে মেয়েকে বাধা অবস্থায় দেখেছি।পরে বাবাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে বাবা বললো ওরা নাকি পাগল তাই ওদের কে এখানে বেধে রাখা হয়েছে।তবে সেখানে ভুতুড়ে কোনো কিছুই আমি দেখিনি।

“সাদিয়া বললো, তুই জানিস আমি সন্ধ্যার সময় ওই বাড়ির ছাদে আগুন জ্বলতে দেখেছি।

” সানজানা বললো,হতে পারে আমাদের মতই সেখানে কেউ বেড়াতে এসেছে।জানিনা বাদ দেতো এসব।এখন ঘুমিয়ে পড় সবাই।

সানজানা সাদিয়ার বালিশ ঠিক করে তাকে শুইয়ে দিলো।এবং সকলের উদ্দেশ্যে বললো।

“শোন তোদের একটা কথা বলা হয়নি।আমি ওই বাড়িতে যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন আরেকটা মেয়েও ওই বাড়িতে গিয়েছিলো।আমি বাড়ির পিছন দিকটা দিয়ে ঢুকেছিলাম, আর ওই মেয়েটা সামনে থেকে।কিন্তু আমাদের দুজনের মধ্য থেকে শুধু আমিই বেচে আছি।ওই মেয়েটি ওইদিনই কোথাও একটা নিখোঁজ হয়ে যায়। বাবাকে এর কারন জিজ্ঞাসা করেছিলাম। বাবা বলেছিলো ওই বাড়ির সামনে নাকি চোখ আছে।আর সে নাকি মেয়েটিকে দেখে ফেলেছে এবং তার কাছে মেয়েটিকে নিয়ে গেছে।যদিও বা আমার কাছে কথাটি হাস্যকরই লেগেছিলো।কিন্তু এ নিয়ে আর বাবাকে বেশি কিছু বলতে পারিনি।বাবা প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলো সেদিন আমার উপর।তাই তোদেরকে বলবো তোরাও ওই বাড়িটিতে কখনো যাবিনা।

” ফিজা সানজানার কথা শুনে কিছুক্ষণ হাসলো।এবং একরাশ হাসি নিয়ে বললো।সানজানা তুই পারিসও বটে।বাড়ির আবার চোখ! নে নে ঘুমা এবার। আমরা শুধু পাহাড় দেখতে যাবো এ ছাড়া আমাদের আর কোনো কাজ নেই বোন।সুতরাং এইসব বাড়ি টারি বাদ দে।

তারা আর কেউই কোনো কথা বাড়ালোনা। নিশ্চুপরবে শুয়ে পড়লো।মুহুর্তেই সকলে ঘুমের রাজ্যে পাড়ি দিলো।কিন্তু সাদিয়ার চোখ নির্ঘুম।সে এখনো সাদমানের ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মুখাবয়ব ভুলতে পারছেনা।তার মন বলছে সাদমান বেঁচে আছে।সাদমান তার আশে পাশেই কোথাও একটা রয়েছে।হয়তো সে ভালো নেই।না সাদিয়া আর ভাবতে পারছেনা।সাদিয়া এসব চিন্তাকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চায়।সে নিজেকে এই বলে শান্ত করলো।সাদমানের প্রতি দূর্বলতাই তাকে সাদমান সম্পর্কে আবোলতাবোল ভাবাচ্ছে।এই সান্ত্বনাধ্বনি তাকে তৃপ্ত করতে পারলো না।তার মাথা প্রচণ্ড ব্যাথা করছে।সে উঠে বসতে চাইলো।কিন্তু ব্যর্থ হলো। কারন সানজানা, ফিজা তাকে জড়িয়ে রেখেছে।সে শুধু সকাল হওয়ার অপেক্ষা করছে। সকাল হলেই যেন এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে সে মুক্তি পাবে।

আসছে।

_________________________

কয়েকটি পর্বতে শুধু রহস্যের আনাগোনা থাকবে।এরপর আমি সব গুলো রহস্য আস্তে আস্তে উন্মোচন করে দিবো।তবে এ অবধি অপেক্ষা করে যেতে হবে।

সেই সাথে গল্প সম্পর্কে আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাবেন কিন্তু?।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here